পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬১৮. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাদরীয়ারা[1] এ উম্মতের মধ্যে মাজুস বা অগ্নি-উপাসকদের মত। যদি তারা পীড়িত হয়, তবে তোমরা তাদের সেবা-শুশ্রূষা করবে না। আর যদি তারা মারা যায়, তবে তাদের জানাযায় শরীক হবে না।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي بِمِنًى، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْقَدَرِيَّةُ مَجُوسُ هَذِهِ الأُمَّةِ إِنْ مَرِضُوا فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَإِنْ مَاتُوا فَلاَ تَشْهَدُوهُمْ " .
Narrated Abdullah ibn Umar:
The Prophet (ﷺ) said: The Qadariyyah are the Magians of this community. If they are ill, do not pay a sick visit to them, and if they die, do not attend their funerals.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬১৯. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) ..... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে ’মাজুস’ আছে; আর আমার উম্মাতের মধ্যে তারাই ’মাজুস’ যারা বলেঃ তাকদীর বলে কিছু নেই। তাদের কেউ মারা গেলে তোমরা তাদের জানাযায় শরীক হবে না। আর এদের কেউ যদি পীড়িত হয়, তবে তাদের সেবা-শুশ্রূষার জন্য যাবে না। কেননা এরা দাজ্জালের অনুসারী, আর আল্লাহ্ অবশ্যই তাদের দাজ্জালের সাথে মিলিত করবেন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُمَرَ، مَوْلَى غُفْرَةَ عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الأَنْصَارِ عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لِكُلِّ أُمَّةٍ مَجُوسٌ وَمَجُوسُ هَذِهِ الأُمَّةِ الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ قَدَرَ مَنْ مَاتَ مِنْهُمْ فَلاَ تَشْهَدُوا جَنَازَتَهُ وَمَنْ مَرِضَ مِنْهُمْ فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَهُمْ شِيعَةُ الدَّجَّالِ وَحَقٌّ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُلْحِقَهُمْ بِالدَّجَّالِ " .
Hudhaifah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
Every people have Magians, and the Magians of this community are those who declare that there is no destination by Allah. If any one of them dies, do not attend his funeral, and if any one of them is ill, do not pay a sick visit to him. They are the partisans of the Antichrist (Dajjal), and Allah will surely join them with the Antichrist.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ্ আদম-(আঃ)-কে এমন এক মুষ্টি মাটি দিয়ে তৈরী করেন, যা তিনি যমীনের সব অংশ থেকে নেন। আর এ কারণেই আদম সন্তান ঐ মাটির স্বভাব অনুযায়ী সৃষ্টি হয়েছ; যেমনঃ কেউ সাদা, কেউ লাল এবং কেউ কাল, আর কেউ এর মাঝামাঝি রংয়ের। আর এ জন্য তাদের কারো স্বভাব নরম, কারো কঠোর; আর কেউ খাবীছ (কাফির, মুশরিক) আবার কেউ পবিত্র স্বভাবের অর্থাৎ মুসলিম।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، وَيَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، حَدَّثَاهُمْ قَالاَ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، قَالَ حَدَّثَنَا قَسَامَةُ بْنُ زُهَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الأَرْضِ فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الأَرْضِ جَاءَ مِنْهُمُ الأَحْمَرُ وَالأَبْيَضُ وَالأَسْوَدُ وَبَيْنَ ذَلِكَ وَالسَّهْلُ وَالْحَزْنُ وَالْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ " . زَادَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى " وَبَيْنَ ذَلِكَ " . وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ يَزِيدَ .
Abu Musa al-Ash’ari reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
Allah created Adam from a handful which he took from the whole of the earth ; so the children of Adam are in accordance with the earth : some red, some white, some black, some a mixture, also smooth and rough, bad and good.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২১. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা এক ব্যক্তির জানাযার নামাযে শরীক ছিলাম, যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ছিলেন- ’বাকীয়ে গারকাদ’ নামক স্থানে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে এসে বসেন এবং তাঁর হাতের ছড়ি দিয়ে মৃদুভাবে যমীনে আঘাত করতে থাকেন। এরপর তিনি মাথা উচুঁ করে বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির বা নাফসের জন্য আল্লাহ্ তা’আলা হয়তো জান্নাতে-নয়তো জাহান্নামে তার স্থান নির্ধারণ করেছেন; আর সে ব্যক্তি কি নেককার বা বদকার হবে, তা ও নির্ধারণ করেছেন। তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে কি আমরা আমল পরিত্যাগ করে কেবল তাকদীরের উপর ভরসা করবো? কেননা, যে ব্যক্তি নেককার হওয়ার, সে তো তা হবেই, আর যে বদকার হওয়ার-সে তো তা হবেই।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আমল করতে থাক। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই শক্তি প্রদান করা হয়। কাজেই নেককার ভাল কাজ করে এবং বদকার খারাপ কাজ করে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ আর যে ব্যক্তি দান করে, আল্লাহ্কে ভয় করে, তাওহীদের কালিমাকে স্বীকার করে, আমি তাকে তা সহজভাবে সম্পন্ন করার তাওফীক দেই। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি কৃপণতা করে, নেক আমল করা হতে বিরত থাকে এবং তাওহীদকে অস্বীকার করে, আমি তার জন্য বদ-আমলকে সহজ করে দেই।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ مَنْصُورَ بْنَ الْمُعْتَمِرِ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَبِيبٍ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِالْمِخْصَرَةِ فِي الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلاَّ قَدْ كَتَبَ اللَّهُ مَكَانَهَا مِنَ النَّارِ أَوْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ قَدْ كُتِبَتْ شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَةً " . قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَفَلاَ نَمْكُثُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى السَّعَادَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشِّقْوَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى الشِّقْوَةِ قَالَ " اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلسَّعَادَةِ وَأَمَّا أَهْلُ الشِّقْوَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلشِّقْوَةِ " . ثُمَّ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ " ( فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى * وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى * وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى * وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى * . فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى ) " .
‘Ali said:
We attended a funeral at Baql’ al-Gharqad which was also attended by the Messenger of Allah (May peace be upon him). The Messenger of Allah (May peace be upon him) came and sat down. He had a stick (in his hand) by which he began to scratch up the ground. He then raised his head and said : The place which every one of you and every soul of you will occupy in Hell or in Paradise has been recorded, and destined wicked or blesses. A man from among the people asked : Prophet of Allah! Should we not then trust simply in what has been recorded for us and abandon (doing good) deeds? Those who are among the number of the blessed will be inclined to blessing, and those of us who are among the number of the wicked will be inclined to wickedness. He replied : Go on doing good actions, for everyone is helped to do that for which he was created. Those who are among the number of wicked will be helped to do wicked deeds. The Prophet of Allah (May peace be upon him) then recited: “So he who gives (in charity) and fears (Allah), and in all sincerity testifies to the best, we will indeed make smooth for him the path to bliss. But he who is a greedy miser and thinks himself self-sufficient, and gives the lie to the best, We will indeed make smooth for him the path of misery.”
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২২. উবায়দুল্লাহ ইবন মু’আয (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবন ইয়ামার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ বসরার অধিবাসী মা’আবাদ জুহানী সর্ব প্রথম তাকদীরের সমালোচনা করেন। এ সময় আমি এবং হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান হিময়ারী (রহঃ) হাজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে বের হই। আমরা বলাবলি করিঃ যদি আমাদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন সাহাবীর দেখা হয়, তবে আমরা তার সঙ্গে এ ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচনা করবো, যারা তাকদীর সম্পর্কে এরূপ বলে। তখন আল্লাহ্র মেহেরবানীতে আমরা আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ)-এর দেখা পাই-মসজিদে প্রবেশ করার সাথে-সাথেই।
আমি এবং আমার সাথী তাকে ঘিরে ধরি এবং আমি মনে করি আমার সাথী আমাকে কথা বলার সুযোগ দেবে। তখন আমি তাকে বলিঃ হে আবূ আবদুর রহমান! আমাদের মাঝে এমন কিছু লোকের সৃষ্টি হয়েছে, যারা কুরআন পাঠ করে এবং এর সূক্ষ্ম বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করে বলেঃ তাকদীর বলে কিছুই নেই। সব কিছুই এমনিতেই হয়ে থাকে। এ কথা শুনে তিনি বলেনঃ যখন তাদের সাথে তোমাদের দেখা হবে, তখন তাদের বলবে, আমি তাদের উপর অসন্তুষ্ট এবং তারাও আমার উপর অসন্তুষ্ট। ঐ জাতের (আল্লাহ্র) কসম! যার কসম আবদুল্লাহ ইবন উমার (রাঃ) করছে; যদি তাদের কারো কাছে উহুদ পরিমাণ সোনা থাকে এবং তারা তা (আল্লাহ্র রাস্তায় খরচ করে, তবু ও আল্লাহ্ ততক্ষণ তা কবূল করবেন না, যতক্ষণ না সে তাকদীরের প্রতি ঈমান আনে।
এরপর তিনি বলেনঃ আমার কাছে উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। সে সময় সেখানে শাদা পোশাক পরিহিত, কাল চুল বিশিষ্ট একজন আসে, যার মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন ছিল না এবং তাঁর দুই জানু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানুদ্বয়ের নিকট রেখে, স্বীয় দু’হাত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানুর উপর রেখে জিজ্ঞাসা করেঃ হে মুহাম্মদ! ইসলাম কি, সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ ইসলাম হলো-এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রাসূল। তুমি সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে এবং রমযানের রোযা রাখবে এবং সামর্থ থাকলে আল্লাহ্র ঘর যিয়ারত (হাজ্জ) করবে। তখন সে বলেঃ আপনি সত্য বলেছেন।
উমার (রাঃ) বলেনঃ তার এরূপ উক্তিতে আমরা বিস্মিত হই এ জন্য যে, সে নিজে প্রশ্ন করছে এবং নিজেই তা সত্যায়িত করছে! এরপর সে জিজ্ঞাসা করেঃ ঈমান কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈমান হলো-তুমি আল্লাহ্, ফেরেশতা, কিতাব, রাসূল এবং কিয়ামতের দিনের উপর দৃঢ়-বিশ্বাস রাখবে, আর এও ইয়াকীন রাখবে যে, তাকদীরের ভাল-মন্দ সবই আল্লাহ্র তরফ থেকে হয়। এ কথা শুনে সে বলেঃ আপনি ঠিকই বলেছেন। এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ আমাকে ইহসান সম্পর্কে কিছু বলুন। জবাবে তিনি বলেনঃ তুমি আল্লাহ্র ইবাদত এ ভাবে করবে, যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর যদি তুমি তাঁকে দেখতে না পাও, তবে এরূপ মনে করবে যে, তিনি তোমাকে দেখছেন।
এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেঃ কিয়ামত কবে হবে? তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে যাকে জিজ্ঞাসা করে হয়েছে, সে প্রশ্নকারী থেকে অধিক অবহিত নয়। তখন সে ব্যক্তি বলেঃ তাহলে এর আলামত সম্পর্কে কিছু বলুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দাসী তার মনিবের জন্ম দেবে (অর্থাৎ সন্তান তার মায়ের নাফরমানী করবে); আর তুমি দেখবে যে, খালি পা ও খালি গায়ের অধিকারী মুখাপেক্ষী রাখাল সম্প্রদায়ের লোকেরা উঁচু-উঁচু প্রাসাদ তৈরী করে গর্ব প্রকাশ করবে। রাবী বলেনঃ পরে সে ব্যক্তি চলে গেলে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করি। তিনি বলেনঃ হে উমার! তুমি কি জান, এ প্রশ্নকারী ব্যক্তিটি কে? আমি বলিঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর এ বিষয়ে অধিক জ্ঞাত। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইনি হলেন, জিবরীল (আঃ), যিনি তোমাদের কাছে এসেছিলেন দীন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার জন্যে।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا كَهْمَسٌ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، قَالَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الْقَدَرِ بِالْبَصْرَةِ مَعْبَدٌ الْجُهَنِيُّ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَحُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيُّ حَاجَّيْنِ أَوْ مُعْتَمِرَيْنِ فَقُلْنَا لَوْ لَقِينَا أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْنَاهُ عَمَّا يَقُولُ هَؤُلاَءِ فِي الْقَدَرِ . فَوَفَّقَ اللَّهُ لَنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ دَاخِلاً فِي الْمَسْجِدِ فَاكْتَنَفْتُهُ أَنَا وَصَاحِبِي فَظَنَنْتُ أَنَّ صَاحِبِي سَيَكِلُ الْكَلاَمَ إِلَىَّ فَقُلْتُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِنَّهُ قَدْ ظَهَرَ قِبَلَنَا نَاسٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَفَقَّرُونَ الْعِلْمَ يَزْعُمُونَ أَنْ لاَ قَدَرَ وَالأَمْرُ أُنُفٌ . فَقَالَ إِذَا لَقِيتَ أُولَئِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنِّي بَرِيءٌ مِنْهُمْ وَهُمْ بُرَآءُ مِنِّي وَالَّذِي يَحْلِفُ بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَوْ أَنَّ لأَحَدِهِمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فَأَنْفَقَهُ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْهُ حَتَّى يُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ ثُمَّ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ لاَ يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلاَ نَعْرِفُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الإِسْلاَمِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الإِسْلاَمُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنِ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلاً " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَعَجِبْنَا لَهُ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ . قَالَ " أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِحْسَانِ قَالَ " أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ السَّاعَةِ . قَالَ " مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ " . قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَاتِهَا . قَالَ " أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ " . قَالَ ثُمَّ انْطَلَقَ فَلَبِثْتُ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ " يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنِ السَّائِلُ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ أَتَاكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ " .
Yahya b. Ya`mur said :
The first to speak on Divine decree in al-Basrah was Ma`bad al Juhani. I and Humaid b. `Abd al-Rahman al-Himyari proceeded to perform Hajj or `Umrah. We said : would that we meet any of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) so that we could ask him about what they say with regard to divine decree. So Allah helped us to meet `Abd Allah b. `Umar who was entering the mosque. So I and my companion surrounded him, and I thought that my companion would entrust me the task of speaking to him. Then I said : Abu ‘Abd al-Rahman, there appeared on our side some people who recite the Qur'an and are engaged in the hair-splitting of knowledge. They conceive that there is no Divine decree and everything happens freely without predestination. He said : When you meet those people, tell them that I am free from them, and they are free from me. By Him by Whom swears ‘Abd Allah b. ‘Umar, if one of them has gold equivalent to Uhud and he spends it, Allah will not accept it from him until he believes in Divine decree. He then said : ‘Umar b. Khattab transmitted to me a tradition, saying : One day when we were with the Messenger of Allah (ﷺ) a man with very white clothing and very black hair came up to us. No mark of travel was visible on him, and we did not recognize him. Sitting down beside the Messenger of Allah (ﷺ), leaning his knees against his and placing his hands on his thighs, he said : tell me, Muhammad, about Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said : Islam means that you should testify that there is no god but Allah, and Muhammad is Allah’s Apostle, that you should observe prayer, pay Zakat, fast during Ramadan, and perform Hajj to the house (i.e., Ka`bah), If you have the means to go. He said : You have spoken the truth. We were surprised at his questioning him and then declaring that he spoke the truth. He said : Now tell me about faith. He replied : It means that you should believe in Allah, his angels, his Books, his Apostles and the last day, and that you should believe in the decreeing both of good and evil. He said : You have spoken the truth. He said : now tell me about doing good (ihsan). He replied: It means that you should worship Allah as though you are seeing him; if you are not seeing him, he is seeing you. He said: Now tell me about the hour. He replied : The one who is asked about it is no better informed than the one who is asking. He said : Then tell me about its signs. He replied : That a maidservant should beget her mistress, and that you should see barefooted, naked, poor men and shepherds exalting themselves in buildings. ‘Umar said : He then went away, and I waited for three days, then he said : Do you know who the questioner was, `Umar? I replied : Allah and his Apostle know best. He said : He was Gabriel who came to you to teach you your religion.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৩. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... ইয়াহইয়া ইবন ইয়া’মার ও হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেনঃ একদা আমরা আবদুল্লাহ ইবন উমার (রাঃ)-এর সাথে দেখা করি, তাকে তাকদীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। এরপর পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে এখানে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণিত হয়েছে যে, মুযায়না বা জুহায়না গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কিরূপ খেয়াল করে আমল করবো-তাকদীরে যা ছিল হয়ে গেছে না আরো কিছু হবে? তিনি বলেনঃ তোমরা এরূপ খেয়াল করে আমল করবে যে, তোমাদের তাকদীরে যা আছে, তা লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। তখন জনৈক ব্যক্তি বলেঃ তা হলে আর আমলের প্রয়োজন কী? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতের অধিবাসীদের জান্নাতের অনুরূপ কাজের সামর্থ প্রদান করা হয় এবং জাহান্নামীদের দোজখের কাজের।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ غِيَاثٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، وَحُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ لَقِينَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَذَكَرْنَا لَهُ الْقَدَرَ وَمَا يَقُولُونَ فِيهِ فَذَكَرَ نَحْوَهُ زَادَ قَالَ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ مُزَيْنَةَ أَوْ جُهَيْنَةَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِيمَا نَعْمَلُ أَفِي شَىْءٍ قَدْ خَلاَ أَوْ مَضَى أَوْ شَىْءٍ يُسْتَأْنَفُ الآنَ قَالَ " فِي شَىْءٍ قَدْ خَلاَ وَمَضَى " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَوْ بَعْضُ الْقَوْمِ فَفِيمَ الْعَمَلُ قَالَ " إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنَّ أَهْلَ النَّارِ يُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ " .
The tradition mentioned above has also been transmitted by Yahya b. Yamur and Humaid b. ‘Abd al-Rahman through a different chain of narrators. This version has :
we met ‘Abd Allah b. ‘Umar. We told him about divine decree and what they said about it. He then mentioned something similar to it. He added : A man of Muzainah or juhainah asked : What is the good in doing anything, Messenger of Allah ? should we think that a thing has passed and gone or a thing that has happened now (without predestination)? He replied : About a thing that has passed and gone (i.e. predestined). A man or some people asked: Then, why action? He replied: Those who are among the number of those who go to Paradise will be helped to do the deeds of the people who will go to Paradise, and those who are among the number of those who go to Hell will be helped to do the deeds of those who will go to Hell.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৪. মাহমূদ ইবন খালিদ (রহঃ) .... ইবন উমার (রাঃ) হতে পূর্বোক্ত হাদীছের অনু্রূপ বর্ণিত হয়েছে। এরপর সে ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করে যে, ইসলাম কি? তিনি বলেনঃ সালাত কায়েম করা, যাকাত দেয়া, আল্লাহ্র ঘরে হাজ্জ আদায় করা, রমযান মাসে রোযা রাখা এবং হতে পবিত্রতা হাসিলের জন্য গোসল করা-এ হলো ইসলাম।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ يَعْمَرَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ قَالَ فَمَا الإِسْلاَمُ قَالَ " إِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَحَجُّ الْبَيْتِ وَصَوْمُ شَهْرِ رَمَضَانَ وَالاِغْتِسَالُ مِنَ الْجَنَابَةِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ عَلْقَمَةُ مُرْجِئٌ .
The tradition mentioned above has also been transmitted by Ibn Ya’mur, with additions and omissions, through a different chain of narrators. This version adds; He asked :
What is Islam? He replied : It means saying prayer, payment of zakat, performing HAJJ, fasting during RAMADAN, and taking a bath on account of sexual defilement.
Abu Dawud said: 'Alqamah was a Murji'i.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৫. উছমান ইবন আবূ শায়বা (রহঃ) ..... আবূ যার এবং আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের সাথে বসতেন, তখন কোন অচেনা লোক সেখানে আসলে, জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে চিনতে পারতো না। এ জন্য আমরা মনে করি, তাঁর বসার জন্য একটি বিশেষ স্থান নির্ধারিত করা দরকার, যাতে অচেনা লোক সহজেই তাঁকে চিনতে পারে। এরপর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য একটি চত্বর তৈরী করি, যেখানে তিনি বসতেন এবং আমরা তাঁর চারপাশে বসতাম। এরপর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, জনৈক ব্যক্তি আসে-যার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তিনি এসে মজলিসের এক পাশ হতে সালাম দিয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার প্রতি সালাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের জবাব দেন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، وَأَبِي، هُرَيْرَةَ قَالاَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَجْلِسُ بَيْنَ ظَهْرَىْ أَصْحَابِهِ فَيَجِيءُ الْغَرِيبُ فَلاَ يَدْرِي أَيُّهُمْ هُوَ حَتَّى يَسْأَلَ فَطَلَبْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَجْعَلَ لَهُ مَجْلِسًا يَعْرِفُهُ الْغَرِيبُ إِذَا أَتَاهُ - قَالَ - فَبَنَيْنَا لَهُ دُكَّانًا مِنْ طِينٍ فَجَلَسَ عَلَيْهِ وَكُنَّا نَجْلِسُ بِجَنْبَتَيْهِ وَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا الْخَبَرِ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ فَذَكَرَ هَيْئَتَهُ حَتَّى سَلَّمَ مِنْ طَرْفِ السِّمَاطِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ . قَالَ فَرَدَّ عَلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated AbuDharr and AbuHurayrah:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to sit among his Companions. A stranger would come and not recognize him (the Prophet) until he asked (about him). So we asked the Messenger of Allah (ﷺ) to make a place where he might take his seat so that when a stranger came, he might recognise him. So we built a terrace of soil on which he would take his seat, and we would sit beside him. He then mentioned something similar to this Hadith saying: A man came, and he described his appearance. He saluted from the side of the assembly, saying: Peace be upon you, Muhammad. The Prophet (ﷺ) then responded to him.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৬. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন দায়লামী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন; একদা আমি উবাই ইবন কাআব (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলিঃ আমার অন্তরে তাকদীরের ব্যাপারে কিছু সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে, আপনি সে সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন, যাতে আল্লাহ্ আমার অন্তর থেকে তা দূর করে দেন। তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ্ যদি আসমান ও যমীনের সব মাখলূককে আযাব দেন, তবে এ জন্য তাঁকে জালিম বলা যাবে না। আর যদি তিনি সকলের উপর রহম করেন, তবে তাঁর রহমত তাদের জন্য, তাদের আমলের চাইতে উত্তম।
আর যদি তুমি আল্লাহ্র রাস্তায় উহুদ পরিমাণ সোনা ব্যয় কর, তবে আল্লাহ্ তা’আলা ততক্ষণ তা কবূল করবেন না, যতক্ষণ না তুমি তাকদীরের উপর ঈমান আনবে। আর তুমি বিশেষভাবে মনে রাখবে যে, তোমার যা পাওনা ছিল, তা অবশ্যই পেয়েছ; আর তুমি যা পাওয়ার নও-তা কখনো পাবে না। আর যদি তুমি এরূপ বিশ্বাস ব্যতীত-অন্য বিশ্বাসের উপর মারা যাও, তবে তুমি জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
রাবী বলেনঃ এরপর আমি আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাঃ)-এর কাছে আসলে, তিনি বলেনঃ তারপর আমি হুযায়ফা ইবন ইয়ামান (রাঃ)-এর কাছে গেলে, তিনিও অনুরূপ বর্ণনা করেন। রাবী বলেনঃ পরে আমি যায়দ ইবন ছাবিত (রাঃ)-এর কাছে গেলে, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীছ বর্ণনা করেন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ وَهْبِ بْنِ خَالِدٍ الْحِمْصِيِّ، عَنِ ابْنِ الدَّيْلَمِيِّ، قَالَ أَتَيْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ فَقُلْتُ لَهُ وَقَعَ فِي نَفْسِي شَىْءٌ مِنَ الْقَدَرِ فَحَدِّثْنِي بِشَىْءٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُذْهِبَهُ مِنْ قَلْبِي . فَقَالَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ عَذَّبَ أَهْلَ سَمَوَاتِهِ وَأَهْلَ أَرْضِهِ عَذَّبَهُمْ وَهُوَ غَيْرُ ظَالِمٍ لَهُمْ وَلَوْ رَحِمَهُمْ كَانَتْ رَحْمَتُهُ خَيْرًا لَهُمْ مِنْ أَعْمَالِهِمْ وَلَوْ أَنْفَقْتَ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا قَبِلَهُ اللَّهُ مِنْكَ حَتَّى تُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ وَتَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ وَلَوْ مُتَّ عَلَى غَيْرِ هَذَا لَدَخَلْتَ النَّارَ . قَالَ ثُمَّ أَتَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - ثُمَّ أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ - قَالَ - ثُمَّ أَتَيْتُ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ فَحَدَّثَنِي عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ .
Ibn al-Dailami said :
I went to Ubayy b. Ka’b and said him : I am confused about Divine decree, so tell me something by means of which Allah may remove the confusion from my mind. He replied : were Allah to punish everyone in the heavens and in the earth. He would do so without being unjust to them, and were he to show mercy to them his mercy would be much better than their actions merited. Were you to spend in support of Allah’s cause an amount of gold equivalent to Uhud, Allah would not accept it from you till you believed in divine decree and knew that what has come to you could not miss you and that what has missed you could not come to you. Were you to die believing anything else you would enter Hell. He said : I then went to ‘Abd Allah b. MAs’ud and he said something to the same effect. I next went to Hudhaifah b. al-Yaman and he said something to the same effect. I next went to Zaid b. Thabit who told me something from the Prophet (May peace be upon him) to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৭. জা’ফর ইবন মুসাফির (রহঃ) ...... আবূ হাফ্স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা উবাদা ইবন ছামিত (রাঃ) তার পুত্রকে বলেনঃ হে আমার প্রিয় পুত্র! তুমি ততক্ষণ ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পাবে না, যতক্ষণ না তুমি অনুধাবন কর যে, তুমি যা পেয়েছ, তা কিছুতেই ফেলতে পারতে না; আর তুমি যা পাওনি, তা অবশ্যই তুমি পাবে না। এরপর তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ্ সর্ব প্রথম কলম তৈরী করেন। এরপর তিনি কলমকে বলেনঃ লিখ। কলম বলেঃ হে আমার প্রতিপালক, আমি কি লিখব? তখন আল্লাহ্ বলেনঃ তুমি কিয়ামত পর্যন্ত সৃষ্ট সমস্ত জীবের তাকদীর লিখ। হে আমার প্রিয় পুত্র! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এরূপ বিশ্বাস ব্যতীত মারা যাবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ الْهُذَلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ رَبَاحٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ أَبِي حَفْصَةَ، قَالَ قَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ لاِبْنِهِ يَا بُنَىَّ إِنَّكَ لَنْ تَجِدَ طَعْمَ حَقِيقَةِ الإِيمَانِ حَتَّى تَعْلَمَ أَنَّ مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ وَمَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ لَهُ اكْتُبْ . قَالَ رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ قَالَ اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَىْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ " . يَا بُنَىَّ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ مَاتَ عَلَى غَيْرِ هَذَا فَلَيْسَ مِنِّي " .
Ubadah b. al Samit said to his son :
Son! You will not get the taste of the reality of faith until you know that what has come to you could not miss you, and that what has missed you could not come to you. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: The first thing Allah created was the pen. He said to it: Write. It asked: What should I write, my Lord? He said: Write what was decreed about everything till the Last Hour comes. Son! I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say : He who dies on something other than this does not belong to me.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৮. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একদা আদম (আঃ) ও মূসা (আঃ)-এর মধ্যে (রূহের জগতে)-বাদানুবাদ হয়। মূসা (আঃ) বলেনঃ হে আদম! আপনি আমাদের পিতা আপনি আমাদের বঞ্চিত করেছেন এবং জান্নাত থেকে বের করেছেন। তখন আদম (আঃ) বলেনঃ তুমি তো মূসা! তোমাকে আল্লাহ্ তাঁর কালাম দিয়ে সম্মানিত করেছেন; আর তিনি তোমার জন্য তাওরাত স্বহস্তে লিখেছেন। তুমি আমাকে অভিযুক্ত করছো এমন বিষয়ের জন্য, যা আল্লাহ্ তা’আলা আমার তাকদীরে, আমাকে সৃষ্টি করার চল্লিশ বছর আগে নির্ধারিত করেন। সুতরাং এ তর্কে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، - الْمَعْنَى - قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ طَاوُسًا، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يُخْبِرُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ . فَقَالَ آدَمُ أَنْتَ مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلاَمِهِ وَخَطَّ لَكَ التَّوْرَاةَ بِيَدِهِ تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى " . قَالَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ .
Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
Adam and Moses held a disputation. Moses said : Adam you are our father. You deprived us and caused us to come out from Paradise. Adam said : You are Moses Allah chose you for his speech and wrote the Torah for you with his hand. Do you blame me for doing a deed which Allah had decreed that I should do forty year before he created me? So Adam got the better of Moses in argument.
Ahmad b. Salih said from 'Amr from Tawus who heard Abu Hurairah.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২৯. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ..... উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একদা মূসা (আঃ) আল্লাহ্কে বলেনঃ হে আমার রব! আপনি আমাকে আদম (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করান, যিনি নিজে জান্নাত থেকে বের হয়েছেন এবং আমাদেরও বের করেছেন। তখন আল্লাহ্ তাকে আদম (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করান। মূসা (আঃ) বলেনঃ আপনি কি আমাদের পিতা আদম (আঃ) নন? আদম (আঃ) বলেনঃ হ্যাঁ। মূসা (আঃ) বলেনঃ আপনি তো সেই আদম, যার মধ্যে মহান আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্ট সমস্ত রূহ ফুঁকে দিয়েছিলেন, আর তিনি সব কিছুর নাম আপনাকে শিখিয়েছিলেন; আর আল্লাহ্র নির্দেশে ফেরেশতারা আপনাকে সিজদা করেছিল? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ।
তখন মূসা (আ) বলেনঃ বলুন তো, কি কারণে আপনি নিজে জান্নাত থেকে বের হলেন এবং আমাদের ও বের করলেন? আদম (আঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কে? তিনি বলেনঃ আমি মূসা। আদম (আঃ) বলেনঃ তুমি তো বনূ ইসরাঈলের সেই নবী, আল্লাহ্ তো তোমার সাথে কোন রাসূল (ফেরেশতা) ব্যতীত পর্দার আড়াল থেকে সরাসরি কথা বলেন। মূসা (আঃ) বলেনঃ হ্যাঁ। তখন আদম (আঃ) বলেনঃ তুমি কি অবগত নও যে, আমি যা কিছু করেছি্ তা আমার জন্মের আগেই কিতাবে লিপিবদ্ধ ছিল? মূসা (আঃ) বলেনঃ হ্যাঁ। তখন আদম (আঃ) বলেনঃ তবে কেন তুমি এমন একটা বিষয়ের জন্য অভিযুক্ত করেছো, যে ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ আমার সৃষ্টির আগেই ফায়সালা দিয়েছেন? এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ তর্কযুদ্ধে আদম (আঃ) মূসা (আঃ)-এর উপর বিজয়ী হন।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مُوسَى قَالَ يَا رَبِّ أَرِنَا آدَمَ الَّذِي أَخْرَجَنَا وَنَفْسَهُ مِنَ الْجَنَّةِ فَأَرَاهُ اللَّهُ آدَمَ فَقَالَ أَنْتَ أَبُونَا آدَمُ فَقَالَ لَهُ آدَمُ نَعَمْ . قَالَ أَنْتَ الَّذِي نَفَخَ اللَّهُ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَعَلَّمَكَ الأَسْمَاءَ كُلَّهَا وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَمَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ أَخْرَجْتَنَا وَنَفْسَكَ مِنَ الْجَنَّةِ فَقَالَ لَهُ آدَمُ وَمَنْ أَنْتَ قَالَ أَنَا مُوسَى . قَالَ أَنْتَ نَبِيُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ لَمْ يَجْعَلْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ رَسُولاً مِنْ خَلْقِهِ قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَفَمَا وَجَدْتَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي كِتَابِ اللَّهِ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَفِيمَ تَلُومُنِي فِي شَىْءٍ سَبَقَ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى فِيهِ الْقَضَاءُ قَبْلِي " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ " فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى " .
‘Umar b. al-Khattab reported the Messenger of Allah (May peace be upon him) as saying :
Moses said : My lord, show us Adam who caused us and himself to come out from Paradise. So Allah showed him Adam. He asked : Are you our father, Adam? Adam said to him : Yes. He said : Are you the one into whom Allah breathed of his spirit, taught you all the names, and commanded angels (to prostrate) and they prostrated to you? He replied : Yes. He asked : Then what moved you to cause us and yourself to come out from paradise? Adam asked him : And who are you? He said : Yes. He asked : Did you not find that was decreed in the book (records) of Allah before I was created? He replied : Yes. He asked : Then why do you blame me about a thing for which Divine decree had already passed before me ? The Messenger of Allah (May peace be upon him) said : So Adam got the better of Moses in argument (peace be upon him).
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩০. আবদুল্লাহ্ কা’নবী (রহঃ) .... মুসলিম ইবন জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি উমার ইবন খাওাব (রাঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেনঃ
إِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ
অর্থাৎ স্মরণ কর! তোমার রব আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন এবং তাদের নিজেদের সম্বন্ধে স্বীকারুক্তি গ্রহণ করেন এবং বলেনঃ আমি কি তোমাদের রব নই? তারা বলেঃ নিশ্চয়ই, আমরা সাক্ষী থাকলাম। (৭ঃ১৭২)
রাবী বলেনঃ কা’নবী এ আয়াত তিলাওয়াত করলে উমার (রাঃ) বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে শুনি। জবাবে তিনি বলেনঃ মহান আল্লাহ্ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর, তার পিঠকে স্বীয় ডান হাত দিয়ে মাসেহ করেন। ফলে অনেক আদম সন্তান সৃষ্টি হয়। এরপর তিনি বলেনঃ আমি এদের জান্নাতে জন্য সৃষ্টি করেছি। এরা জান্নাতীদের ন্যায় আমল করবে। এরপর আল্লাহ্ তার হাত দিয়ে আদমের পিঠকে মাসেহ করেন। ফলে তার আরো সন্তান সৃষ্টি হয়। তিনি বলেনঃ আমি এদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করবে।
তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে আমলের প্রয়োজনীয়তা কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা যখন কোন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাকে দিয়ে জান্নাতীদের আমল করিয়ে নেন। ফলে, সে ব্যক্তি জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে করতে মারা যায়। যদ্দরুন আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাকে দিয়ে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করান। ফলে সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল করতে করতে মারা যায়। যদ্দরুন আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ، أَنَّ عَبْدَ الْحَمِيدِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، أَخْبَرَهُ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سُئِلَ عَنْ هَذِهِ الآيَةِ، ( وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورِهِمْ ) قَالَ قَرَأَ الْقَعْنَبِيُّ الآيَةَ . فَقَالَ عُمَرُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ خَلَقَ آدَمَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ بِيَمِينِهِ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلْجَنَّةِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَعْمَلُونَ ثُمَّ مَسَحَ ظَهْرَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِنْهُ ذُرِّيَّةً فَقَالَ خَلَقْتُ هَؤُلاَءِ لِلنَّارِ وَبِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ يَعْمَلُونَ " . فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَفِيمَ الْعَمَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلْجَنَّةِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَإِذَا خَلَقَ الْعَبْدَ لِلنَّارِ اسْتَعْمَلَهُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى يَمُوتَ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ أَهْلِ النَّارِ فَيُدْخِلَهُ بِهِ النَّارَ " .
Narrated Umar ibn al-Khattab:
Muslim ibn Yasar al-Juhani said: When Umar ibn al-Khattab was asked about the verse "When your Lord took their offspring from the backs of the children of Adam" - al-Qa'nabi recited the verse--he said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say when he was questioned about it: Allah created Adam, then passed His right hand over his back, and brought forth from it his offspring, saying: I have these for Paradise and these will do the deeds of those who go to Paradise. He then passed His hand over his back and brought forth from it his offspring, saying: I have created these for Hell, and they will do the deeds of those who go to Hell.
A man asked: What is the good of doing anything, Messenger of Allah? The Messenger of Allah (ﷺ) said: When Allah creates a servant for Paradise, He employs him in doing the deeds of those who will go to Paradise, so that his final action before death is one of the deeds of those who go to Paradise, for which He will bring him into Paradise. But when He creates a servant for Hell, He employs him in doing the deeds of those who will go to Hell, so that his final action before death is one of the deeds of those who go to Hell, for which He will bring him into Hell.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩১. মুহাম্মদ ইবন মুসাফফা (রহঃ) .... নু’আয়ম ইবন রাবী’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। এরপর তিনি এ হাদীছ বর্ণনা করেন। রাবী মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীছটি সম্পূর্ণ।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ جُعْثُمَ الْقُرَشِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ رَبِيعَةَ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ مَالِكٍ أَتَمُّ .
Nu’aim b. Rabl’ah said :
I was with ‘Umar b. al-Khattab when he transmitted this tradition. The tradition of Malik is more perfect.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩২. কা’নবী (রহঃ) ...... উবায়্যা ইবন কাআব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খিযির (আঃ) যে বালকটিকে হত্যা করেছিল, সে ছিল স্বভাবজাত কাফির। যদি সে জীবিত থাকতো, তবে সে তার মাতা-পিতার নাফরমানী করতো এবং তাদের কষ্ট দিত।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَقَبَةَ بْنِ مَصْقَلَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْغُلاَمُ الَّذِي قَتَلَهُ الْخَضِرُ طُبِعَ كَافِرًا وَلَوْ عَاشَ لأَرْهَقَ أَبَوَيْهِ طُغْيَانًا وَكُفْرًا " .
Ubayy b. Ka’b said :
The boy whom al-Khidr had killed was created an infidel. Had he lived, he would have moved his parents to rebellion and unbelief.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৩. মাহমূদ ইবন খালিদ (রহঃ) ..... উবায়্যা ইবন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ঐ বালকটি (যাকে খিযির (আঃ) হত্যা করেন), তার মাতা-পিতা মু’মিন ছিল। যে দিন সে পয়দা হয়, সে দিন সে কাফির অবস্থায় পয়দা হয়।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفِرْيَابِيُّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي قَوْلِهِ ( وَأَمَّا الْغُلاَمُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ ) " وَكَانَ طُبِعَ يَوْمَ طُبِعَ كَافِرًا " .
Ubayy b. Ka’b said :
I heard the Messenger of Allah (May peace be upon him) explaining the verse “As for the youth his parents were people of Faith,” he was created infidel the day when he was created.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৪. মুহাম্মদ ইবন মিহরান (রহঃ) .... উবাই ইবন কা’আব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খিযির (আঃ) একটি বালককে কয়েকটি বালকের সাথে খেলতে দেখেন। তিনি তার ঘাড় মটকিয়ে দেন, (ফলে সে মারা যায়)। তখন মূসা (আঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেনঃ আপনি একটি নিষ্পাপ জীবনকে হত্যা করলেন?
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْصَرَ الْخَضِرُ غُلاَمًا يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ فَتَنَاوَلَ رَأْسَهُ فَقَلَعَهُ فَقَالَ مُوسَى ( أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً ) " . الآيَةَ .
Ibn ‘Abbas said :
Ubayy b. Ka’b told me that the Messenger of Allah (May peace be upon him) said : Al-khidr saw a youth playing with boys. He took him by his head and uprooted it. Moses then said : Hast thou slain an innocent person who had slain none.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৫. হাফ্স ইবন উমার (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সত্যবাদী নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, তোমাদের কাউকে যখন সৃষ্টি করা হয়, তখন তাকে তার মায়ের গর্ভে বীর্যাকারে চল্লিশ দিন রাখা হয়, পরে তা রক্ত-পিণ্ডে পরিণত হয়, এরপর তা গোশত-পিণ্ডে পরিণত হয়। তারপর মহান আল্লাহ্ একজন ফেরেশতাকে তার কাছে পাঠান-চারটি হুকুম সহ। সে ফেরেশতা তার রিযিক, তার হায়াত, তার আমল এবং সে নেক-বখত না বদ-বখত- তা লিপিবদ্ধ করে। এরপর সে জড় দেহে রূহ ফুঁকে দেয়া।
অনেক সময় তোমাদের কেউ জান্নাতীদের ন্যায় আমল করতে থাকে, এমন কি সে ব্যক্তি জান্নাতের মাঝে কেবলমাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে। এ সময় তার তাকদীর-তার উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং সে জাহান্নামীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। পক্ষান্তরে অনেক সময় তোমাদের কেউ জাহান্নামীদের মত আমল করতে থাকে, এমন কি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র এক হাত ব্যবধান থাকে। এরপর তার তাকদীর- তার উপর প্রভাব বিস্তার করায় সে জান্নাতীদের ন্যায় আমল শুরু করে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ سُفْيَانَ - عَنِ الأَعْمَشِ قَالَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ " إِنَّ خَلْقَ أَحَدِكُمْ يُجْمَعُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُونُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يُبْعَثُ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ فَيُكْتَبُ رِزْقُهُ وَأَجَلُهُ وَعَمَلُهُ ثُمَّ يُكْتَبُ شَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ الرُّوحُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلاَّ ذِرَاعٌ أَوْ قِيدُ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا " .
‘Abd Allah b. Mas’ud said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) who spoke the truth and whose word was belief told us the following : The constituents of one of you are collected for forty days in his mother’s womb, then they become a piece of congealed blood for a similar period, then they become a lump of flesh for a similar period. Then Allah sends to him an angel with four words who records his provision the period of his life, his deeds, and whether he will be miserable or blessed ; thereafter he breathes the spirit into him. One of you will do the deeds of those who go to Paradise so that there will be only a cubit between him and it or will be within a cubit, then what is decreed will overcome him so that he will do the deeds of those who go to Hell and will enter it; and one of you will do the deeds of those who go to hell, so that there will be only a cubit between him and it or will be within a cubit, then what is decreed will overcome him, so that he will do the deeds of those who go to Paradise and will enter it.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬৩৬. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হয়ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্র জ্ঞানে কি জান্নাতী ও জাহান্নামীরা আগে থেকেই পরিচিত? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। তখন সে ব্যক্তি বলেঃ তাহলে আমলকারীরা কোন আশায় আমল করবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমল কর, যাকে যে জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সে কাজ সহজ করে দেয়া হয়।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ الرِّشْكِ، قَالَ حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعُلِمَ أَهْلُ الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَفِيمَ يَعْمَلُ الْعَامِلُونَ قَالَ " كُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ " .
‘Imran b. Husain said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) was asked : Is it known who are those who will go to paradise and those who will go to hell? He said : Yes. He asked : Then what is the good of doing anything by those who act? He replied : Everyone is helped to do for which he has been created.