পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ عَسَىٰ أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا ﴾ (الاسراء: ٧٩)

অর্থাৎ রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইসরাইল ৭৯ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَطَمَعًا وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ ﴾ (السجدة: ١٦)

অর্থাৎ তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে। (সূরা সেজদা ১৬ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন, ﴿كَانُوا قَلِيلًا مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ﴾ (الذاريات: ١٧)

অর্থাৎ তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত। (সূরা যারিয়াত ১৭ আয়াত)


১/১১৬৭। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রির একাংশে (নামাযে) এত দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করতেন যে, তাঁর পা ফুলে ফাটার উপক্রম হয়ে পড়ত। একদা আমি তাঁকে বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এত কষ্ট সহ্য করছেন কেন? অথচ আপনার তো পূর্ব ও পরের গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বললেন, “আমি কি শুকরগুযার বান্দা হব না?” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُومُ مِنَ اللَّيْلِ حَتَّى تَتَفَطَّرَ قَدَمَاهُ، فَقُلْتُ لَهُ: لِمَ تَصْنَعُ هَذَا، يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَقَدْ غُفِرَ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأخَّرَ ؟ قَالَ: «أَفَلاَ أَكُونُ عَبْداً شَكُوراً؟» متفقٌ عَلَيْهِ .

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت: كان النبي صلى الله عليه وسلم يقوم من الليل حتى تتفطر قدماه، فقلت له: لم تصنع هذا، يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، وقد غفر لك ما تقدم من ذنبك وما تاخر ؟ قال: «افلا اكون عبدا شكورا؟» متفق عليه .

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Allah, the Exalted, says:
"And in some parts of the night (also) perform the Salat (prayer) with it (i.e., recite the Qur'an in the prayer) as an additional prayer (Tahajjud optional prayer - Nawafil) for you (O Muhammad (PBUH)). It may be that your Rubb will raise you to Maqam Mahmud (a station of praise and glory, i.e., the honour of intercession on the Day of Resurrection).'' (17:79)
"Their sides forsake their beds...'' (32:16)
"They used to sleep but little by night [invoking their Rubb (Allah) and praying, with fear and hope].''
(51:17)

'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Prophet (ﷺ) kept standing (in prayer) so long that the skin of his feet would crack. I asked him: "Why do you do this, while you have been forgiven of your former and latter sins?" He said, "Should I not be a grateful slave of Allah?"

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned. It is reproduced here to illustrate the practice of the Prophet (PBUH) in respect of Qiyam-ul-Lail. It tells us that:
1. The Nafl Salat should be performed with full concentration and peace of mind.
2. The more one is endowed with gifts from Allah, the greater gratitude and worship one should express for them to Allah.
3. The best time for showing one's humility before Allah and for worship is the later period of night.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

২/১১৬৮। মুগীরা ইবনে শু’বা হতেও অনুরূপ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَن المُغِيرَةِ بن شُعبة رضي الله عنه نَحْوهُ متفقٌ عَلَيْهِ

وعن المغيرة بن شعبة رضي الله عنه نحوه متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

৩/১১৬৯। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ও ফাতেমার নিকট রাত্রি বেলায় আগমন করলেন এবং বললেন, “তোমরা স্বামী-স্ত্রী কি (তাহাজ্জুদের) নামায পড় না?” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ عَليٍّ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ لَيْلاً، فَقَالَ: «أَلاَ تُصَلِّيَانِ ؟» متفقٌ عَلَيْهِ

وعن علي رضي الله عنه: ان النبي صلى الله عليه وسلم طرقه وفاطمة ليلا، فقال: «الا تصليان ؟» متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Ali (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) visited me and Fatimah (May Allah be pleased with her) one night and said, "Do you not observe prayer (at night)?"

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith tells us that one should also awaken others at night for prayer so that they also avail the benefits of performing prayer at this particular time.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

৪/১১৭০। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) বললেন, “আব্দুল্লাহ ইবনে উমার কতই না ভাল মানুষ হত, যদি সে রাতে (তাহাজ্জুদের) নামায পড়ত।” সালেম বলেন, ’তারপর থেকে (আমার আব্বা) আব্দুল্লাহ রাতে অল্পক্ষণই ঘুমাতেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ سَالِمِ بنِ عَبدِ الله بنِ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنهما، عَن أَبيِهِ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللهِ، لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيلِ». قَالَ سالِم: فَكَانَ عَبدُ اللهِ بَعْدَ ذَلِكَ لاَ يَنامُ مِنَ اللَّيلِ إِلاَّ قَلِيلاً . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن سالم بن عبد الله بن عمر بن الخطاب رضي الله عنهما، عن ابيه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «نعم الرجل عبد الله، لو كان يصلي من الليل». قال سالم: فكان عبد الله بعد ذلك لا ينام من الليل الا قليلا . متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Salim bin 'Abdullah bin 'Umar bin Al-Khattab (May Allah be pleased with them) reported, on the authority of his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) said, "What an excellent man 'Abdullah is! If only he could perform optional prayers at night." Salim said that after this, (his father) 'Abdullah slept very little at night.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith points out the excellence of `Abdullah bin `Umar (May Allah be pleased with them) as well as the merits of Qiyam-ul-Lail. It also tells us that it is permissible to praise someone in his presence if one is sure that he will not become proud due to that praise. Another aspect of this Hadith is that it induces one to wish for others' welfare and happiness.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

৫/১১৭১। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যক্তির মত হইয়ো না। সে রাতে উঠে নামায পড়ত, তারপর রাতে উঠা ছেড়ে দিল।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم :«يَا عَبدَ اللهِ، لاَ تَكُنْ مِثْلَ فُلاَنٍ ؛ كَانَ يَقُومُ اللَّيلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيلِ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم :«يا عبد الله، لا تكن مثل فلان ؛ كان يقوم الليل فترك قيام الليل». متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said to me, "Do not be like so-and-so O 'Abdullah! He used to pray during the night, then stopped the practice."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

৬/১১৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমন একটি লোকের কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করা হল, যে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে রাত্রি যাপন করে। তিনি বললেন, “এ এমন এক মানুষ, যার দু’কানে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে।” অথবা বললেন, “যার কানে প্রস্রাব করে দিয়েছে।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ نَامَ لَيْلَةً حَتَّى أَصْبَحَ، قَالَ: «ذَاكَ رَجُلٌ بَالَ الشَّيطَانُ في أُذُنَيْهِ - أَوْ قَالَ: فِي أُذُنِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، قال: ذكر عند النبي صلى الله عليه وسلم رجل نام ليلة حتى اصبح، قال: «ذاك رجل بال الشيطان في اذنيه - او قال: في اذنه». متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Abdullah bin Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
Mention was made before the Prophet (ﷺ) of a man who slept throughout the night till morning. The Messenger of Allah (ﷺ) remarked, "He is a man in whose ears Satan urinated."

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith holds inducement for Qiyam-ul-Lail and highlights its merits. It also urges one to perpetuate his good actions, follow the practice of the righteous and avoid the way of those who are negligent or become negligent in the performance of virtuous deeds. Urination of Satan in a person's ear or ears can be literally true (although we cannot perceive it) because if a person does not seek the protection of Allah against Satan, then Satan joins him in food and other activities, as is evident from other Ahadith. Therefore, urination of Satan is also possible. Some people think it is a metaphor to the effect that he who does not get up at night for prayer and goes on enjoying his sleep, Satan `closes' his ears until he does not hear the remembrance of Allah. Some others consider it a metaphor for the contempt and insult of Satan. In either case, we learn from this Hadith that missing the Qiyam-ulLail is disliked because it provides Satan an opportunity to create mischief, and he succeeds in creating obstructions in the worship and obedience of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

৭/১১৭৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় তখন) তার গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়; প্রত্যেক গাঁটে সে এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, ’তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও।’ অতঃপর যদি সে জেগে উঠে আল্লাহর যিকির করে, তাহলে একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি ওযু করে, তবে তার আর একটি গাঁট খুলে যায়। তারপর যদি নামায পড়ে, তাহলে সমস্ত গাঁট খুলে যায়। আর তার প্রভাত হয় স্ফূর্তি ও ভালো মনে। নচেৎ সে সকালে ওঠে কলুষিত মনে ও অলসতা নিয়ে।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «يَعْقِدُ الشَّيطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأسِ أَحَدِكُمْ، إِذَا هُوَ نَامَ، ثَلاَثَ عُقَدٍ، يَضْرِبُ عَلَى كُلِّ عُقْدَةٍ: عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيلٌ فَارْقُدْ، فَإِنِ اسْتَيقَظَ، فَذَكَرَ اللهَ تَعَالَى انحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَإِنْ تَوَضَّأَ، انْحَلّتْ عُقدَةٌ، فَإِنْ صَلَّى، انْحَلَّتْ عُقَدُهُ كُلُّهَا، فَأَصْبَحَ نَشِيطاً طَيِّبَ النَّفْسِ، وَإِلاَّ أَصْبحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلاَنَ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «يعقد الشيطان على قافية راس احدكم، اذا هو نام، ثلاث عقد، يضرب على كل عقدة: عليك ليل طويل فارقد، فان استيقظ، فذكر الله تعالى انحلت عقدة، فان توضا، انحلت عقدة، فان صلى، انحلت عقده كلها، فاصبح نشيطا طيب النفس، والا اصبح خبيث النفس كسلان». متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When any one of you sleeps, Satan ties three knots at the back of his neck. He recites this incantation at every knot: 'You have a long night, so sleep.' If he awakes and remembers Allah, one knot is loosened. If he performs Wudu', the (second) knot is loosened; and if he performs prayer, (all) knots are loosened. He begins his morning in a happy and refreshed mood; otherwise, he gets up in bad spirits and sluggish state."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: "Tying knots'' can be literal, the way magicians do it in their magical exercises. With this practice Satan tries to withhold people from the worship of Allah. Some people are of the opinion that it is a metaphor for sleepiness/dozing. In any case, Satan does his level best to withhold a person from the worship of Allah. Satan experiences frustration if someone gets up at night for prayer; he also experiences happiness if he manages to keep someone asleep until dawn


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

৮/১১৭৪। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে লোক সকল! তোমরা ব্যাপকভাবে সালাম প্রচার কর, (ক্ষুধার্তকে) অন্ন দাও এবং লোকে যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকবে তখন নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ سَلاَمٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَيُّهَا النَّاسُ: أَفْشُوا السَّلاَمَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصَلُّوا بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلاَمٍ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

وعن عبد الله بن سلام رضي الله عنه: ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «ايها الناس: افشوا السلام، واطعموا الطعام، وصلوا بالليل والناس نيام، تدخلوا الجنة بسلام». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Abdullah bin Salam (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "O people, promote the greetings, feed (the poor and needy) and perform Salat when others are asleep so that you will enter Jannah safely."

[At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith has glad tidings for those who enthusiastically do all the good works mentioned in this Hadith. "Enter Jannah in peace'' here means that they will enter Jannah without suffering any punishment in Hell.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

৯/১১৭৫। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রমযান মাসের রোযার পর সর্বোত্তম রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হচ্ছে রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।” (মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ: شَهْرُ اللهِ المُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الفَرِيضَةِ: صَلاَةُ اللَّيْلِ». رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «افضل الصيام بعد رمضان: شهر الله المحرم، وافضل الصلاة بعد الفريضة: صلاة الليل». رواه مسلم

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best month for observing Saum (fasting) after Ramadan is Muharram, and the best Salat after the prescribed Salat is Salat at night."

[Muslim].

Commentary: The month of Muharram is related to Allah which makes its eminence clear. It shows that in the optional Saum (fasting) the most meritorious are those which are observed in this month. After the obligatory Salat, the most meritorious is the optional Salat performed at night.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১০/১১৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রাতের নামায দু’ দু’ রাকআত করে। অতঃপর যখন ফজর হওয়ার আশংকা করবে, তখন এক রাকআত বিতির পড়ে নেবে।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خِفْتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما: ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «صلاة الليل مثنى مثنى، فاذا خفت الصبح فاوتر بواحدة». متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Salat during the night should consist of pairs of but if you fear that morning is near, then pray one Rak'ah as Witr."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১১/১১৭৭। উক্ত (আব্দুল্লাহ ইবনে উমার) রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলায় দু’ দু’ রাকআত করে নামায পড়তেন এবং এক রাকআত বিতির পড়তেন।’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْه، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى، وَيُوتِرُ بِرَكْعَةٍ .متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه، قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم يصلي من الليل مثنى مثنى، ويوتر بركعة .متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) performed the night prayer in pairs (i.e., Rak'ah) and made it odd number by observing one Rak'ah (as Witr).

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Both the foregoing Ahadith tell us that the Nafl Salat performed at night should be in the form of couplets followed by one Rak`ah of Witr. Thus, this Hadith not only brings out justification for one Rak`ah Witr but also proves its superiority. Even if one has to perform three Rak`ah Witr, he should first perform two and then perform one separately.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১২/১১৭৮। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’কোন কোন মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে রোযা ত্যাগ করতেন যে, মনে হত তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত মাসে আর রোযাই রাখবেন না। অনুরূপভাবে কোন মাসে এমনভাবে (একাদিক্রমে) রোযা রাখতেন যে, মনে হত তিনি ঐ মাসে আর রোযা ত্যাগই করবেন না। (তাঁর অবস্থা এরূপ ছিল যে,) যদি তুমি তাঁকে রাত্রিতে নামায পড়া অবস্থায় দেখতে না চাইতে, তবু বাস্তবে তাঁকে নামায পড়া অবস্থায় দেখতে পেতে। আর তুমি যদি চাইতে যে, তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখবে না, কিন্তু বাস্তবে তুমি তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেতে।’ (বুখারী) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يَصُومَ مِنْهُ، وَيَصُومُ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يُفْطِرَ مِنْهُ شَيْئاً، وَكَانَ لاَ تَشَاءُ أَنْ تَرَاهُ مِنَ اللَّيلِ مُصَلِّياً إِلاَّ رَأيْتَهُ، وَلاَ نَائِماً إِلاَّ رَأيْتَهُ . رواه البخاري

وعن انس رضي الله عنه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يفطر من الشهر حتى نظن ان لا يصوم منه، ويصوم حتى نظن ان لا يفطر منه شيىا، وكان لا تشاء ان تراه من الليل مصليا الا رايته، ولا ناىما الا رايته . رواه البخاري

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to leave off observing Saum (fasting) during a month until we thought that he would not observe Saum at all during it; and (sometimes) he would observe Saum till we began to think that he would not omit any day of that month. If one wished to see him performing Salat during the night, he could do that; and if one wished to see him sleeping at night, he could do that.

[Al- Bukhari].

Commentary: What this Hadith tells us is that whether it was optional Saum (fasting) or optional Salat (Nawafil) of the night, that is to say Qiyam-ul-Lail, the Prophet (PBUH) did not have a permanent routine for it. Sometimes it so happened that almost the month passed but he did not observe fasting and then a few days before the end of the month he would start fasting. Sometimes, he would fast day after day continuously, and it would appear as if he would continue fasts for the whole month, but he would then suddenly terminate fasts. Similar was the case of Tahajjud. Sometimes, he would perform Tahajjud prayer in the first portion of the night, sometimes in the second, and sometimes in its later portion. Thus, he was found sleeping and performing Salat in every part of the night.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১৩/১১৭৯। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগার রাকআত নামায পড়তেন, অর্থাৎ রাতে। তিনি মাথা তোলার পূর্বে এত দীর্ঘ সেজদা করতেন যে, ততক্ষণে তোমাদের কেউ পঞ্চাশ আয়াত পড়তে পারবে। আর ফরয নামাযের পূর্বে দু’ রাকআত সুন্নত নামায পড়ে ডান পাশে শুয়ে আরাম করতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর নিকট নামাযের ঘোষণাকারী এসে হাযির হত।’ (বুখারী)[1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً ـ تَعْنِي فِي اللَّيلِ ـ يَسْجُدُ السَّجْدَةَ مِنْ ذَلِكَ قَدْرَ مَا يَقْرَأُ أَحَدُكُمْ خَمْسِينَ آيَةً قَبْلَ أَنْ يَرْفَعَ رَأسَهُ، وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاَةِ الفَجْرِ، ثُمَّ يَضْطَجِعُ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَأتِيَهُ المُنَادِي للصَلاَةِ. رواه البخاري

وعن عاىشة رضي الله عنها: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كان يصلي احدى عشرة ركعة ـ تعني في الليل ـ يسجد السجدة من ذلك قدر ما يقرا احدكم خمسين اية قبل ان يرفع راسه، ويركع ركعتين قبل صلاة الفجر، ثم يضطجع على شقه الايمن حتى ياتيه المنادي للصلاة. رواه البخاري

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to perform eleven Rak'ah (of Tahajjud) prayers at night. He (ﷺ) would prostrate so long as one of you might recite fifty Ayat (of the Qur'an). Thereafter, he would perform two Rak'ah before Fajr prayers and would lie down on his right side till the Mu'adhdhin would come and inform him about the time of (Fajr) prayer.

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith tells us that it was a practice of the Prophet (PBUH) to sleep on his right side after performing two Sunnah of Fajr prayer. It also tells us that he used to make long prostrations in Tahajjud prayer, because one gets closer to Allah in a state of prostration. This Hadith also stresses on utmost concentration in Salat as it is highly pleasing to Allah and there is a greater possibility of acceptance of prayer which is made in a state of prostration.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১৪/১১৮০। উক্ত (আয়িশা) রাবী রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ও অন্যান্য মাসে (তাহাজ্জুদ তথা তারাবীহ) ১১ রাকআতের বেশী পড়তেন না। প্রথমে চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্পর্কে প্রশ্নই করো না। তারপর (আবার) চার রাকআত পড়তেন। সুতরাং তার সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে প্রশ্নই করো না। অতঃপর তিন রাকআত (বিতির) পড়তেন। (একদা তিনি বিতির পড়ার আগেই শুয়ে গেলেন।) আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতির পড়ার পূর্বেই ঘুমাবেন?” তিনি বললেন, “আয়েশা! আমার চক্ষুদ্বয় ঘুমায়; কিন্তু অন্তর জেগে থাকে।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْها، قَالَتْ: مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَزيدُ - فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ - عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً: يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعاً فَلاَ تَسْألْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاثاً. فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ فَقَالَ: «يَا عَائِشَة، إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي». متفقٌ عَلَيْهِ

وعنها، قالت: ما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يزيد - في رمضان ولا في غيره - على احدى عشرة ركعة: يصلي اربعا فلا تسال عن حسنهن وطولهن، ثم يصلي اربعا فلا تسال عن حسنهن وطولهن، ثم يصلي ثلاثا. فقلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اتنام قبل ان توتر؟ فقال: «يا عاىشة، ان عيني تنامان ولا ينام قلبي». متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) did not observe more than eleven Rak'ah (of Tahajjud prayers), be in Ramadan or any other month. First of all he would perform four Rak'ah. Ask not about their excellence and their length. He (ﷺ) would then perform four more Rak'ah; and do not ask about their excellence and their length. Then he would perform three Rak'ah (Witr prayer). ('Aishah (May Allah be pleased with her) added) I submitted: "O Messenger of Allah! Do you sleep before performing the Witr prayer?" He (ﷺ) said, "O 'Aishah! My eyes sleep but my heart does not sleep."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary:
1. "My heart does not sleep'' signifies that "usually I am not so overwhelmed by sleep that I miss the Salat''. Some people give a different interpretation of this by saying that his Wudu' remained intact as his heart was awake. This is one of the attributes of the Prophet (PBUH). This Hadith stresses on performing Salat with full decorum and concentration because this is the way the Prophet (PBUH) did it. The real beauty of Salat lies in performing it in accordance with the Sunnah of the Prophet (PBUH) and with full peace of mind.

2. If one is confident of getting up in the later part of the night, one can perform Witr after Tahajjud prayer; but if one is not sure of getting up at the time of Tahajjud then it is better to perform Witr after `Isha' prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১৫/১১৮১। উক্ত রাবী (আয়িশা) রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের প্রথম দিকে ঘুমাতেন ও শেষের দিকে উঠে নামায পড়তেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি এরূপ করতেন নচেৎ এর ব্যতিক্রমও করতেন।)

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْها: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيلِ، وَيَقُومُ آخِرَهُ فَيُصَلِّي . متفقٌ عَلَيْهِ

وعنها: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان ينام اول الليل، ويقوم اخره فيصلي . متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Prophet (ﷺ) would sleep during the early part of night and stand in Salat during the latter part.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith tells us about the ordinary routine of the Prophet (PBUH). Ordinarily, he would go to sleep in the first part of the night and perform Tahajjud prayer in the later portion, which is the best time for it. But, as already mentioned in the preceding Ahadith, he sometimes also performed it in the early as well as middle hours of the night.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১৬/১১৮২। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক রাতে নামায পড়েছি। তিনি এত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে রইলেন যে, শেষ পর্যন্ত আমি একটা মন্দ কাজের ইচ্ছা করে ফেলেছিলাম।’ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ’সে ইচ্ছাটা কি করেছিলেন?’ তিনি বললেন, ’আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, তাঁকে ছেড়ে দিয়ে বসে পড়ি।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنِ ابنِ مَسعُود رضي الله عنه، قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً، فَلَمْ يَزَلْ قَائِماً حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سُوءٍ ! قِيلَ: مَا هَمَمْتَ ؟ قَالَ: هَمَمْتُ أَنْ أَجِلْسَ وَأَدَعَهُ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، قال: صليت مع النبي صلى الله عليه وسلم ليلة، فلم يزل قاىما حتى هممت بامر سوء ! قيل: ما هممت ؟ قال: هممت ان اجلس وادعه . متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
One night I joined the Prophet (ﷺ) in his (optional) Salat. He (ﷺ) prolonged the Qiyam (standing) so much that I made up my mind to commit an act of wrong. He was questioned: "What did you intend to do?" He replied: "I intended to sit down and stop following him (in Salat)."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: We learn from this Hadith that:
1. Qiyam-ul-Lail (Tahajjud prayer) must be fairly long and every constituent of it should be performed with full peace of mind.
2. It is permissible to perform Nafl Salat in congregation.
3. In case an Imam inordinately lengthens a Salat, it is permissible for his followers to detach themselves from the congregation. But Ibn Mas`ud has regarded his intention to do so as bad, and for this reason its justification becomes doubtful. Since the Imam has been exhorted to take care of his followers in Salat, this apparently furnishes justification for the detachment.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১৭/১১৮৩। হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক রাতে নামায পড়লাম। তিনি সূরা বাকারাহ আরম্ভ করলেন। আমি (মনে মনে) বললাম, ’একশত আয়াতের মাথায় তিনি রুকু করবেন।’ (কিন্তু) তিনি তারপরও কিরাত চালু রাখলেন। আমি (মনে মনে) বললাম, ’তিনি এরই দ্বারা (সূরা শেষ করে) রুকু করবেন।’ কিন্তু তিনি সূরা নিসা পড়তে আরম্ভ করলেন এবং সম্পূর্ণ পড়লেন। তারপর তিনি সূরা আলে ইমরান আরম্ভ করলেন এবং সম্পূর্ণ করলেন। তিনি স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে তেলাওয়াত করতেন।

যখন এমন আয়াত আসত, যাতে তাসবীহ পাঠ করার উল্লেখ আছে, তখন (আল্লাহর) তাসবীহ পাঠ করতেন। যখন কোন প্রার্থনা সম্বলিত আয়াত অতিক্রম করতেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন। যখন কোন আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত অতিক্রম করতেন, তখন তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (অতঃপর) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকু করলেন। সুতরাং তিনি রুকুতে ’সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম’ পড়তে আরম্ভ করলেন। আর তাঁর রুকু ও কিয়াম (দাঁড়িয়ে কিরাত পড়া অবস্থা) এক সমান ছিল। তারপর তিনি রুকু থেকে মাথা তুলে ’সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ, রাববানা অলাকাল হামদ’ (অর্থাৎ আল্লাহ সেই ব্যক্তির প্রশংসা শুনলেন, যে তা তাঁর জন্য করল। হে আমাদের পালনকর্তা তোমার সমস্ত প্রশংসা) পড়লেন।

অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ (কওমায়) দাঁড়িয়ে থাকলেন রুকুর কাছাকাছি সময় জুড়ে। তারপর সেজদা করলেন এবং তাতে তিনি পড়লেন, ’সুবহানাল্লা রাব্বিয়াল আ’লা’ (অর্থাৎ আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। আর তাঁর সেজদা দীর্ঘ ছিল তার কিয়াম (দাঁড়িয়ে কিরাত পড়া অবস্থা)র কাছাকাছি। (মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ حُذَيفَةَ رضي الله عنه، قَالَ: صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَافْتَتَحَ البَقَرَةَ، فَقُلْتُ: يَرْكَعُ عِنْدَ المئَةِ، ثُمَّ مَضَى، فَقُلتُ: يُصَلِّي بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَمَضَى، فَقُلتُ: يَرْكَعُ بِهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ النِّسَاءَ فَقَرَأَهَا، ثُمَّ افْتَتَحَ آلَ عِمْرَانَ فَقَرَأَهَا، يَقرَأُ مُتَرَسِّلاً: إِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَسبِيحٌ سَبَّحَ، وَإِذَا مَرَّ بِسُؤَالٍ سَأَلَ، وَإِذَا مَرَّ بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ، ثُمَّ رَكَعَ، فَجَعَلَ يَقُوْلُ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ العَظِيمِ» فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْواً مِنْ قِيَامِهِ، ثُمَّ قَالَ: «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا لَكَ الحَمْدُ» ثُمَّ قَامَ طَوِيلاً قَرِيباً مِمَّا رَكَعَ، ثُمَّ سَجَدَ، فَقَالَ: «سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى» فَكَانَ سجُودُهُ قَريباً مِنْ قِيَامِهِ. رواه مسلم.

وعن حذيفة رضي الله عنه، قال: صليت مع النبي صلى الله عليه وسلم ذات ليلة فافتتح البقرة، فقلت: يركع عند المىة، ثم مضى، فقلت: يصلي بها في ركعة فمضى، فقلت: يركع بها، ثم افتتح النساء فقراها، ثم افتتح ال عمران فقراها، يقرا مترسلا: اذا مر باية فيها تسبيح سبح، واذا مر بسوال سال، واذا مر بتعوذ تعوذ، ثم ركع، فجعل يقول: «سبحان ربي العظيم» فكان ركوعه نحوا من قيامه، ثم قال: «سمع الله لمن حمده، ربنا لك الحمد» ثم قام طويلا قريبا مما ركع، ثم سجد، فقال: «سبحان ربي الاعلى» فكان سجوده قريبا من قيامه. رواه مسلم.

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Hudhaifah (May Allah be pleased with him) reported:
I performed Salat with the Prophet (ﷺ) one night, and he started reciting Surat Al- Baqarah. I thought that he would go in Ruku' (bowing posture in Salat) at the end of one hundred Ayat, but he continued (reciting); and I thought that he would perhaps recite (this Surah) in the whole Rak'ah (prayer), but he continued the recitation; I thought he would perhaps bow on completing (this Surah). He (ﷺ) then started reciting Surat An-Nisa' which he followed with Surat Al-Imran. He recited leisurely. When he recited an Ayah which mentioned the tasbeeh, he would say Subhan Allah and when he recited the Ayah which tells how the Rubb is to be asked, the Messenger of Allah (ﷺ) would then ask from Him; and when he (ﷺ) recited an Ayah asking one to seek Protection Allah, he would seek Protection of Allah. Then he bowed and said, "Subhana Rabbiyal-Azim (My Rubb the Great is free from imperfection)"; his bowing lasted about the same length of time as his standing, (and then on returning to the standing posture after Ruku') he would say, "Sami' Allahu liman hamidah, Rabbana lakal-hamd (Allah listens to him who praises Him. Praise be to You, Our Rubb!)," and he would then stand about the same length of time as he had spent in bowing. He would then prostrate himself and say, "Subhana Rabbiyal-A'la (My Rubb the Supreme is free from imperfection)," and his prostration lasted nearly the same length of time as his standing (Qiyam).

[Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned. In his commentary on Sahih Muslim, Imam An-Nawawi has interpreted the words (occuring in this Hadith) as "I thought he would perhaps recite in the whole Rak`ah.'' Here Rak`ah means complete Salat (two Rak`ah). This interpretation is necessary for the reason that in its absence, the meanings of the next sentence go wrong. Due to this reason, we have kept these meanings in view in our translation. In any case, it furnishes justification for the desirability of long Qiyam (standing in Salat), the desirability of congregation in Nafl Salat, and the maintenance of the correct sequence in the recitation of the Surah of the Qur'an in prayers, which is not accepted by many people.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১৮/১১৮৪। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বোত্তম নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, তিনি বললেন, “দীর্ঘ কিয়াম-যুক্ত নামায।” (মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَيُّ الصَّلاَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «طُوْلُ القُنُوْتِ». رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه قال: سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اي الصلاة افضل؟ قال: «طول القنوت». رواه مسلم

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) was asked: "Which Salat is the best?" He replied, " The best Salat is that in which Qiyam (the duration of standing) is longer."

[Muslim].

Commentary: We learn from this Hadith that of all the articles of Salat (Ruku`, Sujud, etc.), it is best to lengthen the Qiyam because the greater the Qiyam is, the longer the recitation of the Qur'an will be. Since the recitation of the Qur'an is the best form of remembrance of Allah, the lengthening of the Qiyam is also most meritorious.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

১৯/১১৮৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনে ’আমর ইবনে ’আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম নামায, দাউদ (আঃ) এর নামায এবং আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম রোযা, দাউদ (আঃ এর রোযা; তিনি অর্ধরাত নিদ্রা যেতেন এবং রাতের তৃতীয় ভাগে ইবাদত করার জন্য উঠতেন। অতঃপর রাতের ষষ্ঠাংশে আবার নিদ্রা যেতেন। (অনুরূপভাবে) তিনি একদিন রোযা রাখতেন ও একদিন রোযা ত্যাগ করতেন।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَحَبُّ الصَّلاةِ إِلَى اللهِ صَلاةُ دَاوُدَ، وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللهِ صِيَامُ دَاوُدَ، كَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ وَيَصُومُ يَوماً وَيُفْطِرُ يَوْماً». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «احب الصلاة الى الله صلاة داود، واحب الصيام الى الله صيام داود، كان ينام نصف الليل ويقوم ثلثه وينام سدسه ويصوم يوما ويفطر يوما». متفق عليه

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


'Abdullah bin 'Amr (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The Salat which is dearest to Allah is that of (Prophet) Dawud; and As-Saum (the fasting) which is dearest to Allah is that of (Prophet) Dawud. He used to sleep half the night, get up to perform Salat for one-third of it, then sleep through the remaining one-sixth of it; and he used to observe Saum on alternative days."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Since Islam has strictly forbidden self-affliction to the extent that it has forbidden hardship even in worship, compulsory awakening for Salat at midnight and observing Saum (fasting) for the whole month (except of the month of Ramadan) is disapproved. The model set by the Prophet (PBUH) is the ideal pattern of moderation in this respect. In this Hadith the fasting and the prayer of Prophet Dawud have been regarded most pleasing to Allah, because their conduct had a moderation which is enjoined by Islam.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues

পরিচ্ছেদঃ ২১২: রাতে উঠে (তাহজ্জুদ) নামায পড়ার ফযীলত

২০/১১৮৬। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “রাত্রিকালে এমন একটি সময় আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি তা পেয়েই দুনিয়া ও আখিরাত বিষয়ক যে কোন উত্তম জিনিস প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তাকে তা দিয়ে থাকেন। ঐ সময়টি প্রত্যেক রাতে থাকে।” (মুসলিম) [1]

(212) بَابُ فَضْلِ قِيَامِ اللَّيْل

وَعَنْ جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ: «إِنَّ فِي اللَّيْلِ لَسَاعَةً، لاَ يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ يَسْألُ اللهَ تَعَالَى خَيْراً مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، إِلاَّ أعْطَاهُ إيَّاهُ، وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ». رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «ان في الليل لساعة، لا يوافقها رجل مسلم يسال الله تعالى خيرا من امر الدنيا والاخرة، الا اعطاه اياه، وذلك كل ليلة». رواه مسلم

(212) Chapter: Excellence of Standing in Prayer at Night


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Every night there is a special time during which whatever a Muslim asks Allah of any good relating to this life or the Hereafter, it will be granted to him; and this moment comes every night."

[Muslim].

Commentary: Like the special moment in Jumu`ah, the time when this special moment occurs every night is not determined. But it is generally in the late hours of the night because that is the best time for worship. As in the case of Lailat-ul-Qadr the wisdom of keeping it secret lies in the inducement to search it by means of worship and prayer, praise and remembrance of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৮/ বিভিন্ন নেক আমলের ফযীলত প্রসঙ্গে (كتاب الفضائل) The Book of Virtues
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »