পরিচ্ছেদঃ ৩৫. ইসলামের প্রতি কাউকে আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য, তাকে এবং ঐ ব্যক্তি, যাকে দান না করলে ঈমান থেকে ফিরে যাবার আশংকা রয়েছে, তাদের দান করা এবং মূর্খতার কারণে কঠোরতার সাথে সাওয়াল করলে তা সয্য করা আর খারিজীদের বর্ণনা ও তাদের বিধান
২৩০৫। ইবনু আবূ উমর, যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে সালিহ (রহঃ) এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের মর্মে বর্ণনা করেছেন।
باب اعطاء المؤلفة ومن يخاف على ايمانه ان لم يعط
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ، بْنُ حُمَيْدٍ قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ عَلَى مَعْنَى حَدِيثِ صَالِحٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ .
This hadith has been narrated on the authority of Zuhri with the same chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ১০. অপবাদ রটনার ঘটনা এবং অপবাদ রটনাকারীর তাওবা কবুল হওয়া
৬৭৬৪। আবূ রাবী আল আতাকী (রহঃ) … অন্য সনদে হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রাঃ) … যুহরী (রহঃ) হতে ইউনূস এবং মা’মার (রহঃ) এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী ফুলায়হ (রহঃ) এর হাদীসে আছে, গোত্রীয় অহমিকা তাকে মূর্খতা সূলভ আচরণ করতে উৎসাহিত করেছিল। মা’মার তাঁর বর্ণনায় যেমন বলেছেন। আর সালিহের হাদীসের মধ্যে ইউনূসের বর্ণনার মত এতে রয়েছে احْتَمَلَتْهُ الْحَمِيَّةُ অর্থাৎ গোত্রী অহমিকা তাকে উসকিয়ে দিল। সালিহের হাদীসে এও রয়েছে যে, উরওয়া (রহঃ) বলেন, আয়শা (রাঃ) হাসসান ইবনু সাবিত (রাঃ)কে গাল-মন্দ বলার বিষয়টিকে অপছন্দের দৃষ্টিতে দেখতেন। তিনি বলতেন, হাসসান তো নিম্নোক্ত কবিতা আবৃতি করেছেন,
“আমার পিতা-মাতা, আমার ইজ্জত সব কিছুই রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর ইজ্জত-সম্মানের জন্য রক্ষাকবচ। ” এতে আরও রয়েছে যে, আয়িশা (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি [সাফওয়ান (রাঃ)] সম্পর্কে অপবাদ দেয়া হয়েছে তিনি বলতেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! আমি কখনো কোন মহিলার-আবরণ উন্মোচন করিনি। অতঃপর তিনি আল্লাহর পথে শহীদ হন।
ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীমের হাদীসে রয়েছে مُوعِرِينَ فِي نَحْرِ الظَّهِيرَةِ কিন্তু আবদুর রাযযাক (রহঃ) বলেন, مُوغِرِينَ আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) বলেন, আমি আবদুর রাযযাককে مُوغِرِينَ শব্দের ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, الْوَغْرَةُ অর্থ প্রচণ্ড গরম।
باب فِي حَدِيثِ الإِفْكِ وَقَبُولِ تَوْبَةِ الْقَاذِفِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، الْحُلْوَانِيُّ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ، بْنِ كَيْسَانَ كِلاَهُمَا عَنِ الزُّهْرِيِّ، . بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ وَمَعْمَرٍ بِإِسْنَادِهِمَا . وَفِي حَدِيثِ فُلَيْحٍ اجْتَهَلَتْهُ الْحَمِيَّةُ كَمَا قَالَ مَعْمَرٌ . وَفِي حَدِيثِ صَالِحٍ احْتَمَلَتْهُ الْحَمِيَّةُ . كَقَوْلِ يُونُسَ وَزَادَ فِي حَدِيثِ صَالِحٍ قَالَ عُرْوَةُ كَانَتْ عَائِشَةُ تَكْرَهُ أَنْ يُسَبَّ عِنْدَهَا حَسَّانُ وَتَقُولُ فَإِنَّهُ قَالَ فَإِنَّ أَبِي وَوَالِدَهُ وَعِرْضِي لِعِرْضِ مُحَمَّدٍ مِنْكُمْ وِقَاءُ وَزَادَ أَيْضًا قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ وَاللَّهِ إِنَّ الرَّجُلَ الَّذِي قِيلَ لَهُ مَا قِيلَ لَيَقُولُ سُبْحَانَ اللَّهِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا كَشَفْتُ عَنْ كَنَفِ أُنْثَى قَطُّ . قَالَتْ ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ شَهِيدًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ . وَفِي حَدِيثِ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ مُوعِرِينَ فِي نَحْرِ الظَّهِيرَةِ وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ مُوغِرِينَ . قَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قُلْتُ لِعَبْدِ الرَّزَّاقِ مَا قَوْلُهُ مُوغِرِينَ قَالَ الْوَغْرَةُ شِدَّةُ الْحَرِّ .
This hadith has been narrated on the authority of Zuhri through other chains of transmitters but with a slight variation of wording. In the hadith transmitters on the authority of 'Urwa, there is an addition of these words:
" 'A'isha did not like that Hassan should be rebuked in her presence and she used to say: It was he who wrote this verse also:" 'Verily, my father and my mother and my honour, those are all meant for defending the honour of Muhammad against you." And 'Urwa further reported that 'A'isha said: By Allah, the person, about whom the allegation was trade used to say: Hallowed be Allah, by One, in Whose hand is my life, I have never unveiled any woman, and then he die, & as a martyr in the cause of Allah, and in the narration transmitted on the authority of Ya'qub b. Ibrahim., the word is Mu'irin and in the narration transmitted on the'authority of 'Abd al-Razzaq it is Mughirin. 'Abd b. Humaid said: I said to 'Abd al-Razzaq: What does this word Mughirin mean? And he said: Al- waghra means intense heat.
পরিচ্ছেদঃ ৯/৭. নির্ধারিত সময় হতে দেরিতে সালাত আদায় করে তার হক নষ্ট করা।
৫৩০. যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশ্কে আনাস ইবনু মালিক (রাযি.)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, তিনি তখন কাঁদছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনাকে কোন বিষয়টি কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে যা কিছু পেয়েছি তার মধ্যে কেবলমাত্র সালাত ছাড়া আর কিছুই বহাল নেই। কিন্তু সালাতকেও নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। বাকর (রহ.) বলেন, আমার নিকট মুহাম্মাদ ইবনু বাকর বুরসানী (রহ.) এবং ‘উসমান ইবনু আবূ রাওওয়াদ (রহ.) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫০৫)
بَاب تَضْيِيعِ الصَّلاَةِ عَنْ وَقْتِهَا
عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ وَاصِلٍ أَبُو عُبَيْدَةَ الْحَدَّادُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ أَخِي عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ يَقُولُ دَخَلْتُ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ بِدِمَشْقَ وَهُوَ يَبْكِي فَقُلْتُ مَا يُبْكِيكَ فَقَالَ لاَ أَعْرِفُ شَيْئًا مِمَّا أَدْرَكْتُ إِلاَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ وَهَذِهِ الصَّلاَةُ قَدْ ضُيِّعَتْ وَقَالَ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي رَوَّادٍ نَحْوَهُ.
Narrated Az-Zuhri that he visited Anas bin Malik at Damascus and found him weeping and asked him why he was weeping. He replied, "I do not know anything which I used to know during the life-time of Allah's Apostle except this prayer which is being lost (not offered as it should be)."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১৪২. দুই জামরার নিকটে দু‘আ করা।
১৭৫৩. যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত যে, মসজিদে মিনার দিক হতে প্রথমে অবস্থিত জামরায় যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঙ্কর মারতেন, সাতটি কঙ্কর মারতেন এবং প্রত্যেকটি কঙ্কর মারার সময় তিনি তাকবীর বলতেন। এরপর সামনে এগিয়ে গিয়ে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে উভয় হাত উঠিয়ে দু‘আ করতেন এবং এখানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন। অতঃপর দ্বিতীয় জামরায় এসে সাতটি কঙ্কর মারতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর মারার সময় তিনি তাকবীর বলতেন। অতঃপর বাঁ দিকে মোড় নিয়ে ওয়াদীর কাছে এসে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াতেন এবং উভয় হাত উঠিয়ে দু‘আ করতেন। অবশেষে ‘আকাবার কাছে জামরায় এসে তিনি সাতটি কঙ্কর মারতেন এবং প্রতিটি কঙ্কর মারার সময় তাকবীর বলতেন। এরপর ফিরে যেতেন, এখানে বিলম্ব করতেন না। যুহরী (রহ.) বলেন, সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ.)-কে তাঁর পিতার মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করতে শুনেছি। (রাবী বলেন) ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও তাই করতেন। (১৭৫১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৩১. ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬৩৯ )
بَاب الدُّعَاءِ عِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ
وَقَالَ مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَمَى الْجَمْرَةَ الَّتِي تَلِي مَسْجِدَ مِنًى يَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ ثُمَّ تَقَدَّمَ أَمَامَهَا فَوَقَفَ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو وَكَانَ يُطِيلُ الْوُقُوفَ ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الثَّانِيَةَ فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ ثُمَّ يَنْحَدِرُ ذَاتَ الْيَسَارِ مِمَّا يَلِي الْوَادِيَ فَيَقِفُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الْعَقَبَةِ فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ عِنْدَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ يَنْصَرِفُ وَلاَ يَقِفُ عِنْدَهَا قَالَ الزُّهْرِيُّ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يُحَدِّثُ مِثْلَ هَذَا عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ
Narrated Az-Zuhri:
Whenever Allah's Messenger (ﷺ) stoned the Jamra near Mina Mosque, he would do Ramy of it with seven small pebbles and say Takbir on throwing each pebble. Then he would go ahead and stand facing the Qiblah with his hands raised, and invoke (Allah) and he sued to stand for a long period. Then he would come to the second Jamra (Al-Wusta) and stone it will seven small stones, reciting Takbir on throwing each stone. Then he would stand facing the Qiblah with raised hands to invoke (Allah). Then he would come to the Jamra near the 'Aqaba (Jamrat-ul-'Aqaba) and do Ramy of it with seven small pebbles, reciting Takbir on throwing each stone. he then would leave and not stay by it.
Narrated Az-Zuhri: I heard Salim bin 'Abdullah saying the same that his father said on the authority of the Prophet (ﷺ). And Ibn 'Umar used to do the same.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/৯. খুযা‘আহ গোত্রের কাহিনী।
৩৫২১. যুহরী (রহ.) বলেন। আমি সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, বাহীরাহ বলে দেবতার নামে উৎসর্গ করা উটনী যার দুধ আটকিয়ে রাখা হত এবং কোন লোক তার দুধ দোহন করত না। সা-য়িবাহ বলে ঐ পশুকে যাকে তারা ছেড়ে দিত দেবতার নামে। তাকে বোঝা বহন ইত্যাদি কোন কাজ কর্মে ব্যবহার করা হয় না। রাবী বলেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি ‘আমর ইবনু ‘আমির খুয‘আহকে তার বহির্গত নাড়ি-ভুঁড়ি নিয়ে জাহান্নামের আগুনে চলাফেলা করতে দেখেছি। সেই প্রথম ব্যক্তি যে সা-য়্যিবাহ উৎসর্গ করার প্রথা প্রচলন করে। (৪৬২৩, মুসলিম ৫১/১৩ হাঃ ২৮৫৬, আহমাদ ৭৭১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৭০)
بَابُ قِصَّةِ خُزَاعَةَ
حَدَّثَنَا أَبُوْ الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيْدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ الْبَحِيْرَةُ الَّتِيْ يُمْنَعُ دَرُّهَا لِلطَّوَاغِيْتِ وَلَا يَحْلُبُهَا أَحَدٌ مِنْ النَّاسِ وَالسَّائِبَةُ الَّتِيْ كَانُوْا يُسَيِّبُوْنَهَا ِلآلِهَتِهِمْ فَلَا يُحْمَلُ عَلَيْهَا شَيْءٌ قَالَ وَقَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَأَيْتُ عَمْرَو بْنَ عَامِرِ بْنِ لُحَيٍّ الْخُزَاعِيَّ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَيَّبَ السَّوَائِبَ
Narrated Sa`id bin Al-Musaiyab:
Al-Bahira was an animal whose milk was spared for the idols and other dieties, and so nobody was allowed to milk it. As-Saiba was an animal which they (i.e infidels) used to set free in the names of their gods so that it would not be used for carrying anything. Abu Huraira said, "The Prophet (ﷺ) said, 'I saw `Amr bin 'Amir bin Luhai Al-Khuza`i dragging his intestines in the (Hell) Fire, for he was the first man who started the custom of releasing animals (for the sake of false gods).' "
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১২. পরিচ্ছেদ নাই।
৪০২৪. যুহরী (রহ.) মুহাম্মাদ ইবনু যুবায়র ইবনু মুত’ঈমের মাধ্যমে তার পিতা যুবায়র ইবনু মুত’ঈম (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদরের যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে বলেছেন, আজ মুত’ঈম ইবনু ’আদী [1] যদি বেঁচে থাকতেন আর এসব অপবিত্র লোকদের সম্পর্কে যদি আমার নিকট সুপারিশ করতেন, তাহলে তার সম্মানে এদেরকে আমি (মুক্তিপণ ব্যতীতই) ছেড়ে দিতাম।
লায়স ইয়াহ্ইয়ার সূত্রে সা’ঈদ ইবনু মুসায়্যিব (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, প্রথম ফিতনা অর্থাৎ ’উসমানের হত্যাকান্ড [2] সংঘটিত হবার পর বদরে যোগদানকারী সাহাবীদের আর কেউ বেঁচে ছিলেন না। দ্বিতীয় ফিতনা তথা হাররার ঘটনা সংঘটিত হবার পর হুদাইবিয়াহর সন্ধিকালীন সময়ের কোন সাহাবীই আর জীবিত ছিলেন না। এরপর তৃতীয় ফিতনা সংঘটিত হওয়ার পর তা কখনো শেষ হয়নি, যতদিন মানুষের মধ্যে আকল ও সৎ গুণাবলী বহাল ছিল। [৩১৩৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭২৮)
[2] মিসরবাসী কতক বিদ্রোহী লোকের দ্বারা ঊনপঞ্চাশ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর তিনি তাদেরই হাতে শহীদ হন।
بَاب
وَعَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِيْ أُسَارَى بَدْرٍ لَوْ كَانَ الْمُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ حَيًّا ثُمَّ كَلَّمَنِيْ فِيْ هَؤُلَاءِ النَّتْنَى لَتَرَكْتُهُمْ لَهُ وَقَالَ اللَّيْثُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَقَعَتْ الْفِتْنَةُ الْأُوْلَى يَعْنِيْ مَقْتَلَ عُثْمَانَ فَلَمْ تُبْقِ مِنْ أَصْحَابِ بَدْرٍ أَحَدًا ثُمَّ وَقَعَتْ الْفِتْنَةُ الثَّانِيَةُ يَعْنِي الْحَرَّةَ فَلَمْ تُبْقِ مِنْ أَصْحَابِ الْحُدَيْبِيَةِ أَحَدًا ثُمَّ وَقَعَتْ الثَّالِثَةُ فَلَمْ تَرْتَفِعْ وَلِلنَّاسِ طَبَاخٌ.
Narrated Said bin Al-Musaiyab:
When the first civil strife (in Islam) took place because of the murder of 'Uthman, it left none of the Badr warriors alive. When the second civil strife, that is the battle of Al-Harra, took place, it left none of the Hudaibiya treaty companions alive. Then the third civil strife took place and it did not subside till it had exhausted all the strength of the people.
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১২. পরিচ্ছেদ নাই।
৪০২৫. যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘উরওয়াহ ইবনু যুবায়র, সা‘ঈদ ইবনু মুসায়্যিব, ‘আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস ও ‘উবায়দুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহর প্রতি অপবাদের ঘটনা শুনেছি। তারা সকলেই হাদীসটির একটি অংশ আমার নিকট বর্ণনা করেছেন, ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি এবং উম্মু মিসতাহ্ (প্রাকৃতিক প্রয়োজনে) বের হলাম। তখন উম্মু মিসতাহ তার চাদরে পেঁচিয়ে পড়ে গেল। এতে সে বলল, মিসতাহ এর জন্য ধ্বংস। [‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেন] তখন আমি বললাম, আপনি বড় খারাপ কথা বললেন। আপনি বদরে শরীক ব্যক্তিকে মন্দ বলছেন! অতঃপর অপবাদ-এর ঘটনা উল্লেখ করলেন। [২৫৯৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭২৯)
بَاب
الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ النُّمَيْرِيُّ حَدَّثَنَا يُوْنُسُ بْنُ يَزِيْدَ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ قَالَ سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَسَعِيْدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ وَعَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ وَعُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَبْدِ اللهِ عَنْ حَدِيْثِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلٌّ حَدَّثَنِيْ طَائِفَةً مِنَ الْحَدِيْثِ قَالَتْ فَأَقْبَلْتُ أَنَا وَأُمُّ مِسْطَحٍ فَعَثَرَتْ أُمُّ مِسْطَحٍ فِيْ مِرْطِهَا فَقَالَتْ تَعِسَ مِسْطَحٌ فَقُلْتُ بِئْسَ مَا قُلْتِ تَسُبِّيْنَ رَجُلًا شَهِدَ بَدْرًا فَذَكَرَ حَدِيْثَ الإِفْكِ.
Narrated Yunus bin Yazid:
I heard Az-Zuhri saying, "I heard `Urwa bin Az-Zubair. Sa`id bin Al-Musaiyab, 'Alqama bin Waqqas and 'Ubaidullah bin `Abdullah each narrating part of the narrative concerning `Aisha the wife of the Prophet. `Aisha said: When I and Um Mistah were returning, Um Mistah stumbled by treading on the end of her robe, and on that she said, 'May Mistah be ruined.' I said, 'You have said a bad thing, you curse a man who took part in the battle of Badr!." Az-Zuhri then narrated the narration of the Lie (forged against `Aisha).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১৪. দু’ ব্যক্তির রক্তপণের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট গমন এবং তাঁর সঙ্গে তাদের বিশ্বাসঘাতকতা বিষয়ক ঘটনা।
৪০৩৪. বর্ণনাকারী (যুহরী) বলেন, আমি হাদীসটি উরওয়াহ ইবনু যুবায়রের নিকট বর্ণনা করার পর তিনি (আমাকে) বললেন, মালিক ইবনু আওস (রাঃ) ঠিকই বর্ণনা করেছেন। আমি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, (বানী নাযীর গোত্রের সম্পদ থেকে) ফায় হিসাবে আল্লাহ্ তাঁর রাসূলকে যে সম্পদ দিয়েছেন তার অষ্টমাংশ আনার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণীগণ ‘উসমানকে আবূ বকরের নিকট পাঠাতে চাইলে এই বলে আমি তাদেরকে বারণ করছিলাম যে, আপনারা কি আল্লাহকে ভয় করেন না? আপনারা কি জানেন না যে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন আমরা (নবী-রাসূলগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবেই থেকে যায়। এ দ্বারা তিনি নিজেকে মালিক করেছেন। এ সম্পদ থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরগণ খেতে পারবেন। (তারা এ সম্পদের মালিক হতে পারবেন না।) আমার এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণীগণ বিরত হলেন। বর্ণনাকারী বলেন, অবশেষে সাদাকার এ মাল ‘আলীর তত্ত্বাবধানে ছিল। তিনি ‘আব্বাসকে তা দিতে অস্বীকার করেন এবং পরিশেষে তিনি ‘আব্বাসের উপর জয়ী হন। এরপর তা যথাক্রমে হাসান ইবনু ‘আলী এবং হুসাইন ইবনু ‘আলীর হাতে ছিল। পুনরায় তা ‘আলী ইবনু হুসাইন এবং হাসান ইবনু হাসানের হস্তগত হয়। তাঁরা উভয়ই পর্যায়ক্রমে তার দেখাশোনা করতেন। এরপর তা যায়দ ইবনু হাসানের তত্ত্বাবধানে যায়। তা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাদাকা। [৬৭২৭, ৬৭৩০; মুসলিম ৩২/১৫, হাঃ ১৭৫৭, আহমাদ ৩৩৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৩৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৩৭)
بَاب حَدِيْثِ بَنِي النَّضِيْرِ وَمَخْرَجِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فِيْ دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ وَمَا أَرَادُوْا مِنْ الْغَدْرِ بِرَسُوْلِ اللهِ
قَالَ فَحَدَّثْتُ هَذَا الْحَدِيْثَ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ صَدَقَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ أَنَا سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُوْلُ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ إِلَى أَبِيْ بَكْرٍ يَسْأَلْنَهُ ثُمُنَهُنَّ مِمَّا أَفَاءَ اللهُ عَلَى رَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم فَكُنْتُ أَنَا أَرُدُّهُنَّ فَقُلْتُ لَهُنَّ أَلَا تَتَّقِيْنَ اللهَ أَلَمْ تَعْلَمْنَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُوْلُ لَا نُوْرَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ يُرِيْدُ بِذَلِكَ نَفْسَهُ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِيْ هَذَا الْمَالِ فَانْتَهَى أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَا أَخْبَرَتْهُنَّ قَالَ فَكَانَتْ هَذِهِ الصَّدَقَةُ بِيَدِ عَلِيٍّ مَنَعَهَا عَلِيٌّ عَبَّاسًا فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا ثُمَّ كَانَ بِيَدِ حَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ ثُمَّ بِيَدِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ ثُمَّ بِيَدِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ وَحَسَنِ بْنِ حَسَنٍ كِلَاهُمَا كَانَا يَتَدَاوَلَانِهَا ثُمَّ بِيَدِ زَيْدِ بْنِ حَسَنٍ وَهِيَ صَدَقَةُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَقًّا.
The sub-narrator said, "I told `Urwa bin Az-Zubair of this Hadith and he said, 'Malik bin Aus has told the truth" I heard `Aisha, the wife of the Prophet (ﷺ) saying, 'The wives of the Prophet (ﷺ) sent `Uthman to Abu Bakr demanding from him their 1/8 of the Fai which Allah had granted to his Apostle. But I used to oppose them and say to them: Will you not fear Allah? Don't you know that the Prophet used to say: Our property is not inherited, but whatever we leave is to be given in charity? The Prophet (ﷺ) mentioned that regarding himself. He added: 'The family of Muhammad can take their sustenance from this property. So the wives of the Prophet (ﷺ) stopped demanding it when I told them of that.' So, this property (of Sadaqa) was in the hands of `Ali who withheld it from `Abbas and overpowered him. Then it came in the hands of Hasan bin `Ali, then in the hands of Husain bin `Ali, and then in the hands of `Ali bin Husain and Hasan bin Hasan, and each of the last two used to manage it in turn, then it came in the hands of Zaid bin Hasan, and it was truly the Sadaqa of Allah's Apostle ."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩৫. ইফ্ক-এর ঘটনা।
৪১৪২. যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, ওয়ালীদ ইবনু ‘আবদুল মালিক (রহ.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার নিকট কি এ খবর পৌঁছেছে যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর প্রতি অপবাদ রটনাকারীদের মধ্যে ‘আলী (রাঃ)-ও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন? আমি বললাম, না, তবে আবূ সালামাহ ইবনু আবদুর রহমান ও আবূ বকর ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু হারিস নামক তোমার গোত্রের দু’ ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছে যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) তাদের দু’জনকে বলেছেন যে, ‘আলী (রাঃ) তার ব্যাপারে পুরোপুরি নির্দোষ ছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮৩৩)
بَاب حَدِيْثِ الإِفْك
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ أَمْلَى عَلَيَّ هِشَامُ بْنُ يُوْسُفَ مِنْ حِفْظِهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ قَالَ لِي الْوَلِيْدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ أَبَلَغَكَ أَنَّ عَلِيًّا كَانَ فِيْمَنْ قَذَفَ عَائِشَةَ قُلْتُ لَا وَلَكِنْ قَدْ أَخْبَرَنِيْ رَجُلَانِ مِنْ قَوْمِكَ أَبُوْ سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَأَبُوْ بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ لَهُمَا كَانَ عَلِيٌّ مُسَلِّمًا فِيْ شَأْنِهَا فَرَاجَعُوْهُ فَلَمْ يَرْجِعْ وَقَالَ مُسَلِّمًا بِلَا شَكٍّ فِيْهِ وَعَلَيْهِ كَانَ فِيْ أَصْلِ الْعَتِيْقِ كَذَلِكَ.
Narrated Az-Zuhri:
Al-Walid bin `Abdul Malik said to me, "Have you heard that `Ali' was one of those who slandered `Aisha?" I replied, "No, but two men from your people (named) Abu Salama bin `Abdur-Rahman and Abu Bakr bin `Abdur-Rahman bin Al-Harith have informed me that Aisha told them that `Ali remained silent about her case."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৫৪. পরিচ্ছেদ নাই।
৪৩০১. যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি সুনায়ন আবূ জামীলাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। যুহরী (রহ.) বলেন, আমরা (সা‘ঈদ) ইবনু মুসায়্যাব (রহ.)-এর সঙ্গে ছিলাম। এ সময় আবূ জামীলাহ (রাঃ) দাবী করেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মক্কা বিজয়ের বছর (যুদ্ধের জন্য) বেরিয়েছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৬৭)
بَاب
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ مُوْسَى أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سُنَيْنٍ أَبِيْ جَمِيْلَةَ قَالَ أَخْبَرَنَا وَنَحْنُ مَعَ ابْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ وَزَعَمَ أَبُوْ جَمِيْلَةَ أَنَّهُ أَدْرَكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَخَرَجَ مَعَهُ عَامَ الْفَتْحِ.
Narrated Az-Zuhri:
While we were in the company of the Ibn Al-Musaiyab, Sunain Abi Jamila informed us (a Hadith), Abu Jamila said that he lived during the lifetime of the Prophet (ﷺ) and that he had accompanied him ( to Mecca) during the year of the Conquest (of Mecca).
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮৪. নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ ও তাঁর ওফাত।
৪৪৫৪. ইমাম যুহরী (রহ.) বলেন, আমাকে আবূ সালামাহ (রহ.) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, আবূ বকর (রাঃ) বের হয়ে আসেন তখন ‘উমার (রাঃ) লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে ‘উমার (রাঃ) বসে পড়। ‘উমার (রাঃ) বসতে অস্বীকার করলেন। তখন সাহাবীগণ ‘উমার (রাঃ)-কে ছেড়ে আবূ বকর (রাঃ)-এর দিকে গেলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন- ‘‘অতঃপর আপনাদের মধ্যে যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইবাদাত করতেন, তিনি তো ইন্তিকাল করেছেন। আর যারা আপনাদের মধ্যে আল্লাহর ‘ইবাদাত করতেন (জেনে রাখুন) আল্লাহর চিরঞ্জীব, কখনো মরবেন না। আল্লাহ বলেন, ......... -মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন রাসূল মাত্র, তাঁর পূর্বে বহু রাসূল গত হয়েছেন। ..... কৃতজ্ঞদের পুরস্কৃত করবেন- (সূরাহ আলে ‘ইমরান ৩/১৪৪)।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আবূ বকর (রাঃ)-এর পাঠ করার পূর্বে লোকেরা যেন জানত না যে, আল্লাহ তা‘আলা এরূপ আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। এরপর সমস্ত সাহাবী তাঁর থেকে উক্ত আয়াত শিখে নিলেন। তখন সবাইকে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনলাম। আমাকে সা‘ঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহ.) জানিয়েছেন, ‘উমার (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর কসম! আমি যখন আবূ বকর (রাঃ)-কে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনলাম, তখন ভীত হয়ে পড়লাম এবং আমার পা দু’টি যেন আমার ভার নিত পারছিল না, এমনকি আমি মাটিতে পড়ে গেলাম যখন শুনতে পেলাম যে, তিনি তিলাওয়াত করছেন যে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেছেন। [১২৪২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১০২)
بَاب مَرَضِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوَفَاتِهِ
قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِيْ أَبُوْ سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ خَرَجَ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يُكَلِّمُ النَّاسَ فَقَالَ اجْلِسْ يَا عُمَرُ فَأَبَى عُمَرُ أَنْ يَجْلِسَ فَأَقْبَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ وَتَرَكُوْا عُمَرَ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ أَمَّا بَعْدُ فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ وَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ اللهَ فَإِنَّ اللهَ حَيٌّ لَا يَمُوْتُ قَالَ اللهُ وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُوْلٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ إِلَى قَوْلِهِ الشَّاكِرِيْنَ وَقَالَ وَاللهِ لَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ أَنْزَلَ هَذِهِ الْآيَةَ حَتَّى تَلَاهَا أَبُوْ بَكْرٍ فَتَلَقَّاهَا مِنْهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ فَمَا أَسْمَعُ بَشَرًا مِنْ النَّاسِ إِلَّا يَتْلُوْهَا فَأَخْبَرَنِيْ سَعِيْدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّ عُمَرَ قَالَ وَاللهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ تَلَاهَا فَعَقِرْتُ حَتَّى مَا تُقِلُّنِيْ رِجْلَايَ وَحَتَّى أَهْوَيْتُ إِلَى الْأَرْضِ حِيْنَ سَمِعْتُهُ تَلَاهَا عَلِمْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ مَاتَ.
Narrated Ibn `Abbas: Abu Bakr went out while `Umar bin Al-Khattab was talking to the people. Abu Bakr said, "Sit down, O `Umar!" But `Umar refused to sit down. So the people came to Abu Bakr and left `Umar. Abu Bakr said, "To proceed, if anyone amongst you used to worship Muhammad , then Muhammad is dead, but if (anyone of) you used to worship Allah, then Allah is Alive and shall never die. Allah said:--"Muhammad is no more than an Apostle, and indeed (many) apostles have passed away before him..(till the end of the Verse )......Allah will reward to those who are thankful." (3.144) By Allah, it was as if the people never knew that Allah had revealed this Verse before till Abu Bakr recited it and all the people received it from him, and I heard everybody reciting it (then). Narrated Az-Zuhri: Sa`id bin Al-Musaiyab told me that `Umar said, "By Allah, when I heard Abu Bakr reciting it, my legs could not support me and I fell down at the very moment of hearing him reciting it, declaring that the Prophet (ﷺ) had died."
পরিচ্ছেদঃ ৪৭. ইলম অন্বেষণের জন্য সফর করা এবং এতে পরিশ্রম-কষ্ট সহ্য করা
৫৮৮. যুহরী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি উরওয়াহ’ (রাহিমাহুল্লাহ) এর দরজায় আসতাম। তারপর তার দরজায় বসে যেতাম। আমি (তার নিকট) প্রবেশ করতে চাইলে প্রবেশ করতে পারতাম, কিন্তু তার সম্মানার্থে (আমি প্রবেশ করতাম না)।[1]
তাখরীজ: খতীব, আল জামি’ নং ২২২; ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাহ ১/৬৩৪; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৩/৩৬২।
بَابُ الرِّحْلَةِ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ، وَاحْتِمَالِ الْعَنَاءِ فِيهِ
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ كُنْتُ آتِي بَابَ عُرْوَةَ فَأَجْلِسُ بِالْبَابِ وَلَوْ شِئْتُ أَنْ أَدْخُلَ لَدَخَلْتُ وَلَكِنْ إِجْلَالًا لَهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৬১. বাতনিল ওয়াদী হতে কংকর নিক্ষেপ এবং প্রত্যেকবার কংকর নিক্ষেপের সময় তাকবীর পাঠ
১৯৩৯. যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মিনার মসজিদের নিকটস্থ জামরায় কংকর নিক্ষেপ করেন, তখন তাতে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন। আর তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপ করার সময় তাকবীর বলেন। তারপর তিনি এখান থেকে সামনে অগ্রসর হন এবং তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করে পশ্চিমমুখী হয়ে দাড়ান এবং অনেকক্ষণ ’উকুফ’ (দণ্ডায়মান) অবস্থায় থাকেন। তারপর তিনি দ্বিতীয় জামরায় এসে তাতেও সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন, আর আর তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপ করার সময় তাকবীর বলেন।
এরপর তিনি তাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করে দুঁআরত অবস্থায় উত্তরে ’ওয়াদী’র দিকে নেমে আসেন। এরপর তিনি আকাবার নিকটবর্তী জামরায় আগমন করেন এবং এতেও তিনি সাতটি কংকর নিক্ষেপ করেন আর তিনি প্রতিটি কংকর নিক্ষেপ করার সময় তাকবীর বলেন। এরপর তিনি প্রস্থান করেন, কিন্তু এর নিকট তিনি দাঁড়ান নি। যুহরী (রহঃ) বলেন, আমি সালিম (রহঃ)-কে তাঁর পিতার সূত্রে এই হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি আর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি আরও বলেন, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এরুপ আমল করতেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, হাজ্জ ১৬৭০; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৫৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৮৮৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০১৪ তে।
بَاب الرَّمْيِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي وَالتَّكْبِيرِ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَمَى الْجَمْرَةَ الَّتِي تَلِي الْمَسْجِدَ مَسْجِدَ مِنًى يَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ ثُمَّ تَقَدَّمَ أَمَامَهَا فَوَقَفَ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ رَافِعًا يَدَيْهِ وَكَانَ يُطِيلُ الْوُقُوفَ ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الثَّانِيَةَ فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ ثُمَّ يَنْحَدِرُ مِنْ ذَاتِ الْيَسَارِ مِمَّا يَلِي الْوَادِي رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو ثُمَّ يَأْتِي الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الْعَقَبَةِ فَيَرْمِيهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ كُلَّمَا رَمَى بِحَصَاةٍ ثُمَّ يَنْصَرِفُ وَلَا يَقِفُ عِنْدَهَا قَالَ الزُّهْرِيُّ سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. দাদী সম্পর্কে আবূ বাকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মতামত
২৯৭৭. যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক পিতামহী (দাদী) বা মাতামহী (নানী) আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে এসে বললঃ আমার পৌত্র বা দৌহিদ্র (মেয়ের ছেলে) মারা গেছে। আমি শুনেছি যে, আমার জন্য তাতে অংশ আছে। ফলে আমার জন্য কী পরিমাণ রয়েছে?
আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কোন ফায়সালা দিতে আমি শুনিনি। তবে আমি শীঘ্রই লোকদেরকে (সাহাবীগণকে) এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব।
যুহরের সালাত আদায় করে তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাদী বা নানীর ব্যাপারে কোন ফায়সালা দিতে শুনেছে? তখন মুগীরা ইবন শু’বা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি শুনেছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কী শুনেছো? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এক ষষ্ঠামাংশ দিয়েছেন।
তিনি (আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু) বললেনঃ তোমার সঙ্গে আর কে এ বিষয়টি শুনেছেন? মুহাম্মদ ইবন মাসলামা বললেনঃ তিনি সত্য বলেছেন। তখন আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে এক ষষ্ঠমাংশ প্রদান করলেন।এরপর তার মত অন্য এক দাদী বা নানী উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে এল। তিনি তাকে বললেনঃ আমি তো জানি না। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কোন ফায়সালা দিতে আমি শুনিনি। তবে আমি শীঘ্রই লোকদেরকে (সাহাবীগণকে) এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব। তখন তাকে মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ এবং মুহাম্মদ ইবনু মাসলামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা’র হাদীস শোনানো হলো। এরপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, যদি তোমাদের দু’জনের একজন হও, তবে সে এক ষষ্ঠামাংশ পাবে। আর যদি তোমাদের দু্জন (একাধিক জন) এতে একত্রিত হও তবে তা তোমাদের উভয়ের মাঝে বন্টিত হবে।[1]
তাথরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১১৯, ১২০; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৩১; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২২৩ তে। সংযোজনী: এছাড়াও, আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১৯০৮৩। ((আবূ দাউদ ২৮৯৪; তিরমিযী ২১০০, ২১০১; ইবনু মাজাহ ২৭২৪; হাকিম ৪/৩৩৮; হাকিম ও যাহাবী একে বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন। -ফাতহুল মান্নান, হা/৩১১৯। -অনুবাদক))
باب قَوْلِ أَبِي بَكْرٍ فِي الْجَدَّاتِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا الْأَشْعَثُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ جَاءَتْ إِلَى أَبِي بَكْرٍ جَدَّةٌ أُمُّ أَبٍ أَوْ أُمُّ أُمٍّ فَقَالَتْ إِنَّ ابْنَ ابْنِي أَوْ ابْنَ ابْنَتِي تُوُفِّيَ وَبَلَغَنِي أَنَّ لِي نَصِيبًا فَمَا لِي فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِيهَا شَيْئًا وَسَأَسْأَلُ النَّاسَ فَلَمَّا صَلَّى الظُّهْرَ قَالَ أَيُّكُمْ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي الْجَدَّةِ شَيْئًا فَقَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ أَنَا قَالَ مَاذَا قَالَ أَعْطَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُدُسًا قَالَ أَيَعْلَمُ ذَاكَ أَحَدٌ غَيْرُكَ فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ صَدَقَ فَأَعْطَاهَا أَبُو بَكْرٍ السُّدُسَ فَجَاءَتْ إِلَى عُمَرَ مِثْلُهَا فَقَالَ مَا أَدْرِي مَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا شَيْئًا وَسَأَسْأَلُ النَّاسَ فَحَدَّثُوهُ بِحَدِيثِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فَقَالَ عُمَرُ أَيُّكُمَا خَلَتْ بِهِ فَلَهَا السُّدُسُ فَإِنْ اجْتَمَعْتُمَا فَهُوَ بَيْنَكُمَا
পরিচ্ছেদঃ ২: যুহরের প্রথম ওয়াক্ত
৪৯৬. কাসীর ইবনু ’উবায়দ (রহ.) ..... যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) একবার সূর্য ঢলে পড়লে বের হলেন এবং তাদেরকে নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করলেন।
أول وقت الظهر
أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قال: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ الزُّبَيْدِيِّ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، قال: أَخْبَرَنِي أَنَسٌ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى بِهِمْ صَلَاةَ الظُّهْرِ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائی، (تحفة الأشراف: ۱۵۳۵)، وقد أخرجہ عن طریق شعیب عن الزہری عن أنس بن مالک: صحیح البخاری/المواقیت ۱۱ مطولاً(۵۴۰)، صحیح مسلم/الفضائل ۳۷ (۲۳۵۹)، سنن الدارمی/الصلاة ۱۳ (۱۲۴۲)، (تحفة الأشراف: ۱۴۹۳) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 497 - صحيح
2. The Beginning Of The Time For Zuhr
It was narrated from Az-Zuhri he said: Anas told me that the Messenger of Allah (ﷺ) went out when the sun had passed its zenith, and led them in Zuhr prayer.
পরিচ্ছেদঃ
১৫৪০. মুহাম্মাদ ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহীম আল বাক্বী (রহ.) ..... যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, তিনি (একবার) রসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে ভয়কালীন সালাত আদায় করেছিলেন। তিনি বলেন, নবী (সা.) তাকবীর বললেন এবং তার পিছনে আমাদের একটি দল কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। আর একদল শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। তখন নবী (সা.) তাঁদের নিয়ে একটি রুকূ এবং দু'টি সাজদাহ্ করলেন। অতঃপর তারা ফিরে গেল এবং শত্রুর মুখোমুখি দাড়িয়ে গেল। আর দ্বিতীয় দল এসে গেল নবী (সা.) -এর সাথে সালাত আদায় করল এবং তিনি অনুরূপ করলেন। অতঃপর সালাম ফিরালেন। তারপর উভয় গ্রুপের প্রত্যেকে দাড়িয়ে গেল এবং নিজেদের একটি রুকূ এবং দুটি সাজদাহ্ আদায় করে নিল।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحِيمِ الْبَرْقِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ، قال: أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِالزُّهْرِيِّ، قال: كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُحَدِّثُ، أَنَّهُ صَلَّى صَلَاةَ الْخَوْفِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كَبَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَفَّ خَلْفَهُ طَائِفَةٌ مِنَّا وَأَقْبَلَتْ طَائِفَةٌ عَلَى الْعَدُوِّ، فَرَكَعَ بِهِمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ ثُمَّ انْصَرَفُوا وَأَقْبَلُوا عَلَى الْعَدُوِّ، وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الْأُخْرَى فَصَلَّوْا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ سَلَّمَ، ثُمَّ قَامَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ فَصَلَّى لِنَفْسِهِ رَكْعَةً وَسَجْدَتَيْنِ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۷۴۴۸) (صحیح) (اس سند میں زہری اور ابن عمر کے درمیان انقطاع ہے، مگر پچھلی سند متصل ہے)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1541 - صحيح لغيره
It was narrated that Az-Zuhri said: Abdullah bin 'Umar used to narrate that he offered the fear prayer with the Messenger of Allah (ﷺ). He said: 'The Prophet (ﷺ) said the takbir and one group of us formed a row behind him while the other group faced the enemy. The Prophet (ﷺ) led them in bowing once and prostrating twice, then they moved away and faced the enemy, and the other group came and prayed with the Prophet (ﷺ), doing likewise. Then he said the taslim, then each man of both groups stood and prayed by himself, bowing once and prostrating twice.'
পরিচ্ছেদঃ ৬০: ফজরের দু' রাকআত সুন্নাতের সময় এবং হাদীস বর্ণনায় নাফি-এর ওপর মতানৈক্য
১৭৮৩. সুওয়াইদ ইবনু নাসর (রহ.) ..... যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, একদা রসূলুল্লাহ (সা.) -এর দরবারে শুরাইহ আল হাযরামী (রাঃ)-এর আলোচনা হলো। রসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে এমন এক ব্যক্তি যে কুরআনকে বালিশ বানায় না (অর্থাৎ সে কুরআন না পড়ে ঘুমায় না বরং যত্নের সঙ্গে রাতে কুরআন পাঠ করে থাকে)।
باب وَقْتِ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ وَذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى نَافِعٍ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ: أَنْبَأَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَّ شُرَيْحًا الْحَضْرَمِيَّ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ذَاكَ رَجُلٌ لَا يَتَوَسَّدُ الْقُرْآنَ .
تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، (تحفة الأشراف: ۳۸۰۲)، مسند احمد ۳/۴۴۹ (صحیح الإسناد)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1784 - صحيح الإسناد
The time for the two rak'ahs of Fajr, and mentioning the differences reported from Nafi'
It was narrated that Az-Zuhri said: As-Sa'ib bin Yazid told me that Shuraih Al-Hadrami was mentioned in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ), and the Messenger of Allah (ﷺ) said: He does not sleep on the Qur'an.
পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْوَحْيِ لَمْ يَنْقَطِعْ عَنْ صَفِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَنْ أَخْرَجَهُ اللَّهُ مِنَ الدُّنْيَا إِلَى جَنَّتِهِ
আল্লাহর বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া হতে বিদায় গ্রহণ করে জান্নাতের দিকে চলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ওহী নাযিল হওয়া সমাপ্তি ঘটেনি- এ সম্পর্কে বর্ণনা:
৪৪. আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক যুহরী রাহি. হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তাঁর নিকট এক লোক এসে তাঁকে প্রশ্ন করছিল, আর আমি তাদের কথা শুনছিলাম। লোকটি বলল: হে আবূ বকর (যুহরী)! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পূর্বে কিভাবে তাঁর থেকে ওহীর সমাপ্তি ঘটল? আমি যখন থেকে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে এটি মুখস্ত করেছি, তখন থেকে কেউ কখনো একথাটি আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি।
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন: তিনি যখন ইহলোক ত্যাগ করেন, তখন তাঁর প্রতি পূর্বের চেয়ে অধিক হারে ওহী নাযিল হচ্ছিল।[1]
আরনাউত্ব: সহীহ।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/২৩৬; বুখারী, ৪৯৮২; মুসলিম ৩০১৬ তে অন্য সনদে ভিন্ন শব্দে এটি বর্ণিত।
حَدَّثَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ أَخْبَرَنَا خالدٌ (1) عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ [ص: 172] بْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ:
أَتَاهُ رَجُلٌ وَأَنَا أَسْمَعُ فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ كَمِ انْقَطَعَ الْوَحْيُ عَنْ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قبل موته؟ فقال: ماسألني عَنْ هَذَا أَحَدٌ مُذْ وَعَيْتُهَا مِنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ: لَقَدْ قُبِضَ مِنَ الدُّنْيَا وَهُوَ (2) أَكْثَرُ مِمَّا كَانَ.
= [48: 5]
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح: ق نحوه، أتم منه دون سؤال السائل، وقول الزهري. [ص: 173]
(1) هو خالد بن عبد الله الطحان الواسطي، ثقة من رجال الشيخين.
وعبد الرحمن بن إسحاق: هو القرشي: صدوق فيه كلامٌ يسير، احتج به مسلمٌ.
والزهريُّ: هو محمد بن مسلم بن عبيد الله بن عبد الله الزهريُّ أبو بكر، الثقة الفقيه الجليل، احتج به الجميع.
والسندُ جيدٌ.
وقد تابع ابن إسحاق: صالح بن كيسان عن ابن شهابٍ ..... بأتم منه: رواه البخاري (4982)، ومسلم (8/ 238).
(2) يعني: الوحي.
الحديث: 44 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 171
পরিচ্ছেদঃ যেই সময়ে এই বিধানটি রহিত করা হয়, তার বর্ণনা
১১৭৭. ইমাম যুহরী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমি উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করলাম ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে যে স্ত্রী মিলন করে, কিন্তু বীর্যপাত হয় না, (তার গোসল করতে হবে কিনা)?” জবাবে তিনি বলেন, “মানুষের জন্য আবশ্যক হলো সর্বশেষ বিধান গ্রহণ করা। আর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ অবস্থা ছিল, যা আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা আমাকে বর্ণনা করেছেন, সেটা হলো “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটা করে গোসল করতেন না, আর এটা ছিল মক্কা বিজয়ের আগের ঘটনা। তারপর তিনি গোসল করতেন এবং লোকদেরকেও গোসল করার নির্দেশ দিতেন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসে হুসাইন হলেন হুসাইন বিন উসমান বিন বিশর বিন মুহতাফিয, তিনি বসরার অধিবাসী, মরো এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি একজন নির্ভরযোগ্য রাবী।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রাহিমাহুল্লাহ হাদীসটির ব্যাপারে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি। আল্লামা নাসিরুদ্দিন রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ লিগাইরিহী বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ১১৭৭।)
ذِكْرُ الْوَقْتِ الَّذِي نُسِخَ فِيهِ هَذَا الْفِعْلُ
1177 - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجَوْزَجَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ جَبَلَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو حَمْزَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عثمان عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: سَأَلْتُ عُرْوَةَ عَنِ الَّذِي يُجَامِعُ وَلَا يُنزل؟ قَالَ: عَلَى النَّاسِ أَنْ يأخذوا بالآخِرِ فالآخر مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ وَلَا يَغْتَسِلُ وَذَلِكَ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ ثُمَّ اغْتَسَلَ بعد ذلك وأمر الناس بالغسل.
الراوي : عُرْوَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1177 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح لغيره.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: الْحُسَيْنُ هَذَا: هُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ بِشْرِ بْنِ الْمُحْتَفِزِ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ سَكَنْ مَرْوَ ثقة من الثقات.