পরিচ্ছেদঃ ২২২৫. যে ব্যক্তি মদকে ভিন্ন নামে নামকরণ করে হালাল মনে করে
৫১৮৯। হিশাম ইবনু আম্মার (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু গানাম আশআরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নিকট আবূ আমের কিংবা আবূ মালেক আশ-আরী বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর কসম! তিনি আমার কাছে মিথ্যে কথা বলেননি। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন আমার উম্মতের মাঝে অবশ্যই এমন কতগুলো দলের সৃষ্টি হবে যারা ব্যাভিচার, রেশমী কাপড় মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে। অনুরূপভাবে এমন অনেক দল হবে যারা পর্বতের কিনারায় বসবাস করবে, বিকাল বেলায় যখন তারা পশুর পাল নিয়ে ফিরবে তখন তাদের কাছ কোন অভাব নিয়ে ফকীর আসলে তারা উত্তর দেবে আগামী দিন সকালে তুমি আমাদের নিকট এসো। এদিকে রাতের অন্ধকারেই আল্লাহ তাদের ধংশ করে দিবেন। পর্বতটি ধসিয়ে দিবেন, আর অবশিষ্ট লোকদের তিনি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত বানর ও শুকর বানিয়ে রাখবেন।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَسْتَحِلُّ الْخَمْرَ وَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ الْكِلاَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَنْمٍ الأَشْعَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ ـ أَوْ أَبُو مَالِكٍ ـ الأَشْعَرِيُّ وَاللَّهِ مَا كَذَبَنِي سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْحِرَ وَالْحَرِيرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ، وَلَيَنْزِلَنَّ أَقْوَامٌ إِلَى جَنْبِ عَلَمٍ يَرُوحُ عَلَيْهِمْ بِسَارِحَةٍ لَهُمْ، يَأْتِيهِمْ ـ يَعْنِي الْفَقِيرَ ـ لِحَاجَةٍ فَيَقُولُوا ارْجِعْ إِلَيْنَا غَدًا. فَيُبَيِّتُهُمُ اللَّهُ وَيَضَعُ الْعَلَمَ، وَيَمْسَخُ آخَرِينَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ".
Narrated Abu 'Amir or Abu Malik Al-Ash'ari:
that he heard the Prophet (ﷺ) saying, "From among my followers there will be some people who will consider illegal sexual intercourse, the wearing of silk, the drinking of alcoholic drinks and the use of musical instruments, as lawful. And there will be some people who will stay near the side of a mountain and in the evening their shepherd will come to them with their sheep and ask them for something, but they will say to him, 'Return to us tomorrow.' Allah will destroy them during the night and will let the mountain fall on them, and He will transform the rest of them into monkeys and pigs and they will remain so till the Day of Resurrection."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. কাতারে বালকদের দাঁড়ানোর স্থান
৬৭৭। ’আবদুর রহমান ইবনু গানম সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ মালিক আল আশ’আরী (রাঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত সম্পর্কে বর্ণনা করব না? এরপর তিনি সালাতে দাঁড়ালেন। প্রথমে প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের কাতারবদ্ধ করালেন, তারপর তাদের পিছনের কাতারে বালকদের দাঁড় করালেন। অতঃপর তিনি তাদের সাথে সালাত আদায় করলেন। এরপর বর্ণনাকারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতের বর্ণনা দেন। (বর্ণনাকারী বলেন,) অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এভাবেই সালাত আদায় করতে হয়। বর্ণনাকারী ’আবদুল আ’লা বলেন, আমার ধারণা আমার শায়খ কুররাহ ইবনু খালিদ বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার উম্মাত এভাবেই সালাত আদায় করবে।[1]
দুর্বল : মিশকাত ১১১৫।
باب مُقَامِ الصِّبْيَانِ مِنَ الصَّفِّ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ شَاذَانَ، حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ الرَّقَّامُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا بُدَيْلٌ، حَدَّثَنَا شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، قَالَ قَالَ أَبُو مَالِكٍ الأَشْعَرِيُّ أَلَا أُحَدِّثُكُمْ بِصَلَاةِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَ فَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَصَفَّ الرِّجَالَ وَصَفَّ خَلْفَهُمُ الْغِلْمَانَ ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ فَذَكَرَ صَلَاتَهُ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا صَلَاةُ قَالَ عَبْدُ الأَعْلَى لَا أَحْسَبُهُ إِلَّا قَالَ " صَلَاةُ أُمَّتِي " .
- ضعيف : المشكاة ١١١٥
Narrated AbuMalik al-Ash'ari:
Should I not tell you how the Messenger of Allah (ﷺ) led the prayer? He said: He had the iqamah announced, drew the men up in line and drew up the youths behind them, then led them in prayer. He then mentioned how he conducted it. and said: Thus is the prayer of......AbdulA'la said: I think he must have said: My people.
পরিচ্ছেদঃ ১৪০. শত্রুদেশে লোকদের উদ্ধৃত্ত খাদ্য বিক্রি করা
২৭০৭। ’আব্দুর রাহমান ইবনু গানাম (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আমরা শুরাহবীল ইবনুস সিমত (রাঃ)-এর নেতৃত্বে কিন্নাসরীন শহর অবরোধ করি। তা বিজিতি হলে সেখানে মেষ ও গরু গানীমাত হিসাবে লাভ হলো। তিনি এর একটি অংশ আমাদের মধ্যে বণ্টন করে বাকী অংশ গানীমাতের খাতে রেখে দিলেন। পরে আমি মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে তার সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করি। তিনি বললেন, ’আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে খায়বারের যুদ্ধে যোগাযোগ করেছিলাম। সেখানে ’আমরা কিছু মেষ পেলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার একটা অংশ আমাদের মাঝে বণ্টন করেন এবং বাকী অংশ গানীমাতের খাতে রেখে দেন।[1]
بَابٌ فِي بَيْعِ الطَّعَامِ إِذَا فَضَلَ عَنِ النَّاسِ فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ حَمْزَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الْعَزِيزِ شَيْخٌ مِنْ أَهْلِ الْأُرْدُنِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، قَالَ: رَابَطْنَا مَدِينَةَ قِنَّسْرِينَ مَعَ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ، فَلَمَّا فَتَحَهَا أَصَابَ فِيهَا غَنَمًا وَبَقَرًا، فَقَسَمَ فِينَا طَائِفَةً مِنْهَا وَجَعَلَ بَقِيَّتَهَا فِي الْمَغْنَمِ، فَلَقِيتُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ فَحَدَّثْتُهُ، فَقَالَ مُعَاذٌ: غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ فَأَصَبْنَا فِيهَا غَنَمًا، فَقَسَمَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَائِفَةً، وَجَعَلَ بَقِيَّتَهَا فِي الْمَغْنَمِ
حسن
Narrated Mu'adh ibn Jabal:
AbdurRahman ibn Ghanam said: We were stationed at the frontiers of the city of Qinnisrin with Shurahbil ibn as-Simt. When he conquered it, he got sheep and cows there. He distributed some of them amongst us, and deposited the rest of them in the spoils of war. I met Mu'adh ibn Jabal and mentioned it to him. Mu'adh said: we went on an expedition of Khaybar along with the Messenger of Allah (ﷺ) and we got spoils there. The Messenger of Allah (ﷺ) divided them among us and placed the rest of them in the booty.
পরিচ্ছেদঃ ৮. রেশম ও পশম মিশ্রিত কাপড় পরিধান করা সম্পর্কে
৪০৩৯। আব্দুর রাহমান ইবনু গানম আল-আশ’আরী (রহঃ) বলেন, আবূ আমির (রাঃ) বা আবূ মালিক (রাঃ) আমাকে বলেছেন, আল্লাহর কসম এবং কসম, কখনো তিনি আমাকে মিথ্যা বলেননি। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ আমার উম্মাতের এমন কিছু লোক হবে, যারা পশম ও রেশমের তৈরী পোশাক এবং রেশমী পোশাক পরা হালাল গণ্য করবে। তাদেরকে কিয়ামতের দিন শূকর ও বানরের আকৃতিতে পরিবর্তিত করা হবে।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশ এর অধিক সাহাবী রেশম ও পশম মিশ্রিত সূতার তৈরী পোশাক পরেছেন। আনাস ও আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) তাদের অন্তর্ভুক্ত।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الْخَزِّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ غَنْمٍ الْأَشْعَرِيَّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ أَوْ أَبُو مَالِكٍ، وَاللَّهِ يَمِينٌ أُخْرَى مَا كَذَّبَنِي، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْخَزَّ، وَالْحَرِيرَ وَذَكَرَ كَلَامًا، قَالَ: يُمْسَخُ مِنْهُمْ آخَرُونَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَعِشْرُونَ نَفْسًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ أَكْثَرُ لَبِسُوا الْخَزَّ مِنْهُمْ أَنَسٌ، وَالْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ
صحيح
Narrated Abdur Rahman ibn Ghanam al-Ash'ari:
Abu Amir or Abu Malik told me--I swear by Allah another oath that he did not believe me that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: There will be among my community people who will make lawful (the use of) khazz and silk. Some of them will be transformed into apes and swine.
Abu Dawud said: Twenty Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) or more put on khazz. Anas and al-Bara' b. 'Azib were among them.
পরিচ্ছেদঃ ফরয নামাযের পর যিকর ও দু‘আ
(৭২৯) আব্দুর রহমান বিন গানম হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মাগরেব ও ফজরের নামায থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে-
لآ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الُحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, অলাহুল হামদু, য়্যুহয়ী অয়্যুমীতু, অহুআ আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই জন্য সারা রাজত্ব, এবং তাঁরই নিমিত্তে সকল প্রশংসা। তিনি জীবন দান করেন, ও মৃত্যু প্রদান করেন। আর তিনি সর্ববস্তুর উপর সর্বক্ষমতাবান। ১০ বার পাঠ করে, আল্লাহ তার আমলনামায় প্রত্যেক বারের বিনিময়ে দশটি নেকী লিপিবদ্ধ করেন, দশটি গোনাহ মোচন করে দেন, তাকে দশটি মর্যাদায় উন্নীত করেন, প্রত্যেক অপ্রীতিকর বিষয় এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে (ঐ যিকর) রক্ষামন্ত্র হয়, নিশ্চিতভাবে শির্ক ব্যতীত তার অন্যান্য পাপ ক্ষমার্হ হয়। আর সে হয় আমল করার দিক থেকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠব্যক্তি; তবে সেই ব্যক্তি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ হতে পারে, যে তার থেকেও উত্তম যিকর পাঠ করবে।
عَن عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ قَالَ مَنْ قَالَ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ وَيَثْنِيَ رِجْلَهُ مِنْ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ وَالصُّبْحِ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ كُتِبَ لَهُ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَمُحِيَتْ عَنهُ عَشْرُ سَيِّئَاتٍ وَرُفِعَ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَكَانَتْ حِرْزًا مِنْ كُلِّ مَكْرُوهٍ وَحِرْزًا مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ وَلَمْ يَحِلَّ لِذَنْبٍ يُدْرِكُهُ إِلَّا الشِّرْكَ فَكَانَ مِنْ أَفْضَلِ النَّاسِ عَمَلًا إِلَّا رَجُلًا يَفْضُلُهُ يَقُولُ أَفْضَلَ مِمَّا قَالَ
পরিচ্ছেদঃ ২. কোন মহিলা হায়েয থেকে পবিত্র হলে নামায পড়া অত্যাবশ্যক
৮৪৪(১). ইয়া’কূব ইবনে ইবরাহীম আল-বায্যায (রহঃ) ... আব্দুর রহমান ইবনে গান্ম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মু’আয ইবনে জাবাল (রাঃ)-এর নিকট সূর্য অস্তমিত হওয়ার সামান্য পূর্বে ঋতুবতী মহিলার পবিত্র হওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, সে আসরের নামায পড়বে। আমি বললাম, শাফাক অন্তর্হিত হওয়ার পূর্বে হলে সে কি করবে? তিনি বলেন, সে মাগরিবের নামায পড়বে। আমি বললাম, ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে হলে? তিনি বলেন, সে এশার নামায পড়বে। আমি বললাম, সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে হলে? তিনি বলেন, সে ফজরের নামায পড়বে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিতেন, আমরা যেন আমাদের মহিলাদের শিক্ষাদান করি।
এই হাদীস মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ (রহঃ) ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি। তিনি হাদীসশাস্ত্রে পরিত্যক্ত।
بَابُ مَا يَلْزَمُ الْمَرْأَةَ مِنَ الصَّلَاةِ إِذَا طَهُرَتْ مِنَ الْحَيْضِ
نَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَزَّازُ ، نَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ ، نَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ ، أَنَا عُبَادَةُ بْنُ نُسَيٍّ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ ، أَخْبَرَهُ قَالَ : سَأَلْتُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ عَنِ الْحَائِضِ تَطْهُرُ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ بِقَلِيلٍ ؟ قَالَ : تُصَلِّي الْعَصْرَ . قُلْتُ : قَبْلَ ذَهَابِ الشَّفَقِ ؟ قَالَ : تُصَلِّي الْمَغْرِبَ . قُلْتُ : قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ ؟ قَالَ : تُصَلِّي الْعِشَاءَ . قُلْتُ : قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ ؟ قَالَ : تُصَلِّي الصُّبْحَ ، هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَأْمُرُنَا أَنْ نُعَلِّمَ نِسَاءَنَا . لَمْ يَرْوِهِ غَيْرُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ ، وَهُوَ مَتْرُوكُ الْحَدِيثِ
পরিচ্ছেদঃ জান্নাত ওয়াজিব ঐ ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে এমন অবস্থায় যে, সে আল্লাহর সাথে কোন সমকক্ষ নির্ধারণ করেনি
২১৪. আব্দুর রহমান বিন গানাম রহিমাহুল্লাহ মুয়ায বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম: “আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: চমৎকার! চমৎকার! তুমি এক মহান বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছো। এটা সহজ ঐ ব্যক্তির জন্য যাকে আল্লাহ সহজ করে দেন। তুমি ফরয সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, ফরয যাকাত প্রদান করবে আর আল্লাহর সাথে কোন কিছুকেই শরীক করবে না।”[1]
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ الله تعالى عَنْهُ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ شَيْئًا", أَرَادَ بِهِ الْأَمْرَ بِتَرْكِ الشِّرْكِ.
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভাষ্য: “আল্লাহর সাথে কোন কিছুকেই শরীক করবে না।” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শিরক বর্জন করার নির্দেশ দান করা।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান-সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ২১৪।)
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ إِيجَابِ الْجَنَّةِ لِمَنْ حَلَّتِ الْمَنِيَّةُ بِهِ وَهُوَ لَا يَجْعَلُ مَعَ اللَّهِ ندا
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ حدثنا علي بن الجعد قال أخبرنا بن ثَوْبَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَعَنْ عُمَيْرِ بْنِ هَانِئٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاذَ بن جبل عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قُلْتُ: حَدِّثْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ قَالَ: "بَخٍ بَخٍ سَأَلْتَ عَنْ أَمْرٍ عَظِيمٍ وَهُوَ يَسِيرٌ لِمَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ بِهِ تُقِيمُ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَلَا تُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا".
الراوي : عَبْد الرَّحْمَنِ بْن غَنْمٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 214 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ ২৫) ফজর, আসর ও মাগরিব নামাযের পরে যে যিকির পাঠ করতে হয় তার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৪৭৭. (হাসান লি গাইরিহী) আবদুর রহমান বিন গানম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামাযের শেষে চলে যাওয়ার পূর্বে এবং পা দু’টিকে গুটিয়ে নেয়ার পূর্বে পাঠ করবে ’’লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহ্য়ি ওয়া ইয়মীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর’’ ১০ বার, তাহলে আল্লাহ তার জন্য প্রত্যকটির বিনিময়ে দশটি নেকী লিখে দিবেন, দশটি গুনাহ মোচন করবেন এবং দশটি মর্যাদা উন্নীত করবেন। সেই দিন তাকে সব ধরণের অপছন্দনীয় বস্ত্ত থেকে রক্ষা করা হবে এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে তাকে নিরাপদ রাখা হবে। শির্ক ব্যতীত কোন গুনাহ তাকে স্পর্শ করার সুযোগ পাবে না এবং সে হবে ঐ দিন মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ আমলকারী। তবে ঐ ব্যক্তি ব্যতীত যে তার চেয়ে উত্তম হবে অর্থাৎ তার চেয়ে বেশী পাঠ করবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমদ ৪/২২৭) এ হাদীছটি বেশ কয়েকজন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে।
الترغيب في أذكار يقولها بعد الصبح والعصر والمغرب
(حسن لغيره) وَعَنْ عبد الرحمن بن غنم رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أنه قال من قال قبل أن ينصرف ويثني رجليه من صلاة المغرب والصبح لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ عشر مَرَّاتٍ، كُتِبَ الله لَهُ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ عَشْرُ حَسَنَاتٍ، وَمُحِا عَنْهُ عَشْرُ سَيِّئَاتٍ، وَرُفِعَ لَهُ عَشْرُ دَرَجَاتٍ، وَكَانَتْ لَهُ حِرْزًا من مِنْ كُلِّ مَكْرُوهٍ، وَحِرْزًا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، وَلَمْ يَحِلَّ لِذَنْبٍ أن يُدْرِكُهُ إِلَّا الشِّرْكَ ، وَكَانَ مِنْ أَفْضَلِ النَّاسِ عَمَلًا، إِلَّا رَجُلًا يَفْضُلُهُ، يَقُولُ: أَفْضَلَ مِمَّا قَالَ ". (رواه أحمد)