কায‘আ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৮ টি

পরিচ্ছেদঃ ৭৫১. মক্কা ও মদীনার মসজিদে সালাতের ফযীলত।

১১১৬। হাফ্‌স ইবনু উমর (রহঃ) ... কাযআ’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ সায়ীদ খুদ্‌রী (রাঃ) কে চারটি (বিষয়) বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। আবূ সায়ীদ খুদ্‌রী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বারটি যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন।

অন্য সূত্রে আলী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মসজিদুল হারাম, মসজিদুর রাসূল এবং মসজিদুল আক্‌সা (বায়তুল মুকাদ্দাস) তিনটি মসজিদ ব্যাতীত অন্য কোন মসজিদে (সালাতের) উদ্দেশ্যে হাওদা বাঁধা যাবে না (অর্থাৎ সফর করবে না)।

باب فَضْلِ الصَّلاَةِ فِي مَسْجِدِ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ ـ رضى الله عنه ـ أَرْبَعًا قَالَ سَمِعْتُ مِنَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم وَكَانَ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثِنْتَىْ عَشْرَةَ غَزْوَةً ح‏.‏ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَمَسْجِدِ الرَّسُولِ صلى الله عليه وسلم وَمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏"‏‏.‏


Narrated Quza'a: I heard Abu Said saying four words. He said, "I heard the Prophet (ﷺ) (saying the following narrative)." He had participated in twelve holy battles with the Prophet. Narrated Abu Huraira: The Prophet (ﷺ) said, "Do not set out on a journey except for three Mosques i.e. Al-Masjid-AI-Haram, the Mosque of Allah's Messenger (ﷺ) , and the Mosque of Al-Aqsa, (Mosque of Jerusalem)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৫৬. বায়তুল মুকাদ্দাস-এর মসজিদ।

১১২৩। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... যিয়াদের আযাদকৃত দাস কাযা’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ সায়ীদ খুদ্‌রী (রাঃ) কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে চারটি বিষয় বর্ণনা করতে শুনেছি, যা আমাকে আনন্দিত ও মুগ্ধ করেছে। তিনি বলেছেনঃ মহিলারা স্বামী কিম্বা মাহ্‌রাম* ব্যাতীত দু’দিনের দূরত্বের পথে সফর করবে না। ঈদুল ফিত্‌র ও ঈদুল আযহার দিনগুলোতেই সিয়াম পালন নেই। দু’ (ফরয) সালাতের পর কোন (নফল ও সুন্নাত) সালাত (নামায/নামাজ) নেই। ফজরের পর সূর্যোদয় (সম্পন্ন) হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্তমিত হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এবং ১। মাসজিদুল হারাম, (কা’বা শরীফ ও সংলগ্ন মসজিদ) ২। মাসজিদুল আক্‌সা (বাইতুল মুকাদ্দাসের মসজিদ) এবং ৩। আমার মসজিদ (মদিনার মসজিদে নববী) ব্যাতীত অন্য কোন মসজিদে আদায়ের উদ্দেশ্যে হাওদা বাঁধা যাবে না। (সফর করবে না)

باب مَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، سَمِعْتُ قَزَعَةَ، مَوْلَى زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ ـ رضى الله عنه ـ يُحَدِّثُ بِأَرْبَعٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَعْجَبْنَنِي وَآنَقْنَنِي قَالَ ‏ "‏ لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ يَوْمَيْنِ إِلاَّ مَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ‏.‏ وَلاَ صَوْمَ فِي يَوْمَيْنِ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَتَيْنِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ، وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الأَقْصَى وَمَسْجِدِي ‏"‏‏.‏


Narrated Qaza'a Maula: (freed slave of) Ziyad: I heard Abu Sa`id Al-khudri narrating four things from the Prophet (ﷺ) and I appreciated them very much. He said, conveying the words of the Prophet. (1) "A woman should not go on a two day journey except with her husband or a Dhi-Mahram. (2) No fasting is permissible on two days: `Id-ul-Fitr and `Id-ul-Adha. (3) No prayer after two prayers, i.e. after the Fajr prayer till the sunrises and after the `Asr prayer till the sun sets. (4) Do not prepare yourself for a journey except to three Mosques, i.e. Al-Masjid-AI-Haram, the Mosque of Aqsa (Jerusalem) and my Mosque."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৬৮. মহিলাদের হজ্জঃ আহমদ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ...’আব্দুর রহমান ইবন’আওফ (রাঃ) হতে বর্নিত, যে বছর তিনি নবী করীম (ﷺ) এর সকল স্ত্রীকে হজ্জ আদায় করার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং তাঁদের সাথে ‘উসমান ইবন ‘আফফান (রাঃ) এবং কে পাঠিয়েছিলেন

১৭৪২। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... যিয়াদের আযাদকৃত গোলাম কাযা’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ সা’ইদ (রাঃ)-কে যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বারোটি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন, বলতে শুনেছি, চারটি বিষয় যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি (অথবা) তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ননা করতেন। আবূ সা’ইদ (রাঃ) বলেন, এ বিষয়গুলো আমাকে আশ্চর্যানিত করে দিয়েছে এবং চমৎকৃত করে ফেলেছে। (তা হল এই) স্বামী কিংবা মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলা দুই দিনের পথ সফর করবে না। ’ঈদুল ফিতর এবং ’ঈদুল আযহা এ দুই দিন কেউ সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করবে না। ’আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত কেউ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে না। মসজিদে হারাম, আমার মসজিদ এবং মসজিদে আকসা – এ তিন মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহন করবে না।

باب حَجِّ النِّسَاءِ وَقَالَ لِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَذِنَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ لأَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي آخِرِ حَجَّةٍ حَجَّهَا، فَبَعَثَ مَعَهُنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ قَزَعَةَ، مَوْلَى زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ ـ وَقَدْ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثِنْتَىْ عَشْرَةَ ـ غَزْوَةً ـ قَالَ أَرْبَعٌ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ قَالَ يُحَدِّثُهُنَّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَعْجَبْنَنِي وَآنَقْنَنِي ‏ "‏ أَنْ لاَ تُسَافِرَ امْرَأَةٌ مَسِيرَةَ يَوْمَيْنِ لَيْسَ مَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ، وَلاَ صَوْمَ يَوْمَيْنِ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ، وَبَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ، وَمَسْجِدِي، وَمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏"‏‏.‏


Narrated Qaza'a the slave of Ziyad: Abu Sa`id who participated in twelve Ghazawat with the Prophet (ﷺ) said, "I heard four things from Allah's Messenger (ﷺ) (or I narrate them from the Prophet (ﷺ) ) which won my admiration and appreciation. They are: -1. "No lady should travel without her husband or without a Dhu-Mahram for a two-days' journey. -2. No fasting is permissible on two days of `Id-ul-Fitr, and `Id-al-Adha. -3. No prayer (may be offered) after two prayers: after the `Asr prayer till the sun set and after the morning prayer till the sun rises. -4. Not to travel (for visiting) except for three mosques: Masjid-al-Haram (in Mecca), my Mosque (in Medina), and Masjid-al-Aqsa (in Jerusalem).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যোহর ও আসরের কিরা'আত পাঠ

৯০৫। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... কাযা’আহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ) এর নিকট আগমন করলাম। তখন তাঁর নিকট অনেক লোকের সমাগম ছিল। তারা চলে গেলে আমি বললাম, এরা যা জিজ্ঞাসা করেছে, আমি আপনার নিকট তা জিজ্ঞাসা করব না, বরং আমি আপনাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব। তিনি বললেন, এতে তোমার কোনও ফায়দা নেই (কেননা, তুমি ঐরূপ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে সক্ষম হবে না) তিনি (কাযা’আহ) পূনরায় তাই জিজ্ঞাসা করলেন। তখন আবূ সাঈদ (রাঃ) বললেন, যুহরের সালাত শুরু করা হত। তারপর আমাদের মধ্য হতে কেউ ’বাকী’ পর্যন্ত যেত এবং (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন সেরে নিজ গৃহে এসে উযূ (ওজু/অজু/অযু) বানাত। অতঃপর মসজিদে ফিরে যেত, তখনও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম রাক’আতেই থাকতেন।

باب الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ ‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَزْعَةُ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ مَكْثُورٌ عَلَيْهِ فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ قُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْأَلُكَ عَمَّا يَسْأَلُكَ هَؤُلاَءِ عَنْهُ - قُلْتُ - أَسْأَلُكَ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ مَا لَكَ فِي ذَاكَ مِنْ خَيْرٍ ‏.‏ فَأَعَادَهَا عَلَيْهِ فَقَالَ كَانَتْ صَلاَةُ الظُّهْرِ تُقَامُ فَيَنْطَلِقُ أَحَدُنَا إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقْضِي حَاجَتَهُ ثُمَّ يَأْتِي أَهْلَهُ فَيَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى ‏.‏


Qaz'a reported: I came to Abu Sa'id al-Khudri and he was surrounded by people. When the people departed from him I said: I am not going to ask you what these people have been asking you. I want to ask you about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ). He (Abu Sa'id) said: There is no good for you in this. He (Qaz'a), however, repeated (his demand). He then said: The noon prayer would start and one of us would go to Baqi' and, having relieved himself, would come to his home, then perform ablution and go to the mosque, and (he would find) The Messenger of Allah (ﷺ) in the first rak'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সাওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়েয যদি দুই বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশ্যে সফর করা হয়; অবশ্য সক্ষম ব্যক্তির জন্য সাওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সাওম হতে বিরত থাকা উত্তম

২৪৯৫। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... কাযাআ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর নিকট গেলাম। তাঁর নিকট মানুষের খুব ভিড় ছিল। যখন লোকজন পৃথক হয়ে এদিক ওদিক চলে গেল তখন আমি বললাম, আমি আপনার নিকট ঐসব কথা জিজ্ঞাসা করব না যা লোকেরা জিজ্ঞাসা করেছে। আমি তাকে সফরের অবস্থায় সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর সাথে সাওমরত অবস্থায় মক্কার দিকে রওনা করলাম। এরপর একস্থানে আমরা অবতরণ করলাম। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখন তোমরা শত্রুদের নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছ। এখন ইফতারই তোমাদের জন্য শক্তিশালী থাকার উপায় এবং এ তোমাদের জন্য বিশেষ এক অবকাশ।

তখন আমাদের কতক লোক সাওম পালন করল আবার কতক লোক ইফতার করল। এরপর আমরা অন্য এক স্থানে অবতরণ করলাম। তখন তিনি বললেন ভোরেই তোমরা শত্রুর মুকাবিলা করবো। সুতরাং ইফতার তোমাদের জন্য শক্তি বর্ধক। তাই তোমরা তা ছেড়ে দাও। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এ নির্দেশ অবশ্য পাননীয়। তাই আমরা সকলেই রোযা ছেড়ে দিলাম। এরপর আমরা দেখেছি আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরের অবস্থায় সাওম পালন করতাম।

باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَزَعَةُ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ - رضى الله عنه - وَهُوَ مَكْثُورٌ عَلَيْهِ فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ قُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْأَلُكَ عَمَّا يَسْأَلُكَ هَؤُلاَءِ عَنْهُ ‏.‏ سَأَلْتُهُ عَنِ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ فَقَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَكَّةَ وَنَحْنُ صِيَامٌ قَالَ فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَكَانَتْ رُخْصَةً فَمِنَّا مَنْ صَامَ وَمِنَّا مَنْ أَفْطَرَ ثُمَّ نَزَلْنَا مَنْزِلاً آخَرَ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّكُمْ مُصَبِّحُو عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا ‏"‏ ‏.‏ وَكَانَتْ عَزْمَةً فَأَفْطَرْنَا ثُمَّ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُنَا نَصُومُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ ذَلِكَ فِي السَّفَرِ ‏.‏


Qaza'a reported: I came to Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) and he was surrounded (by people), and when they dispersed I said to him: I am not going to ask you about what these people were asking. I ask you about fasting on a journey. Upon this he said: We travelled with the Messenger of Allah (ﷺ) towards Mecca and we had been observing fast. We halted at a place. There the Messenger of Allah (ﷺ) said: You are nearing your enemy and breaking of fast would give you greater strength, and that was a concession (given to us). But some of us continued to observe the fast and some of us broke it. We then got down at another place and he (the Holy Prophet) said: You are going to encounter the enemy in the morning and breaking of the fast would give you strength, so break the fast. As it was a point of stress, so we broke the fast. But subsequently we saw ourselves observing the fast with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. দু' ঈদের দিনে সিয়াম পালন করা হারাম

২৫৪৪। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... কাযাআ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে একটি হাদীস শ্রবণ করেছি। হাদীসটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আপনি এ হাদীস শুনেছেন কি? তিনি বললেন, যে কথা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনিনি এমন কথা তাঁর দিকে সম্বোধন করে আমি বলতে পারি কি? আমি শুনেছি তিনি বলেছেন, দু’দিন সিয়াম পালন করা শুদ্ধ নয়ঃ ঈদূল আযহার দিন এবং ঈদুল ফিতরের দিন।

باب تحريم صوم يومى العيدين

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، - وَهُوَ ابْنُ عُمَيْرٍ - عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، - رضى الله عنه - قَالَ سَمِعْتُ مِنْهُ، حَدِيثًا فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ لَهُ آنْتَ سَمِعْتَ هَذَا، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ أَسْمَعْ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَصْلُحُ الصِّيَامُ فِي يَوْمَيْنِ يَوْمِ الأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏


Qaza'a related from Abu Sa'id. He said: I heard from him (Abu Sa'id) a hadith which impressed me, and I said to him: Did you hear it from the Messenger of Allah (ﷺ)? Thereupon he said: (Is it possible) that (I should) say about the Messenger of Allah (ﷺ) that which I have not heard? I heard him saying: It is not proper to fast on two days, Adha and Fitr (at the end) of Ramadan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭০. মাহরামের সঙ্গে মহিলাদের হজ্জ বা অন্য কোন প্রয়োজনীয় সফর করা

৩১৩১। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... কাযা’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) এর নিকট থেকে একটি হাদীস শুনে আশ্চর্যান্বিত হলাম এবং তাকে জিজ্ঞেসা করলাম, আপনি কি এটা সরাসরি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনি নি তা কেন তাঁর নামে বলব।

কাযাআ (রহঃ) বলেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেবল তিনটি মসজিদের দিকেই (সাওয়াবের উদ্দেশ্যে) সফর করঃ আমার এই মসজিদ, মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে আকসা। আমি তাকে আরও বলতে শুনেছিঃ "কোন মহিলা যেন দুই দিনের পথেও সফর না করে- তার সাথে তার কোন মাহরাম পূরুষ অথবা তার স্বামী ব্যতীত।"

باب سَفَرِ الْمَرْأَةِ مَعَ مَحْرَمٍ إِلَى حَجٍّ وَغَيْرِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، - وَهُوَ ابْنُ عُمَيْرٍ - عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْهُ، حَدِيثًا فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ لَهُ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ أَسْمَعْ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَشُدُّوا الرِّحَالَ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِي هَذَا وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏"‏ لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ يَوْمَيْنِ مِنَ الدَّهْرِ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا أَوْ زَوْجُهَا ‏"‏ ‏.‏


Qaza'ah reported: I heard a hadith from Abu Sa'id (Allah be pleased with him) and it impressed me (very much), so I said to him: Did you hear it (yourself) from Allah's Messenger (ﷺ)? Thereupon he said: (Can) I speak of anything about Allah's Messenger (ﷺ) which I did not bear? He said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying: Do not set out on a journey (for religious devotion) but for the three mosques-for this mosque of mine (at Medina) the Sacred Mosque (at Mecca), and the Mosque al-Aqsa (Bait al-Maqdis), and I heard him saying also: A woman should not travel for two days duration, but only when there is a Mahram with her or her husband.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৩. সফরে রোযা রাখা।

২৩৯৮. আহমদ ইবন সালিহ ..... কাযা’আ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (মদীনাতে) আবূ সাঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) এর নিকট গমন করি। ঐ সময় তিনি প্রচুর জনসমাগমের মধ্যে ফাতওয়া প্রদানে রত ছিলেন। এরপর আমি তাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাতের আশায় অপেক্ষা করতে থাকি। পরে তিনি একটু অবসর হলে আমি তাঁকে সফরের মধ্যে রামাযানের রোযা রাখা সম্পর্কে প্রশ্ন করি। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের সময় রামাযান মাসে আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হই। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রাখলে আমরাও রোযা রাখি। পরে একটি মনযিলে উপনীত হওয়ার পর তিনি ইরশাদ করেনঃ তোমরা তোমাদের শত্রুদের নিকটবর্তী হয়েছ। কাজেই এখন তোমাদের জন্য ইফতার অধিক শক্তি সঞ্চয়ের কারণ হবে।

এমতাবস্থায় আমরা কেউ কেউ রোযা রাখি এবং কেউ কেউ ইফতার করি। রাবী বলেন, আমরা আরো সম্মুখ দিয়ে অগ্রসর হওয়ার পর, তিনি ইরশাদ করেনঃ তোমরা আগামীকাল সকালে তোমাদের শত্রুদের সাথে মুকাবিলায় পৌঁছাবে। কাজেই তোমাদের ইফতার করা, অধিক শক্তি সঞ্চয়ের কারণ হবে। আর তোমরা সকলে ইফতার করো। আর এটা ছির রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ হতে নির্দেশ স্বরূপ। আবূ সাঈদ বলেন, এর পূর্বে ও পরে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রোযা রাখি এবং ইফতারও করি।

باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ يُفْتِي النَّاسَ وَهُمْ مُكِبُّونَ عَلَيْهِ فَانْتَظَرْتُ خَلْوَتَهُ فَلَمَّا خَلاَ سَأَلْتُهُ عَنْ صِيَامِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ عَامَ الْفَتْحِ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ وَنَصُومُ حَتَّى بَلَغَ مَنْزِلاً مِنَ الْمَنَازِلِ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ ‏"‏ ‏.‏ فَأَصْبَحْنَا مِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ - قَالَ - ثُمَّ سِرْنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ ‏"‏ إِنَّكُمْ تُصَبِّحُونَ عَدُوَّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا ‏"‏ ‏.‏ فَكَانَتْ عَزِيمَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ ثُمَّ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَصُومُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ ذَلِكَ وَبَعْدَ ذَلِكَ ‏.‏


Narrated Qaza'ah: I came to Abu Sa'id al-Khudri while he was giving his legal opinion to the people who bent down on him. So I waited to see hi when he was alone. When he became alone, I asked him about keeping fast while travelling. He said: we went out along with the Prophet (ﷺ) in Ramadan in the year of conquest of Mecca. The Messenger of Allah (ﷺ) fasted and we fasted until he reached a certain stage. He said: You have come near your enemy; the breaking of fast will bring you more strength. Then morning came when some of us fasted and other broke their fast. He (Abu Sa'id al-Khudri) said: We then proceeded and alighted at a stage. He said: You are going to attack your enemy tomorrow morning ; breaking the fast will bring you more strength ; so break your fast (i.e. do not keep fast). This resolution (of breaking the fast) took place (due to the announcement) from the Messenger of Allah (ﷺ). Abu Sa'id said: Then I found myself keeping fast along with the Prophet (ﷺ) before and after that.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪৯. বিদায়কালীন দু‘আ।

২৫৯২. মুসাদ্দাদ ..... কাযা’আ (রহঃ) বলেন, আমাকে ইবন উমার (রাঃ) বললেনঃ চলো, তোমাকে সেভাবে বিদায় দান করি যেভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিদায় দিয়েছিলেন। এরপর এ দু’আ পাঠ করলেন (أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ) (অর্থ) তোমার দীন, তোমার আমানত এবং তোমার শেষ সময়ের ’আমল আল্লাহ নিকট সোর্পদ করলাম (তিনি এর হিফাযত করবেন।)

باب فِي الدُّعَاءِ عِنْدَ الْوَدَاعِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ قَالَ لِي ابْنُ عُمَرَ هَلُمَّ أُوَدِّعْكَ كَمَا وَدَّعَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ ‏"‏ ‏.‏


Qaza’ah said Ibn ‘Umar told me “Come, I see off you as the Apostle of Allaah(ﷺ) saw me off. I entrust to Allaah your religion what you are responsible for and your final deeds.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫/৭. যোহর ও আসর সালাতের কিরাআত।

১/৮২৫। কায্আ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, এতে তোমার জন্য কোন কল্যাণ নেই। আমি বললাম, আপনি স্পষ্ট করে বলুন, আল্লাহ আপনাকে অনুগ্রহ করুন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য যোহর সালাতের ইকামত দেয়া হতো। আমাদের কেউ আল-বাকী নামক স্থানে গিয়ে তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে এসে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতো, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যোহরের প্রথম রাক্আতেই পেতো।

بَاب الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ سَأَلْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ لَيْسَ لَكَ فِي ذَلِكَ خَيْرٌ ‏.‏ قُلْتُ بَيِّنْ رَحِمَكَ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ كَانَتِ الصَّلاَةُ تُقَامُ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الظُّهْرَ فَيَخْرُجُ أَحَدُنَا إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقْضِي حَاجَتَهُ وَيَجِيءُ فَيَتَوَضَّأُ فَيَجِدُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مِنَ الظُّهْرِ ‏.‏


It was narrated that Qaza’ah said: “I asked Abu Sa’eed Al-Khudri about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ). He said: ‘There is nothing good in that for you.’* I said: ‘Explain it, may Allah have mercy on you.’ He said: ‘The Iqamah would be given for the Zuhr prayer for the Messenger of Allah (ﷺ), then one of us would go out to Al- Baqi’, relieve himself, then come back and perform ablution, and he would find the Messenger of Allah (ﷺ) still in the first Rak’ah of Zuhr.’”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০/১. মক্কা ও মদীনার মসজিদে সালাতের মর্যাদা।

১১৮৮. কায‘আ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.)-কে চারটি (বিষয়) বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি। আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে বারোটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। (৫৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১১৬)

بَاب فَضْلِ الصَّلاَةِ فِي مَسْجِدِ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ

حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ عَنْ قَزَعَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍأَرْبَعًا قَالَ سَمِعْتُ مِنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً ح.


Narrated Quza'a: I heard Abu Said saying four words. He said, "I heard the Prophet (ﷺ) (saying the following narrative)." He had participated in twelve holy battles with the Prophet.


পরিচ্ছেদঃ ২০/৬. বায়তুল মাকদিসের মাসজিদ।

১১৯৭. যিয়াদের আযাদকৃত দাস কাযা‘আহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে চারটি বিষয় বর্ণনা করতে শুনেছি, যা আমাকে আনন্দিত ও মুগ্ধ করেছে। তিনি বলেছেনঃ নারীগণ স্বামী কিংবা মাহরাম ব্যতীত দু’দিনের দূরত্বের পথে সফর করবে না। ‘ঈদুল ফিতর ও ‘ঈদুল আযহার দিনগুলোতে সিয়াম নেই। দু’ (ফরয) সালাতের পর কোন (নফল ও সুন্নাত) সালাত নেই। ফাযরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং ‘আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এবং ১. মাসজিদুল হারাম, ২. মাসজিদুল আকসা এবং ৩. আমার মাসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে (যিয়ারাতের উদ্দেশে) হাওদা বাঁধা যাবে না। (সফর করা যাবে না)। (৫৮৬; মুসলিম ৬/৫১, হাঃ ৮২৭, আহমাদ ১১০৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১২৩)

بَاب مَسْجِدِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ

أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ سَمِعْتُ قَزَعَةَ مَوْلَى زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّيُحَدِّثُ بِأَرْبَعٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَعْجَبْنَنِي وَآنَقْنَنِي قَالَ لاَ تُسَافِرْ الْمَرْأَةُ يَوْمَيْنِ إِلاَّ مَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ وَلاَ صَوْمَ فِي يَوْمَيْنِ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَتَيْنِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِ الْأَقْصَى وَمَسْجِدِي.


Narrated Qaza'a Maula: (freed slave of) Ziyad: I heard Abu Sa`id Al-khudri narrating four things from the Prophet (ﷺ) and I appreciated them very much. He said, conveying the words of the Prophet. (1) "A woman should not go on a two day journey except with her husband or a Dhi-Mahram. (2) No fasting is permissible on two days: `Id-ul-Fitr and `Id-ul-Adha. (3) No prayer after two prayers, i.e. after the Fajr prayer till the sunrises and after the `Asr prayer till the sun sets. (4) Do not prepare yourself for a journey except to three Mosques, i.e. Al-Masjid-AI-Haram, the Mosque of Aqsa (Jerusalem) and my Mosque."


পরিচ্ছেদঃ ২৮/২৬. মহিলাদের হজ্জ।

১৮৬৪. যিয়াদের আযাদকৃত গোলাম কাযা‘আহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সা‘ঈদ (রাঃ)-কে যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বারোটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, বলতে শুনেছি, চারটি বিষয় যা আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি (অথবা) তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করতেন। আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, এ বিষয়গুলো আমাকে আশ্চর্যান্বিত করে দিয়েছে এবং চমৎকৃত করে ফেলেছে। (তা হল এই), স্বামী কিংবা মাহরাম ব্যতীত কোন মহিলা দু’দিনের পথ সফর করবে না। ‘ঈদুল ফিত্র এবং ‘ঈদুল আযহা- এ দুই দিন কেউ সওম পালন করবে না। ‘আসরের পর সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর সূর্য উদয় পর্যন্ত কেউ কোন সালাত আদায় করবে না। আর মসজিদে হারাম (কা‘বা), আমার মাসজিদ (মসজিদে নাববী) এবং মসজিদে আকসা (বাইতুল মাকদিস)- এ তিন মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের জন্য সফরের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে না। (৫৮৬, মুসলিম ১৫/৭৪, হাঃ ১৩৪০, আহমাদ ১১৪৮৩)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৩৯ )

بَاب حَجِّ النِّسَاءِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ قَزَعَةَ مَوْلَى زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ وَقَدْ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً قَالَ أَرْبَعٌ سَمِعْتُهُنَّ مِنْ رَسُولِ اللهِ أَوْ قَالَ يُحَدِّثُهُنَّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَعْجَبْنَنِي وَآنَقْنَنِي أَنْ لاَ تُسَافِرَ امْرَأَةٌ مَسِيرَةَ يَوْمَيْنِ لَيْسَ مَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ وَلاَ صَوْمَ يَوْمَيْنِ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِ الْحَرَامِ وَمَسْجِدِي وَمَسْجِدِ الأَقْصَى


Narrated Qaza'a the slave of Ziyad: Abu Sa`id who participated in twelve Ghazawat with the Prophet (ﷺ) said, "I heard four things from Allah's Messenger (ﷺ) (or I narrate them from the Prophet (ﷺ) ) which won my admiration and appreciation. They are: -1. "No lady should travel without her husband or without a Dhu-Mahram for a two-days' journey. -2. No fasting is permissible on two days of `Id-ul-Fitr, and `Id-al-Adha. -3. No prayer (may be offered) after two prayers: after the `Asr prayer till the sun set and after the morning prayer till the sun rises. -4. Not to travel (for visiting) except for three mosques: Masjid-al-Haram (in Mecca), my Mosque (in Medina), and Masjid-al-Aqsa (in Jerusalem).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. ওয়াসীয়াতের ফযীলত

৩২১৯. কায’আহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হারিম ইবনু হাইয়ানকে বলা হলো, আপনি আমাদেরকে ওয়াসীয়াত করুন (উপদেশ দিন)। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে সুরা নাহলের শেষের কয়েকটি আয়াত ওয়াসীয়াত করছি’- এ কথা বলে তিনি তিলাওয়াত করলেন, “তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর হিকমাত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে যুক্তিতর্ক কর সদ্ভাবে; তোমার প্রতিপালক, তাঁর পথ ছেড়ে কে বিপদগামী হয় সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত এবং কে সত্পথে আছে তাও সবিশেষ অবহিত। যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক ততখানি প্রতিশোধ গ্রহণ করবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে; তবে তোমরা ধৈর্য্যধারণ করলে ধৈর্য্যশীলদের জন্য ওটাও তো উত্তম। তুমি ধৈর্য্যধারণ করো, তোমার ধৈর্য্য তো হবে আল্লাহর সাহায্যে; তাদের জন্য দু:খ করো না এবং তাদের ষড়যন্ত্রে তুমি মনক্ষুণ্ন হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে আছেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সত্কর্ম পরায়ণ।”[1] (সুরা নাহল: আয়াত ১২৫-১২৮)

باب فَضْلِ الْوَصِيَّةِ

أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي يُونُسَ عَنْ قَزَعَةَ قَالَ قِيلَ لِهَرِمِ بْنِ حَيَّانَ أَوْصِهْ قَالَ أُوصِيكُمْ بِالْآيَاتِ الْأَوَاخِرِ مِنْ سُورَةِ النَّحْلِ وَقَرَأَ ابْنُ حَيَّانَ ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ إِلَى قَوْلِهِ وَالَّذِينَ هُمْ مُحْسِنُونَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. যুহর ও আসর এর সালাতের কিরাআত

৯০৮-(১৬২/...) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... কাযআহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরীর কাছে আসলাম, এ সময় তার কাছে অনেক লোক উপস্থিত ছিল। তারা তার কাছ থেকে চলে গেলে আমি তাকে বললাম, তারা আপনার কাছে যা জিজ্ঞেস করেছে আমি তা জিজ্ঞেস করব না। আমি বললাম, আমি আপনার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করব। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) বললেন, এটা জানার মধ্যে তোমার কোন কল্যাণ নেই। (কেননা, তুমি তার মতো সালাত পড়তে সক্ষম হবে না)। তিনি পুনর্বার তাই জানতে চাইলেন। তখন আবূ সাঈদ (রাযিঃ) বললেন, যুহরের সালাত শুরু হয়ে যাওয়ার পর আমাদের কোন ব্যক্তি বাকী’ নামক স্থানে যেত। সে নিজের প্রয়োজন সেরে নিজ বাড়ীতে এসে ওযু করে পুনরায় মসজিদে যেত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখনো প্রথম রাকআতেই থাকতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯০৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৯১৫)

باب الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ ‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَزْعَةُ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ مَكْثُورٌ عَلَيْهِ فَلَمَّا تَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْهُ قُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْأَلُكَ عَمَّا يَسْأَلُكَ هَؤُلاَءِ عَنْهُ - قُلْتُ - أَسْأَلُكَ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ مَا لَكَ فِي ذَاكَ مِنْ خَيْرٍ ‏.‏ فَأَعَادَهَا عَلَيْهِ فَقَالَ كَانَتْ صَلاَةُ الظُّهْرِ تُقَامُ فَيَنْطَلِقُ أَحَدُنَا إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقْضِي حَاجَتَهُ ثُمَّ يَأْتِي أَهْلَهُ فَيَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى الْمَسْجِدِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى ‏.‏


Qaz'a reported: I came to Abu Sa'id al-Khudri and he was surrounded by people. When the people departed from him I said: I am not going to ask you what these people have been asking you. I want to ask you about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ). He (Abu Sa'id) said: There is no good for you in this. He (Qaz'a), however, repeated (his demand). He then said: The noon prayer would start and one of us would go to Baqi' and, having relieved himself, would come to his home, then perform ablution and go to the mosque, and (he would find) The Messenger of Allah (ﷺ) in the first rak'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৪. মহিলাদের মাহারামের সঙ্গে হজ্জ অথবা অন্য কোন প্রয়োজনীয় সফর করা

৩১৫২-(৪১৫/৮২৭) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ ও উসমান ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) .... কাযাআহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) এর নিকট থেকে একটি হাদীস শুনে আশ্চর্যান্বিত হলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কি তা সরাসরি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনিনি তা কেন তার নামে বলব। কাযাআহ্ (রহঃ) বলেন, আমি আবূ সাঈদ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তোমরা কেবল তিনটি মসজিদের দিকেই (সাওয়াবের উদ্দেশে) সফর করঃ "আমার এ মাসজিদ, মসজিদুল হারাম এবং মাসজিদুল আকসা।" আমি তাকে আরও বলতে শুনেছিঃ “কোন মহিলা যেন দু’ দিনের পথেও সফর না করে- তার সাথে তার কোন মাহরাম পুরুষ অথবা তার স্বামী ব্যতীত।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩১২৭, ইসলামীক সেন্টার ৩১২৪)

باب سَفَرِ الْمَرْأَةِ مَعَ مَحْرَمٍ إِلَى حَجٍّ وَغَيْرِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، - وَهُوَ ابْنُ عُمَيْرٍ - عَنْ قَزَعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْهُ، حَدِيثًا فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ لَهُ أَنْتَ سَمِعْتَ هَذَا، مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَأَقُولُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ أَسْمَعْ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَشُدُّوا الرِّحَالَ إِلاَّ إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ مَسْجِدِي هَذَا وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏"‏ لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ يَوْمَيْنِ مِنَ الدَّهْرِ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُو مَحْرَمٍ مِنْهَا أَوْ زَوْجُهَا ‏"‏ ‏.‏


Qaza'ah reported: I heard a hadith from Abu Sa'id (Allah be pleased with him) and it impressed me (very much), so I said to him: Did you hear it (yourself) from Allah's Messenger (ﷺ)? Thereupon he said: (Can) I speak of anything about Allah's Messenger (ﷺ) which I did not bear? He said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying: Do not set out on a journey (for religious devotion) but for the three mosques-for this mosque of mine (at Medina) the Sacred Mosque (at Mecca), and the Mosque al-Aqsa (Bait al-Maqdis), and I heard him saying also: A woman should not travel for two days duration, but only when there is a Mahram with her or her husband.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪২. সফর অবস্থায় সওম পালন

২৪০৬। কাযা’আহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.)-এর নিকট আসি। তখন তিনি লোকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন এবং লোকেরা শান্তভাবে তাঁর কথা শুনছিল। আমি তাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রইলাম। তিনি একাকী হলে আমি তাকে সফরের অবস্থায় রমাযানের সওম রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বরলেন, আমরা মক্কা বিজয়ের সময় রমাযান মাসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে রওয়ানা হই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম রেখেছিলেন এবং আমরাও সওম রেখেছিলাম। তিনি কোনো এক মানযিলে পৌঁছে বললেনঃ নিশ্চয় তোমরা শত্রুর কাছাকাছি এসো গেছো। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হবে তোমাদের শক্তিবধর্ক হবে।

আমাদের কেউ কেউ সওম রাখলাম এবং কেউ কেউ সওমহীন অবস্থায় ভোরে করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা পুনরায় সফর শুরু করলাম এবং এক মানযিলে নামলে তিনি পুনরায় বললেনঃ তোমরা শত্রুর কোমাবিলায় অবতীর্ণ হবে। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হবে তোমাদের শক্তিবর্ধক হবে। কাজেই তোমরা সওম ভঙ্গ করো। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৃঢ় সংকল্পের উপর স্থির রইলেন। আবূ সাঈদ (রাযি.) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সফরে এই ঘটনার পূর্বেও সওম পালন করেছি এবং এর পরেও সওম পালন করেছি।[1]

সহীহ।

بَابُ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ الْمَعْنَى قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ: أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ يُفْتِي النَّاسَ، وَهُمْ مُكِبُّونَ عَلَيْهِ، فَانْتَظَرْتُ خَلْوَتَهُ، فَلَمَّا خَلَا سَأَلْتُهُ عَنْ صِيَامِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ، فَقَالَ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ عَامَ الْفَتْحِ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ، وَنَصُومُ حَتَّى بَلَغَ مَنْزِلًا مِنَ المَنَازِلِ، فَقَالَ: إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ، وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ، فَأَصْبَحْنَا مِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ، قَالَ: ثُمَّ سِرْنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا، فَقَالَ: إِنَّكُمْ تُصَبِّحُونَ عَدُوَّكُمْ، وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا، فَكَانَتْ عَزِيمَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: ثُمَّ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَصُومُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ ذَلِكَ، وَبَعْدَ ذَلِكَ

صحيح


Narrated Qaza'ah: I came to Abu Sa'id al-Khudri while he was giving his legal opinion to the people who bent down on him. So I waited to see hi when he was alone. When he became alone, I asked him about keeping fast while travelling. He said: we went out along with the Prophet (ﷺ) in Ramadan in the year of conquest of Mecca. The Messenger of Allah (ﷺ) fasted and we fasted until he reached a certain stage. He said: You have come near your enemy; the breaking of fast will bring you more strength. Then morning came when some of us fasted and other broke their fast. He (Abu Sa'id al-Khudri) said: We then proceeded and alighted at a stage. He said: You are going to attack your enemy tomorrow morning ; breaking the fast will bring you more strength ; so break your fast (i.e. do not keep fast). This resolution (of breaking the fast) took place (due to the announcement) from the Messenger of Allah (ﷺ). Abu Sa'id said: Then I found myself keeping fast along with the Prophet (ﷺ) before and after that.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮০. বিদায়ের সময় দু‘আ

২৬০০। কাযা’আহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’উমার (রাঃ) আমাকে বললেন, এসো তোমাকে ঐভাবে বিদায় জানাই, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিদায় দিয়েছেনঃ ’’আমি আল্লাহর নিকট তোমার দীন, আমানাত ও সর্বশেষ আমলের হিফাযাতের জন্য দু’আ করছি।[1]

بَابٌ فِي الدُّعَاءِ عِنْدَ الْوَدَاعِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ: قَالَ لِي ابْنُ عُمَرَ هَلُمَّ أُوَدِّعْكَ كَمَا وَدَّعَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ

صحيح


Qaza’ah said Ibn ‘Umar told me “Come, I see off you as the Apostle of Allaah(ﷺ) saw me off. I entrust to Allaah your religion what you are responsible for and your final deeds.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে