পরিচ্ছেদঃ ১১৯: জামা-পায়জামা, জামার হাতা, লুঙ্গি তথা পাগড়ীর প্রান্ত কতটুকু লম্বা হবে? অহংকারবশতঃ ওগুলি ঝুলিয়ে পরা হারাম ও নিরহংকারে তা ঝুলানো অপছন্দনীয়
৭/৮০০। আবূ জুরাই জাবের ইবনে সুলাইম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম, যাঁর মতানুযায়ী লোকে কাজ করছে, তাঁর কথা তারা মেনে নিচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’এ লোকটি কে?’ লোকেরা বলল, ’ইনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম।’ আমি তাঁকে ’আলাইকাস সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ’ দু’বার বললাম। তিনি বললেন, ’’আলাইকাস সালাম’ বলো না। ’আলাইকাস সালাম’ তো মৃতদের জন্য অভিবাদন বাণী। তুমি বলো ’আসসালামু আলাইকা।’’
জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আল্লাহর রাসূল?’ তিনি বললেন, ’’আমি সেই আল্লাহর রাসূল, যে আল্লাহকে কোনো বিপদের সময় যদি ডাকো, তাহলে তিনি তোমার বিপদ দূর করে দেবেন। যদি দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে তাঁর কাছে প্রার্থনা কর, তাহলে তিনি তোমার জন্য যমীন থেকে ফসল উৎপাদন করবেন। কোন গাছপালা বিহীন জনশূন্য মরুভূমিতে তোমার বাহন হারিয়ে গেলে তুমি যদি তাঁর নিকট দো’আ কর, তাহলে তিনি তোমার বাহন তোমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন।’’
জাবের বলেন, আমি বললাম, ’আপনি আমাকে বিশেষ উপদেশ দান করুন।’ তিনি বললেন, ’’তুমি কাউকে কখনো গালি-গালাজ করো না।’’ সুতরাং তারপর থেকে আমি না কোন স্বাধীন-পরাধীন ব্যক্তিকে, না কোন উট আর না কোন ছাগলকে গালি দিয়েছি।
(দ্বিতীয় উপদেশ হচ্ছে এই যে,) ’’কোন পুণ্যকর্মকে তুচ্ছ জ্ঞান করো না। নিঃসন্দেহে সহাস্য বদনে কোন মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে তোমার বাক্যালাপ করা নেকীর কাজ। নিজ লুঙ্গি পায়ের অর্ধ রলা পর্যন্ত উঁচু রেখো। তা যদি মানতে না চাও, তাহলে গাঁট পর্যন্ত ঝুলাতে পার। লুঙ্গি ঝুলিয়ে পরা থেকে দূরে থেকো। কেননা, এতে অহংকার জন্মায়। আর নিশ্চয় আল্লাহ অহংকারকে পছন্দ করেন না। যদি কেউ তোমাকে গালি দেয় অথবা এমন দোষ ধরে তোমাকে লজ্জা দেয়, যা তোমার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানে, তাহলে তুমি তার এমন দোষ ধরে তাকে লজ্জা দিয়ো না, যা তার মধ্যে বিদ্যমান আছে বলে জানো। যেহেতু তার কুফল তার উপরই বর্তাবে (তোমার উপর নয়)।’’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী হাসান সহীহ)[1]
(119) بَابُ صِفَةِ طُوْلِ الْقَمِيْصِ وَالْكُمِّ وَالْإِزَارِ وَطَرَفِ الْعِمَامَةِ وَتَحْرِيْمِ إِسْبَالِ شَيْءٍ مِّنْ ذٰلِكَ عَلٰى سَبِيْلِ الْخُيَلَاءِ وَكَرَاهَتِهِ مِنْ غَيْرِ خُيَلَاءِ
وَعَن أَبي جُرَيٍّ جَابِرِ بنِ سُلَيْمٍ رضي الله عنه، قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلاً يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيهِ، لا يَقُولُ شَيْئاً إِلاَّ صَدَرُوا عَنْهُ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا ؟ قَالُوا: رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ: عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم – مَرَّتَينِ - قَالَ: لاَ تَقُلْ: عَلَيْكَ السَّلامُ، عَلَيْكَ السَّلامُ تَحِيَّةُ المَوْتَى، قُلْ: السَّلامُ عَلَيْكَ . قَالَ: قُلْتُ: أنْتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: أنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ، وَإِذَا أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ أَنْبَتَهَا لَكَ، وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرٍ أَوْ فَلاَةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ، فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ . قَالَ: قُلْتُ: اِعْهَدْ إِلَيَّ. قَالَ: لاَ تَسُبَّنَ أحَداً . قَالَ: فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرّاً، وَلاَ عَبْداً، وَلاَ بَعِيراً، وَلاَ شَاةً، « وَلاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ المَعْرُوفِ شَيْئاً، وَأَنْ تُكَلِّمَ أخَاكَ وَأنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ، إنَّ ذَلِكَ مِنَ المَعْرُوفِ، وَارْفَعْ إزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، فَإنْ أبَيْتَ فَإلَى الكَعْبَينِ، وَإيَّاكَ وَإسْبَالَ الإِزَارِ فَإنَّهَا مِنَ المَخِيلَةِ. وَإنَّ اللهَ لاَ يُحِبُّ المَخِيلَةَ ؛ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ، فَإنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ . رواه أَبُو داود والترمذي بإسناد صحيح، وقال الترمذي: حديث حسن صحيح
(119) Chapter: The Description of the Length of the Qamees' Sleeves, the End of the Turban, and Prohibition of Wearing Long Garments Out of Pride and Undesirability of Wearing Them Without Pride
Abu Juraiy Jabir bin Sulaim (May Allah be pleased with him) reported:
I noticed a man whose opinion was followed by every body, and no one acted contrary to what he said. I asked who he was, and I was informed that he was Messenger of Allah (ﷺ). I said to him twice: "Alaikas- salam ya Rasul-Allah (may Allah render you safe)." He said, "Do not say: 'Alaikas-salamu.' This is the salutation to the dead (in Jahiliyyah times). Say, instead: 'As-salamu 'alaika (may Allah render you safe)."' I asked: "Are you Messenger of Allah?" He replied, "(Yes) I am the Messenger of Allah, Who will remove your affliction when you are in trouble and call to Him, Who will cause food to grow for you when you are famine-stricken and call to Him, and Who will restore to you your lost riding beast in the desert when you call upon Him." I said to him: "Give me instructions (to act upon)." He ((ﷺ) said, "Do not abuse anyone." (Since then I have never abused anyone, neither a freeman, nor a slave, nor a camel, nor a sheep). He (ﷺ) continued, "Do not hold in contempt even an insignificant act of goodness, because even talking to your brother with a cheerful countenance is an act of goodness. Hold up your lower garment half way to the leg, and at least above the ankles; for trailing it is arrogance, and Allah dislikes pride. And if a man imputes to you of bad things he knows you possess, do not impute to him bad things that you know he has for he will assume the evil consequences of his abuse."
[Abu Dawud and At-Tirmidhi].
পরিচ্ছেদঃ ২৫. লুঙ্গী পাজামা ঝুলিয়ে পায়ের গিঁঠের নিচে পরা।
৪০৪০. মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... জাবির ইবন সালিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি এমন এক লোককে দেখতে পাই, তিনি যা বলতেন লোকেরা কবূল করতো। আমি জিজ্ঞাসা করিঃ এ ব্যক্তি কে? তারা বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন আমি তাঁকে দু’বার বলিঃ আলায়কাস সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বলেনঃ আলায়কাস সালাম বলো না; কেননা মৃতদের এভাবে সালাম করা হয়। তুমি বলঃ আস্-সালামু আলায়কা। আমি জিজ্ঞাসা করিঃ আপনি কি আল্লাহর রাসূল? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, আমি সেই আল্লাহর রাসূল, যিনি বিপদের সময় তুমি দু’আ করলে তোমার বিপদ দূর করে দেন এবং তোমার উপর দুর্ভিক্ষ আপতিত হলে, তোমার দু’আর বরকতে তিনি খাদ্য-শস্য ও তৃণলতা পয়দা করেন। আর যখন তুমি এমন কোন স্থানে থাক, যার বিজন মরুভূমিতে তোমার উট হারিয়ে যায়, তখন তোমার দু’আর ফলে তিনি তা তোমার কাছে ফিরিয়ে দেন। রাবী বলেন, তখন আমি বলিঃ আমাকে কিছু নসিহত করুন। তিনি বলেনঃ তুমি কখনো কাউকে গালি দেবে না।
রাবী জাবির (রাঃ) বলেনঃ এরপর থেকে আমি কোন দিন কোন স্বাধীন ব্যক্তি, গোলাম, উট এবং বকরীকে গালি দেইনি। তিনি আরো বলেনঃ তুমি কখনো কোন উত্তম বস্তুকে অধম মনে করবে না, যদি তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে কথা বলার সময় হাসিমুখে কথা বল, এটাও একটা ভাল কাজ। আর তুমি তোমার লুঙ্গী ও পাজামাকে পায়ের গোছার উপর রাখবে, যদি তা সম্ভব না হয়, তবে পায়ের গিঁট পর্যন্ত রাখবে। সাবধান, তুমি লুঙ্গী বা পাজামাকে পায়ের গিঁটের নীচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরিধান করবে না। কেননা, এতে গর্ব ও অহংকার প্রকাশ পায় এবং মহান আল্লাহ গর্বকারীকে পছন্দ করেন না। আর যদি কেউ তোমাকে গালি দেয় এবং তোমার গোপন দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে দেয়, তবে তুমি তার গোপন দোষ-ত্রুটি যা জান তা প্রকাশ করবে না। কেননা, তার কৃতকর্মের ফল সে ভোগ করবে।
باب مَا جَاءَ فِي إِسْبَالِ الإِزَارِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي غِفَارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيُّ، - وَأَبُو تَمِيمَةَ اسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ - عَنْ أَبِي جُرَىٍّ، جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيِهِ، لاَ يَقُولُ شَيْئًا إِلاَّ صَدَرُوا عَنْهُ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ عَلَيْكَ السَّلاَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ . قَالَ " لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلاَمُ . فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ الْمَيِّتِ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ " . قَالَ قُلْتُ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَنَا رَسُولُ اللَّهِ الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ وَإِنْ أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ أَنْبَتَهَا لَكَ وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرَاءَ أَوْ فَلاَةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهُ رَدَّهَا عَلَيْكَ " . قُلْتُ اعْهَدْ إِلَىَّ . قَالَ " لاَ تَسُبَّنَّ أَحَدًا " . قَالَ فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرًّا وَلاَ عَبْدًا وَلاَ بَعِيرًا وَلاَ شَاةً . قَالَ " وَلاَ تَحْقِرَنَّ شَيْئًا مِنَ الْمَعْرُوفِ وَأَنْ تُكَلِّمَ أَخَاكَ وَأَنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنَ الْمَعْرُوفِ وَارْفَعْ إِزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِلَى الْكَعْبَيْنِ وَإِيَّاكَ وَإِسْبَالَ الإِزَارِ فَإِنَّهَا مِنَ الْمَخِيلَةِ وَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْمَخِيلَةَ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلاَ تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ فَإِنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ " .
Narrated Abu Jurayy Jabir ibn Salim al-Hujaymi:
I saw a man whose opinion was accepted by the people, and whatever he said they submitted to it. I asked: Who is he? They said: This is the Messenger of Allah (ﷺ). I said: On you be peace, Messenger of Allah, twice. He said: Do not say "On you be peace," for "On you be peace" is a greeting for the dead, but say "Peace be upon you".
I asked: You are the Messenger of Allah (may peace be upon you)? He said: I am the Messenger of Allah Whom you call when a calamity befalls you and He removes it; when you suffer from drought and you call Him, He grows food for you; and when you are in a desolate land or in a desert and your she-camel strays and you call Him, He returns it to you.
I said: Give me some advice. He said: Do not abuse anyone. He said that he did not abuse a freeman, or a slave, or a camel or a sheep thenceforth. He said: Do not look down upon any good work, and when you speak to your brother, show him a cheerful face. This is a good work. Have your lower garment halfway down your shin; if you cannot do it, have it up to the ankles. Beware of trailing the lower garment, for it is conceit and Allah does not like conceit. And if a man abuses and shames you for something which he finds in you, then do not shame him for something which you find in him; he will bear the evil consequences for it.
পরিচ্ছেদঃ প্রথমেই 'আলায়কাস সালাম' বলা মাকরূহ।
২৭২২. হাসান ইবন আলী (রহঃ) ..... জাবির ইবন সুলায়ম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। বললামঃ ’আলায়কাস সালাম’। তিনি বললেনঃ ’আলায়কাস সালাম’ বলবে না বরং বলবে’ আসসালামু ’আলাইকুম’। এরপর তিনি দীর্ঘ ঘটনাটি বর্ণনা করলেন।
সহীহ,তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭২২ [আল মাদানী প্রকাশনী] দেখুন পূর্বের হাদিস।
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَنْ يَقُولَ عَلَيْكَ السَّلاَمُ مُبْتَدِئًا
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ أَبِي غِفَارٍ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ عَلَيْكَ السَّلاَمُ . فَقَالَ " لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلاَمُ وَلَكِنْ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ " . وَذَكَرَ قِصَّةً طَوِيلَةً وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Ghifar Al-Muthanna bin Sa'eed At-Ta'i:
from Abu Tamimah al-Hujaimi from Jabir bin Sulaim who said: "I went to the Prophet (ﷺ) and I said: ''Alaikas-Salam (upon you be peace)' so he replied: 'Do not say "'Alaikas-Salam" rather say As-Salamu Alaik.'" And he mentioned the story in its entirety.
পরিচ্ছেদঃ ২৮. প্রথমেই "আলাইকাস সালাম" বলা নিষেধ
২৭২২। জাবির ইবনু সুলাইম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললাম, আলাইকাস সালাম’। তিনি বললেনঃ ’আলাইকাস সালাম বল না, বরং ’আসসালামু ’আলাইকা’ বল। তারপর তিনি দীর্ঘ ঘটনা বর্ণনা করেন।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَنْ يَقُولَ عَلَيْكَ السَّلاَمُ مُبْتَدِئًا
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ أَبِي غِفَارٍ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ عَنْ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ عَلَيْكَ السَّلاَمُ . فَقَالَ " لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلاَمُ وَلَكِنْ قُلِ السَّلاَمُ عَلَيْكَ " . وَذَكَرَ قِصَّةً طَوِيلَةً وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Ghifar Al-Muthanna bin Sa'eed At-Ta'i:
from Abu Tamimah al-Hujaimi from Jabir bin Sulaim who said: "I went to the Prophet (ﷺ) and I said: ''Alaikas-Salam (upon you be peace)' so he replied: 'Do not say "'Alaikas-Salam" rather say As-Salamu Alaik.'" And he mentioned the story in its entirety.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. লুঙ্গি-পাজামা পায়ের টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরার পরিণতি
৪০৮৪। আবূ জুরায়্যি জাবির ইবনু সুলাইম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখেছি, যার কথা সবাই মেনে চলে এবং যা কিছু বলেন সবাই তা পালন করে। আমি বললাম, ইনি কে? তারা বললো, ইনি হলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আমি দু’ বার বললাম, ’আলাইকাস সালাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ ’আলাইকাস সালাম বলো না, কেননা ’আলাইকাস সালাম দ্বারা মৃত ব্যক্তিকে সালাম দেয়া হয়। বরং তুমি বলো, আসসালামু আলাইকা।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি কি আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আমি সেই আল্লাহর রাসূল, যাকে তুমি বিপদে পড়ে ডাকলে তিনি তোমার বিপদ দূর করেন; দুর্ভিক্ষের সময়ে তাঁকে ডাকলে তিনি তোমার জন্য খাদ্যশস্য উৎপাদন করেন; ঘাস-পানিহীন মরু প্রান্তরে তোমার সওয়ারী হারিয়ে গেলে তাঁকে ডাকলে তিনি তোমার নিকট তা ফিরিয়ে দেন।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে আমাকে উপদেশ প্রদানের অনুরোধ জানালাম। তিনি বললেনঃ তুমি কখনো কাউকে গালি দিবে না। বর্ণনাকারী বলেন, এর পরে আমি কখনো স্বাধীন, গোলাম, উট ও ছাগল, কোনো কিছুকেই গালি দেইনি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ ভালো কাজে অবজ্ঞা প্রদর্শন করো না। তোমার ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলাটা নিঃসন্দেহে ভালো কাজের অন্তর্ভুক্ত।
তোমার কাপড় পায়ের নলার মাঝামাঝি পর্যন্ত উঠিয়ে রাখো, যদি এতে সন্তুষ্ট না হও তবে টাখনু পর্যন্ত রাখো। টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে পরা থেকে সাবধান; কারণ তা করা অহংকারের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ অহংকার পছন্দ করেন না। কেউ যদি তোমার মধ্যকার জানা কোনো দোষ উল্লেখ করে তোমাকে মন্দ কথা বলে এবং লজ্জিত করে তবে তুমি কিন্তু তার জ্ঞাত দোষ উল্লেখ করে তাকে লজ্জা দিবে না। কেননা এর কৃতকর্মের প্রতিফল তাকে ভোগ করতেই হবে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِسْبَالِ الْإِزَارِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي غِفَارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيُّ - وَأَبُو تَمِيمَةَ اسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ - عَنْ أَبِي جُرَيٍّ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ، قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلًا يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيِهِ، لَا يَقُولُ شَيْئًا إِلَّا صَدَرُوا عَنْهُ، قُلْتُ: مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: عَلَيْكَ السَّلَامُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَرَّتَيْنِ، قَالَ: لَا تَقُلْ: عَلَيْكَ السَّلَامُ، فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلَامُ تَحِيَّةُ الْمَيِّتِ، قُلْ: السَّلَامُ عَلَيْكَ قَالَ: قُلْتُ: أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ؟ قَالَ: أَنَا رَسُولُ اللَّهِ الَّذِي إِذَا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَهُ كَشَفَهُ عَنْكَ، وَإِنْ أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَهُ، أَنْبَتَهَا لَكَ، وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضٍ قَفْرَاءَ - أَوْ فَلَاةٍ - فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَهُ، رَدَّهَا عَلَيْكَ، قَالَ: قُلْتُ: اعْهَدْ إِلَيَّ، قَالَ: لَا تَسُبَّنَّ أَحَدًا قَالَ: فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَهُ حُرًّا، وَلَا عَبْدًا، وَلَا بَعِيرًا، وَلَا شَاةً، قَالَ: وَلَا تَحْقِرَنَّ شَيْئًا مِنَ الْمَعْرُوفِ، وَأَنْ تُكَلِّمَ أَخَاكَ وَأَنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنَ الْمَعْرُوفِ، وَارْفَعْ إِزَارَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ، فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِلَى الْكَعْبَيْنِ، وَإِيَّاكَ وَإِسْبَالَ الْإِزَارِ، فَإِنَّهَا مِنَ المَخِيلَةِ، وَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمَخِيلَةَ، وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ، فَلَا تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ، فَإِنَّمَا وَبَالُ ذَلِكَ عَلَيْهِ
صحيح
Narrated AbuJurayy Jabir ibn Salim al-Hujaymi:
I saw a man whose opinion was accepted by the people, and whatever he said they submitted to it. I asked: Who is he? They said: This is the Messenger of Allah (ﷺ). I said: On you be peace, Messenger of Allah, twice. He said: Do not say "On you be peace," for "On you be peace" is a greeting for the dead, but say "Peace be upon you".
I asked: You are the Messenger of Allah (may peace be upon you)? He said: I am the Messenger of Allah Whom you call when a calamity befalls you and He removes it; when you suffer from drought and you call Him, He grows food for you; and when you are in a desolate land or in a desert and your she-camel strays and you call Him, He returns it to you.
I said: Give me some advice. He said: Do not abuse anyone. He said that he did not abuse a freeman, or a slave, or a camel or a sheep thenceforth. He said: Do not look down upon any good work, and when you speak to your brother, show him a cheerful face. This is a good work. Have your lower garment halfway down your shin; if you cannot do it, have it up to the ankles. Beware of trailing the lower garment, for it is conceit and Allah does not like conceit. And if a man abuses and shames you for something which he finds in you, then do not shame him for something which you find in him; he will bear the evil consequences for it.