পরিচ্ছেদঃ ২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৪. সুলায়মান ইবন হারব .... আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হামযা আল আসলামী (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এমন ব্যক্তি যে প্রায়ই রোযা রাখি। কাজেই আমি কি সফরকালে রোযা (রামাযানের) রাখব? তিনি বলেন, তুমি ইচ্ছা করলে রোযা রাখতে পারো, কিংবা ইফতারও করতে পার।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ أَسْرُدُ الصَّوْمَ أَفَأَصُومُ فِي السَّفَرِ قَالَ " صُمْ إِنْ شِئْتَ وَأَفْطِرْ إِنْ شِئْتَ " .
Narrated 'Aishah:
Hamzat al-Aslami asked the Prophet (ﷺ): Messenger of Allah, I am a man who keeps perpetual fast, may I fast while on a journey? He replied: Fast if you like, or break your fast if you like.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৫. আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ আন নুফায়লী ...... হামযা ইবন মুহাম্মদ ইবন হামযা আল আসলামী (রহঃ) তাঁর পিতা তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি উষ্ট্রের পিঠের মালিক এবং আমি প্রায়ই সফরে থাকি। এমতাবস্থায় যদি এই রামাযান মাস আসে এবং যৌবনের শক্তির কারণে যদি আমি রোযা রাখতে সক্ষম হই, তবে কি আমি রোযা রাখব? ইয়া রাসূলূল্লাহ্! রোযা পরে রাখার (কাযা করার) চাইতে তা আদায় করা আমার জন্য অধিকতর সহজ এবং তা দীনেরও অঙ্গ। ইয়া রাসূলাল্লাহ! অধিক বিনিময় প্রাপ্তির আশায় আমি কি রোযা রাখব, না ইফতার করব? তিনি বলেন, হে হামযা! তোমার যা ইচ্ছা তা-ই করো।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْمَدَنِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ حَمْزَةَ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيَّ، يَذْكُرُ أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي صَاحِبُ ظَهْرٍ أُعَالِجُهُ أُسَافِرُ عَلَيْهِ وَأَكْرِيهِ وَإِنَّهُ رُبَّمَا صَادَفَنِي هَذَا الشَّهْرُ - يَعْنِي رَمَضَانَ - وَأَنَا أَجِدُ الْقُوَّةَ وَأَنَا شَابٌّ وَأَجِدُ بِأَنْ أَصُومَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهْوَنَ عَلَىَّ مِنْ أَنْ أُؤَخِّرَهُ فَيَكُونَ دَيْنًا أَفَأَصُومُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْظَمُ لأَجْرِي أَوْ أُفْطِرُ قَالَ " أَىُّ ذَلِكَ شِئْتَ يَا حَمْزَةُ " .
Narrated Hamzat al-Aslami:
I said: Messenger of Allah. I am a master of mounts and I use them ! I myself travel on them and I rent them. This month, that is, Ramadan, happend to come to me (while I am on a journey), and I find myself strong enough (to fast) as I am young, and I find that it is easier for me to fast than to postpone it, and i becomes debt due from me. Does it bring me more reward, Messenger of Allah, if I fast, or if I break ? He replied: Whichever you like, Hamzah.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৬. মুসাদ্দাদ ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা হতে মক্কার উদ্দেশ্যে বের হন। এরপর তিনি উসফান নামক স্থানে উপনীত হওয়ার পর পানি চান এবং লোকদের দেখানের উদ্দেশ্যে তা মুখে স্থাপন করেন। আর এই ঘটনা রামাযানের মধ্যে সংঘটিত হয়। ইবন আব্বাসা (রাঃ) বলতেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রেখে পরে ইফতার করেন। কাজেই যার ইচ্ছা রোযা রাখতে পারে এবং ইফতারও করতে পারে।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فَرَفَعَهُ إِلَى فِيهِ لِيُرِيَهُ النَّاسَ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ . فَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ قَدْ صَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَفْطَرَ فَمَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ .
Narrated Ibn 'Abbas:
The Prophet (ﷺ) left Medina for Mecca till he reached 'Usfan, He then called for a vessel (of water). It was raised to his mouth to show it to the people, and that was in Ramadan. Ibn 'Abbas used to say: The Prophet (ﷺ) fasted and he broke his fast. He who likes may fast and he who likes may break.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৭. আহমদ ইবন ইউসুফ ..... আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রামাযান মাসে আমরা রাসূুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফর করি। তখন আমাদের কেউ কেউ রোযা রাখে এবং কেউ কেউ ইফতার করে। কিন্তু ঐ সময় কোন রোযাদার ইফতারকারীকে এবং ইফতারকারী রোযাদারকে দোষারোপ করেননি।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَصَامَ بَعْضُنَا وَأَفْطَرَ بَعْضُنَا فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ .
Narrated Anas :
We travelled along with the Prophet (ﷺ) during Ramadan. Some of us were fasting and other broke their fast. Those who fasted did not find fault with those who broke, and those who broke their fast did not find fault with those who fasted.
পরিচ্ছেদঃ ২৩৩. সফরে রোযা রাখা।
২৩৯৮. আহমদ ইবন সালিহ ..... কাযা’আ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (মদীনাতে) আবূ সাঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) এর নিকট গমন করি। ঐ সময় তিনি প্রচুর জনসমাগমের মধ্যে ফাতওয়া প্রদানে রত ছিলেন। এরপর আমি তাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাতের আশায় অপেক্ষা করতে থাকি। পরে তিনি একটু অবসর হলে আমি তাঁকে সফরের মধ্যে রামাযানের রোযা রাখা সম্পর্কে প্রশ্ন করি। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের সময় রামাযান মাসে আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হই। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রাখলে আমরাও রোযা রাখি। পরে একটি মনযিলে উপনীত হওয়ার পর তিনি ইরশাদ করেনঃ তোমরা তোমাদের শত্রুদের নিকটবর্তী হয়েছ। কাজেই এখন তোমাদের জন্য ইফতার অধিক শক্তি সঞ্চয়ের কারণ হবে।
এমতাবস্থায় আমরা কেউ কেউ রোযা রাখি এবং কেউ কেউ ইফতার করি। রাবী বলেন, আমরা আরো সম্মুখ দিয়ে অগ্রসর হওয়ার পর, তিনি ইরশাদ করেনঃ তোমরা আগামীকাল সকালে তোমাদের শত্রুদের সাথে মুকাবিলায় পৌঁছাবে। কাজেই তোমাদের ইফতার করা, অধিক শক্তি সঞ্চয়ের কারণ হবে। আর তোমরা সকলে ইফতার করো। আর এটা ছির রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ হতে নির্দেশ স্বরূপ। আবূ সাঈদ বলেন, এর পূর্বে ও পরে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রোযা রাখি এবং ইফতারও করি।
باب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَوَهْبُ بْنُ بَيَانٍ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ قَزَعَةَ، قَالَ أَتَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَهُوَ يُفْتِي النَّاسَ وَهُمْ مُكِبُّونَ عَلَيْهِ فَانْتَظَرْتُ خَلْوَتَهُ فَلَمَّا خَلاَ سَأَلْتُهُ عَنْ صِيَامِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ عَامَ الْفَتْحِ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ وَنَصُومُ حَتَّى بَلَغَ مَنْزِلاً مِنَ الْمَنَازِلِ فَقَالَ " إِنَّكُمْ قَدْ دَنَوْتُمْ مِنْ عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ " . فَأَصْبَحْنَا مِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ - قَالَ - ثُمَّ سِرْنَا فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ " إِنَّكُمْ تُصَبِّحُونَ عَدُوَّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا " . فَكَانَتْ عَزِيمَةً مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ ثُمَّ لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَصُومُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَبْلَ ذَلِكَ وَبَعْدَ ذَلِكَ .
Narrated Qaza'ah:
I came to Abu Sa'id al-Khudri while he was giving his legal opinion to the people who bent down on him. So I waited to see hi when he was alone. When he became alone, I asked him about keeping fast while travelling. He said: we went out along with the Prophet (ﷺ) in Ramadan in the year of conquest of Mecca. The Messenger of Allah (ﷺ) fasted and we fasted until he reached a certain stage. He said: You have come near your enemy; the breaking of fast will bring you more strength. Then morning came when some of us fasted and other broke their fast. He (Abu Sa'id al-Khudri) said: We then proceeded and alighted at a stage. He said: You are going to attack your enemy tomorrow morning ; breaking the fast will bring you more strength ; so break your fast (i.e. do not keep fast). This resolution (of breaking the fast) took place (due to the announcement) from the Messenger of Allah (ﷺ).
Abu Sa'id said: Then I found myself keeping fast along with the Prophet (ﷺ) before and after that.