পরিচ্ছেদঃ লজ্জা
৬০৬. আবু মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রথম নবুওয়াত থেকে মানুষ যেসব বাণী প্রাপ্ত হয়েছেন, তন্মধ্যে অন্যতম বাণী হলো: “যখন তোমার লজ্জা না থাকবে, তখন তুমি করো, যা তোমার করতে মন চায়!”
আমাদের শাইখ বলেছেন: “কা‘নাবী ইমাম শু‘বাহ থেকে এই হাদীস ব্যতীত আর কোন হাদীস শ্রবণ করেননি।”[1]
باب الحياء
606 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ رِبْعِيٍّ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّ مِمَّا أَدْرَكَ النَّاسُ مِنْ كَلَامِ النبوة الأولى: إذ لم تستحِ فاصنع ما شئت.)
مَا سَمِعَ الْقَعْنَبِيُّ مِنْ شُعْبَةَ إِلَّا هَذَا الحديث قاله الشيخ.
الراوي : أَبو مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 606 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৬৮৩।)
পরিচ্ছেদঃ শয়তান মানুষের কাছে নিষিদ্ধ কাজ যখন সুশোভিত করে তুলে, তখন মানুষের জন্য ওয়াজিব হলো লজ্জাকে আঁকড়ে ধরা
৬০৭. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “লজ্জা ঈমানের অন্তর্ভূক্ত। আর ঈমান জান্নাতে যাবে। অশ্লীলতা রুঢ়তার অন্তর্ভূক্ত, আর রুঢ়তা জাহান্নামে যাবে।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ الْحَيَاءِ عِنْدَ تَزْيِينِ الشَّيْطَانِ لَهُ ارْتِكَابَ مَا زُجر عَنْهُ
607 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (الْحَيَاءُ مِنَ الْإِيمَانِ وَالْإِيمَانُ فِي الْجَنَّةِ والبذاء من الجفاء والجفاء في النار.)
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 608 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৪৯৫।)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় আরেকটি হাদীস যা আমাদের উল্লেখিত বিষয়ের বিশুদ্ধতা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে
৬০৮. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “লজ্জা ঈমানের অন্তর্ভূক্ত, আর ঈমান জান্নাতে যাবে। অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ রুঢ়তার অন্তর্ভূক্ত, আর রুঢ়তা জাহান্নামে যাবে।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
608 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمَذَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (الْحَيَاءُ مِنَ الْإِيمَانِ وَالْإِيمَانُ فِي الْجَنَّةِ وَالْبَذَاءُ مِنَ الْجَفَاءِ وَالْجَفَاءُ فِي النَّارِ.)
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 608 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح..
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৪৯৫।)
পরিচ্ছেদঃ লজ্জা ঈমানের অংশসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি অংশ। কেননা ঈমান বেশ কিছু অংশ সংবলিত শাখাসমূহের সমষ্টি, যে সম্পর্কে আলোচনা গত হয়ে গেছে
৬০৯. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, যিনি তার ভাইকে লজ্জার বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছিলেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তুমি তাকে ছেড়ে দাও। কেননা লজ্জা ঈমানের অন্তর্ভূক্ত।”[1]
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “دَعْهُ (তাকে ছেড়ে দাও), এটি একটি ধমকসূচক শব্দ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নতুন বিষয়ের সূচনা করা।”
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْحَيَاءَ جُزْءٌ مِنْ أَجْزَاءِ الْإِيمَانِ إِذِ الْإِيمَانُ شُعَبٌ لِأَجْزَاءٍ عَلَى مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهُ
609 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِرَجُلٍ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (دعه فإن الحياء من الإيمان.)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: (دَعْهُ) لَفْظَةُ زَجْرٍ يُرَادُ بِهَا ابْتِدَاءُ أَمْرٍ مُسْتَأْنَفٍ.
الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 609 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (আর রওদ্বুন নাদ্বীর: ৫১৩।)
পরিচ্ছেদঃ তাওবা (অনুশোচনা হলো তাওবা এই মর্মে হাদীস)
৬১০. আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের পূর্বযুগে এক ব্যক্তি নিরানব্বই জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। অতঃপর সে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, এবং তাকে একজন দরবেশকে দেখানো হয়। ফলে সে তার কাছে আসেন এবং তাকে বলেন যে, সে নিরানব্বই জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে তার কি তাওবার কোন সুযোগ আছে?” দরবেশ জবাবে বলেন: “না (তাওবার কোন সুযোগ নেই)।” ফলে সে তাকেও হত্যা করে একশত হত্যা পূর্ণ করে! অতঃপর সে আবার পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, এবং তাকে এক ব্যক্তিকে দেখানো হয়। ফলে সে তার কাছে আসেন এবং তাকে বলেন যে, সে একশত জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছে, তার কি তাওবার কোন সুযোগ আছে?” সেই ব্যক্তি জবাবে বলেন: “হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। তোমার মাঝে আর তাওবার কাছে কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে? তুমি ওমুক ওমুক জায়গায় যাও, কেননা সেখানে আল্লাহর ইবাদতগুজার কিছু মানুষ আছেন। অতএব তুমিও সেখানে আল্লাহর ইবাদত করবে, তোমার এলাকায় আর ফিরে যাবে না। কেননা সেটি মন্দ এলাকা।” অতঃপর সে ব্যক্তি রওনা দেয় এমনকি যখন সে অর্ধেক রাস্তায় আসে, তখন তার মৃত্যু হয়। ফলে তার ব্যাপারে রহমতের ফেরেস্তা ও আযাবের ফেরেস্তা বাদানুবাদে লিপ্ত হয়; রহমতের ফেরেস্তাগণ বলেন: “সে আমাদের কাছে তাওবা করে, আল্লাহ অভিমূখী হয়ে এসেছে।” আযাবের ফেরেস্তাগণ বলেন: “সে তো কখনই কোন ভাল কাজ করেনি!” এমন সময় একজন ফেরেস্তা মানুষের আকৃতিতে সেখানে আসেন ফলে তারা তাকে তাদের বিবাদের ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারী বানায়। তিনি বলেন: “তোমরা উভয় দিকের জমি পরিমাপ করো। সে যেদিকে অধিক নিকটবর্তী, সেটা তারই বলে গণ্য হবে। ফলে তারা তা পরিমাপ করে এবং তারা তাকে তার উদ্দিষ্ট জমিনের অধিক নিকটবর্তী পায়, ফলে তাকে রহমতের ফেরেস্তাগণ গ্রহণ করেন।”[1]
باب التوبة (ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ النَّدَمَ تَوْبَةٌ)
610 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قال: (كَانَ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ رَجُلٌ قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فدُلَّ عَلَى رَاهِبٍ فَأَتَاهُ فقَالَ: إِنَّهُ قَتَلَ تسعة وتسعين نفساً فهل له منْ توبة؟ قال: لا فقتله وكمَّل به مئة ثُمَّ سَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فقَالَ: أَنَّهُ قَتَلَ مِئَةً فَهَلْ له من تَوْبَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ مَنْ يَحُولُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ التَّوْبَةِ؟ ائْتِ أَرْضَ كَذَا وَكَذَا فَإِنَّ بِهَا نَاسًا يَعْبُدُونَ اللَّهَ فَاعْبُدِ اللَّهَ وَلَا تَرْجِعْ إِلَى أَرْضِكَ فَإِنَّهَا أَرْضُ سُوءٍ فَانْطَلَقَ حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ الطَّرِيقَ أَتَاهُ الْمَوْتُ فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ فَقَالَتْ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ: جَاءَنَا تَائِبًا مُقْبِلًا بِقَلْبِهِ إِلَى اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا وَقَالَتْ مَلَائِكَةُ الْعَذَابِ: إِنَّهُ لَمْ يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ فَأَتَاهُ مَلَكٌ فِي صُورَةِ آدَمِيٍّ فَجَعَلُوهُ بَيْنَهُمْ فقَالَ: قِيسُوا مَا بَيْنَ الْأَرْضَيْنِ: أَيُّهُمَا كَانَ أَقْرَبَ فَهِيَ لَهُ فَقَاسُوهُ فَوَجَدُوهُ أَدْنَى إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي أَرَادَ فَقَبَضَتْهُ بِهَا ملائكة الرحمة.)
الراوي : أَبو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 610 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ৪/৭৭।)
পরিচ্ছেদঃ আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর যে হাদীস মানুষের সামনে পেশ করা হয়, যা আমরা বর্ণনা উল্লেখ করলাম, তা তার সানাদ বিশুদ্ধ এই মর্মে সুস্পষ্ট হাদীস
৬১১. আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, আপনি কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এই কথা বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেছেন: “অনুশোচনা হলো তাওবা?” জবাবে তিনি বলেন: “হ্যাঁ, আমি শুনেছি।”[1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُصَرِّحِ بِصِحَّةِ مَا أَسْنَدَ لِلنَّاسِ خَبَرُ أَبِي سَعِيدٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ
611 - أَخْبَرَنَا ابْنُ نَاجِيَةَ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْتَامٍ حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ الْحَرَّانِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ خَيْثَمَةَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قِيلَ لَهُ: أَنْتَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يقول: (الندم توبة)؟ قال: نعم.
الراوي : ابْن مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 611 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে য‘ঈফ বলেছেন তবে সমর্থক সহীহ সানাদ থাকার কারণে তা সহীহ হিসেবে গণ্য হবে। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আর রওদ্বুন নাদ্বীর: ৬৪২।)
পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে স্পষ্ট দ্বিতীয় হাদীস
৬১২. হুমাইদ আত তাবীল থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি বলেছেন: “অনুশোচনা হলো তাওবা?” জবাবে তিনি বলেন: “হ্যাঁ, তিনি বলেছেন।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
612 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا مَحْفُوظُ بْنُ أَبِي تَوْبَةَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ صَالِحٍ السَّهْمِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ قَالَ: سَمِعْتُ حُمَيْدًا الطَّوِيلَ يَقُولُ: قُلْتُ لِأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: أَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (النَّدَمُ تَوْبَةٌ)؟ قَالَ: نَعَمْ.
الراوي : يَحْيَى بْن أَيُّوبَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 612 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে য‘ঈফ বলেছেন তবে এটি পূর্বের হাদীসকে সমর্থন করে। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আর রওদ্বুন নাদ্বীর: ৬৪২।)
পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে স্পষ্ট দ্বিতীয় হাদীস
৬১৩. আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “অনুশোচনা হলো তাওবা।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
613 - أَخْبَرَنَا أَبُو عَرُوبَةَ أَخْبَرَنَا الْمُسَيَّبُ بْنُ وَاضِحٍ حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ أَسْبَاطٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ خَيْثَمَةَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: (الندم توبة.)
الراوي : ابْن مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 613 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে য‘ঈফ বলেছেন তবে সমর্থক সহীহ সানাদ থাকার কারণে তা সহীহ হিসেবে গণ্য হবে। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আর রওদ্বুন নাদ্বীর: ৬৪২।)
পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো তার থেকে যে ত্রুটি সংঘটিত হয়ে যায়, সেজন্য সবসময় আফসোস ও অনুশোচনা করা যাতে মহান আল্লাহ তার গোনাহ ক্ষমা করে দেন
৬১৪. আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “বানু ইসরাঈলের এক ব্যক্তি নিরানব্বই জন ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। অতঃপর সে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য বের হলো। সে একজন দরবেশের কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলো: “তার কোন তাওবার সুযোগ আছে কি?” দরবেশ জবাবে বললো: “না (তার তাওবার কোন সুযোগ নেই)।” ফলে সে তাকেও হত্যা করে। অতঃপর সে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই থাকে। তখন এক ব্যক্তি তাকে বলে যে, “আপনি ওমুক ওমুক গ্রামে যান। এরপর সে মারা যায়। এরপর তাকে নিয়ে রহমতের ফেরেস্তা ও গযবের ফেরেস্তা বাদানুবাদে লিপ্ত হয়। অতঃপর আল্লাহ এই দিকের জমিনকে প্রত্যাদেশ করেন যে, “তুমি সংকুচিত হও। আবার ঐদিকের জমিনকে প্রত্যাদেশ করলেন যে, “তুমি বিস্তৃত হও।” ফলে তাকে এই দিকের জমিনের দিকে অর্ধহাত কাছে পাওয়া গেল। ফলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।”[1]
ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ لُزُومِ النَّدَمِ وَالتَّأَسُّفِ عَلَى مَا فَرَطَ مِنْهُ رَجَاءَ مَغْفِرَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا ذُنُوبَهُ بِهِ
614 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (كَانَ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ رَجُلٌ قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ إِنْسَانًا ثُمَّ خَرَجَ يَسْأَلُ فَأَتَى رَاهِبًا فَسَأَلَهُ: هَلْ لَهُ مِنْ تَوْبَةٍ؟ قَالَ: لَا فَقَتَلَهُ وَجَعَلَ يَسْأَلُ فقَالَ لَهُ رَجُلٌ: ائْتِ قَرْيَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَمَاتَ فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى هَذِهِ: تَقَرَّبِي وَإِلَى هَذِهِ تَبَاعَدِي فوُجِدَ أَقْرَبَ إِلَى هَذِهِ بشبر فغُفر له.)
الراوي : أَبو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 614 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ৬১০।)
পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো কোন ভুল হলে অথবা ভুলে গেলে সব সময় তাওবা করা ও আল্লাহ অভিমুখী হওয়া
৬১৫. আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মুমিন ব্যক্তি এবং ঈমানের দৃষ্টান্ত হলো খুঁটায় রশিতে বাঁধা ঘোড়ার ন্যায়, যে ঘুরে বেড়ায় তারপর আবার তার খুটার কাছে ফিরে আসে। একজন মুমিন ব্যক্তিও ভুলে যায় তারপর আবার সে ঈমানে ফিরে আসে। তোমরা তোমাদের খাদ্য আল্লাহভীরু ব্যক্তিদের খাওয়াও আর তোমাদের ভাল আচরণ মুমিন ব্যক্তিদের দিকে ফিরিয়ে দাও।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ التَّوْبَةِ وَالْإِنَابَةِ عِنْدَ السَّهْوِ وَالْخَطَأِ
615 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجُنَيْدِ - بِبُسْتَ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ الْخُزَاعِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ عَنْ أَبِي سُلَيْمَانَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:(مَثَلُ الْمُؤْمِنِ وَمَثَلُ الْإِيمَانِ كَمَثَلِ الْفَرَسِ فِي آخِيَّتِهِ يَجُولُ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى آخِيَّتِهِ وَإِنَّ الْمُؤْمِنَ يَسْهُو ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْإِيمَانِ فأطعموا طعامكم الأتقياء وولوا معروفكم المؤمنين.)
الراوي : أَبو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 615 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে য‘ঈফ বলেছেন।তবে তিনি বলেছেন যে, এর সমর্থনে অন্য সানাদ থাকার কারণে এটি শক্তিশালী হবে। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ৪/৭৪।)
পরিচ্ছেদঃ একজন মানুষের জন্য আবশ্যক হলো সদা সময় এবং সকল উপায়-উপকরণে তাওবার সাথে লেগে থাকা
৬১৬. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মহান আল্লাহ তাঁর কোন বান্দার তাওবার কারণে ঐ ব্যক্তির চেয়ে বেশি খুশি হন, যে ব্যক্তি জনমানবহীন মরুভূমিতে তার উট হারিয়ে ঘুম থেকে উঠে সেই উট পেয়ে যায়!”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْءِ مِنْ لُزُومِ التَّوْبَةِ فِي أَوْقَاتِهِ وَأَسْبَابِهِ
616 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ الْقَيْسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عليه وسلم قال: (اللَّهُ أَشَدُّ فَرَحًا بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ مِنْ أَحَدِكُمْ يستيقظ على بعيره أضلَّه بأرض فلاة.)
الراوي : أَنَس | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 616 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (মুখতাসার মুসলিম: ১৯১৭।)
পরিচ্ছেদঃ উক্ত ঘটনায় যে হারানো উটের দ্বারা উপমা দেওয়া হয়েছে, সেই উটের বিবরণ সম্বলিত হাদীস
৬১৭. আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কারো তাওবার কারণে মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন, যিনি ধ্বংসাত্মক বিরানভূমিতে থাকেন, তার সাথে তার বাহন আছে, যাতে তার খাদ্য-পাথেয় ও প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে। অতঃপর সে তার বাহনটি হারিয়ে ফেলে, ফলে সে তার খোঁজে বের হয়, অতঃপর যখন তাকে মৃত্যু পেয়ে বসে, তখন বলে যে, আমি আমার পূর্বের জায়গায় ফিরে যাবো এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করবো! অতঃপর সে ঐ জায়গায় ফিরে যায়, যেখানে সে তার বাহন হারিয়েছে। সে এমন অবস্থায় ছিল হঠাৎ তাকে ঘুম পেয়ে বসে অতঃপর ঘুম থেকে উঠে সে মাথার কাছে তার বাহন দেখতে পায়; যার উপর তার পাথেয় ও প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে! মহান আল্লাহ তোমাদের কারো তাওবার কারণে এই ব্যক্তির চেয়েও বেশি খুশি হন!”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ وَصْفِ الْبَعِيرِ الضَّالِّ الَّذِي تُمثَّلُ هَذِهِ الْقِصَّةُ بِهِ
617 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ الْقَطَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (اللَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنْ رَجُلٍ بِأَرْضٍ دَوِّيَّةٍ مَهْلَكَةٍ وَمَعَهُ رَاحِلَتُهُ عَلَيْهَا زَادُهُ وَطَعَامُهُ وَمَا يُصْلِحُهُ فَأَضَلَّهَا فَخَرَجَ فِي طَلَبِهَا حَتَّى إِذَا أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ قَالَ: أَرْجِعُ إِلَى مَكَانِي فَأَمُوتُ فِيهِ فَرَجَعَ إِلَى مَكَانِهِ الَّذِي أَضَلَّهَا فِيهِ فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ غَلَبَتْهُ عَيْنُهُ فَاسْتَيْقَظَ فَإِذَا رَاحِلَتُهُ عِنْدَ رَأْسِهِ عَلَيْهَا زَادُهُ وَمَا يُصْلِحُهُ فَاللَّهُ أفرح بتوبة أحدكم من هذا الرجل.)
الراوي : ابْن مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 617 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ সুনান আত তিরমিযী: ২৬২৮।)
পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো তার সকল উপায়-উপকরণে তাওবার সাথে লেগে থাকা
৬১৮. আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেছেন “হে আমার বান্দাগণ, নিশ্চয়ই আমি নিজের উপর যুলমকে হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের উপরও তা হারাম করে দিয়েছি। অতএব তোমরা পরস্পরে যুলম করবে না। হে আমার বান্দাগণ, তোমরা দিবারাত্রি ভুল করে থাকো, আর আমি সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেই। এতে আমি মোটেও পরোয়া করি না।... অতঃপর রাবী দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন। হাদীসের শেষাংশে বলেন: “যখন আবু ইদরীস এই হাদীস বর্ণনা করতেন, তখন তিনি হাঁটু গেড়ে বসে পড়তেন!”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ لُزُومِ التَّوْبَةِ فِي جَمِيعِ أَسْبَابِهِ
618 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْمُودِ بْنِ عَدِيٍّ - بِنَسَا - قَالَ: حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ زَنْجُوَيْهِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ: (يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلَا تَظَّالَمُوا يَا عِبَادِي إِنَّكُمْ تُخْطِئُونَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَنَا الَّذِي أَغْفِرُ الذُّنُوبَ وَلَا أُبَالِي .... ) فَذَكَرَهُ بِطُولِهِ وَقَالَ فِي آخِرِهِ: وَكَانَ أَبُو إِدْرِيسَ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ.
الراوي : أَبو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 618 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ৬১৮।)
পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো যখন সে নির্জনে থাকবে, তখন সে তার কৃত পাপের জন্য অব্যাহতভাবে কান্না করতে থাকবে, যদিও সে পাপ থেকে দূরে থাকে এবং তার বিপরীত কাজে সচেষ্ট থাকে
৬১৯. ‘আতা বর্ণনা করেন যে, আমি ও ‘উবাইদ বিন ‘উমাইর ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কাছে গেলাম। তখন ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ‘উবাইদ বিন ‘উমাইরকে বলেন: “আমাদেরকে দেখতে আসার এখন সময় হলো?” তখন ‘উবাইদ বিন ‘উমাইর বলেন, আমি বললাম: “আম্মাজান, আমি তাই বলবো যেমনটা পূর্বের কোন এক ব্যক্তি বলেছিলেন: “বিলম্ব করে দেখা করো, তাহলে মুহাব্বত বৃদ্ধি পাবে!” রাবী বলেন, তখন ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: “আমাদের সাথে এরকম ছন্দময় দুর্বোধ্য কথা বলা বাদ দাও।” ইবনু ‘উমাইর বলেন: “আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সবচেয়ে বিস্ময়কর যে জিনিস প্রত্যক্ষ করেছেন, তা আমাদেরকে অবহিত করুন।”
তিনি বলেন, তারপর ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা কিছুক্ষণ চুপ থাকেন তারপর বলেন: “কোন এক রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেন: “হে ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা, আমাকে ছাড় দাও, আমি আজ রাতে আমার প্রতিপালকের ইবাদত করি।” তখন আমি বললাম: “আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আমি আপনার নৈকট্য ভালবাসি এবং আপনি যাতে খুশি হন, সেটাও ভালবাসি।” তিনি বলেন, এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে গিয়ে ওযূ করলেন এবং সালাতে দাঁড়ালেন। এরপর তিনি কাঁদতে লাগলেন এমনকি তাঁর চোখের কোণ ভিজে গেলো! তারপর আবার কাঁদতে লাগলেন এমনকি তাঁর দাড়ি মোবারক ভিজে গেলো! তারপর তিনি আবার কাঁদতে লাগলেন এমনকি মাটি ভিজে গেলো!
অতঃপর বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আসেন ফজরের সালাতের সময় জানান দেওয়ার জন্য। তিনি যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাঁদতে দেখেন, তখন তিনি বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি কেন কাঁদছেন, অথচ মহান আল্লাহ আপনার পূর্বের ও পরের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়েছেন?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমি কি আল্লাহর শুকরগুজার বান্দা হবো না? আজ রাতে আমার উপর একটি আয়াত নাযিল হয়েছে, দুর্ভোগ ঐ ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি তা পাঠ করে অথচ তা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে না! আয়াতটি হলো: “নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিতে ...। পুরো আয়াত। (সূরা আল ইমরান: ১৯০)[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَرْءَ عَلَيْهِ إِذَا تَخَلَّى لُزُومُ الْبُكَاءِ عَلَى مَا ارْتَكَبَ مِنَ الْحَوْبَاتِ وَإِنْ كَانَ بَائِنًا عَنْهَا مُجِدًّا فِي إِتْيَانِ ضدها
619 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ النَّخَعِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ عطاء قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ لِعُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ: قَدْ آنَ لَكَ أَنْ تَزُورَنَا فقَالَ: أَقُولُ يَا أُمَّهْ كَمَا قَالَ الْأَوَّلُ: زُرْ غِباً تَزْدَدْ حُبًّا قَالَ: فَقَالَتْ: دَعُونَا مِنْ رَطَانَتِكُمْ هَذِهِ قَالَ ابْنُ عُمَيْرٍ: أَخْبِرِينَا بِأَعْجَبِ شَيْءٍ رَأَيْتِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: فَسَكَتَتْ ثُمَّ قَالَتْ: لَمَّا كَانَ لَيْلَةٌ مِنَ اللَّيَالِي قَالَ: (يَا عَائِشَةُ ذَرِينِي أَتَعَبَّدُ اللَّيْلَةَ لِرَبِّي) قُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّ قُرْبَكَ وَأُحِبُّ مَا سَرَّكَ قَالَتْ: فَقَامَ فَتَطَهَّرَ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَالَتْ: فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ حِجره قَالَتْ: ثُمَّ بَكَى فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ قَالَتْ: ثُمَّ بَكَى فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ الْأَرْضَ فَجَاءَ بِلَالٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلَاةِ فَلَمَّا رَآهُ يَبْكِي قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ تَبْكِي وَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ وَمَا تَأَخَّرَ؟ قَالَ: (أَفَلَا أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا لَقَدْ نَزَلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ آيَةٌ وَيْلٌ لِمَنْ قَرَأَهَا وَلَمْ يَتَفَكَّرْ فِيهَا {إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ .... }) الْآيَةَ كُلَّهَا [آل عمران: 190].
الراوي : عطاء | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 619 | خلاصة حكم المحدث: حسن.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৬৮।)
পরিচ্ছেদঃ বান্দা নিজের কৃত পাপ থেকে তাওবা করলে, তার আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হওয়া প্রসঙ্গে হাদীস
৬২০. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে খুশির কথা আলোচনা করলেন। এই প্রসঙ্গে তাঁরা কোন ব্যক্তি তার হারানো জিনিস প্রাপ্তির (পর খুশি হওয়ার) কথাও আলোচনা করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের কারো তাওবার কারণে মহান আল্লাহ ঐ ব্যক্তির চেয়ে বেশি খুশি হন, যে ব্যক্তি জনমানবহীন নির্জন মরুভূমিতে তার হারানো জিনিস পায়!”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَقَعُ بِمَرْضَاةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا مِنْ تَوْبَةِ عَبْدِهِ عَمَّا قَارَفَ مِنَ المأثم
620 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ عَجْلَانَ مَوْلَى الْمُشْمَعِلِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: ذَكَرُوا الْفَرَحَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا الضَّالَّةَ يَجِدُهَا الرَّجُلُ فقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (لَلَّهُ أَشَدُّ فَرَحًا بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنَ الضَّالَّةِ يَجِدُهَا الرَّجُلُ بِأَرْضِ الفلاة.)
الراوي : عطاء | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 620 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির সানাদটিকে উত্তম বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৩০৪৮।)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি প্রত্যেকবার পাপ সংঘটিত করার পর যদি তাওবা করে, তবে সে ব্যক্তি ‘পাপের উপর অনড় থাকার’ সীমা থেকে বেরিয়ে যায়
৬২১. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “জনৈক ব্যক্তি কোন একটি পাপ কাজ করে, অতঃপর সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি একটি পাপ করেছি!’ অথবা বলে, ‘আমি একটি (গোনাহের) কাজ করেছি, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেন: “আমার বান্দা একটি গোনাহের কাজ করেছে, অতঃপর সে জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছেন, যিনি গোনাহ ক্ষমা করেন এবং এজন্য তিনি পাকড়াও করেন। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম।
তারপর সে ব্যক্তি আরো একটি পাপ কাজ করে, অতঃপর সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি একটি পাপ কাজ করেছি!’ অথবা বলেন, ‘আমি একটি (গোনাহের) কাজ করেছি, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেন: “আমার বান্দা একটি গোনাহের কাজ করেছে, অতঃপর সে জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছেন, যিনি গোনাহ ক্ষমা করেন এবং এজন্য তিনি পাকড়াও করেন। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম।
তারপর সে ব্যক্তি আরো একটি পাপ কাজ করে, অতঃপর সে বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি একটি পাপ কাজ করেছি!’ অথবা বলেন, ‘আমি একটি (গোনাহের) কাজ করেছি, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা বলেন: “আমার বান্দা একটি গোনাহের কাজ করেছে, অতঃপর সে জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক রয়েছেন, যিনি গোনাহ ক্ষমা করেন এবং এজন্য তিনি পাকড়াও করেন। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। কাজেই সে যা চায়, আমল করুক!” [1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ تَوْبَةَ الْمَرْءِ بَعْدَ مُوَاقَعَتِهِ الذَّنْبَ فِي كُلِّ وَقْتٍ تُخْرِجُهُ عَنْ حَدِّ الْإِصْرَارِ عَلَى الذَّنْبِ
621 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَنَّ رَجُلًا أَذْنَبَ ذَنْبًا فقَالَ: أَيْ رَبِّ أَذْنَبْتُ ذَنْبًا - أَوْ قَالَ: عَمِلْتُ عَمَلًا - فَاغْفِرْ لِي فقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: عَبْدِي عَمِلَ ذَنْبًا فَعَلِمَ أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي ثُمَّ أَذْنَبَ ذَنْبًا آخَرَ - أَوْ قَالَ: عَمِلَ ذَنْبًا آخَرَ - قَالَ: رَبِّ إِنِّي عَمِلْتُ ذَنْبًا فَاغْفِرْ لِي فقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: عَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي ثُمَّ عَمِلَ ذَنْبًا آخَرَ أَوْ أَذْنَبَ ذَنْبًا آخَرَ فقَالَ: رَبِّ إِنِّي عَمِلْتُ ذَنْبًا فَاغْفِرْ لِي فقَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: عَلِمَ عَبْدِي أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي فليعمل ما شاء)
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 621 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বুখারীর শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৩০৪৮)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি পাপ কাজ করার পর তাওবা করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে তারপর সালাত আদায় করে, মহান আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দেন
৬২২. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যখনই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন হাদীস শ্রবণ করি, তখনই মহান আল্লাহ এর মাধ্যমে আমাকে উপকৃত করেন, যা তিনি উপকার করার ইচ্ছা করেন। এভাবে একবার আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আামাকে হাদীস বর্ণনা করেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তাঁর কোন সাহাবী হাদীস বর্ণনা করলে, আমি তাকে শপথ করিয়ে নিতাম, যদি তিনি শপথ করেন, তবে তাকে আমি বিশ্বাস করতাম। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আামাকে হাদীস বর্ণনা করেন। আর তিনি সত্যই বলেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “কোন বান্দা যদি কোন পাপ কাজ করার পর ওযূ করে দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করে অতঃপর ঐ পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তবে অবশ্যই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।”[1]
ذِكْرُ مَغْفِرَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا لِلْتَائِبِ الْمُسْتَغْفِرِ لِذَنْبِهِ إِذَا عَقِبَ اسْتِغْفَارَهُ صَلَاةٌ
622 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ قَالَ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ بن مسرهد قال: حدثنا أبوعوانة عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ الْفَزَارِيِّ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: كُنْتُ إِذَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِمَا شَاءَ أَنْ يَنْفَعَنِي حَتَّى حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ وَكَانَ إِذَا حَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْضُ أَصْحَابِهِ اسْتَحْلَفْتُهُ فَإِنْ حَلَفَ صدَّقته وَإِنَّهُ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ - وَصَدَّقَ أَبُو بَكْرٍ - عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: (مَا مِنْ عَبْدٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا ثُمَّ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِذَلِكَ الذَّنْبِ إِلَّا غَفَرَ الله له.)
الراوي : عَلِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 622 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবু দাঊদ: ১৩৬১।)
পরিচ্ছেদঃ পাপ করে তাওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন, যদিও ক্ষমা প্রার্থনা করার আগে সালাত আদায় না করে
৬২৩. ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বলেছেন: হে ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহা, যদি তুমি কোন পাপ কাজ করার ইচ্ছে করে থাকো, তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তাওবা করো। কেননা বান্দা যখন পাপ করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।”[1]
রাবী ওয়াইল তার পুত্র থেকে তিনটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। এটি আমাদের শাইখ বলেছেন।
ذِكْرُ مَغْفِرَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا ذُنُوبَ التَّائِبِ الْمُسْتَغْفِرِ وَإِنْ لَمْ يَتَقَدَّمِ اسْتِغْفَارَهُ صَلَاةٌ
623 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ بِمَنْبِجَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ بِطَرَسُوسَ فِي آخَرِينَ قَالَا: حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى الْبَلْخِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ وَائِلِ بْنِ دَاوُدَ عَنِ ابْنِهِ بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ - أَوْ سَعِيدٍ أَوْ كِلَاهُمَا شَكَّ حَامِدٌ ـ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهَا: (يَا عَائِشَةُ إِنْ كُنت أَلْمَمْتِ بِذَنْبٍ فَاسْتَغْفِرِي اللَّهَ وَتُوبِي فَإِنَّ الْعَبْدَ إِذَا أَذْنَبَ ثُمَّ اسْتَغْفَرَ اللَّهَ غَفَرَ الله له)
مَا رَوَى وَائِلٌ عَنِ ابْنِهِ إِلَّا ثَلَاثَةَ أَحَادِيثَ قَالَهُ الشَّيْخُ.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 623 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ফিকহুস সীরাহ: ২৯২।)
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি দ্বিতীয়বার পাপ করে তাওবা করলে আল্লাহ তার প্রতি ক্ষমার মাধ্যমে অনুগ্রহ করেন; যখনই সে তাওবা করে, পাপ থেকে ফিরে আসে, তখনই তিনি ক্ষমা করে দেন
৬২৪. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি তাঁর প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ বলেন: “ আমার বান্দা একটি পাপ করেছে অতঃপর সে বলেছে, “হে আমার প্রতিপালক, আমি পাপ করেছি।” তখন তিনি বলেন, “আমার বান্দা একটি পাপ কাজ করেছে, অতঃপর সে জেনেছে যে নিশ্চয়ই আল্লাহ গোনাহসমূহ ক্ষমা করেন এবং তিনি গোনাহের জন্য পাকড়াও করতে পারেন।” তারপর সে ব্যক্তি পুনরায় গোনাহ করে অতঃপর সে বলে, “হে আমার প্রতিপালক, আমি পাপ করেছি।” তখন তিনি বলেন, “আমার বান্দা একটি পাপ কাজ করেছে, অতঃপর সে জেনেছে যে নিশ্চয়ই আল্লাহ গোনাহ ক্ষমা করেন এবং তিনি গোনাহের জন্য পাকড়াও করতে পারেন।” তোমার যা ইচ্ছা করো, নিশ্চয়ই আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি!”[1]
ইমাম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী ‘তোমার যা ইচ্ছা করো’ এটি ধমকসূচক বাক্য, এরপর ক্ষমার ওয়াদা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী ‘তোমার যা ইচ্ছা করো’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তুমি পাপ কাজ করো না।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি ‘ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যখন তুমি তাওবা করবে।”
ذِكْرُ تَفَضُّلِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا عَلَى التَّائِبِ الْمُعَاوِدِ لِذَنْبِهِ بِمَغْفِرَةٍ كُلَّمَا تَابَ وَعَادَ يَغْفِرُ
624 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رسول الله صلى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فِيمَا يَحْكِي عَنْ رَبِّهِ جَلَّ وَعَلَا قَالَ: (أَذْنَبَ عَبْدِي ذَنْبًا فقَالَ: أَيْ رَبِّ أَذْنَبْتُ فقَالَ: أَذْنَبَ عَبْدِي ذَنْبًا فَعَلِمَ أَنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ وَيَأْخُذُ بِالذُّنُوبِ ثُمَّ عَادَ فَأَذْنَبَ فقَالَ: أَيْ رَبِّ أَذْنَبْتُ فقَالَ: أَذْنَبَ عَبْدِي وَعَلِمَ أَنَّ رَبَّهُ يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِالذَّنْبِ اعْمَلْ مَا شِئْتَ فَقَدْ غفرت لك)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: قَوْلُهُ: (اعْمَلْ مَا شِئْتَ) لَفْظَةُ تَهْدِيدٍ أُعقبت بِوَعْدٍ يُرِيدُ بِقَوْلِهِ: (اعْمَلْ مَا شِئْتَ) أَيْ: لَا تَعْصِ.
وَقَوْلُهُ: (قَدْ غَفَرْتُ لَكَ) يُرِيدُ: إِذَا تبت.
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 624 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৩০৪৮।)
পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ তা‘আলা তাওবাকারীর গোনাহ ক্ষমা করে দেন, যখনই সে আল্লাহ অভিমূখে ফিরে আসে, যতক্ষণ না শিরকের মাধ্যমে তার মাঝে ও আল্লাহর মাঝে পর্দার সৃষ্টি না হয় (আল্লাহর কাছে আমরা এমন হওয়া থেকে পানাহ চাই)
৬২৫. আবু যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, যতক্ষণ না পর্দা পতিত হয়।” তাঁকে বলা হলো, ‘পর্দা পতিত হওয়া কী?’ জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “কোন ব্যক্তির মুশরিক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا يَغْفِرُ ذُنُوبَ التَّائِبِ كُلَّمَا أَنَابَ مَا لَمْ يَقَعِ الْحِجَابُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ بِالْإِشْرَاكِ بِهِ نَعُوذُ بِاللَّهِ من ذلك
625 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْبَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ سَلْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو ذَرٍّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ لِعَبْدِهِ مَا لَمْ يَقَعِ الْحِجَابُ) قِيلَ: وَمَا يَقَعُ الْحِجَابُ؟ قَالَ: (أَنْ تَمُوتَ النَّفْسُ وهي مشركة)
الراوي : أَبو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 625 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (মিশকাত: ২৩৪৩।)