পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৭৯) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, নিজেদের সন্তান-সন্ততির বিরুদ্ধে, নিজেদের ধন-সম্পদের বিরুদ্ধে বদ্দুআ করো না (কেননা, হয়তো এমন হতে পারে যে,) তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন একটি সময় পেয়ে বস, যখন আল্লাহর কাছে যা প্রার্থনা করবে, তোমাদের জন্য তা কবূল করে নেবেন।’’ (কাজেই বদ দু’আও কবূল হয়ে যাবে। অতএব এ থেকে সাবধান)।

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺلاَ تَدْعُوْا عَلَى أَنْفُسِكُمْ وَلاَ تَدعُوا عَلَى أَوْلاَدِكُمْ، وَلاَ تَدْعُوا عَلَى أَموَالِكُمْ، لاَ تُوافِقُوا مِنَ اللهِ سَاعَةً يُسأَلُ فِيهَا عَطَاءً فَيَسْتَجِيبَ لَكُمْ رواه مسلم

وعن جابر قال : قال رسول الله ﷺلا تدعوا على انفسكم ولا تدعوا على اولادكم، ولا تدعوا على اموالكم، لا توافقوا من الله ساعة يسال فيها عطاء فيستجيب لكم رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮০)আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তির দু’আ গৃহীত হয়; যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে; বলে, ’আমার প্রভুর নিকট দু’আ তো করলাম, কিন্তু তিনি আমার দু’আ কবূল করলেন না।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ : يَقُوْلُ : قَدْ دَعْوتُ رَبِّي فَلَمْ يَسْتَجِبْ لِي متفق عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة : ان رسول الله ﷺ قال يستجاب لاحدكم ما لم يعجل : يقول : قد دعوت ربي فلم يستجب لي متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮১) মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, বান্দার দু’আ ততক্ষণ পর্যন্ত কবূল করা হয়, যতক্ষণ সে গুনাহর জন্য বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার জন্য দু’আ না করে, আর যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে। জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আল্লাহর রসূল! তাড়াহুড়ো মানে কী?’ তিনি বললেন, দু’আকারী বলে, ’দু’আ করলাম, আবার দু’আ করলাম, অথচ দেখলাম না যে, তিনি আমার দু’আ কবূল করছেন।’ কাজেই সে তখন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বসে পড়ে ও দু’আ করা ত্যাগ ক’রে দেয়।

وفي روايةٍ لِمُسْلِمٍ لاَ يَزالُ يُسْتَجَابُ لِلعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بإِثْمٍ أَوْ قَطيعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ قيل : يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا الاِسْتِعْجَالُ ؟ قَالَ يَقُوْلُ : قَدْ دَعوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أرَ يَسْتَجِيبُ لِي فَيَسْتحْسِرُ عِنْدَ ذٰلِكَ وَيَدَعُ الدُّعَاءَ

وفي رواية لمسلم لا يزال يستجاب للعبد ما لم يدع باثم او قطيعة رحم ما لم يستعجل قيل : يا رسول الله ما الاستعجال ؟ قال يقول : قد دعوت وقد دعوت فلم ار يستجيب لي فيستحسر عند ذلك ويدع الدعاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮২) উবাদাহ ইবনে স্বামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ধরার বুকে যে মুসলিম ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে দু’আ করে (তা ব্যর্থ যায় না); হয় আল্লাহ তা তাকে দেন অথবা অনুরূপ কোন মন্দ তার উপর থেকে অপসারণ করেন; যতক্ষণ পর্যন্ত সে (দু’আকারী) গুনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার দু’আ না করবে। একটি লোক বলল, ’তাহলে তো আমরা অধিক মাত্রায় দু’আ করব।’ তিনি বললেন, আল্লাহ সর্বাধিক অনুগ্রহশীল। (তিরমিযী ৩৫৭৩, হাসান সহীহ)

হাকেম আবূ সাঈদ হতে এগুলি বর্ধিত আকারে বর্ণনা করেছেন, অথবা তার সম পরিমাণ পুণ্য তার জন্য সঞ্চিত রাখা হয় (যা তার পরকালে কাজে আসবে)। (হাকেম ১৮১৬)

وَعَنْ عُبَادَةَ بنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ مَا عَلَى الأَرْضِ مُسْلِمٌ يَدْعُو الله تَعَالٰـى بِدَعْوَةٍ إِلاَّ آتَاهُ اللهُ إيَّاهَا، أَوْ صَرفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ القَومِ: إِذاً نُكْثِرُ قَالَ اللهُ أكْثَرُ رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح
وَرَوَاهُ الحَاكِمُ مِنْ رِوَايَةِ أَبِي سَعِيدٍ وَزَادَ فِيهِ أَوْ يَدَّخِرَ لَهُ مِن الأَجْرِ مثْلَها

وعن عبادة بن الصامت ان رسول الله ﷺ قال ما على الارض مسلم يدعو الله تعالـى بدعوة الا اتاه الله اياها، او صرف عنه من السوء مثلها ما لم يدع باثم او قطيعة رحم فقال رجل من القوم: اذا نكثر قال الله اكثر رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح ورواه الحاكم من رواية ابي سعيد وزاد فيه او يدخر له من الاجر مثلها

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮৩) সালমান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় তোমাদের বরকতময় মহান প্রভু লজ্জাশীল অনুগ্রহপরায়ণ, বান্দা যখন তাঁর দিকে দুই হাত তোলে, তখন তা শূন্য ও নিরাশভাবে ফিরিয়ে দিতে বান্দা থেকে লজ্জা করেন।

عَنْ سَلْمَانَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ رَبَّكُمْ تَبَارَكَ وَتَعَالٰـى حَيِىٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحْيِى مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا

عن سلمان قال قال رسول الله ﷺ ان ربكم تبارك وتعالـى حيى كريم يستحيى من عبده اذا رفع يديه اليه ان يردهما صفرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮৪) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা আল্লাহর নিকট দু’আ কর কবুল হবে এই দৃঢ় প্রত্যয় রেখে। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ উদাসীন ও অন্যমনস্কের হৃদয় থেকে দু’আ মঞ্জুর করেন না।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ادْعُوا اللهَ وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالإِجَابَةِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللهَ لاَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لاَهٍ

عن ابي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ادعوا الله وانتم موقنون بالاجابة واعلموا ان الله لا يستجيب دعاء من قلب غافل لاه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮৫) হুযাইফা বিন য়্যামান (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্য অবশ্যই সৎকাজের আদেশ এবং মন্দ কাজে বাধা দান করবে, নচেৎ সম্ভবতঃ আল্লাহ তাঁর নিকট থেকে কোন শাস্তি প্রেরণ করবেন, অতঃপর তোমরা তাঁর নিকট দু’আ করবে, কিন্তু তোমাদের দু’আ কবুল করা হবে না।

عَن حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ عَنِ النَّبِيِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ وَالَّذِي نَفسِيْ بِيَدِهِ لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ وَلَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ أَوْ لَيُوْشِكَنَّ اللهَ أَنْ يَبْعَثَ عِقَابًا مِنْهُ ثمَّ تَدْعُوْنَهُ فَلَا يُسْتَجَابُ لَكُمْ

عن حذيفة بن اليمان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال والذي نفسي بيده لتامرن بالمعروف ولتنهون عن المنكر او ليوشكن الله ان يبعث عقابا منه ثم تدعونه فلا يستجاب لكم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’হে লোক সকল! আল্লাহ পবিত্র; তিনি পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন। নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদেরকে সেই আদেশই করেছেন; যে আদেশ রসূলগণকে করেছেন, তিনি বলেছেন, ’হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার কর ও সৎকাজ কর, তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।’’ (সূরা মুমিনূন ৫১)

আর তিনি (মু’মিনদের উদ্দেশ্যে) বলেছেন, ’হে মুমিনগণ! আমি তোমাদেরকে যা দান করেছি, তা থেকে পবিত্র বস্তু আহার কর---।’ (সূরা বাকারাহ ১৭২)

অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন, যে ব্যক্তি ধুলোধূসরিত আলুথালু বেশে (সৎকাজের উদ্দেশ্যে) সফর করে। তার হাত দু’টিকে আকাশের দিকে তুলে, ’হে প্রভু! হে আমার প্রতিপালক!’ বলে (দু’আ করে), কিন্তু তার আহার্য হারাম, তার পরিধেয় হারাম এবং হারাম খাদ্যে সে প্রতিপালিত হয়েছে। সুতরাং কেমন করে তার প্রার্থনা মঞ্জুর হবে? (মুসলিম ২৩৯৩, তিরমিযী ২৯৮৯)

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لاَ يَقْبَلُ إِلاَّ طَيِّبًا وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ فَقَالَ ( يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّى بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ) وَقَالَ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ) ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَغُذِىَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذٰلِكَ

عن ابى هريرة قال قال رسول الله ﷺ ايها الناس ان الله طيب لا يقبل الا طيبا وان الله امر المومنين بما امر به المرسلين فقال ( يا ايها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا انى بما تعملون عليم) وقال (يا ايها الذين امنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم) ثم ذكر الرجل يطيل السفر اشعث اغبر يمد يديه الى السماء يا رب يا رب ومطعمه حرام ومشربه حرام وملبسه حرام وغذى بالحرام فانى يستجاب لذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮৭) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অল্প শব্দে বহুল অর্থবোধক দু’আ পছন্দ করতেন এবং তা ছাড়া অন্য দু’আ পরিহার করতেন।’

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا قَالَتْ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَسْتَحِبُّ الجَوَامِعَ مِنَ الدُّعَاءِ، وَيَدَعُ مَا سِوَى ذٰلِكَ رواه أَبُو داود بإسناد جيدٍ

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت : كان رسول الله ﷺ يستحب الجوامع من الدعاء، ويدع ما سوى ذلك رواه ابو داود باسناد جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর

পরিচ্ছেদঃ দু‘আ সম্পর্কিত কতিপয় জ্ঞাতব্য বিষয়

(৩৭৮৮) আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, একদা এক মরুবাসী বেদুঈনের নিকট আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেহমানি করলেন। তিনি তাকে তাঁর নিকট আসতে বললেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’’তোমার কোন প্রয়োজন আছে কি? লোকটি বলল, ’একটি জিন সহ উটনী এবং একটি দুধেল বকরী।’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তা দিয়ে বিদায় করলেন। অতঃপর বললেন, ’’তোমাদের কেউ কি বনী ইসরাঈলের বুড়ির মত হতে অসমর্থ হয়? সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ’বনী ইসরাঈলের বুড়ির ব্যাপার কী হে আল্লাহর রসূল?’ তিনি বললেন, ’’মূসা বনী ইসরাঈলকে সঙ্গে নিয়ে যখন মিসর ত্যাগ করতে চাইলেন, তখন তাঁরা রাস্তা ভুলে গেলেন।

তাঁদের উলামাগণ বললেন, ইউসুফ মৃত্যুর সময় আমাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, আমরা মিসর থেকে বের হলে তাঁর লাশ না নিয়ে যেন বের না হই। মূসা বললেন, কিন্তু তাঁর কবর চিনবে কে? কেউ বলল, এক বুড়ি তাঁর কবর চেনে। অতঃপর সেই বুড়ির কাছে যাওয়া হলে সে বলল, আমি কবরের খবর বলে দেব। কিন্তু আমার একটি শর্ত ও চাহিদা আছে তা আপনাকে পূরণ করতে হবে। মূসা বললেন, তোমার চাহিদা কি তা বল। বুড়ি বলল, আমি জান্নাত আপনার সঙ্গে বাস করতে চাই! মূসা আল্লাহর নিকট থেকে বুড়ির সেই চাহিদা পূরণের দু’আ করলেন। কবর চেনা হল। অতঃপর লাশ সঙ্গে নিলে তাঁরা রাস্তা পেলেন।

عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْرَابِيًّا فَأَكْرَمَهُ فقَالَ لَهُ اِئْتِنَا فَأَتَاهُ فقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "سَلْ حَاجَتَكَ" قَالَ نَاقَةٌ نَرْكَبُهَا وَأَعْنُزٌ يَحْلِبُهَا أَهْلِي فقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "أَعَجَزْتُمْ أَنْ تَكُونُوا مِثْلَ عَجُوزِ بَنِي إِسْرَائِيلَ" قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا عَجُوزُ بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ "إِنَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا سَارَ بِبَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ مِصْرَ ضَلُّوا الطَّرِيقَ فقَالَ مَا هَذَا فقَالَ عُلَمَاؤُهُمْ إِنَّ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ أَخَذَ عَلَيْنَا مَوْثِقًا مِنَ اللَّهِ أَنْ لَا نَخْرُجَ مِنْ مِصْرَ حَتَّى نَنْقُلَ عِظَامَهُ مَعَنَا قَالَ فَمَنْ يَعْلَمُ مَوْضِعَ قبره قالعَجُوزٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَبَعَثَ إِلَيْهَا فَأَتَتْهُ فقَالَ دُلِّينِي عَلَى قَبْرِ يُوسُفَ قَالَتْ حَتَّى تُعْطِيَنِي حُكْمِي قَالَ وَمَا حُكْمُكِ قَالَتْ أَكُونُ مَعَكَ فِي الْجَنَّةِ فَكَرِهَ أَنْ يُعْطِيَهَا ذَلِكَ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنْ أَعْطِهَا حُكْمَهَا فَانْطَلَقَتْ بِهِمْ إِلَى بُحَيْرَةٍ مَوْضِعِ مُسْتَنْقَعِ مَاءٍ فَقَالَتْ أَنْضِبُوا هَذَا الْمَاءَ فَأَنْضَبُوهُ فَقَالَتْ احْتَفِرُوا فَاحْتَفَرُوا فَاسْتَخْرَجُوا عِظَامَ يُوسُفَ فَلَمَّا أَقَلُّوهَا إِلَى الْأَرْضِ وَإِذَا الطَّرِيْقُ مِثْلَ ضُوْءِ النَّهَارِ

عن ابي موسى قال اتى النبي صلى الله عليه وسلم اعرابيا فاكرمه فقال له اىتنا فاتاه فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم "سل حاجتك" قال ناقة نركبها واعنز يحلبها اهلي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "اعجزتم ان تكونوا مثل عجوز بني اسراىيل" قالوا يا رسول الله وما عجوز بني اسراىيل قال "ان موسى عليه السلام لما سار ببني اسراىيل من مصر ضلوا الطريق فقال ما هذا فقال علماوهم ان يوسف عليه السلام لما حضره الموت اخذ علينا موثقا من الله ان لا نخرج من مصر حتى ننقل عظامه معنا قال فمن يعلم موضع قبره قالعجوز من بني اسراىيل فبعث اليها فاتته فقال دليني على قبر يوسف قالت حتى تعطيني حكمي قال وما حكمك قالت اكون معك في الجنة فكره ان يعطيها ذلك فاوحى الله اليه ان اعطها حكمها فانطلقت بهم الى بحيرة موضع مستنقع ماء فقالت انضبوا هذا الماء فانضبوه فقالت احتفروا فاحتفروا فاستخرجوا عظام يوسف فلما اقلوها الى الارض واذا الطريق مثل ضوء النهار

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৯/ দু‘আ ও যিকর
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে