পরিচ্ছেদঃ ১৭. তাকদীর সম্পর্কে।
৪৬২১. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা এক ব্যক্তির জানাযার নামাযে শরীক ছিলাম, যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও ছিলেন- ’বাকীয়ে গারকাদ’ নামক স্থানে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে এসে বসেন এবং তাঁর হাতের ছড়ি দিয়ে মৃদুভাবে যমীনে আঘাত করতে থাকেন। এরপর তিনি মাথা উচুঁ করে বলেনঃ তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির বা নাফসের জন্য আল্লাহ্ তা’আলা হয়তো জান্নাতে-নয়তো জাহান্নামে তার স্থান নির্ধারণ করেছেন; আর সে ব্যক্তি কি নেককার বা বদকার হবে, তা ও নির্ধারণ করেছেন। তখন এক ব্যক্তি বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে কি আমরা আমল পরিত্যাগ করে কেবল তাকদীরের উপর ভরসা করবো? কেননা, যে ব্যক্তি নেককার হওয়ার, সে তো তা হবেই, আর যে বদকার হওয়ার-সে তো তা হবেই।
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা আমল করতে থাক। কেননা প্রত্যেক ব্যক্তিকেই শক্তি প্রদান করা হয়। কাজেই নেককার ভাল কাজ করে এবং বদকার খারাপ কাজ করে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ আর যে ব্যক্তি দান করে, আল্লাহ্কে ভয় করে, তাওহীদের কালিমাকে স্বীকার করে, আমি তাকে তা সহজভাবে সম্পন্ন করার তাওফীক দেই। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি কৃপণতা করে, নেক আমল করা হতে বিরত থাকে এবং তাওহীদকে অস্বীকার করে, আমি তার জন্য বদ-আমলকে সহজ করে দেই।
باب فِي الْقَدَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ مَنْصُورَ بْنَ الْمُعْتَمِرِ، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَبِيبٍ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِبَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِالْمِخْصَرَةِ فِي الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ إِلاَّ قَدْ كَتَبَ اللَّهُ مَكَانَهَا مِنَ النَّارِ أَوْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ قَدْ كُتِبَتْ شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَةً " . قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَفَلاَ نَمْكُثُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى السَّعَادَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشِّقْوَةِ لَيَكُونَنَّ إِلَى الشِّقْوَةِ قَالَ " اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلسَّعَادَةِ وَأَمَّا أَهْلُ الشِّقْوَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِلشِّقْوَةِ " . ثُمَّ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ " ( فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى * وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى * فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى * وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى * وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى * . فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى ) " .
‘Ali said:
We attended a funeral at Baql’ al-Gharqad which was also attended by the Messenger of Allah (May peace be upon him). The Messenger of Allah (May peace be upon him) came and sat down. He had a stick (in his hand) by which he began to scratch up the ground. He then raised his head and said : The place which every one of you and every soul of you will occupy in Hell or in Paradise has been recorded, and destined wicked or blesses. A man from among the people asked : Prophet of Allah! Should we not then trust simply in what has been recorded for us and abandon (doing good) deeds? Those who are among the number of the blessed will be inclined to blessing, and those of us who are among the number of the wicked will be inclined to wickedness. He replied : Go on doing good actions, for everyone is helped to do that for which he was created. Those who are among the number of wicked will be helped to do wicked deeds. The Prophet of Allah (May peace be upon him) then recited: “So he who gives (in charity) and fears (Allah), and in all sincerity testifies to the best, we will indeed make smooth for him the path to bliss. But he who is a greedy miser and thinks himself self-sufficient, and gives the lie to the best, We will indeed make smooth for him the path of misery.”