পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ٥٣ ﴾ [الزمر: ٥٣]

অর্থাৎ “ঘোষণা করে দাও (আমার এ কথা), হে আমার দাসগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছ, তারা আল্লাহর করুণা হতে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত পাপ মাফ করে দেবেন। নিশ্চয় তিনই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা যুমার ৫৩ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿وَهَلۡ نُجَٰزِيٓ إِلَّا ٱلۡكَفُورَ﴾ [سبا: ١٧]

অর্থাৎ “আমি অকৃতজ্ঞ (বা অস্বীকারকারী)কেই শাস্তি দিয়ে থাকি। (সূরা সাবা ১৭ আয়াত)

আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেন,

﴿ إِنَّا قَدۡ أُوحِيَ إِلَيۡنَآ أَنَّ ٱلۡعَذَابَ عَلَىٰ مَن كَذَّبَ وَتَوَلَّىٰ ٤٨ ﴾ [طه: ٤٨]

অর্থাৎ “নিশ্চয় আমাদের প্রতি অহী (প্রত্যাদেশ) প্রেরণ করা হয়েছে যে, শাস্তি তার জন্য, যে মিথ্যা মনে করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।” (সূরা ত্বাহা ৪৮ আয়াত)

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ وَرَحۡمَتِي وَسِعَتۡ كُلَّ شَيۡءٖۚ ﴾ [الاعراف: ١٥٦]

অর্থাৎ “আমার দয়া তা তো প্রত্যেক বস্তুতে পরিব্যাপ্ত।” (সূরা আ’রাফ ১৫৬ আয়াত)


১/৪১৭। ’উবাদাহ ইবনে সামেত রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই, তাঁর কোন শরীক নেই, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং ঈসা আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল, আর তাঁর বাণী যা তিনি মারয়্যামের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন এবং তাঁর (পক্ষ থেকে সৃষ্ট) রূহ। আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য। তাকে আল্লাহ তা’আলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; তাতে সে যে কর্মই করে থাকুক না কেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর রাসূল, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’’

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن عُبَادَةَ بنِ الصَّامِتِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ شَهِدَ أنَّ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، وَأنَّ مُحَمداً عَبْدهُ ورَسُولُهُ، وَأنَّ عِيسَى عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ وَكَلِمَتُهُ ألْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ ورُوحٌ مِنْهُ، وَأنَّ الجَنَّةَ حَقٌّ، وَالنَّارَ حَقٌّ، أدْخَلَهُ اللهُ الجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنَ العَمَلِ ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وفي رواية لمسلم: مَنْ شَهِدَ أنْ لا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ وَأنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، حَرَّمَ اللهُ عَلَيهِ النَّارَ

وعن عبادة بن الصامت رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «من شهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له، وان محمدا عبده ورسوله، وان عيسى عبد الله ورسوله وكلمته القاها الى مريم وروح منه، وان الجنة حق، والنار حق، ادخله الله الجنة على ما كان من العمل ». متفق عليه وفي رواية لمسلم: من شهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم، حرم الله عليه النار

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Allah, the Exalted, says:
"Say: O `Ibadi (My slaves) who have transgressed against themselves (by committing evil deeds and sins)!
Despair not of the Mercy of Allah: verily, Allah forgives all sins. Truly, He is Oft-Forgiving, Most Merciful".
(39:53)
"And never do We requit in such a way except those who are ungrateful (disbelievers)". (34:17)
'(Say:) `Truly, it has been revealed to us that the torment will be for him who denies (believes not in the Oneness of Allah, and in His Messengers), and turns away (from the truth and obedience of Allah)". (20:48)
"And My Mercy embraces all things". (7:156)


'Ubadah bin As-Samit (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who bears witness that there is no true god except Allah, alone having no partner with Him, that Muhammad is His slave and His Messenger, that 'Isa (Jesus) is His slave and Messenger and he (Jesus) is His Word which He communicated to Maryam (Mary) and His spirit which He sent to her, that Jannah is true and Hell is true; Allah will make him enter Jannah accepting whatever deeds he accomplished".

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration in Muslim is: the Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whosoever testifies that there is no true god except Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah, Allah (SWT) saves him from the Fire (of Hell)".


Commentary: This Hadith confirms that all Prophets of Allah were men and thus refutes those who attribute divinity to them and exclude them from the category of men or regard them a part of Allah, as Christians believes Prophet `Isa (Jesus to be Christ) by regarding him Allah or His son, or the Jews do Prophet `Uzair by venerating him as son of Allah. The misconception has also taken hold of a sect of the Muslims. They have invented the belief that Prophet Muhammad (PBUH) is "Light from the Light of Allah". Thus further considering to be of him with Divine
qualities. They exclude him from the category of men. This Hadith tells us that the belief that Prophets were men constitutes part of Faith and denial of it is the denial of a part of Faith and amounts to evasion from Tauhid - Oneness of Allah.

Prophet `Isa (Jesus) has been referred in the Qur'an as "Kalimatullah" (the Word of Allah) (4:171). What these words really mean is that he was born in an unusual manner, without being fathered by anyone, only on the express
fiat of Allah.

This Hadith shows that a major sin does not cast a Muslim out of the fold of Islam, as is believed by certain deviant sects who have gone astray. Such a person does remain a Muslim and his eligibility for admission into Jannah also remains intact but his admission entirely depends on the pleasure of Allah. He may forgive a sinful Muslim and send him to Jannah even in the initial stage or keep him in Hell for sometime and then send him to Jannah. Thus, when it is said that Muslims are protected against Hell, it means that they will not abide in Hell for ever. It will be a temporary phase varying with his sins. When that punishment comes to an end, or even before it, when Almighty, Allah, wills, he will be removed from Hell to Jannah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

২/৪১৮। আবূ যার্র বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলেন, ’’যে ব্যক্তি একটি নেকী করবে, তার জন্য দশ গুণ নেকী রয়েছে অথবা ততোধিক বেশী। আর যে ব্যক্তি একটি পাপ করবে, তার বিনিময় (সে) ততটাই (পাবে; তার বেশী নয়) অথবা আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি এক বিঘত নিকটবর্তী হবে, আমি তার প্রতি এক হাত নিকটবর্তী হব। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি এক হাত নিকটবর্তী হবে, আমি তার প্রতি দু’হাত নিকটবর্তী হব। যে আমার দিকে হেঁটে আসবে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাব। আর যে ব্যক্তি প্রায় পৃথিবী সমান পাপ করে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, অথচ সে আমার সাথে কাউকে শরীক করেনি, তার সাথে আমি তত পরিমাণই ক্ষমা নিয়ে সাক্ষাৎ করব।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم: يَقُولُ اللهُ - عَزَّ وَجَلَّ -: مَنْ جَاءَ بِالحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أمْثَالِهَا أَوْ أزْيَد، وَمَنْ جَاءَ بالسَيِّئَةِ فَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِثْلُهَا أَوْ أغْفِرُ . وَمَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي شِبْراً تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعاً، وَمَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي ذِرَاعاً تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعاً، وَمَنْ أتَانِي يَمْشِي أتَيْتُهُ هَرْوَلَةً، وَمَنْ لَقِيَني بِقُرَابِ الأرْضِ خَطِيئَةً لاَ يُشْرِكُ بِي شَيئاً، لَقِيتُهُ بِمِثْلِهَا مَغفِرَةً . رواه مسلم

وعن ابي ذر رضي الله عنه، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: يقول الله - عز وجل -: من جاء بالحسنة فله عشر امثالها او ازيد، ومن جاء بالسيىة فجزاء سيىة سيىة مثلها او اغفر . ومن تقرب مني شبرا تقربت منه ذراعا، ومن تقرب مني ذراعا تقربت منه باعا، ومن اتاني يمشي اتيته هرولة، ومن لقيني بقراب الارض خطيىة لا يشرك بي شيىا، لقيته بمثلها مغفرة . رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Dharr (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Allah, the Almighty, says: 'Whosoever does a good deed, will have (reward) ten times like it and I add more; and whosoever does an evil, will have the punishment like it or I will forgive (him); and whosoever approaches Me by one span, I will approach him by one cubit; and whosoever approaches Me by one cubit, I approach him by one fathom, and whosoever comes to Me walking, I go to him running; and whosoever meets Me with an earth-load of sins without associating anything with Me, I meet him with forgiveness like that".

[Muslim]

Commentary: This Hadith mentions the infinite Compassion and Mercy of Allih to His obedient slaves and a special expression of which will be made by Him on the Day of Resurrection. On that Day, He will give at least ten times reward for each good deed. In some cases it may be far more than that, seven hundred times or more, as He would like. Such benevolence on His part warrants that a Muslim should never lose hope of His forgiveness.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

৩/৪১৯। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, এক বেদুঈন নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! (জান্নাত ও জাহান্নাম) ওয়াজেবকারী (অনিবার্যকারী) কর্ম দু’টি কি?’ তিনি বললেন, ’’যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার করবে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি তার সাথে কোনো জিনিসকে অংশীদার করবে (এবং তওবা না করে ঐ অবস্থাতেই সে মৃত্যুবরণ করবে) সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ أَعرَابِي إِلَى النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مَا الموجِبَتَانِ؟ قَالَ: مَنْ مَاتَ لاَ يُشْرِكُ بالله شَيئاً دَخَلَ الجَنَّةَ، وَمَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً دَخَلَ النَّار . رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه، قال: جاء اعرابي الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ما الموجبتان؟ قال: من مات لا يشرك بالله شيىا دخل الجنة، ومن مات يشرك به شيىا دخل النار . رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
A bedouin came to the Prophet (ﷺ) and asked him, "O Messenger of Allah, what are the two imperatives which lead to Jannah or Hell". He (ﷺ) replied, "He who dies without associating anything with Allah will enter Jannah, and he who dies associating partners with Allah will enter the Fire".

[Muslim]

Commentary: This Hadith also holds promise for a Muslim that being a Muslim and Muwahhid (believer in the Oneness of Allah) he will be at last sent to Jannah. Whether he goes straight to Jannah or after suffering the punishment of his sins in Hell, is a separate issue, but he will not remain in Hell for ever. Eternal punishment in Hell is reserved only for pagans, polytheists, and infidels.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

৪/৪২০। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, মু’আয যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সওয়ারীর উপর বসেছিলেন, তখন তিনি তাঁকে বললেন, ’’হে মু’আয!’’ মু’আয বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত আছি এবং আপনার খিদমতের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ তিনি (পুনরায়) বললেন, ’’হে মু’আয!’’ মু’আয বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি হাজির আছি এবং আপনার খিদমতের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ তিনি (আবার) বললেন, ’’হে মু’আয!’’ (মুআযও) বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি উপস্থিত আছি এবং আপনার খিদমতের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা তিনবার বললেন। (এরপর) তিনি বললেন, ’’যে কোন বান্দা খাঁটি মনে সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কেউ (সত্য) উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল, তাকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেবেন।’’

মু’আয বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি লোকদেরকে এই খবর বলে দেব না? যেন তারা (শুনে) আনন্দিত হয়।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তো তারা (এরই উপর) ভরসা করে নেবে (এবং আমল ত্যাগ করে বসবে)।’’ অতঃপর মু’আয (ইলম গোপন রাখার) পাপ থেকে বাঁচার জন্য তাঁর মুত্যুর সময় (এ হাদীসটি) জানিয়ে দিয়েছিলেন। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم وَمُعَاذٌ رَدِيفُهُ عَلَى الرَّحْلِ، قَالَ: يَا مُعَاذُ قَالَ: لَبِّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ، قَالَ: يَا مُعَاذُ قَالَ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ، قَالَ: يَا مُعَاذُ قَالَ: لَبِّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وسَعْدَيْكَ، ثَلاثاً، قَالَ: «مَا مِنْ عَبْدٍ يَشْهَدُ أَن لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، وَأنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ صِدْقاً مِنْ قَلْبِهِ إلاَّ حَرَّمَهُ الله عَلَى النَّار ». قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أفَلاَ أُخْبِرُ بِهَا النَّاس فَيَسْتَبْشِرُوا ؟ قَالَ: «إِذاً يَتَّكِلُوا ». فأخبر بِهَا مُعاذٌ عِنْدَ موتِه تَأثُّماً . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن انس رضي الله عنه: ان النبي صلى الله عليه وسلم ومعاذ رديفه على الرحل، قال: يا معاذ قال: لبيك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك، قال: يا معاذ قال: لبيك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك، قال: يا معاذ قال: لبيك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم وسعديك، ثلاثا، قال: «ما من عبد يشهد ان لا اله الا الله، وان محمدا عبده ورسوله صدقا من قلبه الا حرمه الله على النار ». قال: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، افلا اخبر بها الناس فيستبشروا ؟ قال: «اذا يتكلوا ». فاخبر بها معاذ عند موته تاثما . متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
Mu'adh bin Jabal was riding on the beast with the Prophet (ﷺ), when he (ﷺ) said to him, "O Mu'adh!" Mu'adh replied, "Here I am responding to you, and at your pleasure, O Messenger of Allah." He (ﷺ) again called out, "O Mu'adh." He (again) replied, "Here I am responding your call, and at your pleasure." He (Messenger of Allah) addressed him (again), "O Mu'adh!" He replied, "Here I am responding to you, and at your pleasure, O Messenger of Allah." Upon this he (the Prophet (ﷺ)) said, "If anyone testifies sincerely that there is no true god except Allah, and Muhammad is His slave and Messenger, truly from his heart, Allah will safeguard him from Hell." He (Mu'adh) said, "O Messenger of Allah, shall I not then inform people of it, so that they may have glad tidings." He (ﷺ) replied, "Then they will rely on it alone (and thus give up good works altogether)." Mu'adh (May Allah be pleased with him) disclosed this Hadith at the time of his death, to avoid sinning for concealing.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Imam At-Taibi says that the honesty of heart means firmness of faith and arrangement of actions which will provide evidence of Tauhid and Risalah (Oneness of Allah and the Prophethood of Muhammad (PBUH)). Al-Hafiz Ibn Hajar states that Imam At-Taibi has made this elaboration to remove the ambiguity which arises from the wording of the Hadith because it is generally held by Ahadith that one who bears witness to Tauhid and Risalah will not go to Hell, while Ahlus-Sunnah hold that it stands proved by concrete arguments that sinful Muslims will be consigned to Hell and then brought out from it by intercession. It shows that for the determination of real meanings of this Hadith we shall have to keep in view other related arguments as well. These meanings are riveted with good deeds. In other words, one who bears witness to Tauhid and Risalah and fulfills Islamic injunctions and obligations and requirements of Faith and fear of Allah, will not be consigned to Hell. Some scholars are of the opinion that this Hadith refers to such people who truly repented and renounced Kufr and Shirk and wholeheartedly professed Tauhid and Risalah but died soon after that and thus did not get an opportunity to do good deeds. Such people will certainly go to Jannah.

This Hadith leads to the conclusion that ordinary people should not be told things the true meanings of which they find difficult to grasp and accomplish evil deeds relying on such glad tidings.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

৫/৪২১। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু অথবা আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, (বর্ণনাকারী সন্দেহে পড়েছেন। অবশ্য সাহাবীর ব্যক্তিত্ব নির্ণয়ে সন্দেহ ক্ষতিকর কিছু নয়। কেননা সকল সাহাবাই নির্ভরযোগ্য।) সাহাবী বলেন, তাবুকের যুদ্ধের সময় সাহাবীগণ অতিশয় খাদ্য-সংকটে পড়লেন। সুতরাং তাঁরা বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! যদি আপনি অনুমতি দেন, তাহলে আমরা আমাদের সেচক উট জবাই করে তার মাংস ভক্ষণ এবং চর্বি ব্যবহার করি?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (ঠিক আছে) তোমরা কর। (এ সংবাদ শুনে) উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু এসে বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! যদি আপনি (এমন) করেন, তাহলে সওয়ারী কমে যাবে। বরং আপনি (এই করুন যে,) তাদেরকে নিজেদের অবশিষ্ট খাদ্যদ্রব্য আনতে বলুন এবং তাদের জন্য তাতে আল্লাহর কাছে বরকতের দো’আ করুন। সম্ভবতঃ আল্লাহ তাতে বরকত দেবেন।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হ্যাঁ, (তাই-ই করি।)’’

সুতরাং তিনি চামড়ার একখানি দস্তরখান আনিয়ে নিয়ে তা বিছালেন। অতঃপর তিনি তাঁদের অবশিষ্ট খাদ্যদ্রব্য জমা করার নির্দেশ দিলেন। ফলে কেউ তো এক খাবল ভুট্টা আনলেন, কেউ তো এক খাবল খুরমা এবং কেউ তো রুটির একটি টুকরাও আনলেন। পরিশেষে কিছু পরিমাণ খাদ্য জমা হয়ে গেল। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বরকতের দো’আ করলেন। অতঃপর বললেন, ’’তোমরা আপন আপন পাত্রে নিয়ে নাও।’’ সুতরাং তাঁরা সব সব পাত্রে নিতে আরম্ভ করলেন। এমনকি সৈন্যের মধ্যে কোন পাত্র শূন্য রইল না। তাঁরা সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন এবং কিছু বেঁচেও গেল। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যে কোন বান্দা সন্দেহমুক্ত হয়ে এ দু’টি (সাক্ষ্য) নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তাকে যে জান্নাতে যেতে বাধা দেওয়া হবে -তা হতেই পারে না (বরং সে বিনা বাধায় জান্নাতে প্রবেশ করবে)।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ أَوْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا - شَكَّ الرَّاوِي - ولاَ يَضُرُّ الشَّكُّ في عَينِ الصَّحَابيّ ؛ لأنَّهُمْ كُلُّهُمْ عُدُولٌ- قَالَ: لَمَّا كَانَ غَزوَةُ تَبُوكَ، أصَابَ النَّاسَ مَجَاعَةٌ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لَوْ أذِنْتَ لَنَا فَنَحَرْنَا نَواضِحَنَا فَأكَلْنَا وَادَّهَنَّا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: افْعَلُوا فَجاء عُمَرُ رضي الله عنه، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنْ فَعَلْتَ قَلَّ الظَّهْرُ، وَلَكِن ادعُهُمْ بفَضلِ أزْوَادِهِمْ، ثُمَّ ادعُ الله لَهُمْ عَلَيْهَا بِالبَرَكَةِ، لَعَلَّ الله أنْ يَجْعَلَ في ذلِكَ البَرَكَةَ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «نَعَمْ » فَدَعَا بِنَطْع فَبَسَطَهُ، ثُمَّ دَعَا بِفضلِ أزْوَادِهِمْ، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بكَفّ ذُرَةٍ وَيَجِيءُ بِكَفّ تَمرٍ وَيَجِيءُ الآخرُ بِكِسرَةٍ حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَى النَّطعِ مِنْ ذلِكَ شَيءٌ يَسيرٌ، فَدَعَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِالبَرَكَةِ، ثُمَّ قَالَ: خُذُوا في أوعِيَتِكُمْ فَأَخَذُوا في أوْعِيَتِهِم حَتَّى مَا تَرَكُوا في العَسْكَرِ وِعَاءً إلاَّ مَلأُوهُ وَأَكَلُوا حَتَّى شَبعُوا وَفَضَلَ فَضْلَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أشْهَدُ أنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، وَأنّي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لا يَلْقَى الله بِهِمَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فَيُحْجَبَ عَنِ الجَنَّةِ . رواه مسلم

وعن ابي هريرة او ابي سعيد الخدري رضي الله عنهما - شك الراوي - ولا يضر الشك في عين الصحابي ؛ لانهم كلهم عدول- قال: لما كان غزوة تبوك، اصاب الناس مجاعة، فقالوا: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، لو اذنت لنا فنحرنا نواضحنا فاكلنا وادهنا؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: افعلوا فجاء عمر رضي الله عنه، فقال: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ان فعلت قل الظهر، ولكن ادعهم بفضل ازوادهم، ثم ادع الله لهم عليها بالبركة، لعل الله ان يجعل في ذلك البركة . فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «نعم » فدعا بنطع فبسطه، ثم دعا بفضل ازوادهم، فجعل الرجل يجيء بكف ذرة ويجيء بكف تمر ويجيء الاخر بكسرة حتى اجتمع على النطع من ذلك شيء يسير، فدعا رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بالبركة، ثم قال: خذوا في اوعيتكم فاخذوا في اوعيتهم حتى ما تركوا في العسكر وعاء الا ملاوه واكلوا حتى شبعوا وفضل فضلة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اشهد ان لا اله الا الله، واني رسول الله صلى الله عليه وسلم، لا يلقى الله بهما عبد غير شاك فيحجب عن الجنة . رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) or may be Abu Sa'id Al- Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
On the day of the battle of Tabuk, the Muslims were hard pressed by hunger and they asked Messenger of Allah (ﷺ): "O Messenger of Allah, grant us permission to slaughter our camels to eat and use their fat". He (ﷺ) accorded permission. On this 'Umar (May Allah be pleased with him) came and said: "O Messenger of Allah, if it is done, we shall suffer from lack of transportation. I suggest you pool together whatever has been left and supplicate Allah to bless it." Allah will bestow His Blessing upon it. Messenger of Allah (ﷺ) agreed and called for leather mat and had it spread out, and asked people to bring the provisions left over. They started doing it. One brought a handful of corn, another brought a handful of dates, a third brought a piece of bread; thus some provisions were collected on the mat. Messenger of Allah (ﷺ) invoked blessings, and then said, "Now take it up in your vessels". Everyone filled his vessel with food, so that there was not left a single empty vessel in the whole camp. All of them ate to their fill and there was still some left over. Messenger of Allah (ﷺ) said, "Any slave who meets Allah, testifying there is no true god except Allah, and that I am His Messenger, without entertaining any doubt about these (two fundamentals), will not be banished from entering Jannah."

[Muslim].

Commentary: This Hadith mentions a miracle of the Prophet (PBUH) and the effect of his prayer by means of which a small quantity of food sufficed the whole army. The exact number of Muslims who took part in the battle of Tabuk is not mentioned in any reliable account. Al-Hafiz Ibn Hajar has stated, with reference to some narratives of Fath Al-Bari mentioned in connection with the biography of the Prophet (PBUH) and the wars he had fought in the way of Allah, that they numbered thirty to forty thousand men.

Although these figures are open to question but one can safely infer from these figures that their number was very large. According to Sahih Al-Bukhari: "A large number of Muslims participated with the Prophet (PBUH) in this war. Their number was so large that they could not be described in a register. It was difficult for the Prophet (PBUH) to discover who was absent except that he was informed about him by Allah.'' (Sahih Al-Bukhari, Kitab AlMaghazi, Bab Ghazwah Tabuk, Hadith Ka`b bin Malik). This extract goes to prove that although the number of Muslims who took part in this war was very large the provisions weighing a few seers only sufficed for them all.
We also learn from this Hadith that one who is blessed with the Grace of Allah, can offer advice to a person who is superior to him on this account. Similarly, the one who is superior in virtue should listen to the advice of those who are inferior to him because there is every possibility that their advice may offer something better. It does not harm either of them. Neither does it detract from the superiority of the superior nor can it be regarded an affront of a junior.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

৬/৪২২। ইতবান ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, যিনি বদর যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে উপস্থিত ছিলেন, তিনি বলেন, আমি আমার গোত্র বানু সালেমের নামাযে ইমামতি করতাম। আমার ও তাদের (মসজিদের) মধ্যে একটি উপত্যকা ছিল। বৃষ্টি হলে ঐ উপত্যকা পেরিয়ে তাদের মসজিদে যাওয়া আমার জন্য কষ্টকর হত। তাই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হয়ে বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার দৃষ্টিশক্তিতে কমতি অনুভব করছি। (এ ছাড়া) আমার ও আমার গোত্রের মধ্যকার উপত্যকাটি বৃষ্টি হলে প্লাবিত হয়ে যায়। তখন তা পার হওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়। তাই আমার একান্ত আশা যে, আপনি এসে আমার ঘরের এক স্থানে নামায আদায় করবেন। আমি সে স্থানটি নামাযের স্থান রূপে নির্ধারিত করে নেব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আচ্ছা তাই করব।’’

সুতরাং পরের দিন সূর্যের তাপ যখন বেড়ে উঠল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু আমার বাড়ীতে এলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলে আমি তাঁকে অনুমতি দিলাম। তিনি না বসেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ’’তোমার ঘরের কোন্ স্থানে আমার নামায পড়া তুমি পছন্দ কর?’’ আমি যে স্থানে তাঁর নামায পড়া পছন্দ করেছিলাম, তাঁকে সেই স্থানের দিকে ইশারা করে (দেখিয়ে) দিলাম। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (নামাযে) দাঁড়িয়ে তকবীর বললেন। আমরা সারিবদ্ধভাবে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে গেলাম। তিনি দু’রাকআত নামায পড়ে সালাম ফিরালেন। তাঁর সালাম ফিরার সময় আমরাও সালাম ফিরালাম। তারপর তাঁর জন্য যে ’খাযীর’ (চর্বি দিয়ে পাকানো আটা) প্রস্তুত করা হচ্ছিল, তা খাওয়ার জন্য তাঁকে আটকে দিলাম। ইতোমধ্যে মহল্লার লোকেরা শুনল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বাড়িতে। সুতরাং তাদের কিছু লোক এসে জমায়েত হল। এমনকি বাড়িতে অনেক লোকের সমাগম হল।

তাদের মধ্যে একজন বলল, ’মালেক (ইবনে দুখাইশিন) করল কী? তাকে দেখছি না যে?’ একজন জবাব দিল, ’সে মুনাফিক! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসে না।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এমন কথা বলো না। তুমি কি মনে কর না যে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কামনায় ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে?’’ সে ব্যক্তি বলল, ’আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন। তবে আল্লাহর কসম! আমরা মুনাফিকদের সাথেই তার ভালবাসা ও আলাপ-আলোচনায় তাকে দেখতে পাই।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’নিশ্চয় আল্লাহ সেই ব্যক্তিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কামনায় ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن عِتْبَانَ بن مالك رضي الله عنه وَهُوَ مِمَّن شَهِدَ بَدراً، قَالَ: كُنتُ أُصَلِّي لِقَوْمِي بَني سَالِم، وَكَانَ يَحُولُ بَيْنِي وبَيْنَهُمْ وَادٍ إِذَا جَاءَتِ الأَمْطَار، فَيَشُقُّ عَلَيَّ اجْتِيَازُهُ قِبَلَ مَسْجِدِهم، فَجِئتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقُلتُ لَهُ: إنّي أنْكَرْتُ بَصَرِي وَإنَّ الوَادِي الَّذِي بَيْنِي وبَيْنَ قَومِي يَسِيلُ إِذَا جَاءَتِ الأمْطَارُ فَيَشُقُّ عَلَيَّ اجْتِيَازُهُ فَوَدِدْتُ أنَّكَ تَأتِي فَتُصَلِّي في بَيْتِي مَكَاناً أتَّخِذُهُ مُصَلّى، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «سَأفْعَلُ » فَغَدَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكرٍ رضي الله عنه بَعْدَ مَا اشْتَدَّ النَّهَارُ، وَاسْتَأذَنَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَأذِنْتُ لَهُ، فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى قَالَ: «أيْنَ تُحِبُّ أنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكَ ؟ » فَأشَرْتُ لَهُ إِلَى المَكَانِ الَّذِي أُحِبُّ أَنْ يُصَلِّيَ فِيهِ، فَقَامَ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرَ وَصَفَفْنَا وَرَاءَهُ فَصَلَّى رَكعَتَينِ ثُمَّ سَلَّمَ وَسَلَّمْنَا حِينَ سَلَّمَ فَحَبَسْتُهُ عَلَى خَزيرَةٍ تُصْنَعُ لَهُ، فَسَمِعَ أهلُ الدَّارِ أنَّ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم في بَيْتِي فَثَابَ رِجالٌ مِنْهُمْ حَتَّى كَثُرَ الرِّجَالُ في البَيْتِ، فَقَالَ رَجُلٌ: مَا فَعَلَ مَالِكٌ لا أرَاهُ ! فَقَالَ رَجُلٌ: ذلِكَ مُنَافِقٌ لا يُحِبُّ الله ورسولَهُ، فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم: لاَ تَقُلْ ذلِكَ، ألاَ تَرَاهُ قَالَ: لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله يَبْتَغي بِذَلِكَ وَجهَ الله تَعَالَى فَقَالَ: اللهُ ورَسُولُهُ أعْلَمُ أمَّا نَحْنُ فَوَاللهِ مَا نَرَى وُدَّهُ وَلاَ حَدِيثَهُ إلاَّ إِلَى المُنَافِقينَ ! فَقَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: فإنَّ الله قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ: لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله يَبْتَغِي بذَلِكَ وَجْهَ الله . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عتبان بن مالك رضي الله عنه وهو ممن شهد بدرا، قال: كنت اصلي لقومي بني سالم، وكان يحول بيني وبينهم واد اذا جاءت الامطار، فيشق علي اجتيازه قبل مسجدهم، فجىت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فقلت له: اني انكرت بصري وان الوادي الذي بيني وبين قومي يسيل اذا جاءت الامطار فيشق علي اجتيازه فوددت انك تاتي فتصلي في بيتي مكانا اتخذه مصلى، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «سافعل » فغدا رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وابو بكر رضي الله عنه بعد ما اشتد النهار، واستاذن رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فاذنت له، فلم يجلس حتى قال: «اين تحب ان اصلي من بيتك ؟ » فاشرت له الى المكان الذي احب ان يصلي فيه، فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فكبر وصففنا وراءه فصلى ركعتين ثم سلم وسلمنا حين سلم فحبسته على خزيرة تصنع له، فسمع اهل الدار ان رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيتي فثاب رجال منهم حتى كثر الرجال في البيت، فقال رجل: ما فعل مالك لا اراه ! فقال رجل: ذلك منافق لا يحب الله ورسوله، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لا تقل ذلك، الا تراه قال: لا اله الا الله يبتغي بذلك وجه الله تعالى فقال: الله ورسوله اعلم اما نحن فوالله ما نرى وده ولا حديثه الا الى المنافقين ! فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فان الله قد حرم على النار من قال: لا اله الا الله يبتغي بذلك وجه الله . متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


'Itban bin Malik (May Allah be pleased with him) reported, who was with Messenger of Allah (ﷺ) in the battle of Badr:
I used to lead my people at Bani Salim in Salat (prayer) and there was a valley between me and those people. Whenever it rained, it became difficult for me to cross it for going to their mosque. So I went to Messenger of Allah (ﷺ) and said, "I have weak eyesight and the valley between me and my people flows during the rainy season and it becomes difficult for me to cross it. I wish you to come to my house and offer Salat at a place so that I could reserve that as a Musalla (place for prayer)." Messenger of Allah (ﷺ) said, "I will do so".
So Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr (May Allah be pleased with him) came to my house the (next) morning after the sun had risen high. Messenger of Allah (ﷺ) asked my permission to enter and I admitted him. He did not sit before saying, "Where do you want us to offer Salat in your house?" I pointed to the place where I wanted him to offer prayers. So Messenger of Allah (ﷺ) stood up for the prayer and started the prayer with Takbir and we aligned in rows behind him; and he offered two Rak'ah prayer and finished them with Taslim, and we also performed Taslim with him. I detained him for a meal called Khazirah which I had prepared for him. (Khazirah is a special type of dish prepared from barley flour and meat soup). When the neighbours got the news that Messenger of Allah (ﷺ) was in my house, they started coming till a large number of men gathered in my house. One of them said, "What is wrong with Malik, for I do not see him?" One of them replied, "He is a hypocrite and does not love Allah and His Messenger". On that Messenger of Allah (ﷺ) said, "Don't say this. Haven't you seen that he testified that there is no true god except Allah,' for Allah's sake only." The man replied, "Allah and His Messenger know better, but by Allah, we never saw him but helping and talking with the hypocrites." Messenger of Allah (ﷺ) replied, "No doubt, whosoever testifies that there is no true god except Allah, seeking by so professing the pleasure of Allah only, Allah will safeguard him against (Hell) Fire."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith highlights the following four points:
1. One can offer Salat at home if one has a lawful reason for it.
2. In the event one is obliged to offer Salat at home it is well to reserve a place for it.
3. It is not permissible to suspect a Muslim on the basis of mere doubt.
4. In the end, every Muslim will be sent to Jannah. This point has already been elaborated.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

৭/৪২৩। উমার ইবনে খাত্ত্বাব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু সংখ্যক বন্দী এল। তিনি দেখলেন যে, বন্দীদের মধ্যে একজন মহিলা (তার শিশুটি হারিয়ে গেলে এবং স্তনে দুধ জমে উঠলে বাচ্চার খোঁজে অস্থির হয়ে) দৌড়াদৌড়ি করছে। হঠাৎ সে বন্দীদের মধ্যে কোনো শিশু পেলে তাকে ধরে কোলে নিয়ে (দুধ পান করাতে লাগল। অতঃপর তার নিজের বাচ্চা পেয়ে গেলে তাকে বুকে-পেটে লাগিয়ে) দুধ পান করাতে লাগল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমরা কি মনে কর যে, এই মহিলা তার সন্তানকে আগুনে ফেলতে পারে?’’ আমরা বললাম, ’না, আল্লাহর কসম!’ তারপর তিনি বললেন, ’’এই মহিলাটি তার সন্তানের উপর যতটা দয়ালু, আল্লাহ তার বান্দাদের উপর তার চেয়ে অধিক দয়ালু।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه، قَالَ: قُدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بسَبْيٍ فَإِذَا امْرَأةٌ مِنَ السَّبْيِ تَسْعَى، إِذْ وَجَدَتْ صَبياً في السَّبْيِ أخَذَتْهُ فَألْزَقَتهُ بِبَطْنِهَا فَأَرضَعَتْهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أتَرَوْنَ هذِهِ المَرْأةَ طَارِحَةً وَلَدَها في النَّارِ؟ قُلْنَا: لاَ وَاللهِ. فَقَالَ: للهُ أرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ هذِهِ بِوَلَدِهَا . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عمر بن الخطاب رضي الله عنه، قال: قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بسبي فاذا امراة من السبي تسعى، اذ وجدت صبيا في السبي اخذته فالزقته ببطنها فارضعته، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اترون هذه المراة طارحة ولدها في النار؟ قلنا: لا والله. فقال: لله ارحم بعباده من هذه بولدها . متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


'Umar bin Al-Khattab (May Allah be pleased with him) reported:
Some prisoners were brought to Messenger of Allah (ﷺ) amongst whom there was a woman who was running (searching for her child). When she saw a child among the captives, she took hold of it, pressed it against her belly and gave it a suck. Messenger of Allah (ﷺ) said, "Do you think this woman would ever throw her child in fire?" We said, "By Allah, she would never throw the child in fire." Thereupon Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah is more kind to his slave than this woman is to her child".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Al-Hafiz Ibn Hajar states that the Musnad Ismai`li has the following additional words in the narrative: "After continuous search, she finally found her baby. She took the baby and hugged him". It is permissible to illustrate by example what one cannot make others understand by means of reason and senses, the way the Prophet (PBUH) did it in the present case. Since it was not possible to describe the immensity of Allah's Mercy, he cited the example of that woman to illustrate his point.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

৮/৪২৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’আল্লাহ যখন সৃষ্টিজগত তৈরী সম্পন্ন করলেন, তখন একটি কিতাবে লিখে রাখলেন, যা তাঁরই কাছে তাঁর আরশের উপর রয়েছে, ’’অবশ্যই আমার রহমত আমার গযব অপেক্ষা অগ্রগামী।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: لَمَّا خَلَقَ الله الخَلْقَ كَتَبَ في كِتَابٍ، فَهُوَ عِنْدَهُ فَوقَ العَرْشِ: إنَّ رَحْمَتِي تَغْلِبُ غَضَبي . متفق عليه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: لما خلق الله الخلق كتب في كتاب، فهو عنده فوق العرش: ان رحمتي تغلب غضبي . متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, "When Allah created the creatures, He wrote in the Book, which is with Him over His Throne: 'Verily, My Mercy prevailed over My Wrath"

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration is: Messenger of Allah (PBUH) said, "(Allah wrote) `My Mercy dominated My Wrath".
Still another narration is: Messenger of Allah (PBUH) said, "(Allah wrote) `My Mercy surpasses My Wrath".

Commentary: Imam Al-Khattabi states that here the word "Kitab'' (translated here as `Book') means the decision of Almighty Allah which He has already made, an instance of which is the following Verse of the Noble Qur'an:
"Allah has decreed: `Verily, it is I and My Messengers who shall be the victorious". (58:21).
In this Ayah the Arabic word "Kataba'' is used in the sense of "Qada' (decided);'' or the word "Kataba'' signifies "Lauh Mahfooz'' on which He has recorded everything. Almighty Allah is on the 'Arsh' (the Throne of Allah) and this Book is with Him. (Fath Al-Bari, Kitab At-Tauhid, Bab: Wa kana Arshuhu `alal-Ma'.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

৯/৪২৫। উক্ত সাহাবী (আবূ হুরায়রাহ) রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’আল্লাহ রহমতকে একশ ভাগ করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই সৃষ্টজগৎ একে অন্যের উপর দয়া করে। এমনকি জন্তু তার বাচ্চার উপর থেকে পা তুলে নেয় এই ভয়ে যে, সে ব্যথা পাবে।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’নিশ্চয় আল্লাহর একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে একটি মাত্র রহমত তিনি মানব-দানব, পশু ও কীটপতঙ্গের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন। ঐ এক ভাগের কারণেই (সৃষ্টজীব) একে অপরকে মায়া করে, তার কারণেই একে অন্যকে দয়া করে এবং তার কারণেই হিংস্র জন্তুরা তাদের সন্তানকে মায়া করে থাকে। বাকী নিরানব্বইটি আল্লাহ আখেরাতের জন্য রেখে দিয়েছেন, যার দ্বারা তিনি কিয়ামতের দিন আপন বান্দাদের উপর রহম করবেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম)

এ হাদীসটিকে ইমাম মুসলিমও সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলার একশটি রহমত আছে, যার মধ্য হতে মাত্র একটির কারণে সৃষ্টিজগৎ একে অন্যের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে। আর নিরানব্বইটি (রহমত) কিয়ামতের দিনের জন্য রয়েছে।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’আল্লাহ তা’আলা আসমান যমীন সৃষ্টি করার দিন একশটি রহমত সৃষ্টি করলেন। প্রতিটি রহমত আসমান ও যমীনের মধ্যস্থল পরিপূর্ণ (বিশাল)। অতঃপর তিনি তার মধ্য হতে একটি রহমত পৃথিবীতে অবতীর্ণ করলেন। ঐ একটির কারণেই মা তার সন্তানকে মায়া করে এবং হিংস্র প্রাণী ও পাখীরা একে অন্যের উপর দয়া করে থাকে। অতঃপর যখন কিয়ামতের দিন হবে, তখন আল্লাহ এই রহমত দ্বারা সংখ্যা পূর্ণ করবেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَنهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: جَعَلَ اللهُ الرَّحْمَةَ مِئَةَ جُزْءٍ، فَأمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ، وَأنْزَلَ في الأرْضِ جُزْءاً وَاحِداً، فَمِنْ ذلِكَ الجُزءِ يَتَرَاحَمُ الخَلائِقُ، حَتَّى تَرْفَعَ الدَّابّةُ حَافِرَهَا عَنْ وَلَدِهَا خَشْيَةَ أنْ تُصِيبَهُ
وَفي رِوَايَةٍ: إنّ للهِ تَعَالَى مئَةَ رَحمَةٍ، أنْزَلَ مِنْهَا رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ الجِنِّ وَالإنسِ وَالبهائِمِ وَالهَوامّ، فَبِهَا يَتَعَاطَفُونَ، وبِهَا يَتَرَاحَمُونَ، وبِهَا تَعْطِفُ الوَحْشُ عَلَى وَلَدِهَا، وَأخَّرَ اللهُ تَعَالَى تِسْعاً وَتِسْعينَ رَحْمَةً يرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ القِيَامَة . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ .
وَرَوَاهُ مُسلِمٌ أَيضاً مِنْ رِوَايَةِ سَلْمَانَ الفَارِسيِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إنَّ للهِ تَعَالَى مِئَةَ رَحْمَةٍ فَمِنْهَا رَحْمَةٌ يَتَرَاحمُ بِهَا الخَلْقُ بَيْنَهُمْ، وَتِسْعٌ وَتِسعُونَ لِيَومِ القِيَامَةِ
وَفي رِوَايَةٍ: إنَّ اللهَ تَعَالَى خَلَقَ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ مَئَةَ رَحْمَةٍ كُلُّ رَحْمَةٍ طِبَاقُ مَا بَيْنَ السَّماءِ إِلَى الأرْضِ، فَجَعَلَ مِنْهَا في الأَرضِ رَحْمَةً فَبِهَا تَعْطفُ الوَالِدَةُ عَلَى وَلَدِهَا، وَالوَحْشُ وَالطَّيْرُ بَعْضُهَا عَلَى بَعْض، فَإذا كَانَ يَوْمُ القِيَامَةِ أَكمَلَهَا بِهذِهِ الرَّحمَةِ

وعنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: جعل الله الرحمة مىة جزء، فامسك عنده تسعة وتسعين، وانزل في الارض جزءا واحدا، فمن ذلك الجزء يتراحم الخلاىق، حتى ترفع الدابة حافرها عن ولدها خشية ان تصيبه وفي رواية: ان لله تعالى مىة رحمة، انزل منها رحمة واحدة بين الجن والانس والبهاىم والهوام، فبها يتعاطفون، وبها يتراحمون، وبها تعطف الوحش على ولدها، واخر الله تعالى تسعا وتسعين رحمة يرحم بها عباده يوم القيامة . متفق عليه . ورواه مسلم ايضا من رواية سلمان الفارسي رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: ان لله تعالى مىة رحمة فمنها رحمة يتراحم بها الخلق بينهم، وتسع وتسعون ليوم القيامة وفي رواية: ان الله تعالى خلق يوم خلق السماوات والارض مىة رحمة كل رحمة طباق ما بين السماء الى الارض، فجعل منها في الارض رحمة فبها تعطف الوالدة على ولدها، والوحش والطير بعضها على بعض، فاذا كان يوم القيامة اكملها بهذه الرحمة

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah has divided mercy into one hundred parts; and He retained with Him ninety-nine parts, and sent down to earth one part. Through this one part creatures deal with one another with compassion, so much so that an animal lifts its hoof over its young lest it should hurt it".

[Al-Bukhari and Muslim]

Another narration is: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah has one hundred mercies, out of which He has sent down only one for jinn, mankind, animals and insects, through which they love one another and have compassion for one another; and through it, wild animals care for their young. Allah has retained ninety-nine mercies to deal kindly with His slaves on the Day of Resurrection."

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration in Muslim is reported: by Salman Al-Farisi: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah has hundred mercies, out of which one mercy is used by his creation for mutual love and affection. Ninety-nine mercies are kept for the Day of Resurrection."

Another narration is: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah created one hundred units of mercy on the Day He created the heavens and the earth. Each one of them can contain all that is between the heaven and the earth. Of them, he put one on earth, through which a mother has compassion for her children and animals and birds have compassion for one another. On the Day of Resurrection, He will perfect and complete His Mercy". (That is He will use all the hundred units of mercy for his slaves on that Day).


Commentary:
1. We learn from this Hadith that kind and compassionate treatment is liked by Allah and is in fact His Blessing and Benevolence. This is the reason He has given a part of it to His creatures, and a person who is so hard-hearted, that he is not even aware of it has a defect which is extremely displeasing to Allah. Moreover, it is a sign that such a person is deprived of Divine blessing and mercy.

2. On the Day of Resurrection, Almighty Allah will bestow upon the believers hundred mercies. This news has great hopes and joy for His slaves.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১০/৪২৬। উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ(রাঃ)] থেকেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন, কোন বান্দা একটি পাপ করে বলল, ’হে প্রভু! তুমি আমার পাপ ক্ষমা কর।’ তখন আল্লাহ তাবারাকা অতা’আলা বলেন, ’আমার বান্দা একটি পাপ করেছে, অতঃপর সে জেনেছে যে, তার একজন প্রভু আছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন অথবা তা দিয়ে পাকড়াও করেন।’ অতঃপর সে আবার পাপ করল এবং বলল, ’হে প্রভু! তুমি আমার পাপ ক্ষমা কর।’ তখন আল্লাহ তাবারাকা অতা’আলা বলেন, ’আমার বান্দা একটি পাপ করেছে, অতঃপর সে জেনেছে যে, তার একজন প্রভু আছেন, যিনি পাপ ক্ষমা করেন অথবা তা দিয়ে পাকড়াও করেন। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করলাম। সুতরাং সে যা ইচ্ছা করুক।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]


*’সে যা ইচ্ছা করুক’ কথার অর্থ হল, সে যখন এইরূপ করে; অর্থাৎ পাপ করে সাথে সাথে তওবা করে এবং আমি তাকে মাফ করে দেই, তখন সে যা ইচ্ছা করুক, তার কোন চিন্তা নেই। যেহেতু তওবা পূর্বকৃত পাপ মোচন করে দেয়।

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَنهُ، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَحكِي عَن رَبَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى، قَال: أذْنَبَ عَبْدٌ ذَنْباً، فَقَالَ: اَللهم اغْفِرْ لِي ذَنْبِي، فَقَالَ الله تَبَاركَ وَتَعَالَى: أذنَبَ عَبدِي ذَنباً، فَعَلِمَ أنَّ لَهُ رَبّاً يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بِالذَّنْبِ، ثُمَّ عَادَ فَأذْنَبَ، فَقَالَ: أيْ رَبِّ اغْفِرْ لِي ذَنْبي، فَقَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: أذنَبَ عبدِي ذَنباً، فَعَلِمَ أنَّ لَهُ رَبّاً، يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بالذَّنْبِ، قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي فَلْيَفْعَلْ مَا شَاءَ. مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم فيما يحكي عن ربه تبارك وتعالى، قال: اذنب عبد ذنبا، فقال: اللهم اغفر لي ذنبي، فقال الله تبارك وتعالى: اذنب عبدي ذنبا، فعلم ان له ربا يغفر الذنب، وياخذ بالذنب، ثم عاد فاذنب، فقال: اي رب اغفر لي ذنبي، فقال تبارك وتعالى: اذنب عبدي ذنبا، فعلم ان له ربا، يغفر الذنب، وياخذ بالذنب، قد غفرت لعبدي فليفعل ما شاء. متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Allah, the Exalted, and Glorious said: 'A slave committed a sin and he said: O Allah, forgive my sin,' and Allah said: 'My slave committed a sin and then he realized that he has a Rubb Who forgives the sins and punishes for the sin.' He then again committed a sin and said: 'My Rubb, forgive my sin,' and Allah (SWT) said: 'My slave committed a sin and then realized that he has a Rubb Who forgives his sin and punishes for the sin.' He again committed a sin and said: 'My Rubb, forgive my sin,' and Allah (SWT) said: 'My slave has committed a sin and then realized that he has a Rubb Who forgives the sin or takes (him) to account for sin. I have granted forgiveness to my slave. Let him do whatever he likes".

[Al-Bukhari and Muslim].

The last sentence "let him do..". means, as long he keeps asking for forgiveness after the commission of sins, and
repents, Allah will forgive him because repentance eliminates previous sins". (Editor's Note)

Commentary: This Hadith tells us that so long as the heart of a Muslim remains free from willful disobedience of Divine injunctions and he does not deliberately neglect his religious duties, that is to say he goes on committing sins and each time wholeheartedly begs pardon for them, Almighty, Allah will forgive him. The reason being that he is penitent for his wrongs and does not insist upon them for fear of accountability. This condition of his shows that his heart is full of awe and Majesty of Allah and he does not feel any disgrace in showing his utter humbleness before Him. Now this is a merit of the sinful which is pleasing to Allah. Thus, He says that so long as his slave continues
submission and prostratin He will go on forgiving him.

On the contrary, there is a person who goes on committing sins but he neither repents for them nor seeks pardon for his wrongs; nor has any fear of accountability. Obviously, he is altogether different from the kind of Muslims mentioned before, and he will be therefore treated differently by Allah. The conduct of the former is of a Muslim who, in spite of his sins, is liked by Allah while the second is of that of a rebel for whom He has kept severe punishment ready. May Allah rank us among the former category of people.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১১/৪২৭। উক্ত সাহাবী  [আবূ হুরায়রাহ] রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সেই মহান সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! যদি তোমরা পাপ না কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে অপসারিত করবেন এবং এমন জাতির আবির্ভাব ঘটাবেন যারা পাপ করবে, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে। আর তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْ لَمْ تُذْنِبُوا، لَذَهَبَ الله بِكُمْ، وَجَاءَ بِقَومٍ يُذْنِبُونَ، فَيَسْتَغْفِرُونَ اللهَ تَعَالَى، فَيَغْفِرُ لَهُمْ ». رواه مسلم

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «والذي نفسي بيده، لو لم تذنبوا، لذهب الله بكم، وجاء بقوم يذنبون، فيستغفرون الله تعالى، فيغفر لهم ». رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "By the One in Whose Hand my soul is, were you not to commit sins, Allah would replace you with a people who would commit sins and then seek forgiveness from Allah; and Allah would forgive them".

[Muslim].

Commentary: This Hadith also tells us that Allah has a profound liking for such people who are penitent and seek pardon for their sins from Him. So much so that if such people cease to exist who neither commit sins nor seek pardon from Him, He will create people who will do so. It does not, however, mean that He likes sins or the sinful persons. What it really means is that He likes penitence and the penitents. This is the true purport of this Hadith.
It also means that it is natural for man to commit sins, and that Allah loves whenever a slave commits a sin to rush and beg for His forgiveness. (Editor's Note).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১২/৪২৮। আবূ আইয়ূব খালেদ ইবনে যায়দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’তোমরা যদি গুনাহ না কর, তাহলে আল্লাহ তা’আলা এমন জাতি সৃষ্টি করবেন, যারা গুনাহ করবে তারপর তারা (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা চাইবে। আর তিনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن أَبي أَيُّوبَ خَالِدِ بنِ زَيدٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «لَوْلاَ أنَّكُمْ تُذْنِبُونَ، لَخَلَقَ الله خَلْقاً يُذْنِبُونَ، فَيَسْتَغْفِرونَ، فَيَغْفِرُ لَهُمْ ». رواه مسلم

وعن ابي ايوب خالد بن زيد رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «لولا انكم تذنبون، لخلق الله خلقا يذنبون، فيستغفرون، فيغفر لهم ». رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Ayyub Khalid bin Zaid (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Were you not to commit sins, Allah would create people who would commit sins and ask for forgiveness and He would forgive them".

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১৩/৪২৯। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বসেছিলাম। আমাদের সঙ্গে আবূ বকর ও উমার (রাদিয়াল্লাহু ’আনহুমা)ও লোকদের একটি দলে উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্য থেকে উঠে (কোথাও) গেলেন। তারপর তিনি আমাদের নিকট ফিরে আসতে বিলম্ব করলেন। সুতরাং আমরা ভয় করলাম যে, আমাদের অবর্তমানে তিনি (শত্রু) কবলিত না হন। অতঃপর আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে (সভা থেকে) উঠে গেলাম।

সর্বপ্রথম আমিই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সুতরাং আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খোঁজে বের হলাম। এমনকি শেষ পর্যন্ত এক আনসারীর বাগানে এলাম। (অতঃপর) তিনি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করলেন, যাতে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি যাও! অতঃপর (এ বাগানের বাইরে) যার সাথেই তোমার সাক্ষাৎ ঘটবে, যে হৃদয়ের দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-এর সাক্ষ্য দেবে, তাকে তুমি জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে দাও।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا قُعُوداً مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مَعَنَا أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، في نَفَرٍ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ أظْهُرِنَا، فَأبْطَأَ عَلَيْنَا فَخَشِينَا أنْ يُقتَطَعَ دُونَنَا، فَفَزِعْنَا فَقُمْنَا فَكُنْتُ أوَّلَ مَنْ فَزِعَ فَخَرَجْتُ أبْتَغِي رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، حَتَّى أتَيْتُ حَائِطاً للأنْصَارِ ... وَذَكَرَ الحَدِيثَ بِطُولِهِ إِلَى قوله: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اذهَبْ فَمَن لَقِيتَ وَرَاءَ هَذَا الحَائِطِ يَشْهَدُ أنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، مُسْتَيقِناً بِهَا قَلبُهُ فَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ . رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: كنا قعودا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، معنا ابو بكر وعمر رضي الله عنهما، في نفر فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم من بين اظهرنا، فابطا علينا فخشينا ان يقتطع دوننا، ففزعنا فقمنا فكنت اول من فزع فخرجت ابتغي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، حتى اتيت حاىطا للانصار ... وذكر الحديث بطوله الى قوله: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اذهب فمن لقيت وراء هذا الحاىط يشهد ان لا اله الا الله، مستيقنا بها قلبه فبشره بالجنة . رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
We were sitting with Messenger of Allah (ﷺ). Abu Bakr and 'Umar (May Allah be pleased with them) were also there among the audience. In the meanwhile Messenger of Allah (ﷺ) got up and left us. We waited long for his return: When we were worried about his safety, and got scared, we got up. I, therefore, went out to look for Messenger of Allah and came to a garden which belonged to the Ansar. He (ﷺ) said to me "Go and give glad tidings of Jannah to anyone who testifies 'La ilaha illallah (There is no true god except Allah),' being whole-heartedly certain of it"

[Muslim].

Commentary: This Hadith also tells us that ultimately a Muslim will be awarded Jannah. Whether he will go there in the first stage or after suffering the punishment in Hell, is a matter that depends entirely on the Will of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১৪/৪৩০। আব্দুল্লাহ ইবনে ’আমর ইবনুল ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইব্রাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে আল্লাহর এ বাণী পাঠ করলেন, ’’হে আমার প্রতিপালক! এসব প্রতিমা বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে; সুতরাং যে আমার অনুসরণ করবে সে আমার দলভুক্ত, কিন্তু কেউ আমার অবাধ্য হলে তুমি তো চরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’’ (সূরা ইব্রাহীম ৩৬) এবং ঈসা আলাইহিস সালাম-এর উক্তি (এ আয়াতটি পাঠ করলেন), ’’যদি তুমি তাদেরকে শাস্তি প্রদান কর, তবে তারা তোমার বান্দা। আর যদি তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর, তবে তুমি অবশ্যই প্রবল পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।’’ (সূরা মায়েদাহ ১১৮ আয়াত) অতঃপর তিনি তাঁর হাত দু’খানি উঠিয়ে বললেন, ’’হে আল্লাহ! আমার উম্মত, আমার উম্মত।’’

অতঃপর তিনি কাঁদতে লাগলেন। আল্লাহ আয্যা অজাল্ল বললেন, ’হে জিব্রীল! তুমি মুহাম্মাদের নিকট যাও---আর তোমার রব বেশী জানেন---তারপর তাকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা কর?’ সুতরাং জিব্রীল তাঁর নিকট এলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সে কথা জানালেন, যা তিনি (তাঁর উম্মত সম্পর্কে) বলেছিলেন---আর আল্লাহ তা অধিক জানেন। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা বললেন, ’হে জিব্রীল! তুমি (পুনরায়) মুহাম্মাদের কাছে যাও এবং বল, আমি তোমার উম্মতের ব্যাপারে তোমাকে সন্তুষ্ট করে দেব এবং অসন্তুষ্ট করব না।’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص، رضي الله عنهما، أن النبي، صلى الله عليه وسلم، تلا قول الله عز وجل في إبراهيم، صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏(‏رب إنهن أضللن كثيراً من الناس فمن تبعني فإنه مني‏)‏ ‏(‏‏(‏إبراهيم‏:‏36‏)‏‏)‏، وقول عيسى، صلى الله عليه وسلم‏:‏‏(‏إن تعذبهم فإنهم عبادك وإن تغفر لهم فإنك أنت العزيز الحكيم‏)‏ ‏(‏‏(‏المائدة‏:‏ 118‏)‏‏)‏، فرفع يديه وقال‏:‏ ‏"‏اللهم أمتى أمتى” وبكى، فقال الله عز وجل‏:‏‏"‏ ‏"‏ يا جبريل اذهب إلى محمد وربك أعلم، فسله ما يبكيه‏؟‏ “ فأتاه جبريل، فأخبره رسول الله صلى الله عليه وسلم، بما قال‏:‏ وهو أعلم، فقال الله تعالى‏:‏ ‏"‏يا جبريل اذهب إلى محمد فقل‏:‏ إنا سنرضيك في أمتك ولا نسؤوك‏"‏
‏(‏‏(‏رواه مسلم‏)‏‏)‏‏.‏

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص، رضي الله عنهما، ان النبي، صلى الله عليه وسلم، تلا قول الله عز وجل في ابراهيم، صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏(‏رب انهن اضللن كثيرا من الناس فمن تبعني فانه مني‏)‏ ‏(‏‏(‏ابراهيم‏:‏36‏)‏‏)‏، وقول عيسى، صلى الله عليه وسلم‏:‏‏(‏ان تعذبهم فانهم عبادك وان تغفر لهم فانك انت العزيز الحكيم‏)‏ ‏(‏‏(‏الماىدة‏:‏ 118‏)‏‏)‏، فرفع يديه وقال‏:‏ ‏"‏اللهم امتى امتى” وبكى، فقال الله عز وجل‏:‏‏"‏ ‏"‏ يا جبريل اذهب الى محمد وربك اعلم، فسله ما يبكيه‏؟‏ “ فاتاه جبريل، فاخبره رسول الله صلى الله عليه وسلم، بما قال‏:‏ وهو اعلم، فقال الله تعالى‏:‏ ‏"‏يا جبريل اذهب الى محمد فقل‏:‏ انا سنرضيك في امتك ولا نسووك‏"‏ ‏(‏‏(‏رواه مسلم‏)‏‏)‏‏.‏

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) recited the Words of Allah, the Exalted, and the Glorious, about Ibrahim (ﷺ) who said: "O my Rubb! They have led astray many among mankind. But whosoever follows me, he verily, is of me". (14:36) and those of 'Isa (Jesus) (ﷺ) who said: "If You punish them, they are Your slaves, and if You forgive them, verily, You, only You, are the All-Mighty, the All-Wise". (5:118). Then he (ﷺ) raised up his hands and said, "O Allah! My Ummah, my Ummah," and wept; Allah, the Exalted, said: "O Jibril (Gabriel)! Go to Muhammad (ﷺ) and ask him: 'What makes you weep?" So Jibril came to him and asked him (the reason of his weeping) and the Messenger of Allah informed him what he had said (though Allah knew it well). Upon this Allah said: "Jibril, go to Muhammad (ﷺ) and say: 'Verily, We will please you with regard to your Ummah and will never displease you".

[Muslim].

Commentary: This Hadith makes two points clear:
Firstly, the kindness and mercy which the Prophet (PBUH) had for his Ummah, a full manifestation of which will be seen on the Day of Resurrection.
Secondly, the love that Allah has for His Prophet, Muhammad (PBUH). Both these benefits will then go to the advantage of the faithful Muslims as they will be then blessed with Mercy and forgiveness of Allah. May Allah include us among them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১৫/৪৩১। মু’আয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি গাধার উপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সওয়ার ছিলাম। তিনি বললেন, ’’হে মু’আয! তুমি কি জানো, বান্দার উপর আল্লাহর হক কী এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কী?’’ আমি বললাম, ’আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন।’ তিনি বললেন, ’’বান্দার উপর আল্লাহর হক এই যে, সে তাঁরই ইবাদত করবে, এতে তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক এই যে, যে ব্যক্তি তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না তিনি তাকে আযাব দেবেন না।’’ অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি লোকদেরকে (এ) সুসংবাদ দেব না?’ তিনি বললেন, ’’তাদেরকে সুসংবাদ দিও না। কেননা, তারা (এরই উপর) ভরসা করে বসবে। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن مُعَاذِ بنِ جَبَلٍ رضي الله عنه، قَالَ: كُنْتُ رِدْفَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى حِمَارٍ، فَقَالَ: يَا مُعَاذُ، هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الله عَلَى عِبَادِهِ ؟ وَمَا حَقُّ العِبَادِ عَلَى الله ؟ قُلْتُ: اللهُ وَرَسُولُهُ أعْلَمُ . قَالَ: فإنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى العِبَادِ أنْ يَعْبُدُوهُ، وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيئاً، وَحَقَّ العِبَادِ عَلَى اللهِ أنْ لاَ يُعَذِّبَ مَنْ لا يُشْرِكُ بِهِ شَيئاً . فقلتُ: يَا رَسُولَ الله، أفَلا أُبَشِّرُ النَّاسَ ؟ قَالَ: لاَ تُبَشِّرْهُمْ فَيَتَّكِلُوا . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن معاذ بن جبل رضي الله عنه، قال: كنت ردف النبي صلى الله عليه وسلم على حمار، فقال: يا معاذ، هل تدري ما حق الله على عباده ؟ وما حق العباد على الله ؟ قلت: الله ورسوله اعلم . قال: فان حق الله على العباد ان يعبدوه، ولا يشركوا به شيىا، وحق العباد على الله ان لا يعذب من لا يشرك به شيىا . فقلت: يا رسول الله، افلا ابشر الناس ؟ قال: لا تبشرهم فيتكلوا . متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Mu'adh bin Jabal (May Allah be pleased with him) reported:
I was riding a pillion with the Prophet (ﷺ) on a donkey. He (ﷺ) said, "O Mu'adh, do you know what is the right of Allah upon His slaves, and what is the Right of His slaves upon Allah?" I said: "Allah and His Messenger know better". Upon this the Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah's Right upon His slaves is that they should worship Him Alone and associate nothing with Him; and His slaves' right upon Him is that He should not punish who does not associate a thing with Him." He (Mu'adh) added: I said to the Messenger of Allah: "Shall I give the glad tidings to people?" He (ﷺ) said, "Do not tell them this good news for they will depend on it alone".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith tells us that ordinary people, who are generally unable to understand the meanings of things in their context, will think that mere verbal profession of Tauhid and Risalah is sufficient to attain forgiveness, and it is not necessary to do what this profession entails. With this notion, they become unmindful of the obligations. Verbal profession does give them the security that they would not abide in Hell forever for ultimately they will go to Jannah. Our people are generally under the impression that all sinful Muslims, like the perfect Muslims, will go to Jannah in the very first instance. According to proofs furnished by other injunctions of Shari`ah, this is not so. This point has been already discussed at length earlier. In any case, the point made here isthat no Muslim will go to Hell means that no Muslim will abide in Hell for ever. It does not at all mean that however sinful a Muslim may be, he will not be sent to Hell or suffer its torments.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১৬/৪৩২। বারা ইবনে আযিব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিমকে যখন কবরে প্রশ্ন করা হয়, তখন সে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। এই অর্থ রয়েছে আল্লাহ তা’আলার এই বাণীতে, ’যারা মু’মিন তাদেরকে আল্লাহ সুপ্রতিষ্ঠিত বাণী দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে প্রতিষ্ঠা দান করেন।’’ (সূরা ইব্রাহীম ১৭ আয়াত) (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَنِ البَرَاءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: المُسْلِمُ إِذَا سُئِلَ في القَبْرِ يَشْهَدُ أنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، وَأنّ مُحَمّداً رَسُولُ الله، فَذَلِكَ قَولُهُ تَعَالَى: ﴿ يثبت الله الذين آمنوا بالقول الثابت في الحياة الدنيا وفي الآخرة‏﴾ [ابراهيم: ٢٧] . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن البراء بن عازب رضي الله عنهما، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: المسلم اذا سىل في القبر يشهد ان لا اله الا الله، وان محمدا رسول الله، فذلك قوله تعالى: ﴿ يثبت الله الذين امنوا بالقول الثابت في الحياة الدنيا وفي الاخرة‏﴾ [ابراهيم: ٢٧] . متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Bara' bin 'Azib (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "When a believer is questioned in the grave, he testifies that, 'there is no true god except Allah and Muhammad is the Messenger of Allah.' About him the Words of Allah, the Exalted, are: 'Allah will keep firm those who believe, with the firm statement (The Testimony of Faith) in this world and the Hereafter)". (14:27)

Commentary: This Hadith mentions both the parts of the Shahadah together, that is to say "La ilaha illallah, Muhammad-ur-Rasulullah'' (There is no true god except Allah, and Muhammad (PBUH) is the Messenger of Allah). The questioning in the grave is beyond question and is a part of Muslim Belief. Every Muslim will, by the Grace of Allah, give their correct answers in respect of Tauhid and Risalah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১৭/৪৩৩। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কাফের যখন দুনিয়াতে কোনো পুণ্য কাজ করে, তখন বিনিময়ে তাকে দুনিয়ার (কিছু আনন্দ/খাবার জাতীয়) উপভোগ করতে দেওয়া হয়। (আর আখেরাতে সে এর কিছুই প্রতিদান পাবে না)। কিন্তু মু’মিনের জন্য আল্লাহ তা’আলা আখেরাতে তার প্রতিদানকে সঞ্চিত করে রাখেন এবং দুনিয়াতে তিনি তাকে জীবিকা দেন তাঁর আনুগত্যের বিনিময়ে।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’মহান আল্লাহ কোন মু’মিনের উপর তার নেকীর ব্যাপারে যুলুম করেন না। তাকে তার প্রতিদান দুনিয়াতেও দেওয়া হয় এবং আখেরাতেও দেওয়া হবে। কিন্তু কাফেরকে ভাল কাজের বিনিময়--যা সে আল্লাহর জন্য করে--দুনিয়াতেই দিয়ে দেওয়া হয়। এমন কি যখন সে আখেরাতে পাড়ি দেবে, তখন তার এমন কোনো পুণ্য থাকবে না যে, তার বিনিময়ে তাকে কিছু (পুরস্কার) দেওয়া যাবে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إنّ الكَافِرَ إِذَا عَمِلَ حَسَنَةً، أُطعِمَ بِهَا طُعْمَةً مِنَ الدُّنْيَا، وَأَمَّا المُؤْمِنُ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى يَدَّخِرُ لَهُ حَسَنَاتِهِ في الآخِرَةِ، وَيُعْقِبُهُ رِزْقاً في الدُّنْيَا عَلَى طَاعَتِهِ
وَفي رِوَايَةٍ: إنَّ الله لاَ يَظْلِمُ مُؤْمِناً حَسَنَةً يُعْطَى بِهَا في الدُّنْيَا، وَيُجْزَى بِهَا في الآخِرَةِ . وَأَمَّا الكَافِرُ فَيُطْعَمُ بِحَسَنَاتِ مَا عَمِلَ للهِ تَعَالَى فِي الدُّنْيَا، حَتَّى إِذَا أفْضَى إِلَى الآخرَةِ، لَمْ يَكُنْ لَهُ حَسَنَةٌ يُجْزَى بِهَا. رواه مسلم

وعن انس رضي الله عنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: ان الكافر اذا عمل حسنة، اطعم بها طعمة من الدنيا، واما المومن فان الله تعالى يدخر له حسناته في الاخرة، ويعقبه رزقا في الدنيا على طاعته وفي رواية: ان الله لا يظلم مومنا حسنة يعطى بها في الدنيا، ويجزى بها في الاخرة . واما الكافر فيطعم بحسنات ما عمل لله تعالى في الدنيا، حتى اذا افضى الى الاخرة، لم يكن له حسنة يجزى بها. رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "When an infidel accomplishes any good deed, he is rewarded for it in this world; and in the case of a Muslim, Allah stores up his good acts for him in the Hereafter and provides him with subsistence in this life due to his obedience."

Another narration is: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah does not wrong a believer a good deed because he is given blessings for it in this world and will be rewarded for it in the Hereafter. But the infidel is given in the world the reward for good deeds, he has performed for the sake of Allah and when he comes to the Hereafter, there is no good deed for which he can be rewarded".

[Muslim].

Commentary: The infidels also do in this world many works which are for public welfare, or which come under the category of good deeds. Almighty Allah gives them reward for such good deeds in this world in the form of wealth, sound health, or saving them from some trouble, because Belief is precondition for reward in the Hereafter. Since an infidel is deprived of it, he will also be deprived of their reward in the Hereafter. Thus, we learn that Belief constitutes the basis of every action and is a precondition for the acceptance of any good deed by Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১৮/৪৩৪। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’পাঁচ ওয়াক্তের নামাযের উদাহরণ প্রচুর পানিতে পরিপূর্ণ ঐ নদীর মত, যা তোমাদের কারো দুয়ারের (সামনে বয়ে) প্রবাহিত হয়, যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الخَمْسِ كَمَثَلِ نَهْرٍ جَارٍ غَمْرٍ عَلَى بَابِ أحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْم خَمْسَ مَرَّات ». رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مثل الصلوات الخمس كمثل نهر جار غمر على باب احدكم يغتسل منه كل يوم خمس مرات ». رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The five daily Salat (prayers) are like a great river running by your door in which you take a bath five times a day."

[Muslim].

Commentary: This Hadith mentions the merits of performing the five-times prescribed Salat (prayer) punctually. A person who takes bath five times daily, cannot have any dirt on his body; similarly, one who performs Salat regularly is washed of all the minor sins. If he repents and makes penitence, his major sins are also pardoned. One who is meticulous about Salat and other obligations, generally does not commit any major sin but if at all he commits it, he does not stick to it. He is sorry for it and abandons it. His minor sins are washed away by his Salat.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

১৯/৪৩৫। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’যে কোনো মুসলিম মারা যায় আর তার জানাযায় এমন চল্লিশজন লোক শরীক হয়, যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না। নিশ্চয় আল্লাহ তার ব্যাপারে তাদের সুপারিশ কবূল করেন।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ:«مَا مِنْ رَجُلٍ مُسْلِمٍ يَمُوتُ، فَيقُومُ عَلَى جَنَازَتهِ أرْبَعُونَ رَجُلاً لاَ يُشْرِكُونَ بِاللهِ شَيئاً، إلاَّ شَفَّعَهُمُ اللهُ فِيهِ ». رواه مسلم

وعن ابن عباس رضي الله عنهما، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول:«ما من رجل مسلم يموت، فيقوم على جنازته اربعون رجلا لا يشركون بالله شيىا، الا شفعهم الله فيه ». رواه مسلم

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Any Muslim dies and forty men who do not associate anything with Allah (in worship), perform his funeral prayer, Allah makes them intercede for him".

[Muslim]

1. The acceptance of intercession here means that Allah grants the prayer which they (intercessors) make for the deceased and forgives him, provided he is worthy of it.

2.A large number of Muwahhidun (believers in the Oneness of Allah) in a funeral holds greater promise of the pardon of the deceased.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫১: আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব

২০/৪৩৬। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমরা প্রায় চল্লিশ জন মানুষ রাসূলুললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে একটি তাঁবুতে ছিলাম। একসময় তিনি বললেন, ’’তোমরা কি পছন্দ কর যে, তোমরা জান্নাতবাসীদের এক চতুর্থাংশ হবে?’’ আমরা বললাম, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’তোমরা কি জান্নাতবাসীদের এক তৃতীয়াংশ হতে পছন্দ কর?’’ আমরা বললাম, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’তাঁর শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ আছে, আমি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশী যে, জান্নাতবাসীদের অর্ধেক তোমরাই হবে। এটা এ জন্য যে, শুধুমাত্র মুসলিম প্রাণ ছাড়া অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমরা এরূপ, যেরূপ কালো বলদের গায়ে (একটি) সাদা লোম অথবা লাল বলদের গায়ে (একটি) কালো লোম।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الرَّجَاءِ - (51)

وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم في قُبَّة نَحْواً مِنْ أربَعِينَ، فَقَالَ:أتَرْضَونَ أنْ تَكُونُوا رُبُعَ أهْلِ الجَنَّةِ ؟ قُلْنَا: نَعَمْ . قَالَ: أتَرْضَوْنَ أنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أهلِ الجَنَّةِ ؟ قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمّدٍ بيَدِهِ، إنِّي لأَرْجُو أنْ تَكُونُوا نِصْفَ أهْلِ الجَنَّةِ وَذَلِكَ أنَّ الجنَّةَ لاَ يَدْخُلُهَا إلاَّ نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ، ومَا أنْتُم في أهْلِ الشِّركِ إلاَّ كَالشَّعْرَةِ البَيْضَاءِ فِي جِلدِ الثَّورِ الأَسْوَدِ، أَوْ كَالشَّعْرَةِ السَّودَاءِ في جِلدِ الثَّورِ الأحْمَر . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، قال: كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في قبة نحوا من اربعين، فقال:اترضون ان تكونوا ربع اهل الجنة ؟ قلنا: نعم . قال: اترضون ان تكونوا ثلث اهل الجنة ؟ قلنا: نعم، قال: والذي نفس محمد بيده، اني لارجو ان تكونوا نصف اهل الجنة وذلك ان الجنة لا يدخلها الا نفس مسلمة، وما انتم في اهل الشرك الا كالشعرة البيضاء في جلد الثور الاسود، او كالشعرة السوداء في جلد الثور الاحمر . متفق عليه

(51) Chapter: Hope in Allah's Mercy


'Abdullah bin Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
There were, about forty of us with Messenger of Allah (ﷺ) in a camp when he said, "Aren't you pleased that you will constitute one-fourth of the inhabitants of Jannah?" We said, "Yes". He again said, "Aren't you pleased that you will constitute one-third of the inhabitants of Jannah?". We said: "Yes." Upon this he (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand Muhammad's soul is, I hope that you will constitute one-half of the inhabitants of Jannah; and the reason is that only Muslims will be admitted into Jannah; and you are no more compared to the polytheists than as a white hair on the skin of a black ox, or a black hair on the skin of a white ox."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith reveals the following two points:
1. As compared with the believers and the faithful, there will be a large number of infidels in Hell.
2. As compared with the followers of other Prophets, there will be a larger number of Muslims in Jannah, to the extent that half of its occupants will be Muslims. This Hadith has glad tidings for the Muslim Ummah and bestows great respect and honour on them. (May Allah include us among them.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »