লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. নবী (ﷺ) এর বক্তব্য— উভয় কান মাথার অন্তর্ভুক্ত
৩৬২(৪৮). আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... আবদে খায়ের (রহঃ) বলেন, আলী (রাঃ) আর-রাহবা নামক স্থানে ফজরের নামায পড়ার পর বসলেন, তারপর তার গোলামকে বললেন, আমার জন্য পানি আনো। অতএব গোলাম তার নিকট পানিভর্তি একটি পাত্র এবং একটি পিয়ালা নিয়ে এলো। আর আমরা তার দিকে লক্ষ্য করলাম। তিনি তার ডান হাতে পানির পাত্র ধরে তার বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন, তারপর উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করেন। আবার তার ডান হাতে পানির পাত্র ধরে তার বাম হাতে পানি ঢাললেন, তারপর উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করেন। আবার তার ডান হাতে পানির পাত্র ধরে তার বাম হাতে পানি ঢাললেন এবং উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করেন। তিনি এভাবে তিনবার ধৌত করেন।
আবদে খায়ের (রহঃ) বলেন, তিনি প্রতিবার হাত তিনবার ধৌত না করা পর্যন্ত তা পানির পাত্রে প্রবেশ করাননি। তারপর তিনি তার ডান হাত পানির পাত্রে প্রবেশ করান, অতঃপর কুলি করেন, নাক পরিষ্কার করেন এবং নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের সাহায্যে তা পরিষ্কার করেন, অনুরূপ তিনবার করেন। তারপর তিনি ডান হাত পানির পাত্রে প্রবেশ করিয়ে পানি নিয়ে মুখমণ্ডল তিনবার ধৌত করেন, তারপর ডান হাত কনুই সমেত তিনবার ধৌত করেন, তারপর বাম হাত কনুই সমেত তিনবার ধৌত করেন। তারপর ডান হাত পানির পাত্রে প্রবেশ করিয়ে ডুবিয়ে দেন। তারপর হাতে লেগে থাকা পানিসহ হাত তুলে নেন এবং বাম হাত দিয়ে ডান হাত মসেহ করেন, তারপর উভয় হাত দিয়ে মাথা একবার মসেহ করেন। তারপর ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের উপর তিনবার পানি ঢালেন, অতঃপর বাম হাত দিয়ে তা তিনবার ধৌত করেন। তারপর ডান হাত দিয়ে বাম পায়ে তিনবার পানি ঢালেন, অতঃপর বাম হাত দিয়ে তা তিনবার ধৌত করেন। তারপর ডান হাত পানির পাত্রে প্রবেশ করিয়ে এক আঁজলা পানি নিয়ে পান করেন, অতঃপর বলেন, এটাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উযু। কোন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উযু দেখতে চাইলে এটাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উযু।
রাবীদের কতকের বর্ণনায় শব্দের কম-বেশি আছে, তবে অর্থ একই।
بَابُ مَا رُوِيَ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الْأُذُنَانِ مِنَ الرَّأْسِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، نَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدَانَ ، نَا شُعَيْبُ بْنُ أَيُّوبَ ، نَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ ، وَحَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْبَزَّازُ ، نَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ ، وَيَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ ، قَالُوا : نَا زَائِدَةُ ، نَا خَالِدُ بْنُ عَلْقَمَةَ ، حَدَّثَنِي عَبْدُ خَيْرٍ ، قَالَ : جَلَسَ عَلِيٌّ بَعْدَ مَا صَلَّى الْفَجْرَ فِي الرَّحْبَةِ ، ثُمَّ قَالَ : لِغُلَامِهِ ائْتِنِي بِطَهُورٍ ، فَأَتَاهُ الْغُلَامُ بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ ، وَطَسْتٍ ، وَنَحْنُ نَنْظُرُ إِلَيْهِ ، فَأَخَذَ بِيَمِينِهِ الْإِنَاءَ ، فَأَكْفَأَهُ عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى ، ثُمَّ غَسَلَ كَفَّيْهِ ، ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى الْإِنَاءَ ، فَأَفْرَغَ عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى ، ثُمَّ غَسَلَ كَفَّيْهِ ، فَعَلَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ . قَالَ عَبْدُ خَيْرٍ : كُلُّ ذَلِكَ لَا يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى فِي الْإِنَاءِ ، فَمَضْمَضَ ، وَاسْتَنْشَقَ ، وَنَثَرَ بِيَدِهِ الْيُسْرَى ، فَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى فِي الْإِنَاءِ ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى ثَلَاثَ مَرَّاتٍ إِلَى الْمِرْفَقِ ، ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُسْرَى ثَلَاثَ مَرَّاتٍ إِلَى الْمِرْفَقِ ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى فِي الْإِنَاءِ حَتَّى غَمَرَهَا الْمَاءُ ، ثُمَّ رَفَعَهَا بِمَا حَمَلَتْ مِنَ الْمَاءِ ، ثُمَّ مَسَحَهَا بِيَدِهِ الْيُسْرَى ، ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ بِيَدَيْهِ كِلْتَيْهِمَا مَرَّةً ، ثُمَّ صَبَّ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى قَدَمِهِ الْيُمْنَى ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ غَسَلَهَا بِيَدِهِ الْيُسْرَى ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ صَبَّ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى قَدَمِهِ الْيُسْرَى ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ غَسَلَهَا بِيَدِهِ الْيُسْرَى ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ، ثُمَّ أَدْخَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى فِي الْإِنَاءِ فَغَرَفَ بِكَفِّهِ فَشَرِبَ ، ثُمَّ قَالَ : هَذَا طُهُورُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى طُهُورِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَهَذَا طُهُورُهُ . وَقَدْ زَادَ بَعْضُهُمُ الْكَلِمَةَ وَالشَّيْءَ ، وَالْمَعْنَى قَرِيبٌ