পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
জুমার জন্য গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, এ দিনে দো’আ করা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পড়া ও এ দিনের কোন এক সময়ে দো’আ কবুল হওয়ার বিবরণ এবং জুমার পর বেশী বেশী মহান আল্লাহর যিকির করা মুস্তাহাব
মহান আল্লাহ বলেছেন,
قَالَ الله تَعَالَى: ﴿فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ﴾ (الجمعة: ١٠)
অর্থাৎ অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিক-রূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমআ ১০ আয়াত)
১/১১৫৪। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাঁকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।” (মুসলিম)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَالتَّطُيُّبِ وَالتَّبْكِيْرِ إِلَيْهَا وَالدُّعَاءِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيْهِ وَبَيَانِ سَاعَةِ الْإِجَابَةِ وَاسْتِحْبَابِ إِكْثَارِ ذِكْرِ اللهِ بَعْدَ الْجُمُعَةِ
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Allah, the Exalted, says:
"Then when the (Jumu`ah) Salat is ended, you may disperse through the land, and seek the Bounty of Allah (by working), and remember Allah much: that you may be successful.'' (62:10)
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best day on which the sun has risen is Friday. On that day Adam was created, he was admitted to Jannah, and he was expelled therefrom."
[Muslim].
Commentary: This Hadith tells us of the excellence of Jumu`ah. Many achievements were made on this day which also go to prove its excellent position in Islam.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
২/১১৫৫। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু সম্পাদন করে জুমার নামায পড়তে আসবে এবং নীরবে মনোযোগ-সহকারে (খুতবা) শুনবে, তার সেই জুমআ হতে পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সময় তথা আরও তিন দিনের (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র) পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি কাঁকর স্পর্শ করবে, সে বাজে কাজ করবে।” (মুসলিম)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ، فَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاَثَةِ أيَّامٍ، وَمَنْ مَسَّ الحَصَى، فَقَدْ لَغَا». رواه مسلم
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "If anyone performs Wudu' properly, then comes to the Friday prayer, listens to the Khutbah (religious talk) attentively and keeps silent, his (minor) sins between that Friday and the following Friday will be forgiven, with the addition of three more days; but he who touches pebbles has caused an interruption. "
[Muslim].
Commentary:
1. "If anyone performs ablution properly'' means does it in accordance with the Sunnah of the Prophet (PBUH), that is to say, one should not exceed the prescribed limits, nor should one use water extravagantly. One should wash every organ of the body involved in "Wudu'', at the most for three times. One should neither use water in excess of the need nor leave any of the organs unwashed or partly washed in Wudu'. This Hadith also makes it evident that it is more meritorious to perform Wudu' at home.
2. Sins of ten days are pardoned because every virtue has at least ten-times reward. Here sins means minor sins as the major ones are not forgiven without sincere repentance nor are Huquq-ul-`Ibad i.e., (rights of people) forgiven without compensation.
3. One should listen to the Khutbah quietly with full attention. One must avoid toying with anything (such as straws, one's watch, etc.) as this is a useless exercise, which will doubtlessly deprive one of the Friday reward.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৩/১১৫৬। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে আরও বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পাঁচ অক্ত নামায, এক জুমআ হতে পরের জুমআ পর্যন্ত, এক রমজান হতে অন্য রমযান পর্যন্ত (কৃত নামায-রোযা) সেগুলির মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র) পাপ-রাশির প্রায়শ্চিত্ত (মোচন-কারী) হয় (এই শর্তে যে,) যখন মহাপাপ থেকে বিরত থাকা যাবে।” (মুসলিম) [1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «الصَّلَوَاتُ الخَمْسُ، وَالجُمُعَةُ إِلَى الجُمُعَةِ، وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ، مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتُنِبَتِ الكَبَائِرُ». رواه مسلم
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him)reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The five daily (prescribed) Salat, and Friday (prayer) to the next Friday (prayer), and the fasting of Ramadan to the next Ramadan, is expiation of the sins committed in between them, so long as major sins are avoided."
[Muslim].
Commentary: This Hadith makes it clear that the good actions mentioned in it are means of forgiveness of sins but only if one saves oneself from major sins. Thus, it is abundantly clear that the sins which are pardoned through these good actions are minor sins. Major sins will not be forgiven by means of Salat and Saum (fasting). Sincere repentance for them is indispensable.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৪/১১৫৭। আবূ হুরাইরা ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর কাঠের মিম্বারের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় এ কথা বলতে শুনেছেন যে, “লোকেরা যেন জুমআ ত্যাগ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকে; নচেৎ আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেবেন, তারপর তারা অবশ্যই উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে।” (মুসলিম)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْه، وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّهُمَا سَمِعَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ عَلَى أَعْوَادِ مِنْبَرِهِ: «لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ وَدْعِهِمُ الجُمُعَاتِ أَوْ لَيَخْتِمَنَّ اللهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ ثُمَّ لَيَكُونُنَّ مِنَ الغَافِلِينَ». رواه مسلم
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Ibn 'Umar and Abu Hurairah (May Allah be pleased with them) reported:
We heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying (while delivering Khutbah on his wooden pulpit), "Either some people (i.e., hypocrites) stop neglecting the Friday prayers, or Allah will seal their hearts and they will be among the heedless."
[Muslim].
Commentary: "They will be among the heedless'' means those who will become utterly unmindful of the remembrance of Allah and His Orders. Such people are Munafiqun (hypocrites), whose abode will be Hell. It means that negligence of Jumu`ah for a long time is such a serious offence that it can even seal a man's heart, which finishes all hopes and chances of one's improvement.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৫/১১৫৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন জুমাতে আসার ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন গোসল করে।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمُ الجُمُعَةَ فَلْيَغْتَسِلْ». متفقٌ عَلَيْهِ
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When one of you intends to come for the Friday prayer, he should take a bath."
[Al-Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৬/১১৫৯। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রত্যেক সাবালকের উপর জুমার দিনের গোসল ওয়াজিব।” (বুখারী ও মুসলিম)[1]
এখানে ওয়াজিবের অর্থ এখতিয়ারী ওয়াজিব (মুস্তাহাব) ধরা হয়েছে। যেমন কেউ তার সাথীকে বলে, ’আমার উপর তোমার অধিকার ওয়াজিব।’ (অর্থাৎ অবশ্য পালনীয়।) এর মানে প্রকৃত ওয়াজিব নয়; যা ত্যাগ করলে কঠোর শাস্তির উপযুক্ত হতে হয়। আর আল্লাহই অধিক জানেন। (ওয়াজিব না হওয়ার প্রমাণ পরবর্তী হাদিস।)
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْ أَبي سعيدٍ الخُدْرِي رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «غُسْلُ يَوْمِ الجُمُعَةِ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُحْتَلِمٍ». متفقٌ عَلَيْهِ
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Taking a bath (before coming to Friday prayers) is obligatory on every adult."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: On the strength of this Hadith, some `Ulama' have regarded bath for Salat-ul-Jumu`ah as Wajib(obligatory), and those who differ from this view, like Imam An-Nawawi, to resort the interpretation of Wajib made here. Whether Ghusl is Wajib or desirable, it applies to women as well, if they like to go to the mosque for Salat-ulJumu`ah. The manner of taking a bath for the Friday prayer is similar to the manner of performing Ghusl after sexual intercourse.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৭/১১৬০। সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে ওযু করল তাহলে তা যথেষ্ট ও উত্তম। আর যে গোসল করল, (তার) গোসল হল সর্বোত্তম।” (আবূ দাউদ, তিরমিযী হাসান)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْ سَمُرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ تَوَضَّأَ يَوْمَ الجُمُعَةِ فَبِهَا وَنِعْمَتْ وَمَنِ اغْتَسَلَ فَالغُسْلُ أَفْضَلُ» رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Samurah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "It suffices to perform Wudu' properly for the Friday prayer; but it is better to take a bath."
[Abu Dawud and At-Tirmidhi].
Commentary: This Hadith supports the contention of those who do not hold the Ghusl obligatory for two reasons. Firstly, it allows one to perform Wudu'. In fact, it has been regarded good. Secondly, the Ghusl has been regarded better, from which one can safely infer the permission to leave it. In any case, there is no doubt about its being Masnun (Sunnah of the Prophet (PBUH)) and Mustahabb (desirable). The time of the Ghusl is from the daybreak to the time of Salat-ul-Jumu`ah.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৮/১১৬১। সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কোন ব্যক্তি জুমার দিন গোসল ও সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, নিজসব তেল গায়ে লাগায় অথবা নিজ ঘরের সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করে, অতঃপর (মসজিদে) গিয়ে দু’জনের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি না করেই (যেখানে স্থান পায়, বসে যায়) এবং তার ভাগ্যে যত রাকআত নামায জোটে, আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবা আরম্ভ করলে নীরব থাকে, সে ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট জুম’আ থেকে পরবর্তী জুম’আ পর্যন্ত কৃত সমুদয় (ছগীরা) গুনাহ-রাশিকে মাফ করে দেওয়া হয়।” (বুখারী)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْ سَلمَانَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَومَ الجُمُعَةِ، وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِن طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثنَيْنِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى». رواه البخاري
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Salman (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "If a man takes bath on Friday, (or) purifies himself as much as he can with Wudu', oils his hair, applies whatever perfume available in his house, sets forth for the mosque, does not separate two people (to make a seat for himself), performs Salat what is prescribed for him, remains silent when the Imam speaks, his (minor) sins between that Friday and the following Friday will be forgiven."
[Al-Bukhari].
Commentary: This Hadith stresses the following four points:
1. The need to purify oneself as much as possible on Jumu`ah. One must use hair oil and perfume so that others do not feel any irritation on the bad smell which may rise from one's clothes.
2. One is advised to go for Salat-ul-Jumu`ah early so that he has not to jump over the shoulders of others, nor has to sit tightly between two persons. If a person goes to the mosque late, then he should occupy the available seat and observe full manners.
3. One should perform Nawafil after reaching the mosque.
4. One should listen to the Khutbah quietly. A person who observes all the manners mentioned in this Hadith will receives full benefits of Salat-ul-Jumu`ah.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
৯/১১৬২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন নাপাকির গোসলের ন্যায় গোসল করল এবং (সূর্য ঢলার সঙ্গে সঙ্গে) প্রথম অক্তে মসজিদে এল, সে যেন একটি উঁট দান করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় সময়ে এলো, সে যেন একটি গাভী দান করল। যে ব্যক্তি তৃতীয় সময়ে এলো, সে যেন একটি শিংবিশিষ্ট দুম্বা দান করল। যে ব্যক্তি চতুর্থ সময়ে এলো, সে যেন একটি মুরগী দান করল। আর যে ব্যক্তি পঞ্চম সময়ে এলো, সে যেন একটি ডিম দান করল। তারপর ইমাম যখন খুতবা প্রদানের জন্য বের হন, তখন (লেখক) ফেরেশতাগণ যিকির শোনার জন্য হাজির হয়ে যান।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنِ اغْتَسَلَ يَومَ الجُمُعَةِ غُسْلَ الجَنَابَةِ، ثُمَّ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الأُولَى فَكَأنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ، فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَقَرَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ، فَكَأنَّمَا قَرَّبَ كَبْشاً أَقْرَنَ، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ، فَكَأنَّمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً، وَمَنْ رَاحَ فِي السَّاعَةِ الخَامِسَةِ، فَكَأنَّمَا قَرَّبَ بَيْضَةً، فَإِذَا خَرَجَ الإمَامُ، حَضَرَتِ المَلاَئِكَةُ يَسْتَمِعُونَ الذِّكْرَ». متفقٌ عَلَيْهِ .
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who takes a bath on Friday, like the bath for ceremonial purity, and then goes (to the mosque), he is like one who offers a camel as a sacrifice to seek the Pleasure of Allah; and he who comes at the second hour is like one who offers a cow to win the Pleasure of Allah; and he who comes at the third hour is like one who offers a ram with horns (in sacrifice); and he who comes at the fourth hour is like one who offers a hen; and he who comes at the fifth hour is like one who offers an egg. And when the Imam ascends the pulpit, the angels (who write the names of those who come to the mosque before the coming of the Imam) close (their record) in order to listen to the Khutbah."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith mentions the merits of going early for Salat-ul-Jumu`ah and narrates inducements provided for it. The earlier a person goes for it, the greater his reward will be. In fact, the reward for it goes on diminishing in proportion to the delay that he makes in reaching the mosque for this purpose so much so that he who reaches the Masjid after the Khutbah, will be totally deprived of the benefits which go with it because his name does
not figure in the register which shows men of merits.
Salat-ul-Jumu`ah is also attended by angels. This fact shows the eminence for the Khutbah of Salat-ul-Jumu`ah and the Salat itself.
The Ghusl performed on Jumu`ah should be done with the same meticulous care as is done in Ghusl Janabah (postcoition bath).
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
১০/১১৬৩। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা জুমার দিন সম্বন্ধে আলোচনা করে বললেন, “ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি ঐ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে তা দান করে থাকেন।” এ কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْه أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَقَالَ: «فِيهَا سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْألُ اللهَ شَيْئاً، إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ» وَأشَارَ بيَدِهِ يُقَلِّلُهَا. متفقٌ عَلَيْهِ
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said while talking about the merits of Friday, "There is a time on Friday at which a Muslim, while he (or she) is performing Salat and is supplicating, will be granted whatever he (or she) is supplicating for." And he (ﷺ) pointed with his hand to indicate that this period of time is very short.
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith mentions another distinction of Jumu`ah, namely a moment in which every prayer that a person then makes is granted with the condition that what one is asking for is good and lawful. It is a very short moment and its time has also not been revealed. For this reason one should remember Allah frequently and pray to Him on Jumu`ah so that one attains that moment when prayers are answered. Prayers can also be answered outside Salat if one happens to be supplicating at the specified moment.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
১১/১১৬৪। আবূ বুর্দাহ ইবনে আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’আপনি কি জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্ত সম্পর্কে আপনার পিতাকে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন?’ তিনি বলেন, আমি বললাম, ’হ্যাঁ। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “সেই মুহূর্তটুকু ইমামের মেম্বারে বসা থেকে নিয়ে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের ভিতরে।” (মুসলিম)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ بنِ أَبِي مُوسَى الأَشعَرِيِّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ عَبدُ اللهِ بنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَسَمِعْتَ أَبَاكَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فِي شَأْنِ سَاعَةِ الجُمُعَةِ ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ، سَمِعْتُهُ يَقُوْل: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُوْلُ: «هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ». رواه مسلم
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Abu Burdah bin Abu Musa Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) reported:
'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) said to me: "Did you hear your father narrating something from the Messenger of Allah (ﷺ) about the special moment during Friday?" I said: "Yes, I heard him report from the Messenger of Allah (ﷺ): 'It occurs between the time when the Imam sits down (on the pulpit after the first Khutbah) and the time Salat is over."'
[Muslim].
Commentary: There is a difference of opinion among `Ulama' in respect of this moment. Some `Ulama' prefer the version given in this Hadith, that is, this moment could be any time in the period from the time the Imam sits down after the first Khutbah and the end of Salat-ul-Jumu`ah. But Sheikh Al-Albani has regarded this Hadith as "Mauquf'' (its chain of narrators does not reach up to the Prophet (PBUH)) (See Riyadh-us-Saliheen edited by Sheikh AlAlbani). For this reason other `Ulama' have inclined to a Marfu` Hadith (i.e., its chain of narrators reaches up to the Prophet (PBUH)) and urged to find this moment in the last hour of `Asr before the Maghrib.
পরিচ্ছেদঃ ২১০: জুমার দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
১২/১১৬৫। আওস ইবনে আওস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম একটি দিন হচ্ছে জুমার দিন। সুতরাং ঐ দিনে তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরূদ পাঠ কর। কেননা, তোমাদের পাঠ করা দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।” (আবূ দাউদ বিশুদ্ধ সূত্রে)[1]
(210) بَابُ فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَوُجُوْبِهَا وَالْاِغْتِسَالِ لَهَا
وَعَنْ أَوسِ بنِ أَوسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم :«إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الجُمُعَةِ، فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاَةِ فِيهِ ؛ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ». رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
(210) Chapter: The Excellence of Friday Prayer
Aus bin Aus (May Allah be pleased with him)reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Among the best of your days is Friday. On that day pray to Allah to exalt my mention frequently, for your such supplications are presented to me."
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith brings forth the following three points:
1. The auspiciousness of time further enhances the merits of virtuous deeds, as is evident from the stress on reciting more and more salutation on the Prophet (PBUH) on Friday.
2. On Jumu`ah, salutation is presented to the Prophet (PBUH). This statement goes to prove that he does not hear salutation of anyone directly, either from near or from far. There is a famous Hadith which says that he hears it from near but this is not "Sahih'' technically. Therefore, the truth of the matter is that he does not hear it directly. It is the angels who convey it to him.
3. The most well-worded is "Ibrahimi salutation'' because the Prophet (PBUH) himself taught it to his Companions. The salutation is: Allahumma salli `ala Muhammadin wa `ala ali Muhammadin, kama sallaita `ala Ibrahima, wa `ala ali Ibrahima, innaka Hamidun Majeed. Allahumma barik `ala Muhammadin wa `ala ali Muhammadin, kama barakta `ala Ibrahima, wa `ala ali Ibrahima, innaka Hamidun Majeed.