পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

১/৭৯৪। আসমা বিনতে য়্যাযীদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু‘ ’আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামার হাতা কব্জি পর্যন্ত লম্বা ছিল।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

عَن أَسمَاءَ بِنتِ يَزِيدَ الأَنصَارِيَّةِ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ كُمُّ قَمِيصِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الرُّسْغِ . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

عن اسماء بنت يزيد الانصارية رضي الله عنها، قالت: كان كم قميص رسول الله صلى الله عليه وسلم الى الرسغ . رواه ابو داود والترمذي، وقال: حديث حسن

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Asma' bint Yazid (May Allah be pleased with her) reported:
The Qamees sleeves of Messenger of Allah (ﷺ) reached down to his wrists.


[Abu Dawud and At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith simply tells us that Messenger of Allah (PBUH) used to wear a Qamees with long sleeves (up to the wrist); but in the case of all the other clothes, apart from the Qamees, the sleeves should not go beyond the finger tips.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

২/৭৯৫। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি অহংকারের সাথে নিজের পোশাক মাটিতে ছেঁচড়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামতের দিন (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।’’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! খেয়াল না করলে আমার লুঙ্গি ঢিলে হয়ে নেমে যায়।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি তাদের শ্রেণীভুক্ত নও, যারা তা অহংকারবশতঃ করে থাকে।’’ (বুখারী, মুসলিম এর আংশিক বর্ণনা করেছেন।) [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاءَ لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ . فَقَالَ أَبُو بَكرٍ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إِنَّ إِزَارِي يَسْتَرْخِي إِلاَّ أنْ أَتَعَاهَدَهُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إنَّكَ لَسْتَ مِمَّنْ يَفْعَلُهُ خُيَلاءَ . رواه البخاري وروى مسلم بعضه .

وعن ابن عمر رضي الله عنهما: ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: من جر ثوبه خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة . فقال ابو بكر: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ان ازاري يسترخي الا ان اتعاهده، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: انك لست ممن يفعله خيلاء . رواه البخاري وروى مسلم بعضه .

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever allows his lower garment to drag out of vanity will find that Allah will not look at him on the Day of Resurrection." On this Abu Bakr (May Allah be pleased with him) submitted: "O Messenger of Allah! My lower garment keeps sliding down though I take care to pull it and wrap it." Messenger of Allah (ﷺ) said, "You are not of those who do it out of vanity."

[Al- Bukhari].

Commentary: Messenger of Allah (PBUH) has given a severe warning to those who intentionally wear a dress which is dragging along the ground because this is a sign of arrogance. Yet, if a person's garment unintentionally slips downward he will not be put to accountability.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৩/৭৯৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে অহংকারের সাথে নিজের লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার প্রতি (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না।’’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لاَ يَنْظُرُ اللهُ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلَى مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ بَطَراً . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: لا ينظر الله يوم القيامة الى من جر ازاره بطرا . متفق عليه

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection, Allah will not look at him who trails his lower garment out of pride."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: A disregard of Allah's Favours and gifts means ungratefulness which is essentially manifested in a haughty attitude. It is also a sign of arrogance that one wears a dress with the hem trailing on the ground.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৪/৭৯৭। উক্ত রাবী (আবূ হুরায়রাহ রা.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’লুঙ্গির যে পরিমাণটুকু পায়ের গাঁটের নীচে যাবে, সে পরিমাণ জাহান্নামে যাবে।’ (বুখারী) [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَا أسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ مِنَ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ . رواه البخاري

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ما اسفل من الكعبين من الازار ففي النار . رواه البخاري

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "What is below the ankles of a lower garment is condemned to the Fire (Hell)."

[Al-Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৫/৭৯৮। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না, তাদের দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য থাকবে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।’’ বর্ণনাকারী বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত বাক্যগুলি তিনবার বললেন।’ আবূ যার্র বললেন, ’তারা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হোক! তারা কারা? হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’(লুঙ্গি-কাপড়) পায়ের গাঁটের নীচে যে ঝুলিয়ে পরে, দান করে যে লোকের কাছে দানের কথা বলে বেড়ায় এবং মিথ্যা কসম খেয়ে যে পণ্য বিক্রি করে।’’ (মুসলিম)[1]

তাঁর অন্য বর্ণনায় আছে, ’’যে লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরে।’’

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَن أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللهُ يَوْمَ القِيَامَةِ، وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ، وَلاَ يُزَكِّيهِمْ، وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ . قَالَ: فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَ مِرَارٍ، قَالَ أَبُو ذرٍّ: خَابُوا وَخَسِرُوا ! مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: المُسْبِلُ، وَالمنَّانُ، وَالمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالحَلِفِ الكاذِبِ . رواه مسلم . وفي رواية لَهُ: المُسْبِلُ إزَارَهُ

وعن ابي ذر رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ثلاثة لا يكلمهم الله يوم القيامة، ولا ينظر اليهم، ولا يزكيهم، ولهم عذاب اليم . قال: فقراها رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ثلاث مرار، قال ابو ذر: خابوا وخسروا ! من هم يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ قال: المسبل، والمنان، والمنفق سلعته بالحلف الكاذب . رواه مسلم . وفي رواية له: المسبل ازاره

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Dharr (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "There are three to whom Allah will neither speak on the Day of Resurrection nor will look at them nor purify them (i.e., of their sins), and they will be severely tormented." When he repeated this (statement) thrice, Abu Dharr (May Allah be pleased with him) said: "They are doomed and destroyed! (But) who are they, O Messenger of Allah (ﷺ)?" He said, "One whose lower garment trails, one who boasts of kindness shown to another; and one who promotes sale of his business by taking false oaths."

[Muslim].

Commentary: This Hadith sheds light on three major sins which, unfortunately, prevail in Muslim societies. May Allah amend the lapses of Muslims' behaviour!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৬/৭৯৯। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’লুঙ্গি, জামা ও পাগড়ীতে ঝুলানোর কাজ হয়ে থাকে। (অর্থাৎ এগুলি ঝুলিয়ে পরলে গুনাহ হয়।) যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ কিছু মাটিতে ছেঁচড়ে চলবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দিকে (দয়ার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।’’ (আবূ দাঊদ, নাসায়ী বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: الإِسْبَالُ فِي الإِزَارِ، وَالقَمِيصِ، وَالعِمَامَةِ، مَنْ جَرَّ شَيْئاً خُيَلاءَ لَمْ ينْظُرِ الله إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ . رواه أَبُو داود والنسائي بإسناد صحيح

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: الاسبال في الازار، والقميص، والعمامة، من جر شيىا خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة . رواه ابو داود والنساىي باسناد صحيح

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection, Allah will not look at one who trails his lower garment, Qamees or turban arrogantly."

[Abu Dawud and An- Nasa'i].

Commentary: This Hadith tells us if trousers and pajamas, out of pride etc., hang loose below the ankles, the wearer will be committing a grave blunder. The excessive hang of shirt or turban out of pride is also a sign of arrogance and involves the wearer in a major sin. Wearing long garments without the intention of pride is disliked.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৭/৮০০। আবূ জুরাই জাবের ইবনে সুলাইম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম, যাঁর মতানুযায়ী লোকে কাজ করছে, তাঁর কথা তারা মেনে নিচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’এ লোকটি কে?’ লোকেরা বলল, ’ইনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’ আমি তাঁকে ’আলাইকাস সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ’ দু’বার বললাম। তিনি বললেন, ’’আলাইকাস সালাম’ বলো না। ’আলাইকাস সালাম’ তো মৃতদের জন্য অভিবাদন বাণী। তুমি বলো ’আসসালামু আলাইকা।’’

জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আল্লাহর রাসূল?’ তিনি বললেন, ’’আমি সেই আল্লাহর রাসূল, যে আল্লাহকে কোনো বিপদের সময় যদি ডাকো, তাহলে তিনি তোমার বিপদ দূর করে দেবেন। যদি দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে তাঁর কাছে প্রার্থনা কর, তাহলে তিনি তোমার জন্য যমীন থেকে ফসল উৎপাদন করবেন। কোন গাছপালা বিহীন জনশূন্য মরুভূমিতে তোমার বাহন হারিয়ে গেলে তুমি যদি তাঁর নিকট দো’আ কর, তাহলে তিনি তোমার বাহন তোমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন।’’

জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আমাকে বিশেষ উপদেশ দান করুন।’ তিনি বললেন, ’’তুমি কাউকে কখনো গালি-গালাজ করো না।’’ সুতরাং তারপর থেকে আমি না কোন স্বাধীন-পরাধীন ব্যক্তিকে, না কোন উট আর না কোন ছাগলকে গালি দিয়েছি।

(দ্বিতীয় উপদেশ হচ্ছে এই যে,) ’’কোন পুণ্যকর্মকে তুচ্ছ জ্ঞান করো না। নিঃসন্দেহে সহাস্য বদনে কোন মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে তোমার বাক্যালাপ করা নেকীর কাজ। নিজ লুঙ্গি পায়ের অর্ধ রলা পর্যন্ত উঁচু রেখো। তা যদি মানতে না চাও, তাহলে গাঁট পর্যন্ত ঝুলাতে পার। লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরা থেকে দূরে থেকো। কেননা, এতে অহংকার জন্মায়। আর নিশ্চয় আল্লাহ অহংকারকে পছন্দ করেন না। যদি কেউ তোমাকে গালি দেয় অথবা এমন দোষ ধরে তোমাকে লজ্জা দেয়, যা তোমার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানে, তাহলে তুমি তার এমন দোষ ধরে তাকে লজ্জা দিয়ো না, যা তার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানো। যেহেতু তার কুফল তার উপরই বর্তাবে (তোমার উপর নয়)।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَن أَبي جُرَيٍّ جَابِرِ بنِ سُلَيْمٍ رضي الله عنه، قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلاً يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيهِ، لا يَقُولُ شَيْئاً إِلاَّ صَدَرُوا عَنْهُ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا ؟ قَالُوا: رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ: عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم – مَرَّتَينِ - قَالَ: لاَ تَقُلْ: عَلَيْكَ السَّلامُ، عَلَيْكَ السَّلامُ تَحِيَّةُ المَوْتَى، قُلْ: السَّلامُ عَلَيْكَ . قَالَ: قُلْتُ: أنْتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: أنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ، وَإِذَا أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ أَنْبَتَهَا لَكَ، وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرٍ أَوْ فَلاَةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ، فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ . قَالَ: قُلْتُ: اِعْهَدْ إِلَيَّ. قَالَ: لاَ تَسُبَّنَ أحَداً . قَالَ: فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرّاً، وَلاَ عَبْداً، وَلاَ بَعِيراً، وَلاَ شَاةً، « وَلاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ المَعْرُوفِ شَيْئاً، وَأَنْ تُكَلِّمَ أخَاكَ وَأنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ، إنَّ ذَلِكَ مِنَ المَعْرُوفِ، وَارْفَعْ إزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، فَإنْ أبَيْتَ فَإلَى الكَعْبَينِ، وَإيَّاكَ وَإسْبَالَ الإِزَارِ فَإنَّهَا مِنَ المَخِيلَةِ. وَإنَّ اللهَ لاَ يُحِبُّ المَخِيلَةَ ؛ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ، فَإنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ . رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح، وقال الترمذي: حديث حسن صحيح

وعن ابي جري جابر بن سليم رضي الله عنه، قال: رايت رجلا يصدر الناس عن رايه، لا يقول شيىا الا صدروا عنه، قلت: من هذا ؟ قالوا: رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قلت: عليك السلام يا رسول الله صلى الله عليه وسلم – مرتين - قال: لا تقل: عليك السلام، عليك السلام تحية الموتى، قل: السلام عليك . قال: قلت: انت رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ قال: انا رسول الله صلى الله عليه وسلم الذي اذا اصابك ضر فدعوته كشفه عنك، واذا اصابك عام سنة فدعوته انبتها لك، واذا كنت بارض قفر او فلاة فضلت راحلتك، فدعوته ردها عليك . قال: قلت: اعهد الي. قال: لا تسبن احدا . قال: فما سببت بعده حرا، ولا عبدا، ولا بعيرا، ولا شاة، « ولا تحقرن من المعروف شيىا، وان تكلم اخاك وانت منبسط اليه وجهك، ان ذلك من المعروف، وارفع ازارك الى نصف الساق، فان ابيت فالى الكعبين، واياك واسبال الازار فانها من المخيلة. وان الله لا يحب المخيلة ؛ وان امرو شتمك وعيرك بما يعلم فيك فلا تعيره بما تعلم فيه، فانما وبال ذلك عليه . رواه ابو داود والترمذي باسناد صحيح، وقال الترمذي: حديث حسن صحيح

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Juraiy Jabir bin Sulaim (May Allah be pleased with him) reported:
I noticed a man whose opinion was followed by every body, and no one acted contrary to what he said. I asked who he was, and I was informed that he was Messenger of Allah (ﷺ). I said to him twice: "Alaikas- salam ya Rasul-Allah (may Allah render you safe)." He said, "Do not say: 'Alaikas-salamu.' This is the salutation to the dead (in Jahiliyyah times). Say, instead: 'As-salamu 'alaika (may Allah render you safe)."' I asked: "Are you Messenger of Allah?" He replied, "(Yes) I am the Messenger of Allah, Who will remove your affliction when you are in trouble and call to Him, Who will cause food to grow for you when you are famine-stricken and call to Him, and Who will restore to you your lost riding beast in the desert when you call upon Him." I said to him: "Give me instructions (to act upon)." He ((ﷺ) said, "Do not abuse anyone." (Since then I have never abused anyone, neither a freeman, nor a slave, nor a camel, nor a sheep). He (ﷺ) continued, "Do not hold in contempt even an insignificant act of goodness, because even talking to your brother with a cheerful countenance is an act of goodness. Hold up your lower garment half way to the leg, and at least above the ankles; for trailing it is arrogance, and Allah dislikes pride. And if a man imputes to you of bad things he knows you possess, do not impute to him bad things that you know he has for he will assume the evil consequences of his abuse."

[Abu Dawud and At-Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৮/৮০১। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি (টাখনুর নীচে) লুঙ্গি ঝুলিয়ে সালাত পড়ছিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, যাও, পুনরায় ওযূ কর। সে আবার ওযূ করে করে এলো। তিনি আবার বললেনঃ যাও, পুনরায় ওযূ কর। একজন বললো, হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! কেন আপনি তাকে ওযূ করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তারপর নীরবতা পালন করছেন? তিনি বললেনঃ এ লোক তার লুঙ্গি (টাখনুর নীচে) ঝুলিয়ে দিয়ে সালাত পড়ছিলো। অথচ আল্লাহ এমন ব্যক্তির সালাত কবূল করেন না, যে তার পায়জামা এরকম ঝুলিয়ে দিয়ে সালাত আদায় করে। [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا رَجُلٌ يُصَلِّى مُسْبِلٌ إِزَارَهُ، قَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: اِذْهَبْ فَتَوَضَّأْ » فَذَهَبَ فَتَوضَّأَ، ثُمَّ جَاءَ، فَقَالَ: اِذْهَبْ فَتَوَضَّأْ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللهِ . مَالَكَ أَمَرْتَهُ أَن يَّتَوَضَّأَ ثُمَّ سَكَتَّ عَنْهُ ؟ قَالَ: إِنَّهُ كَانَ يُصَلِّى وَهُوَ مُسْبِلٌ إِزَارَهُ، إِنَّ اللهَ لَا يَقْبَلُ صَلَاةَ رَجُلٍ مُسْبِلٍ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: بينما رجل يصلى مسبل ازاره، قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذهب فتوضا » فذهب فتوضا، ثم جاء، فقال: اذهب فتوضا فقال له رجل: يا رسول الله . مالك امرته ان يتوضا ثم سكت عنه ؟ قال: انه كان يصلى وهو مسبل ازاره، ان الله لا يقبل صلاة رجل مسبل

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said to a man who was performing Salat while his lower garment was trailing, "Go and perform your Wudu' again." That man went and came back having performed it. The Messenger of Allah (ﷺ) said (again), "Go and perform your Wudu'." Someone present said to Messenger of Allah (ﷺ): "O Messenger of Allah! You ask him to perform his Wudu' and then you kept silent (without saying the reason for it)." He (ﷺ) said, "He performed Salat while his lower garment was below his ankels. Allah does not accept the Salat of a man who trails his lower garment."

[Abu Dawud].


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

৯/৮০২। কাইস ইবনু বিশর আত-তাগলিবী (রাহঃ)-এর সঙ্গী ছিলেন। তিনি (বিশর) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী দামিশকে ছিলেন। তাকে বলা হতো সাহল ইবনু হানযালিয়্যা। তিনি একাকিত্বকে বেশি পছন্দ করতেন, লোকদের সাথে খুব কমই উঠাবসা করতেন, অধিকাংশ সময় সালাতেই কাটিয়ে দিতেন, সালাত থেকে অবসর হয়ে তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত তাসবীহ্ ও তাকবীরে মগ্ন থাকতেন।

(একদিন) তিনি আমাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তখন আমরা আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর কাছে ছিলাম। আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু তাকে বললেন, আমাদেরকে এমন কোন কথা বলে দিন, যা আমাদের উপকার দিবে আর আপনারও কোন ক্ষতি হবে না। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছোট্ট বাহিনী প্রেরণ করলেন। বাহিনী ফিরে আসার পর তাদের একজন ঐ মাজলিশে এসে বসে পড়লো যেখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও বসা ছিলেন।

তার পাশে বসা লোকটিকে আগন্তুক লোকটি বললো, তুমি যদি আমাদেরকে তখন দেখতে জিহাদের ময়দানে আমরা যখন শত্রুর মুখোমুখি হয়েছিলাম, বর্শা উঁচিয়ে অমুক (কাফির) আক্রমণ করলো এবং আঘাত হানলো। উত্তরে (আক্রান্ত মুসলিমটি) বললো, এই নে আমার পক্ষ থেকে, আর আমি হচ্ছি গিফার গোত্রের যুবক। তার এই বক্তব্য বিষয়ে আপনি কী বলেন? লোকটি বললো, আমার মতে (অহংকারের কারণে) তার সাওয়াব বিনষ্ট হয়ে গেছে। এই কথা আরেকজন শুনে বললো, এতে তো আমি কোন দোষ দেখি না।

তারা বিতর্কে লিপ্ত হলো, এমনকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তা শুনে ফেলেন। তিনি বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! এতে কোন দোষ নেই, সে (আখেরাতে) পুরষ্কৃত হবে এবং (ইহকালে) প্রশংসিত হবে। কাইস ইবনু বিশর বলেন, আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কে আমি দেখলাম যে, এতে তিনি খুশি হয়েছেন এবং তাঁর দিকে নিজের মাথা উঠিয়ে বললেন, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একথা শুনেছেন কি? ইবনু হানযালিয়্যা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, হ্যাঁ শুনেছি। আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু এই কথাটি বারবার ইবনু হানযালিয়্যার সামনে বলতে লাগলেন। অবশেষে আমি বলেই ফেললাম, আপনি কি ইবনু হানযালিয়্যার হাঁটুর উপর চড়ে বসতে চান?[1]

বর্ণনাকারী বলেন, আবুদ দারদা আরেকদিন আমাদের কাছে গেলেন, তখন আবুদ দারদা বললেন, একটি বাক্য যা আমাদের উপকার দেবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। তিনি বলেন, আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, ঘোড়ার জন্য ব্যয় করা সেই সদকা সমতুল্য যে সদকা করে হাত সংকুচিত করা হয় নি।

তারপর তিনি অপরদিন আমাদের পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আবুদ দারদা বললেন, একটি বাক্য, যা আমাদের উপকৃত করবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “খুরাইম আল-আসাদী কতইনা ভালো লোক, যদি না তার মাথার চুল খুব লম্বা হতো, আর যদি না তার লুঙ্গি টাখনুর নিচে না যেত”। কথাটি খুরাইমের কাছে পৌঁছলে তিনি তাড়াতাড়ি ছুরি নিয়ে তার মাথার লম্বা চুল কানের মাঝ বরাবর কেটে ফেললেন, আর তাঁর লুঙ্গিকে নলার মাঝখান পর্যন্ত উঠিয়ে নিলেন।

তারপর আরেকদিন আমাদের পাশ দিয়ে গেলেন, তখন আবুদ দারদা রা. তাকে বললেন, একটি বাক্য যা আমাদেরকে উপকৃত করবে, তোমার কোনো ক্ষতি করবে না, তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের ভাইদের কাছে যাচ্ছ, সুতরাং তোমরা তোমাদের বাহনগুলোকে ঠিক করে নাও, তোমাদের পরিধেয় বস্ত্রগুলো এমনভাবে ঠিক করে নাও যাতে করে তোমাদেরকে মানুষের মাঝে মনে হবে তেমন যেমন তিলের দাগ। কেননা, আল্লাহ তা’আলা অশ্লীলতা করা ও বলা কোনোটাই পছন্দ করেন না।’ আবূ দাউদ হাদীসটিকে হাসান সনদে বর্ণনা করেন, তবে কাইস ইবন বিশর ব্যতীত; কারণ তার গ্রহণযোগ্যতা কিংবা দুর্বলতা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। যদিও ইমাম মুসলিম তার কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وعن قَيسِ بن بشرٍ التَّغْلبيِّ قال: أَخْبَرنى أبي وكان جليساً لأبي الدَّرداءِ قال: كان بِدِمشقَ رَجُلٌ من أَصحاب النبى صلى الله عليه وسلم يقال له سهلُ ابنُ الحنظَليَّةِ، وكان رجُلاً مُتَوحِّداً قَلَّمَا يُجالسُ النَّاسَ، إِنَّمَا هو صلاةٌ، فَإِذا فرغَ فَإِنَّمَا هو تسبيح وتكبيرٌ حتى يأْتيَ أهْلَهُ، فَمَرَّ بِنَا ونَحنُ عِند أبي الدَّردَاءِ، فقال له أَبو الدَّردَاءِ: كَلِمةً تَنْفَعُنَا ولا تضُرُّكَ، . قال: بَعثَ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم سريَّةً فَقَدِمَتْ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنهم فَجَلسَ في المَجْلِس الذي يَجلِسُ فِيهِ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم، فقال لرجُلٍ إِلى جَنْبهِ: لَوْ رَأَيتنَا حِينَ التقَيْنَا نَحنُ والعدُو، فَحمَل فلانٌ فَطَعَنَ، فقال: خُذْهَا مِنِّى . وأَنَا الغُلامُ الغِفَارِيُّ، كَيْفَ تَرى في قوْلِهِ ؟ قال: مَا أَرَاهُ إِلا قَدْ بَطَلَ أَجرُهُ . فسَمِعَ بِذلكَ آخَرُ فقال: مَا أَرَى بِذَلَكَ بأْساً، فَتَنَازعا حَتى سَمِعَ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم فقال: سُبْحان اللهِ ؟ لا بَأْس أَن يُؤْجَرَ ويُحْمَد فَرَأَيْتُ أَبا الدَّرْدَاءِ سُرَّ بِذلكَ، وجعلَ يَرْفَعُ رأْسَه إِلَيهِ وَيَقُولُ: أأَنْتَ سمِعْتَ ذَلكَ مِنْ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم،؟ فيقول: نعَمْ، فما زال يعِيدُ عَلَيْهِ حتى إِنّى لأَقولُ لَيَبرُكَنَّ على ركْبَتَيْهِ .
قال: فَمَرَّ بِنَا يَوماً آخَرَ، فقال له أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةً تَنفَعُنَا ولا تَضُرُّكَ، قال: قال لَنَا رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم: المُنْفِقُ عَلى الخَيْلِ كالبَاسِطِ يَدَهُ بالصَّدَقة لا يَقْبِضُهَا . ثم مرَّ بِنَا يوماً آخر، فقال له أَبو الدَّرْدَاءِ: كَلِمَةً تَنْفَعُنَا وَلا تَضرُّكَ، قال: قال رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم: نعْمَ الرَّجُلُ خُرَيْمٌ الأَسَديُّ، لولا طُولُ جُمته وَإِسْبَالُ إِزَارِه فبَلغَ ذلك خُرَيماً، فَعجَّلَ فَأَخَذَ شَفرَةً فَقَطَعَ بها جُمتَهُ إِلى أُذنيْه، ورفعَ إِزَارَهُ إِلى أَنْصَاف سَاقَيْه . ثَمَّ مَرَّ بنَا يَوْماً آخَرَ فَقَالَ لَهُ أَبُو الدَّرْدَاءِ: كَلِمةً تَنْفَعُنَا ولاَ تَضُرُّكَ قَالَ: سَمعْتُ رسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يقُولُ: إِنَّكُمْ قَادمُونَ عَلى إِخْوانِكُمْ . فَأَصْلِحُوا رِحَالَكمْ، وأَصْلحوا لبَاسَكُمْ حتى تَكُونُوا كَأَنَّكُمْ شَامَة في النَّاسِ، فَإِنَّ اللهَ لاَ يُحبُّ الفُحْشَ وَلاَ التَّفَحُش . رواهُ أَبو داود بإِسنادٍ حسنٍ، إِلاَّ قَيْسَ بن بشر، فاخْتَلَفُوا في توثيقِهِ وتَضْعفيه، وقد روى له مسلم .

وعن قيس بن بشر التغلبي قال: اخبرنى ابي وكان جليسا لابي الدرداء قال: كان بدمشق رجل من اصحاب النبى صلى الله عليه وسلم يقال له سهل ابن الحنظلية، وكان رجلا متوحدا قلما يجالس الناس، انما هو صلاة، فاذا فرغ فانما هو تسبيح وتكبير حتى ياتي اهله، فمر بنا ونحن عند ابي الدرداء، فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك، . قال: بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم سرية فقدمت، فجاء رجل منهم فجلس في المجلس الذي يجلس فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال لرجل الى جنبه: لو رايتنا حين التقينا نحن والعدو، فحمل فلان فطعن، فقال: خذها منى . وانا الغلام الغفاري، كيف ترى في قوله ؟ قال: ما اراه الا قد بطل اجره . فسمع بذلك اخر فقال: ما ارى بذلك باسا، فتنازعا حتى سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: سبحان الله ؟ لا باس ان يوجر ويحمد فرايت ابا الدرداء سر بذلك، وجعل يرفع راسه اليه ويقول: اانت سمعت ذلك من رسول الله صلى الله عليه وسلم،؟ فيقول: نعم، فما زال يعيد عليه حتى انى لاقول ليبركن على ركبتيه . قال: فمر بنا يوما اخر، فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك، قال: قال لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم: المنفق على الخيل كالباسط يده بالصدقة لا يقبضها . ثم مر بنا يوما اخر، فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: نعم الرجل خريم الاسدي، لولا طول جمته واسبال ازاره فبلغ ذلك خريما، فعجل فاخذ شفرة فقطع بها جمته الى اذنيه، ورفع ازاره الى انصاف ساقيه . ثم مر بنا يوما اخر فقال له ابو الدرداء: كلمة تنفعنا ولا تضرك قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: انكم قادمون على اخوانكم . فاصلحوا رحالكم، واصلحوا لباسكم حتى تكونوا كانكم شامة في الناس، فان الله لا يحب الفحش ولا التفحش . رواه ابو داود باسناد حسن، الا قيس بن بشر، فاختلفوا في توثيقه وتضعفيه، وقد روى له مسلم .

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Qais bin Bishr At-Taghlibi reported that his father, who attended the company of 'Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) told him:
There was a man in Damascus who was a Companion of the Messenger of Allah (ﷺ). He was called Ibn Al-Hanzaliyyah. He was a lonesome person and would rarely spend some time in the company of people. He would spend most of his time in performing Salat and when he finished, he would engage himself in Tasbih (Subhan-Allah) and Takbir (Allahu Akbar), till he would go home. He passed by us one day when we were sitting with Abud-Darda' (May Allah be pleased with him). The latter said to him: "Tell us something which will benefit for us and will not harm you." He said: "Messenger of Allah (ﷺ) sent a detachment. When they returned, one of them came to the assemblage in which Messenger of Allah (ﷺ) was present and said to his neighbour during the conversation: 'I wish you had seen us when we encountered the enemy. So-and-so (a believer) took up his spear, struck and said: Take this from me and I am the Ghifari boy. Now what do you think of this?' The neighbour said: 'I think that he lost his reward because of boasting.' He said: 'I see no harm in it.' They began to exchange arguments till Messenger of Allah (ﷺ) heard them and said, 'Subhan-Allah (Allah is free from every imperfection). He would be rewarded (in the Hereafter) and praised (in this world)'. I noticed that Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) felt a great pleasure at this remark and, raising his head began to repeat: "Have you heard Messenger of Allah (ﷺ) say this!" Ibn Al-Hanzaliyyah (May Allah be pleased with him) continued responding till I asked Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) not to annoy him.

Ibn Al-Hanzaliyyah (May Allah be pleased with him) happened to pass by us another day and Abud-Darda' said to him: "Tell us something which will benefit us and will not harm you." He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) told us, 'He who spends to purchase a horse (for Jihad) is like one who extends his hand for spending out of charity without withholding it."'

He passed by us another day and Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) said to him: "Tell us something which might benefit us, and will not harm you." He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) once said, 'Khuraim Al-Usaidi is an excellent man were it not of his long hair and his lower garment which is hanging down.' When Khuraim heard about what the Prophet had said about him, he trimmed his long hair up to his ears with a knife and raised his lower garment half way on his shanks."

On another occasion he passed by us and Abud-Darda' (May Allah be pleased with him) said to him: "Tell us something that will benefit us and will not harm you." He said that he heard Messenger of Allah (ﷺ) say, while coming back from an expedition: "You are returning to your brothers, so set your saddles and clothes in order so that you look tidy and graceful. Allah hates untidiness."

[Abu Dawud].


Commentary: This Hadith talks about six points. First, a war cry expressive of one's chivalrous deeds and designed to intimidate the enemy is permissible. Second, it is not an impeachable act and will be rewarded by Allah if it is done with a good intention. Third, hair should be grown either up to the earlobes or up to the neck-end as was the Prophet's practice. The Prophet (PBUH) disapproved the long hair upon the shoulders. Fourth, on return from a journey, a man is advised to clean up his appearance and dust-covered clothes; due to the fatigue and dust of journey, he may appear untidy and out of shape. With his ruffled hair and run-down face, whether intentional or unintentional, he will perhaps give a depressive impression to his wife and children and other family members to the displeasure of Allah. Fifth, we may sympathetically allude to the minor shortcomings of a person in his absence for the sake of his moral uplifting. This will not be considered as backbiting. Messenger of Allah (PBUH) talked about Khuraim Al-Usaidi (May Allah be pleased with him) in the same spirit. Sixth, indecency which means something ugly and disgraceful is taken here in an untidy and dishevelled sense which is against aesthetic principles.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

১০/৮০৩। আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিমের লুঙ্গি অর্ধ গোছা পর্যন্ত ঝুলানো উচিত। গাঁটের উপর পর্যন্ত ঝুললে ক্ষতি নেই। যে অংশ লুঙ্গি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলবে, তা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। আর অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি পায়ের গাঁটের নীচে ঝুলিয়ে লুঙ্গি পরবে, তার দিকে আল্লাহ (করুণার দৃষ্টিতে) তাকিয়ে দেখবেন না।’’ (আবূ দাঊদ, সহীহ সূত্রে)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إزْرَةُ المُسْلِمِ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، وَلاَ حَرَجَ ـ أَوْ لاَ جُنَاحَ ـ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الكَعْبَيْنِ، فمَا كَانَ أسْفَلَ مِنَ الكَعْبَيْنِ فَهُوَ في النَّارِ، وَمَنْ جَرَّ إزَارَهُ بَطَراً لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيحٍ

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « ازرة المسلم الى نصف الساق، ولا حرج ـ او لا جناح ـ فيما بينه وبين الكعبين، فما كان اسفل من الكعبين فهو في النار، ومن جر ازاره بطرا لم ينظر الله اليه ». رواه ابو داود باسناد صحيح

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The lower garment of a believer should be half way below the knees. He is guilty of no sin if they are up to the ankles. That which is below the ankles is in the Fire (of Hell). Allah will not look at one who allows his lower garment to trail out of vanity.

[Abu Dawud].

Commentary: This Hadith says that a garment like trousers, pajamas, etc., should, properly speaking, go down up to the middle of the shanks. However, it is permissible to lower it up to the ankles which should remain uncovered.
This commandment is for men alone. On the contrary, women are required to cover not only their ankles but also their feet, particularly when they go out.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

১১/৮০৪। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার লুঙ্গি বেশ ঝুলে ছিল। সুতরাং তিনি বললেন, ’’হে আব্দুল্লাহ! লুঙ্গি উঠিয়ে পর।’’ অতএব আমি লুঙ্গি তুলে পরলাম। তিনি আবার বললেন, ’’আরো উঁচু কর।’’ আমি আরো উঁচু করলাম। এরপর বরাবর আমি এর খেয়াল রাখতে থাকলাম; যেন লুঙ্গি নীচে না নামে। কিছু লোক (আব্দুল্লাহকে) জিজ্ঞাসা করল, ’কতদূর পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরা যাবে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ’অর্ধ গোছা পর্যন্ত।’ (মুসলিম) [1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رضي الله عنه، قَالَ: مَرَرتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي إزَارِي استِرخَاءٌ، فَقَالَ: «يَا عَبدَ اللهِ، ارْفَعْ إزَارَكَ ». فَرَفَعْتُهُ ثُمَّ قَالَ: « زِدْ » فَزِدْتُ، فَمَا زِلْتُ أتَحَرَّاهَا بَعْدُ . فَقَالَ بَعْضُ القَوْم: إِلَى أينَ ؟ فَقَالَ: إِلَى أنْصَافِ السَّاقَيْنِ . رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنه، قال: مررت على رسول الله صلى الله عليه وسلم وفي ازاري استرخاء، فقال: «يا عبد الله، ارفع ازارك ». فرفعته ثم قال: « زد » فزدت، فما زلت اتحراها بعد . فقال بعض القوم: الى اين ؟ فقال: الى انصاف الساقين . رواه مسلم

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
My lower garment was trailing as I passed by Messenger of Allah (ﷺ) so he said, "Raise your lower garment, Abdullah." I lifted it up and he told me to raise it higher. I complied with his orders and as I was still trying to find the best place (for it), one of the people asked where it should reach and he (ﷺ) replied, "Half way down the knees."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress

পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়

১২/৮০৫। পূর্বোক্ত বর্ণনাকারী হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’অহংকারবশতঃ যে ব্যক্তি গাঁটের নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা তার দিকে (করুণার দৃষ্টিতে) দেখবেন না।’’ উম্মে সালামাহ প্রশ্ন করলেন, ’তাহলে মহিলারা তাদের কাপড়ের নিম্নপ্রান্তের ব্যাপারে কী করবে?’ তিনি বললেন, ’’আধ হাত বেশী ঝুলাবে।’’ উম্মে সালামাহ বললেন, ’তাহলে তো তাদের পায়ের পাতা খোলা যাবে!’ তিনি বললেন, ’’তাহলে এক হাত পর্যন্ত নীচে ঝুলাবে; তার বেশী নয়।’’ (আবূ দাউদ ও তিরমিযী)[1]

(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ

وَعَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ القِيَامَةِ ». فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَكَيْفَ تَصْنَعُ النِّسَاءُ بذُيُولِهِنَّ ؟ قَالَ: « يُرْخِينَ شِبْراً ». قَالَتْ: إِذَاً تَنْكَشِفُ أقْدَامُهُنَّ. قَالَ: فَيُرخِينَهُ ذِرَاعاً لاَ يَزِدْنَ رواه أَبُو داود والترمذي، وقال:حديث حسن صحيح

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « من جر ثوبه خيلاء لم ينظر الله اليه يوم القيامة ». فقالت ام سلمة: فكيف تصنع النساء بذيولهن ؟ قال: « يرخين شبرا ». قالت: اذا تنكشف اقدامهن. قال: فيرخينه ذراعا لا يزدن رواه ابو داود والترمذي، وقال:حديث حسن صحيح

(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection, Allah will not look at the one who trails his lower garment out of arrogance." Umm Salamah (May Allah be pleased with her) asked: "What should women do with the hem of their clothes?" He (ﷺ) said, "They might lower them a hand's span." She said: "But their feet would still remain exposed." He said, "Let them lower those equal to arm's length but not more than that."

[Abu Dawud and At-Tirmidhi].

Commentary: Herein, women are commanded to cover themselves completely up to an arm's length from the hem of their clothes in order to cover the sole of their feet with their wraps and lower-body garments.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
৩/ পোষাক-পরিচছদ (كتــــاب اللباس) The Book of Dress
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে