সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি) ৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১২৮

পরিচ্ছেদঃ স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য

১২৮. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক শিশু ইসলামের সঠিক আকীদা-বিশ্বাসের উপর জন্ম গ্রহন করে, অতঃপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদি, খ্রীষ্টান ও অগ্নীপূজক বানায়।”[1]

بَابُ الْفِطْرَةِ

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَرْوَانَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ وَيُنَصِّرَانِهِ وَيُمَجِّسَانِهِ"
الراوي : أَبِو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 128 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح

اخبرنا الحسين بن عبد الله بن يزيد القطان حدثنا موسى بن مروان الرقي حدثنا مبشر بن اسماعيل عن الاوزاعي عن الزهري عن حميد بن عبد الرحمن عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "كل مولود يولد على الفطرة فابواه يهودانه وينصرانه ويمجسانه" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 128 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১২৯

পরিচ্ছেদঃ আমরা যে তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছি, সেগুলোর মাঝে পারস্পরিক সম্পর্ক

১২৯. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক শিশু ইসলামের সঠিক আকীদা-বিশ্বাসের উপর জন্ম গ্রহন করে, অতঃপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদি, খ্রীষ্টান ও অগ্নীপূজক বানায়।”[1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ" أَرَادَ بِهِ عَلَى الْفِطْرَةِ الَّتِي فطره الله عليها جل وعلا يوم أَخْرَجَهُمْ مِنْ صُلْبِ آدَمَ لِقَوْلِهِ جَلَّ وَعَلَا {فِطْرَتَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ} .

يَقُولُ: لَا تَبْدِيلَ لِتِلْكَ الْخِلْقَةِ الَّتِي خَلَقَهُمْ لَهَا إِمَّا لِجَنَّةٍ وَإِمَّا لِنَارٍ حَيْثُ أَخْرَجَهُمْ مِنْ صُلْبِ آدَمَ فَقَالَ هَؤُلَاءِ لِلْجَنَّةِ وَهَؤُلَاءِ لِلنَّارِ أَلَا تَرَى أَنَّ غُلَامَ الْخَضِرِ قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "طَبَعَهُ اللَّهُ يَوْمَ طَبَعَهُ كَافِرًا" وَهُوَ بَيْنَ أَبَوَيْنِ مُؤْمِنَيْنِ فَأَعْلَمَ اللَّهُ ذَلِكَ عَبْدَهُ الْخَضِرَ وَلَمْ يُعْلِمْ ذَلِكَ كَلِيمَهُ مُوسَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ كُتُبِنَا.

আবু হাতিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী “প্রত্যেক শিশু স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের উপর জন্ম গ্রহন করে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য, যার উপর তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, যেদিন তিনি মানুষকে আদম আলাইহিস সালাম এর পৃষ্ঠদেশ থেকে বের করেছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন: আল্লাহর ফিতরাত (স্বভাবজাত চেতনা, ইসলামের সঠিক আকীদা-বিশ্বাস, একাত্ববাদ) যার উপর তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই।” (সূরা রূম: ৩০) তিনি বলেন: আল্লাহর ঐ সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই, যেজন্য তিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি যখন তাদেরকে আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে সৃষ্টি করেছেন, তখনি তাদেরকে হয়তো জান্নাত নতুবা জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তিনি বলেছেন: এরা জান্নাতী আর এরা জাহান্নামী। তুমি কি লক্ষ্য করো না, খাযির আলাইহিস সালাম যে শিশুকে হত্যা করেছিলেন, তার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: মহান আল্লাহ যখন তার প্রকৃতি সৃষ্টি করেছেন, তখন কাফের প্রকৃতি দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। অথচ সে মুমিন পিতা-মাতার সন্তান ছিল। তার ব্যাপারটি মহান আল্লাহ তাঁর বান্দা খাযির আলাইহিস সালামকে জানিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর সাথে সরাসরি কথা বলা মুসা আলাইহিস সালামকে জানাননি। এসব বিষয়  আমরা আমাদের কিতাবের অন্যত্র বর্ণনা করেছি।”

ذِكْرُ إِثْبَاتِ الْأَلِفِ بَيْنَ الْأَشْيَاءِ الثَّلَاثَةِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا

أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ"
الراوي : أَبِو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 129 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

اخبرنا عمر بن محمد الهمداني حدثنا محمد بن اسماعيل البخاري حدثنا يحيى بن بكير حدثنا الليث بن سعد عن يحيى بن سعيد عن سهيل بن ابي صالح عن ابيه عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: "كل مولود يولد على الفطرة فابواه يهودانه او ينصرانه او يمجسانه" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 129 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩০

পরিচ্ছেদঃ যারা বলেন যে, হাদীসটি হুমাইদ বিন আব্দুর রহমান এককভাবে বর্ণনা করেছেন, তাদের কথা অপনোদনে হাদীস

১৩০. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক শিশু ইসলামের সঠিক আকীদা-বিশ্বাসের উপর জন্ম গ্রহন করে, অতঃপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদি, খ্রীষ্টান ও অগ্নীপূজক বানায়। যেমনভাবে তোমাদের উষ্ট্রীগুলো বাচ্চা দেয়, তাতে কি তোমরা কান কাটা দেখতে পাও? আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহ তা’আলা আনহু বলেন: তোমরা চাইলে মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত বাণী পড়ে দেখতে পারো: আল্লাহর ফিতরাত (স্বভাবজাত চেতনা, ইসলামের সঠিক আকীদা-বিশ্বাস, একাত্ববাদ) যার উপর তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই।” (সূরা রূম: ৩০) [1]

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ وَيُنَصِّرَانِهِ وَيُمَجِّسَانِهِ" مِمَّا نَقُولُ فِي كُتُبِنَا إِنَّ الْعَرَبَ تُضِيفُ الْفِعْلَ إِلَى الْآمِرِ كَمَا تُضِيفُهُ إِلَى الْفَاعِلِ فَأَطْلَقَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْمَ التَّهَوُّدِ وَالتَّنَصُّرِ وَالتَّمَجُّسِ عَلَى مَنْ أَمَرَ وَلَدَهُ بِشَيْءٍ مِنْهَا بِلَفْظِ الْفِعْلِ لَا أَنَّ الْمُشْرِكِينَ هُمُ الَّذِينَ يُهَوِّدُونَ أَوْلَادَهُمْ أَوْ يُنَصِّرُونَهُمْ أَوْ يُمَجِّسُونَهُمْ دُونَ قَضَاءِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي سَابِقِ عِلْمِهِ فِي عبيده على حسب مَا ذَكَرْنَاهُ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ كُتُبِنَا وهذا كقول بن عُمَرَ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلَقَ رَأْسَهُ فِي حَجَّتِهِ يُرِيدُ بِهِ أَنَّ الْحَالِقَ فَعَلَ ذَلِكَ بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نَفْسَهُ وَهَذَا كَقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَنْ حِينَ يَخْرُجُ أَحَدُكُمْ مِنْ بَيْتِهِ إِلَى الصَّلَاةِ فَخُطْوَتَاهُ إِحْدَاهُمَا تَحُطُّ خَطِيئَةً وَالْأُخْرَى تَرْفَعُ دَرَجَةً" يُرِيدُ أَنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِذَلِكَ لَا أَنَّ الْخُطْوَةَ تَحُطُّ الْخَطِيئَةَ أَوْ تَرْفَعُ الدَّرَجَةَ وَهَذَا كَقَوْلِ النَّاسِ الْأَمِيرُ ضَرَبَ فُلَانًا أَلْفَ سَوْطٍ يُرِيدُونَ أَنَّهُ أَمَرَ بِذَلِكَ لا أنه فعل بنفسه.

আবু  হাতিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী “প্রত্যেক শিশু স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের উপর জন্ম গ্রহন করে”আমরা আমাদের কিতাবে বলেছি যে, ক্রিয়াকে যেমনভাবে তার কর্তার দিকে সম্পর্কিত করা হয় অনুরুপভাবে আরবরা কোন কোন সময় ক্রিয়াকে নির্দেশদাতার দিকে সম্পর্কিত করে থাকেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়াহুদী, খ্রীষ্টান ও অগ্নীপূজক বানানোর ক্রিয়াকে এসব হওয়ার নির্দেশদাতার প্রতি সম্পর্কিত করেছেন। এখানে এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, বান্দার ব্যাপারে আল্লাহর পূর্বজ্ঞান অনুসারে তাঁর ফায়সালা ছাড়াই মুশরিকরা তাদের সন্তানকে ইয়াহুদী, খ্রীষ্টান বা অগ্নীপূজক বানায়। এসব আমরা আমাদের কিতাবের অন্যত্র বর্ণনা করেছি। এটি আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুমা এর উক্তির মতই। তিনি বলেছেন: “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্জের সময় মাথা মুন্ডন করেছিলেন।” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মুন্ডনকারী তাঁকে মুন্ডন করে দিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য এটা নয় যে, তিনি নিজেই মাথা মুন্ডন করেছিলেন। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিম্নোক্ত বাণীর মতই: তোমাদের কেউ যখন তার বাড়ি থেকে সালাতের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন তার দুই পদক্ষেপের এক পদক্ষেপ পাপ মোচন করে দেয় আরেক পদক্ষেপ মর্যাদা সমুন্নত করে দেয়। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ এমনটা করতে নির্দেশ দেন, এর অর্থ এটা নয় যে, খোদ পদক্ষেপই পাপ মুছে দেয়।  এটি মানুষের এই কথার মতই: “আমীর ওমুক ব্যক্তিকে প্রহার করেছেন।” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আমীর প্রহার করার নির্দেশ দিয়েছেন; এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, আমীর নিজেই তাকে প্রহার করেছেন।”

ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُدْحِضِ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ هَذَا الْخَبَرَ تَفَرَّدَ بِهِ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ وَيُنَصِّرَانِهِ وَيُمَجِّسَانِهِ كَمَا تَنْتِجُونَ إِبِلَكُمْ هَذِهِ هَلْ تُحِسُّونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ؟ " ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَاقْرَؤُوا إن شئتم {فِطْرَتَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ} "
الراوي : أَبِو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 130 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

اخبرنا عبد الله بن محمد الازدي حدثنا اسحاق بن ابراهيم اخبرنا عبد الرزاق اخبرنا معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن ابي هريرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: "كل مولود يولد على الفطرة فابواه يهودانه وينصرانه ويمجسانه كما تنتجون ابلكم هذه هل تحسون فيها من جدعاء؟ " ثم يقول ابو هريرة: فاقرووا ان شىتم {فطرت الله التي فطر الناس عليها لا تبديل لخلق الله} " الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 130 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩১

পরিচ্ছেদঃ যে হাদীস কোন আলিমকে সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো পূর্বে বর্ণিত দুই হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক

১৩১. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত,  তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুশরিক সন্তানদের (পরিণতি) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তিনি বলেন: “তারা (বেঁচে থাকলে) কী আমল করতো, তা আল্লাহ সম্যক অবগত।”[1]

ذِكْرُ خَبَرٍ قَدْ يُوهِمُ عَالِمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِلْخَبَرَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَاهُمَا قَبْلُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بن يحيى حدثنا بن وهب أنبأنا يونس عن بن شِهَابٍ أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَرَارِيِّ الْمُشْرِكِينَ فقال: "الله أعلم بما كانوا عاملين"
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 131 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

اخبرنا محمد بن الحسن بن قتيبة حدثنا حرملة بن يحيى حدثنا بن وهب انبانا يونس عن بن شهاب ان عطاء بن يزيد اخبره انه سمع ابا هريرة يقول: سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذراري المشركين فقال: "الله اعلم بما كانوا عاملين" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 131 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩২

পরিচ্ছেদঃ যে হাদীস ইলমে হাদীস বিষয়ে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো আমাদের উল্লেখিত আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণিত হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক

১৩২. আসওয়াদ বিন সারি’, যিনি একজন কবি ছিলেন এবং এই মাসজিদে তিনিই প্রথম ওয়াজ করা শুরু করেন, তিনি বলেন: এক সময় মুশরিকদের মাঝে মানুষ হত্যার ব্যাপারটি এমন হয় যে, তারা শিশু হত্যা শুরু করে। এই সংবাদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন: “মুশরিকদের সন্তানরা কি তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ নয়? প্রতিটি শিশু ইসলামের সহজাত চেতনা-বৈশিষ্ট্যের উপর জন্ম গ্রহন করে, বালেগ হওয়া পর্যন্ত তারা এই চেতনার উপর থাকে। অতঃপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদি, খ্রীষ্টান ও অগ্নীপূজক বানায়।”[1]

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: فِي خَبَرِ الْأَسْوَدِ بْنِ سَرِيعٍ هَذَا: "مَا مِنْ مَوْلُودٍ يُولَدُ إِلَّا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ" أَرَادَ بِهِ الْفِطْرَةَ الَّتِي يَعْتَقِدُهَا أَهْلُ الْإِسْلَامِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا قَبْلُ حَيْثُ أَخْرَجَ الْخَلْقَ مِنْ صُلْبِ آدَمَ فَإِقْرَارُ الْمَرْءِ بِتِلْكَ الْفِطْرَةِ مِنَ الْإِسْلَامِ فَنَسْبُ الْفِطْرَةُ إِلَى الإسلام عند الاعتقاد على سبيل المجاورة.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আসওয়াদ বিন সারি’ এর হাদীসের ভাষ্য: “প্রতিটি শিশু ইসলামের সহজাত চেতনা-বৈশিষ্ট্যের উপর জন্ম গ্রহন করে” –এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সেসব আকীদা-বিশ্বাস যা মুসলিমরা বিশ্বাস করে থাকেন। এই সম্পর্কে আলোচনা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি যে, মহান আল্লাহ আদম সন্তানকে আদমের পৃষ্ঠদেশ থেকে বের করেছেন। কাজেই কোন মানুষের উক্ত ফিতরাতের স্বীকৃতি দেওয়া ইসলামের অর্ন্তভূক্ত। সুতরাং আকীদার ক্ষেত্রে ফিতরাতকে ইসলামের দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে নিকটবর্তী হওয়ার কারণে।”

ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةَ الْحَدِيثِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِخَبَرِ أَبِي هُرَيْرَةَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ

أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا السَّرِيُّ بْنُ يَحْيَى أَبُو الْهَيْثَمِ وَكَانَ عَاقِلًا حَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ سَرِيعٍ وَكَانَ شَاعِرًا وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ قَصَّ فِي هَذَا الْمَسْجِدِ قَالَ: أَفْضَى بِهِمُ الْقَتْلُ إِلَى أَنْ قَتَلُوا الذُّرِّيَّةَ فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: "أَوَلَيْسَ خِيَارُكُمْ أَوْلَادَ الْمُشْرِكِينَ مَا مِنْ مَوْلُودٍ يُولَدُ إِلَّا عَلَى فِطْرَةِ الْإِسْلَامِ حَتَّى يُعْرِبَ فَأَبَوَاهُ يهودانه وينصرانه ويمجسانه"
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 132 | خلاصة حكم المحدث: رجاله ثقات

اخبرنا الفضل بن الحباب الجمحي حدثنا مسلم بن ابراهيم حدثنا السري بن يحيى ابو الهيثم وكان عاقلا حدثنا الحسن عن الاسود بن سريع وكان شاعرا وكان اول من قص في هذا المسجد قال: افضى بهم القتل الى ان قتلوا الذرية فبلغ النبي صلى الله عليه وسلم فقال: "اوليس خياركم اولاد المشركين ما من مولود يولد الا على فطرة الاسلام حتى يعرب فابواه يهودانه وينصرانه ويمجسانه" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 132 | خلاصة حكم المحدث: رجاله ثقات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩৩

পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই বক্তব্য “তারা (বেঁচে থাকলে) কী আমল করতো, তা আল্লাহ সম্যক অবগত”, “প্রতিটি শিশু ইসলামের সহজাত চেতনা-বৈশিষ্ট্যের উপর জন্ম গ্রহন করে” তাঁর এই বক্তব্যের পরে ছিল- এই মর্মে সুষ্পষ্ট হাদীস

১৩৩. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেক শিশু ইসলামের সঠিক আকীদা-বিশ্বাসের উপর জন্ম গ্রহন করে, অতঃপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদি, খ্রীষ্টান ও অগ্নীপূজক বানায়। যেমনভাবে উষ্ট্রী পরিপূর্ণ বাচ্চা জন্ম দেয়, তাতে কি তোমরা কান কাটা দেখতে পাও? সাহাবীগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল, সেসব শিশুর ব্যাপারে আপনার কী অভিমত যারা শৈশবেই মারা যায়? তিনি বলেন: “তারা (বেঁচে থাকলে) কী আমল করতো, তা আল্লাহ সম্যক অবগত” [1]

ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُصَرِّحَ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ", كَانَ بَعْدَ قَوْلِهِ: "كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ".

أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ الطَّائِيُّ بِمَنْبَحَ أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الزُّهْرِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ وَيُنَصِّرَانِهِ كَمَا تُنَاتَجُ الْإِبِلُ مِنْ بَهِيمَةٍ جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّ مِنْ جَدْعَاءَ"؟ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَرَأَيْتَ مَنْ يَمُوتَ وَهُوَ صَغِيرٌ قَالَ: "اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عاملين"
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 133 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط الشيخين

اخبرنا عمر بن سعيد الطاىي بمنبح اخبرنا احمد بن ابي بكر الزهري عن مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: "كل مولود يولد على الفطرة فابواه يهودانه وينصرانه كما تناتج الابل من بهيمة جمعاء هل تحس من جدعاء"؟ قالوا: يا رسول الله افرايت من يموت وهو صغير قال: "الله اعلم بما كانوا عاملين" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 133 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط الشيخين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩৪

পরিচ্ছেদঃ “মুশরিকদের সন্তানরা কি তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ নয়?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই বক্তব্যের কারণ

১৩৪. আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবুল কাসিম মুহাম্মাদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “আমাদের প্রতিপালক একদল লোক দেখে মুগ্ধ হন, যাদেরকে শিকল পড়িয়ে জান্নাতে নিয়ে যাওয়া হবে।”[1]

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "عَجِبَ رَبُّنَا", مِنْ أَلْفَاظِ التَّعَارُفِ الَّتِي لَا يَتَهَيَّأُ عِلْمُ الْمُخَاطَبِ بِمَا يُخَاطَبُ بِهِ فِي الْقَصْدِ إِلَّا بِهَذِهِ الْأَلْفَاظِ الَّتِي اسْتَعْمَلَهَا الناس فيما بينهم والقصد في هذا الْخَبَرِ السَّبْيُ الَّذِي يَسْبِيهِمُ الْمُسْلِمُونَ مِنْ دَارِ الشِّرْكِ مُكَتَّفِينَ فِي السَّلَاسِلِ يُقَادُونَ1 بِهَا إِلَى دُورِ الْإِسْلَامِ حَتَّى يُسْلِمُوا فَيَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلِهَذَا الْمَعْنَى أَرَادَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ في خبر الأسود بن سريع "أوليس خِيَارَكُمْ أَوْلَادُ الْمُشْرِكِينَ" وَهَذِهِ اللَّفْظَةُ أُطْلِقَتْ أَيْضًا بحذف من عنها يريد أوليس من خياركم.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী “"عَجِبَ رَبُّنَا"  “ (আমাদের প্রতিপালক মুগ্ধ হন) –এগুলো মানুষের মাঝে প্রচলিত শব্দ; এগুলি এমন কিছু উদ্দেশ্যপূর্ণ শব্দ যা শ্রোতা তাদের মাঝে প্রচলিত এই ধরণের শব্দ ছাড়া উদ্দেশ্য বুঝতে পারে না।[2]

হাদীসের মর্ম হলো সেই সব লোক যাদেরকে মুসলিমগণ দারুল কুফর থেকে কিছু মুশরিকদের বন্দি করে শিকল পরিয়ে দারুল ইসলামে নিয়ে আসে, অতঃপর এক পর্যায়ে তারা মুসলিম হয়ে যান। ফলে তাঁরা জান্নাতে প্রবেশ করেন।

“মুশরিকদের সন্তানরা কি তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ নয়?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই বক্তব্যের অর্থও এমনই; এই বাক্যেও مِنْ (অন্যতম) উহ্য আছে। কাজেই বাক্যের মর্মার্থ হলো: মুশরিকদের সন্তানরা কি তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত নয়?”

ذكر العلة مِنْ أَجْلِهَا قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "أَوَلَيْسَ خِيَارَكُمْ أَوْلَادُ الْمُشْرِكِينَ"

سَمِعْتُ أَبَا خَلِيفَةَ يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ بَكْرِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ مُسْلِمٍ يَقُولُ سَمِعْتُ الرَّبِيعَ بْنَ مُسْلِمٍ يَقُولُ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ زِيَادٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: "عَجِبَ رَبُّنَا مِنْ أَقْوَامٍ يُقَادُونَ إِلَى الْجَنَّةِ فِي السَّلَاسِلِ"
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 134 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

سمعت ابا خليفة يقول سمعت عبد الرحمن بن بكر بن الربيع بن مسلم يقول سمعت الربيع بن مسلم يقول سمعت محمد بن زياد يقول: سمعت ابا هريرة يقول: سمعت ابا القاسم صلى الله عليه وسلم يقول: "عجب ربنا من اقوام يقادون الى الجنة في السلاسل" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 134 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩৫

পরিচ্ছেদঃ ইলমে হাদীস বিষয়ে যিনি ভালভাবে জ্ঞান অর্জন করেননি এমন ব্যক্তিকে নিম্নোক্ত হাদীস এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো পূর্বে উল্লেখিত হাদীসগুলোর বিপরীত

১৩৫. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন এক যুদ্ধে একজন নিহত নারীকে দেখলেন, অতঃপর তিনি এটাকে খুবই অপছন্দ করলেন এবং নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন।[1]

ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ مَنْ لَمْ يُحْسِنْ طَلَبَ الْعِلْمِ مِنْ مَظَانِّهِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِلْأَخْبَارِ الَّتِي تَقَدَّمَ ذِكْرُنَا لَهَا

أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ: "أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ امْرَأَةً مَقْتُولَةً فَأَنْكَرَ ذلك ونهى عن قتل النساء والصبيان"
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 135 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط الشيخين

اخبرنا عمر بن سعيد بن سنان انبانا احمد بن ابي بكر عن مالك عن نافع عن ابن عمر: "ان رسول الله صلى الله عليه وسلم راى في بعض مغازيه امراة مقتولة فانكر ذلك ونهى عن قتل النساء والصبيان" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 135 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط الشيخين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩৬

পরিচ্ছেদঃ ইলমে হাদীস বিষয়ে যিনি মজবুত জ্ঞান অর্জন করেননি এমন ব্যক্তিকে নিম্নোক্ত হাদীস এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো পূর্বে উল্লেখিত হাদীসগুলোর বিপরীত

১৩৬. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত,  সা’ব বিন জাস্সামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বলেছেন: একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, সেসময় আমি আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক জায়গায় ছিলাম।আমি তাঁকে বন্য গাধার মাংস হাদীয়া দিলে, তিনি তা আমাকে ফিরিয়ে দেন, অতঃপর যখন তিনি আমার চেহারায় অপছন্দের ভাব লক্ষ্য করলেন, তখন তিনি বললেন: “আমরা এটা তোমাকে ফিরিয়ে দিতাম না কিন্তু আমরা ইহরাম অবস্থায় আছি।”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরো জিজ্ঞেস করা হয় মুশরিকদের বাড়িতে রাত্রে আকস্মিক আক্রমন করা সম্পর্কে যাতে তাদের নারী ও শিশু আক্রান্ত হয়, জবাবে তিনি বলেন: “ওরা তাদেরই অন্তর্ভূক্ত।”

রাবী বলেন, আমি তাঁকে আরো বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “চারণভূমি সংরক্ষিত করার অধিকার আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যতিত আর কারো নেই।”[1]

ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةَ الْحَدِيثِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِلْأَخْبَارِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا قَبْلُ

أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْنَاهُ مِنِ الزُّهْرِيِّ عَودًا وَبَدْءًا عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ بن عَبَّاسٍ قَالَ أَخْبَرَنِي الصَّعْبُ بْنُ جَثَّامَةَ قَالَ: مَرَّ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا بِالْأَبْوَاءِ أَوْ بِوَدَّانَ فَأَهْدَيْتُ إِلَيْهِ لَحْمَ حِمَارٍ وَحْشٍ فَرَدَّهُ عَلَيَّ فَلَمَّا رَأَى الْكَرَاهِيَةَ فِي وَجْهِي قَالَ: "إِنَّهُ لَيْسَ بِنَا رَدٌّ عَلَيْكَ وَلَكِنَّا حُرُمٌ".
وَسُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الدَّارِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يُبَيَّتُونَ فَيُصَابُ مِنْ نِسَائِهِمْ وَذَرَارِيِّهِمْ قَالَ: "هُمْ مِنْهُمْ".
قَالَ: وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: "لَا حِمَى إِلَّا لله ورسوله"
الراوي : عَبْد اللَّهِ بن عَبَّاسٍ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 136 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

اخبرنا عمر بن محمد الهمداني حدثنا عبد الجبار بن العلاء حدثنا سفيان قال سمعناه من الزهري عودا وبدءا عن عبيد الله بن عبد الله عن بن عباس قال اخبرني الصعب بن جثامة قال: مر بي رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا بالابواء او بودان فاهديت اليه لحم حمار وحش فرده علي فلما راى الكراهية في وجهي قال: "انه ليس بنا رد عليك ولكنا حرم". وسىل النبي صلى الله عليه وسلم عن الدار من المشركين يبيتون فيصاب من نساىهم وذراريهم قال: "هم منهم". قال: وسمعته يقول: "لا حمى الا لله ورسوله" الراوي : عبد الله بن عباس | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 136 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩৭

পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “ওরা তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। ”পরবর্তীতে তিনি মুশরিকদের শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন মর্মে সুস্পষ্ট হাদীস

১৩৭. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা  সা’ব বিন জাস্সামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “চারণভূমি সংরক্ষিত করার অধিকার আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যতিত আর কারো নেই।”

আমি তাঁকে আরো প্রশ্ন করেছি মুশরিকদের শিশুদের সম্পর্কে; আমরা কি মুশরিকদের সাথে তাদের শিশুদেরও হত্যা করবো? তিনি বলেন: “হ্যা, তাদেরকেও হত্যা করবে। কেননা ওরা তাদেরই অন্তর্ভূক্ত।” এরপর তিনি হুনাইনের যুদ্ধে তাদের শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করেন।”[1]

ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُصَرِّحِ بِأَنَّ نَهْيَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَتْلِ الذَّرَارِيِّ مِنَ الْمُشْرِكِينَ كَانَ بَعْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "هُمْ مِنْهُمْ"

أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سِنَانٍ الْقَطَّانُ بِوَاسِطَ حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ بن عَبَّاسٍ عَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يقول: "لا حمى إلا لله ولرسوله" وسألته عن أَوْلَادِ الْمُشْرِكِينَ أَنَقْتُلُهُمْ مَعَهُمْ قَالَ: "نَعَمْ فَإِنَّهُمْ مِنْهُمْ" ثُمَّ نَهَى عَنْ قَتْلِهِمْ يَوْمَ حُنَيْنٍ.
الراوي : عَبْد اللَّهِ بن عَبَّاسٍ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 137 | خلاصة حكم المحدث: إسناده حسن

اخبرنا جعفر بن سنان القطان بواسط حدثنا العباس بن محمد بن حاتم حدثنا محمد بن عبيد حدثنا محمد بن عمرو عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله عن بن عباس عن الصعب بن جثامة قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "لا حمى الا لله ولرسوله" وسالته عن اولاد المشركين انقتلهم معهم قال: "نعم فانهم منهم" ثم نهى عن قتلهم يوم حنين. الراوي : عبد الله بن عباس | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 137 | خلاصة حكم المحدث: اسناده حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩৮

পরিচ্ছেদঃ ইলমে হাদীস বিষয়ে যিনি চোখ বন্ধ রাখে এবং অন্য ইলমে নিজেকে নিয়োজিত রাখে এমন ব্যক্তিকে নিম্নোক্ত হাদীস এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীসটি হয়তো পূর্বে উল্লেখিত হাদীসগুলোর বিপরীত

১৩৮. উম্মুল মুমিনীন ’আইশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,  একটা শিশু মারা গেলে আমি বললাম: “শিশুটি কতো ভাগ্যবান! সে জান্নাতের চড়ুইপাখিগুলোর মাঝে একটি চড়ুইপাখি! (এটা শুনে) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “’আইশা, তুমি কী জাননা, আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন অতঃপর জান্নাতের জন্য তার অধিবাসী সৃষ্টি করেছেন এবং জাহান্নামের জন্যও তার অধিবাসী সৃষ্টি করেছেন।”[1]

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: أَرَادَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ هَذَا تَرْكَ التَّزْكِيَةِ لِأَحَدٍ مَاتَ عَلَى الْإِسْلَامِ وَلِئَلَّا يُشْهَدَ بِالْجَنَّةِ لِأَحَدٍ وَإِنْ عُرِفَ مِنْهُ إِتْيَانُ الطَّاعَاتِ وَالِانْتِهَاءُ عَنِ الْمَزْجُورَاتِ لِيَكُونَ الْقَوْمُ أَحْرَصَ عَلَى الْخَيْرِ وَأَخْوَفَ مِنَ الرَّبِّ لَا أَنَّ الصَّبِيَّ الطِّفْلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُخَافُ عَلَيْهِ النَّارُ وَهَذِهِ مَسْأَلَةٌ طَوِيلَةٌ قَدْ أَمْلَيْنَاهَا بِفُصُولِهَا وَالْجَمْعُ بَيْنَ هَذِهِ الْأَخْبَارِ فِي كِتَابِ فُصُولُ السُّنَنِ وَسَنُمْلِيهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بَعْدَ هَذَا الْكِتَابِ فِي كِتَابِ الْجَمْعُ بَيْنَ الْأَخْبَارِ وَنَفْيُ التَّضَادِّ عَنِ الْآثَارِ إِنْ يسر الله تعالى ذلك وشاء.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন:  “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো ইসলামের উপর মৃত্যুবরণকারী কারো জন্য প্রশংসা না করা এবং কারো জন্য জান্নাতের সাক্ষ্য না দেওয়া যদিও সে ব্যক্তি ভালো কাজ পালন এবং নিষিদ্ধ কাজ বর্জনকারী হিসেবে সুপরিচিত হন, যাতে মানুষ কল্যানের কাজে বেশি আগ্রহী হতে পারে এবং তার প্রতিপালককে বেশি ভয় করে। এই হাদীসের উদ্দেশ্য এটা নয় যে, মুসলিম শিশু মারা গেলে তার জাহান্নামে যাওয়ার আশংকা আছে। এটি একটি বৃহত্তর মাসআলাহ; যা আমরা এর সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলোতে আলোচনা করেছি। এই সমস্ত হাদীসের মাঝে সমন্বয় ’ফুসূলুস সুনান’ কিতাবে আছে। যদি আল্লাহ চান এবং সহজ করে দেন তাহলে এই সম্পর্কে এই কিতাবের পর الْجَمْعُ بَيْنَ الْأَخْبَارِ وَنَفْيُ التَّضَادِّ عَنِ الْآثَارِ নামক কিতাবে লিখবো ইনশাআল্লাহ।”

ذِكْرُ خَبَرٍ قَدْ أَوْهَمَ مَنْ أَغْضَى عَنْ عِلْمِ السُّنَنِ وَاشْتَغَلَ بِضِدِّهَا أَنَّهُ يُضَادُّ الْأَخْبَارَ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا قَبْلُ

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ تُوُفِّيَ صَبِيٌّ فَقُلْتُ طُوبَى لَهُ عُصْفُورٌ مِنْ عَصَافِيرِ الْجَنَّةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "أَوَلَا تَدْرِينَ أَنَّ اللَّهَ خَلَقَ الجنة وخلق النار فخلق لهذه أهلا ولهذه أهلا"
الراوي : عَائِشَة أُمّ الْمُؤْمِنِينَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 138 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

اخبرنا عمران بن موسى بن مجاشع حدثنا عثمان بن ابي شيبة حدثنا جرير بن عبد الحميد عن العلاء بن المسيب عن فضيل بن عمرو عن عاىشة بنت طلحة عن عاىشة ام المومنين قالت توفي صبي فقلت طوبى له عصفور من عصافير الجنة فقال النبي صلى الله عليه وسلم: "اولا تدرين ان الله خلق الجنة وخلق النار فخلق لهذه اهلا ولهذه اهلا" الراوي : عاىشة ام المومنين | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 138 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৩৯

পরিচ্ছেদঃ শরীয়তের দায়-দায়িত্ব - মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাকে সাধ্যাতিত কাজের দায়িত্ব দেন না, এই মর্মে বর্ণিত হাদীসসমূহ

১৩৯. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর এই আয়াত নাযিল হলো:

{لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَإِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَو تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ}

অর্থ: “আসমানসমূহ ও যমিনে যা কিছু আছে, সব আল্লাহর জন্যই। তোমাদের মনে যা আছে তা যদি প্রকাশ করো অথবা গোপন রাখো, আল্লাহ এই ব্যাপারে তোমাদের হিসাব নিবেন।অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন আর যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দিবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাবান।” (সূরা আল বাকারা: ২৮৪)


এই সময় সাহাবীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে হাটু গেড়ে বসলেন এবং বলতে লাগলেন: “আমরা তো এটা মানতে সক্ষম হবো না, আমাদের এমন কিছু আমল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা পালন করার ক্ষমতা আমরা রাখি না।” তখন আয়াত নাযিল হলো:

{آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ} থেকে {غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ} এই পর্যন্ত ।

অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তোমাদের পূর্ববতী আহলে কিতাবরা যেভাবে বলেছিল, তোমরাও সেভাবে বলো না। ওরা বলেছিল: “আমরা শুনলাম আর অবাধ্য হলাম।” বরং তোমরা বলো যে, আমরা শুনলাম এবং মেনে নিলাম। আমরা তোমার ক্ষমা চাচ্ছি, হে আমাদের প্রতিপালক, তোমার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।” এসময় আয়াত নাযিল হলো:

{لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْساً إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا}

অর্থ: “আল্লাহ মানুষকে তার সাধ্যাতিত কাজের দায়িত্ব দেন না। সে ভাল যা উপার্জন করে, তার কর্মফল তারই আর মন্দ যা উপার্জন করে তার ফলাফলও তারই উপর বর্তাবে। হে আমাদের প্রতিপালক, যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ভুল করি, এজন্য তুমি আমাদের পাকড়াও করো না।” (সূরা আল বাকারা: ২৮৬) (বান্দা যখন এই দু’আ করে তখন আল্লাহ) বলেন: “হ্যাঁ, তাই হবে।”

{رَبَّنَا وَلا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْراً كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا}

অর্থ: ”হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যেভাবে তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিলে।” (সূরা আল বাকারা: ২৮৬) আল্লাহ বলেন: “হ্যাঁ, তাই হবে।”

{رَبَّنَا وَلا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ}

অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদের উপর এমন কিছু চাপিয়ে দিয়ো না, যা বহন করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের মাফ করে দাও, ক্ষমা করে দাও এবং আমাদের প্রতি দয়া করো। তুমিই আমাদের অভিভাবক। অতএব তুমি আমাদেরকে কাফির সম্প্রদায়ের উপর বিজয় দান করো।” (সূরা আল বাকারা: ২৮৬) আল্লাহ বলেন: “হ্যাঁ, তাই হবে।”[1]

بَابُ التَّكْلِيفِ- ذِكْرُ الْأَخْبَارِ عَنْ نَفْيِ تَكْلِيفِ اللَّهِ عِبَادَهُ مَا لَا يُطِيقُونَ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ الضَّرِيرُ قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ الْآيَةُ {لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَإِنْ تُبْدُوا مَا فِي أَنْفُسِكُمْ أَو تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُمْ بِهِ اللَّهُ فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ} أَتَوَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَثَوْا عَلَى الرُّكَبِ وَقَالُوا لَا نُطِيقُ لَا نَسْتَطِيعُ كُلِّفْنَا مِنَ الْعَمَلِ مَا لَا نُطِيقُ وَلَا نَسْتَطِيعُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ {آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ} إلى قوله: {غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ} فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "لَا تَقُولُوا كَمَا قَالَ أَهْلُ الْكِتَابِ مِنْ قَبْلِكُمْ سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا بَلْ قُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ" فَأَنْزَلَ اللَّهُ {لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْساً إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا} قَالَ: نَعَمْ {رَبَّنَا وَلا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْراً كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا} قَالَ: نَعَمْ {رَبَّنَا وَلا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ} قال نعم.
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 139 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

اخبرنا الحسن بن سفيان قال حدثنا محمد بن المنهال الضرير قال حدثنا يزيد بن زريع قال حدثنا روح بن القاسم عن العلاء بن عبد الرحمن عن ابيه عن ابي هريرة قال: لما نزلت على النبي صلى الله عليه وسلم هذه الاية {لله ما في السماوات وما في الارض وان تبدوا ما في انفسكم او تخفوه يحاسبكم به الله فيغفر لمن يشاء ويعذب من يشاء والله على كل شيء قدير} اتوا النبي صلى الله عليه وسلم فجثوا على الركب وقالوا لا نطيق لا نستطيع كلفنا من العمل ما لا نطيق ولا نستطيع فانزل الله {امن الرسول بما انزل اليه من ربه والمومنون} الى قوله: {غفرانك ربنا واليك المصير} فقال النبي صلى الله عليه وسلم: "لا تقولوا كما قال اهل الكتاب من قبلكم سمعنا وعصينا بل قولوا سمعنا واطعنا غفرانك ربنا واليك المصير" فانزل الله {لا يكلف الله نفسا الا وسعها لها ما كسبت وعليها ما اكتسبت ربنا لا تواخذنا ان نسينا او اخطانا} قال: نعم {ربنا ولا تحمل علينا اصرا كما حملته على الذين من قبلنا} قال: نعم {ربنا ولا تحملنا ما لا طاقة لنا به واعف عنا واغفر لنا وارحمنا انت مولانا فانصرنا على القوم الكافرين} قال نعم. الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 139 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪০

পরিচ্ছেদঃ “দ্বীনের মধ্যে কোন জবরদস্তি নেই” (সূরা আল বাকারা: ২৫৬) আয়াতটি যে অবস্থায় নাযিল হয়, তার বর্ণনা

১৪০. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি “দ্বীনের মধ্যে কোন জবরদস্তি নেই” (সূরা আল বাকারা: ২৫৬) এই আয়াতের ব্যাপারে বলেন: ইসলামপূর্ব যুগে আনসারী কোন নারীর সন্তান বেঁচে না থাকলে, তখন এই শপথ করতো যে, যদি তার কোন সন্তান বেঁচে থাকে, তাহলে সে তাকে ইয়াহুদি বানাবে। অতঃপর যখন বানু নাযীর ইয়াহুদি গোত্রকে দেশান্তর করা হয়, তখন আনসারগণ বললেন: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাদের (এই ধরণের মান্নত করা কিছু সন্তান ইয়াহুদিদের মাঝে আছে) এসব সন্তানদের কী হবে? তখন আল্লাহ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেন: {لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ} “দ্বীনের মধ্যে কোন জবরদস্তি নেই” (সূরা আল বাকারা: ২৫৬) সাঈদ বিন যুবাইর বলেন: এরপর যার ইচ্ছা ইয়াহুদিদের সাথে যুক্ত হয়, আর যার ইচ্ছা সে ইসলামে প্রবেশ করেন।”[1]

ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنِ الْحَالَةِ الَّتِي مِنْ أَجْلِهَا أنزل الله جل وعلا: {لا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ}

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِبُسْتَ قَالَ حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ} [البقرة: 256] قَالَ: كَانَتَ الْمَرْأَةُ مِنَ الْأَنْصَارِ لَا يَكَادُ يَعِيشُ لَهَا وَلَدٌ فَتَحْلِفُ لَئِنْ عَاشَ لَهَا وَلَدٌ لَتُهَوِّدَنَّهُ فَلَمَّا أُجْلِيَتْ بَنُو النَّضِيرِ إِذَا فِيهِمْ نَاسٌ مِنْ أَبْنَاءِ الْأَنْصَارِ فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبْنَاؤُنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الْآيَةَ {لَا إِكْرَاهَ فِي الدِّينِ} قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: فَمَنْ شَاءَ لَحِقَ بهم ومن شاء دخل في الإسلام.
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 140 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرطهما

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم بن اسماعيل ببست قال حدثنا حسن بن علي الحلواني قال حدثنا وهب بن جرير قال حدثنا شعبة عن ابي بشر عن سعيد بن جبير عن ابن عباس في قوله: {لا اكراه في الدين} [البقرة: 256] قال: كانت المراة من الانصار لا يكاد يعيش لها ولد فتحلف لىن عاش لها ولد لتهودنه فلما اجليت بنو النضير اذا فيهم ناس من ابناء الانصار فقالت الانصار: يا رسول الله ابناونا فانزل الله هذه الاية {لا اكراه في الدين} قال سعيد بن جبير: فمن شاء لحق بهم ومن شاء دخل في الاسلام. الراوي : ابن عباس | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 140 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرطهما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪১

পরিচ্ছেদঃ যে ফরযকে আল্লাহ তা‘আলা নফল হিসেবে নির্ধারণ করেন, হতে পারে সেটাকে তিনি দ্বিতীয় বার ফরয করে দিবেন, ফলে যে কাজটি প্রথমে ফরয ছিল, সেটা শেষাবধি আবার ফরয হিসেবে গণ্য হবে

১৪১. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রমযানের একরাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (স্বীয় হুজরা থেকে মাসজিদের উদ্দেশ্যে) বের হলেন। অতঃপর মাসজিদে তারাবীহর সালাত আদায় করলেন। এসময় কিছু সাহাবী তাঁর সালাতের ইকতিদা করে তার পেছনে সালাত আদায় করেন।পরদিন সকালে এই বিষয় নিয়ে লোকদের মাঝে আলোচনা হয়। ফলে এদিন আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক মাসজিদে জমায়েত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্বিতীয় রাতেও মাসজিদে আসলেন এবং সাহাবাগণ তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। পরদিন সকালে আবারো এই বিষয় নিয়ে লোকদের মাঝে আলোচনা হয়। ফলে তৃতীয় রাতে মাসজিদে প্রচুর লোক জমায়েত হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তৃতীয় রাতেও মাসজিদে আসলেন এবং সাহাবাগণ তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। এভাবে চতুর্থ রাতে এতো বিপুল সংখ্যক জমায়েত হলো যে, মাসজিদে জায়গা সংকুলান হচ্ছিল না। এ রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের সালাত আদায়ের উদ্দেশ্য ছাড়া আর মাসজিদে আসেননি। ফজরের সালাত শেষ হলে তিনি মানুষের সামনে আগমন করেন এবং খুতবা পাঠ করে বলেন: “অতঃপর, তোমাদের অবস্থান আমার কাছে গোপন ছিল না। কিন্তু আমার আশংকা হচ্ছিল এটা তোমাদের ‍উপর ফরয করে দেওয়া হবে আর তখন তোমরা তা পালন করতে পারবে না।”

আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ব্যাপারে বিধানগত কোন ফায়সালা না দিয়ে মানুষকে এই সালাত আদায় করার জন্য উৎসাহিত করতেন।তিনি বলতেন: “যে ব্যক্তি রমাযানে রাতে ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করবে, তার পূর্বের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। ”অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‍দুনিয়া থেকে চলে যান, এই ব্যাপারটি এমনি থাকে। আবু বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফত কালে এবং উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতের প্রথম দিকেও ব্যাপারটি এমনি ছিল।[1] (অতঃপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতের কিছুকাল পর তারাবীহর সালাত জামা’আতে পড়ার প্রচলন শুরু হয়।)

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْفَرْضَ الَّذِي جَعَلَهُ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا نَفْلًا جَائِزٌ أَنْ يُفْرَضَ ثَانِيًا فَيَكُونُ ذَلِكَ الْفِعْلُ الَّذِي كَانَ فَرَضًا فِي الْبِدَايَةِ فَرْضًا ثَانِيًا فِي النِّهَايَةِ

أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ الطَّائِيُّ بِمَنْبَجَ قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ حَفْصٍ النُّفَيْلِيُّ قَالَ قَرَأْنَا عَلَى مَعْقِلِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى رِجَالٌ وَرَاءَهُ بِصَلَاتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا بِذَلِكَ فَاجْتَمَعَ أَكْثَرَهُمْ مِنْهُمْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثَّانِيَةَ فَصَلَّوْا بِصَلَاتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا بِذَلِكَ فَاجْتَمَعَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ لَيْلَةَ الثَّالِثَةِ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّوْا بِصَلَاتِهِ فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الرَّابِعَةُ عَجَزَ الْمَسْجِدُ عَنْ أَهْلِهِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إلَا لِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَلَمَّا قُضِيَتْ صَلَاةُ الْفَجْرِ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَتَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ: "أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ لَمْ يَخْفَ عَلَيَّ مَكَانُكُمْ وَلَكِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ فَتَقْعُدُوا عَنْهَا".
وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرَغِّبُهُمْ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِقَضَاءِ أَمْرٍ فِيهِ يَقُولُ: "مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذنبه" فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ وَصَدْرًا مِنْ خلافة عمر رضوان الله عليهم أجمعين.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 141 | خلاصة حكم المحدث: إسناده حسن

اخبرنا عمر بن سعيد بن سنان الطاىي بمنبج قال حدثنا سعيد بن حفص النفيلي قال قرانا على معقل بن عبيد الله عن الزهري عن عروة عن عاىشة انها اخبرته: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج ليلة في رمضان فصلى في المسجد فصلى رجال وراءه بصلاته فاصبح الناس فتحدثوا بذلك فاجتمع اكثرهم منهم فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم الثانية فصلوا بصلاته فاصبح الناس فتحدثوا بذلك فاجتمع اهل المسجد ليلة الثالثة فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم فصلوا بصلاته فلما كانت الليلة الرابعة عجز المسجد عن اهله فلم يخرج اليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم الا لصلاة الفجر فلما قضيت صلاة الفجر اقبل على الناس فتشهد ثم قال: "اما بعد فانه لم يخف علي مكانكم ولكني خشيت ان تفرض عليكم فتقعدوا عنها". وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يرغبهم في قيام شهر رمضان من غير ان يامرهم بقضاء امر فيه يقول: "من قام رمضان ايمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه" فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم والامر على ذلك ثم كان الامر على ذلك في خلافة ابي بكر وصدرا من خلافة عمر رضوان الله عليهم اجمعين. الراوي : عاىشة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 141 | خلاصة حكم المحدث: اسناده حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪২

পরিচ্ছেদঃ ঐ কারণের বিবরণ, যে কারণ না থাকলে গোনাহ লিখার কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়

১৪২. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তিন শ্রেণির মানুষ থেকে (গোনাহ লিখার) কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।(১) ঘুমন্ত ব্যক্তি থেকে, যতক্ষণ না সে ঘুম থেকে জাগ্রত হয় (২) নাবালেগ শিশু থেকে যতক্ষণ না সে বালেগ হয় (৩) পাগল থেকে যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায়।” [1]

ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنِ الْعِلَّةِ الَّتِي مِنْ أَجْلِهَا إِذَا عُدِمَتْ رُفِعَتِ الْأَقْلَامُ عَنِ النَّاسِ فِي كِتْبَةِ الشَّيْءِ عَلَيْهِمْ

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الْغُلَامِ حَتَّى يَحْتَلِمَ وعن المجنون حتى يفيق".
الراوي : عَائِشَة | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 142 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم

اخبرنا ابو يعلى حدثنا شيبان بن فروخ حدثنا حماد بن سلمة عن حماد عن ابراهيم عن الاسود عن عاىشة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "رفع القلم عن ثلاثة عن الناىم حتى يستيقظ وعن الغلام حتى يحتلم وعن المجنون حتى يفيق". الراوي : عاىشة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 142 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় হাদীস যা আমাদের উল্লেখিত বিষয়কে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে

১৪৩. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আলী বিন আবু তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু  আনহু ওমুক গোত্রের পাগলীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, যে ব্যভিচার করেছিল। ফলে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করার আদেশ দিলেন। আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে ছেড়ে নিলেন। এরপর  উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, হে আমিরুল ‍মুমিনূন, আপনি কি একে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করতে চান? জবাবে তিনি বললেন: হ্যা। তখন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আপনার কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা স্মরণ নেই? তিনি বলেছেন: তিন শ্রেণির মানুষ থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। (১) ঐ পাগল থেকে যার জ্ঞানের উপর উন্মত্ততা জয়যুক্ত হয়েছে (২) ঘুমন্ত ব্যক্তি থেকে যতক্ষন না সে জাগ্রত হয় (৩) শিশু থেকে যতক্ষন না সে বালেগ হয়।” এটি শুনে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হ্যা, আপনি সত্যই বলেছেন। অতঃপর তিনি তাকে ছেড়ে দেন।”[1]

ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا يونس بن عبد الأعلى حدثنا بن وَهْبٍ أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَرَّ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رضي الله تعالى عَنْهُ بِمَجْنُونَةِ بَنِي فُلَانٍ قَدْ زَنَتْ أَمَرَ عُمَرُ بِرَجْمِهَا فَرَدَّهَا عَلِيٌّ وَقَالَ لِعُمَرَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَتَرْجُمُ هَذِهِ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: أو ما تَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنِ الْمَجْنُونِ الْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ" قَالَ صَدَقْتَ فخلى عنها.
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 143 | خلاصة حكم المحدث: رجاله ثقات رجال مسلم.

اخبرنا محمد بن اسحاق بن خزيمة حدثنا يونس بن عبد الاعلى حدثنا بن وهب اخبرني جرير بن حازم عن سليمان بن مهران عن ابي ظبيان عن ابن عباس قال: مر علي بن ابي طالب رضي الله تعالى عنه بمجنونة بني فلان قد زنت امر عمر برجمها فردها علي وقال لعمر يا امير المومنين اترجم هذه قال: نعم قال: او ما تذكر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: "رفع القلم عن ثلاثة عن المجنون المغلوب على عقله وعن الناىم حتى يستيقظ وعن الصبي حتى يحتلم" قال صدقت فخلى عنها. الراوي : ابن عباس | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 143 | خلاصة حكم المحدث: رجاله ثقات رجال مسلم.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪৪

পরিচ্ছেদঃ আমরা পূর্বের দুটো হাদীস ব্যাখ্যা করেছি যে, যাদের থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বস্তুত তাদের পাপ লিখনের কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে; সাওয়াব লিখনের কলম নয়- এর প্রমাণে হাদীস

১৪৪. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (বিদায় হজ্জের পর মদীনার উদ্দেশ্যে) মক্কা থেকে বের হলেন। অতঃপর যখন তিনি রাওহা নামক জায়গায় পৌঁছলেন তখন একদল আরোহী ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয়। এসময় তিনি তাদেরকে সালাম দেন এবং জিজ্ঞেস করেন: আপনারা কারা? তাঁরা জবাব দেন: আমরা মুসলিম। আপনারা কারা? জবাবে বলেন: আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এসময় তাদের এক নারী তড়িঘড়ি করে তার হাওদা থেকে তার বাচ্চাকে বাহু ধরে উঁচু করে জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এই বাচ্চার হজ্জ হয়েছে কী? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বললেন: হ্যা, হয়েছে। আর তোমার জন্যও এর সাওয়াবের একটা অংশ রয়েছে।”[1]

قَالَ إِبْرَاهِيمُ: فحدثتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ ابْنَ الْمُنْكَدِرِ فَحَجَّ بأهله أجمعين

রাবী ইবরাহিম রহিমাহুল্লাহ বলেন: ’আমি হাদীসটি ইবনুল মুনকাদির রহিমাহুল্লাহকে বর্ণনা করলে তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে হ্জ্জ করেন।”

ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى صِحَّةِ مَا تَأَوَّلْنَا الْخَبَرَيْنِ الْأَوَّلَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَاهُمَا بِأَنَّ الْقَلَمَ رُفِعَ عَنِ الْأَقْوَامِ الَّذِينَ ذَكَرْنَاهُمْ فِي كِتْبَةِ الشَّرِّ عَلَيْهِمْ دُونَ كِتْبَةِ الْخَيْرِ لَهُمْ

أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ سَمِعْتُهُ مِنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ قَالَ سَمِعْتُ كُرَيْبًا يُخْبِرُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَرَ مِنْ مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ بِالرَّوْحَاءِ اسْتَقْبَلَهُ رَكْبٌ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ: "مَنِ الْقَوْمُ؟ " قَالُوا: الْمُسْلِمُونَ "فَمَنْ أَنْتُمْ؟ " قَالَ: "رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ" فَفَزِعَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُمْ فَرَفَعَتْ صَبِيًّا لَهَا مِنْ مِحَفَّةٍ وَأَخَذَتْ بِعَضَلَتِهِ فقالت: يا رسول هَلْ لِهَذَا حَجٌّ؟ قَالَ: "نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ"
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 144 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرط مسلم.

اخبرنا عمر بن محمد الهمداني حدثنا عبد الجبار بن العلاء حدثنا سفيان قال سمعته من ابراهيم بن عقبة قال سمعت كريبا يخبر عن ابن عباس: ان النبي صلى الله عليه وسلم صدر من مكة فلما كان بالروحاء استقبله ركب فسلم عليهم فقال: "من القوم؟ " قالوا: المسلمون "فمن انتم؟ " قال: "رسول الله صلى الله عليه وسلم" ففزعت امراة منهم فرفعت صبيا لها من محفة واخذت بعضلته فقالت: يا رسول هل لهذا حج؟ قال: "نعم ولك اجر" الراوي : ابن عباس | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 144 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرط مسلم.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪৫

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মনে এমন কিছু উদিত হয় যা মুখে উচ্চারণ করা জায়েয নেই- এমন ব্যক্তির থেকে আল্লাহ পাপ উঠিয়ে নিয়েছেন মর্মে হাদীস

১৪৫. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি বললো: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা আমাদের অন্তরে এমন কিছু পাই, যা আমরা মুখে উচ্চারণ করা পছন্দ করি না, যদিও এর বিনিময়ে সূর্য যার উপর উদিত হয় অর্থাৎ পৃথিবীর মধ্যস্থিত সকল কিছু দেওয়া হয়। ”রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা আসলেই এমনটা অনুভব করো কী?” তাঁরা বললেন: হ্যাঁ, আমরা এমনটা  অনুভব করি।” অতঃপর তিনি বললেন: “এটাই তো সুস্পষ্ট ঈমান।”[1] [2]

ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا وَضَعَ اللَّهُ مِنَ الْحَرَجِ عَنِ الْوَاجِدِ فِي نَفْسِهِ مَا لَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَنْطِقَ بِهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ الله إنا لنجد في أَنْفُسِنَا أَشْيَاءَ مَا نُحِبُّ أَنْ نَتَكَلَّمَ بِهَا وَإِنَّ لَنَا مَا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "قَدْ وَجَدْتُمْ ذَلِكَ"؟ قالوا: نعم, قال: "ذاك صريح الإيمان"
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 145 | خلاصة حكم المحدث: إسناده حسن.

اخبرنا ابو يعلى قال حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة قال حدثنا محمد بن بشر قال حدثنا محمد بن عمرو عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال: قال رجل: يا رسول الله انا لنجد في انفسنا اشياء ما نحب ان نتكلم بها وان لنا ما طلعت عليه الشمس فقال صلى الله عليه وسلم: "قد وجدتم ذلك"؟ قالوا: نعم, قال: "ذاك صريح الايمان" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 145 | خلاصة حكم المحدث: اسناده حسن.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪৬

পরিচ্ছেদঃ সহীহ হাদীস বিষয়ে যার পান্ডিত্ব নেই এবং হাদীসের মর্ম যিনি গভীরভাবে অনুধাবন করে না তাকে যেই হাদীস এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, আমরা মনে যা উদিত হওয়ার কথা বললাম, খোদ সেটার উপস্থিতিই হলো নির্ভেজাল ঈমান

১৪৬. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, সাহাবাগণ আরয করলেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা আমাদের মনে এমন কিছু অনুভব করি, যা উচ্চারণ করার চেয়ে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া আমাদের কাছে বেশি প্রিয়!” জবাবে তিনি বলেন: “এটা নির্ভেজাল ঈমান।”[1]

قال أبو حاتم رضي الله تعالى عَنْهُ: إِذَا وَجَدَ الْمُسْلِمُ فِي قَلْبِهِ أَوْ خَطَرَ بِبَالِهِ مِنَ الْأَشْيَاءِ الَّتِي لَا يَحِلُّ لَهُ النُّطْقُ بِهَا مِنْ كَيْفِيَّةِ الْبَارِي جَلَّ وَعَلَا أَوْ مَا يُشْبِهُ هَذِهِ فَرَدَّ ذَلِكَ عَلَى قَلْبِهِ بِالْإِيمَانِ الصَّحِيحِ وَتَرَكَ الْعَزْمَ عَلَى شَيْءٍ مِنْهَا كَانَ رَدُّهُ إِيَّاهَا مِنَ الْإِيمَانِ بَلْ هُوَ مِنْ صَرِيحِ الْإِيمَانِ لَا أَنَّ خطرات مثلها من الإيمان.

ইমাম আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: যখন কোন মুসলিম তার অন্তরে অনুভব করে অথবা মনে এমন কিছুর উদয় হয় যা মুখে উচ্চারণ করা জায়েয নেই। যেমন: মহান আল্লাহর ধরন বা এই জাতীয় কিছু। অতঃপর বিশুদ্ধ ঈমানের মাধ্যমে সে তার অন্তর থেকে তা অপসারিত করে, এবং এর কোন কিছু অন্তরে বদ্ধমূল হতে দেয় না। সংশংয়কে মন থেকে অপসারিত করা ঈমানের কারণে হয়ে থাকে বরং এটা নির্ভেজাল ঈমানের কারণে হয়ে থাকে; এই জাতীয় সংশয়গুলো ঈমানের অন্তর্ভূক্ত নয়।”

ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ مَنْ لَمْ يَتَفَقَّهْ فِي صَحِيحِ الْآثَارِ وَلَا أَمْعَنَ فِي مَعَانِي الْأَخْبَارِ أَنَّ وُجُودَ مَا ذَكَرْنَا هُوَ مَحْضُ الْإِيمَانِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَرُوبَةَ بِحَرَّانَ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا بن أبي عدي عن شعبة عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُمْ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا لَنَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا شَيْئًا لَأَنْ يَكُونَ أَحَدُنَا حُمَمَةً أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ قَالَ: "ذاك محض الإيمان"
الراوي : أَبو هُرَيْرَةَ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 146 | خلاصة حكم المحدث: إسناده حسن.

اخبرنا ابو عروبة بحران قال حدثنا محمد بن بشار قال حدثنا بن ابي عدي عن شعبة عن عاصم بن بهدلة عن ابي صالح عن ابي هريرة انهم قالوا: يا رسول الله انا لنجد في انفسنا شيىا لان يكون احدنا حممة احب اليه من ان يتكلم به قال: "ذاك محض الايمان" الراوي : ابو هريرة | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 146 | خلاصة حكم المحدث: اسناده حسن.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
১৪৭

পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য এটা বৈধ যে তার অন্তরে শয়তানের ওয়াসওয়াসা আসলে তা অন্তর দিয়ে বিশ্বাস না করে তা প্রত্যাখ্যান করবে

১৪৭. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তি তার মনে এমন কিছু পায়, যা মুখে বলার চেয়ে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া তার কাছে বেশি প্রিয়!” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা শুনে বললেন: “আল্লাহু আকবার! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তার ব্যাপারটিকে শেষাবধি ওয়াসওয়ায় পরিণত করেছেন।”[1] [2]

ذِكْرُ الْإِبَاحَةِ لِلْمَرْءِ أَنْ يَعْرِضَ بِقَلْبِهِ شَيْءٌ مِنْ وَسَاوِسِ الشَّيْطَانِ بَعْدَ أَنْ يَرُدَّهَا مِنْ غَيْرِ اعْتِقَادِ الْقَلْبِ عَلَى مَا وَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ مَوْلَى ثَقِيفٍ قَالَ حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ ذَرٍّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَحَدَنَا لَيَجِدُ فِي نَفْسِهِ الشَّيْءَ لَأَنْ يَكُونَ حُمَمَةً أَحَبُّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ أَمْرَهُ إِلَى الوسوسة".
الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : شعيب الأرنؤوط | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 147 | خلاصة حكم المحدث: إسناده صحيح على شرطهما.

اخبرنا محمد بن اسحاق بن ابراهيم مولى ثقيف قال حدثنا قتيبة بن سعيد قال حدثنا جرير عن منصور عن ذر عن عبد الله بن شداد عن ابن عباس قال: جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله ان احدنا ليجد في نفسه الشيء لان يكون حممة احب اليه من ان يتكلم به فقال صلى الله عليه وسلم: "الله اكبر الحمد لله الذي رد امره الى الوسوسة". الراوي : ابن عباس | المحدث : شعيب الارنووط | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 147 | خلاصة حكم المحدث: اسناده صحيح على شرطهما.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫. কিতাবুল ঈমান (كِتَابُ الْإِيمَانِ)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 8 পরের পাতা »