পরিচ্ছেদঃ ৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২১. নাফি (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যাহার আসরের নামায ফাউত হইয়াছে, তবে যেন তাহার পরিবার-পরিজন ও সম্পদ ছিনাইয়া লওয়া হইয়াছে (অর্থাৎ পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ হারাইলে যেমন ক্ষতি হয় তদ্রূপ ক্ষতি হইয়াছে)।
بَاب جَامِعْ الْوُقُوتِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الَّذِي تَفُوتُهُ صَلَاةُ الْعَصْرِ كَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If someone misses the asr prayer it is as if he has suffered a great misfortune in his family and wealth ."
পরিচ্ছেদঃ ৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২২. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আসরের নামায হইতে প্রত্যাবর্তনের পথে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর এমন এক ব্যক্তির সহিত সাক্ষাৎ হইল যিনি আসরের নামাযে হাজির হন নাই। উমর (রাঃ) বলিলেনঃ আসরের নামায হইতে তোমাকে কোন বস্তু বিরত রাখিল? লোকটি তাহার (উমরের) নিকট ওজর ব্যক্ত করিলেন। ওজর শোনার পর উমর (রাঃ) বললেনঃ (জামাআতে হাযির না হওয়ায়) তোমার পুণ্য কমিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ বলা হইয়া থাকে “প্রত্যেক বস্তুর পূর্ণতা এবং ক্ষতি বা লোকসান রহিয়াছে।”
بَاب جَامِعْ الْوُقُوتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ انْصَرَفَ مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ فَلَقِيَ رَجُلًا لَمْ يَشْهَدْ الْعَصْرَ فَقَالَ عُمَرُ مَا حَبَسَكَ عَنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ فَذَكَرَ لَهُ الرَّجُلُ عُذْرًا فَقَالَ عُمَرُ طَفَّفْتَ قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك وَيُقَالُ لِكُلِّ شَيْءٍ وَفَاءٌ وَتَطْفِيفٌ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that once Umar ibn al-Khattab left after doing the asr prayer and met a man who had not been there. Umar asked him what had kept him from the prayer and eventhough the man gave a good reason, Umar said, "You have given yourself short measure."
Yahya added that Malik commented, "It is said that everything has a short measure and a full measure."
পরিচ্ছেদঃ ৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২৩. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বলতেনঃ মুসল্লি এমন সময়ে নামায পড়িবে, যখন তাহার নামাযের ওয়াক্ত ফাউত হয় নাই, তাহা অতি উত্তম, কিন্তু মুসল্লির নামাযের যে সময় ফাউত হইয়া গিয়াছে (অর্থাৎ মুস্তাহাব সময় ফাউত হইয়া মাকরূহ ওয়াক্ত উপস্থিত হইয়াছে) তবে সেই (ফাউত হওয়া মুস্তাহাব) সময় তাহার পরিজন ও মাল অপেক্ষাও বড় উত্তম।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ সফরকালে (যেই সফরে নামায কসর পড়িতে হয় সেইরূপ সফর) যাহার নামাযের সময় উপস্থিত হইয়াছে, সে যদি ভুলে অথবা ব্যস্ততাবশত নামায পড়িতে বিলম্ব করে এবং এই অবস্থায় নিজের পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করে, তবে সে যদি নামাযের সময় থাকিতে পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করে সে মুকীমের নামায পড়িবে, আর যদি নামাযের সময় চলিয়া যাওয়ার পর প্রত্যাবর্তন করে, সে মুসাফিরের নামায পড়িবে। কারণ যেরূপ তাহার উপর ফরয হইয়াছিল সেইরূপ সে কাযা পড়িবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নগরীর লোকজন ও আহলে ইলমকে আমি ইহার উপরই পাইয়াছি (অর্থাৎ তাহাদের আমল ও অভিমতও ঐরূপই ছিল)।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ অস্তাচলে যে লালিমা দৃষ্ট হয় উহাই শফক (شفق)। লালিমা চলিয়া গেলে ইশার নামায ওয়াজিব হইল এবং তুমি মাগরিবের সময় হইতে বাহির হইলে।[1]
بَاب جَامِعْ الْوُقُوتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِنَّ الْمُصَلِّيَ لَيُصَلِّي الصَّلَاةَ وَمَا فَاتَهُ وَقْتُهَا وَلَمَا فَاتَهُ مِنْ وَقْتِهَا أَعْظَمُ أَوْ أَفْضَلُ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ
قَالَ يَحْيَى قَالَ مَالِك مَنْ أَدْرَكَ الْوَقْتَ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ سَاهِيًا أَوْ نَاسِيًا حَتَّى قَدِمَ عَلَى أَهْلِهِ أَنَّهُ إِنْ كَانَ قَدِمَ عَلَى أَهْلِهِ وَهُوَ فِي الْوَقْتِ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُقِيمِ وَإِنْ كَانَ قَدْ قَدِمَ وَقَدْ ذَهَبَ الْوَقْتُ فَلْيُصَلِّ صَلَاةَ الْمُسَافِرِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَقْضِي مِثْلَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهِ قَالَ مَالِك وَهَذَا الْأَمْرُ هُوَ الَّذِي أَدْرَكْتُ عَلَيْهِ النَّاسَ وَأَهْلَ الْعِلْمِ بِبَلَدِنَا وَقَالَ مَالِك الشَّفَقُ الْحُمْرَةُ الَّتِي فِي الْمَغْرِبِ فَإِذَا ذَهَبَتْ الْحُمْرَةُ فَقَدْ وَجَبَتْ صَلَاةُ الْعِشَاءِ وَخَرَجْتَ مِنْ وَقْتِ الْمَغْرِبِ
Yahya related to me from Malik thatYahya ibn Said used to say, "Even if someone manages to pray before the time of the prayer has passed, the time that has passed him by is more important, or better, than his family and wealth."
Yahya said that Malik said, "If the time for a prayer comes and a traveller delays a prayer through neglect or forgetfulness until he reaches his family, he should do that prayer in full if he arrives within the time. But if he arrives when the time has past, he should do the travelling prayer. That way he only repays what he owes."
Malik said, "This is what I have found the people and men of knowledge doing in our community." Malik explained that shafaq was the redness in the sky after the sun had set, and said, "When the redness has gone then the isha prayer is due and you have left the time of maghrib."
পরিচ্ছেদঃ ৫. নামাযের সময় সম্পৰ্কীয় বিবিধ রেওয়ায়ত
রেওয়ায়ত ২৪. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) একবার সংজ্ঞা হারাইয়া ফেলিলেন। (হুঁশ ফিরিয়া আসার পর) তিনি আর নামাযের কাযা আদায় করিলেন না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের মতে ইহা এইজন্য যে, নামাযের সময় চলিয়া গিয়াছিল। আর নামাযের সময় থাকিতে যে সংজ্ঞা ফিরিয়া পায় সে নামায আদায় করিবে (والله اعلم) (আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ)।
بَاب جَامِعْ الْوُقُوتِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَذَهَبَ عَقْلُهُ فَلَمْ يَقْضِ الصَّلاَةَ . قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ فِيمَا نَرَى - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - أَنَّ الْوَقْتَ قَدْ ذَهَبَ فَأَمَّا مَنْ أَفَاقَ فِي الْوَقْتِ فَإِنَّهُ يُصَلِّي
Yahya related to me from Malik from Nafi that one time Abdullah ibn Umar fainted and lost his senses and he did not make up the prayer.
Malik commented, "We consider that that was because, and Allah knows best, the time had passed. Someone who recovers within the time has to pray."