পরিচ্ছেদঃ ১১. যে অবস্থায় হাত কাটা হইবে না
রেওয়ায়ত ৩২. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন হিব্বান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, এক দাস একটি বাগান হইতে একটি খেজুরের চারা চুরি করিয়া স্বীয় প্রভুর বাগানে রোপণ করিল। পরে ঐ বাগানের মালিক তাহার চারার অন্বেষণে বাহির হইল এবং ঐ বাগানে আসিয়া তাহার চারা পাইল। সেই ব্যক্তি ঐ দাসের ব্যাপারে মারওয়ানের নিকট নালিশ করিল। মারওয়ান ঐ দাসকে ডাকিয়া বন্দী করিল এবং তাহার হস্ত কর্তনের ইচ্ছা করিল। ঐ দাসের প্রভু রাফি ইবন খাদীজের নিকট উপস্থিত হইয়া আনুপূর্বিক সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করিল। রাফি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট শ্রবণ করিয়াছি, তিনি বলিয়াছেন, ফল কিংবা কোন চারা গাছের জন্য হাত কাটা হইবে না। সে বলিল, মারওয়ান আমার দাসকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছে এবং তাহার হাত কাটিতে চায়। আমার ইচ্ছা আপনি আমার সহিত মারওয়ানের নিকট যাইয়া তাহাকে এই হাদীসটি শোনাইয়া দিন। অবশেষে রাফি তাহার সহিত মারওয়ানের নিকট গেলেন এবং জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি তাহার দাসকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছ? মারওয়ান বলিলঃ হ্যাঁ, রাফি বললেন, কি করিবে? মারওয়ান বলিল, তাহার হাত কাটিয়া ফেলিব। রাফি বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ ফল ও চারা গাছের জন্য হাত কাটা যাইবে না। ইহা শুনিয়া মারওয়ান ঐ গোলামকে ছাড়িয়া দিতে আদেশ করিল।
باب مَا لَا قَطْعَ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ أَنَّ عَبْدًا سَرَقَ وَدِيًّا مِنْ حَائِطِ رَجُلٍ فَغَرَسَهُ فِي حَائِطِ سَيِّدِهِ فَخَرَجَ صَاحِبُ الْوَدِيِّ يَلْتَمِسُ وَدِيَّهُ فَوَجَدَهُ فَاسْتَعْدَى عَلَى الْعَبْدِ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ فَسَجَنَ مَرْوَانُ الْعَبْدَ وَأَرَادَ قَطْعَ يَدِهِ فَانْطَلَقَ سَيِّدُ الْعَبْدِ إِلَى رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ وَالْكَثَرُ الْجُمَّارُ فَقَالَ الرَّجُلُ فَإِنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ أَخَذَ غُلَامًا لِي وَهُوَ يُرِيدُ قَطْعَهُ وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ تَمْشِيَ مَعِيَ إِلَيْهِ فَتُخْبِرَهُ بِالَّذِي سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَمَشَى مَعَهُ رَافِعٌ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ فَقَالَ أَخَذْتَ غُلَامًا لِهَذَا فَقَالَ نَعَمْ فَقَالَ فَمَا أَنْتَ صَانِعٌ بِهِ قَالَ أَرَدْتُ قَطْعَ يَدِهِ فَقَالَ لَهُ رَافِعٌ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ فَأَمَرَ مَرْوَانُ بِالْعَبْدِ فَأُرْسِلَ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Muhammad ibn Yahya ibn Habban that a slave stole a small palm from a man's garden and planted it in the garden of his master. The owner of the palm went out looking for the palm and found it. He asked for help against the slave from Marwan ibn al-Hakam. Marwan jailed the slave and wanted to cut off his hand. The master of the slave rushed off to Rafi ibn Khadij and asked him about it. Rafi informed him that he heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, "The hand is not cut off for fruit or palm pith." The man said, "Marwan ibn al-Hakam has taken a slave of mine and wants to cut off his hand. I would like you to go with me to him so you can tell him what you heard from the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace." So, Rafi went with him to Marwan ibn al-Hakam. He said, "Did you arrest a slave for this?" He said, "Yes." He said, "What will you do with him?" He said, "I want to cut off his hand." Rafi said to him, "I heard the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, say, 'The hand is not cut off for dates or palm pith.' Marwan therefore ordered the slave to be released."
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে অবস্থায় হাত কাটা হইবে না
রেওয়ায়ত ৩৩. সায়িব ইবন ইয়াযীদ হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন হাযরামী (রাঃ) স্বীয় দাসকে উমর (রাঃ)-এর নিকট নিয়া আসিল এবং বলিল, আপনি আমার এই দাসের হাত কাটিয়া ফেলুন। কেননা সে চুরি করিয়াছে। তিনি বলিলেন, কি চুরি করিয়াছে? তিনি বলিলেন, সে আমার স্ত্রীর আয়না চুরি করিয়াছে, যাহার মূল্য হইবে ষষ্ঠ দিরহাম। উমর (রাঃ) বললেন, তাহাকে ছাড়িয়া দাও, তাহার হাত কাটা যাইবে না। সে তোমার চাকর ছিল, তোমার মাল চুরি করিয়াছে।
باب مَا لَا قَطْعَ فِيهِ
حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَضْرَمِيِّ جَاءَ بِغُلَامٍ لَهُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فَقَالَ لَهُ اقْطَعْ يَدَ غُلَامِي هَذَا فَإِنَّهُ سَرَقَ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ مَاذَا سَرَقَ فَقَالَ سَرَقَ مِرْآةً لِامْرَأَتِي ثَمَنُهَا سِتُّونَ دِرْهَمًا فَقَالَ عُمَرُ أَرْسِلْهُ فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَطْعٌ خَادِمُكُمْ سَرَقَ مَتَاعَكُمْ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from as-Sa'ib ibn Yazid that Abdullah ibn Amr ibn al-Hadrami brought a slave of his to Umar ibn al-Khattab and said to him, "Cut off the hand of this slave of mine. He has stolen." Umar said to him, "What did he steal?" He said, "He stole a mirror belonging to my wife. Its value was sixty dirhams." Umar said, "Let him go. His hand is not to be cut off. He is your servant who has stolen your belongings."
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে অবস্থায় হাত কাটা হইবে না
রেওয়ায়ত ৩৪. ইবন শিহাব বর্ণিত, মারওয়ানের নিকট এক ব্যক্তিকে আনা হইল, যে ব্যক্তি কাহারও মাল অপহরণ করিয়া লইয়া গিয়াছে। মারওয়ান তাহার হাত কাটিতে মনস্থ করিল। অতঃপর ইহার বিধান জিজ্ঞাসা করিবার জন্য যায়দ ইবন সাবিত (রাঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তিকে পাঠাইল। তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি কাহারও মাল অপহরণ করে তাহার হাত কাটা হইবে না।
باب مَا لَا قَطْعَ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ أُتِيَ بِإِنْسَانٍ قَدْ اخْتَلَسَ مَتَاعًا فَأَرَادَ قَطْعَ يَدِهِ فَأَرْسَلَ إِلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ يَسْأَلُهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ لَيْسَ فِي الْخُلْسَةِ قَطْعٌ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that Marwan ibn al-Hakam was brought a man who had snatched some goods and he wanted to cut off his hand. He sent to Zayd ibn Thabit to ask him about it. Zayd ibn Thabit said to him, "The hand is not cut off for what is stolen by chance, openly, in haste."
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে অবস্থায় হাত কাটা হইবে না
রেওয়ায়ত ৩৫. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হাযম এক নিবাতী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিল, যে লোহার আংটি চুরি করিয়াছে। তাহাকে হাত কাটিতে ধরিয়া রাখিল। উমরা বিনতে আবদুর রহমান (রাঃ) তাহার উমাইয়া নামক মুক্ত দাসীকে আবু বকর (রাঃ)-এর নিকট পাঠাইলেন। আবু বকর (রাঃ) বলিলেনঃ আমি কয়েকজন লোকের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলাম। ইত্যবসরে ঐ দাসী আমার নিকট আসিয়া বলিতে লাগিল, আপনার খালা উমরা বলিয়াছেন, ভাগনে তুমি অল্প কিছু মালের জন্য একজন গ্রাম্য লোককে আটকাইয়া রাখিয়াছ আর তাহার হাত কাটিতে চাহিতেছ? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। সে বলিল, উমরা বলিয়াছেন যে, এক-চতুর্থাংশ দীনারের বিনিময়েই হাত কাটা হইয়া থাকে। অতঃপর আমি তাহাকে ছাড়িয়া দিলাম।
মালিক (রহঃ) বলেন, যদি কোন দাস এইরূপ কোন অন্যায় স্বীকার করে, যাহাতে তাহার উপর হাদ্দ জারি হয় অথবা শাস্তি বর্তায় যাহা তাহার দৈহিক ক্ষতি সাধন করে, (যথাঃ হাত কাটা যায়), তবে তাহা বৈধ। তাহাকে এই দোষারোপ করা হইবে না যে, সে তাহার প্রভুর অনিষ্ট সাধনের নিমিত্ত এই ধরনের অপরাধ স্বীকার করিয়াছে, প্রকৃতপক্ষে সে উহা করে নাই।
মালিক (রহঃ) বলেন, কোন দাস যদি এইরূপ কোন অন্যায় স্বীকার করে যাহার জন্য তাহার প্রভুকে ক্ষতিগ্রস্ত হইতে হয় এইভাবে যে, প্রভুকে তাহার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, তবে তাহার এই স্বীকারোক্তি বৈধ ধরা যাইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেন, যদি কোন শ্রমিক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যে এমন সব লোকের মধ্যে থাকে, যাহাদের সে খিদমত করে সে তাহাদের কোন বস্তু চুরি করিলে হাত কাটা যাইবে না। কেননা সে খেয়ানতকারীর মতো হইল। আর খেয়ানতকারী ব্যক্তির হাত কাটা হয় না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কেহ কাহারও কোন দ্রব্য চাহিয়া নেয়, অতঃপর তাহা অস্বীকার করে, তবে তাহার হাত কাটা হইবে না। ইহার উদাহরণ এইরূপঃ যেমন কেহ কাহারও নিকট হইতে ঋণ লইয়া তাহা অস্বীকার করিল তখন তাহার হাত কাটা হইবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত বিধান যে, যদি চোর ঘরে ঢুকিয়া মাল একত্র করিয়া নেয় কিন্তু উহা ঘর হইতে বাহির করিল না, তাহা হইলে তাহার হাত কাটা হইবে না। ইহার উদাহরণ এইরূপঃ যেমন কাহারও সম্মুখে পান করিবার জন্য মদ রাখা আছে, কিন্তু সে এখনও উহা পান করে নাই; এমতাবস্থায় তাহাকে মদ্য পানের শাস্তি দেওয়া হইবে না। উহার উদাহরণ এইরূপও হইতে পারে, যেমন কেহ কোন স্ত্রীলোকের নিকট সহবাস করিতে উপবেশন করিল, কিন্তু তাহার লজ্জাস্থানে স্বীয় লজ্জাস্থান প্রবেশ করায় নাই, এমতাবস্থায় তাহার উপর ব্যভিচারের শাস্তি বর্তিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট একটি সর্বসম্মত বিধান এই যে, ছিনাইয়া লইলে হাত কাটা হইবে না, যদিও ঐ দ্রব্যের মূল্য এক দীনারের চতুর্থাংশ বা তাহার চাইতে অধিক হয়।
باب مَا لَا قَطْعَ فِيهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنَّهُ أَخَذَ نَبَطِيًّا قَدْ سَرَقَ خَوَاتِمَ مِنْ حَدِيدٍ فَحَبَسَهُ لِيَقْطَعَ يَدَهُ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ عَمْرَةُ بِنْتُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَاةً لَهَا يُقَالُ لَهَا أُمَيَّةُ قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَجَاءَتْنِي وَأَنَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْ النَّاسِ فَقَالَتْ تَقُولُ لَكَ خَالَتُكَ عَمْرَةُ يَا ابْنَ أُخْتِي أَخَذْتَ نَبَطِيًّا فِي شَيْءٍ يَسِيرٍ ذُكِرَ لِي فَأَرَدْتَ قَطْعَ يَدِهِ قُلْتُ نَعَمْ قَالَتْ فَإِنَّ عَمْرَةَ تَقُولُ لَكَ لَا قَطْعَ إِلَّا فِي رُبُعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا قَالَ أَبُو بَكْرٍ فَأَرْسَلْتُ النَّبَطِيَّ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي اعْتِرَافِ الْعَبِيدِ أَنَّهُ مَنْ اعْتَرَفَ مِنْهُمْ عَلَى نَفْسِهِ بِشَيْءٍ يَقَعُ الْحَدُّ فِيهِ أَوْ الْعُقُوبَةُ فِيهِ فِي جَسَدِهِ فَإِنَّ اعْتِرَافَهُ جَائِزٌ عَلَيْهِ وَلَا يُتَّهَمُ أَنْ يُوقِعَ عَلَى نَفْسِهِ هَذَا قَالَ مَالِك وَأَمَّا مَنْ اعْتَرَفَ مِنْهُمْ بِأَمْرٍ يَكُونُ غُرْمًا عَلَى سَيِّدِهِ فَإِنَّ اعْتِرَافَهُ غَيْرُ جَائِزٍ عَلَى سَيِّدِهِ قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَى الْأَجِيرِ وَلَا عَلَى الرَّجُلِ يَكُونَانِ مَعَ الْقَوْمِ يَخْدُمَانِهِمْ إِنْ سَرَقَاهُمْ قَطْعٌ لِأَنَّ حَالَهُمَا لَيْسَتْ بِحَالِ السَّارِقِ وَإِنَّمَا حَالُهُمَا حَالُ الْخَائِنِ وَلَيْسَ عَلَى الْخَائِنِ قَطْعٌ قَالَ مَالِك فِي الَّذِي يَسْتَعِيرُ الْعَارِيَةَ فَيَجْحَدُهَا إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ قَطْعٌ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ مَثَلُ رَجُلٍ كَانَ لَهُ عَلَى رَجُلٍ دَيْنٌ فَجَحَدَهُ ذَلِكَ فَلَيْسَ عَلَيْهِ فِيمَا جَحَدَهُ قَطْعٌ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي السَّارِقِ يُوجَدُ فِي الْبَيْتِ قَدْ جَمَعَ الْمَتَاعَ وَلَمْ يَخْرُجْ بِهِ إِنَّهُ لَيْسَ عَلَيْهِ قَطْعٌ وَإِنَّمَا مَثَلُ ذَلِكَ كَمَثَلِ رَجُلٍ وَضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ خَمْرًا لِيَشْرَبَهَا فَلَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ عَلَيْهِ حَدٌّ وَمَثَلُ ذَلِكَ رَجُلٌ جَلَسَ مِنْ امْرَأَةٍ مَجْلِسًا وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُصِيبَهَا حَرَامًا فَلَمْ يَفْعَلْ وَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ مِنْهَا فَلَيْسَ عَلَيْهِ أَيْضًا فِي ذَلِكَ حَدٌّ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَيْسَ فِي الْخُلْسَةِ قَطْعٌ بَلَغَ ثَمَنُهَا مَا يُقْطَعُ فِيهِ أَوْ لَمْ يَبْلُغْ
Yahya related to me from Malik that Yahya ibn Said said that Abu Bakr ibn Muhammad ibn Amr ibn Hazm informed him that he had taken a Nabatean who had stolen some iron rings and jailed him in order to cut off his hand. Amra bint Abd ar-Rahman sent a girl mawla to him called Umayya. Abu Bakr said that she had come to him while he was among the people and said that his aunt Amra sent word to him saying, "Son of my brother! You have taken a Nabatean for something insignificant which was mentioned to me. Do you want to cut off his hand?" He had said, "Yes." She said, ''Amra says to you not to cut off the hand except for a quarter of a dinar and upwards."
Abu Bakr added, "So I let the Nabatean go."
Malik said, "The generally agreed on way of doing things among us about the confession of slaves is that if a slave confesses something against himself, the hadd and punishment for it is inflicted on his body. His confession is accepted from him and one does not suspect that he would inflict something on himself."
Malik said, "As for the one of them who confesses to a matter which will incur damages agains this master, his confession is not accepted against his master."
Malik said, "One does not cut off the hand of a hireling or a man who is with some people to serve them, if he robs them, because his state is not the state of a thief. His state is the state of a treacherous one. The treacherous one does not have his hand cut off."
Malik said about a person who borrows something and then denies it, "His hand is not cut off. He is like a man who owes a debt to another man and denies it. He does not have his hand cut off for what he has denied."
Malik said, "The generally agreed-on way of dealing among us, with the thief who is found in a house and has gathered up goods and has not taken them out, is that his hand is not cut off. That is like the man who places wine before him to drink it and does not do it. The hadd is not imposed on him. That is like a man who sits with a woman and desires to have haram intercourse with her and does not do it and he does not reach her. There is no hadd against that either."
Malik said, "The generally agreed-on way of doing things among us is that there is no cutting off the hand for what is taken by chance, openly and in haste, whether or not its price reaches that for which the hand is cut off."