১৪০২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. শরীকী কারবারের বিভিন্ন বিধান

রেওয়ায়ত ১৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ ব্যবসায়ী কিছু মাল খরিদ করিলে পুঁজি বিনিয়োগকারী বলিল, উহা বিক্রয় করিয়া দাও, কিন্তু ব্যবসায়ী বলিল, এখন বিক্রয় করা ঠিক হইবে না, তবে এ ব্যাপারে অন্যান্য বিচক্ষণ ব্যবসায়ীর নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে। যদি তাহারা বিক্রয় করিবার পরামর্শ দেয়, তবে বিক্রয় করা হইবে, না হয় রাখিয়া দেওয়া হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ব্যবসায়ী শরীকী কারবারের মালে ব্যবসা আরম্ভ করার পর পুঁজি বিনিয়োগকারী তাহার পূর্ণ মাল মুনাফাসহ তলব করিল। উত্তরে ব্যবসায়ী বলিল, আমার নিকট পূর্ণ মালই জমা রহিয়াছে। অতঃপর যখন মাল ফেরত লওয়া আরম্ভ হইল তখন ব্যবসায়ী বলিল, আমার নিকট কিছু মাল নষ্ট হইয়া গিয়াছে, আমি প্রথমে এইজন্য বলিয়াছিলাম যেন মাল আমার নিকট থাকিতে দেওয়া হয় তবে কোন প্রমাণ ব্যতীত ব্যবসায়ীর এই কথা বিশ্বাস করা হইবে না। বরং তাহার পূর্ণ স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ফায়সালা দেওয়া হইবে ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ অনুরূপভাবে ব্যবসায়ী পুঁজি বিনিয়োগকারীকে বলিল, সে এত লাভ করিয়াছে। অতঃপর যখন পুঁজি বিনিয়োগকারী মূলধন ও লভ্যাংশ চাহিল তখন বলিত লাগিল সাভ হয়ই নাই, মূলধন আমার হাতে রাখিয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে লাভের কথা বলিয়াছি, তবে প্রমাণ ব্যতীত তাহার কথা বিশ্বাস করা হইবে না। বরং পূর্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ফায়সালা দেওয়া হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি ব্যবসায়ী ব্যবসায়ে লাভ করে তখন পুঁজি বিনিয়োগকারী বলিল, লাভের এক-তৃতীয়াংশ তোমার এবং দুই-তৃতীয়াংশ আমার নির্ধারিত ছিল। ব্যবসায়ী বলিল, না বরং দুই-তৃতীয়াংশ আমার আর এক-তৃতীয়াংশ তোমার নির্ধারিত করা হইয়াছিল। তবে ব্যবসায়ীর কথা কসম সহকারে মানিয়া লওয়া হইবে। কিন্তু ইহা যদি দেশ প্রথার বিরুদ্ধে হয় তবে প্রথানুযায়ী লাভ বন্টনের ব্যবস্থা করা হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে একশত দীনার শরীকী কারবারের জন্য দিল। সে উহা দ্বারা মাল খরিদ করিল। যখন বিক্রেতাকে মালের মূল্য দিতে লাগিল তখন বুঝা গেল ঐ দীনার চুরি হইয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় অর্থ বিনিয়োগকারী বলিল, এই মাল বিক্রয় করিয়া ফেল। যদি উহাতে লাভ হয়, তবে উহা আমার আর যদি ক্ষতি হয়, তবে সে জন্য তুমি দায়ী, কেননা তুমি আমার অর্থ নষ্ট করিয়াছ। কিন্তু ব্যবসায়ী বলিল, তুমি এই মালের মূল্য আদায় করিয়া দাও, কেননা আমি এই মাল তোমার অর্থ দ্বারা খরিদ করিয়াছি।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই অবস্থায় ক্রেতা ব্যবসায়ীকে বলা হইবে তুমি এই মালের মূল্য বিক্রেতাকে আদায় করিয়া দাও এবং অর্থ বিনিয়োগকারীকে বলা হইবে যদি তোমার সম্মতি হয় তবে ব্যবসায়ীকে একশত দীনার আরও প্রদান কর যেন শরীকী কারবার বহাল থাকে, না হয় এই মালের সহিত তোমার কোন সম্পর্ক নাই। যদি পুঁজি বা বিনিয়োগকারী একশত দীনার দেয়, তবে কারবার বহাল থাকিবে, না হয় ঐ মাল ব্যবসায়ীর হইয়া যাইবে। চুরি যাওয়ার কারণে অর্থ বিনিয়োগকারীর একশত দীনার বিনষ্ট হইয়া গেল।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যখন পুঁজি বিনিয়োগকারী ব্যবসায়ী পৃথক হইয়া যায় (শরীকী কারবার বন্ধ হইয়া যায়), কিন্তু ব্যবসায়ীর নিকট ব্যবসায়ে মাল হইতে কোন মাল যেমন পুরাতন মশক বা পুরাতন কাপড় ইত্যাদি থাকিয়া যায়, যদি এ দ্রব্যগুলি নিতান্ত স্বল্প মূল্যের হইয়া থাকে তবে উহা ব্যবসায়ীরই থাকিবে। ইহা ফেরত দিতে হইবে না। যদি এই দ্রব্যগুলি মূল্যবান হয় যেমন কোন জন্তু, উট বা ইয়ামনী মোটা কাপড়, তবে যদি পুঁজি বিনিয়োগকারী হইতে মাফ করাইয়া লইয়া থাকে তবে তো ভাল, না হয় ইহাও ফেরত দিতে হইবে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاضِ

قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَابْتَاعَ بِهِ سِلْعَةً فَقَالَ لَهُ صَاحِبُ الْمَالِ بِعْهَا وَقَالَ الَّذِي أَخَذَ الْمَالَ لَا أَرَى وَجْهَ بَيْعٍ فَاخْتَلَفَا فِي ذَلِكَ قَالَ لَا يُنْظَرُ إِلَى قَوْلِ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَيُسْأَلُ عَنْ ذَلِكَ أَهْلُ الْمَعْرِفَةِ وَالْبَصَرِ بِتِلْكَ السِّلْعَةِ فَإِنْ رَأَوْا وَجْهَ بَيْعٍ بِيعَتْ عَلَيْهِمَا وَإِنْ رَأَوْا وَجْهَ انْتِظَارٍ انْتُظِرَ بِهَا قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَخَذَ مِنْ رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَعَمِلَ فِيهِ ثُمَّ سَأَلَهُ صَاحِبُ الْمَالِ عَنْ مَالِهِ فَقَالَ هُوَ عِنْدِي وَافِرٌ فَلَمَّا آخَذَهُ بِهِ قَالَ قَدْ هَلَكَ عِنْدِي مِنْهُ كَذَا وَكَذَا لِمَالٍ يُسَمِّيهِ وَإِنَّمَا قُلْتُ لَكَ ذَلِكَ لِكَيْ تَتْرُكَهُ عِنْدِي قَالَ لَا يَنْتَفِعُ بِإِنْكَارِهِ بَعْدَ إِقْرَارِهِ أَنَّهُ عِنْدَهُ وَيُؤْخَذُ بِإِقْرَارِهِ عَلَى نَفْسِهِ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَ فِي هَلَاكِ ذَلِكَ الْمَالِ بِأَمْرٍ يُعْرَفُ بِهِ قَوْلُهُ فَإِنْ لَمْ يَأْتِ بِأَمْرٍ مَعْرُوفٍ أُخِذَ بِإِقْرَارِهِ وَلَمْ يَنْفَعْهُ إِنْكَارُهُ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ أَيْضًا لَوْ قَالَ رَبِحْتُ فِي الْمَالِ كَذَا وَكَذَا فَسَأَلَهُ رَبُّ الْمَالِ أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ مَالَهُ وَرِبْحَهُ فَقَالَ مَا رَبِحْتُ فِيهِ شَيْئًا وَمَا قُلْتُ ذَلِكَ إِلَّا لِأَنْ تُقِرَّهُ فِي يَدِي فَذَلِكَ لَا يَنْفَعُهُ وَيُؤْخَذُ بِمَا أَقَرَّ بِهِ إِلَّا أَنْ يَأْتِيَ بِأَمْرٍ يُعْرَفُ بِهِ قَوْلُهُ وَصِدْقُهُ فَلَا يَلْزَمُهُ ذَلِكَ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ مَالًا قِرَاضًا فَرَبِحَ فِيهِ رِبْحًا فَقَالَ الْعَامِلُ قَارَضْتُكَ عَلَى أَنَّ لِي الثُّلُثَيْنِ وَقَالَ صَاحِبُ الْمَالِ قَارَضْتُكَ عَلَى أَنَّ لَكَ الثُّلُثَ قَالَ مَالِك الْقَوْلُ قَوْلُ الْعَامِلِ وَعَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْيَمِينُ إِذَا كَانَ مَا قَالَ يُشْبِهُ قِرَاضَ مِثْلِهِ وَكَانَ ذَلِكَ نَحْوًا مِمَّا يَتَقَارَضُ عَلَيْهِ النَّاسُ وَإِنْ جَاءَ بِأَمْرٍ يُسْتَنْكَرُ لَيْسَ عَلَى مِثْلِهِ يَتَقَارَضُ النَّاسُ لَمْ يُصَدَّقْ وَرُدَّ إِلَى قِرَاضِ مِثْلِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ أَعْطَى رَجُلًا مِائَةَ دِينَارٍ قِرَاضًا فَاشْتَرَى بِهَا سِلْعَةً ثُمَّ ذَهَبَ لِيَدْفَعَ إِلَى رَبِّ السِّلْعَةِ الْمِائَةَ دِينَارٍ فَوَجَدَهَا قَدْ سُرِقَتْ فَقَالَ رَبُّ الْمَالِ بِعْ السِّلْعَةَ فَإِنْ كَانَ فِيهَا فَضْلٌ كَانَ لِي وَإِنْ كَانَ فِيهَا نُقْصَانٌ كَانَ عَلَيْكَ لِأَنَّكَ أَنْتَ ضَيَّعْتَ وَقَالَ الْمُقَارَضُ بَلْ عَلَيْكَ وَفَاءُ حَقِّ هَذَا إِنَّمَا اشْتَرَيْتُهَا بِمَالِكَ الَّذِي أَعْطَيْتَنِي قَالَ مَالِك يَلْزَمُ الْعَامِلَ الْمُشْتَرِيَ أَدَاءُ ثَمَنِهَا إِلَى الْبَائِعِ وَيُقَالُ لِصَاحِبِ الْمَالِ الْقِرَاضِ إِنْ شِئْتَ فَأَدِّ الْمِائَةَ الدِّينَارِ إِلَى الْمُقَارَضِ وَالسِّلْعَةُ بَيْنَكُمَا وَتَكُونُ قِرَاضًا عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ الْمِائَةُ الْأُولَى وَإِنْ شِئْتَ فَابْرَأْ مِنْ السِّلْعَةِ فَإِنْ دَفَعَ الْمِائَةَ دِينَارٍ إِلَى الْعَامِلِ كَانَتْ قِرَاضًا عَلَى سُنَّةِ الْقِرَاضِ الْأَوَّلِ وَإِنْ أَبَى كَانَتْ السِّلْعَةُ لِلْعَامِلِ وَكَانَ عَلَيْهِ ثَمَنُهَا قَالَ مَالِك فِي الْمُتَقَارِضَيْنِ إِذَا تَفَاصَلَا فَبَقِيَ بِيَدِ الْعَامِلِ مِنْ الْمَتَاعِ الَّذِي يَعْمَلُ فِيهِ خَلَقُ الْقِرْبَةِ أَوْ خَلَقُ الثَّوْبِ أَوْ مَا أَشْبَهَ ذَلِكَ قَالَ مَالِك كُلُّ شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ كَانَ تَافِهًا لَا خَطْبَ لَهُ فَهُوَ لِلْعَامِلِ وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا أَفْتَى بِرَدِّ ذَلِكَ وَإِنَّمَا يُرَدُّ مِنْ ذَلِكَ الشَّيْءُ الَّذِي لَهُ ثَمَنٌ وَإِنْ كَانَ شَيْئًا لَهُ اسْمٌ مِثْلُ الدَّابَّةِ أَوْ الْجَمَلِ أَوْ الشَّاذَكُونَةِ أَوْ أَشْبَاهِ ذَلِكَ مِمَّا لَهُ ثَمَنٌ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَرُدَّ مَا بَقِيَ عِنْدَهُ مِنْ هَذَا إِلَّا أَنْ يَتَحَلَّلَ صَاحِبَهُ مِنْ ذَلِكَ


Yahya said that Malik spoke about an investor who put qirad money with an agent who bought goods with it, and the investor told him to sell them. The agent said that he did not see any way to sell at that time and they quarrelled about it. He said, "One does not look at the statement of either of them. The people of experience and insight concerning such goods are asked about these goods. If they can see anyway of selling them they are sold for them. If they think it is time to wait, they should wait." Malik spoke about a man who took qirad money from an investor and used it and when the investor asked him for his money, he said that he had it in full. When he held him to his settlement he admitted that "Such-and-such of it was lost with me," and he named an amount of money. "I told you that so that you would leave it with me." Malik said, "He does not benefit by denying it after he had confirmed that he had it all . He is answerable by his confession against himself unless he produces evidence about the loss of that property which confirms his statement. If he does not produce an acceptable reason he is answerable by his confession, and his denial does not avail him." Malik said, "Similarly, had he said, 'I have had such-and-such a profit from the capital,' and then the owner of the capital asked him to pay him the principal and his profit, and he said that he had not had any profit in it and had said that only so it might be left in his possession, it does not benefit him. He is taken to account for what he affirmed unless he brings acceptable proof of his word, so that the first statement is not binding on him." Malik spoke about an investor who put qirad money with an agent who made a profit with it. The agent said, "I took the qirad from you provided that I would have two-thirds." The owner of the capital says, "I gave you a qirad provided that you had a third." Malik said, "The word is the word of the agent, and he must take an oath on that if what he says resembles the known practice of qirad or is close to it. If he brings a matter which is unacceptable and people do not make qirads like that, he is not believed, and it is judged to be according to how a qirad like it would normally be." Malik spoke about a man who gave a man one hundred dinars as a qirad. He bought goods with it and then went to pay the one hundred dinars to the owner of the goods and found that they had been stolen. The investor says, "Sell the goods. If there is anything over, it is mine. If there is a loss, it is against you because you lost it." The agent says, "Rather you must fulfil what the seller is owed. I bought them with your capital which you gave me." Malik said, "The agent is obliged to pay the price to the seller and the investor is told, 'If you wish, pay the hundred dinars to the agent and the goods are between you. The qirad is according to what the first hundred was based on. If you wish, you are free of the goods.' If the hundred dinars are paid to the agent, it is a qirad according to the conditions of the first qirad. If he refuses, the goods belong to the agent and he must pay their price." Malik spoke about two people in a qirad who settled up and the agent still had some of the goods which he used - threadbare cloth or a waterskin or the like of that. Malik said, "Any of that which is insignificant is of no importance and belongs to the agent. I have not heard anyone give a decision calling for the return of that. Anything which has a price is returned. If it is something which has value like an animal, camel, coarse cloth or the like of that which fetches a price, I think that he should return what he has remaining of such things unless the owner overlooks it."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ