লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪২. নেতা ইচ্ছা করলে নিহত ব্যক্তির মালামাল হত্যাকারীকে নাও দিতে পারেন, ঘোড়া এবং হাতিয়ার মালেরই অন্তর্ভক্ত।
২৭১০. আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ..... ’আওফ ইবন মালিক আশজা’ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যায়দ ইবন হারিছা (রাঃ) এর সঙ্গে মূতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এ সময় ইয়ামনে মাদাদী নামক গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আমার সাথী হয়, যার কাছে একখানি তরবারি ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তখন একজন মুসলিম একটি উট যবাহ্ করে, যা থেকে মাদাদী লোকটি কিছু চামড়া চায় এবং সেও তাকে কিছু চামড়া দেয়। তখন সে তা দিয়ে একটা বিশেষ ধরণের ঢাল তৈরী করে অতঃপর আমরা চলতে থাকি এবং রোমক সৈন্যদের সামনাসামনি হই। তাদের জনৈক যোদ্ধা একটা লাল বর্ণের ঘোড়ার উপর সওয়ার ছিল এবং জিন ছিল সোনালী বর্ণের এবং তার হাতিয়ারও ছিল স্বর্ণখচিত। সে রোমীয় সৈন্যটি মুসলমাদের উপর খুবই আক্রমণ চালাচ্ছিল।
তখন সে মাদাদী লোকটি সে অশ্বারোহীকে তাক করে একটি পাথরের পিছনে অবস্থান নেয়। অতঃপর যখন তার পাশ দিয়ে রোমীয় সৈন্যটি যেতে থাকে, তখন সে তার ঘোড়ার পা কেটে ফেলে, ফলে সে পড়ে যায়। ফলে মাদাদী লোকটি তার বুকের উপর চড়ে বসে এবং তাকে হত্যা করে। আর সে তার ঘোড়া আর হতিয়ার নিয়ে নেয়। অবশেষে মহান আল্লাহ্ মুসলিমদের বিজয় দান করেন। তখন খালিদ ইবন ওয়ালীদ (সেনাপতি) মাদাদী ব্যক্তির নিকট কাউকে পাঠান (এবং সে আসার পর) তার প্রাপ্ত মালামাল থেকে কিছু নিয়ে নেন।
’আওফ (রাঃ) বলেনঃ অতঃপর আমি তাঁর নিকট আসি এবং বলিঃ হে খালিদ! আপনি কি জানেন না যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, নিহত ব্যক্তির মালামাল তার হত্যাকারী পাবে? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। কিন্তু আমি তার প্রাপ্ত মালামালকে অধিক মনে করেছি। আমি বললামঃ আপনি ঐ মালামাল তাকে ফিরিয়ে দিন; অন্যথায় আমি আপনার এ ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গোচরীভূত করব। তখন তিনি তা তাকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করেন।
’আওফ (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি তাকে বলি, হে খালিদ! এখন হলো তো, আমি আপনাকে যা বলেছিলাম? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করেনঃ সেটা কি? ’আওফ (রাঃ) বলেনঃ তখন আমি তাঁর নিকট সমুদয় বৃত্তান্ত খুলে বলি। এ সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হন এবং বলেনঃ হে খালিদ! তুমি ঐ ব্যক্তির মালামাল ফিরিয়ে দিও না। তোমরা কি চাও যে, আমার নির্বাচিত নেতাদের পরিত্যাগ করবে? তারা যে ভাল কাজ করে, তা দিয়ে তোমরা উপকৃত হবে এবং খারাপ ব্যাপার তাদের উপর ন্যস্ত করবে।
باب فِي الإِمَامِ يَمْنَعُ الْقَاتِلَ السَّلَبَ إِنْ رَأَى وَالْفَرَسُ وَالسِّلاَحُ مِنَ السَّلَبِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ فِي غَزْوَةِ مُؤْتَةَ فَرَافَقَنِي مَدَدِيٌّ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُ سَيْفِهِ فَنَحَرَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ جَزُورًا فَسَأَلَهُ الْمَدَدِيُّ طَائِفَةً مِنْ جِلْدِهِ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ فَاتَّخَذَهُ كَهَيْئَةِ الدَّرَقِ وَمَضَيْنَا فَلَقِينَا جُمُوعَ الرُّومِ وَفِيهِمْ رَجُلٌ عَلَى فَرَسٍ لَهُ أَشْقَرَ عَلَيْهِ سَرْجٌ مُذْهَبٌ وَسِلاَحٌ مُذْهَبٌ فَجَعَلَ الرُّومِيُّ يُغْرِي بِالْمُسْلِمِينَ فَقَعَدَ لَهُ الْمَدَدِيُّ خَلْفَ صَخْرَةٍ فَمَرَّ بِهِ الرُّومِيُّ فَعَرْقَبَ فَرَسَهُ فَخَرَّ وَعَلاَهُ فَقَتَلَهُ وَحَازَ فَرَسَهُ وَسِلاَحَهُ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِلْمُسْلِمِينَ بَعَثَ إِلَيْهِ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَأَخَذَ مِنَ السَّلَبِ قَالَ عَوْفٌ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ يَا خَالِدُ أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالسَّلَبِ لِلْقَاتِلِ قَالَ بَلَى وَلَكِنِّي اسْتَكْثَرْتُهُ . قُلْتُ لَتَرُدَّنَّهُ عَلَيْهِ أَوْ لأُعَرِّفَنَّكَهَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَبَى أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهِ قَالَ عَوْفٌ فَاجْتَمَعْنَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ قِصَّةَ الْمَدَدِيِّ وَمَا فَعَلَ خَالِدٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا خَالِدُ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ " قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَكْثَرْتُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا خَالِدُ رُدَّ عَلَيْهِ مَا أَخَذْتَ مِنْهُ " . قَالَ عَوْفٌ فَقُلْتُ لَهُ دُونَكَ يَا خَالِدُ أَلَمْ أَفِ لَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَمَا ذَلِكَ " فَأَخْبَرْتُهُ قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا خَالِدُ لاَ تَرُدَّ عَلَيْهِ هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُونَ لِي أُمَرَائِي لَكُمْ صِفْوَةُ أَمْرِهِمْ وَعَلَيْهِمْ كَدَرُهُ " .
‘Awf bin malik Al Ashja’I said “I went out with Zaid bin Harith in the battle of Mutah. For the reinforcement of the Muslim army a man from the people of Yemen accompanied me. He had only his sword with him. A man from the Muslims slaughtered a Camel. The man for the reinforcement asked him for a part of its skin which he gave him. He made it like the shape of a shield. We went on and met the Byzantine armies. There was a man among them on a reddish horse with a golden saddle and golden weapons. This Byzantinian soldiers began to attack the Muslims desperately. The man for reinforcement sat behind a rock for (attacking) him. He hamstrung his horse and overpowered him and then killed him. He took his horse and weapons. When Allah, Most High, bestowed victory on the Muslims. Khalid bin Al Walid sent for him and took his spoils. ‘Awf said “I came to him and said “Khalid, do you know that the Apostle of Allaah(ﷺ) had decided to give spoils to the killer? He said “Yes, I thought it abundant. I said “You should return it to him, or I shall tell you about it before the Apostle of Allaah(ﷺ). But he refused to return it. ‘Awf said “We then assembled with the Apostle of Allaah(ﷺ). I told him the story of the man of reinforcement and what Khalid had done. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Khalid, what made you do the work you have done?” He said “Apostle of Allaah(ﷺ), I considered it to be abundant. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Khalid, return it to him what you have taken from him.” ‘Awf said “I said to him “here you are, Khalid. Did I not keep my word? The Apostle of Allaah(ﷺ) said “What is that? I then informed him.” He said “The Apostle of Allaah(ﷺ) became angry and said “Khalid, do not return it to him. Are you going to leave my commanders? You may take from them what is best for you and eave to them what is worst.