লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১১৬-[৩৮] নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, অমুক লোক আপনাকে সালাম দিয়েছে। উত্তরে ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেন, আমি শুনেছি, সে নাকি দীনের মধ্যে নতুন মত তৈরি করেছে (অর্থাৎ- তাক্বদীরের প্রতি অবিশ্বাস করছে)। যদি প্রকৃতপক্ষে সে দীনের মধ্যে নতুন কিছু তৈরি করে থাকে, তাহলে আমার পক্ষ হতে তাকে কোন সালাম পৌঁছাবে না। কেননা আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমার উম্মাতের অথবা এ উম্মাতের মধ্যে জমিনে ধ্বসে যাওয়া, চেহারা বিকৃত রূপ ধারণ করা, শিলা পাথর বর্ষণের মতো আল্লাহর কঠিন ’আযাব পতিত হবে, তাদের ওপর যারা তাক্বদীরের প্রতি অস্বীকারকারী হবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্; ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব)[1]
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
عَن نَافِع أَن ابْن عمر جَاءَهُ رجل فَقَالَ إِنَّ فُلَانًا يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ فَقَالَ لَهُ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ فَإِنْ كَانَ قَدْ أَحْدَثَ فَلَا تُقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول يكون فِي هَذِه الْأمة أَو فِي أمتِي الشَّك مِنْهُ خَسْفٌ أَوْ مَسْخٌ أَوْ قَذْفٌ فِي أَهْلِ الْقَدَرِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ
Chapter: Belief in the Divine Decree - Section 3
Nafi' told how a man came to Ibn ‘Umar with a message that so and so sent him a greeting. He replied that he had heard he had introduced an innovation and that if that were so, he was not to convey his greeting to him, for he had heard God’s messenger say, “Among my people,” or “among this people the believers in freewill will be swallowed up and metamorphosed or pelted.”
Tirmidhi, Abu Dawud, and Ibn Majah transmitted it, and Tirmidhi said this is a hasan sahih gharib tradition.
ব্যাখ্যা: (بَلَغَنِيْ أَنَّهٗ قَدْ أَحْدَثَ) অর্থাৎ- আমার কাছে পৌঁছেছে যে, সে বিদ্‘আত চালু করেছে তাক্বদীরের বিষয়ে।
(فَلَا تُقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ) ‘আল্লামা ত্বীবী বলেন, এটা সালাম না গ্রহণ করার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রকাশমান কথা হচ্ছে, আমার পক্ষে থেকে তার সালামের উত্তর পাঠিও না কারণ সে তার বিদ্‘আতের কারণে সালামের উত্তর পাবার অনুপযুক্ত হয়ে গেছে যদিও সে এখন পর্যন্ত কাফির হয়ে যায়নি।
হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, আমার পক্ষ থেকে তার কাছে সালাম পাঠাইও না। কেননা, নিশ্চয় আমরা আদিষ্ট হয়েছি বিদ্‘আতীদেরকে বর্জন করতে। এর প্রেক্ষিতে ‘উলামায়ি কিরাম বলে থাকেন, ফাসিক্বী, বিদ্‘আতীর সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব নয়। এটা সুন্নাতও নয়।