পরিচ্ছেদঃ ৭৭. আখিরাতে মু'মিনগন তাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে
৩৪৬। উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর ইবনু মায়সারা (রহঃ) ... সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জান্নাতিগণ যখন জান্নাতে প্রবেশ করবেন তখন আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে বলবেনঃ তোমরা কি চাও আমি আরো অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেই? তারা বলবেঃ আপনি কি আমাদের চেহারা আলোকোজ্জ্বল করে দেননি, আমাদের জান্নাতে দাখিল করেননি এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দেননি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এরপর আল্লাহ তা’আলা আবরণ তুলে নিবেন। আল্লাহর দীদার অপেক্ষা অতি প্রিয় কোন বস্তু তাদের দেওয়া হয়নি।
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ - قَالَ - يَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى تُرِيدُونَ شَيْئًا أَزِيدُكُمْ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوهَنَا أَلَمْ تُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ - قَالَ - فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَمَا أُعْطُوا شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَى رَبِّهِمْ عَزَّ وَجَلَّ " .
Suhaib reported the Apostle (ﷺ) saying:
When those deserving of Paradise would enter Paradise, the Blessed and the Exalted would ask: Do you wish Me to give you anything more? They would say: Hast Thou not brightened our faces? Hast Thou not made us enter Paradise and saved us from Fire? He (the narrator) said: He (God) would lift the veil, and of things given to them nothing would he dearer to them than the sight of their Lord, the Mighty and the Glorious.
পরিচ্ছেদঃ ১২. মু'মিন ব্যক্তি একই গর্তে দু'বার দংশিত হয় না
৭২২৯। হাদ্দাব ইবনু খালিদ আযদী ও ফাররুখ ইবনু শায়বান (রহঃ) ... সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের অবস্থা ভারি অদ্ভুত। তাঁর সমস্ত কাজই তাঁর জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ব্যাতিত অন্য কারো জন্য এ কল্যাণ লাভের ব্যাবস্থা নেই। তাঁরা আনন্দ (সুখ শান্তি) লাভ করলে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে, তা তাঁর জন্য কল্যাণকর হয়, আর দুঃখকষ্টে আক্রান্ত হলে ধৈর্যধারন করে, এও তাঁর জন্য কল্যাণকর হয়।
باب لاَ يُلْدَغُ الْمُؤْمِنُ مِنْ جُحْرٍ مَرَّتَيْنِ
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، وَشَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، جَمِيعًا عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، - وَاللَّفْظُ لِشَيْبَانَ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَجَبًا لأَمْرِ الْمُؤْمِنِ إِنَّ أَمْرَهُ كُلَّهُ خَيْرٌ وَلَيْسَ ذَاكَ لأَحَدٍ إِلاَّ لِلْمُؤْمِنِ إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ وَإِنْ أَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خَيْرًا لَهُ " .
Suhaib reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
Strange are the ways of a believer for there is good in every affair of his and this is not the case with anyone else except in the case of a believer for if he has an occasion to feel delight, he thanks (God), thus there is a good for him in it, and if he gets into trouble and shows resignation (and endures it patiently), there is a good for him in it.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. অগ্নিকুণ্ডের অধিপতি এবং যাদুকর, পাদ্রী ও বালকের ঘটনা
৭২৩৯। হাদ্দাব ইবনু খালিদ (রহঃ) ... সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের পূর্ববর্তী যুগে এক বাদশাহ ছিল। তাঁর ছিল এক যাদুকর। বার্ধক্যে উপনীত হয়ে সে বাদশাকে বলল, আমি তো বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি, সুতরাং একজন কিশোরকে আপনি আমার নিকট পাঠিয়ে দিন, যাকে আমি যাদুবিদ্যা শিক্ষা দিব। তখন যাদুবিদ্যা শিক্ষা দেয়ার জন্য বাদশাহ তাঁর নিকট এক কিশোর (বালক) কে পাঠাল। বালকের যাত্রাপথে ছিল এক পাদ্রী। বালক তাঁর নিকট বসল এবং তাঁর কথা শুনল। তাঁর কথা বালকের পছন্দ হল। অতঃপর বালক যাদুকরের নিকট যাত্রাকালে সর্বদাই পাদ্রির নিকট যেত এবং তাঁর নিকট বসত।
এরপর সে যখন যাদুকরের নিকট যেত তখন সে তাকে প্রহার করত। অবশেষে যাদুকরের ব্যাপারে সে পাদ্রির নিকট অভিযোগ করল। তখন পাদ্রি বলল, তোমার যদি যাদুকরের ব্যাপারে আশংকা হয় তবে বলবে, আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে আসতে বাঁধা দিয়েছে, আর যদি তুমি তোমার পরিবারের লোকদের ব্যাপারে আশংকাবোধ কর তবে বলবে, যাদুকর আমাকে আসতে বাঁধা দিয়েছে।
এমনি একদিন হঠাৎ সে একটি ভয়ানক হিংস্র প্রাণীর সম্মুখীন হল, যা লোকদের পথ আটকিয়ে রেখেছিল। এ অবস্থা দেখে সে বলল, আজই জানতে পারব, যাদুকর উত্তম না পাদ্রী উত্তম। অতঃপর একটি পাথর হাতে নিয়ে সে বলল, হে আল্লাহ্! যদি যাদুকরের তরীকার তুলনায় পাদ্রীর তরীকা আপনার নিকট প্রিয় হয়, পছন্দনীয় হয়, তবে এই প্রস্তারাঘাতে এই হিংস্র প্রাণীটি নিহত করে দিন, যেন লোকজন চলাচল করতে পারে। অতঃপর সে তাঁর প্রতি পাথরটি নিক্ষেপ করল এবং উহাকে মেরে ফেলল। ফলে লোকজন আবার যাতায়াত আরম্ভ করল।
এরপর সে পাদ্রীর নিকট এসে সে সম্পর্কে পাদ্রীকে সংবাদ দিল। পাদ্রী বলল, বৎস আজ তুমি তো আমার থেকেও শ্রেষ্ঠ হয়ে গিয়েছ। তোমার মর্যাদা এ পর্যন্ত পৌঁছেছে যা আমি দেখতে পাচ্ছি। তবে অচিরেই তুমি পরীক্ষার সুম্মুখীন হবে। যদি পরীক্ষার মুখোমুখি হও তবে আমার কথা বলবে না। এ দিকে বালক জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য এবং লোকদের সমুদয় রোগ ব্যাধির চিকিৎসা করতে লাগল। বাদশাহের পরিষদবর্গের এক ব্যাক্তি অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁর সংবাদ সে শুনতে পেয়ে বহু উপহার ও উপঢৌকন নিয়ে তাঁরা তাঁর কাছে আসল এবং তাকে বলল, তুমি যদি আমাকে আরোগ্য দান করতে পার তবে এ সব মাল আমি তোমাকে দিয়ে দিব। এ কথা শুনে বালক বলল, আমি তো কাউকে আরোগ্য দান করতে পারি না। আরোগ্য তো দেন আল্লাহ্ তা’আলা। আপনি যদি আল্লাহর উপন ঈমান আনয়ন করেন তবে আমি আল্লাহর নিকট দু’আ করব, আল্লাহ্ আপনাকে আরোগ্য দান করবেন। অতঃপর তিনি আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করলেন, আল্লাহ্ তা’আলা তাকে রোগমুক্ত করে দিলেন।
অতঃপর সে বাদশাহের নিকট এসে অন্যান্য সময়ের ন্যায় এবারও বসল। বাদশাহ তাকে বললেন, তোমার দৃষ্টিশক্তি কে ফিরিয়ে দিয়েছেন? সে বলল, আমার প্রতিপালক। এ কথা শুনে বাদশাহ বলল, আমি ব্যাতিত তোমার অন্য কোন প্রতিপালকও আছে কি? সে বলল, আমার ও আপনার সকলের প্রতিপালকই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন। অতঃপর বাদশাহ তাকে পাকড়াও করে অব্যাহতভাবে শাস্তি দিতে লাগল। অবশেষে সে বালকের কথা বলে দিন। তখন বালককে আনা হল। বাদশাহ তাকে বললেন, হে বৎস! তুমি তো যাদুতে এত দক্ষ হয়েছ যে, তুমি জন্মান্ধকে ও কুষ্ঠ রোগীকে নিরাময় করে দাও এবং এই কর সেই কর ...। সে বলল, আমি কাউকে নিরাময় করি না। আল্লাহই শিফা দান করেন।
তখন বাদশাহ তাকেও পাকড়াও করে শাস্তি দিতে থাকল। অবশেষে সে পাদ্রীর কথা বলে দিল। এবার পাদ্রীকে ধরে আনা হল এবং তাকে বলা হল তুমি তোমার দ্বীন পরিত্যাগ কর। সে অস্বীকার করল, ফলে তাঁর মাথার তালুতে করাত রেখে তাকে বিদীর্ণ করে ফেল হল। এতে তাঁর দেহ দুই খণ্ড হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। অতঃপর বাদশাহর পরিষদকে আনা হল এবং তাকে বলা হল তোমার দ্বীন থেকে ফিরে আস। সে তা অস্বীকার করলে তার মাথার মাঝখানে করার রাখল এবং তাকেও দুই টুকরা করল। পরিশেষে ঐ বালকটিকে আনা হল এবং তাকেও একই কথা বলা হল যে তুমি তোমার দ্বীন থেকে ফিরে আসো। সেও অস্বীকার করল। অতঃপর বাদশাহ তাকে তাঁর করিপয় সহযোগী (কর্মচারী)’র হাওলা করে দিয়ে বলল, তোমরা তাকে অমুক পাহাড়ে নিয়ে যাও এবং তাকে সহ পাহাড়ে আরোহণ কর। পর্বত শৃঙ্গে পৌছার পর সে যদি তাঁর দ্বীন থেকে ফিরে আসে (তবে ভাল)। অন্যথা তাকে সেখান থেকে ছুঁড়ে মারবে।
তারপর তাঁরা তাকে নিয়ে গেল এবং তাকে সহ পাহাড়ে আরোহণ করল। তখন সে দু’আ করে বলল, হে আল্লাহ্! আপনার যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান (আমাকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন) তৎক্ষণাৎ তাদেরকে সহ পর্বত প্রকম্পিত হতে লাগল। ফলে তাঁরা পাহাড় হতে গড়িয়ে পড়ল। আর সে হেঁটে হেঁটে বাদশাহের নিকট চলে এলো। এ দেখে বাদশাহ তাকে বলল তোমরা সঙ্গীরা কোথায়? সে বলল, আল্লাহ্ আমার জন্য তাদের ব্যাপারে যথেষ্ট হয়েছে (আমাকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করেছেন)।
আবার বাদশাহ তাকে তাঁর কতিপয় সহচরের হাওলা করে বলল, তোমরা তাকে নিয়ে যাও এবং ক্ষুদ্র নৌকায় উঠিয়ে তাকে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে যাও। অতঃপর সে যদি তাঁর দ্বীন থেকে ফিরে আসে তবে ভাল, অন্যথা তোমরা তাকে সমুদ্রে ফেলে দাও। তাঁরা তাকে সমুদ্রে নিয়ে গেল। এবারও সে দু’আ করে বলল, হে আল্লাহ্! আপনার যেভাবে ইচ্ছা তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান (আমাকে তাদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন)। তৎক্ষণাৎ নৌকাটি তাদেরকে সহ উল্টে গেল। ফলে তাঁরা সকেলেই পানিতে ডুবে গেল আর ছেলেটি হেঁটে হেঁটে বাদশাহের নিকট চলে এলো।
বাদশাহ তাকে বলল, তোমার সাথিরা কোথায়? সে বলল, আল্লাহ্ তাদের ব্যাপারে আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছে (আমাকে তাদের কবল থেকে রক্ষা করেছেন)। অতঃপর সে বাদশাহকে বলল, তুমি আমাকে হত্যা করতে পারবে না যে পর্যন্ত না তুমি আমার নির্দেশিত পদ্ধতি মুতাবিক কাজ করবে। বাদশাহ বলল, সে আবার কি? বালক বলল, একটি ময়দানে তুমি লোকদেরকে সমবেত কর, তারপর একটি কাঠের শূলীতে আমাকে উঠিয়ে আমার তীরদানি হতে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রাখ, এরপর بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ (বালকের পালনকর্তা আল্লাহর নামে) বলে আমার দিকে তীর ছুঁড়ে মার। এ যদি কর তবে তুমি আমাকে হত্যা করতে সক্ষম হবে।
তাঁর কথা মোতাবেক বাদশাহ লোকদেরকে এক ময়দানে সমবেত করল এবং তাকে একটি কাঠের শূলীতে চড়াল, অতঃপর তাঁর তীরদানী হতে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রেখে বিসমিল্লাহি রাব্বুল আলামিন বলে তাঁর দিকে ছুঁড়ে মারল। তীর তাঁর কানপট্টিতে গিয়ে বিধল। অতঃপর সে (বালক) কানপট্টিতে তীরের স্থানে নিজের হাত রাখল এবং মারা গেল। এ দেখে সমবেত লোকজন বলে উঠলآمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ “আমরা এই বালকের রবের প্রতি ঈমান আনলাম”।
এই সংবাদ বাদশাহকে জানানো হল এবং তাকে বলা হল লক্ষ্য করেছেন কি? আপনি যে পরিস্থিতি হতে আশংকা করছিলেন, আল্লাহর কসম! সে আশংকাজনক পরিস্থিতই আপনার মাথার উপর চেপে বসেছে। সমস্ত মানুষই বালকের রবের উপর ঈমান আনয়ন করেছে। তখন বাদশাহ রাস্তার মাথায় গর্ত খননের নির্দেশ দিল। গর্ত খনন করা হল এবং তাদের অগ্নি প্রজ্বলিত করা হল। অতঃপর বাদশাহ হুকুম করল যে, যে ব্যাক্তি তাঁর ধর্মমত বর্জন না করবে তাকে তাতে নিক্ষেপ করব, অথবা সে বলল, তাকে বলবে সে যেন অগ্নিতে প্রবেশ করে। লোকেরা তাই করল।
অবশেষে এক মহিলা আসল, তাঁর সঙ্গে ছিল এক শিশু। সে অগ্নিতে পতিত হবার ব্যাপারে ইতস্তত করছিল, এ দেখে শিশু তাকে বলল, হে আম্মাজান, ধৈর্যধারণ করুন, আপনি তো সত্য দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত।
باب قِصَّةِ أَصْحَابِ الأُخْدُودِ وَالسَّاحِرِ وَالرَّاهِبِ وَالْغُلاَمِ
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ، أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كَانَ مَلِكٌ فِيمَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ وَكَانَ لَهُ سَاحِرٌ فَلَمَّا كَبِرَ قَالَ لِلْمَلِكِ إِنِّي قَدْ كَبِرْتُ فَابْعَثْ إِلَىَّ غُلاَمًا أُعَلِّمْهُ السِّحْرَ . فَبَعَثَ إِلَيْهِ غُلاَمًا يُعَلِّمُهُ فَكَانَ فِي طَرِيقِهِ إِذَا سَلَكَ رَاهِبٌ فَقَعَدَ إِلَيْهِ وَسَمِعَ كَلاَمَهُ فَأَعْجَبَهُ فَكَانَ إِذَا أَتَى السَّاحِرَ مَرَّ بِالرَّاهِبِ وَقَعَدَ إِلَيْهِ فَإِذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِبِ فَقَالَ إِذَا خَشِيتَ السَّاحِرَ فَقُلْ حَبَسَنِي أَهْلِي . وَإِذَا خَشِيتَ أَهْلَكَ فَقُلْ حَبَسَنِي السَّاحِرُ . فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أَتَى عَلَى دَابَّةٍ عَظِيمَةٍ قَدْ حَبَسَتِ النَّاسَ فَقَالَ الْيَوْمَ أَعْلَمُ آلسَّاحِرُ أَفْضَلُ أَمِ الرَّاهِبُ أَفْضَلُ فَأَخَذَ حَجَرًا فَقَالَ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ أَمْرُ الرَّاهِبِ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنْ أَمْرِ السَّاحِرِ فَاقْتُلْ هَذِهِ الدَّابَّةَ حَتَّى يَمْضِيَ النَّاسُ . فَرَمَاهَا فَقَتَلَهَا وَمَضَى النَّاسُ فَأَتَى الرَّاهِبَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ أَىْ بُنَىَّ أَنْتَ الْيَوْمَ أَفْضَلُ مِنِّي . قَدْ بَلَغَ مِنْ أَمْرِكَ مَا أَرَى وَإِنَّكَ سَتُبْتَلَى فَإِنِ ابْتُلِيتَ فَلاَ تَدُلَّ عَلَىَّ . وَكَانَ الْغُلاَمُ يُبْرِئُ الأَكْمَهَ وَالأَبْرَصَ وَيُدَاوِي النَّاسَ مِنْ سَائِرِ الأَدْوَاءِ فَسَمِعَ جَلِيسٌ لِلْمَلِكِ كَانَ قَدْ عَمِيَ فَأَتَاهُ بِهَدَايَا كَثِيرَةٍ فَقَالَ مَا هَا هُنَا لَكَ أَجْمَعُ إِنْ أَنْتَ شَفَيْتَنِي فَقَالَ إِنِّي لاَ أَشْفِي أَحَدًا إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ فَإِنْ أَنْتَ آمَنْتَ بِاللَّهِ دَعَوْتُ اللَّهَ فَشَفَاكَ . فَآمَنَ بِاللَّهِ فَشَفَاهُ اللَّهُ فَأَتَى الْمَلِكَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ كَمَا كَانَ يَجْلِسُ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ مَنْ رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ قَالَ رَبِّي . قَالَ وَلَكَ رَبٌّ غَيْرِي قَالَ رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ . فَأَخَذَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبُهُ حَتَّى دَلَّ عَلَى الْغُلاَمِ فَجِيءَ بِالْغُلاَمِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ أَىْ بُنَىَّ قَدْ بَلَغَ مِنْ سِحْرِكَ مَا تُبْرِئُ الأَكْمَهَ وَالأَبْرَصَ وَتَفْعَلُ وَتَفْعَلُ . فَقَالَ إِنِّي لاَ أَشْفِي أَحَدًا إِنَّمَا يَشْفِي اللَّهُ . فَأَخَذَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبُهُ حَتَّى دَلَّ عَلَى الرَّاهِبِ فَجِيءَ بِالرَّاهِبِ فَقِيلَ لَهُ ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ . فَأَبَى فَدَعَا بِالْمِئْشَارِ فَوَضَعَ الْمِئْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ فَشَقَّهُ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بِجَلِيسِ الْمَلِكِ فَقِيلَ لَهُ ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ . فَأَبَى فَوَضَعَ الْمِئْشَارَ فِي مَفْرِقِ رَأْسِهِ فَشَقَّهُ بِهِ حَتَّى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بِالْغُلاَمِ فَقِيلَ لَهُ ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ . فَأَبَى فَدَفَعَهُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ اذْهَبُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَاصْعَدُوا بِهِ الْجَبَلَ فَإِذَا بَلَغْتُمْ ذُرْوَتَهُ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلاَّ فَاطْرَحُوهُ فَذَهَبُوا بِهِ فَصَعِدُوا بِهِ الْجَبَلَ فَقَالَ اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ . فَرَجَفَ بِهِمُ الْجَبَلُ فَسَقَطُوا وَجَاءَ يَمْشِي إِلَى الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ قَالَ كَفَانِيهِمُ اللَّهُ . فَدَفَعَهُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ اذْهَبُوا بِهِ فَاحْمِلُوهُ فِي قُرْقُورٍ فَتَوَسَّطُوا بِهِ الْبَحْرَ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإِلاَّ فَاقْذِفُوهُ . فَذَهَبُوا بِهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ . فَانْكَفَأَتْ بِهِمُ السَّفِينَةُ فَغَرِقُوا وَجَاءَ يَمْشِي إِلَى الْمَلِكِ فَقَالَ لَهُ الْمَلِكُ مَا فَعَلَ أَصْحَابُكَ قَالَ كَفَانِيهِمُ اللَّهُ . فَقَالَ لِلْمَلِكِ إِنَّكَ لَسْتَ بِقَاتِلِي حَتَّى تَفْعَلَ مَا آمُرُكَ بِهِ . قَالَ وَمَا هُوَ قَالَ تَجْمَعُ النَّاسَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ وَتَصْلُبُنِي عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ خُذْ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِي ثُمَّ ضَعِ السَّهْمَ فِي كَبِدِ الْقَوْسِ ثُمَّ قُلْ بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ . ثُمَّ ارْمِنِي فَإِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ قَتَلْتَنِي . فَجَمَعَ النَّاسَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ وَصَلَبَهُ عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ أَخَذَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ ثُمَّ وَضَعَ السَّهْمَ فِي كَبِدِ الْقَوْسِ ثُمَّ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ رَبِّ الْغُلاَمِ . ثُمَّ رَمَاهُ فَوَقَعَ السَّهْمُ فِي صُدْغِهِ فَوَضَعَ يَدَهُ فِي صُدْغِهِ فِي مَوْضِعِ السَّهْمِ فَمَاتَ فَقَالَ النَّاسُ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ آمَنَّا بِرَبِّ الْغُلاَمِ . فَأُتِيَ الْمَلِكُ فَقِيلَ لَهُ أَرَأَيْتَ مَا كُنْتَ تَحْذَرُ قَدْ وَاللَّهِ نَزَلَ بِكَ حَذَرُكَ قَدْ آمَنَ النَّاسُ . فَأَمَرَ بِالأُخْدُودِ فِي أَفْوَاهِ السِّكَكِ فَخُدَّتْ وَأَضْرَمَ النِّيرَانَ وَقَالَ مَنْ لَمْ يَرْجِعْ عَنْ دِينِهِ فَأَحْمُوهُ فِيهَا . أَوْ قِيلَ لَهُ اقْتَحِمْ . فَفَعَلُوا حَتَّى جَاءَتِ امْرَأَةٌ وَمَعَهَا صَبِيٌّ لَهَا فَتَقَاعَسَتْ أَنْ تَقَعَ فِيهَا فَقَالَ لَهَا الْغُلاَمُ يَا أُمَّهِ اصْبِرِي فَإِنَّكِ عَلَى الْحَقِّ " .
Suhaib reported that Allah's Messenger (ﷺ) thus said:
There lived a king before you and he had a (court) magician. As he (the magician) grew old, he said to the king: I have grown old, send some young boy to me so that I should teach him magic. He (the king) sent to him a young man so that he should train him (in magic). And on his way (to the magician) he (the young man) found a monk sitting there. He (the young man) listened to his (the monk's) talk and was impressed by it. It became his habit that on his way to the magician he met the monk and set there and he came to the magician (late). He (the magician) beat him because of delay. He made a complaint of that to the monk and he said to him: When you feel afraid of the magician, say: Members of my family had detained me. And when you feel afraid of your family you should say: The magician had detained me. It so happened that there came a huge beast (of prey) and it blocked the way of the people, and he (the young boy) said: I will come to know today whether the magician is superior or the monk is superior. He picked up a stone and said: O Allah, if the affair of the monk is dearer to Thee than the affair of the magician, cause death to this animal so that the people should be able to move about freely. He threw that stone towards it and killed it and the people began to move about (on the path freely). He (the young man) then came to that monk and Informed him and the monk said: Sonny, today you are superior to me. Your affair has come to a stage where I find that you would be soon put to a trial, and in case you are put to a trial don't give my clue. That young man began to treat the blind and those suffering from leprosy and he in fact began to cure people from (all kinds) of illness. When a companion of the king who had gone blind heard about him, he came to him with numerous gifts and said: If you cure me all these things collected together here would be yours. Be said: I myself do not cure anyone. It is Allah Who cures and if you affirm faith in Allah, I shall also supplicate Allah to cure you. He affirmed his faith in Allah and Allah cured him and he came to the king and sat by his side as he used to sit before. The king said to him: Who restored your eyesight? He said: My Lord. Thereupon he said: It means that your Lord is One besides me. He said: My Lord and your Lord is Allah, so he (the king) took hold of him and tormented him till he gave a clue of that boy. The young man was thus summoned and the king said to him: O boy, it has been conveyed to me that you have become so much proficient in your magic that you cure the blind and those suffering from leprosy and you do such and such things. Thereupon he said: I do not cure anyone; it is Allah Who cures, and he (the king) took hold of him and began to torment him. So he gave a clue of the monk. The monk was thus summoned and it was said to him: You should turn back from your religion. He, however, refused to do so. He (ordered) for a saw to be brought (and when it was done) he (the king) placed it in the middle of his head and tore it into parts till a part fell down. Then the courtier of the king was brought and it was said to him: Turn back from your religion. Arid he refused to do so, and the saw was placed in the midst of his head and it was torn till a part fell down. Then that young boy was brought and it was said to him: Turn back from your religion. He refused to do so and he was handed over to a group of his courtiers. And he 'said to them: Take him to such and such mountain; make him climb up that mountain and when you reach its top (ask him to renounce his faith) but if he refuses to do so, then throw him (down the mountain). So they took him and made him climb up the mountain and he said: O Allah, save me from them (in any way) Thou likest and the mountain began to quake and they all fell down and that person came walking to the king. The king said to him: What has happened to your companions? He said: Allah has saved me from them. He again handed him to some of his courtiers and said: Take him and carry him in a small boat and when you reach the middle of the ocean (ask him to renounce) his religion, but if he does not renounce his religion throw him (into the water). So they took him and he said: O Allah, save me from them and what they want to do. It was quite soon that the boat turned over and they were drowned and he came walking to the king, and the king said to him: What has happened to your companions? He said: Allah has saved me from them, and he said to the king: You cannot kill me until you do what I ask you to do. And he said: What is that? He said: You should gather people in a plain and hang me by the trunk (of a tree). Then take hold of an arrow from the quiver and say: In the name of Allah, the Lord of the young boy; then shoot an arrow and if you do that then you would be able to kill me. So he (the king) called the people in an open plain and tied him (the boy) to the trunk of a tree, then he took hold of an arrow from his quiver and then placed the arrow in the bow and then said: In the name of Allah, the Lord of the young boy; he then shot an arrow and it bit his temple. He (the boy) placed his hands upon the temple where the arrow had bit him and he died and the people said: We affirm our faith in the Lord of this young man, we affirm our faith in the Lord of this young man, we affirm our faith in the Lord of this young man. The courtiers came to the king and it was said to him: Do you see that Allah has actually done what you aimed at averting. They (the people) have affirmed their faith in the Lord. He (the king) commanded ditches to be dug at important points in the path. When these ditches were dug, and the fire was lit in them it was said (to the people): He who would not turn back from his (boy's) religion would be thrown in the fire or it would be said to them to jump in that. (The people courted death but did not renounce religion) till a woman came with her child and she felt hesitant in jumping into the fire and the child said to her: 0 mother, endure (this ordeal) for it is the Truth.
পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন
১৭/১৯০৫। সুহাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করে যাবে, তখন মহান বরকতময় আল্লাহ বলবেন, ’তোমরা কি চাও যে, আমি তোমাদের জন্য আরও কিছু বেশি দিই?’ তারা বলবে, ’তুমি কি আমাদের মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করে দাওনি? আমাদেরকে তুমি জান্নাতে প্রবিষ্ট করনি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাওনি?’ অতঃপর আল্লাহ [হঠাৎ] পর্দা সরিয়ে দেবেন [এবং তারা তাঁর চেহারা দর্শন লাভ করবে]। সুতরাং জান্নাতের লব্ধ যাবতীয় সুখ-সামগ্রীর মধ্যে জান্নাতিদের নিকট তাদের প্রভুর দর্শন [দীদার]ই হবে সবচেয়ে বেশী প্রিয়।’’ (মুসলিম) [1]
মহান আল্লাহ বলেছেন,
﴿إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ يَهْدِيهِمْ رَبُّهُمْ بِإِيمَانِهِمْ ۖ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهِمُ الْأَنْهَارُ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ ٩ دَعْوَاهُمْ فِيهَا سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَتَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَامٌ ۚ وَآخِرُ دَعْوَاهُمْ أَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ١٠ ﴾ [يونس : ٩، ١٠]
অর্থাৎ নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস করেছে এবং ভাল কাজ করেছে তাদের প্রতিপালক তাদের বিশ্বাসের কারণে তাদেরকে পথ প্রদর্শন করবেন, শান্তির উদ্যানসমূহে তাদের [বাসস্থানের] তলদেশ দিয়ে নদীমালা প্রবাহিত থাকবে। সেখানে তাদের বাক্য হবে, ’সুবহানাকাল্লাহুম্মা’ [হে আল্লাহ! তুমি মহান পবিত্র]! এবং পরস্পরের অভিবাদন হবে সালাম। আর তাদের শেষ বাক্য হবে, ’আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন’ [সমস্ত প্রশংসা সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য]। (সূরা ইউনুস ৯-১০]
الحَمْدُ للهِ الَّذِي هَدَانَا لِهَذَا وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِي لَوْلاَ أَنْ هَدَانَا اللهُ . اَللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُولِكَ النَّبيِّ الأُمِّيِّ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ وَأزوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كما صَلَّيْتَ عَلَى إبْرَاهِيمَ وعلى آلِ إبْراهِيمَ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبيِّ الأُمِّيِّ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ وَأزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كما بَاركْتَ عَلَى إبْرَاهِيمَ وَعَلَى آل إبراهيم في العالَمِينَ إنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ .
(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ
وَعَنْ صُهَيبٍ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الجَنَّةِ الجَنَّةَ يَقُولُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: تُريدُونَ شَيئاً أَزِيدُكُمْ ؟ فَيَقُولُونَ : أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوهَنَا ؟ أَلَمْ تُدْخِلْنَا الجَنَّةَ وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ ؟ فَيَكْشِفُ الحِجَابَ، فَمَا أُعْطُوا شَيْئاً أَحَبَّ إلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إلَى رَبِّهِمْ».رواه مسلم .
(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise
Suhaib (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When the inhabitants of Jannah enter Jannah, Allah, the Glorious and Exalted, will say to them: 'Do you wish me to give you anything more?' They will reply: 'Have You not made our faces bright? Have You not brought us into Jannah and delivered us from the Hell?' And Allah will remove the Veil. The (dwellers of Jannah) will feel that they have not been awarded anything dearer to them than looking at their Rubb."
[Muslim].
Allah, the Exalted, says:
"Verily, those who believe and do deeds of righteousness, their Rubb will guide them through their Faith; under them will flow rivers in the Gardens of Delight (Jannah). Their way of request therein will be Subhanaka Allahumma (Glory to You, O Allah!) and Salam (peace, safety from evil) will be their greetings therein (Jannah)! and the close of their request will be: Al-hamdu lillahi Rabbil-'Alamin [All the praises and thanks are to Allah, the Rubb of 'Alamin (mankind, jinn and all that exists)]." (10:9,10)
পরিচ্ছেদঃ ১৭৬. নামাযে রত থাকাকালে সালামের জবাব দেয়া।
৯২৫. ইয়াযিদ ইবনে খালিদ (রহঃ) .... সুহাইব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাজির হয়ে তাঁকে নামাযরত অবস্থায় দেখতে পাই সালাম দেই। এ সময় তিনি আঙ্গুলের ইশারায় এর জবাব দেন। (নাসাঈ, তিরমিযী)।
باب رَدِّ السَّلاَمِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ مَوْهَبٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ اللَّيْثَ، حَدَّثَهُمْ عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ نَابِلٍ، صَاحِبِ الْعَبَاءِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ صُهَيْبٍ، أَنَّهُ قَالَ مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ إِشَارَةً . قَالَ وَلاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ قَالَ إِشَارَةً بِأُصْبُعِهِ وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِ قُتَيْبَةَ .
Narrated Suhayb:
I passed by the Messenger of Allah (ﷺ) who was praying. I saluted him and he returned it by making a sign.
The narrator said: I do not know but that he said: He made a sign with his finger. This is the version reported by Qutaybah.
পরিচ্ছেদঃ ৬/ নামাজ আদায়কালীন ইশারায় সালামের জবাব দেয়া।
১১৮৯। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাশ দিয়ে (একদা) যাচ্ছিলাম, তখন তিনি সালাত আদায় করছিলেন। আমি তাকে সালাম করলে তিনি ইশারায় আমার সালামের উত্তর দিলেন। আমি এর বেশি কিছু জানি না যে, তিনি [সুহায়ব (রাঃ)] বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করেছিলেন।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ نَابِلٍ، صَاحِبِ الْعَبَاءِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ صُهَيْبٍ، صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَرْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَىَّ إِشَارَةً وَلاَ أَعْلَمُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ بِإِصْبَعِهِ .
It was narrated that Suhaib, the Companion of the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"I passed by the Messenger of Allah (ﷺ) when he was praying, and greeted him with Salam. He returned my greeting with a gesture, or maybe it was just with his finger."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. জাহমিয়াহ্ সম্প্রদায় যা অমান্য করে
১১/১৮৭। সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) যারা কল্যাণকর কাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং আরো অধিক- (সূরাহ ইউনুস ১০ঃ ২৬)। অতঃপর তিনি বলেনঃ জান্নাতীরা জান্নাতে এবং জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করার পর এক ঘোষণাকারী ডেকে বলবেঃ জান্নাতবাসীগণ! নিশ্চয় তোমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার একটি প্রতিশ্রুতি রয়েছে যা তিনি এখন পূর্ণ করবেন। তারা বলবে, তা কী? আল্লাহ তাআলা কি আমাদের (সৎ কর্মের) পাল্লা ভারী করেননি, আমাদের চেহারাগুলো আলোকিত করেননি, আমাদেরকে জান্নাতে দাখিল করেননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন আল্লাহ তাআলা আবরণ উন্মুক্ত করবেন এবং তারা তাঁর দিকে তাকাবে। আল্লাহ্র শপথ! আল্লাহ তাদেরকে তার দীদারের চাইতে অধিক প্রিয় ও অধিক নয়নপ্রীতিকর আর কিছু দান করেননি।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب فِيمَا أَنْكَرَتْ الْجَهْمِيَّةُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ تَلاَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ هَذِهِ الآيَةَ (لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ) وَقَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ وَأَهْلُ النَّارِ النَّارَ نَادَى مُنَادٍ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا يُرِيدُ أَنْ يُنْجِزَكُمُوهُ . فَيَقُولُونَ وَمَا هُوَ أَلَمْ يُثَقِّلِ اللَّهُ مَوَازِينَنَا وَيُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَيُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَيُنْجِنَا مِنَ النَّارِ قَالَ فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ فَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمُ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ وَلاَ أَقَرَّ لأَعْيُنِهِمْ " .
It was narrated that Suhaib said:
"The Messenger of Allah recited this Verse: 'For those who have done good is the best reward and even more.' Then he said: 'When the people of Paradise enter Paradise, and the people of the Fire enter the Fire, a caller will cry out: "O people of Paradise! You have a covenant with Allah and He wants to fulfill it." They will say: "What is it?" Has Allah not made the Balance (of our good deeds) heavy, and made our faces bright, and admitted us to Paradise and saved us from Hell?" Then the Veil will be lifted and they will look upon Him, and by Allah, Allah will not give them anything that is more beloved to them or delightful, than looking upon Him.'"
পরিচ্ছেদঃ ১২/৬৩. শারীকাত (অংশিদারী) ও মুদারাবা ব্যবসা
৩/২২৮৯। সুহাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিসের মধ্যে বরকত রয়েছেঃ মেয়াদ নির্দিষ্ট করে ক্রয়-বিক্রয়, মুকারাযা ব্যবসা এবং পারিবারিক প্রয়োজনে গমে যব মিশনো, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়।
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ১. নাসর ইবনুল কাসিম সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিস বানোয়াট। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৪০৯, ২৯/৩৬৫ নং পৃষ্ঠা) ২. আব্দুর রহমান বিন দাউদ সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী ও ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তিনি অপরিচিত ও তার হাদিস অরক্ষিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪০৫, ১৮/৩৩ নং পৃষ্ঠা) ৩. সালিহ বিন সুহায়ব সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি অপরিচিত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৮২০, ১৩/৬০ নং পৃষ্ঠা)
بَاب الشَّرِكَةِ وَالْمُضَارَبَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ ثَابِتٍ الْبَزَّارُ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ دَاوُدَ، عَنْ صَالِحِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " ثَلاَثٌ فِيهِنَّ الْبَرَكَةُ الْبَيْعُ إِلَى أَجَلٍ وَالْمُقَارَضَةُ وَإِخْلاَطُ الْبُرِّ بِالشَّعِيرِ لِلْبَيْتِ لاَ لِلْبَيْعِ " .
lt was narrated from Salih bin Suhaib that his father said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'There are three things in which there is blessing: A sale with deferred payment; Muqaradhah (profit sharing); and mixing wheat with barley for one's house, but not for sale."'
পরিচ্ছেদঃ সালাতে ইশারা করা।
৩৬৭. কুতায়বা (রহঃ) .... সুহায়ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি একবার রাসূূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি আমাকে ইশারায় জওয়াব দিলেন। - সহিহ আবু দাউদ ৮৫৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৬৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
রাবি লায়স ইবনু সা’দ বলেনঃ আমি নিশ্চিত যে,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করেছিলেন বলে সুহায়ব রাদিয়াল্লাহু আনহু উল্লেখ করেছেন। এই বিষয়ে বিলাল, আবূ হুরায়রা, আনাস এবং আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي الإِشَارَةِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ نَابِلٍ، صَاحِبِ الْعَبَاءِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ إِلَىَّ إِشَارَةً . وَقَالَ لاَ أَعْلَمُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ إِشَارَةً بِإِصْبَعِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بِلاَلٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَعَائِشَةَ .
Suhaib narrated:
"I passed by Allah's Messenger (S) while he was performing Salat, so I said greeted him with Salam, and he returned it by making signals." He said: "I do not know except that he said: 'He indicated with his finger.'"
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্ পাকের দীদার।
২৫৫৪. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... সুহায়ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,(لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ) যারা নেক কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নেক বদলা এবং আরো বেশী (ইউনুস ১০ঃ ২৬) সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতীগণ যখন জান্নাতে দাখিল হয়ে যাবে তখন এক আহবানকারী হেঁকে বলবেঃ আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য আরো ওয়াদা রয়েছে।
জান্নাতীরা বলবেঃ তিনি কি আমাদের চেহারা সমুজ্জ্বল করে দেন নি? আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেননি এবং জান্নাতে দাখিল করেননি? আহ্বানকারী বলবেঃ অবশ্যই। অনন্তর (আল্লাহর দীদারের জন্য) পর্দা তুলে দেওয়া হবে। আল্লাহর কসম, আল্লাহর দীদার অপেক্ষা প্রিয় আর কোন জিনিস তিনি তাদের দিবেন না।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৮৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাম্মাদ ইবন সালামা (রহঃ) এই হাদীসটিকে মুসনাদ ও মারফু’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সুলায়মান ইবন মুগীরা হাদীসটিকে ছাবিত বুনানী আবদুর রহমান ইবন আবূ লায়লা (রহঃ) সূত্রে ইবন আবী লায়লা (রহঃ) এর বক্তব্য হিসাবে রিওয়ায়ত করেছেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي رُؤْيَةِ الرَّبِّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِه: (لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ) قَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ نَادَى مُنَادٍ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا . قَالُوا أَلَمْ يُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَيُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ وَيُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ قَالُوا بَلَى . قَالَ فَيُكْشَفُ الْحِجَابُ قَالَ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمْ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا أَسْنَدَهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَرَفَعَهُ . وَرَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَوْلَهُ .
Suhaib narrated concerning His (Allah's) statement:
For those who do good is the best (reward) and even more- the Prophet (s.a.w) said: "When the people of Paradise enter Paradise, a caller shall call out: 'Indeed you have a promise with Allah.' They will say: 'Did he not whiten our faces, save us from the Fire, and admit us into Paradise?' They will say: 'Indeed.' Then the Veil shall be lifted." He said: "So, by Allah, He did not grant them anything more beloved to them than looking at Him."
পরিচ্ছেদঃ যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৮. মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল ওয়াসিতী (রহঃ) ..... সুহায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনে উদ্ধৃত হারাম কাজকে হালাল মনে করে সে কুরআনের উপর ঈমান আনেনি।
যঈফ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ২২০৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মুহাম্মাদ ইবন ইয়াযীদ ইবন সিনান (রহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এই সনদে তিনি মুজাহিদ-সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-এর উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াযীদ (রহঃ)-এর রিওয়ায়তের সমার্থক কোন রিওয়ায়ত নেই। ইনি যঈফ। আবুল মুবারক (রহঃ) হলেন অজ্ঞাত। এই হাদীসটির সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। ওয়াকী’-এর রিওয়ায়তের বিরোধিতা রয়েছে।
মুহাম্মাদ বুখারী (রহঃ) বলেনঃ আবূ ফারওয়া ইয়াযীদ ইবন সিনান রাহবী-এর হাদীস বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। তবে তাঁর পুত্র মুহাম্মাদ তার বরাতে যে রিওয়ায়ত করেছেন সেগুলোর কথা ভিন্ন। কেননা তিনি তার বরাতে বহু মুনকার রিওয়ায়ত করেছেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو فَرْوَةَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا آمَنَ بِالْقُرْآنِ مَنِ اسْتَحَلَّ مَحَارِمَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَقَدْ خُولِفَ وَكِيعٌ فِي رِوَايَتِهِ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ أَبُو فَرْوَةَ يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ الرُّهَاوِيُّ لَيْسَ بِحَدِيثِهِ بَأْسٌ إِلاَّ رِوَايَةَ ابْنِهِ مُحَمَّدٍ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَرْوِي عَنْهُ مَنَاكِيرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ عَنْ أَبِيهِ هَذَا الْحَدِيثَ فَزَادَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ صُهَيْبٍ وَلاَ يُتَابَعُ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ عَلَى رِوَايَتِهِ وَهُوَ ضَعِيفٌ وَأَبُو الْمُبَارَكِ رَجُلٌ مَجْهُولٌ .
Narrated Suhaib:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "He does not believe in the Qur'an who makes lawful what it prohibits."
পরিচ্ছেদঃ সূরা ইউনুস
৩১০৫. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... সুহায়ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্ তা’আলা এ বাণীঃ (لِلََّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ) যারা মঙ্গলকর কাজ করে তাদের জন্য আছে মঙ্গল এবং আরো অধিক (১০ঃ ২৬) প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতীরা যখন জান্নাতে দাখিল হবে তখন এ আহবানকারী ঘোষাণা দিবে আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য একটি ওয়াদাকৃত বস্তু রয়ে গেছে। তিনি তা তোমাদের জন্য পূরণ করে দিতে চান।
তারা বলবেঃ তিনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল করে দেন নি? আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন নি এবং জান্নাতে দাখিল করেন নি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এরপর আল্লাহর হিজাব উন্মোচিত করে দেওয়া হবে। আল্লাহর কসম, তাদের কাছে তাঁর দীদারের চেয়ে অধিক পছন্দনীয় আর কোন জিনিস আল্লাহ্ তা’আলা তাদের দেননি।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৮৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১০৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাম্মাদ ইবন সালামা (রহঃ) এর এ রিওয়ায়াতটি তাঁর বরাতে একাধিক রাবী এরূপ মারফূ’রূপে রিওয়ায়ত করেছেন। সুলায়মান ইবন মুগীরা এ হাদীসটি ছাবিত (রহঃ) সূত্রে আবদুর রহমান ইবন আবূ লায়লা-এর উক্তি হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এতে তিনি সুহায়ব রাদিয়াল্লাহু আনহু ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উল্লেখ করেন নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ يُونُسَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّّ : (لِلََّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ ) قَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ نَادَى مُنَادٍ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا يُرِيدُ أَنْ يُنْجِزَكُمُوهُ قَالُوا أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ وَتُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ قَالَ فَيُكْشَفُ الْحِجَابُ . قَالَ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمُ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ مَرْفُوعًا . وَرَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَوْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ صُهَيْبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Suhaib:
from the Prophet (ﷺ), regarding the saying of Allah Most High: And for those who have done good is the best and even more (10:26) - He (ﷺ) said: "When the inhabitants of Paradise have entered Paradise a caller will call out: 'Indeed there remains for you a promise with Allah, and He wants to reward you with it.' They will say: 'Have your faces not been made bright, have we not been saved from the Fire, and have we not been admitted into Paradise?'" He said: "So the Veil will be lifted." He said: "By Allah! Nothing given to them [by Allah] will be more beloved to them than looking at Him."
পরিচ্ছেদঃ সূরা বুরুজ
৩৩৪০. মুহাম্মদ ইবন গায়লান ও আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... সুহায়ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত (নামায) আদায় করে ঠোঁট নাড়াচড়া করতেন। তিনি যেন কথা বলছেন। তাঁকে বলা হল ইয়া রাসুলাল্লাহ! আসরের সালাত (নামায) শেষে আপনি যেন চুপে চুপে কথা বলেন?
তিনি বললেন নবীগণের কোন একজন তাঁর উম্মত নিয়ে গৌরববোধ করছিলেন। বলেছিলেনঃ এদের মুকাবিলায় কে দাঁড়াতে পারবে। তারপর আল্লাহ তা’আলা তার নিকট ওয়াহী পাঠালেনঃ আমি তাদের শাস্তি দিব বা তাদের উপর শত্রু চাপিয়ে দিব। এ দুয়ের একটি গ্রহন করার জন্য তাদের ইখতিয়ার দিন। তারা শাস্তিকেই গ্রহণ করে নিল। সে মতে আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর মৃত্যু চাপিয়ে দিলেন। ফলে একদিনেই তাদের সত্তর হাজার লোকের মৃত্যু হল।
এ হাদীসটি বর্ণনার সাথে তিনি পরবর্তী এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন। তিনি বলেনঃ কোন এক বাদশা ছিল। তার ছিল একজন গনক। সে তার জন্য ভবিষ্যৎ গণনা করত। একবার তাকে ঐ গণক বললঃ একটি বুদ্ধিমান শক্তি সম্পন্ন বালক তালাশ করুন। আমি তাকে আমার এ জ্ঞান শিক্ষা দিব। কারণ আমার আশংকা হয় যদি আমি মারা যাই তবে আপনাদের থেকে এ জ্ঞান শেষ হয়ে যাবে। এই জ্ঞানের আধিকারী আপনাদের মধ্যে কেউ থাকবে না। তাদের বর্ণনানুযায়ি এক বালক তারা তালাশ করে বের করল। তারা তাকে গনকের কাছে হাযির হতে নির্দেশ দিল এবং তার কাছে আসা-যওয়া করতে বলল। সে মতে বালকটি তার কাছে আসা-যাওয়া করলে লাগল। আসা-যাওয়ার পথে এক গীর্জায় এক জন পাদ্রী থাকত। (বর্ণনাকারী মা’মার (রহঃ) বলেন, তৎকালে গীর্জার উপাসনাকারিগণ সত্য দ্বীন বিশ্বাসী ছিলেন)। বালকটি যখনই সেখান দিয়ে যেত সে পাদ্রীকে তার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করত। শেষে পাদদ্রী তাকে জানালঃ আমি আল্লাহর ইবাদত করি।
বালকটি পাদ্রীর কাছে সময় দিতে লাগল এবং উক্ত গনকের কাছে যেতে দেরী করতে লাগল। এতে গণক বালকটির পরিবার পরিজনকে খবর পাঠায় যে সে প্রায়ই হাজির হয় না। বালকটি পাদ্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করে। পাদ্রী তাকে বললঃ গণক যদি তোমাকে জিজ্ঞাসা করে যে, তুমি কোথায় ছিলে, তবে তুমি বলবে যে, তুমি তোমার পরিবারের লোকদের কাছেই ছিলে। আর তোমার পরিবারের লোকরা যখন জিজ্ঞাসা করবে তখন বলবে গণকের কাছে ছিলে।
এভাবেই চলছিল। একদিন বালকটি মানুষের এক বিরাট ভিড়ের নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করছিল। লোকদেরকে একটা হিংস্র জন্তু পথ আটকে রেখেছিল। কোন কোন রাবী বলেছেন। এ জন্তুটি ছিল একটা সিংহ। বালকটি একটা পাথর হাতে নিয়ে বললঃ হে আল্লাহ! পাদ্রী যা বলে তা যদি সত্য হয়ে থাকে তবে তোমার কাছে প্রার্থনা করছি যে, আমি যেন জন্তুটিকে হত্যা করতে পারি। এরপর সে পাথরটি ছুড়ে মারল এবং জন্তুটি মারা গেল। লোকেরা বলতে লাগল কে এ জন্তুটি হত্যা করেছে? অন্যরা বলল এ বালকটি। মানুষের মাঝে এতে আলোড়নের সৃষ্টি হয়। তারা বলাবলি করতে থাকে যে, এই বালকটি এমন কিছু জ্ঞান শিখেছে যা অন্যরা শিখেনি। এক অন্ধও বালকটির কথা শুনতে পায়। সে তাকে বললঃ তুমি যদি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পার তবে তুমি অমুক অমুক জিনিস পাবে।
বালকটি বললঃ আমি তোমার কাছে এই আর্থ চাই না। কিন্তু তুমি যদি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাও তবে কি তুমি সেই সত্তার উপর ঈমান আনবে যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিবেন? সে বললঃ হ্যাঁ। তখন বালকটি আল্লাহর কাছে দু’আ করল। আল্লাহ এ অন্ধের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন। তারপর এ অন্ধ ঈমান গ্রহণ করল।
সেই বাদশাহর কাছে তাদের এ ঘটনার সংবাদ পৌঁছল। সে তখন লোক পাঠিয়ে তাদের ধরে আনল। বললঃ তোমাদের প্রত্যেককে আমি এমন ভাবে হত্যা করব যে, কাউকে এমনভাবে আমি আর হত্যা করিনি। তার নির্দেশে পাদ্রী এবং অন্ধ লোকটির একজনকে মাথার সিথি থেকে করাত দিয়ে চিরে শহীদ করে দেওয়া হল এবং আন্যজনকে অন্য একভাবে হত্যা করা হল।
পরে বালকটি সম্পর্কে সে নির্দেশ দিয়ে বলরঃ তাকে নিয়ে অমুক পাহাড়ে যাও এবং চূড়া থেকে তাকে ফেলে দিবে। লোকেরা তাকে পাহাড়ে নিয়ে গেল। যে স্থান থেকে তাকে ফেলে দেওয়ার ইচ্ছা করছিল। সে স্থানে তারা পৌছার পর নিজেরাই গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে গেল। বালকটি ছাড়া আর কেউ তাদের বাকী রইল না। শেষে বালকটি ফিরে এল। বাদশাহ তাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। তদনুসারে তাকে সাগরে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু যারা সঙ্গে গিয়েছিল তাদেরকে আল্লাহ ডুবিয়ে দিলেন আর বালকটিকে বাঁচিয়ে দিলেন।
শেষে বালকটি বাদশাহকে বললঃ শূলীতে ঝুলিয়ে তীর নিক্ষেপ করে মারা ভিন্ন তুমি আমাকে হত্যা করতে পারবে না। আর যখন তীর নিক্ষেপ করবে তখন বলবেঃ ’’এই বালকটির প্রতিপালক আল্লাহর নামে’’। যা হোক, বাদশা উক্ত মর্মে নির্দেশ জারি করে এবং বালকটিকে শূলীতে ঝুলিয়ে ’এই বালকটির রব আল্লাহর নামে’ বলে তাকে তীর ছোড়া হল। তীর নিক্ষেপের সময় বালকটি তার হাত কানপট্রিতে স্থাপন করে রেখেছিল।
লোকেরা বললঃ এ বালকটি এমন এক জ্ঞানর অধিকারী - যা আর কেউ জানে না। এই বালকের রবের উপর আমরা ঈমান আনলাম। বাদশাহকে বালা হল মাত্র তিন ব্যাক্তি তোমার বিরোধিতা করায় তুমি ঘাবড়িয়ে গিয়েছিলে আর এখন পৃথিবীর সবাই তোমার বিরোধী হয়ে উঠেছে।
তারপর এই বাদশা আনেকগুলো গর্ত খনন করে এবং এতে লাকড়ি ফেলে আগুন জ্বালায়। পরে সে লোকদের একত্রিত করে বললঃ যে এই ধর্ম থেকে ফিরে আসবে তাকে ছেড়ে দিব আর যে ব্যক্তি ফিরে আসবে না তাকে এই অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করব। অতপর সে মু’মিনদেও অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
قتِلَ أَصْحَابُ الأُخْدُودِ * النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ - (العَزِيزِ الْحَمِيدِ)
ধ্বংস হয়েছে কুন্ড অধিপতিরা। ইন্ধনপূর্ণ যে কুন্ডে ছিল অগ্নি ...... যিনি পরাক্রমশালী এবং প্রশংসিত। (সূরা বুরুজ ৮৫ঃ ৪-৮)
বালকটিকে পরে দাফন করা হয়। বর্ণনা করা হয় যে, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খিলাফত আমলে তার লাশ বের করা হয়। শহীদ হওয়ার সময় তার আঙুলগুলি যে কানপট্রিতে রাখা ছিল, তখনও ঠিক তেমনই ছিল।
সহীহ, মুসলিম ৮/২২৯-২৩১ (আয়াতের উল্লেখ ব্যাতিত), তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- গারীব।
পরিচ্ছেদ সূরা আল-গাশিয়া
بَاب وَمِنْ سُورَةِ البُرُوجِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ هَمَسَ - وَالْهَمْسُ فِي قَوْلِ بَعْضِهِمْ تَحَرُّكُ شَفَتَيْهِ كَأَنَّهُ يَتَكَلَّمُ فَقِيلَ لَهُ إِنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا صَلَّيْتَ الْعَصْرَ هَمَسْتَ قَالَ . " إِنَّ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ كَانَ أُعْجِبَ بِأُمَّتِهِ فَقَالَ مَنْ يَقُولُ لِهَؤُلاَءِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنْ خَيِّرْهُمْ بَيْنَ أَنْ أَنْتَقِمَ مِنْهُمْ وَبَيْنَ أَنْ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوَّهُمْ فَاخْتَارَ النِّقْمَةَ فَسَلَّطَ عَلَيْهِمُ الْمَوْتَ فَمَاتَ مِنْهُمْ فِي يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا " . قَالَ وَكَانَ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ الآخَرِ . قَالَ " كَانَ مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ وَكَانَ لِذَلِكَ الْمَلِكِ كَاهِنٌ يَكْهَنُ لَهُ فَقَالَ الْكَاهِنُ انْظُرُوا لِيَ غُلاَمًا فَهِمًا أَوْ قَالَ فَطِنًا لَقِنًا فَأُعَلِّمُهُ عِلْمِي هَذَا فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ أَمُوتَ فَيَنْقَطِعَ مِنْكُمْ هَذَا الْعِلْمُ وَلاَ يَكُونُ فِيكُمْ مَنْ يَعْلَمُهُ . قَالَ فَنَظَرُوا لَهُ عَلَى مَا وَصَفَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَحْضُرَ ذَلِكَ الْكَاهِنَ وَأَنْ يَخْتَلِفَ إِلَيْهِ فَجَعَلَ يَخْتَلِفُ إِلَيْهِ وَكَانَ عَلَى طَرِيقِ الْغُلاَمِ رَاهِبٌ فِي صَوْمَعَةٍ " . قَالَ مَعْمَرٌ أَحْسِبُ أَنَّ أَصْحَابَ الصَّوَامِعِ كَانُوا يَوْمَئِذٍ مُسْلِمِينَ قَالَ " فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَسْأَلُ ذَلِكَ الرَّاهِبَ كُلَّمَا مَرَّ بِهِ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَخْبَرَهُ فَقَالَ إِنَّمَا أَعْبُدُ اللَّهَ " . قَالَ " فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَمْكُثُ عِنْدَ الرَّاهِبِ وَيُبْطِئُ عَلَى الْكَاهِنِ فَأَرْسَلَ الْكَاهِنُ إِلَى أَهْلِ الْغُلاَمِ إِنَّهُ لاَ يَكَادُ يَحْضُرُنِي فَأَخْبَرَ الْغُلاَمُ الرَّاهِبَ بِذَلِكَ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ إِذَا قَالَ لَكَ الْكَاهِنُ أَيْنَ كُنْتَ فَقُلْ عِنْدَ أَهْلِي . وَإِذَا قَالَ لَكَ أَهْلُكَ أَيْنَ كُنْتَ فَأَخِبِرْهُمْ أَنَّكَ كُنْتَ عِنْدَ الْكَاهِنِ " . قَالَ " فَبَيْنَمَا الْغُلاَمُ عَلَى ذَلِكَ إِذْ مَرَّ بِجَمَاعَةٍ مِنَ النَّاسِ كَثِيرٍ قَدْ حَبَسَتْهُمْ دَابَّةٌ " . فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ تِلْكَ الدَّابَّةَ كَانَتْ أَسَدًا قَالَ " فَأَخَذَ الْغُلاَمُ حَجَرًا قَالَ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مَا يَقُولُ الرَّاهِبُ حَقًّا فَأَسْأَلُكَ أَنْ أَقْتُلَهَا . قَالَ ثُمَّ رَمَى فَقَتَلَ الدَّابَّةَ . فَقَالَ النَّاسُ مَنْ قَتَلَهَا قَالُوا الْغُلاَمُ فَفَزِعَ النَّاسُ وَقَالُوا لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا لَمْ يَعْلَمْهُ أَحَدٌ . قَالَ فَسَمِعَ بِهِ أَعْمَى فَقَالَ لَهُ إِنْ أَنْتَ رَدَدْتَ بَصَرِي فَلَكَ كَذَا وَكَذَا . قَالَ لَهُ لاَ أُرِيدُ مِنْكَ هَذَا وَلَكِنْ أَرَأَيْتَ إِنْ رَجَعَ إِلَيْكَ بَصَرُكَ أَتُؤْمِنُ بِالَّذِي رَدَّهُ عَلَيْكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَدَعَا اللَّهَ فَرَدَّ عَلَيْهِ بَصَرَهُ فَآمَنَ الأَعْمَى فَبَلَغَ الْمَلِكَ أَمْرُهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ فَأُتِيَ بِهِمْ فَقَالَ لأَقْتُلَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ قِتْلَةً لاَ أَقْتُلُ بِهَا صَاحِبَهُ فَأَمَرَ بِالرَّاهِبِ وَالرَّجُلِ الَّذِي كَانَ أَعْمَى فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ عَلَى مَفْرِقِ أَحَدِهِمَا فَقَتَلَهُ وَقَتَلَ الآخَرَ بِقِتْلَةٍ أُخْرَى . ثُمَّ أَمَرَ بِالْغُلاَمِ فَقَالَ انْطَلِقُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَأَلْقُوهُ مِنْ رَأْسِهِ فَانْطَلَقُوا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْجَبَلِ فَلَمَّا انْتَهَوْا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ الَّذِي أَرَادُوا أَنْ يُلْقُوهُ مِنْهُ جَعَلُوا يَتَهَافَتُونَ مِنْ ذَلِكَ الْجَبَلِ وَيَتَرَدَّوْنَ حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ الْغُلاَمُ " . قَالَ " ثُمَّ رَجَعَ فَأَمَرَ بِهِ الْمَلِكُ أَنْ يَنْطَلِقُوا بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَيُلْقُونَهُ فِيهِ فَانْطُلِقَ بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَغَرَّقَ اللَّهُ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ وَأَنْجَاهُ فَقَالَ الْغُلاَمُ لِلْمَلِكِ إِنَّكَ لاَ تَقْتُلُنِي حَتَّى تَصْلُبَنِي وَتَرْمِيَنِي وَتَقُولَ إِذَا رَمَيْتَنِي بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَأَمَرَ بِهِ فَصُلِبَ ثُمَّ رَمَاهُ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَوَضَعَ الْغُلاَمُ يَدَهُ عَلَى صُدْغِهِ حِينَ رُمِيَ ثُمَّ مَاتَ . فَقَالَ أُنَاسٌ لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا مَا عَلِمَهُ أَحَدٌ فَإِنَّا نُؤْمِنُ بِرَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَقِيلَ لِلْمَلِكِ أَجَزِعْتَ أَنْ خَالَفَكَ ثَلاَثَةٌ فَهَذَا الْعَالَمُ كُلُّهُمْ قَدْ خَالَفُوكَ . قَالَ فَخَدَّ أُخْدُودًا ثُمَّ أَلْقَى فِيهَا الْحَطَبَ وَالنَّارَ ثُمَّ جَمَعَ النَّاسَ فَقَالَ مَنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ تَرَكْنَاهُ وَمَنْ لَمْ يَرْجِعْ أَلْقَيْنَاهُ فِي هَذِهِ النَّارِ فَجَعَلَ يُلْقِيهِمْ فِي تِلْكَ الأُخْدُودِ . قَالَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى : (قتِلَ أَصْحَابُ الأُخْدُودِ * النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ ) حَتَّى بَلَغَ : (العَزِيزِ الْحَمِيدِ ) " . قَالَ " فَأَمَّا الْغُلاَمُ فَإِنَّهُ دُفِنَ " . قَالَ فَيُذْكَرُ أَنَّهُ أُخْرِجَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأُصْبُعُهُ عَلَى صُدْغِهِ كَمَا وَضَعَهَا حِينَ قُتِلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Suhaib narrated:
“When the Messenger of Allah had performed Asr, Hamasa (he began mumbling)” – and Al—Hams according to some of them, is moving the lips as if he is speaking – “It was said to him: ‘O Messenger of Allah! After you performed Asr, you were mumbling?’ He said: ‘There was a Prophet among the Prophets, he was amazed with his people, so he said: “Who can stand against these people?” Then Allah revealed to him, that they must choose between some of them suffering from wrath, and between enemies of theirs assaulting them. They chose the wrath. So death was inflicted upon them such that seventy-thousand of them died in one day.’”He said: And when he would narrated this Hadith, he would also narrated another: “There was a king among the kings, and that king had a fortune-teller (Kahin) who would see for him. The fortune teller said: ‘Search for a boy for me, he must be understanding” or he said: “clever and quick, so that I can teach him this knowledge of mine. For verily, I fear that I shall die, and this knowledge will be removed from you, and there will be no one among you who knows it.” He said: “They looked for a boy fitting his description. (After finding one) they ordered him to tend to that fortune teller, and to continue visiting him. So he began his frequent visits, and on the boy’s route, there was a monk at his hermitage.” – Ma’mar said: “I think that during that time, the people at the hermitage were Muslims.” – He said: “They boy began asking that monk questions each time he passed him, and he would not leave him until he informed him, so he said: ‘I only worship Allah.’” He said: “So the boy began spending more time with the monk and arriving late to the fortune-teller. The fortune-teller sent a message to the boy’s family saying: ‘He hardly ever attends me.’ The boy told that to the monk, so the monk said to him: ‘When the fortune-teller asks you where you’ve been, tell him: “I was with my family.” And when your family asks you where you’ve been, then tell them that you were with the fortune-teller.’” He said: “One day, the boy passed by a large group of people being held back by a beast.” Some of them said, it was a lion. He said: “So the boy took a rock and said: ‘O Allah, if what the monk says is true, then I ask you to kill it.’” [He said:] “Then he threw the rock, killing the beast. The people began asking who killed it and some of them replied: ‘It was the boy.’ They were terrified and said: ‘This boy has learned a knowledge that no one else has learned.’” He said: “A blind man heard about him so he said to him: ‘If you can return my sight, I shall give you this and that.’ He said to him: ‘I do not want this from you. However, if your sight is returned to you, would you believe in the One who gave it back to you?’ He said: ‘Yes.’” He said: “So he supplicated to Allah, and He returned his sight to him, and the blind man believed. His case was conveyed to the king, so he sent for him to be brought before him. He said: ‘I shall kill each of you in a manner different than his comrade was killed.’ He called for the monk and the man who used to be blind. He placed a saw upon the forehead of one of them and killed him. Then he killed the other one by a different means. Then he gave orders for the boy, he said: ‘Take him to this or that mountain, and throw him from its peak.’ They brought him to that mountain, and when they reached the place from where they intended to cast him off, they began tumbling off of that mountain, and all of them fell down until none of them remained except for the boy.” He said: “Then he returned and the king ordered that he be brought out to sea and cast into it. So he was brought out to sea, but Allah drowned those who were with him, and He saved him. Then the boy said to the king: ‘You will not kill me until you tie me to the trunk of a tree and shoot me, and when you shoot me, you said: “In the Name of Allah, the Lord of this boy.’” He said: “So he ordered that he be tied, then when he shot him, he said: ‘In the Name of Allah, the Lord of this boy.’ The boy placed his hand upon his temple where he was shot, then he died. The people said: “This boy had knowledge that no one else had! Verily we believe in the Lord of this boy!” He said: It was conveyed to the king “Your efforts have been thwarted by the opposition of these three, now all of these people have opposed you.” He said: “So he had ditches dug, then fire wood was filled into it and a fire was lit. Then he (the king) had all of the people gathered and he said: ‘Whoever leaves his religion, then we shall leave him. And whoever does not leave, we shall cast him into this fire.’ So he began casting them into that ditch.” He said: “Allah, Blessed is He and Most High, said about that: ‘Cursed were the People of the Ditch. Of fire fed with fuel…’ until he reached: ‘…The Almighty, Worthy of all praise!’” He said: “As for the boy, he was buried.” He said: “It has been mentioned, that he was excavated during the time of Umar bin Al-Khattab, and his finger was at his temple, just as he had placed it when he was killed.”
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯. নামাযের মধ্যে ইশারা করা
৩৬৭। সুহাইব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি তখন নামাযে ছিলেন। আমি তাকে সালাম করলাম। তিনি ইশারায় আমার সালামের জবাব দিলেন। -সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (৮৫৮)।
ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, আমি এটাই জানি যে, তিনি (সুহাইব) বলেছেন, তিনি আঙ্গুল দিয়ে ইঙ্গিত করেছেন।
এ অনুচ্ছেদে বিলাল, আবু হুরাইরা, আনাস ও আয়িশাহ (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আমরা এ হাদীসটি বুকাইরের সূত্রে লাইছ হতে জেনেছি।
باب مَا جَاءَ فِي الإِشَارَةِ فِي الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنْ نَابِلٍ، صَاحِبِ الْعَبَاءِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ إِلَىَّ إِشَارَةً . وَقَالَ لاَ أَعْلَمُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ إِشَارَةً بِإِصْبَعِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بِلاَلٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَعَائِشَةَ .
Suhaib narrated:
"I passed by Allah's Messenger (S) while he was performing Salat, so I said greeted him with Salam, and he returned it by making signals." He said: "I do not know except that he said: 'He indicated with his finger.'"
পরিচ্ছেদঃ ১৬. আল্লাহ তা’আলার দীদার (সাক্ষাৎ) লাভ
২৫৫২। সুহাইব (রাযিঃ) হতে আল্লাহ তা’আলার বাণী “যারা মঙ্গলজনক কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে মঙ্গল এবং আরো অধিক”— (সূরা ইউনুস ২৬) প্রসঙ্গে বর্ণিত। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশের পর একজন আহবানকারী (ফেরেশতা) ডেকে তারা (জান্নাতীরা) বলবে, তিনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল করে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাননি? ফেরেশতারা বলবেন, হ্যাঁ। তারপর পর্দা খুলে যাবে (এবং আল্লাহ তা’আলার সাক্ষাৎ সংঘটিত হবে)। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! তিনি মানুষকে তার সাক্ষাতের চেয়ে বেশি পছন্দনীয় ও আকাক্তিক্ষত কোন জিনিসই প্রদান করেননি।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৮৭), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) মুসনাদ ও মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সুলাইমান ইবনুল মুগীরা এই হাদীসটি সাবিত আল বুনানীর বরাতে আব্দুর রহমান ইবনু আবু লাইলার বক্তব্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِه: (لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ ) قَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ نَادَى مُنَادٍ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا . قَالُوا أَلَمْ يُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَيُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ وَيُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ قَالُوا بَلَى . قَالَ فَيُكْشَفُ الْحِجَابُ قَالَ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمْ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا أَسْنَدَهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَرَفَعَهُ . وَرَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَوْلَهُ .
Suhaib narrated concerning His (Allah's) statement:
For those who do good is the best (reward) and even more- the Prophet (s.a.w) said: "When the people of Paradise enter Paradise, a caller shall call out: 'Indeed you have a promise with Allah.' They will say: 'Did he not whiten our faces, save us from the Fire, and admit us into Paradise?' They will say: 'Indeed.' Then the Veil shall be lifted." He said: "So, by Allah, He did not grant them anything more beloved to them than looking at Him."
পরিচ্ছেদঃ ২০. (কুরআনকে ভিক্ষার উপায় বানানো নিষেধ)
২৯১৮। সুহাইব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনের হারামসমূহকে হালাল মনে করে সে কুরআনের প্রতি ঈমান আনেনি।
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (২২০৩)
আবূ ঈসা বলেনঃ উক্ত হাদীসের সনদ তেমন মজবুত নয়। ওয়াকীর রিওয়ায়াতের বিরোধিতা করা হয়েছে। মুহাম্মাদ বলেনঃ আবূ ফারওয়া ইয়াযীদ ইবনু সিনান আর-রাহাবীর হাদীস বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। তবে তার পুত্র মুহাম্মাদ তার সূত্রে যে রিওয়ায়াত করেছেন সেগুলোর বক্তব্য আলাদা। কারণ তিনি তার আব্বার বরাতে অনেক মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবনু সিনান তার আব্বার সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তার সনদে মুজাহিদ-সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব-সুহাইব (রাহঃ) অতিরিক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইয়ামীদের রিওয়ায়াতের সমর্থক কোন রিওয়ায়াত নেই। ইনি একজন দুর্বল রাবী। আর আবূল মুবারাক একজন অপরিচিত ব্যক্তি।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو فَرْوَةَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا آمَنَ بِالْقُرْآنِ مَنِ اسْتَحَلَّ مَحَارِمَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَقَدْ خُولِفَ وَكِيعٌ فِي رِوَايَتِهِ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ أَبُو فَرْوَةَ يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ الرُّهَاوِيُّ لَيْسَ بِحَدِيثِهِ بَأْسٌ إِلاَّ رِوَايَةَ ابْنِهِ مُحَمَّدٍ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَرْوِي عَنْهُ مَنَاكِيرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ عَنْ أَبِيهِ هَذَا الْحَدِيثَ فَزَادَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ صُهَيْبٍ وَلاَ يُتَابَعُ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ عَلَى رِوَايَتِهِ وَهُوَ ضَعِيفٌ وَأَبُو الْمُبَارَكِ رَجُلٌ مَجْهُولٌ .
Narrated Suhaib:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "He does not believe in the Qur'an who makes lawful what it prohibits."
পরিচ্ছেদঃ ১১. সূরা ইউনুস
৩১০৫। সুহাইব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার বাণী “যারা উত্তম কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং আরও বেশি”— (সূরা ইউনুস ২৬) প্রসঙ্গে বলেনঃ জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশ করার পর একজন আহবানকারী ডেকে বলবে, আল্লাহ তা’আলার কাছে তোমাদের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং তিনি সেটা পূর্ণ করতে চান। তারা বলবে, আল্লাহ তা’আলা কি আমাদের মুখমণ্ডল উজ্জ্বল করেননি এবং আমাদেরকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দিয়ে জান্নাতে দাখিল করেননি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এমন সময় পর্দা উন্মোচিত হবে (এবং তারা আল্লাহ তা’আলাকে দেখতে পাবে)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহর শপথ আল্লাহ তা’আলার দর্শন লাভের চাইতে বেশী প্রিয় ও কাঙ্খিত কোন বস্তুই তিনি তাদেরকে দান করেননি।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৮৭), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাম্মাদ ইবনু সালামার হাদীস। একাধিক বর্ণনাকারী এটি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ্ (রহঃ) হতে মারফু’ ভাবে একই রকম বর্ণনা করেছেন। সুলাইমান ইবনুল মুগীরাহ এ হাদীস সাবিত আল-বুনানী-হতে, তিনি আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা হতে তার বক্তব্যরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে সুহাইব (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ রকম উল্লেখ নেই।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّّ : (لِلََّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَى وَزِيَادَةٌ ) قَالَ " إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ نَادَى مُنَادٍ إِنَّ لَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ مَوْعِدًا يُرِيدُ أَنْ يُنْجِزَكُمُوهُ قَالُوا أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوهَنَا وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ وَتُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ قَالَ فَيُكْشَفُ الْحِجَابُ . قَالَ فَوَاللَّهِ مَا أَعْطَاهُمُ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ مَرْفُوعًا . وَرَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى قَوْلَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ صُهَيْبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Suhaib:
from the Prophet (ﷺ), regarding the saying of Allah Most High: And for those who have done good is the best and even more (10:26) - He (ﷺ) said: "When the inhabitants of Paradise have entered Paradise a caller will call out: 'Indeed there remains for you a promise with Allah, and He wants to reward you with it.' They will say: 'Have your faces not been made bright, have we not been saved from the Fire, and have we not been admitted into Paradise?'" He said: "So the Veil will be lifted." He said: "By Allah! Nothing given to them [by Allah] will be more beloved to them than looking at Him."
পরিচ্ছেদঃ ৭৭. সূরা আল-বুরুজ
৩৩৪০। সুহাইব ইবনু সিনান আর-রুমী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায আদায় করার পর নিঃশব্দে কিছু তিলাওয়াত করতেন। কারো মতে ’হামস্’ অর্থ ’ঠোট নাড়ানো। যেন তিনি কথা বলছেন। তাই তাকে প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আসরের নামায আদায় করার পর আপনি ঠোট নেড়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলার একজন নবী তার উম্মাতের (সংখ্যাধিক্যের) জন্য অধিক খুশী হন। তাই তিনি মনে মনে বলেন, কারা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে! সে সময় আল্লাহ তা’আলা তার নিকট ওয়াহী পাঠানঃ তাদেরকে তুমি দুটি বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণের এখতিয়ার দাওঃ হয় তাদের উপর আমি প্রতিশোধ নিব কিংবা শত্রুবাহিনীকে তাদের উপর আধিপত্য দান করব। তারা প্রতিশোধ নেয়াকে এখতিয়ার করল। অতঃপর তাদের উপর আল্লাহ তা’আলা মৃত্যু চাপিয়ে দিলেন, ফলে এক দিনেই তাদের সত্তর হাজার লোক মারা গেল।
সহীহঃ তাখরীজ আল-কালিমুত তাইয়্যিব (হাঃ ১২৫/৮৩)।
বর্ণনাকারী বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ঘটনা উদ্ধৃত করতেন সে সময় এর সঙ্গে তিনি আরো একটি ঘটনা বলতেন। তিনি বলেন জনৈক বাদশার এক যাদুকর ছিল। বাদশাকে সে ভবিষ্যদ্বাণী শুনাত। যাদুকরটি লোকদেরকে বলল, আমাকে তোমরা একটি বুদ্ধিমান, সাবধানী ও ধিশক্তি সম্পন্ন বালক এনে দাও। আমি তাকে আমার জ্ঞান শিখিয়ে দিব। কারণ আমার মনে হচ্ছে যে, আমি মারা গেলে আমার এ বিদ্যা হতে তোমরা বঞ্চিত হবে। তোমাদের মাঝে এই জ্ঞান সম্পন্ন আর কেউ থাকবে না। তিনি বলেনঃ লোকেরা (যাদুকরের) কথামত একটি বুদ্ধিমান ছেলে খুঁজে বের করে এবং তাকে সেই যাদুকরের নিকট প্রত্যহ যাতায়াতের ও তার সাহচর্য লাভের আদেশ দেয়।
ছেলেটি সেই যাদুকরের নিকট যাতায়াত করতে থাকে। ছেলেটির যাওয়া-আসার পথে একটি গীর্জায় এক পাদ্রী (রাহেব) অবস্থানরত ছিল। বর্ণনাকারী মা’মার বলেন, আমার বিশ্বাস সে সময় গীর্জার পাদ্রীগণ তাওহীদের বিশ্বাসী মুসলিম ছিলেন। সে এ পাদ্রীর কাছ দিয়ে যাতায়াতকালে তার নিকট (দীন প্রসঙ্গে) প্রশ্ন করত। অবশেষে সে বলল, আমি আল্লাহ তা’আলার ইবাদত করি।
তারপর পাদ্রীর নিকট ছেলেটি অবস্থান করতে শুরু করে এবং যাদুকরের নিকট বিলম্বে উপস্থিত হয়। যাদুকর ছেলের অভিভাবককে বলে পাঠায় যে আমার আশঙ্কা হয় সে আমার নিকট আসবে না। বালক পাদ্রীকে এ বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তাকে বলেন, তুমি কোথায় ছিলে যাদুকর তোমাকে এ প্রশ্ন করলে তুমি বলবে, আমি বাড়ীতে ছিলাম। আর তোমাকে অভিভাবকরা প্রশ্ন করলে তুমি বলবে, আমি যাদুকরের নিকট ছিলাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এভাবে বেশ কিছু দিন বালকটির কেটে গেল। একদিন সে এক বিরাট সংখ্যক লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের পথে একটি হিংস্র জন্তু বাধা হয়ে দাড়ায়। কেউ কেউ বললেন, ঐ জন্তুটি ছিল বাঘ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বালকটি একটি পাথর তুলে নিয়ে বলে, হে আল্লাহ! পাদ্রী যা বলে তা যদি সত্য হয় তাহলে আমি আপনার নিকট চাই যে, এ জন্তুটিকে আমি হত্যা করি। এ কথা বলে সে পাথরটি ছুড়ে মারল এবং জন্তুটি হত্যা করল। লোকেরা বলল, জন্তুটি কে হত্যা করেছে? লোকেরা বলল, এ বালকটি।
লোকেরা বিমর্ষ হয়ে বলল, এমন জ্ঞান সে আয়ত্ত করেছে যা আর কারো নিকটে নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এক অন্ধ লোক এ ঘটনা শুনতে পেয়ে তাকে বলল, যদি তুমি আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পার তবে তোমাকে আমি এই এই পরিমাণ সম্পদ দিব। বালকটি তাকে বলল, তোমার নিকট আমি তা চাই না। তবে যদি তোমার দৃষ্টিশক্তি তুমি ফিরিয়ে পাও তাহলে যিনি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিবে তার উপর কি তুমি ঈমান আনবে? অন্ধ বলল, হ্যাঁ। তারপর আল্লাহ তা’আলার নিকট ছেলেটি দু’আ করল এবং আল্লাহ তা’আলা তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। অন্ধ ব্যক্তিও ঈমান আনল।
বিষয়টি বাদশার কানে গিয়ে পৌছলে সে তাদের ডেকে পাঠায়। তার নিকট তাদেরকে হাযির করা হলে সে বলল, তোমাদের প্রত্যেককে আমি এক এক নতুন পন্থায় হত্যা করব যে পন্থায় তার সঙ্গীকে হত্যা করব না। সে পাদ্রী ও অন্ধ লোকটিকে হত্যার হুকুম দিল এবং সে অনুযায়ী এদের একজনের মাথার উপর করাত চালিয়ে হত্যা করা হয় এবং অন্যজনকে আরেকভাবে হত্যা করা হয়। তারপর বালকটি প্রসঙ্গে বাদশা বলল, একে ঐ পর্বতে নিয়ে যাও এবং তার চূড়া হতে তাকে ফেলে দাও।
অতঃপর তারা তাকে নিয়ে সেই পর্বতে গেল। যখন তারা পাহাড়ের সেই নির্দিষ্ট জায়গা হতে তাকে ফেলে দিতে প্রস্তুত হল তখন একে একে তারা সকলে পড়ে মারা গেল এবং বালকটি ব্যতীত কেউই বাকি থাকল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে ফিরে এলে বাদশা তাকে নিয়ে নদীতে ডুবিয়ে মারার জন্য লোকদেরকে হুকুম দিল।
তারপর তাকে নদীতে নিয়ে যাওয়া হল। আল্লাহ তা’আলা বালকটির সাথী সকলকে ডুবিয়ে হত্যা করলেন এবং তাকে বাঁচিয়ে রাখলেন। পরবর্তীতে ছেলেটিই বাদশাকে বলল, আমাকে তুমি হত্যা করতে পারবে না। তবে আমাকে তুমি শূলে চড়িয়ে “এ বালকের প্রতিপালকের নামে” বলে তীর নিক্ষেপ করলেই কেবল আমাকে হত্যা করতে পারবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তার কথামত বাদশা হুকুম দিল এবং অতঃপর তাকে শূলে চড়িয়ে “এই বালকের প্রতিপালকের নামে" বলে তীর নিক্ষেপ করল, ছেলেটি তার হাত তার কান ও মাথার মাঝের জায়গায় স্থাপন করল এবং মারা গেল।
লোকেরা বলল, এমন জ্ঞান বালকটি লাভ করেছে যা আর কেউই লাভ করতে পারেনি। কাজেই এই বালকের প্রতিপালকের উপর আমরাও ঈমান আনলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বাদশাকে বলা হল, আপনি তো তিন ব্যক্তির বিরোধিতায় ভয় পেয়ে গেলেন। এখন সারা দুনিয়াই তো আপনার বিরোধী হয়ে গেল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে সময় বাদশা একটি সুদীর্ঘ গর্ত খুঁড়ে তাতে কাঠ দিয়ে আগুন ধরায়, তারপর লোকদেরকে একসঙ্গে বলে, “যে তার ধর্ম হতে ফিরে আসবে তাকে ছেড়ে দিব এবং যে ধর্ম হতে না ফিরবে তাকে আমি এ আগুনে নিক্ষেপ করব"। ঈমানদার লোকদেরকে সে আগুনের গর্তে নিপতিত করতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “গর্তের অধিপতিরা ধ্বংস হয়েছে, যে গর্তে আগুন প্রজ্জ্বলিত ছিল। যখন ওরা ঐ গর্তের পাশে বসা ছিল, আর ওরা ঈমানদারদের সঙ্গে যা করছিল তা প্রত্যক্ষ করছিল। তারা তাদেরকে যুলম করেছিল কেবল এ কারণে যে, তারা মহাশক্তিমান ও প্রশংসিত আল্লাহ তা’আলার প্রতি ঈমান এনেছিল"- (সূরা বুরুজ ৪-৮)। বর্ণনাকারী বলেন, বালকটিকে দাফন করা হয়েছিল।
রাবী বলেন, উল্লেখিত আছে যে, ঐ বালকের লাশ উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফতকালে তোলা হয়েছিল। মারা যাওয়ার সময় তার হাত যেভাবে তার কান ও মাথার মধ্যবর্তী জায়গায় রাখা ছিল সেভাবেই তাকে পাওয়া যায়।
সহীহঃ মুসলিম (৮/২২৯-২৩১) আয়াতের উল্লেখ ব্যতীত।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ هَمَسَ - وَالْهَمْسُ فِي قَوْلِ بَعْضِهِمْ تَحَرُّكُ شَفَتَيْهِ كَأَنَّهُ يَتَكَلَّمُ فَقِيلَ لَهُ إِنَّكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا صَلَّيْتَ الْعَصْرَ هَمَسْتَ قَالَ . " إِنَّ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ كَانَ أُعْجِبَ بِأُمَّتِهِ فَقَالَ مَنْ يَقُولُ لِهَؤُلاَءِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنْ خَيِّرْهُمْ بَيْنَ أَنْ أَنْتَقِمَ مِنْهُمْ وَبَيْنَ أَنْ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوَّهُمْ فَاخْتَارَ النِّقْمَةَ فَسَلَّطَ عَلَيْهِمُ الْمَوْتَ فَمَاتَ مِنْهُمْ فِي يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا " . قَالَ وَكَانَ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ الآخَرِ . قَالَ " كَانَ مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ وَكَانَ لِذَلِكَ الْمَلِكِ كَاهِنٌ يَكْهَنُ لَهُ فَقَالَ الْكَاهِنُ انْظُرُوا لِيَ غُلاَمًا فَهِمًا أَوْ قَالَ فَطِنًا لَقِنًا فَأُعَلِّمُهُ عِلْمِي هَذَا فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ أَمُوتَ فَيَنْقَطِعَ مِنْكُمْ هَذَا الْعِلْمُ وَلاَ يَكُونُ فِيكُمْ مَنْ يَعْلَمُهُ . قَالَ فَنَظَرُوا لَهُ عَلَى مَا وَصَفَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَحْضُرَ ذَلِكَ الْكَاهِنَ وَأَنْ يَخْتَلِفَ إِلَيْهِ فَجَعَلَ يَخْتَلِفُ إِلَيْهِ وَكَانَ عَلَى طَرِيقِ الْغُلاَمِ رَاهِبٌ فِي صَوْمَعَةٍ " . قَالَ مَعْمَرٌ أَحْسِبُ أَنَّ أَصْحَابَ الصَّوَامِعِ كَانُوا يَوْمَئِذٍ مُسْلِمِينَ قَالَ " فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَسْأَلُ ذَلِكَ الرَّاهِبَ كُلَّمَا مَرَّ بِهِ فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى أَخْبَرَهُ فَقَالَ إِنَّمَا أَعْبُدُ اللَّهَ " . قَالَ " فَجَعَلَ الْغُلاَمُ يَمْكُثُ عِنْدَ الرَّاهِبِ وَيُبْطِئُ عَلَى الْكَاهِنِ فَأَرْسَلَ الْكَاهِنُ إِلَى أَهْلِ الْغُلاَمِ إِنَّهُ لاَ يَكَادُ يَحْضُرُنِي فَأَخْبَرَ الْغُلاَمُ الرَّاهِبَ بِذَلِكَ فَقَالَ لَهُ الرَّاهِبُ إِذَا قَالَ لَكَ الْكَاهِنُ أَيْنَ كُنْتَ فَقُلْ عِنْدَ أَهْلِي . وَإِذَا قَالَ لَكَ أَهْلُكَ أَيْنَ كُنْتَ فَأَخِبِرْهُمْ أَنَّكَ كُنْتَ عِنْدَ الْكَاهِنِ " . قَالَ " فَبَيْنَمَا الْغُلاَمُ عَلَى ذَلِكَ إِذْ مَرَّ بِجَمَاعَةٍ مِنَ النَّاسِ كَثِيرٍ قَدْ حَبَسَتْهُمْ دَابَّةٌ " . فَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّ تِلْكَ الدَّابَّةَ كَانَتْ أَسَدًا قَالَ " فَأَخَذَ الْغُلاَمُ حَجَرًا قَالَ اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ مَا يَقُولُ الرَّاهِبُ حَقًّا فَأَسْأَلُكَ أَنْ أَقْتُلَهَا . قَالَ ثُمَّ رَمَى فَقَتَلَ الدَّابَّةَ . فَقَالَ النَّاسُ مَنْ قَتَلَهَا قَالُوا الْغُلاَمُ فَفَزِعَ النَّاسُ وَقَالُوا لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا لَمْ يَعْلَمْهُ أَحَدٌ . قَالَ فَسَمِعَ بِهِ أَعْمَى فَقَالَ لَهُ إِنْ أَنْتَ رَدَدْتَ بَصَرِي فَلَكَ كَذَا وَكَذَا . قَالَ لَهُ لاَ أُرِيدُ مِنْكَ هَذَا وَلَكِنْ أَرَأَيْتَ إِنْ رَجَعَ إِلَيْكَ بَصَرُكَ أَتُؤْمِنُ بِالَّذِي رَدَّهُ عَلَيْكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَدَعَا اللَّهَ فَرَدَّ عَلَيْهِ بَصَرَهُ فَآمَنَ الأَعْمَى فَبَلَغَ الْمَلِكَ أَمْرُهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ فَأُتِيَ بِهِمْ فَقَالَ لأَقْتُلَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ قِتْلَةً لاَ أَقْتُلُ بِهَا صَاحِبَهُ فَأَمَرَ بِالرَّاهِبِ وَالرَّجُلِ الَّذِي كَانَ أَعْمَى فَوَضَعَ الْمِنْشَارَ عَلَى مَفْرِقِ أَحَدِهِمَا فَقَتَلَهُ وَقَتَلَ الآخَرَ بِقِتْلَةٍ أُخْرَى . ثُمَّ أَمَرَ بِالْغُلاَمِ فَقَالَ انْطَلِقُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَأَلْقُوهُ مِنْ رَأْسِهِ فَانْطَلَقُوا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْجَبَلِ فَلَمَّا انْتَهَوْا بِهِ إِلَى ذَلِكَ الْمَكَانِ الَّذِي أَرَادُوا أَنْ يُلْقُوهُ مِنْهُ جَعَلُوا يَتَهَافَتُونَ مِنْ ذَلِكَ الْجَبَلِ وَيَتَرَدَّوْنَ حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ الْغُلاَمُ " . قَالَ " ثُمَّ رَجَعَ فَأَمَرَ بِهِ الْمَلِكُ أَنْ يَنْطَلِقُوا بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَيُلْقُونَهُ فِيهِ فَانْطُلِقَ بِهِ إِلَى الْبَحْرِ فَغَرَّقَ اللَّهُ الَّذِينَ كَانُوا مَعَهُ وَأَنْجَاهُ فَقَالَ الْغُلاَمُ لِلْمَلِكِ إِنَّكَ لاَ تَقْتُلُنِي حَتَّى تَصْلُبَنِي وَتَرْمِيَنِي وَتَقُولَ إِذَا رَمَيْتَنِي بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَأَمَرَ بِهِ فَصُلِبَ ثُمَّ رَمَاهُ فَقَالَ بِسْمِ اللَّهِ رَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَوَضَعَ الْغُلاَمُ يَدَهُ عَلَى صُدْغِهِ حِينَ رُمِيَ ثُمَّ مَاتَ . فَقَالَ أُنَاسٌ لَقَدْ عَلِمَ هَذَا الْغُلاَمُ عِلْمًا مَا عَلِمَهُ أَحَدٌ فَإِنَّا نُؤْمِنُ بِرَبِّ هَذَا الْغُلاَمِ . قَالَ فَقِيلَ لِلْمَلِكِ أَجَزِعْتَ أَنْ خَالَفَكَ ثَلاَثَةٌ فَهَذَا الْعَالَمُ كُلُّهُمْ قَدْ خَالَفُوكَ . قَالَ فَخَدَّ أُخْدُودًا ثُمَّ أَلْقَى فِيهَا الْحَطَبَ وَالنَّارَ ثُمَّ جَمَعَ النَّاسَ فَقَالَ مَنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ تَرَكْنَاهُ وَمَنْ لَمْ يَرْجِعْ أَلْقَيْنَاهُ فِي هَذِهِ النَّارِ فَجَعَلَ يُلْقِيهِمْ فِي تِلْكَ الأُخْدُودِ . قَالَ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى : (قتِلَ أَصْحَابُ الأُخْدُودِ * النَّارِ ذَاتِ الْوَقُودِ ) حَتَّى بَلَغَ : (العَزِيزِ الْحَمِيدِ ) " . قَالَ " فَأَمَّا الْغُلاَمُ فَإِنَّهُ دُفِنَ " . قَالَ فَيُذْكَرُ أَنَّهُ أُخْرِجَ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَأُصْبُعُهُ عَلَى صُدْغِهِ كَمَا وَضَعَهَا حِينَ قُتِلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Suhaib narrated:
“When the Messenger of Allah had performed Asr, Hamasa (he began mumbling)” – and Al—Hams according to some of them, is moving the lips as if he is speaking – “It was said to him: ‘O Messenger of Allah! After you performed Asr, you were mumbling?’ He said: ‘There was a Prophet among the Prophets, he was amazed with his people, so he said: “Who can stand against these people?” Then Allah revealed to him, that they must choose between some of them suffering from wrath, and between enemies of theirs assaulting them. They chose the wrath. So death was inflicted upon them such that seventy-thousand of them died in one day.’”He said: And when he would narrated this Hadith, he would also narrated another: “There was a king among the kings, and that king had a fortune-teller (Kahin) who would see for him. The fortune teller said: ‘Search for a boy for me, he must be understanding” or he said: “clever and quick, so that I can teach him this knowledge of mine. For verily, I fear that I shall die, and this knowledge will be removed from you, and there will be no one among you who knows it.” He said: “They looked for a boy fitting his description. (After finding one) they ordered him to tend to that fortune teller, and to continue visiting him. So he began his frequent visits, and on the boy’s route, there was a monk at his hermitage.” – Ma’mar said: “I think that during that time, the people at the hermitage were Muslims.” – He said: “They boy began asking that monk questions each time he passed him, and he would not leave him until he informed him, so he said: ‘I only worship Allah.’” He said: “So the boy began spending more time with the monk and arriving late to the fortune-teller. The fortune-teller sent a message to the boy’s family saying: ‘He hardly ever attends me.’ The boy told that to the monk, so the monk said to him: ‘When the fortune-teller asks you where you’ve been, tell him: “I was with my family.” And when your family asks you where you’ve been, then tell them that you were with the fortune-teller.’” He said: “One day, the boy passed by a large group of people being held back by a beast.” Some of them said, it was a lion. He said: “So the boy took a rock and said: ‘O Allah, if what the monk says is true, then I ask you to kill it.’” [He said:] “Then he threw the rock, killing the beast. The people began asking who killed it and some of them replied: ‘It was the boy.’ They were terrified and said: ‘This boy has learned a knowledge that no one else has learned.’” He said: “A blind man heard about him so he said to him: ‘If you can return my sight, I shall give you this and that.’ He said to him: ‘I do not want this from you. However, if your sight is returned to you, would you believe in the One who gave it back to you?’ He said: ‘Yes.’” He said: “So he supplicated to Allah, and He returned his sight to him, and the blind man believed. His case was conveyed to the king, so he sent for him to be brought before him. He said: ‘I shall kill each of you in a manner different than his comrade was killed.’ He called for the monk and the man who used to be blind. He placed a saw upon the forehead of one of them and killed him. Then he killed the other one by a different means. Then he gave orders for the boy, he said: ‘Take him to this or that mountain, and throw him from its peak.’ They brought him to that mountain, and when they reached the place from where they intended to cast him off, they began tumbling off of that mountain, and all of them fell down until none of them remained except for the boy.” He said: “Then he returned and the king ordered that he be brought out to sea and cast into it. So he was brought out to sea, but Allah drowned those who were with him, and He saved him. Then the boy said to the king: ‘You will not kill me until you tie me to the trunk of a tree and shoot me, and when you shoot me, you said: “In the Name of Allah, the Lord of this boy.’” He said: “So he ordered that he be tied, then when he shot him, he said: ‘In the Name of Allah, the Lord of this boy.’ The boy placed his hand upon his temple where he was shot, then he died. The people said: “This boy had knowledge that no one else had! Verily we believe in the Lord of this boy!” He said: It was conveyed to the king “Your efforts have been thwarted by the opposition of these three, now all of these people have opposed you.” He said: “So he had ditches dug, then fire wood was filled into it and a fire was lit. Then he (the king) had all of the people gathered and he said: ‘Whoever leaves his religion, then we shall leave him. And whoever does not leave, we shall cast him into this fire.’ So he began casting them into that ditch.” He said: “Allah, Blessed is He and Most High, said about that: ‘Cursed were the People of the Ditch. Of fire fed with fuel…’ until he reached: ‘…The Almighty, Worthy of all praise!’” He said: “As for the boy, he was buried.” He said: “It has been mentioned, that he was excavated during the time of Umar bin Al-Khattab, and his finger was at his temple, just as he had placed it when he was killed.”
পরিচ্ছেদঃ ৯৪. সালাতরত অবস্থায় কিভাবে সালামের জবাব দিতে হবে
১৩৯৮. সুহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে সালাম দিলাম, আর তখন তিনি সালাতরত ছিলেন। আর তিনি ইশারায় আমার সালামের জবাব দিলেন। লাইছ বলেন, আমার ধারণা, তিনি এও বলেছেন: ’তাঁর আঙ্গুল দ্বারা’।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখলীজ ও টীকা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান ২২৫৯; দেখুন পরবর্তী টীকাটিও দেখুন।
بَاب كَيْفَ يَرُدُّ السَّلَامَ فِي الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ أَخْبَرَنِي بُكَيْرٌ هُوَ ابْنُ الْأَشَجِّ عَنْ نَابِلٍ صَاحِبِ الْعَبَاءِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ صُهَيْبٍ قَالَ مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَرَدَّ إِلَيَّ إِشَارَةً قَالَ لَيْثٌ أَحْسَبُهُ قَالَ بِأُصْبُعِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৭. যুদ্ধের সময় দু’আ করা
২৪৮০. সুহাইব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়ন (যুদ্ধের) দিন দু’আয় বলেছেন: “হে আল্লাহ! আমি আপনার সাহায্যেই প্রচেষ্টা করি এবং আপনার সাহায্যেই আক্রমণ করি এবং আপনার সাহায্যেই যুদ্ধ করি।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৩২, ৩৩৩, ৬/১৬; তাবারাণী, কাবীর ৮/৪৮ নং ৭৩১৮; বাইহাকী, সিয়ার ৯/১৫৩।
بَاب فِي الدُّعَاءِ عِنْدَ الْقِتَالِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ صُهَيْبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَدْعُو أَيَّامَ حُنَيْنٍ اللَّهُمَّ بِكَ أُحَاوِلُ وَبِكَ أُصَاوِلُ وَبِكَ أُقَاتِلُ