১১২১

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে মহিলার সহিত অবৈধ পন্থায় সহবাস করা হইয়াছে সে মহিলার মাতাকে বিবাহ করা

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন নারীর সহিত ব্যভিচার করিয়াছে সেই কারণে সেই ব্যক্তির উপর (শরীয়তের বিধান মতে) শাস্তিও প্রয়োগ করা হইয়াছে। সেই ব্যক্তি সেই মহিলার কন্যাকে বিবাহ করিতে পারবে এবং সে ব্যক্তি যাহার সহিত ব্যভিচার করিয়াছে ইচ্ছা করিলে সে মহিলার সহিত তাহার পুত্রের বিবাহ দিতে পারিবে। ইহা এইজন্য যে, উক্ত ব্যক্তি এই মহিলার সহিত হারাম পন্থায় সহবাস করিয়াছে। আর আল্লাহ তা’আলা যে মহিলার কন্যার বিবাহকে হারাম করিয়াছেন তাহা হইল সেই মহিলা যাহার সহিত হালাল পন্থায় অথবা সন্দেহযুক্ত বিবাহ বন্ধনে মিলিত হইয়াছে।

আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করিয়াছেনঃ (وَلَا تَنكِحُوا مَا نَكَحَ آبَاؤُكُم مِّنَ النِّسَاءِ) যে সকল স্ত্রীলোককে তোমাদের পিতৃপুরুষগণ বিবাহ করিয়াছে তোমরা সে সকল স্ত্রীলোকদের বিবাহ করিও না। (সূরা নিসাঃ ২২)

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলাকে তাহার ইদ্দতের সময়ে বৈধ বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করিল এবং তাহার সহিত সহবাসও করিল, তবে তাহার ছেলের জন্য সে মহিলাকে বিবাহ করা হারাম হইবে। ইহা এইজন্য যে, তাহার পিতা সেই মহিলাকে হালাল পন্থায় বিবাহ করিয়াছে যাহাতে তাহার উপর কোন প্রকার শাস্তি প্রয়োগ করা হয় না। এই বিবাহে যে সন্তান জন্ম লাভ করবে সে সন্তানও তাহার পিতার বলিয়া গণ্য হইবে। যদ্রুপ পুত্রের জন্য উক্ত মহিলাকে বিবাহ করা হারাম, যে মহিলার সহিত তাহার পিতা উহার ইদ্দতের সময় বিবাহ করিয়াছে ও তাহার সহিত সহবাস করিয়াছে, তদ্রুপ পিতার জন্যও উক্ত স্ত্রীলোকের কন্যাকে বিবাহ করা হারাম যে কন্যার মাতার সহিত সে সহবাস করিয়াছে।

بَاب نِكَاحِ الرَّجُلِ أُمَّ امْرَأَةٍ قَدْ أَصَابَهَا عَلَى وَجْهِ مَا يَكْرَهُ

قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَزْنِي بِالْمَرْأَةِ فَيُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ فِيهَا إِنَّهُ يَنْكِحُ ابْنَتَهَا وَيَنْكِحُهَا ابْنُهُ إِنْ شَاءَ وَذَلِكَ أَنَّهُ أَصَابَهَا حَرَامًا وَإِنَّمَا الَّذِي حَرَّمَ اللَّهُ مَا أُصِيبَ بِالْحَلَالِ أَوْ عَلَى وَجْهِ الشُّبْهَةِ بِالنِّكَاحِ قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَلَا تَنْكِحُوا مَا نَكَحَ آبَاؤُكُمْ مِنْ النِّسَاءِ قَالَ مَالِك فَلَوْ أَنَّ رَجُلًا نَكَحَ امْرَأَةً فِي عِدَّتِهَا نِكَاحًا حَلَالًا فَأَصَابَهَا حَرُمَتْ عَلَى ابْنِهِ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا وَذَلِكَ أَنَّ أَبَاهُ نَكَحَهَا عَلَى وَجْهِ الْحَلَالِ لَا يُقَامُ عَلَيْهِ فِيهِ الْحَدُّ وَيُلْحَقُ بِهِ الْوَلَدُ الَّذِي يُولَدُ فِيهِ بِأَبِيهِ وَكَمَا حَرُمَتْ عَلَى ابْنِهِ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا حِينَ تَزَوَّجَهَا أَبُوهُ فِي عِدَّتِهَا وَأَصَابَهَا فَكَذَلِكَ يَحْرُمُ عَلَى الْأَبِ ابْنَتُهَا إِذَا هُوَ أَصَابَ أُمَّهَا

قال مالك في الرجل يزني بالمراة فيقام عليه الحد فيها انه ينكح ابنتها وينكحها ابنه ان شاء وذلك انه اصابها حراما وانما الذي حرم الله ما اصيب بالحلال او على وجه الشبهة بالنكاح قال الله تبارك وتعالى ولا تنكحوا ما نكح اباوكم من النساء قال مالك فلو ان رجلا نكح امراة في عدتها نكاحا حلالا فاصابها حرمت على ابنه ان يتزوجها وذلك ان اباه نكحها على وجه الحلال لا يقام عليه فيه الحد ويلحق به الولد الذي يولد فيه بابيه وكما حرمت على ابنه ان يتزوجها حين تزوجها ابوه في عدتها واصابها فكذلك يحرم على الاب ابنتها اذا هو اصاب امها


Malik said that a man who had committed fornication with a woman and the hadd-punishment had been applied to him for it, could marry that woman's daughter and his son could marry the woman herself if he wished. That was because he had haram relations with her, and the relations Allah had made haram were from the relations made in a halal manner or in a manner resembling marriage. Allah, the Blessed, the Exalted, said, "Do not marry the women your fathers have married. " (Sura 4 ayat 21)

Malik said, "If a man were to marry a woman in her idda-period in a halal marriage and have relations with her, it would be haram for his son to marry the woman. That is because the father married her in a halal manner, and the hadd-punishment would not have been applied to him. Any child who was born to him would be attached to him as the father. Just as it would be haram for the son to marry a woman whom his father had married in her idda-period and had relations with, so the woman's daughter would be haram for the father if he had had sexual relations with her."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২৮. বিবাহ সম্পর্কিত অধ্যায় (كتاب النكاح)