পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬০. উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয ...... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযের তাকবীরে তাহরীমা বলার পর নিম্নোক্ত দু’আ পড়তেনঃ
وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ لِي إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ "
(“ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সাঁমাওয়াতি ওয়াল আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়ায়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা আনতাল মালিকু ল ইল্লাহা ইল্লা আনতা, আনতা রব্বী ওয়া আনা আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়াতারাফতু বিযাম্বী ফাগফিরলী যুনুবী জামীআন। লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ওয়াহদিনী লি-আহসানিল আখলাক। লা ইয়াহদিনী লি-আহসানিহা ইল্লা আনতা ওয়াসরিফ আন্নী সাইয়েআহা, লা ইয়াসরিফু সাইয়িআহা ইল্লা আনতা। লাব্বাইকা ওয়া সাদাইকা ওয়াল-খায়রু কূলুহু ফী ইয়াদাইকা, ওয়াশ শাররু লাইসা ইলাইকা আনা বিকা ওয়া ইলাইকা তাবারাকতা ওয়া তা’আলাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা।”)
অতঃপর তিনি যখন রুকূ করতেন তখন এই দু’আ পড়তেনঃ
" اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي "
(“আল্লাহুম্মা লাকা রাকাতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আছলামতু, খাসাআ লাকা সামঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখখী ওয়া ইযামী ওয়া আসাবী।” )
অতঃপর তিনি যখন রুকূ হতে মাথা উঠাতেন তখন এই দু’আ পড়তেনঃ
سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ
(“সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্, রব্বানা ওয়া লাকাল হাম্দ মিলউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াল মিলউ মা বায়নাহুমা ওয়া মিলউ মা শি’তা মিন শায়ইন বা’দু।”)
অতঃপর তিনি যখন সিজদা করতেন, তখন এই দু’আ পড়তেনঃ
اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُورَتَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ وَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
(“আল্লাহুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজাহিয়া লিল্লাযী খালাকাহু ওয়া সাওয়ারাহু ফাআ্সানা সুরাতাহু ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাসারাহু ওয়া তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিকীন।”)
অতঃপর নামাযের সালাম ফিরাইবার পর তিনি এই দু’আ পাঠ করতেনঃ
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَالْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
(“আল্লাহুম্মাগফিরলী মা কাদ্দামতু ওয়ামা আখখারতু, ওয়ামা আসরারতু ওয়ামা আলানতু ওয়ামা আসরাফতু ওয়ামা আনতা আলামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়াল মুআখ্খিরু লা ইল্লাহা ইল্লা আনতা)
-(মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَمِّهِ الْمَاجِشُونِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، - رضى الله عنه - قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ كَبَّرَ ثُمَّ قَالَ " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لاَ إِلَهَ لِي إِلاَّ أَنْتَ أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا إِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ وَاهْدِنِي لأَحْسَنِ الأَخْلاَقِ لاَ يَهْدِي لأَحْسَنِهَا إِلاَّ أَنْتَ وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا لاَ يَصْرِفُ سَيِّئَهَا إِلاَّ أَنْتَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . وَإِذَا رَكَعَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . وَإِذَا رَفَعَ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمِلْءَ مَا بَيْنَهُمَا وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَىْءٍ بَعْدُ " . وَإِذَا سَجَدَ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَلَكَ أَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ فَأَحْسَنَ صُورَتَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ وَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . وَإِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلاَةِ قَالَ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَالْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " .
‘Ali b. Ali Talib said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for prayer, he uttered the takbir (Allah is most great), then said: I have turned my face, breaking with all others, towards Him Who created the heavens and the earth, and I am not a polytheist. My prayer and my devotion, my life and my death belong to Allah, the Lord of the Universe, Who has no partner. That is what I have been commanded, and I am first of Muslims (those who surrender themselves). O Allah, Thou art the King. There is no God but Thee. Thou art my Lord and I am Thy servant. I have wronged myself, but I acknowledge my sin, so forgive me all my sins; Thou Who alone canst forgive sins; and guide me to the best qualities. Thou Who alone canst guide to the best of them; and turn me from evil ones. Thou who alone canst turn from evil qualities. I come to serve and please Thee. All good is in Thy Hands, and evil does not pertain to Thee. I seek refuge in Thee and turn to Thee, Who art blessed and exalted. I ask Thy forgiveness and turn to thee in repentance. When he bowed, he said: O Allah, to Thee I bow, in Thee I trust, and to Thee I submit myself. My hearing, my sight, my brain, my bone and my sinews humble themselves before Thee. When he raised his head, he said: Allah listens to him who praises Him. O our lord, and all praises be to Thee in the whole of the heavens and the earth, and what is between them, and in whatever Thou creates afterwards. When he prostrated himself, he said: O Allah, to Thee I prostrate myself, to Thee I trust, and to Thee I submit myself. My face prostrated itself before Him Who created it, fashioned it, and fashioned it in the best shape, and brought forth its hearing and seeing. Blessed is Allah, the best of creators. When he saluted at the end of the prayer, he said: O Allah, forgive me my former and my latter sins, my open and secret sins, my sins in exceeding the limits, and what Thou knowest better than I. Thou art He Who puts forward and puts back. There is deity but Thee.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬১. আল-হাসান ইবনু আলী ..... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ফরয নামাযের জন্য দন্ডায়মান হতেন তখন তাকবীরে তাহরীমা বলে উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাতেন। কিরাআত পড়ার পর রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ হতে উঠার সময়ও তিনি অনুরূপ করতেন (কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠাতেন)। বসা অবস্থায় তিনি হাত উঠাতেন না। তিনি দুটি সিজদা করার পর (দুই রাকাত শেষ করার পর) উঠার সময় অনুরূপভাবে হাত উঠাতেন এবং তাকবীর বলে পূর্ববর্তী হাদীছে উল্লেখিত দোয়া পাঠ করতেন। এই হাদীছের মধ্যে দোয়ায় কিছুটা কম-বেশী আছে এবং “ওয়াল-খায়রু কুল্লুহু ফী ইয়াদাইকা ওয়াশ-শাররু লায়সা ইলাইকা”- বাক্যটির উল্লেখ নাই। রাবী আব্দুর রহমান এই হাদীছে আরও উল্লেখ করেছেন যে, নামায শেষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ (আল্লাহুমাগফিরলী মা কাদ্দামতু ওয়া আখ্খারতু ওয়া আসরারতু ওয়া আলানতু আনতা ইলাহী লা ইলাহা ইল্লা আনতা।)
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَيَصْنَعُ مِثْلَ ذَلِكَ إِذَا قَضَى قِرَاءَتَهُ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَيَصْنَعُهُ إِذَا رَفَعَ مِنَ الرُّكُوعِ وَلاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنْ صَلاَتِهِ وَهُوَ قَاعِدٌ وَإِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ كَذَلِكَ وَكَبَّرَ وَدَعَا نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي الدُّعَاءِ يَزِيدُ وَيَنْقُصُ الشَّىْءَ وَلَمْ يَذْكُرْ " وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ " . وَزَادَ فِيهِ وَيَقُولُ عِنْدَ انْصِرَافِهِ مِنَ الصَّلاَةِ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " .
‘Ali b. Ali Talib said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for (offering) obligatory prayer, he uttered the takbir (Allah is most great) and raised his hands opposite to his shoulders, and he did so when he finished the recitation (of the Qur’an) and when he was about to bow; and he did like that when he raised (his head) after bowing. He did not raise his hands in prayer when he was sitting. When he stood at the end of two rak’ahs, he raised his hands in a similar way and uttered the takbir and supplicated in a more or less the same manner as narrated by ‘Abd al-‘Aziz in his version. This version does not mention the words “All good is in Thy Hands and evil does not pertain to Thee.” And this adds: He said when he finished the prayer: “O Allah, forgive me my former and latter sins, my open and secret sins; Thou art my deity; there is no God but Thee.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬২. আমর ইবনু উছমান .... শোআইব ইবনু আবূ হামযা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনুল মুনকাদির, ইবনু আবূ ফারওয়া এবং মদীনার অপরাপর ফকীহগণ আমাকে বলেছেন যে, উপরোক্ত দু’আটি পাঠের সময় তুমি “ওয়া আনা আওয়ালুল-মুসলিমীন-এর স্থলে “ওয়া আনা মিনাল-মুসলিমীন” বলবে।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنِي شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، قَالَ قَالَ لِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ وَابْنُ أَبِي فَرْوَةَ وَغَيْرُهُمَا مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَإِذَا قُلْتَ أَنْتَ ذَاكَ فَقُلْ " وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ " . يَعْنِي قَوْلَهُ " وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ " .
Shu’aib b. Abi Hamzah said:
Ibn al-Munkadir, Ibn Abi Farwah and a number of jurists of Madina said to me: When you recite the supplication “I am first of the Muslims,” say instead; “I am one of the Muslims”.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৩. মূসা ইবনু ইসমাঈল ..... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি দ্রুত গতিতে মসজিদে আগমনের ফলে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সে বলল, "আল্লাহু আকবার আলহামদু লিল্লাহি হামদান কাছীরান তাইয়েবান মুবারাকান ফীহ্।" নামায শেষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞেস করেনঃ তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি এই দু’আ পাঠ করেছে? ঐ ব্যক্তি খারাপ কিছু বলে নাই। তখন ঐ ব্যক্তি বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মসজিদে আগমনের পর ক্লান্ত হয়ে আমি এই দু’আ পাঠ করি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি দেখতে পাই যে, বারজন, ফেরেশতা প্রতিযোগীতামূলকভাবে উক্ত দু’আ সর্বাগ্রে অল্লাহ তা’আলার নিকটে নেওয়ার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়েছে। রাবী হুমায়েদের বর্ণানায় আরও আছে যে, মসজিদে জামাআতে নামায আদায়ের সময় প্রত্যেক মুসল্লীর জন্য স্বাভাবিক পদক্ষেপে আগমন করা উচিত। অতঃপর সে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাযের যে অংশ প্রাপ্ত হয় তা আদায়ের পর যদি নামাযের কিছু অংশ ছুটে গিয়ে থাকে, তা ইমামের সালাম ফিরানোর পর একাকী আদায় করবে। (মুসলিম, নাসাঈ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، وَثَابِتٍ، وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى الصَّلاَةِ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَتَهُ قَالَ " أَيُّكُمُ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا . فَقَالَ " لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَىْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا " . وَزَادَ حُمَيْدٌ فِيهِ " وَإِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ فَلْيَمْشِ نَحْوَ مَا كَانَ يَمْشِي فَلْيُصَلِّ مَا أَدْرَكَهُ وَلْيَقْضِ مَا سَبَقَهُ " .
Anas b. Malik said:
A man came panting to join the row of worshippers, and said: Allah is most great; praise be to Allah, much praise, good and blessed. When the Messenger of Allah(ﷺ) finished his prayer, he asked: Which of you is the one who spoke the words? He said nothing wrong. Then the man said: I (said), Messenger of Allah (ﷺ); I came and had difficulty in breathing, so I said them. He said: I saw twelve angels racing against one another to be the one to take them to Allah.
The narrator Humaid added: When any of you comes for praying, he should walk as usual (i.e. he should not hasten and run quickly); then he should pray as much as he finds it (along with the imam), and should offer the part of the prayer himself (when the prayer is finished) which the Imam had offered before him.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৪. আমর ইবনু মারযুক .... ইবনু জুবায়ের ইবনু মুত্ইম থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামায আদায় করতে দেখেন। রাবী আমর বলেন, এটা ফরয অথবা নফল নামায ছিল কি না তা আমি জানি না। এ সময় তিনি বলেনঃ আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান ওয়া সুব্হানাল্লাহে বুকরাতাও ওয়া আসীলা (তিনবার বলেন), আউযু বিল্লাহে মিনাশ-শায়তানির রাজীমে মিন নাফাখিহি ওয়া নাফাসিহি ওয়া হামাযিহি (অর্থাৎ শয়তানের অহংকার, কবিতা ও কুমন্ত্রণা)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْعَنَزِيِّ، عَنِ ابْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي صَلاَةً قَالَ عَمْرٌو لاَ أَدْرِي أَىَّ صَلاَةٍ هِيَ فَقَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً " . ثَلاَثًا " أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِهِ وَنَفْثِهِ وَهَمْزِهِ " . قَالَ نَفْثُهُ الشِّعْرُ وَنَفْخُهُ الْكِبْرُ وَهَمْزُهُ الْمُوتَةُ .
Narrated Jubayr ibn Mut'im:
Jabir saw the Messenger of Allah (ﷺ) observing prayer. (The narrator Amr said: I do not know which prayer he was offering.)
He (the Prophet) said: Allah is altogether great; Allah is altogether great; Allah is altogether great; and praise be to Allah in abundance; and praise be to Allah is abundance; and praise be to Allah in abundance. Glory be to Allah in the morning and after (saying it three times). I seek refuge in Allah from the accursed devil, from his puffing up (nafkh), his spitting (nafth) and his evil suggestion (hamz).
He (Amr) said: His nafth it poetry, his nafkh is pride, and his hamz is madness.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৫. মুসাদ্দাদ ..... নাফে ইবনু জুবায়ের থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নফল নামায আদায়কালে বলতে শুনেছি ... পূর্বোক্ত হাদীছের অনুরূপ। (ইবনু মাজাহ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي التَّطَوُّعِ ذَكَرَ نَحْوَهُ .
The above mentioned tradition has also been reported by Jubair b. Mut’im through a different chain of narrators. This version adds:
I head the Prophet(ﷺ) uttering (all these supplications) in a supererogatory prayer; he narrated the tradition in a similar manner.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৬. মুহাম্মাদ ইবনু রাফে ... আসিম ইবনু হুমাইদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতের নামায কিরূপে আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন, তুমি আমাকে এমন একটি প্রশ্ন করেছ যা ইতিপূর্বে আমাকে আর কেউ করেনি। অতঃপর বলেন, নামাযে দন্ডায়মান হয়ে সর্বপ্রথম আল্লাহু আকবার দশবার, আলহামদু লিল্লাহি দশবার, সুবহানাল্লাহ্ দশবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু দশবার, আস্তাগফিরুল্লাহ দশবার পাঠ করতেন। অতঃপর এই দু’আটি পাঠ করতেনঃ “আল্লাহুম্মাগফির লী ওয়াহদিনী ওয়ারযুকনী, ওয়া আফিনী” এবং কিয়ামতের দিনের সংকীর্ণ স্থান হতে আল্লাহর নিকট নাজাত কামনা করতেন। (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, রাবী খালিদ রাবীআ হতে, আয়িশা (রাঃ) হতেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، أَخْبَرَنِي أَزْهَرُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَازِيُّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ يَفْتَتِحُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِيَامَ اللَّيْلِ فَقَالَتْ لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ شَىْءٍ مَا سَأَلَنِي عَنْهُ أَحَدٌ قَبْلَكَ كَانَ إِذَا قَامَ كَبَّرَ عَشْرًا وَحَمِدَ اللَّهَ عَشْرًا وَسَبَّحَ عَشْرًا وَهَلَّلَ عَشْرًا وَاسْتَغْفَرَ عَشْرًا وَقَالَ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي وَعَافِنِي " . وَيَتَعَوَّذُ مِنْ ضِيقِ الْمَقَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ خَالِدُ بْنُ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيِّ عَنْ عَائِشَةَ نَحْوَهُ .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Asim ibn Humayd said: I asked Aisha: By what words the Messenger of Allah (ﷺ) would begin his supererogatory prayer at night?
She replied: You ask me about a thing of which no one asked me before you. When he stood up, be uttered the takbir (Allah is most great) ten times, and uttered "Praise be to Allah" ten times, and uttered "Glory be to Allah " ten times, and uttered "There is no god but Allah" ten times, and sought forgiveness ten times, and said: O Allah, forgive me, and guide me, and give me sustenance, and keep me well, and he sought refuge in Allah from the hardship of standing before Allah on the Day of Judgment.
Abu Dawud said: This tradition has also been narrated by Khalid b. Ma'dan from Rab'iah al-Jarashi on the authority of 'Aishah.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৭. ইবনুল মুছান্না ..... আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে নামায আদায় করাকালে কোন দু’আটি পড়তেন? তিনি বলেন, যখন তিনি রাতে তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের জন্য উঠতেন, তখন এই দু’আ পাঠ করতেনঃ “আল্লাহুম্মা রব্বা জিবরীল ওয়া মীকাঈল ওয়া ইসরাফীল ফাতিরাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা, আলিমুল গায়বি ওয়াশ শাহাদাতে, আনতা তাহকুমু বাইনা ইবাদিকা ফীমা কানূ ফীহে ইয়াখতালিফুন। ইহ্দিনী লিমাখতুলিফা ফীহে মিনাল হাক্কি বি-ইয্নিকা, ইন্নাকা আনতা তাহদী মান তাশাউ ইলা সিরাতিম মুসতাকীম। (মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، سَأَلْتُ عَائِشَةَ بِأَىِّ شَىْءٍ كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ قَالَتْ كَانَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَفْتَتِحُ صَلاَتَهُ " اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ أَنْتَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ " .
Abu Salamah b. ‘Abd al-Rahman b. ‘Awf said:
I asked ‘A’ishah: By what words the Prophet(ﷺ) used to begin his prayer when he stood up at night (to offer tahajjud prayer). She said: When he stood up at night, he began his prayer by saying: O Allah, Lord of Jibra’il, Lord of Mik’ail, and Lord of Israfil, Creator of the Heavens and the Earth, the Knower of what is seen and of what is unseen; Thou decides between Thy servants in which they used to differ. Guide me to the truth where there is a difference of opinion by Thy permission. Thou guidest anyone Thou wishes to the right path.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৮. মুহাম্মাদ ইবনু রাফে .... ইকরামা উপরোক্তভাবে ভিন্ন শব্দে ও অর্থে এই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযে দাঁড়াতেন, তখন আল্লাহ্ আকবার উচ্চারণ করতেন এবং বলতেন।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُوحٍ، قُرَادٌ حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ، بِإِسْنَادِهِ بِلاَ إِخْبَارٍ وَمَعْنَاهُ قَالَ كَانَ إِذَا قَامَ بِاللَّيْلِ كَبَّرَ وَيَقُولُ .
The above mentioned tradition has been reported by ‘Ikramah with a different chain of narrators. This version adds:
When he stood up, he said the takbir (Allah is most great) and said. . . .
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৬৯. আল-কানবী ..... মালেক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফরয অথবা নফল নামাযের প্রথমে মাঝে বা শেষে যে কোন সময়ে দু’আ পাঠ করা যায়।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ لاَ بَأْسَ بِالدُّعَاءِ فِي الصَّلاَةِ فِي أَوَّلِهِ وَأَوْسَطِهِ وَفِي آخِرِهِ فِي الْفَرِيضَةِ وَغَيْرِهَا .
Malik said:
There is no harm in uttering supplication in prayer, in its beginning, in its middle, and in the end, in obligatory prayer or other.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৭০. আল-কানবী ..... রিফাআ ইবনু রাফে আয-যুরাকী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে নামায আদায় করি তিনি যখন রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলেন, তখন এক ব্যক্তি বলে উঠেন-“আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাছীরান তাইয়েবান মুবারাকান ফীহ”। নামাযান্তে রাসূলুল্লহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ এই দু’আ পাঠকারী কে? ঐ ব্যক্তি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি তিরিশেরও অধিক ফেরেশতাকে তা সবাগ্রে লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রতিযোগিতা করতে দেখেছি। (বুখারী, নাসাঈ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُجْمِرِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَحْيَى الزُّرَقِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ كُنَّا يَوْمًا نُصَلِّي وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . قَالَ رَجُلٌ وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا آنِفًا " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلاَثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبُهَا أَوَّلَ " .
Rifa’ah b. Rafi’ said:
One day we were praying behind the Messenger of Allah (ﷺ). When the Messenger of Allah (ﷺ) raised his head after bowing, he said: Allah listened to him who praised Him. A man behind the Messenger of Allah(ﷺ) said: O Allah, Our Lord, and to Thee be praise, much praise, good and blessed. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he asked: Which of you if the one who spoke (the words) just now. The man said: I (uttered) these words, Prophet of Allah. The Messenger of Allah(ﷺ) said: I saw more than thirty angels racing against one another to be the one to write them first.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৭১. আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসলামা ..... ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মধ্য রাতে যখন তাহাজ্জুদের নামাযে দন্ডায়মান হতেন, তখন বলতেনঃ
“আল্লাহুম্মা লাকাল-হামদু আনতা নুরুস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদি, ওয়া লাকাল-হামদু, আনতা কাইয়্যামুস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদি, ওয়া লাকাল-হামদু আনতা রব্বুস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদি, ওয়া মান ফীহিন্না, আনতাল হাক্কু, ওয়া কাওলুকাল-হাক্কু, ওয়া ওয়াদুকাল-হাক্কু, ওয়া লিকাউকা হাক্কুন, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান-নারু হাক্কুন, ওয়াস-সা’আতু হাক্কুন। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইকা আনাবতু ওয়া বিকা খাসামতু, ওয়া ইলাইকা হাকামতু ফাগফির লী মা কাদ্দামতু ওয়া আখখারতু ওয়া আসরারতু ওয়া আ’লানতু, আনতা ইলাহী, লা ইলাহা ইল্লা আনতা। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, নাসাঈ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ يَقُولُ " اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيَّامُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ أَنْتَ الْحَقُّ وَقَوْلُكَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَأَخَّرْتُ وَأَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ " .
Ibn ‘Abbas said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) stood up for praying at midnight, he said: o Allah, be praise to Thee, Thou art the light of the heavens and the earth; and to Thee be praise; Thou are the maintainer of the heavens and the earth; and to Thee be praise, Thou art the heavens and the earth and what is between them; Thou art the truth, and Thy statement is truth; and Thy promise is the truth; and the visitation with Thee is true; and the Paradise is true and the Hell-fire is true and the Hour is true; O Allah, to Thee I turned my attention, and by Thee I disputed, and to Thee I brought forth my case, so forgive me my former and latter sins, and my secret and open sins, Thou art my deity, there is no deity but Thou.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৭২. আবূ কামিল .... ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের নামায আদায়ের সময় আল্লাহু আকবার বলার পর বলতেন, ... পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ، حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَنَا طَاوُسٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ فِي التَّهَجُّدِ يَقُولُ بَعْدَ مَا يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ " . ثُمَّ ذَكَرَ مَعْنَاهُ .
Ibn ‘Abbas said:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to say in his tahajjud prayer(i.e. supererogatory prayer offered in or after the midnight) after he said the takbir; he then narrated the tradition to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৭৩. কুতায়বা ইবনু সাঈদ .... মুয়ায ইবনু রিফাআ ইবনু রাফে থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পশ্চাতে নামায আদায় করি। এমন সময় রিফাআ হাঁচি দিয়ে বলেন, আলহামুদুলিল্লাহি হামদান কাছীরান তাইয়েবান মুবারাকান ফীহি মুবারাকান আলাইহি কামা ইয়ুহিব্বু রব্বুনা ওয়া ইয়ারদা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাযান্তে বলেনঃ নামাযের মধ্যে এইরূপ উক্তি কে করেছে? হাদীছের অবশিষ্ট বর্ণনা রাবী মালিক বর্ণিত পূর্ববর্তী হাদীছোর অনুরূপ। (তিরমিযী, নাসাঈ)।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، نَحْوَهُ قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَمِّ، أَبِيهِ مُعَاذِ بْنِ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَعَطَسَ رِفَاعَةُ لَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ رِفَاعَةُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ مُبَارَكًا عَلَيْهِ كَمَا يُحِبُّ رَبُّنَا وَيَرْضَى فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَقَالَ " مَنِ الْمُتَكَلِّمُ فِي الصَّلاَةِ " . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ وَأَتَمَّ مِنْهُ .
Narrated Rifa'ah ibn Rafi':
I offered prayer behind the Messenger of Allah (ﷺ). Rifa'ah sneezed. The narrator Qutaybah did not mention the name Rifa'ah (but he said: I sneezed). So I said: Praise be to Allah, praise much, good and blessed therein, blessed thereupon, as our Lord likes and is pleased. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he turned and said: Who was the speaker in prayer? He then narrated the rest of the tradition like that of Malik and completed it.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭. যে দুয়া পড়ে নামায আরম্ভ করবে।
৭৭৪. আল-আব্বাস ইবনু আব্দুল আযীম .... আবদুল্লাহ্ ইবনু আমের থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা অনসার গোত্রের কোন এক যুবক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে নামায আদায় করার সময় হাঁচি দেয় এবং বলে, আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাছীরান তাইয়েবান মুবারাকান ফীহি হাত্তা ইয়ারদা রব্বুনা ওয়া বা’দুমা ইয়ারদা মিন আমরিদ-দুনয়া ওয়াল-আখিরাহ।”
নামায শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ এই উক্তি কে করেছে? তখন যুবকটি নীরব থাকে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় বলেনঃ এই কথাগুলি কে বলেছে? সে তো কোন খারাপ উক্তি করেনি। তখন যুবকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি এইরূপ বলেছি এবং আমি কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যেই এরূপ বলেছি। তিনি বলেনঃ এ কথা কোথাও অপেক্ষা করেনি, বরং মহিমান্বিত দয়াময় আল্লাহর আরশে পৌঁছে গেছে।
باب مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الصَّلاَةُ مِنَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ عَطَسَ شَابٌّ مِنَ الأَنْصَارِ خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ حَتَّى يَرْضَى رَبُّنَا وَبَعْدَ مَا يَرْضَى مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ الْقَائِلُ الْكَلِمَةَ " . قَالَ فَسَكَتَ الشَّابُّ ثُمَّ قَالَ " مَنِ الْقَائِلُ الْكَلِمَةَ فَإِنَّهُ لَمْ يَقُلْ بَأْسًا " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا قُلْتُهَا لَمْ أُرِدْ بِهَا إِلاَّ خَيْرًا . قَالَ " مَا تَنَاهَتْ دُونَ عَرْشِ الرَّحْمَنِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى " .
Rabi’ah said:
A young man from the Ansar sneezed behind the Messenger of Allah (ﷺ) while he was praying. He then said: Praise be to Allah, much, good, blessed, till our Lord is pleased (with us) in the affairs relating to this world and to the other world. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he said: Who was the speaker of these words (in prayer)? The young man kept silence. He again asked: Who was the speaker of these words? He did not say wrong. He said: Messenger of Allah, I said these (words). I did not intend by them but good. He said: These words did not stay below the Throne of the Compassionate (Allah).