পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৭৯৩-[৭] সালমান ফারিসী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর পথে একদিন বা একরাত সীমানা পাহারা দেয়া, একমাসের সওম পালন ও সালাত আদায় করা হতে উত্তম। আর ঐ প্রহরী যদি এ অবস্থায় মারা যায়, তবে তার কৃতকর্মের এ পুণ্য ’আমলের সাওয়াব অবিরত পেতে থাকবে, তার জন্য সর্বক্ষণ রিযক (জান্নাত হতে) আসতে থাকবে এবং সে কবরের কঠিন পরীক্ষা হতে মুক্তি পাবে। (মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَن سلمانَ الفارسيِّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «رِبَاطُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ صِيَامِ شَهْرٍ وَقِيَامِهِ وَإِنْ مَاتَ جَرَى عَلَيْهِ عَمَلُهُ الَّذِي كَانَ يَعْمَلُهُ وَأُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقُهُ وَأَمِنَ الْفَتَّانَ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা : আলোচ্য হাদীসটিতে আল্লাহর রাস্তায় একদিন একরাত পাহাড়া দেয়ার ফযীলত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। "رباط" রিবাত্ব এর পরিচয় দিতে গিয়ে ইমাম সুয়ূত্বী বলেন, ‘‘মুসলিম ও কাফিরদের মাঝে কোনো এক স্থানে মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাহাড়া দেয়ার কাজে নিয়োজিত হওয়াই রিবাত্ব।’’ (মিরকাতুল মাফাতীহ)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, ‘‘যদি সে মারা যায় তাহলে তার ঐ ‘আমলের সাওয়াব জারী বা চলমান থাকবে, যা সে করত’’ এ কথাটি আল্লাহর রাস্তায় পাহাড়া দেয়ার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির স্পষ্ট ফযীলত ও মর্যাদার বর্ণনা। আর মৃত্যুর পরেও ‘আমল চলমান বা জারী থাকার ফযীলত শুধুমাত্র তার সাথেই বিশেষিত, যাতে অন্য কোনো ব্যক্তি অংশীদার নয়। সহীহ মুসলিম ব্যতীত অন্যান্য হাদীসগ্রন্থের বর্ণনায় এ কথা স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘‘প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির ‘আমলের পরিসমাপ্তি ঘটে, তবে রিবাত্বকারী ব্যতীত (অর্থাৎ তার ‘আমলের সাওয়াব চলমান থাকে)। কেননা তার ‘আমল কিয়ামত পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে।’’
হাদীসের বাণী, ‘‘তার রিযক জারী রাখা হবে’’ এটি শহীদদের ব্যাপারে অবতীর্ণ আল্লাহর নিম্নোক্ত উক্তিটির অনুরূপ : ‘‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে তাদেরকে কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত এবং তাদের রিযক দেয়া হচ্ছে’’- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৬৯)।
‘‘সে ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে’’ এ কথার অর্থ হচ্ছে সে কবরের যাবতীয় ফিতনা তথা পরীক্ষা বা শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকবে।’’ (শারহে মুসলিম ১৩ খন্ড, হাঃ ১৯১৩)