পরিচ্ছেদঃ ৭. মহামারীর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ২২. আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) শাম দেশের দিকে যাত্রা করিলেন। যখন তিনি সুরগ নামক স্থানে পৌছিলেন তখন বড় বড় সেনাপতি তাহার সহিত মিলিত হইলেন, যেমন আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ ও তাহার সঙ্গিগণ। ঐ সেনাপতিগণ বলিলেন, আজকাল শাম দেশে মহামারী বিস্তার লাভ করিয়াছে। ইবন আব্বাস বলিলেন, নেতৃস্থানীয় মুহাজিরদেরকে ডাকিয়া আন যাহারা প্রথমে হিজরত করিয়াছেন। উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিলেন তাহাদিগকে ডাকিয়া আনা হইল। উমর (রাঃ) তাহাদের সহিত শাম দেশের মহামারী সম্বন্ধে পরামর্শ করিলেন। তাহাদের কেহ মন্তব্য করিলেন, আপনি কাজের জন্য বাহির হইয়াছেন এখন প্রত্যাবর্তন করা সমীচীন হইবে না। কেহ বলিলেন, আপনার সহিত অন্যান্য লোকও রহিয়াছে আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সাহাবীও রহিয়াছেন। তাহাদিগকে এই মহামারীতে লইয়া যাওয়া যুক্তিযুক্ত হইবে না। উমর (রাঃ) তাহাদিগকে বিদায় দিলেন। অতঃপর বলিলেন, যাও আনসারদেরকে ডাকিয়া আন! অতঃপর ইবনে আব্বাস আনসারদেরকে ডাকিয়া আনিলেন। উমর (রাঃ) তাহদের সহিত পরামর্শ করিলেন। তাহারাও মুহাজিরদের মতো মত প্রকাশ করিলেন। উমর (রাঃ) তাহাদিগকেও বিদায় দিলেন। অতঃপর বলিলেন, যাও কুরাইশ সর্দারদিগকে ডাকিয়া আন। যাহারা মক্কা বিজয়ের পর হিজরত করিয়াছেন, আমি কুরাইশের বয়োবৃদ্ধদের ডাকিয়া আনিলাম। তাহদের দুইজনের মধ্যেও কোন মতবিরোধ হইল না, বরং সকলেই এক বাক্যে বলিলেন, আমাদের মতে আপনার ফিরিয়া যাওয়াই যুক্তিযুক্ত মনে হইতেছে। লোকদেরকে মহামারিতে লইয়া যাওয়া সমীচীন মনে হইতেছে না। অতঃপর উমর (রাঃ) ঘোষণা করিয়া দিলেন, সকাল বেলায় আমরা ফিরিয়া যাইব ।

সকাল বেলা সকলেই সওয়ার হইয় তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিল। সে সময় আবূ উবায়দা (রহঃ) বলিলেন, কি হইল, আল্লাহর তকদীর (নির্ধারিত বিধান) হইতে পলাইয়া যাইতেছ? উমর (রাঃ) বলিলেন, যদি এই কথা অন্য কেহ বলিত। হ্যাঁ, আমরা আল্লাহর তকদীর হইতে আল্লাহর তকদীরের প্রতি পলায়ন করিতেছি। যদি তোমার নিকট উট থাকে আর তুমি দুই দিক ঘেরাও করা মাঠে লইয়া যাও, যাহার একদিক শস্য শ্যামল থাকে আর অন্যদিক শুষ্ক ও খালি থাকে। যদি তুমি উটকে শ্যামল দিকে চরাও তখনও তুমি উহা আল্লাহর তকদীরেই উহাকে চরাইলে আর যদি শুষ্ক ভূমিতে চরাও তবুও আল্লাহর তকদীরেই চরাইলে। এই সময়ে আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) আসিয়া পড়িলেন। তিনি কোথাও কোন কাজে গিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন, আমার এই ব্যাপারে জানা আছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি যদি তুমি কোন স্থানে মহামারীর কথা শুনিতে পাও তবে তথায় গমন করিও না। আর যদি কোন স্থানে মহামারী ছড়াইয়া পড়ে আর তুমি সেখানে থাক তবে তথা হইতে পলাইও না। ইবনে আব্বাস বলিলেন, ইহা শুনিয়া উমর (রাঃ) আল্লাহর প্রশংসা করিলেন এবং তথা হইতে প্রত্যাবর্তন করিলেন।

مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ حَتَّى إِذَا كَانَ بِسَرْغَ لَقِيَهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابُهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ بِأَرْضِ الشَّامِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ادْعُ لِي الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ فَدَعَاهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ قَدْ خَرَجْتَ لِأَمْرٍ وَلَا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ مَعَكَ بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَرَى أَنْ تُقْدِمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَإِ فَقَالَ عُمَرُ ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي الْأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلَافِهِمْ فَقَالَ ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ ادْعُ لِي مَنْ كَانَ هَاهُنَا مِنْ مَشْيَخَةِ قُرَيْشٍ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ فَدَعَوْتُهُمْ فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ مِنْهُمُ رَجُلَانِ فَقَالُوا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ وَلَا تُقْدِمَهُمْ عَلَى هَذَا الْوَبَإِ فَنَادَى عُمَرُ فِي النَّاسِ إِنِّي مُصْبِحٌ عَلَى ظَهْرٍ فَأَصْبِحُوا عَلَيْهِ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ أَفِرَارًا مِنْ قَدَرِ اللَّهِ فَقَالَ عُمَرُ لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ نَعَمْ نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لَكَ إِبِلٌ فَهَبَطَتْ وَادِيًا لَهُ عُدْوَتَانِ إِحْدَاهُمَا خَصِبَةٌ وَالْأُخْرَى جَدْبَةٌ أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتَ الْخَصِبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ وَإِنْ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ وَكَانَ غَائِبًا فِي بَعْضِ حَاجَتِهِ فَقَالَ إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ قَالَ فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ ثُمَّ انْصَرَفَ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن عبد الحميد بن عبد الرحمن بن زيد بن الخطاب عن عبد الله بن عبد الله بن الحارث بن نوفل عن عبد الله بن عباس ان عمر بن الخطاب خرج الى الشام حتى اذا كان بسرغ لقيه امراء الاجناد ابو عبيدة بن الجراح واصحابه فاخبروه ان الوبا قد وقع بارض الشام قال ابن عباس فقال عمر بن الخطاب ادع لي المهاجرين الاولين فدعاهم فاستشارهم واخبرهم ان الوبا قد وقع بالشام فاختلفوا فقال بعضهم قد خرجت لامر ولا نرى ان ترجع عنه وقال بعضهم معك بقية الناس واصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا نرى ان تقدمهم على هذا الوبا فقال عمر ارتفعوا عني ثم قال ادع لي الانصار فدعوتهم فاستشارهم فسلكوا سبيل المهاجرين واختلفوا كاختلافهم فقال ارتفعوا عني ثم قال ادع لي من كان هاهنا من مشيخة قريش من مهاجرة الفتح فدعوتهم فلم يختلف عليه منهم رجلان فقالوا نرى ان ترجع بالناس ولا تقدمهم على هذا الوبا فنادى عمر في الناس اني مصبح على ظهر فاصبحوا عليه فقال ابو عبيدة افرارا من قدر الله فقال عمر لو غيرك قالها يا ابا عبيدة نعم نفر من قدر الله الى قدر الله ارايت لو كان لك ابل فهبطت واديا له عدوتان احداهما خصبة والاخرى جدبة اليس ان رعيت الخصبة رعيتها بقدر الله وان رعيت الجدبة رعيتها بقدر الله فجاء عبد الرحمن بن عوف وكان غاىبا في بعض حاجته فقال ان عندي من هذا علما سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول اذا سمعتم به بارض فلا تقدموا عليه واذا وقع بارض وانتم بها فلا تخرجوا فرارا منه قال فحمد الله عمر ثم انصرف


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abd al-Hamid ibn Abd ar-Rahman ibn Zayd ibn al-Khattab from Abdullah ibn Abdullah ibn al-Harith ibn Nawfal from Abdullah ibn Abbas that Umar ibn al- Khattab set out for ash Sham and when he was at Sargh, near Tabuk, the commanders of the army, Abu Ubayda ibn al-Jarrah and his companions, met him and told him that the plague had broken out in ash-Sham. Ibn Abbas said, "Umar ibn al-Khattab said, 'all the first Muhajir unto me.' He assembled them and asked them for advice, informing them that the plague had broken out in ash Sham. They disagreed. Some said, 'You have set out for something, and we do not think that you should leave it.' Others said, 'You have the companions of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, and the rest of the people with you, and we do not think that you should send them towards this plague.' Umar said, 'Leave me.'

Then he said, 'Summon the Ansar to me.' They were summoned and he asked them for advice. They acted as the Muhajirun had and disagreed as they had disagreed. He said, 'Leave me.' "Then he said, 'Summon to me whoever is here of the aged men of Quraysh from the Muhajirun of the conquest.' He summoned them and not one of them differed. They said, 'We think that you should withdraw the people and not send them towards the plague.' Umar called out to the people, 'I am leaving by camel in the morning,' so they set out. Abu Ubayda said, 'Is it flight from the decree of Allah?' Umar said, 'Better that someone other than you had said it, Abu Ubayda. Yes. We flee from the decree of Allah to the decree of Allah. What would you think if these camels had gone down into a valley which had two slopes, one of them fertile, and the other barren. If you pastured in the fertile part, wouldn't you pasture them by the decree of Allah? If you pastured them in the barren part, wouldn't you pasture them by the decree of Allah?'

''Abd ar-Rahman ibn Awf arrived and he had been off doing something and he said, 'I have some knowledge of this. I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "If you hear about it in a land, do not go forward to it. If it comes upon a land and you are in it, then do not depart in flight from it." ' Umar praised Allah and then set off."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাসআলা সম্বলিত অধ্যায় (كتاب الجامع) 45/ Madina

পরিচ্ছেদঃ ৭. মহামারীর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ২৩. সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) উসামা ইবনে যায়দের নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট মহামারী সম্বন্ধে কি শুনিয়াছ? তিনি বলিলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন মহামারী এক প্রকার আযাব যাহা বনী ইসরাইলের এক সম্প্রদায়ের প্রতি পাঠান হইয়াছে (অথবা বলিয়াছেন) তোমাদের পূর্বেকার লোকদের প্রতি পাঠান হইয়াছে। যখন তোমরা কোন স্থানে মহামারীর কথা শোন তথায় যাইও না, আর যদি কোথাও মহামারী সংক্রামিত হইয়া পড়ে আর তোমরা তথায় থাক, তবে তথা হইতে পলায়ন করিও না। আবু নসর বলেন, পলায়নের ইচ্ছায় বাহির হইও না।

مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَعَنْ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَسْأَلُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الطَّاعُونِ فَقَالَ أُسَامَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّاعُونُ رِجْزٌ أُرْسِلَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَوْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ قَالَ مَالِك قَالَ أَبُو النَّضْرِ لَا يُخْرِجُكُمْ إِلَّا فِرَارٌ مِنْهُ

وحدثني عن مالك عن محمد بن المنكدر وعن سالم ابي النضر مولى عمر بن عبيد الله عن عامر بن سعد بن ابي وقاص عن ابيه انه سمعه يسال اسامة بن زيد ما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم في الطاعون فقال اسامة قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الطاعون رجز ارسل على طاىفة من بني اسراىيل او على من كان قبلكم فاذا سمعتم به بارض فلا تدخلوا عليه واذا وقع بارض وانتم بها فلا تخرجوا فرارا منه قال مالك قال ابو النضر لا يخرجكم الا فرار منه


Yahya related to me from Malik from Muhammad ibn al-Munkadir and from Salim ibn Abi'n-Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah that Amir ibn Sad ibn Abi Waqqas heard his father ask Usama ibn Zayd, "Have you heard anything from the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, about the plague?" Usama said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'The plague is a punishment that was sent down on a party of the Banu Israil or whoever was before them. When you hear of it in a land, do not enter it. If it comes upon a land and you are in it, do not depart in flight from it.' "

Malik said that Abu'n-Nadr said, "That is, do not depart with no other intention but flight."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাসআলা সম্বলিত অধ্যায় (كتاب الجامع) 45/ Madina

পরিচ্ছেদঃ ৭. মহামারীর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ২৪. আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবনে রবী’আ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, উমর (রাঃ) শাম দেশের দিকে রওয়ানা হইলেন, যখন সুরগ নামক স্থানে পৌছিলেন, তখন জানিতে পারিলেন, শাম দেশে মহামারী বিস্তার লাভ করিয়াছে।

مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ فَلَمَّا جَاءَ سَرْغَ بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَأَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ فَرَجَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنْ سَرْغَ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن عبد الله بن عامر بن ربيعة ان عمر بن الخطاب خرج الى الشام فلما جاء سرغ بلغه ان الوبا قد وقع بالشام فاخبره عبد الرحمن بن عوف ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اذا سمعتم به بارض فلا تقدموا عليه واذا وقع بارض وانتم بها فلا تخرجوا فرارا منه فرجع عمر بن الخطاب من سرغ


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Abdullah ibn Amir ibn Rabia that Umar ibn al-Khattab went out to ash-Sham. When he came to Sargh, near Tabuk, he heard that the plague had broken out in ash-Sham. Abd ar-Rahman ibn Awf told him that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If you hear that a land has a plague in it, do not go forward to it. If it comes upon a land which you are in, do not depart in flight from it." Umar ibn al- Khattab came back from Sargh.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাসআলা সম্বলিত অধ্যায় (كتاب الجامع) 45/ Madina

পরিচ্ছেদঃ ৭. মহামারীর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ২৫. সালেম ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) আবদুর রহমান ইবনে আউফ-এর কথায় সুরগ হইতে ফিরিয়া আসিলেন।

مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ إِنَّمَا رَجَعَ بِالنَّاسِ مِنْ سَرْغَ عَنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ

وحدثني عن مالك عن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله ان عمر بن الخطاب انما رجع بالناس من سرغ عن حديث عبد الرحمن بن عوف


Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Salim ibn Abdullah that Umar ibn al-Khattab turned people back at Sargh according to the hadith of Abd ar-Rahman ibn Awf.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাসআলা সম্বলিত অধ্যায় (كتاب الجامع) 45/ Madina

পরিচ্ছেদঃ ৭. মহামারীর বর্ণনা

রেওয়ায়ত ২৬. মালিক (রহঃ) বলেন, উমর (রাঃ) বলিয়াছেন, রুকবার একটি ঘর আমার নিকট শাম দেশের দশটি ঘর হইতে উৎকৃষ্ট। মালিক (রহঃ) বলেন, ইহা এইজন্য যে, রুকবা স্বাস্থ্যকর স্থান ছিল, সেখানে লোকেরা দীর্ঘায়ু লাভ করিত, আর শামে প্রায়ই মহামারী দেখা দিত।

مَا جَاءَ فِي الطَّاعُونِ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لَبَيْتٌ بِرُكْبَةَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ عَشَرَةِ أَبْيَاتٍ بِالشَّامِ قَالَ مَالِك يُرِيدُ لِطُولِ الْأَعْمَارِ وَالْبَقَاءِ وَلِشِدَّةِ الْوَبَإِ بِالشَّامِ

وحدثني عن مالك انه قال بلغني ان عمر بن الخطاب قال لبيت بركبة احب الي من عشرة ابيات بالشام قال مالك يريد لطول الاعمار والبقاء ولشدة الوبا بالشام


Yahya related to me that Malik said, "I heard that Umar ibn al- Khattab said, 'A night in Rukba (a valley near Taif,) is more preferable to me than ten nights in ash-Sham.' "

Malik said, "He meant to lengthen and preserve their lives because of the severity of the plague in ash-Sham ."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৪৫. বিভিন্ন প্রকারের মাসআলা সম্বলিত অধ্যায় (كتاب الجامع) 45/ Madina
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে