পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকর
আল্লাহ বলেছেন,
وَاذْكُرْ رَبَّكَ فِيْ نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيْفَةً وَدُوْنَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُنْ مِّنَ الْغَافِلِيْنَ
অর্থাৎ, তোমার প্রতিপালককে মনে মনে সবিনয় ও সশঙ্কচিত্তে অনুচ্চস্বরে প্রত্যুষে ও সন্ধ্যায় স্মরণ কর এবং তুমি উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না। (সূরা আ’রাফ ২০৫)
আরবী ভাষাবিদগণ বলেছেন, آصال শব্দটি أصيل এর বহুবচন। এ (সন্ধ্যা) হল আসর ও মাগরেবের মধ্যবর্তী সময়।
তিনি আরো বলেছেন,
وَسَبِّحْ بِـحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوْبِهَا
অর্থাৎ, সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা কর। (সূরা ত্বাহা ১৩০)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,
وَسَبِّحْ بِـحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْأِبْكَارِ
অর্থাৎ, সকাল-বিকালে তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (সূরা মু’মিন ৫৫)
আরবী ভাষাবিদগণ বলেছেন, عشي (বিকাল) হল সূর্য ঢলার পর থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময়।
তিনি অন্য স্থানে বলেছেন,
فِيْ بُيُوْتٍ أَذِنَ اللهُ أنْ تُرْفَعَ وَيُذْكَرَ فِيْهَا اسْمُهُ يُسْبِّحُ لَهُ فِيْهَا بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ رِجَالٌ لَا تُلْهِيْهِمْ تِجَارَةٌ وَلاَ بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللهِ
অর্থাৎ, সে সব গৃহে-যাকে আল্লাহ সমুন্নত করতে এবং যাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন—সকাল ও সন্ধ্যায় তাতে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, সে সব লোক যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয় বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ হতে বিরত রাখে না। (সূরা নূর ৩৬-৩৭)
তিনি আরো বলেন,
إِنَّا سَخَّرْنَا الْـجِبَالَ مَعَهُ يُسَبِّحْنَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِشْرَاقِ
অর্থাৎ, আমি পর্বতমালাকে তার (দাঊদের) বশীভূত করেছিলাম; ঐগুলি সকাল-সন্ধ্যায় তার সঙ্গে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। (সূরা স্বা-দ ১৮)
(৩৭৩৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহ’ একশতবার পাঠ করবে, কিয়ামতের দিনে ওর চাইতে উত্তম আমল কেউ আনতে পারবে না। কিন্তু যদি কেউ তার সমান বা তার থেকে বেশি সংখ্যায় ঐ তাসবীহ পাঠ ক’রে থাকে (তাহলে ভিন্ন কথা)।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ قَالَ حِيْنَ يُصْبِحُ وَحينَ يُمْسِي : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ مِئَةَ مَرَّةٍ لَمْ يَأَتِ أَحَدٌ يَوْمَ القِيَامَةِ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ أَحَدٌ قَالَ مِثْلَ مَا قَالَ أَوْ زَادَ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকর
(৩৭৩৮) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে নিবেদন করল, ’হে আল্লাহর রসূল! গত রাতে বিছার কামড়ে আমি যে কত কষ্ট পেয়েছি, (তা বলার নয়)।’ তিনি বললেন, ’’শোন! যদি তুমি সন্ধ্যাবেলায় এই দু’আ পাঠ করতে,
’আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর অসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার মন্দ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
তাহলে তা তোমার ক্ষতি করতে পারত না।
وَعَنهُ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ الله مَا لَقِيْتُ مِنْ عَقْرَبٍ لَدَغَتْنِي البَارِحَةَ! قَالَ أَمَا لَوْ قُلْتَ حِيْنَ أَمْسَيْتَ : أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ : لَمْ تَضُرَّك رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকর
(৩৭৩৯) উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালে এই দু’আ পড়তেন, ’আল্লাহুম্মা বিকা আসবাহনা অবিকা আমসাইনা, অবিকা নাহ্ইয়া, অবিকা নামূতু অইলাইকান নুশূর।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তোমারই হুকুমে আমাদের সকাল হল এবং তোমারই হুকুমে আমাদের সন্ধ্যা হয়, তোমারই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি, তোমারই হুকুমে আমরা মৃত্যু বরণ করব এবং তোমারই দিকে আমাদের পুনর্জীবন। আর সন্ধ্যায় এই দু’আ পড়তেন,
’আল্লাহুম্মা বিকা আমসাইনা, অবিকা নাহ্ইয়া, অবিকা নামূতু অইলাইকান নুশূর।’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তোমারই হুকুমে আমাদের সন্ধ্যা হল, তোমারই হুকুমে আমরা জীবিত থাকি, তোমারই হুকুমে আমরা মৃত্যু বরণ করব এবং তোমারই দিকে আমাদের পুনর্জীবন।
وَعَنهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّه كَانَ يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ اَللّٰهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوْتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ وَإِذَا أَمسَى قَالَ اَللّٰهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلْيَكَ النُّشُورُ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকর
(৩৭৪০) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে কিছু বাক্য বাতলে দিন, যেগুলি সকাল-সন্ধ্যায় আমি পড়তে থাকব।’ তিনি বললেন, বল, ’আল্লা-হুম্মা ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি অল আরয্বি আ-লিমাল গায়বি অশশাহা-দাহ, রাব্বা কুল্লি শাইয়িন অমালীকাহ, আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লা আনতা আঊযু বিকা মিন শাররি নাফসী অশাররিশ শায়ত্বা-নি অশিরকিহ।’
অর্থাৎ, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, উপস্থিত ও অনুপস্থিত পরিজ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও অধিপতি আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার আত্মার মন্দ হতে এবং শয়তানের মন্দ ও শিরক হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
এটি সকাল-সন্ধ্যা তথা শোবার সময় পাঠ করো।
وَعَنهُ : أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيْقِ قَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ مُرْنِـيْ بِكَلِمَاتٍ أَقُوْلُهُنَّ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ قَالَ قُلْ : اَللّٰهُمَّ فَاطِرَ السَّمَاواتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ؛ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ أَنْتَ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَّرِّ نَفْسِيْ وَشَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ قَالَ قُلْهَا إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকর
(৩৭৪১) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্ধ্যাবেলায় এই দু’আ পড়তেন,
’আমসাইনা অ আমসাল মুলকু লিল্লা-হ, অলহামদু লিল্লা-হ, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। রাব্বি আস্আলুকা খাইরা মা ফী হা-যিহিল লাইলাতি অ খাইরা মা বা’দাহা, অ আঊযু বিকা মিন শাররি মা ফী হা-যিহিল লাইলাতি অ শাররি মা বা’দাহা, রাব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি অ সূইল কিবার, রাব্বি আঊযু বিকা মিন আযা-বিন ফিন্না-রি অ আযা-বিন ফিল ক্বাবর।’
অর্থাৎ, আমরা এবং সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম। আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, (বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাতে বললেন,) তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই জন্য যাবতীয় স্ত্ততি, এবং তিনি সকল বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান। হে আমার প্রভু! আমি তোমার নিকট এই রাতে যে কল্যাণ নিহিত আছে তা এবং তার পরেও যে কল্যাণ আছে তাও প্রার্থনা করছি। আর আমি তোমার নিকট এই রাত্রে যে অকল্যাণ আছে তা এবং তারপরেও যে অকল্যাণ আছে তা হতে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার নিকট অলসতা এবং বার্ধক্যের মন্দ হতে পানাহ চাচ্ছি। হে আমার প্রভু! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের এবং কবরের সকল প্রকার আযাব হতে আশ্রয় চাচ্ছি।
তিনি যখন সকালে উঠতেন তখনও এই দু’আ পাঠ করতেন; বলতেন ’আসবাহনা ও আসবাহাল মুলকু লিল্লাহ------।’
وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ قَالَ : كَانَ نَبِيُّ اللهِ ﷺ إِذَا أَمْسَى قَالَ أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى المُلْكُ للهِ وَالحَمْدُ للهِ لَا إِلٰـهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ قَالَ الرَّاوِي : أَرَاهُ قَالَ فِيهِنَّ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدير رَبِّ أَسْألُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الكَسَلِ وَسُوءِ الكِبَرِ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي القَبْرِ وَإِذَا أَصْبَحَ قَالَ ذٰلِكَ أَيضاً أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ المُلْكُ للهِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকর
(৩৭৪২) মুআয বিন আব্দুল্লাহ বিন খুবাইব তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করে বলেন, তাঁর পিতা বলেছেন, একদা আমরা বৃষ্টিময় ঘোর অন্ধকার রাত্রে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খুঁজতে বের হলাম। উদ্দেশ্য ছিল, তিনি আমাদের নামাযের ইমামতি করবেন। আমরা তাঁকে পেয়ে নিলে তিনি বললেন, ’’বল।’’ আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি বললেন, ’বল।’ আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, ’বল।’ এবারে আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! কী বলব?’ তিনি বললেন, ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, ক্বুল আঊযু বিরাব্বিল ফালাক ও ক্বুল আঊযু বিরাব্বিন্নাস’ সকাল সন্ধ্যায় তিনবার করে বল; প্রত্যেক জিনিস থেকে তাই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।
وعَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ خُبَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا فِى لَيْلَةِ مَطَرٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ لِيُصَلِّىَ لَنَا فَأَدْرَكْنَاهُ فَقَالَ أَصَلَّيْتُمْ فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا فَقَالَ قُلْ فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ قُلْ فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ قُلْ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا أَقُولُ قَالَ (قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ) وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِى وَحِينَ تُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ
পরিচ্ছেদঃ সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর যিকর
(৩৭৪৩) উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই দু’আ তিনবার করে পড়বে, ’বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা য়্যাযুররু মাআসমিহী শাইউন ফিল আরযিব অলা ফিসসামা-ই অহুওয়াস সামীউল আলীম।’
অর্থাৎ, আমি শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে যার নামের সাথে পৃথিবীর ও আকাশের কোন জিনিস ক্ষতি সাধন করতে পারে না এবং তিনিই সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞাতা।
কোন জিনিস সে ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবে না।
وَعَنْ عُثمَانَ بنِ عَفَّانَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ فِي صَبَاحِ كُلِّ يَوْمٍ وَمَسَاءِ كُلِّ لَيْلَةٍ : بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ ثَلاثَ مَرَّاتٍ إِلاَّ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْءٌ رواه أَبُو داود والترمذي، وقال حديث حسن صحيح