লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১১৭৯। তোমরা দুনিয়াতে মেহমান স্বরূপ হয়ে যাও। মসজিদগুলোকে গৃহ হিসেবে গ্রহণ করো। তোমাদের হৃদয়সমূহকে অনুগ্রহকারী হিসেবে (অথবা আল্লাহকে স্মরণ করার সময় লজ্জিত রাখতে) অভ্যস্ত করো। বেশী বেশী করে চিন্তা ফিকর কর এবং ক্ৰন্দন কর। দুনিয়ার চাহিদাসমূহ তোমাদেরকে যেন (আখেরাতের জন্য প্রস্তুতি নেয়া থেকে) বিচ্ছিন্ন না করে। তোমরা তো তাই নির্মাণ করছ যাতে তোমরা বসবাস করবে না (বসবাস করার সুযোগ পাবে না)। তোমরা তো তাই জমা করছ যা তোমরা ভক্ষণ করবে (করার সুযোগ পাবে) না। তোমরা তো সে বস্তু নিয়ে গবেষণা করছো যাকে তোমরা জানতে পারবে না।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
হাদীসটি আবু নুয়াইম "আল-হিলয়্যাহ" গ্রন্থে (১/৩৫৮) ও কাযাঈ তার “মুসনাদ" গ্রন্থে (৭৩১) বাকিয়ার সূত্রে ঈসা ইবনু ইবরাহীম হতে, তিনি মূসা ইবনু আবী হাবীব হতে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথী আল-হাকাম ইবনু ওমায়ের হতে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ অন্ধকারাচ্ছন্ন। সনদটিতে তিনটি সমস্যা রয়েছেঃ
১। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে হাকাম ইবনু ওমায়ের এর সাক্ষাৎ ঘটেছে কি ঘটেনি তা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। ইবনু আবী হাতিম তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেনঃ তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উদ্ধৃতিতে কতিপয় মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছেন। সেগুলো ঈসা ইবনু ইবরাহীম বর্ণনা করেছেন আর এই ঈসা দুর্বল বর্ণনাকারী। ঈসা বর্ণনা করেছেন মূসা ইবনু আবী হাবীব হতে, আর তিনি তার চাচা হাকাম হতে। এ মূসাও দুর্বল বর্ণনাকারী। যে ব্যক্তি হাকামকে সাহাবী আখ্যা দিয়েছেন হাফিয যাহাবী সে ব্যক্তির মতকে দুর্বল হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। যার প্রমাণ বহন করছে নিম্নের কারণঃ
২। মূসা ইবনু আবী হাবীব সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তাকে আবু হাতিম প্রমুখ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন, তিনি সাকেত। হাকাম ইবনু ওমায়ের থেকে তার বর্ণনা রয়েছে। এ হাকাম এমন এক ব্যক্তি যার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটেছে। আমার সিদ্ধান্ত এই যে, তার সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটেনি। মূসা দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও বড় কোন সাহাবীর সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটেনি, অর্থাৎ তিনি শেষ যুগের তাবেঈ। হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী তার এ বক্তব্যকে “আল-মীযান” গ্রন্থে সমর্থন করেছেন।
৩। বর্ণনাকারী ঈসা ইবনু ইবরাহীম মাতরূক’। যেমনটি হাফিয যাহাবী এবং তার পূর্বে ইমাম নাসাঈ বলেছেন। ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। তিনি তার কয়েকটি হাদীস এ সনদ এবং অন্যান্য সনদে উল্লেখ করে কোন কোনটি সম্পর্কে বলেনঃ মুনকার।
كونوا في الدنيا أضيافا، واتخذوا المساجد بيوتا، وعودوا قلوبكم الرقة، وأكثروا التفكر والبكاء، ولا تختلفن بكم الأهواء، تبنون ما لا تسكنون، وتجمعون ما لا تأكلون، وتأملون ما لا تدركون ضعيف جدا - أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (1/358) والقضاعي في " مسنده " (731) من طريق بقية: حدثنا عيسى بن إبراهيم عن موسى بن أبي حبيب عن الحكم بن عمير صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت: وهذا إسناد ظلمات بعضها فوق بعض، وله علل ثلاث الأولى: أن الحكم بن عمير في صحبته نظر، قال ابن أبي حاتم عن أبيه روى عن النبي صلى الله عليه وسلم أحاديث منكرة، يرويها عيسى بن إبراهيم؛ وهو ضعيف، عن موسى بن أبي حبيب وهو ضعيف، عن عمه الحكم ". نقله في الإصابة "، وقد أشار الذهبي إلى ضعف قول من قال أنه صحابي كما يأتي في العلة الآتية الثانية: موسى بن أبي حبيب، قال الذهبي في " الميزان " وأقره الحافظ في اللسان ضعفه أبو حاتم وغيره؛ ساقط، وله عن الحكم بن عمير - رجل قيل: له صحبة والذي أرى أنه لم يلقه، وموسى مع ضعفه متأخر عن لقي صحابي كبير الثالثة: عيسى بن إبراهيم متروك كما قال الذهبي وسبقه النسائي وقال البخاري منكر الحديث "، وأبو حاتم: " متروك الحديث وساق له عدة أحاديث بهذا الإسناد وغيره، وقال في بعضها: إنه منكر قلت: سمعت هذا الحديث من فم شيخ دمشقي يلقيه على منبر مسجد مضايا يوم الجمعة الواقع في 18/11/71 هـ وقد جعله محور خطبته! فاستنكرت الحديث في نفسي ولكني ما كان تقدم مني تخريجه، فخرجته بعد يوم فتحقق ظني وأنه منكر والحمد لله على توفيقه، ووفق مشايخنا لتحري الصحيح من حديث رسوله صلى الله عليه وسلم، وحفظهم أن يقولوا عليه ما لم يقل