সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি) ৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৩৪

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ওযূর ব্যাপারে যত্নবান, তার জন্য ঈমান সাব্যস্ত করা

১০৩৪. সাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা সঠিকভাবে আমল করো এবং সঠিকতার কাছাকাছি থাকো। জেনে রাখো, তোমাদের শ্রেষ্ঠ আমল হলো সালাত। জেনে রাখো, কেবল মু‘মিন ব্যক্তিই ওযূর ব্যাপারে যত্নবান থাকে।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই শব্দ সেসব শব্দের অন্তর্ভুক্ত যা আমরা আমাদের কিতাবে উল্লেখ করেছি যে, আরবরা অনেক সময় পুরো বিশেষ্যকে কোন জিনিসের অংশবিশেষ অর্থে ব্যবহার করে; পুরো বিশেষ্যের নামকে অংশবিশেষের উপর ব্যবহার করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “কেবল মু‘মিন ব্যক্তিই ওযূর ব্যাপারে যত্নবান থাকে” এখানে ঈমান নামকে ওযূর ব্যাপারে যত্নবান ব্যক্তির ব্যাপারে ব্যবহার করা হয়েছে। ওযূ ঈমানের অংশ সমূহের মাঝে একটি অংশ, অনুরুপভাবে ঈমান নামটি এককভাবে ওযূ সম্পাদনকারীর ব্যাপারে ব্যবহার করা হয়। কেননা ওযূ ঈমানের একটি অংশ, যা আমরা বর্ণনা করলাম। আর সাওবান থেকে সালিম বিন আবিল জা‘দ এর হাদীসটি মুনকাতি‘, এজন্য আমরা এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি।”

ذِكْرُ إِثْبَاتِ الْإِيمَانِ لِلْمُحَافِظِ عَلَى الْوُضُوءِ

1034 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ وَأَبُو خَيْثَمَةَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ ثَوْبَانَ حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ أَنَّ أَبَا كَبْشَةَ السَّلُولِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ثَوْبَانَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (سَدِّدُوا وَقَارِبُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلَاةُ ولا يحافظ على الوضوء إلا مؤمن)
الراوي : ثَوْبَان | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1034 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.

1034 - اخبرنا ابو يعلى حدثنا سريج بن يونس وابو خيثمة: حدثنا الوليد بن مسلم حدثنا ابن ثوبان حدثني حسان بن عطية ان ابا كبشة السلولي حدثه انه سمع ثوبان يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (سددوا وقاربوا واعلموا ان خير اعمالكم الصلاة ولا يحافظ على الوضوء الا مومن) الراوي : ثوبان | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1034 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৩৫

পরিচ্ছেদঃ ওযূর ফযিলত (কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে ওযূ করার কারণে মর‌্যাদা সমুন্নত হয় এবং পাপ মোচন হয়)

১০৩৫. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছুর সন্ধান দিবোনা, যার মাধ্যমে আল্লাহ গোনাহসমূহ মোচন করে দিবেন এবং মর্যাদা সমুন্নত করবেন? সেটি হলো কষ্ট হওয়া সত্তেও পরিপূর্ণভাবে ওযূ করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে গমন করা এবং এক সালাতের পর আরেক সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই হলো প্রহরা, এটাই হলো প্রহরা, এটাই হলো প্রহরা।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হাদীসের অর্থ হলো গোনাহ থেকে প্রহরা। কেননা ওযূ গোনাহকে মুছে দেয়।”

(بَابُ فَضْلِ الْوُضُوءِ) - ذِكْرُ حطِّ الْخَطَايَا وَرَفْعِ الدَّرَجَاتِ بِإِسْبَاغِ الْوُضُوءِ على المكاره

1035 – أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ بِالْبَصْرَةِ حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (أَلَا أُخْبِرُكُمْ بما يمحوا اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ إِسْبَاغُ الوضوء على المكاره وكثرة الخطى إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ فَذَلِكُمُ الرباط فذلكم الرباط فذلكم الرباط)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1035 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: مَعْنَاهُ الرِّبَاطُ مِنَ الذُّنُوبِ لِأَنَّ الْوُضُوءَ يُكَفِّرُ الذُّنُوبَ.

1035 – اخبرنا الفضل بن الحباب الجمحي بالبصرة حدثنا القعنبي عن مالك عن العلاء بن عبد الرحمن عن ابيه عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: (الا اخبركم بما يمحوا الله به الخطايا ويرفع به الدرجات؟ اسباغ الوضوء على المكاره وكثرة الخطى الى المساجد وانتظار الصلاة بعد الصلاة فذلكم الرباط فذلكم الرباط فذلكم الرباط) الراوي : ابو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1035 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قال ابو حاتم: معناه الرباط من الذنوب لان الوضوء يكفر الذنوب.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৩৬

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, এই হাদীসটি আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে আব্দুর রহমান এককভাবে বর্ণনা করেছেন

১০৩৬. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছুর সন্ধান দিবোনা, যার মাধ্যমে আল্লাহ ভুল-ত্রুটিসমূহ মিটিয়ে দিবে এবং গোনাহসমূহ মোচন করে দিবেন? লোকজন বললো বললো, “জ্বী, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” জবাবে তিনি বলেন, “(সেটি হলো) কষ্ট হওয়া সত্তেও পরিপূর্ণভাবে ওযূ করা, অধিক পদক্ষেপে মসজিদে গমন করা এবং এক সালাতের পর আরেক সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই হলো প্রহরা।”[1]

ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن هَذَا الْخَبَرَ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَعْقُوبَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ

1036 - أَخْبَرَنَا أَبُو عَرُوبَةَ بِحَرَّانَ حَدَّثَنَا هَوْبَرُ بْنُ مُعَاذٍ الْكَلْبِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحِيمِ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ شُرَحْبِيلِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يمحوا اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا ويُكَفِّرُ بِهِ الذُّنُوبَ؟ ) قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: (إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ على المكروهات وكثرة الخطى إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ فَذَلِكَ الرباط)
الراوي : جَابِر بْن عَبْدِ اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1036 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1036 - اخبرنا ابو عروبة بحران حدثنا هوبر بن معاذ الكلبي حدثنا محمد بن سلمة عن ابي عبد الرحيم عن زيد بن ابي انيسة عن شرحبيل بن سعد عن جابر بن عبد الله قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: (الا ادلكم على ما يمحوا الله به الخطايا ويكفر به الذنوب؟ ) قالوا: بلى يا رسول الله قال: (اسباغ الوضوء على المكروهات وكثرة الخطى الى المساجد وانتظار الصلاة بعد الصلاة فذلك الرباط) الراوي : جابر بن عبد الله | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1036 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৩৭

পরিচ্ছেদঃ ওযূর কারণে পাপসমূহ মুছে যাওয়া এবং ওযূকারী ব্যক্তি ওযূ শেষ করার পর গোনাহসমূহ থেকে পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়

১০৩৭. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন কোন মুসলিম (রাবীর সন্দেহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন অথবা কোন মু‘মিন) ব্যক্তি ওযূ করে, অতঃপর সে তার মুখ ধৌত করে, তবে সে তার দুই চোখের মাধ্যমে দৃষ্টিপাত করে যে পাপ করেছে,  সেসব পাপ তার চেহারা থেকে বের হয়ে যায়, পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে অথবা (রাবীর সন্দেহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরকমই কিছু বলেছেন। অতঃপর যখন সে তার দুই হাত ধৌত করে, তবে সে তার দুই হাত দিয়ে ধরে যে পাপ করেছে, সেসব পাপ তার হাত থেকে বের হয়ে যায়, পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে, এভাবে সে পাপসমূহ থেকে পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়।”[1]

ذِكْرُ حَطِّ الْخَطَايَا بِالْوُضُوءِ وَخُرُوجِ الْمُتَوَضِّئِ نَقِيًّا مِنْ ذُنُوبِهِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ وَضُوئِهِ

1037 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ الطَّائِيُّ بمنبح أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ - أَوِ الْمُؤْمِنُ - فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ وَمَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ أَوْ نَحْوَ هَذَا فَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا من الذنوب)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1037 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1037 - اخبرنا عمر بن سعيد بن سنان الطاىي بمنبح اخبرنا احمد بن ابي بكر عن مالك عن سهيل بن ابي صالح عن ابيه عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: (اذا توضا العبد المسلم - او المومن - فغسل وجهه خرجت من وجهه كل خطيىة نظر اليها بعينيه مع الماء ومع اخر قطر الماء او نحو هذا فاذا غسل يديه خرجت من يديه كل خطيىة بطشتها يداه مع الماء او مع اخر قطر الماء حتى يخرج نقيا من الذنوب) الراوي : ابو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1037 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৩৮

পরিচ্ছেদঃ ওযূ করে সালাত আদায়কারী ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ দুই সালাতের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য ক্ষমা করে দেন

১০৩৮. হুমরান রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‍উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একবার আসনে বসে আছেন, এমন সময় মুয়ায্যিন এসে তাকে আসরের সালাতের ব্যাপারে জানান। তখন তিনি ওযূর পানি আনতে বলেন তারপর তিনি ওযূ করেন অতঃপর তিনি বলেন, “অবশ্যই আমি তোমাদেরকে একটি হাদীস শুনাবো, যদি আল্লাহর কিতাবে একটি আয়াত না থাকতো, তবে আমি তা তোমাদের কাছে বর্ণনা করতাম না।” তারপর তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যদি উত্তমরুপে ওযূ করে, তারপর সালাত আদায় করে, তাহলে আল্লাহ তাকে তার মাঝে এবং পরবর্তী সালাত আদায় করার মাঝে ক্ষমা করে দেন।”[1]

মালিক রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমার ধারণা আয়াতটি হলো এই أَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ (আপনি সালাত প্রতিষ্ঠা করুন দিবসের দুই প্রান্তে এবং রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই ভাল কাজসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে অবসারণ করে দেয়। এটা উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ।) (সূরা হুদ: ১১৪।)

ذِكْرُ مَغْفِرَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا مَا بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ لِلْمُتَوَضِّئِ بِوِضُوئِهِ وَصَلَاتِهِ

1038 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حُمْرَانَ:
أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ جَلَسَ عَلَى الْمَقَاعِدِ فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ فَآذَنَهُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ ثم قال: لأحدِّثكم حَدِيثًا لَوْلَا آيَةٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ لَمَّا حدَّثتكموه ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (مَا مِنِ امْرِئٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ الْوُضُوءَ ثُمَّ يُصَلِّي الصَّلَاةَ إِلَّا غفر الله لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلَاةِ الْأُخْرَى حَتَّى يُصَلِّيَهَا) قَالَ مَالِكٌ: أُرَاهُ يُرِيدُ هَذِهِ الْآيَةَ: {أَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ} [هود: 114].
الراوي : حُمْرَان | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1038 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1038 - اخبرنا الحسين بن ادريس الانصاري اخبرنا احمد بن ابي بكر عن مالك عن هشام بن عروة عن ابيه عن حمران: ان عثمان بن عفان جلس على المقاعد فجاءه الموذن فاذنه بصلاة العصر فدعا بماء فتوضا ثم قال: لاحدثكم حديثا لولا اية في كتاب الله لما حدثتكموه ثم قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (ما من امرى يتوضا فيحسن الوضوء ثم يصلي الصلاة الا غفر الله له ما بينه وبين الصلاة الاخرى حتى يصليها) قال مالك: اراه يريد هذه الاية: {اقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل ان الحسنات يذهبن السيىات ذلك ذكرى للذاكرين} [هود: 114]. الراوي : حمران | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1038 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৩৯

পরিচ্ছেদঃ ওযূকারী ব্যক্তিকে ওযূ শেষ করার পর মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন, যখন সে ঠিক ওযূ করে যেভাবে ওযূ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেভাবে সালাত আদায় করে, যেভাবে আদায় সালাত আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

১০৩৯. ‘আসিম বিন সুফইয়ান আস সাকাফী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, তারা ‘সালাসিল’ যুদ্ধ করেছেন অতঃপর শত্রুরা তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। তারপর তারা সীমান্ত পাহাড়ায় নিয়োজিত হন অতঃপর তারা মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসেন, এসময় তাঁর কাছে আবূ আইয়্যূব ও ‘উকবাহ বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উপস্থিত ছিলেন। তখন ‘আসিম বলেন, “হে আবূ আইয়্যূব, এবছর শত্রু আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, আর আমাদের হাদীস বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি চার মসজিদে সালাত আদায় করবে, তার ‍গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” জবাবে তিনি বলেন, “ভাতিজা, আমি কি তোমাকে এর চেয়েও সহজ জিনিসের সন্ধান দিবো? নিশ্চয়ই আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি ওযূ করে, যেভাবে তাকে আদেশ করা হয়েছে এবং সালাত আদায় করে, যেভাবে তাকে সালাত করতে আদেশ করা হয়েছে, তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা করা হবে।” হে উকবাহ, হাদীসটি কি এমনই?” জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “চার মসজিদ হলো মাসজিদুল হারাম, মাসজিদে নববী, মাসজিদে আকসা ও মাসজিদে কুবা। সালাসিল যুদ্ধ মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সময়ে সংঘটিত হয়েছিল আরেক সালাসিল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানায়।”

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا إِنَّمَا يَغْفِرُ ذُنُوبَ الْمُتَوَضِّئِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْهُ إِذَا تَوَضَّأَ كَمَا أُمر وَصَلَّى كَمَا أُمر

1039 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ: أَنَّهُمْ غَزَوْا غَزْوَةَ السَّلَاسِلِ فَفَاتَهُمُ الْعَدُوُّ فَرَابَطُوا ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ أَبُو أَيُّوبَ وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ فَقَالَ عَاصِمٌ: يَا أَبَا أَيُّوبَ فَاتَنَا الْعَدُوُّ الْعَامَ وَقَدْ أُخبرنا أَنَّهُ مَنْ صَلَّى فِي الْمَسَاجِدِ الْأَرْبَعَةِ غُفر لَهُ ذَنْبُهُ قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي أَدُلُّكَ عَلَى مَا هُوَ أَيْسَرُ مِنْ ذَلِكَ؟ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (مَنْ تَوَضَّأَ كَمَا أُمر وَصَلَّى كَمَا أُمر غُفر لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ) أَكَذَلِكَ يَا عقبة؟ قال: نعم.
الراوي : عَاصِم بْن سُفْيَانَ الثَّقَفِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1039 | خلاصة حكم المحدث: حسن.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: الْمَسَاجِدُ الْأَرْبَعَةُ: مَسْجِدُ الْحَرَامِ وَمَسْجِدُ الْمَدِينَةِ وَمَسْجِدُ الْأَقْصَى وَمَسْجِدُ قُبَاءٍ وَغَزَاةُ السَّلَاسِلِ كَانَتْ فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ وَغَزَاةُ السَّلَاسِلِ كَانَتْ فِي أَيَّامِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

1039 - اخبرنا محمد بن الحسن بن قتيبة حدثنا يزيد بن موهب حدثنا الليث بن سعد عن ابي الزبير عن سفيان بن عبد الرحمن عن عاصم بن سفيان الثقفي: انهم غزوا غزوة السلاسل ففاتهم العدو فرابطوا ثم رجعوا الى معاوية وعنده ابو ايوب وعقبة بن عامر فقال عاصم: يا ابا ايوب فاتنا العدو العام وقد اخبرنا انه من صلى في المساجد الاربعة غفر له ذنبه قال: يا ابن اخي ادلك على ما هو ايسر من ذلك؟ اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (من توضا كما امر وصلى كما امر غفر له ما تقدم من ذنبه) اكذلك يا عقبة؟ قال: نعم. الراوي : عاصم بن سفيان الثقفي | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1039 | خلاصة حكم المحدث: حسن. قال ابو حاتم: المساجد الاربعة: مسجد الحرام ومسجد المدينة ومسجد الاقصى ومسجد قباء وغزاة السلاسل كانت في ايام معاوية وغزاة السلاسل كانت في ايام النبي صلى الله عليه وسلم.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪০

পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা করা হবে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এক সালাত থেকে আরেক সালাত পর্যন্ত

১০৪০. উসমান বিন আফ্ফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে ওযূ করবে, যেভাবে মহান আল্লাহ তাকে ওযূ করার নির্দেশ দিয়েছেন, তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মধ্যবর্তী গোনাহের জন্য কাফ্ফারা হয়ে যাবে।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (غُفر لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ) أَرَادَ بِهِ مِنَ الصَّلَاةِ إِلَى الصَّلَاةِ

1040 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ أَنَّهُ سَمِعَ حُمْرَانَ بْنَ أَبَانَ يُحَدِّثُ أَبَا بُرْدَةَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مَنْ أَتَمَّ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا فَالصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ كفارة لما بينهن)
الراوي : عُثْمَان بْن عَفَّانَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1040 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1040 - اخبرنا عبد الله بن محمد الازدي حدثنا اسحاق بن ابراهيم اخبرنا وهب بن جرير حدثنا شعبة عن جامع بن شداد انه سمع حمران بن ابان يحدث ابا بردة عن عثمان بن عفان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: (من اتم الوضوء كما امره الله جل وعلا فالصلوات الخمس كفارة لما بينهن) الراوي : عثمان بن عفان | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1040 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪১

পরিচ্ছেদঃ ওযূকারীর যে গোনাহ মাফের কথা আমরা উল্লেখ করলাম, এটা তখনই হবে সে ব্যক্তি কাবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবে; যে ব্যক্তি কাবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবে না, তার জন্য এটি প্রযোজ্য নয়

১০৪১. আমর বিন সা‘ঈদ বিন ‘আস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান বিন আফ্ফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে ছিলাম, তিনি পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি আনতে বললেন, তারপর তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি ফরয সালাতের সময় উপস্থিত হলে উত্তমভাবে ওযূ করে, উত্তমভাবে রুকু করে, বিনয়ী হয়, তবে এটি তার পূর্বের গোনাহসমুহের জন্য কাফ্ফারা হিসেবে গণ্য হবে, যদি সে কাবীরা গোনাহে লিপ্ত না হয়। আর এটি সর্বকালের জন্যই প্রযোজ্য।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا إِنَّمَا يَغْفِرُ ذُنُوبَ الْمُتَوَضِّئِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا إِذَا كَانَ مُجْتَنِبًا لِلْكَبَائِرِ دُونَ مَنْ لَمْ يَجْتَنِبْهَا

1041 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ مَعَ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فَدَعَا بِطَهُورٍ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يقول (مَا مِنِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ الصَّلَاةُ الْمَكْتُوبَةُ فيُحسن وُضُوءَهَا وَرُكُوعَهَا وَخُشُوعَهَا إِلَّا كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ مَا لَمْ يَأْتِ كبيرة وذلك الدهر كله)
الراوي : عُثْمَان بْن عَفَّانَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1041 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1041 - اخبرنا ابو خليفة حدثنا ابو الوليد الطيالسي هشام بن عبد الملك حدثنا اسحاق بن سعيد بن عمرو بن سعيد بن العاص حدثني ابي عن ابيه قال: كنت مع عثمان بن عفان فدعا بطهور فقال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول (ما من امرى مسلم تحضره الصلاة المكتوبة فيحسن وضوءها وركوعها وخشوعها الا كانت كفارة لما قبلها من الذنوب ما لم يات كبيرة وذلك الدهر كله) الراوي : عثمان بن عفان | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1041 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪২

পরিচ্ছেদঃ দুনিয়ায় ওযূর পানি যে পর্যন্ত পৌঁছবে, জান্নাতবাসীদের অলঙ্কার সেই পৌঁছবে (আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেন আমাদের জান্নাতে অলঙ্কারগুলো সেই পর্যন্ত পৌঁছে)

১০৪২. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতবাসীদের অলঙ্কার ওযূর পানি পৌঁছার স্থান পর্যন্ত পৌঁছবে।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ حِلْيَةَ أَهْلِ الْجَنَّةِ تَبْلُغُهُمْ مَبْلَغَ وُضُوئِهِمْ فِي دَارِ الدُّنْيَا نَسْأَلُ اللَّهَ الْوُصُولَ إِلَى ذَلِكَ

1042 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزُّبَيْرِيُّ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (تَبْلُغُ حلية أهل الجنة مَبْلَغَ الوضوء)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1042 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1042 - اخبرنا احمد بن علي بن المثنى حدثنا عبد الغفار بن عبد الله الزبيري حدثنا علي بن مسهر عن سعد بن طارق عن ابي حازم عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: (تبلغ حلية اهل الجنة مبلغ الوضوء) الراوي : ابو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1042 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪৩

পরিচ্ছেদঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মাতকে কিয়ামতের দিন চেনা যাবে, দুনিয়াতে ওযূর কারণে হাত-পায়ের উজ্জ্বলতার মাধ্যমে

১০৪৩. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার গোরস্থানে গিয়ে বলেন, السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ (আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, মু‘মিনদের আবাস, আর নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথে যুক্ত হবো।)” আমি আশা করি আমার ভাইদের দেখবো।” সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা কি আপনার ভাই না?” জবাবে তিনি বলেন, “তোমরা বরং আমার সাথী। আর আমার ভাই তারা যারা এখনও আসেনি। আমি হাওযে কাউসারে আগেই উপস্থিত হব।” সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনার উম্মাতের যারা এখনও আসেনি, তাদেরকে আপনি কিভাবে চিনবেন?” জবাবে তিনি বলেন, “তোমাদের কী অভিমত, যদি এক পাল কালো ঘোড়ার মাঝে কোন ব্যক্তির উজ্জ্বল হাত-পা-মুখ বিশিষ্ট্য একটি ঘোড়া থাকে, তবে সে কি চিনতে পারবে না?” তাঁরা জবাবে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, অবশ্যই চিনতে পারবে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই তারা (উম্মত) কিয়ামতের দিন ওযূর কারণে হাত-পা-মুখ ‍উজ্জ্বল হয়ে আসবে, আর আমি হাওযে কাওসারে আগেও উপস্থিত হবো। অতঃপর কিছু লোককে আমার হাওযে কাওসার থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে, যেভাবে হারানো উটকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আমি তাদেরকে ডাকবো, “এই, তোমরা এদিকে আসো, এই তোমরা এদিকে আসো।” তখন বলা হবে, “তারা আপনার পর দ্বীনে পরিবর্তন সাধন করেছিল।” অতঃপর আমি বলবো, “তবে দূর হও, তবে দূর হও, তবে দূর হও!”[1]


আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “ভবিষ্যত বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা যায়, অতীত কালে ইনশাআল্লাহ বলা অসম্ভব বিষয়। বস্তুত ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতের বিষয়ে বলা জায়েয। ঈমানের বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলার ক্ষেত্রে মানুষ দুই প্রকার। এক প্রকার বৈধ আরেক প্রকার ইনশাআল্লাহ বললে মানুষ কাফের হয়ে যাবে। যেই প্রকার ইনশাআল্লাহ বলা জায়েয নেই, সেটা হলো কোন ব্যক্তিকে বলা হয়, “তুমি কি আল্লাহ, তাঁর ফেরেস্তা, তাঁর কিতাব, তাঁর রাসূলগণ, জান্নাত, জাহান্নাম, পুনঃরুত্থান, মীযান বা এই জাতীয় জিনিসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো?” এক্ষেত্রে তার জন্য ওয়াজিব হলো জবাবে এমন বলা যে, “আমি নিশ্চিতভাবেই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করি, এসব বিষয়ে আমি প্রকৃতপক্ষেই বিশ্বাস স্থাপন করি। এসব বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা যায় না। কাজেই যখন সে এই সব ব্যাপারে ইনশাআল্লাহ বলবে, সে কাফের হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় প্রকার: যখন কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হয়, “আপনি কি সেসব মু‘মিনদের অন্তর্ভূক্ত যারা সালাত আদায় করে, বিনীতভাবে যাকাত প্রদান করে ও প্রয়োজনীয় কথা-কাজ থেকে বিমুখ থাকে?” অতঃপর সে জবাবে বলে, “ইনশাআল্লাহ আমি আশাবাদী যে, আমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হবো।” অথবা তাকে বলা হলো, “তুমি জান্নাতের অধিবাসী?” অতঃপর সে বলে, “ইনশাআল্লাহ আমি তাদের অন্তর্ভূক্ত হবো।” এই দলীল অত্র হাদীসের মধ্যে পাওয়া যায়, যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ (আর নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথে যুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ।) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু সাহাবাসহ বাকীউল গারকাদ গোরস্থানে গিয়েছিলেন, তাদের মাঝে মু‘মিন সাহাবী ছিলেন আবার কিছু মুনাফিকও ছিল, অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, (আর নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের সাথে যুক্ত হবো ইনশাআল্লাহ।) তিনি এখানে মুনাফিকদের ইনশাআল্লাহ বলেছেন যে, যদি আল্লাহ চান, তারা ইসলাম গ্রহণ করবে অতঃপর তারা তোমাদের সাথে যুক্ত হবে। বস্তুত ভাষা ভবিষ্যত বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলার অনুমোদন করে, যদিও কাজটি ভবিষ্যতে সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ না থাকে। কেননা মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنَيْنِ (ইনশাআল্লাহ, অবশ্যই তোমরা মসজিদুল হারামে নিরাপদে প্রবেশ করবে।) (সূরা ফাতহ: ২৭।)

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ أُمَّةَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُعرف فِي الْقِيَامَةِ بِالتَّحْجِيلِ بِوُضُوئِهِمْ كَانَ فِي الدُّنْيَا

1043 - أخبرنا الفضل بن الحباب الجمجي حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ الْمَقْبَرَةَ فَقَالَ: (السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ وَدِدْتُ أَنِّي قَدْ رَأَيْتُ إِخْوَانَنَا) قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَسْنَا إِخْوَانَكَ؟ قَالَ: (بَلْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانُنَا الَّذِينَ لَمْ يَأْتُوا بَعْدُ وَأَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ) قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ يَأْتِي بَعْدَكَ مِنْ أُمَّتِكَ؟ فَقَالَ: (أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَتْ لِرَجُلٍ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ فِي خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلَا يَعْرِفُ خَيْلَهُ)؟ قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: (فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحجلين مِنَ الْوُضُوءِ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَلَيُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذاد الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ: أَلَا هَلُمَّ أَلَا هَلُمَّ فَيُقَالُ: إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بعدك فأقول: فسُحقاً فسُحقاً فسُحقاً)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1043 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قال أبو حاتم: الاستثناء في المستقبل من الأشياء يَسْتَحِيلُ فِي الشَّيْءِ الْمَاضِي وَإِنَّمَا يَجُوزُ الِاسْتِثْنَاءُ فِي الْمُسْتَقْبَلِ مِنَ الْأَشْيَاءِ وَحَالُ الْإِنْسَانِ فِي الِاسْتِثْنَاءِ عَلَى ضَرْبَيْنِ: إِذَا اسْتَثْنَى فِي إِيمَانِهِ: فضربٌ مِنْهُ يُطلق مُبَاحٌ لَهُ ذَلِكَ وَضَرْبٌ آخَرُ إِذَا اسْتَثْنَى فِيهِ الْإِنْسَانُ كَفَرَ وَأَمَّا الضَّرْبُ الَّذِي لَا يَجُوزُ ذَلِكَ فَهُوَ أَنْ يُقال لِلرَّجُلِ: أَنْتَ مُؤْمِنٌ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْجَنَّةِ وَالنَّارِ وَالْبَعْثِ وَالْمِيزَانِ وَمَا يُشْبِهُ هَذِهِ الْحَالَةَ؟ فَالْوَاجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَقُولَ: أَنَا مُؤْمِنٌ بِاللَّهِ حَقًّا وَمُؤْمِنٌ بِهَذِهِ الْأَشْيَاءِ حَقًّا فهي ما استثنى فَمَتَى مَا اسْتَثْنَى فِي هَذَا كَفَرَ.
وَالضَّرْبُ الثَّانِي: إِذَا سُئل الرَّجُلُ: إِنَّكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ الذين يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ فِيهَا خَاشِعُونَ وعن اللغو معرضون؟ فيقول: أرجو أن أَكُونَ مِنْهُمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ أَوْ يُقَالُ لَهُ: أَنْتَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ؟ فَيَسْتَثْنِي أَنْ يَكُونَ مِنْهُمْ وَالْفَائِدَةُ فِي الْخَبَرِ حَيْثُ قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ) أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ بَقِيعَ الْغَرْقَدِ فِي نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ مُؤْمِنُونَ وَمُنَافِقُونَ فَقَالَ: (إِنَّا - إِنْ شَاءَ اللَّهُ - بِكُمْ لَاحِقُونَ) وَاسْتَثْنَى الْمُنَافِقِينَ أَنَّهُمْ - إِنْ شَاءَ اللَّهُ - يُسْلِمُون فَيَلْحَقُونَ بِكُمْ عَلَى أَنَّ اللُّغَةَ تُسَوِّغُ إِبَاحَةَ الِاسْتِثْنَاءِ فِي الشَّيْءِ الْمُسْتَقْبَلِ وَإِنْ لَمْ يَشُكَّ فِي كَوْنِهِ لِقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ: {لَتَدْخُلُنَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنَيْنِ} [الفتح: 27]

1043 - اخبرنا الفضل بن الحباب الجمجي حدثنا القعنبي عن مالك عن العلاء بن عبد الرحمن عن ابيه عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم دخل المقبرة فقال: (السلام عليكم دار قوم مومنين وانا ان شاء الله بكم لاحقون وددت اني قد رايت اخواننا) قالوا: يا رسول الله السنا اخوانك؟ قال: (بل اصحابي واخواننا الذين لم ياتوا بعد وانا فرطكم على الحوض) قالوا: يا رسول الله كيف تعرف من ياتي بعدك من امتك؟ فقال: (ارايت لو كانت لرجل خيل غر محجلة في خيل دهم بهم الا يعرف خيله)؟ قالوا: بلى يا رسول الله قال: (فانهم ياتون يوم القيامة غرا محجلين من الوضوء وانا فرطهم على الحوض فليذادن رجال عن حوضي كما يذاد البعير الضال اناديهم: الا هلم الا هلم فيقال: انهم قد بدلوا بعدك فاقول: فسحقا فسحقا فسحقا) الراوي : ابو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1043 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قال ابو حاتم: الاستثناء في المستقبل من الاشياء يستحيل في الشيء الماضي وانما يجوز الاستثناء في المستقبل من الاشياء وحال الانسان في الاستثناء على ضربين: اذا استثنى في ايمانه: فضرب منه يطلق مباح له ذلك وضرب اخر اذا استثنى فيه الانسان كفر واما الضرب الذي لا يجوز ذلك فهو ان يقال للرجل: انت مومن بالله وملاىكته وكتبه ورسله والجنة والنار والبعث والميزان وما يشبه هذه الحالة؟ فالواجب عليه ان يقول: انا مومن بالله حقا ومومن بهذه الاشياء حقا فهي ما استثنى فمتى ما استثنى في هذا كفر. والضرب الثاني: اذا سىل الرجل: انك من المومنين الذين يقيمون الصلاة ويوتون الزكاة وهم فيها خاشعون وعن اللغو معرضون؟ فيقول: ارجو ان اكون منهم ان شاء الله او يقال له: انت من اهل الجنة؟ فيستثني ان يكون منهم والفاىدة في الخبر حيث قال صلى الله عليه وسلم: (وانا ان شاء الله بكم لاحقون) انه صلى الله عليه وسلم دخل بقيع الغرقد في ناس من اصحابه فيهم مومنون ومنافقون فقال: (انا - ان شاء الله - بكم لاحقون) واستثنى المنافقين انهم - ان شاء الله - يسلمون فيلحقون بكم على ان اللغة تسوغ اباحة الاستثناء في الشيء المستقبل وان لم يشك في كونه لقوله عز وجل: {لتدخلن المسجد الحرام ان شاء الله امنين} [الفتح: 27]

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪৪

পরিচ্ছেদঃ দুনিয়ায় ওযূর প্রভাবের কারণে কিয়ামতে এই উম্মাহর বিবরণ

১০৪৪. আব্দুল্লাহ বিন মাস‘উদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “সাহাবীগণ বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনার উম্মতের মাঝে যাদেরকে আপনি দেখেননি, তাদেরকে আপনি কিভাবে চিনবেন?” জবাবে তিনি বলেন, “ওযূর প্রভাবের কারণে সাদা-কালো ঘোড়ার ন্যায় তাদের হাত-পা-চেহারাগুলো উজ্জ্বল সাদা থাকবে।”[1]

ذِكْرُ وَصْفِ هَذِهِ الْأُمَّةِ فِي الْقِيَامَةِ بِآثَارِ وُضُوئِهِمْ كَانَ فِي الدُّنْيَا

1044 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا كَامِلُ بْنُ طَلْحَةَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِر عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ
أَنَّهُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ لَمْ تَرَ مِنْ أُمَّتِكَ؟ قَالَ: (غُرٌّ مُحَجَّلُونَ بُلْقٌ من آثار الطُّهُور)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1044 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.

1044 - اخبرنا ابو يعلى قال: حدثنا كامل بن طلحة حدثنا حماد بن سلمة عن عاصم عن زر عن ابن مسعود انهم قالوا: يا رسول الله كيف تعرف من لم تر من امتك؟ قال: (غر محجلون بلق من اثار الطهور) الراوي : ابو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1044 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪৫

পরিচ্ছেদঃ অন্যান্য উম্মাতের লোকেরা সালাতের জন্য ওযূ করলেও হাত-পা-চেহারার উজ্জ্বলতা শুধুমাত্র এই উম্মাতের জন্যই হবে

১০৪৫. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা হাত-পা-চেহারার উজ্জ্বলতা নিয়ে আমার কাছে আসবে, এটি আমার উম্মাতের নিদর্শন, যা অন্য কোন ‍উম্মাতের থাকবে না।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ التَّحْجِيلَ بِالْوُضُوءِ فِي الْقِيَامَةِ إِنَّمَا هُوَ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ فَقَطْ وَإِنْ كَانَتِ الْأُمَمُ قَبْلَهَا تَتَوَضَّأُ لِصَلَاتِهَا

1045 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ عَنْ أَبِي مَالِكٍ الْأَشْجَعِيِّ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَرِدُون غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنَ الْوُضُوءِ سِيْمَا أُمَّتِي لَيْسَ لأحد غيرها)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1045 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1045 - اخبرنا ابو يعلى حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة حدثنا يحيى بن زكريا بن ابي زاىدة عن ابي مالك الاشجعي عن ابي حازم عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (تردون غرا محجلين من الوضوء سيما امتي ليس لاحد غيرها) الراوي : ابو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1045 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪৬

পরিচ্ছেদঃ কিয়ামতের দিন ওযূকারী ব্যক্তির হাত-পা-চেহারার উজ্জ্বলতা হবে দুনিয়াতে যে পর্যন্ত ওযূর পানি পৌঁছবে

১০৪৬. নু‘আইম বিন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ওযূ করতে দেখেছেন, তিনি মুখ ও হাতের প্রায় কাঁধ পর্যন্ত ধৌত করেছেন, তারপর তিনি দুই পা ধৌত করেছেন পায়ের নলা পর্যন্ত তারপর তিনি বলেন, আমি  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমার উম্মাত ওযূর প্রভাবে কিয়ামতের ‍দিন হাত-পা-চেহারার উজ্জ্বল বিশিষ্ট্য হবে।”

অতএব যে ব্যক্তি তার উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নেওয়ার সামর্থ রাখে, সে যেন তা বাড়িয়ে নেয়।”[1]


আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ সুনানু ইবনে মাজাহ: ৪২৮২।) তবে “অতএব যে ব্যক্তি তার উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নেওয়ার সামর্থ রাখে” অংশটুকু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য নয়; বরং আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য। পরবর্তী কোন রাবী সেটাকে হাদীস ভেবে মুল হাদীসের সাথে একাকার করে বর্ণনা করেছেন।”

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ التَّحْجِيلَ يَكُونُ لِلْمُتَوَضِّئِ فِي الْقِيَامَةِ مَبْلَغَ وَضُوئِهِ فِي الدُّنْيَا

1046 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّهُ رَأَى أَبَا هُرَيْرَةَ يَتَوَضَّأُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ حَتَّى كَادَ يَبْلُغَ الْمَنْكِبَيْنِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ حَتَّى رَفَعَ إِلَى السَّاقَيْنِ ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يَقُولُ: (إِنَّ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرٌّ مُحَجَّلُون مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ) فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطيل غُرَّتَهُ فليفعل.
الراوي : نُعَيْم بْن عَبْدِ اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1046 | خلاصة حكم المحدث: صحيح إلا جملة: ((فمن استطاع منكم ..... )) ـ ((الصحيحة)) تحت الحديث (252).

1046 - اخبرنا عبد الله بن محمد بن سلم حدثنا حرملة بن يحيى حدثنا ابن وهب اخبرني عمرو بن الحارث عن سعيد بن ابي هلال عن نعيم بن عبد الله: انه راى ابا هريرة يتوضا فغسل وجهه ويديه حتى كاد يبلغ المنكبين ثم غسل رجليه حتى رفع الى الساقين ثم قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (ان امتي يوم القيامة غر محجلون من اثر الوضوء) فمن استطاع منكم ان يطيل غرته فليفعل. الراوي : نعيم بن عبد الله | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1046 | خلاصة حكم المحدث: صحيح الا جملة: ((فمن استطاع منكم ..... )) ـ ((الصحيحة)) تحت الحديث (252).

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪৭

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ওযূর পর আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রিসালতের সাক্ষ্য দেয়, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়

১০৪৭. ‍উকবা বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমরা একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলাম, এসময় আমরা নিজেরাই নিজেদের সেবক ছিলাম; আমরা পালাক্রমে আমাদের উট চড়াতাম। আমিও কিছু উট চরাচ্ছিলাম। আমি সন্ধায় উটগুলো চড়িয়ে নিয়ে আসি। অতঃপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাই এমন অবস্থায় যে, তিনি লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষন দিচ্ছিলেন। আমি তাঁকে বলতে শুনি যে, তিনি বলছেন, “তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি ‍উত্তমভাবে ওযূ করে, অতঃপর দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করে এমনভাবে যে, সে তাতে তার অন্তর ও চেহারাকে মনোনিবেশ করে, তবে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।”

‍উকবা বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি বললাম, কী চমৎকার কথা!” তখন এক ব্যক্তি বললেন, “এর আগের কথা আরো বেশি চমৎকার!” অতঃপর আমি তার দিকে তাকালাম দেখি তিনি উমার বিন খাত্তাব। আমি বললাম, “হে আবূ হাফস, সেগুলি কী?” তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তুমি আসার আগে এক্ষুনি বলেছেন, “তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওযূ করে, তার ওযূ শেষ করে বলে, أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আমি সাক্ষ্য  দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই, তিনি এক, তার কোন শরীক নেই  এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।) তবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে ইচ্ছামত যে কোন দরজা দিয়ে করবে!”[1]

মু‘আবিয়া বিন আবূ সালিহ বলেছেন, “আমাকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন রাবীআহ বিন ইয়াযিদ থেকে, তিনি উকবাহ বিন আমির থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।”

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এখানে যে আবূ উসমান রাবী রয়েছে, তিনি হারীয বিন উসমান আর রাহাবী হতে পারেন। আর আমরা শেষ সানাদটির উপর নির্ভর করেছি, কেননা হারীয বিন উসমান হাদীসের ক্ষেত্রে মোটেও গ্রহণযোগ্য রাবী নন।”

ذِكْرُ إِيجَابِ دُخُولِ الْجَنَّةِ لِمَنْ شَهِدَ لِلَّهِ بِالْوَحْدَانِيَّةِ وَلِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالرِّسَالَةِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ وَضُوئِهِ

1047 - أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ بِعَسْقَلَانَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ صَالِحٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُدَّامَ أَنْفُسِنَا نَتَنَاوَبُ الرِّعْيَةَ - رِعْيَةَ إِبِلِنَا - فَكُنْتُ عَلَى رِعْيَةِ الْإِبِلِ فَرُحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: (مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فيُحسن الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُومُ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ يُقْبِلُ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ فَقَدْ أَوْجَبَ) قَالَ: فَقُلْتُ: مَا أَجْوَدَ هَذِهِ!! فَقَالَ رَجُلٌ: الَّذِي قَبْلَهَا أَجْوَدُ فنظرتُ فَإِذَا هُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قُلْتُ: مَا هُوَ يَا أَبَا حَفْصٍ؟ قَالَ: إِنَّهُ قَالَ آنِفًا قَبْلَ أَنْ تَجِيءَ: (مَا مِنْ أحدٍ يَتَوَضَّأُ فيُحسن الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ حِينَ يَفْرُغُ مِنْ وَضُوئِهِ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتحت أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ لَهُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شاء)
الراوي : عُقْبَة بْن عَامِرٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1047 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ وحدَّثنيه رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: أَبُو عُثْمَانَ هَذَا يُشْبِهُ أَنْ يَكُونَ حَرِيزَ بْنَ عُثْمَانَ الرَّحَبِيَّ وإنما اعتمادنا على الْإِسْنَادِ الْأَخِيرِ لِأَنَّ حَرِيزَ بْنَ عُثْمَانَ لَيْسَ بشيء في الحديث.

1047 - اخبرنا ابن قتيبة بعسقلان حدثنا حرملة بن يحيى حدثنا ابن وهب سمعت معاوية بن صالح يحدث عن ابي عثمان عن جبير بن نفير عن عقبة بن عامر قال: كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم خدام انفسنا نتناوب الرعية - رعية ابلنا - فكنت على رعية الابل فرحتها بعشي فادركت رسول الله صلى الله عليه وسلم يخطب الناس فسمعته يقول: (ما منكم من احد يتوضا فيحسن الوضوء ثم يقوم فيركع ركعتين يقبل عليهما بقلبه ووجهه فقد اوجب) قال: فقلت: ما اجود هذه!! فقال رجل: الذي قبلها اجود فنظرت فاذا هو عمر بن الخطاب قلت: ما هو يا ابا حفص؟ قال: انه قال انفا قبل ان تجيء: (ما من احد يتوضا فيحسن الوضوء ثم يقول حين يفرغ من وضوىه: اشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له وان محمدا عبده ورسوله الا فتحت ابواب الجنة الثمانية له يدخل من ايها شاء) الراوي : عقبة بن عامر | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1047 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قال معاوية بن صالح وحدثنيه ربيعة بن يزيد عن ابي ادريس عن عقبة بن عامر قال ابو حاتم: ابو عثمان هذا يشبه ان يكون حريز بن عثمان الرحبي وانما اعتمادنا على الاسناد الاخير لان حريز بن عثمان ليس بشيء في الحديث.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪৮

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ওযূ করে রাত্রি যাপন করবে, তার ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সময় ফেরেস্তা তার জন্য ইস্তিগফার করেন

১০৪৮. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন করে রাত্রি যাপন করে, তবে ফেরেস্তা তার পোশাকে রাত্রি যাপন করেন, অতঃপর যখন সে জাগ্রত হয়, ফেরেস্তা বলেন, “হে আল্লাহ, আপনি ওমুক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কেননা সে পবিত্র অবস্থায় রাত্রি যাপন করেছে।”[1]

ذِكْرُ اسْتِغْفَارِ المَلَك لِلْبَائِتِ مُتَطَهِّرًا عِنْدَ اسْتِيقَاظِهِ

1048 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحِ بْنِ ذَرِيحٍ بِعُكْبَرَا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ أَحْمَدُ بْنُ جوَّاس الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ ذَكْوَانَ عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَحْوَلِ عَنْ عَطَاءٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَنْ بَاتَ طَاهِرًا بَاتَ فِي شِعَارِهِ مَلَكٌ فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ إِلَّا قَالَ الْمَلَكُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِكَ فُلَانٍ فَإِنَّهُ بَاتَ طَاهِرًا)
الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1048 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.

1048 - اخبرنا محمد بن صالح بن ذريح بعكبرا حدثنا ابو عاصم احمد بن جواس الحنفي حدثنا ابن المبارك عن الحسن بن ذكوان عن سليمان الاحول عن عطاء عن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (من بات طاهرا بات في شعاره ملك فلم يستيقظ الا قال الملك: اللهم اغفر لعبدك فلان فانه بات طاهرا) الراوي : ابن عمر | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1048 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৪৯

পরিচ্ছেদঃ শয়তান ঘুমানোর সময় যেমন মাথার পশ্চাৎভাগে গিরা দিয়ে থাকে, অনুরুপভাবে ওযূ অঙ্গসমূহেও গিরা দিয়ে থাকে

১০৪৯. উকবাহ বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আজকে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে এমন কথা বলবো না, যিনি তা বলেননি, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার ব্যাপারে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা কথা বলবে, সে যেন তার বাড়ি জাহান্নামে বানিয়ে নেয়।” আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরো বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমার উম্মাতের এক ব্যক্তি রাত্রে উঠে কষ্ট করে পবিত্রতা অর্জন করে। আর এ সময় তোমাদের উপর গিরা দেওয়া থাকে। অতঃপর সে যখন তার দুই হাত ধৌত করে, তখন একটি গিরা খুলে যায়। যখন সে তার মুখ ধৌত করে, তখন একটি গিরা খুলে যায়। যখন সে তার মাথা মাসেহ করে, তখন একটি গিরা খুলে যায়। যখন সে তার দুই পা ধৌত করে, তখন একটি গিরা খুলে যায়। তখন মহান আল্লাহ পর্দার বাইরের ফেরেস্তাদের বলেন, “তোমরা আমার এই বান্দার দিকে দেখো, সে কষ্ট স্বীকার করছে আমার কাছে চাওয়ার জন্য। আমার এই বান্দা যা চেয়েছে, তাকে তা দিয়ে দেওয়া হলো। আমার এই বান্দা যা চেয়েছে, তাকে তা দিয়ে দেওয়া হলো।”[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الشَّيْطَانَ قَدْ يَعْقِدُ عَلَى مَوَاضِعِ الْوُضُوءِ مِنَ الْمُسْلِمِ عُقَدًا كَعُقَدِهِ عَلَى قَافِيَةِ رَأْسِهِ عِنْدَ النَّوْمِ

1049 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ أَنَّ أَبَا عُشَّانة حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ: لَا أَقُولُ الْيَوْمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَمْ يَقُلْ سَمِعْتُ رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (من كذب عليَّ معتمداً فَلْيَتَبَوَّأْ بَيْتًا مِنْ جَهَنَّمَ) وَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (رَجُلٌ مِنْ أُمَّتِي يَقُومُ مِنَ اللَّيْلِ يُعَالِجُ نَفْسَهُ إِلَى الطَّهُورِ وَعَلَيْكُمْ عُقَدٌ فَإِذَا وَضَّأَ يَدَيْهِ انحلَّت عُقْدَةٌ فَإِذَا وضَّأ وَجْهَهُ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ وَإِذَا مَسَحَ رَأْسَهُ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ وَإِذَا وضَّأ رِجْلَيْهِ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَيَقُولُ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا لِلَّذِي وَرَاءَ الْحِجَابِ: انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي هَذَا يُعَالِجُ نَفْسَهُ لَيَسْأَلَنِي مَا سَأَلَنِي عَبْدِي هَذَا فَهُوَ لَهُ مَا سألني عبدي هذا فهو له)
الراوي : عُقْبَة بْن عَامِرٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1049 | خلاصة حكم المحدث: حسن.

1049 - اخبرنا عبد الله بن محمد بن سلم حدثنا حرملة بن يحيى حدثنا ابن وهب اخبرني عمرو بن الحارث ان ابا عشانة حدثه انه سمع عقبة بن عامر يقول: لا اقول اليوم على رسول الله صلى الله عليه وسلم ما لم يقل سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (من كذب علي معتمدا فليتبوا بيتا من جهنم) وسمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول: (رجل من امتي يقوم من الليل يعالج نفسه الى الطهور وعليكم عقد فاذا وضا يديه انحلت عقدة فاذا وضا وجهه انحلت عقدة واذا مسح راسه انحلت عقدة واذا وضا رجليه انحلت عقدة فيقول الله جل وعلا للذي وراء الحجاب: انظروا الى عبدي هذا يعالج نفسه ليسالني ما سالني عبدي هذا فهو له ما سالني عبدي هذا فهو له) الراوي : عقبة بن عامر | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1049 | خلاصة حكم المحدث: حسن.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৫০

পরিচ্ছেদঃ ওযূর ফরয - যে ব্যক্তি ওযূর ফরয আদায় করতে চায়, তাকে পরিপূর্ণভাবে ওযূ করার নির্দেশ

১০৫০. আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “এক সওদার (লেনদেন) মাঝে দুই সওদা করা সুদ। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন পরিপূর্ণভাবে ওযূ করার।”[1]

بَابُ فَرْضِ الْوُضُوءِ - ذِكْرُ الْأَمْرِ بِإِسْبَاغِ الْوُضُوءِ لِمَنْ أَرَادَ أَدَاءَ فرضه

1050 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ زُهَيْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي صَفْوَانَ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ سُفْيَانَ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: (صَفْقَتَانِ فِي صفقةٍ رِبًا وَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بإسباغ الوضوء)
الراوي : عَبْد اللَّهِ بْن مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1050 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1050 - اخبرنا احمد بن يحيى بن زهير حدثنا محمد بن ابي صفوان الثقفي حدثنا ابي عن سفيان عن سماك عن عبد الرحمن ابن عبد الله بن مسعود عن ابيه قال: (صفقتان في صفقة ربا وامرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم باسباغ الوضوء) الراوي : عبد الله بن مسعود | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1050 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৫১

পরিচ্ছেদঃ পরিপূর্ণভাবে ওযূ করার নিয়ত করার সাথে সাথে হাতের আঙ্গুলসমূহের মাঝে খেলাল করার নির্দেশ

১০৫১. লাকীত বিন সাবিরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বানু আল মুনফাক গোত্রের প্রতিনিধি দল হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসি। কিন্তু আমরা তাকে তাঁর বাড়িতে পাইনি, আমরা বাড়িতে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে পেলাম। তিনি আমাদের জন্য খাযীরাহ (হালুয়া জাতীয় খাবার যাতে গোসত টুকরো টুকরো করে বেশি পরিমাণে পানি ও লবন দিয়ে পাকানো হয়, যখন তা পরিপক্ক হয়, তখন তাতে আটা দেওয়া হয় ভালভাবে তা মিশ্রিত করা হয়, তারপর তাতে যে কোন তরকারী দেওয়া হয়) প্রস্তত করার নির্দেশ দিলেন, অতঃপর খাবার প্রস্তুত করা হলো এবং তিনি আমাদের কাছে এক গামলা খেজুর নিয়ে আসলেন। আমরা তা খেলাম। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলেন, এবং বললেন, “তোমরা কি কিছু খেতে পেয়েছো, নাকি আমি তোমাদের জন্য কোন কিছু ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিবো?”
আমরা বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জ্বী, হ্যাঁ (আমরা খেয়েছি)। এভাবে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বসে আছি, এমন সময় রাখাল তার মেষপাল নিয়ে খোয়ারের দিকে যাচ্ছিল, তার সাথে একটি মেষশাবক ছিল, যে আওয়াজ করছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কী বাচ্চা প্রসব করেছে?” সে জবাবে বললো, “মেষশাবক” তিনি বলেন, “তবে তার পরিবর্তে একটি মেষ জবেহ করো।” তারপর তিনি আমার মুখোমুখী হন এবং বলেন, “তুমি মনে করো না যে, তোমার কারণে এটি আমরা জবেহ করেছি। বস্তুত আমাদের একশটি উট আছে, যা এর চেয়ে বেশি হয় না; যখনই কোন মেষ বাচ্চা প্রসব করে, তখনই আমরা তার স্থলে আরেকটি মেষ জবাই করি।”

রাবী বলেন, “আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার একজন স্ত্রী আছে, যার জবান একটু কড়া।” জবাবে তিনি বলেন, “তাহলে তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও।” রাবী বলেন, “আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার গর্ভজাত আমার সন্তান রয়েছে আর সে আমার দীর্ঘ দিনের সঙ্গী।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি তাকে উপদেশ দাও। যদি তার মাঝে কোন কল্যাণ থাকে, তবে অচিরেই তা গ্রহণ করবে। আর ‍তুমি তোমার স্ত্রীকে দাসীর মতো প্রহার করবে না।” রাবী বলেন, “আমি বললাম, হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে ওযূ সম্পর্কে বলুন।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি পরিপূর্ণভাবে ওযূ করবে, তোমার আঙ্গুলসমূহের মাঝে খিলাল করবে, ভালভাবে নাকে পানি দিবে, তবে যদি ‍তুমি সিয়াম পালনকারী হও (তাহলে ভিন্ন কথা)।”[1]

ذِكْرُ الْأَمْرِ بِتَخْلِيلِ الْأَصَابِعِ لِلْمُتَوَضِّئِ مَعَ الْقَصْدِ فِي إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ

1051 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم فلم نصادِفه فِي مَنْزِلِهِ وصادَفْنا عَائِشَةَ فَأَمَرَتْ لَنَا بخزيرة فصُنعت واُتينا بِقِنَاعٍ - وَالْقِنَاعُ الطَّبَقُ فِيهِ التَّمْرُ - فَأَكَلْنَا فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال: (هَلْ أَصَبْتُمْ شَيْئًا؟ أَوْ آمُرُ لَكُمْ بِشَيْءٍ؟ ) قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَبَيْنَمَا نَحْنُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسٌ إِذْ رَفَعَ الرَّاعِي غَنَمَهُ إِلَى الْمُرَاحِ وَمَعَهُ سَخْلَةٌ تَيْعَرُ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَا وَلَّدْتَ؟ ) قَالَ: بَهْمَةٌ قَالَ: (اذْبَحْ مَكَانَهَا شَاةً) ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيَّ فَقَالَ:
(لَا تَحْسِبَنَّ - وَلَمْ يَقُلْ لَا تَحْسَبَنَّ - أنَّا مِنْ أجلِكَ ذَبَحْنَاهَا إنَّ لَنَا غَنَمًا مئة لَا تَزِيدُ فَمَا وَلَدَتْ بَهْمَةً ذَبَحْنَا مَكَانَهَا شَاةً) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِيَ امْرَأَةً فِي لِسَانِهَا شَيْءٌ قَالَ: (فَطَلِّقْهَا إِذًا) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مِنْهَا وَلَدًا وَلَهَا صُحْبَةً قَالَ: (عِظْهَا فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَقْبَلُ وَلَا تَضْرِبْ ظَعِينَتَكَ ضَرْبَكَ أَمَتَكَ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ قَالَ:(أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وخَلِّل بَيْنَ أَصَابِعِكَ وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا)
الراوي : لَقِيط بْن صَبِرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1051 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1051 - اخبرنا احمد بن علي بن المثنى قال: حدثنا سريج بن يونس قال: حدثنا يحيى بن سليم عن اسماعيل بن كثير عن عاصم بن لقيط بن صبرة عن ابيه قال: كنت وافد بني المنتفق الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقدمنا على رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم نصادفه في منزله وصادفنا عاىشة فامرت لنا بخزيرة فصنعت واتينا بقناع - والقناع الطبق فيه التمر - فاكلنا فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: (هل اصبتم شيىا؟ او امر لكم بشيء؟ ) قلنا: نعم يا رسول الله فبينما نحن من رسول الله صلى الله عليه وسلم جلوس اذ رفع الراعي غنمه الى المراح ومعه سخلة تيعر فقال صلى الله عليه وسلم: (ما ولدت؟ ) قال: بهمة قال: (اذبح مكانها شاة) ثم اقبل علي فقال: (لا تحسبن - ولم يقل لا تحسبن - انا من اجلك ذبحناها ان لنا غنما مىة لا تزيد فما ولدت بهمة ذبحنا مكانها شاة) قال: قلت: يا رسول الله ان لي امراة في لسانها شيء قال: (فطلقها اذا) قال: قلت: يا رسول الله ان لي منها ولدا ولها صحبة قال: (عظها فان يك فيها خير فستقبل ولا تضرب ظعينتك ضربك امتك) قال: قلت: يا رسول الله اخبرني عن الوضوء قال:(اسبغ الوضوء وخلل بين اصابعك وبالغ في الاستنشاق الا ان تكون صاىما) الراوي : لقيط بن صبرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1051 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৫২

পরিচ্ছেদঃ যে কারণে পরিপূর্ণভাবে ওযূ করার নির্দেশ দিয়েছেন

১০৫২. আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে মক্কা থেকে মদীনায় ফিরে আসি, এভাবে যখন আমরা পথিমধ্যে ছিলাম, তখন একদল লোক আসরের সময় তাড়াহুড়া করেন এবং তরাপ্রবণ হয়ে ওযূ করেন। রাবী বলেন, শেষ অবধি আমরা তাদের কাছে গেলাম এসময় তাদের পায়ের গোড়ালীগুলো চিকচিক করছিল, যাতে পানি স্পর্শ করেনি। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “গোড়ালীর জন্য জাহান্নামের দুর্ভোগ। তোমরা পরিপূর্ণভাবে ওযূ করবে।”[1]

ذِكْرُ الْعِلَّةِ الَّتِي مِنْ أَجْلِهَا أَمَرَ بِإِسْبَاغِ الوضوء

1052 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ عَنْ أَبِي يَحْيَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: رَجَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى إِذَا كُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ تَعَجَّلَ قوم عند العصر فتوضأوا وَهُمْ عِجَالٌ قَالَ: فَانْتَهَيْنَا إِلَيْهِمْ وَأَعْقَابُهُمْ تَلُوحُ لَمْ يمسَّها الْمَاءُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ أسبغوا الوضوء)
الراوي : عَبْد اللَّهِ بْن عَمْرٍو | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1052 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1052 - اخبرنا ابو يعلى قال: حدثنا ابو خيثمة حدثنا جرير عن منصور عن هلال بن يساف عن ابي يحيى عن عبد الله بن عمرو قال: رجعنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم من مكة الى المدينة حتى اذا كنا ببعض الطريق تعجل قوم عند العصر فتوضاوا وهم عجال قال: فانتهينا اليهم واعقابهم تلوح لم يمسها الماء فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ويل للاعقاب من النار اسبغوا الوضوء) الراوي : عبد الله بن عمرو | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1052 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
১০৫৩

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, ওযূকারীর জন্য ফরয হলো দুই পা মাসেহ করা; ধৌত করা নয়-তার কথা অপনোদনকারী হাদীস

১০৫৩. আবদে খাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাদের নিয়ে ফযরের সালাত আদায় করে তারপর আঙ্গিনায় প্রবেশ করেন, আমরাও তাঁর সাথে গেলাম। অতঃপর তিনি ওযূর পানি আনতে বললেন। তার গোলাম পানিভর্তি পাত্র নিয়ে আসলে তিনি পানি ডান হাতে গ্রহণ করলেন অতঃপর পানি বাম হাতের উপর ঢাললেন এবং তিনবার হাত ধৌত করলেন, হাত পাত্রে ঢুকানোর আগে তিনি হাতের কবজি পর্যন্ত ধুয়ে নেন। তারপর তিনি ডান হাত পাত্রে ঢুকিয়ে দেন এবং এক অঞ্জুলি পানি নিয়ে তা মুখে দেন অতঃপর কুলি করেন এবং নাক ঝাড়েন তিনবার। তারপর তিনি আবার হাত পাত্রে ঢুকান অতঃপর মুখ ধৌত করেন তিনবার। তারপর দুই হাত দিয়ে মাথার সম্মুখভাগ, পশ্চাৎভাগ তথা পুরো মাথা মাসেহ করেন। তারপর আবার ডান হাত পাত্রে ঢুকান অতঃপর ডান পায়ের উপর পানি ঢেলে দেন, পা ধৌত করেন। তারপর আবার হাত পাত্রে ঢুকান অতঃপর হাত বের করেন এবং অপর পা ধৌত করেন। তারপর তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযূ দেখতে ভালবাসে, তার জেনে রাখা উচিৎ যে, এটাই হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওযূ।”[1]

ذكر الخبر المدحض قول من زعم أن الْفَرْضَ عَلَى الْمُتَوَضِّئِ فِي وَضُوئِهِ الْمَسْحُ عَلَى الرِّجلين دُونَ الْغُسْلِ

1053 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ خَيْرٍ قال: صلى علي بن أبي طالب الْفَجْرَ ثُمَّ دَخَلَ الرَّحَبَةَ فَدَخَلْنَا مَعَهُ فَدَعَا بِوَضُوءٍ فَأَتَاهُ الْغُلَامُ بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ وَطَسْتٍ فَأَخَذَ الْإِنَاءَ بِيَمِينِهِ فَأَفْرَغَ عَلَى يَسَارِهِ فَغَسَلَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ غَسَلَ كَفَّيْهِ قَبْلَ أَنْ يُدْخِلَهُمَا الْإِنَاءَ ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى فِي الْإِنَاءِ فَغَرَفَ مِنْهُ مَاءً فَمَلَأَ فَاهُ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلَاثًا ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثًا وَذِرَاعَيْهِ ثَلَاثًا ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ جَمِيعًا مُقَدَّمَهُ ومُؤَخَّرَهُ ثُمَّ أَدْخَلَ الْيُمْنَى فَأَفْرَغَ عَلَى قَدَمِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ ثُمَّ أَخْرَجَهَا فَغَسَلَ الْأُخْرَى ثُمَّ قَالَ: مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى وضوء رسول الله صلى الله عليه وسلم فهذا وضوؤه.
الراوي : عَبْد اللَّهِ بْن عَمْرٍو | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1053 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

1053 - اخبرنا الفضل بن الحباب قال: حدثنا ابو الوليد الطيالسي قال: حدثنا زاىدة بن قدامة عن خالد بن علقمة عن عبد خير قال: صلى علي بن ابي طالب الفجر ثم دخل الرحبة فدخلنا معه فدعا بوضوء فاتاه الغلام باناء فيه ماء وطست فاخذ الاناء بيمينه فافرغ على يساره فغسلها ثلاث مرات غسل كفيه قبل ان يدخلهما الاناء ثم ادخل يده اليمنى في الاناء فغرف منه ماء فملا فاه فمضمض واستنشق ثلاثا ثم ادخل يده في الاناء فغسل وجهه ثلاثا وذراعيه ثلاثا ثم مسح راسه بيديه جميعا مقدمه وموخره ثم ادخل اليمنى فافرغ على قدمه اليمنى فغسلها ثم ادخل يده في الاناء ثم اخرجها فغسل الاخرى ثم قال: من احب ان ينظر الى وضوء رسول الله صلى الله عليه وسلم فهذا وضووه. الراوي : عبد الله بن عمرو | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 1053 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদু খায়ের (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. পবিত্রতা অর্জন (كِتَابُ الطَّهَارَةِ)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 18 19 20 21 পরের পাতা »