পরিচ্ছেদঃ ৬২: ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ وَيُؤۡثِرُونَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ وَلَوۡ كَانَ بِهِمۡ خَصَاصَةٞۚ ﴾ [الحشر: ٩]

অর্থাৎ “নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তারা (অপরকে) নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয়।” (সূরা হাশ্‌র ৯ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَيُطۡعِمُونَ ٱلطَّعَامَ عَلَىٰ حُبِّهِۦ مِسۡكِينٗا وَيَتِيمٗا وَأَسِيرًا ﴾ [الانسان: ٨]

অর্থাৎ “আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও তারা অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীকে অন্নদান করে।” (সূরা দাহার ৮ আয়াত)


১/৫৬৯। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’আমি ক্ষুধায় কাতর হয়ে আছি।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীর নিকট সংবাদ পাঠালেন। তিনি বললেন, ’সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের সঙ্গে পাঠিয়েছেন! আমার কাছে পানি ছাড়া কিছুই নেই।’ অতঃপর অন্য স্ত্রীর নিকট পাঠালেন। তিনিও অনুরূপ কথা বললেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত সকল (স্ত্রীই ঐ একই কথা বললেন, ’সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যের সাথে পাঠিয়েছেন! আমার কাছে পানি ছাড়া কোন কিছুই নেই।’ তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আজকের রাতে কে একে মেহমান হিসাবে গ্রহণ করবে?’’ এক আনসারী বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি একে মেহমান হিসাবে গ্রহণ করব।’ সুতরাং তিনি তাকে সাথে করে নিজ গৃহে নিয়ে গেলেন এবং তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেহমানের খাতির কর।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি (আনসারী) তাঁর স্ত্রীকে বললেন, ’তোমার নিকট কোন কিছু আছে কি?’ তিনি বললেন না, ’কেবলমাত্র বাচ্চাদের খাবার আছে।’ তিনি বললেন, ’কোন জিনিস দ্বারা তাদেরকে ভুলিয়ে রাখবে এবং তারা যখন রাত্রে খাবার চাইবে, তখন তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে। অতঃপর যখন আমাদের মেহমান (ঘরে) প্রবেশ করবে, তখন বাতি নিভিয়ে দেবে এবং তাকে দেখাবে যে, আমরাও খাচ্ছি।’ সুতরাং তাঁরা সকলেই খাওয়ার জন্য বসে গেলেন; মেহমান খাবার খেল এবং তাঁরা দু’জনে উপবাসে রাত কাটিয়ে দিলেন। অতঃপর যখন তিনি সকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলেন, তখন তিনি বললেন, ’’তোমরা দু’জনের আজকের রাতে তোমাদের মেহমানের সাথে তোমাদের ব্যবহারে আল্লাহ বিস্মিত হয়েছেন!’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(62) - بَابُ الْإِيْثَارِ الْمُوَاسَاةِ

وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال‏:‏ إنى مجهود، فأرسل إلى بعض نسائه، فقالت‏:‏ والذى بعثك بالحق ما عندى إلا ماء، ثم أرسل إلى أخرى، فقالت مثل ذلك، حتى قلن كلهن مثل ذلك‏:‏ لا والذى بعثك بالحق ما عندى إلا ماء‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم “ من يضيفه هذا الليلة‏؟‏” فقال رجل من الأنصار‏:‏ أنا يا رسول الله، فانطلق به إلى رحله ، فقال لامرأته‏:‏ أكرمي ضيف رسول الله صلى الله عليه وسلم
وفى رواية قال لامرأته ‏:‏ هل عندك شئ‏؟‏ قالت‏:‏ لا، إلا قوت صبيانى‏.‏ قال‏:‏ فعلليهن بشئ‏.‏وإذا أرادوا العشاء فنوميهم‏.‏ وإذا دخل ضيفنا فأطفئ السراج وأريه أنا نأكل، فقعدوا وأكل الضيف وبات طاويين، فلما أصبح ، غدا على النبي صلى الله عليه وسلم فقال‏:‏ “لقد عجب الله من صنيعكما بضيفكما الليلة” ‏(‏‏(‏متفق عليه‏)‏‏)‏ ‏.‏

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال‏:‏ انى مجهود، فارسل الى بعض نساىه، فقالت‏:‏ والذى بعثك بالحق ما عندى الا ماء، ثم ارسل الى اخرى، فقالت مثل ذلك، حتى قلن كلهن مثل ذلك‏:‏ لا والذى بعثك بالحق ما عندى الا ماء‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم “ من يضيفه هذا الليلة‏؟‏” فقال رجل من الانصار‏:‏ انا يا رسول الله، فانطلق به الى رحله ، فقال لامراته‏:‏ اكرمي ضيف رسول الله صلى الله عليه وسلم وفى رواية قال لامراته ‏:‏ هل عندك شى‏؟‏ قالت‏:‏ لا، الا قوت صبيانى‏.‏ قال‏:‏ فعلليهن بشى‏.‏واذا ارادوا العشاء فنوميهم‏.‏ واذا دخل ضيفنا فاطفى السراج واريه انا ناكل، فقعدوا واكل الضيف وبات طاويين، فلما اصبح ، غدا على النبي صلى الله عليه وسلم فقال‏:‏ “لقد عجب الله من صنيعكما بضيفكما الليلة” ‏(‏‏(‏متفق عليه‏)‏‏)‏ ‏.‏

(62) Chapter: Selflessness and Sympathy


Allah, the Exalted, says:
"And give them (Emigrants) preference over themselves, even though they were in need of that.'' (59:9)

"And they give food, in spite of their love for it (or for the love of Him), to the poor, the orphan, and the captive.'' (76:8)

Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
A man came to the Prophet (ﷺ) and said; "I am hard pressed by hunger." He (ﷺ) sent a word to one of his wives who replied: "By Him Who has sent you with the Truth, I have nothing except water." Then he sent the same message to another (wife) and received the same reply. He sent this message to all of them (i.e., his wives) and received the same reply. Then he (ﷺ) said, "Who will entertain this (man) as guest?" One of the Ansar said: "O Messenger of Allah, I will." So he took him home and said to his wife: "Serve the guest of Messenger of Allah (ﷺ)."

Another narration is: The Ansari asked his wife: "Have you got anything?" She answered: "Nothing, except a little food for the children." He said: "Keep them busy with something, and when they ask for food put them to sleep. When the guest enters, extinguish the light and give him the impression that we are also eating." So they sat down and the guest ate and they passed the night hungry. When he came to the Prophet (ﷺ) in the morning, he said to him, "Allah admired what you did with your guest last night."

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith describes a unique example of hospitality and kindness liked by Allah. It imparts to man the sense of self-sacrifice and a feeling of fellowship.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬২: ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

২/৫৭০। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু [আবূ হুরাইরাহ] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’দু’জনের খাবার তিনজনের জন্য এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’একজনের খাবার দু’জনের জন্য, দু’জনের খাবার চারজনের জন্য এবং চারজনের খাবার আটজনের জন্য যথেষ্ট।’’

(62) - بَابُ الْإِيْثَارِ الْمُوَاسَاةِ

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:«طَعَامُ الاثْنَيْنِ كَافِي الثَّلاَثَةِ، وَطَعَامُ الثَّلاَثَةِ كَافِي الأربَعَةِ» متفقٌ عَلَيْهِ . وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسلِمٍ عَن جَابِرٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: طَعَامُ الوَاحِدِ يَكْفِي الاثْنَيْنِ، وَطَعَامُ الاثْنَيْنِ يَكْفِي الأَرْبَعَةَ، وَطَعَامُ الأَرْبَعَة يَكْفِي الثَّمَانِية

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:«طعام الاثنين كافي الثلاثة، وطعام الثلاثة كافي الاربعة» متفق عليه . وفي رواية لمسلم عن جابر رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: طعام الواحد يكفي الاثنين، وطعام الاثنين يكفي الاربعة، وطعام الاربعة يكفي الثمانية

(62) Chapter: Selflessness and Sympathy


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The food for two suffices for three; and the food for three suffices for four persons."

[Al-Bukhari and Muslim].

In Muslim, Jabir (May Allah be pleased with him) reported: The Prophet (ﷺ) said, "The food for one person suffices for two; the food for two suffices for four, and the food fof four suffices for eight persons."

Commentary: We are told that if on some occasion a host feels that the prepared food is too little to feed his guests, all of them should willingly share it with each other. This will be both blessing and rewarding from Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬২: ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

৩/৫৭১। আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফরে ছিলাম। ইতোমধ্যে একটি লোক তার একটি সওয়ারীর উপর চড়ে (আমাদের নিকট) এল এবং ডানে ও বামে তার দৃষ্টি ফিরাতে লাগল। (এ দেখে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যার নিকট উদ্বৃত্ত সওয়ারী আছে, সে যেন তা ঐ ব্যক্তিকে দেয় যার নিকট কোন সওয়ারী নেই। আর যার নিকট উদ্বৃত্ত পাথেয় (খাদ্য) রয়েছে, সে যেন ঐ ব্যক্তিকে দেয় যার কোন পাথেয় নেই।’’ এভাবে তিনি বিভিন্ন প্রকার মালের কথা উল্লেখ করলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, উদ্বৃত্ত মালে আমাদের কারো অধিকার নেই। (মুসলিম) [1]

(62) - بَابُ الْإِيْثَارِ الْمُوَاسَاةِ

وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا نَحْنُ فِي سَفَرٍ مَعَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم إذْ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى رَاحِلَةٍ لَهُ، فَجَعَلَ يَصرِفُ بَصَرَهُ يَميناً وَشِمَالاً، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ كَانَ مَعَهُ فَضْلُ ظَهْرٍ فَليَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ ظَهرَ لَهُ، وَمَنْ كَانَ لَهُ فَضْلٌ مِنْ زَادٍ، فَلْيَعُدْ بِهِ عَلَى مَنْ لاَ زَادَ لَهُ ». فَذَكَرَ مِنْ أصْنَافِ المالِ مَا ذَكَرَ حَتَّى رَأيْنَا أنَّهُ لاَ حَقَّ لأَحَدٍ مِنَّا فِي فَضْلٍ . رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، قال: بينما نحن في سفر مع النبي صلى الله عليه وسلم اذ جاء رجل على راحلة له، فجعل يصرف بصره يمينا وشمالا، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «من كان معه فضل ظهر فليعد به على من لا ظهر له، ومن كان له فضل من زاد، فليعد به على من لا زاد له ». فذكر من اصناف المال ما ذكر حتى راينا انه لا حق لاحد منا في فضل . رواه مسلم

(62) Chapter: Selflessness and Sympathy


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
Once we were on a journey with Messenger of Allah (ﷺ) when a rider came and began looking right and left. Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever has an extra mount should offer it to him who is without it, and whoever has surplus food should give it to him who has nothing;" and he continued mentioning other properties until we thought that none of us had any right to surplus of his own property.

[Muslim].

Commentary: The mention of this Hadith in this chapter reveals that in their social life, particularly in a period of crisis, the Muslims should adopt a co-operative, consolatory and sympathetic attitude towards one another, being willing to give over their superfluous things to the needy Muslims. This commandment, however, is not of essential and binding nature. If it were so, no Muslim could be in a position to amass wealth. This is simply desirable and based on free will. If the common Muslims were possessed of generosity, this moral instruction would have been practised by all and sundry with Muslim society being exemplary in terms of brotherhood and solidarity. Yet, the lack of sublime morals has denuded this precept of its entire import and significance. Small wonder, in Muslim communities there is a general deplorable trend of showing indifference to fellow-Muslims, instead of establishing a worth-emulating example of co-operation and fellow-feeling.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬২: ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

৪/৫৭২। সাহল ইবনে সা’দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একটি (হাতে) বুনা চাদর নিয়ে এল। সে বলল, ’আপনার পরিধানের জন্য চাদরটি আমি নিজ হাতে বুনেছি।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা গ্রহণ করলেন এবং তাঁর চাদরের প্রয়োজনও ছিল। তারপর তিনি লুঙ্গীরূপে পরিধান করে আমাদের সামনে আসলেন। তখন অমুক ব্যক্তি বলল, ’এটি আমাকে পরার জন্য দান করে দিন। এটি কত সুন্দর!’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ, (তাই দেব।)’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মজলিসে (কিছুক্ষণ) বসলেন।

অতঃপর ফিরে গিয়ে তা ভাঁজ করে ঐ লোকটির কাছে পাঠিয়ে দিলেন। লোকেরা বলল, ’তুমি কাজটা ভাল করলে না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা তাঁর প্রয়োজনে পরেছিলেন, তবুও তুমি চেয়ে বসলে। অথচ তুমি জান যে, তিনি কারো চাওয়া রদ করেন না।’ ঐ ব্যক্তি বলল, ’আল্লাহর কসম! আমি তা পরার উদ্দেশ্যে চাইনি, আমার চাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য যে, তা আমার কাফন হবে।’ সাহল বলেন, ’শেষ পর্যন্ত তা তাঁর কাফনই হয়েছিল।’ (বুখারী) [1]

(62) - بَابُ الْإِيْثَارِ الْمُوَاسَاةِ

وَعَن سَهلِ بنِ سَعدٍ رضي الله عنه: أنَّ أمْرَأةً جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِبُرْدَةٍ مَنْسُوجَةٍ، فَقَالَتْ: نَسَجْتُهَا بِيَدَيَّ لأَكْسُوكَهَا، فَأَخَذَهَا النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم مُحْتَاجاً إِلَيْهَا، فَخَرَجَ إِلَيْنَا وَإنَّهَا إزَارُهُ، فَقَالَ فُلانٌ: اكْسُنِيهَا مَا أحْسَنَهَا ! فَقَالَ: «نَعَمْ » فَجَلَسَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم في المَجْلِسِ، ثُمَّ رَجَعَ فَطَواهَا، ثُمَّ أرْسَلَ بِهَا إِلَيْهِ: فَقَالَ لَهُ الْقَومُ: مَا أحْسَنْتَ ! لَبِسَهَا النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم مُحتَاجَاً إِلَيْهَا، ثُمَّ سَألْتَهُ وَعَلِمْتَ أنَّهُ لاَ يَرُدُّ سَائِلاً، فَقَالَ: إنّي وَاللهِ مَا سَألْتُهُ لأَلْبِسَهَا، إنَّمَا سَألْتُهُ لِتَكُونَ كَفَنِي . قَالَ سَهْلٌ: فَكَانَتْ كَفَنَهُ . رواه البخاري

وعن سهل بن سعد رضي الله عنه: ان امراة جاءت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم ببردة منسوجة، فقالت: نسجتها بيدي لاكسوكها، فاخذها النبي صلى الله عليه وسلم محتاجا اليها، فخرج الينا وانها ازاره، فقال فلان: اكسنيها ما احسنها ! فقال: «نعم » فجلس النبي صلى الله عليه وسلم في المجلس، ثم رجع فطواها، ثم ارسل بها اليه: فقال له القوم: ما احسنت ! لبسها النبي صلى الله عليه وسلم محتاجا اليها، ثم سالته وعلمت انه لا يرد ساىلا، فقال: اني والله ما سالته لالبسها، انما سالته لتكون كفني . قال سهل: فكانت كفنه . رواه البخاري

(62) Chapter: Selflessness and Sympathy


Sahl bin Sa'd (May Allah be pleased with him) reported:
A woman brought a woven piece of cloth to Messenger of Allah (ﷺ) and said to him: "I have woven this sheet with my own hands for you to wear." He accepted it as he was in need of it. He later came out wearing it as a lower garment. Someone said: "How nice it is! Kindly give it to me." Messenger of Allah (ﷺ) said, "Very well." He remained in our company for some time, then he went back, folded it and sent it to the man. The people said (to that man): "You did not do well. Messenger of Allah (ﷺ) wore it and he was in need of it, and you asked him for it when you are well aware that he (ﷺ) never refuses a request." He said: "I swear by Allah that I did not ask it for wearing. I asked him for it so that it might be my shroud after my death." Sahl (the narrator of this Hadith) said: And in fact it was used as his shroud.

[Al-Bukhari].

Commentary: First, the Hadith is suggestive of accepting a present because the exchange of presents increases mutual love. Messenger of Allah (PBUH) said, "Offer presents to each other as these generate mutual love.'' Second, the Prophet (PBUH) would never turn down anyone asking for something. Third, it is permissible to get a thing prepared to meet a future need. Fourth, we are allowed to receive a benediction from the pious ones as the Companions did in case of those things which had touched the blessed body of Messenger of Allah (PBUH). Yet, today the benedictory sanction is being misapplied by people. For example, the washing of graves is erroneously taken to be a sacred act. Whereas, going by the Islamic Law, there is no room for the concretion of a grave, still less of washing it. Rather this act is unclean and sacrilegious. Similarly, we see some half-mad and insane people bereft of the sense of purity and cleanliness. Yet, the masses consider them to be ecstatics and even try to seek benediction from them. As a matter of fact, such lunatics are totally unconscious of the obligations of Islam, rather everything else. But the sanity of a man becomes questionable if he considers them saints. Also there are places where some relics, attributed to the Prophet (PBUH), are at display but without historical authenticity. We are supposed to shun them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬২: ত্যাগ ও সহমর্মিতা প্রসঙ্গে

৫/৫৭৩। আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আশআরী গোত্রের লোকদের যখন জিহাদের পাথেয় ফুরিয়ে যায় অথবা মদ্বীনাতে তাদের পরিবার পরিজনদের খাদ্য কমে যায়, তখন তারা তাদের নিকট যা কিছু থাকে, তা সবই একটি কাপড়ে জমা করে। অতঃপর তা নিজেদের মধ্যে একটি পাত্রে সমানভাবে বণ্টন করে নেয়। সুতরাং তারা আমার (দলভুক্ত) এবং আমিও তাদের (দলভুক্ত)।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(62) - بَابُ الْإِيْثَارِ الْمُوَاسَاةِ

وَعَن أَبي مُوسَى رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إنَّ الأشْعَرِيِّينَ إِذَا أرْمَلُوا في الغَزْوِ، أَوْ قَلَّ طَعَامُ عِيَالِهِمْ بِالمَديِنَةِ، جَمَعُوا مَا كَانَ عِنْدَهُمْ في ثَوْبٍ وَاحِدٍ، ثُمَّ اقْتَسَمُوهُ بَيْنَهُمْ في إنَاءٍ وَاحدٍ بِالسَّوِيَّةِ، فَهُمْ مِنِّي وَأنَا مِنْهُمْ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي موسى رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «ان الاشعريين اذا ارملوا في الغزو، او قل طعام عيالهم بالمدينة، جمعوا ما كان عندهم في ثوب واحد، ثم اقتسموه بينهم في اناء واحد بالسوية، فهم مني وانا منهم ». متفق عليه

(62) Chapter: Selflessness and Sympathy


Abu Musa (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "When the Ash'ariyun run short of food in the Jihad or when they are at home in Al-Madinah, they collect all the provisions they have in a sheet and then divide it equally among themselves. They are of me and I am of them."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: "They are of me and I am of them''. These Prophetic words of the Prophet (PBUH) imply nearness to and psychic identity (with some souls) in matter of moral sense, character and good actions. Apart from thesuperiority of Ash`ari clan, the Hadith suggests the significance of brotherhood and the sense of togetherness. Particularly there is an emphasis on this point that if in times of crisis and tribulation, people extend co-operation to one another, the have-nots will escape hardship and embarrassment. Herein lies the essence of all the Ahadith of this chapter. The Ash`ariyun are the people of Abu Musa Al-Ash`ari, the Companion (May Allah be pleased with him).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে