১১২০

পরিচ্ছেদঃ ৯. আপন স্ত্রীর জননীর সহিত বিবাহ বৈধ না হওয়া

রেওয়ায়ত ২৩. মালিক (রহঃ) একাধিক শায়খ হইতে বর্ণনা করেন, আবদুল্লাহ ইবন মসউদ (রাঃ)-এর নিকট কুফাতে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা হইল, কোন মহিলার কন্যাকে বিবাহ করার পর উহার সহিত সহবাস না করা হইলে সেই কন্যার মাতাকে বিবাহ করা যাইবে কিনা? তিনি এই বিবাহের ব্যাপারে অনুমতি দিলেন। অতঃপর ইবন মসউদ (রাঃ) যখন মদীনাতে আগমন করিলেন তখন তিনি এই বিষয়ে (অন্যান্য সাহাবীর নিকট) জিজ্ঞাসা করিলেন। তাহাকে বলা হইল যে, তিনি (কুফাতে) যেরূপ বলিয়াছেন আসল ব্যাপার সেরূপ নহে (শর্ত আরোপ করা হইয়াছে কেবলমাত্র পোষ্য কন্যাদের ব্যাপারে)। তারপর ইবন মসউদ কুফাতে প্রত্যাবর্তন করিলেন এবং তিনি নিজ গৃহে না গিয়া যে ব্যক্তিকে এরূপ ফতোয়া দিয়াছিলেন সে ব্যক্তির নিকট গমন করিলেন। অতঃপর সে ব্যক্তিকে তাহার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করিয়াছে, অতঃপর সেই মহিলার মাতাকেও বিবাহ করিয়াছে এবং তাহার (স্ত্রীর মাতার) সহিত সহবাস করিয়াছে, সেই ব্যক্তির জন্য তাহার স্ত্রী হারাম হইয়া যাইবে। সে স্ত্রী ও স্ত্রীর মাতা উভয়কে পরিত্যাগ করবে। উভয়ে তাহার জন্য সর্বদা হারাম হইবে। ইহা তখন হইবে যখন সে স্ত্রীর মাতার সহিত সহবাস করে। আর যদি সহবাস না করিয়া থাকে তবে তাহার স্ত্রী তাহার জন্য হারাম হইবে না। (কেবলমাত্র) স্ত্রীর মাতাকে পরিত্যাগ করিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর সেই স্ত্রীর মাতাকেও বিবাহ করে এবং তাহার সহিত সহবাস করে, সেই ব্যক্তির জন্য তাহার স্ত্রীর মাতা কখনো হালাল হইবে না। আর হালাল হইবে না তাহার ছেলের জন্য এবং হালাল হইবে না তাহার পিতার জন্য। আর সেই ব্যক্তির জন্য উহার কন্যাও হালাল হইবে না এবং তাহার স্ত্রী তাহার জন্য হারাম হইয়া যাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ব্যভিচার ইহার কোনটিকেই হারাম করিবে না। কারণ আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করিয়াছেন (وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ) “তোমাদের স্ত্রীগণের মাতাগণও তোমাদের জন্য হারাম।” উক্ত আয়াতে বিবাহের কারণে (স্ত্রীর মাতাকে) হারাম করা হইয়াছে। ব্যভিচারের দ্বারা হারাম হইয়াছে বলিয়া উল্লেখ করা হয় নাই। ফলে যে কোন বিবাহ হালাল পন্থায় অনুষ্ঠিত হইবে এবং স্বামী স্ত্রীর সহিত মিলিত হইবে। সেই বিবাহ হালাল গণ্য হইবে। ইহাই আমি শুনিয়াছি। মদীনাবাসীদের নিকট ইহাই গৃহীত মত।

بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ نِكَاحِ الرَّجُلِ أُمَّ امْرَأَتِهِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ اسْتُفْتِيَ وَهُوَ بِالْكُوفَةِ عَنْ نِكَاحِ الْأُمِّ بَعْدَ الْابْنَةِ إِذَا لَمْ تَكُنْ الِابْنَةُ مُسَّتْ فَأَرْخَصَ فِي ذَلِكَ ثُمَّ إِنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَسَأَلَ عَنْ ذَلِكَ فَأُخْبِرَ أَنَّهُ لَيْسَ كَمَا قَالَ وَإِنَّمَا الشَّرْطُ فِي الرَّبَائِبِ فَرَجَعَ ابْنُ مَسْعُودٍ إِلَى الْكُوفَةِ فَلَمْ يَصِلْ إِلَى مَنْزِلِهِ حَتَّى أَتَى الرَّجُلَ الَّذِي أَفْتَاهُ بِذَلِكَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُفَارِقَ امْرَأَتَهُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ تَكُونُ تَحْتَهُ الْمَرْأَةُ ثُمَّ يَنْكِحُ أُمَّهَا فَيُصِيبُهَا إِنَّهَا تَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَيُفَارِقُهُمَا جَمِيعًا وَيَحْرُمَانِ عَلَيْهِ أَبَدًا إِذَا كَانَ قَدْ أَصَابَ الْأُمَّ فَإِنْ لَمْ يُصِبْ الْأُمَّ لَمْ تَحْرُمْ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ وَفَارَقَ الْأُمَّ وَقَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَتَزَوَّجُ الْمَرْأَةَ ثُمَّ يَنْكِحُ أُمَّهَا فَيُصِيبُهَا إِنَّهُ لَا تَحِلُّ لَهُ أُمُّهَا أَبَدًا وَلَا تَحِلُّ لِأَبِيهِ وَلَا لِابْنِهِ وَلَا تَحِلُّ لَهُ ابْنَتُهَا وَتَحْرُمُ عَلَيْهِ امْرَأَتُهُ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الزِّنَا فَإِنَّهُ لَا يُحَرِّمُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ فَإِنَّمَا حَرَّمَ مَا كَانَ تَزْوِيجًا وَلَمْ يَذْكُرْ تَحْرِيمَ الزِّنَا فَكُلُّ تَزْوِيجٍ كَانَ عَلَى وَجْهِ الْحَلَالِ يُصِيبُ صَاحِبُهُ امْرَأَتَهُ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ التَّزْوِيجِ الْحَلَالِ فَهَذَا الَّذِي سَمِعْتُ وَالَّذِي عَلَيْهِ أَمْرُ النَّاسِ عِنْدَنَا


Yahya related to me from Malik from more than one source that when Abdullah ibn Masud was in Kufa, he was asked for an opinion about marrying the mother after marrying the daughter when the marriage with the daughter had not been consummated. He permitted it. When Ibn Masud came to Madina, he asked about it and was told that it was not as he had said, and that this condition referred to foster-mothers. Ibn Masud returnedto Kufa,and he had just reached his dwelling when the man who had asked him for the opinion came to visit and he ordered him to separate from his wife. Malik said that if a man married the mother of a woman who was his wife and he had sexual relations with the mother then his wife was haram for him, and he had to separate from both of them. They were both haram to him forever, if he had had sexual relations with the mother. If he had not had relations with the mcther, his wife was not haram for him, and he separated from the mother. Malik explained further about the man who married a woman, and then married her mother and cohabited with her, "The mother will never be halal for him, and she is not halal for his father or his son, and any daughters of hers are not halal for him and so his wife is haram for him." Malik said, "Fornication however, does not make any of that haram because Allah, the Blessed, the Exalted, mentioned 'the mothers of your wives,' as one whom marriage made haram, and he didn't mention the making haram by fornication. Every marriage in a halal manner in which a man cohabits with his wife, is a halal marriage. This is what I have heard, and this is how things are done among us."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ