পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬১. আবদুল্লাহ্ ইবন মাহমুদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা কোন স্ত্রীলোককে তার ফুফুর সাথে অথবা তার ভাইয়ের মেয়ের সাথে একত্রে বিবাহ করবে না। আর কোন স্ত্রীলোককে তার খালার সাথে অথবা খালাকে তার বোনের সাথে একত্রে বিবাহ করবে না। আর তোমরা বড় (বোন) কে, ছোট (বোনের) উপর এবং ছোট (বোন) কে বড় (বোনের) উপর বিবাহ করবে না (অর্থাৎ দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করবে না)।
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَلاَ الْعَمَّةُ عَلَى بِنْتِ أَخِيهَا وَلاَ الْمَرْأَةُ عَلَى خَالَتِهَا وَلاَ الْخَالَةُ عَلَى بِنْتِ أُخْتِهَا وَلاَ تُنْكَحُ الْكُبْرَى عَلَى الصُّغْرَى وَلاَ الصُّغْرَى عَلَى الْكُبْرَى " .
Abu Hurairah reported The Apostle of Allaah(ﷺ) as saying “ A woman should not be married to one who had married her paternal aunt or a paternal aunt to one who had married her brother’s daughter or a woman to one who had married her maternal aunt or maternal aunt to one who had married her sister’s daughter. A woman who is elder (in relation) must not be married to one who had married a woman who is younger (in relation) to her nor a woman who is younger (in relation) must be married to one who has married a woman who is elder (in relation) to her.”
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬২. আহমদ ইবন সালিহ্ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, তিনি কোন স্ত্রীলোকের সাথে তার খালা ও ফুফুকে এবং দু’জন খালা এবং ফুফকে একত্রে বিবাহ করাকে হারাম বলে অপছন্দ করতেন।
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي قَبِيصَةُ بْنُ ذُؤَيْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا وَبَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا .
Abu Hurairah said “The Apostle of Allah (ﷺ) forbade that a woman and her maternal aunt and a woman and her paternal aunt are joined in marriage (to the same man).”
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৩. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি কোন স্ত্রী লোকের সাথে তার খালা ও ফুফুকে এবং দুজন খালা ফুফুকে একত্রে বিবাহ করাকে হারাম বলে অপছন্দ করতেন
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا خَطَّابُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْعَمَّةِ وَالْخَالَةِ وَبَيْنَ الْخَالَتَيْنِ وَالْعَمَّتَيْنِ .
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) abominated the combination of paternal and maternal aunts and the combination of two maternal aunts and two paternal aunts in marriage.
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৪. আহমদ ইবন উমর (রহঃ) ...... ইবন শিহাব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে উরওয়া ইবন যুবায়র (রাঃ) বলেছেন যে, একদা তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ)-কে এই আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। ’’আর যদি তোমরা ইয়াতীমদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না বলে আশংকা কর, তবে তোমরা (ইয়াতীম ব্যতীত) অন্য যে কোন স্ত্রীলোকদের খুশীমত বিবাহ কর।’’
তিনি (আয়েশা) বলেন, হে আমার বোনের পুত্র! ঐ ইয়াতীমরা (স্ত্রীগণ) তার মুরুব্বীর গৃহে অবস্থান করে এবং তার মালের অংশীদার হয়। অতঃপর সে ব্যক্তি তার সম্পদ ও সৌন্দর্য দর্শনে অভিভূত হয়। তখন তার ওলী (অভিভাবক) তার প্রতি ইনসাফ প্রদর্শন না করে তাকে বিবাহ করতে চায় এবং সে অন্য স্ত্রীলোককে যা দিতে চায়, তার চাইতে তাকে কম (মাহর) দিতে ইচ্ছা করে। কাজেই এদের সঙ্গে ইনসাফের সাথে ব্যবহার করা উচিত এবং তাদের উচিত প্রাপ্য (মাহর) প্রদান করা দরকার। তারা ব্যতীত অন্য যে কোন পছন্দনীয় স্ত্রীলোককে (যে কোন মাহরে) বিবাহ করতে পারবে।
রাবী উরওয়া (রহঃ) বলেন, অয়েশা (রাঃ) বলেছেন, অতঃপর লোকেরা উপরোক্ত আয়াত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করতে থাকলে পরবর্তীকালে আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াতটি নাযিল করেনঃ আর তারা আপনাকে স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলুন! আল্লাহ্ ইহাদের ব্যাপারে সমাধান দিয়েছেন। ’’আর ইয়াতীম মহিলাদের ব্যাপারে কুরআনের মধ্যে তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা হল, তাদের জন্য যে মাহর নির্ধারিত, তা তোমরা প্রদান কর না, অথচ তোমরা তাদের বিবাহ করতে পছন্দ কর।’’
তিনি (আয়েশা) বলেন, আর আল্লাহ্ তাদের সম্পর্কে প্রথম আয়াতে (কুরআনে) যা বর্ণনা করেছেন, তা হল, যদি তোমরা ইয়তীম স্ত্রীলোকদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না বলে আশংকা কর, তবে তোমাদের খুশীমত তোমরা অন্য স্ত্রীদেরকে বিবাহ কর। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা কর্তৃক বর্ণিত দ্বিতীয় আয়াতে যা বলা হয়েছে, তা হল, আর তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে পছন্দ কর, এই পছন্দ তোমাদের কারোও ঐ ইয়াতীম সম্পর্কে, যে তোমাদের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং তার ধন সম্পদ এবং সৌন্দর্য কম থাকে। কাজেই ইয়াতীমদের মাল ও সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাদেরকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, বরং ইনসাফের সাথে তাদের প্রতি স্বতঃস্ফুর্তভাবে আকর্ষিত হতে বলা হয়েছে।
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ ) قَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حِجْرِ وَلِيِّهَا فَتُشَارِكُهُ فِي مَالِهِ فَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا فَيُرِيدُ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِي صَدَاقِهَا فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيهَا غَيْرُهُ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ وَيَبْلُغُوا بِهِنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ مِنَ الصَّدَاقِ وَأُمِرُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا طَابَ لَهُمْ مِنَ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ . قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الآيَةِ فِيهِنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللاَّتِي لاَ تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ ) قَالَتْ وَالَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ أَنَّهُ يُتْلَى عَلَيْهِمْ فِي الْكِتَابِ الآيَةُ الأُولَى الَّتِي قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ ) قَالَتْ عَائِشَةُ وَقَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي الآيَةِ الآخِرَةِ ( وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ ) هِيَ رَغْبَةُ أَحَدِكُمْ عَنْ يَتِيمَتِهِ الَّتِي تَكُونُ فِي حِجْرِهِ حِينَ تَكُونُ قَلِيلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا رَغِبُوا فِي مَالِهَا وَجَمَالِهَا مِنْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلاَّ بِالْقِسْطِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ . قَالَ يُونُسُ وَقَالَ رَبِيعَةُ فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى ) قَالَ يَقُولُ اتْرُكُوهُنَّ إِنْ خِفْتُمْ فَقَدْ أَحْلَلْتُ لَكُمْ أَرْبَعًا .
Ibn Shihab said “’Urwah bin Al Zubair asked A’ishah , wife of the Prophet(ﷺ) about the Qur’anic verse “And if ye fear that ye will not deal fairly by the orphans, marry of the women, who seem good to you.” She said “O my nephew, this means the female orphan who is under the protection of her guardian and she holds a share in his property and her property and beauty attracts him; so her guardian intends to marry her without doing justice to her in respect of her dower and he gives her the same amount of dower as others give her. They (i.e., the guardians) were prohibited to marry them except that they do justice to them and pay them their maximum customary dower and they were asked to marry women other than them (i.e., the orphans) who seem good to them. ‘Urwah reported that A’ishah said “The people then consulted the Apostle of Allaah(ﷺ) about women after revelation of this verse. Thereupon Allaah the Exalted sent down the verse “They consult thee concerning women. Say Allaah giveth you decree concerning them and the scripture which hath been recited unto you(giveth decree) concerning female orphans unto whom you give not that which is ordained for them though you desire to marry them. “ She said “The mention made by Allaah about the Scripture recited to them refers to the former verse in which Allaah has said “And if ye fear that ye will not deal fairly by the orphans, marry of the women, who seem good to you.” A’ishah said “The pronouncement of Allaah , the Exalted in the latter verse “though you desire to marry them” means the disinterest of one of you in marrying a female orphan who was under his protection, but she said little property and beauty. So they were prohibited to marry them for their interest in the property and beauty of the female orphans due to their disinterest in themselves except that they do justice )to them). The narrator Yunus said “Rabi’ah said explain the Qur’anic verse “And if ye fear that ye will not deal fairly by the orphans” means “Leave them if you fear (that you will not do justice to them), for I have made four women lawful for you.”
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৫. আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) ..... আলী ইবন হুসায়ন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁরা যখন হুসায়ন ইবন আলী (রাঃ) এর শাহাদাতের সময়, ইয়াযীদ ইবন মু’আবিয়ার নিকট হতে মদীনায় আসেন; তখন তাঁর সাথে আল্-মুসাও্ওয়ার ইবন মাখরামার সাক্ষাৎ হয়। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনার কি আমার নিকট কোন প্রয়োজন আছে, যা সম্পদনের জন্য আপনি আমাকে নির্দেশ দিবেন? তিনি (আলী) বলেন, না। তখন তিনি (মুসাও্ওয়ার) বলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরবারিটি আমাকে দান করবেন? কেননা আমার আশংকা হয়, হয়ত লোকেরা তা আপনার নিকট হতে কেড়ে নিবে। আল আল্লাহর শপথ! যদি আপনি তা আমাকে প্রদান করেন, আমার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তা কেউই নিতে পারবে না।
(রাবী কিরমানী বলেন) আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) ফাতিমা (রাঃ) এর জীবদ্দশায় আবূ জেহেলের কন্যা বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম প্রেরণ করেন। এই সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদানের সময় এ সম্পর্কে বলতে শুনি, আর এই সময় আমি সাবালক ছিলাম। তিনি বলেন, নিশ্চই ফাতিমা আমার দেহের একটি অংশ। আর আমি এরূপ আশংকা করি যে, সে এর ফলে ঈর্ষানলে জ্বলতে থাকবে। (কেননা এটাই মেয়েদের স্বভাব) অতঃপর তিনি বণী আব্দুস শামসের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের সদ্ব্যবহারের কথাও তিনি বিশেষভাবে বলেন। অতঃপর, তিনি বলেন, তারা আমার সাথে যা বলেছিল, তা সত্যে পরিণত করেছিল এবং আমার সাথে যে ওয়াদা করেছিল, তা পূর্ণ করেছিল। আর আমি এমন ব্যক্তি নই যে, কোনো হালাল-কে হারাম করতে পারি বা হারাম-কে হালাল করতে পারি। (বরং আল্লাহর হুকুম ব্যতীত আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।) আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর দুশমনের কন্যা একই ঘরে কখনো একত্রিত হতে পারে না।
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ، حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ - رضى الله عنهما - لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَىَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا قَالَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ . قَالَ هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِ أَبَدًا حَتَّى يَبْلُغَ إِلَى نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ - رضى الله عنه - خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ - رضى الله عنها - فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ " إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي وَأَنَا أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا " . قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ قَالَ " حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَوَعَدَنِي فَوَفَّى لِي وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا " .
‘Ali bin al-Hussain said that when they returned to Madeenah from Yazid bin Mu’awiyah the place of massacre of Al Hussain bin Ali(may Allaah be pleased with him) Al Miswar bin Makhramah met them and said “tell me if you have any need for me. I said to him “No”. He then said Will you not give me the sword of the Apostle of Allaah(ﷺ)? I fear the people may not take it from you by force. (He said) By Allaah if you give it to me no one can take it from me so long as I am alive. Ali bin Abi Talib (may Allaah be pleased with him) asked for the hand of Abu Jahl’s daughter in marriage after the marriage with Fathima. I heard the Apostle of Allaah(ﷺ) say while he was addressing the people about this matter on the pulpit and I was mature in those days. Fathima is from me and I am not afraid that she will be tried in respect of her religion. He then mentioned his other son-in-law who belonged to Banu ‘Abd Shams. He admired him immensely for his relationship with him and extolled him well. He said “He talked to me and talked truly and he made promise with me and fulfilled it. I do not make lawful what Is unlawful and unlawful what is lawful. But, by Allaah the daughter of the Apostle of Allaah(ﷺ) and the daughter of the enemy of Allaah can never be combined together.
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৬. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া ...... ইবন আবূ মূলায়কা পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, রাবী মুসাও্ওযার বলেছেন, তখন আলী (রাঃ) ঐ বিবাহের সংকল্প ত্যাগ করেন।
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ فَسَكَتَ عَلِيٌّ عَنْ ذَلِكَ النِّكَاحِ
The aforesaid tradition has also been transmitted by Ibn Abi Mulaikah. He said “’Ali (Allaah be pleased with him) then kept silence about the marriage (i.e., marrying Abi Jahl’s daughter)
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।
২০৬৭. আহমদ ইবন ইউনুস ..... আল্ মুসাওওয়ার ইবন মাখরামা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছিঃ নিশ্চই বনী ইবন মুগীরা (আবূ জেহেলের চাচা) তাদের কন্যাকে আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) এর সাথে বিবাহ দেয়ার জন্য অনুমতি চাচ্ছে। তাদের এ ব্যাপারে অনুমতি নাই, অনুমতি নাই, অনুমতি নাই। অবশ্য যদি (আলী) ইবন আবূ তালিব (রাঃ) আমার কন্যাকে তালাক দেয়, তবে সে তাদের কন্যা গ্রহণ করতে পারে। কেননা, আমার কন্যা আমারই অংশ। আর তাকে যা সংশয়ে ফেলে তা আমাকেও সংশয়ে ফেলবে এবং তাকে যা কষ্ট দিবে তা আমাকেও ব্যথিত করবে। আর হাদীসের এই অংশটি আহমদ হতে বর্ণিত।
باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - الْمَعْنَى - قَالَ أَحْمَدُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ الْقُرَشِيُّ التَّيْمِيُّ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ " إِنَّ بَنِي هِشَامِ بْنِ الْمُغِيرَةِ اسْتَأْذَنُونِي أَنْ يُنْكِحُوا ابْنَتَهُمْ مِنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَلاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ ثُمَّ لاَ آذَنُ إِلاَّ أَنْ يُرِيدَ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ أَنْ يُطَلِّقَ ابْنَتِي وَيَنْكِحَ ابْنَتَهُمْ فَإِنَّمَا ابْنَتِي بَضْعَةٌ مِنِّي يُرِيبُنِي مَا أَرَابَهَا وَيُؤْذِينِي مَا آذَاهَا " . وَالإِخْبَارُ فِي حَدِيثِ أَحْمَدَ .
Al Miswar bin Makramah said that he heard the Apostle of Allaah(ﷺ) say on the pulpit Banu Hashim bin Al Mughirah sought permission from me to marry their daughter to ‘Ali bin Abi Talib. But I do not permit, again, I do not permit, again, I do not permit except that Ibn Abi Talib divorces my daughter and marries their daughter. My daughter is my part, what makes her uneasy makes me uneasy and what troubles her troubles me. The full information rests with the tradition narrated by Ahmad.