পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর
(৩৭৩০) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, বেটা! যখন বাড়িতে প্রবেশ করবে তখন তুমি তোমার পরিবারের উপর সালাম দাও। তোমার উপর এবং তোমার পরিবার-পরিজনের উপর বরকত হবে।
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَا بُنَيَّ إِذَا دَخَلْتَ عَلَى أَهْلِكَ فَسَلِّمْ يَكُونُ بَرَكَةً عَلَيْكَ وَعَلَى أَهْلِ بَيْتِكَ
পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর
(৩৭৩১) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, মানুষ যখন নিজ বাড়ি প্রবেশ করার সময় এবং খাবার সময় ’বিসমিল্লাহ’ বলে, তখন শয়তান (তার সঙ্গীদেরকে) বলে, ’তোমাদের জন্য রাত্রিযাপনের স্থানও নেই এবং রাতের খাবারও নেই।’ যখন সে বাড়ি প্রবেশ করার সময় আল্লাহর নাম নেয় এবং রাতে খাবার সময় না নেয়, তাহলে শয়তান বলে, ’তোমরা রাতের খাবার পেলে, কিন্তু রাত্রিযাপনের জায়গা নেই।’ আর যখন সে খাবার সময়েও আল্লাহর নাম না নেয়, তখন শয়তান বলে, ’তোমরা রাত্রিযাপনের জায়গাও পেলে এবং খাবারও পেলে।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِىَّ ﷺ يَقُوْلُ إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ فَذَكَرَ اللهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ لاَ مَبِيتَ لَكُمْ وَلاَ عَشَاءَ وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ دُخُولِهِ قَالَ الشَّيْطَانُ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ عِنْدَ طَعَامِهِ قَالَ أَدْرَكْتُمُ الْمَبِيتَ وَالْعَشَاءَ
পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর
(৩৭৩২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের ঘরকে কবর বানিয়ে নিয়ো না (অর্থাৎ কবরে যেমন নামায বা তেলাঅত হয় না তেমনি বিনা নামায ও তেলাঅতে ঘরকেও তার মত করো না; বরং তাতে নামায ও তেলাঅত করতে থাক।) অবশ্যই শয়তান সেই ঘর হতে পলায়ন করে যে ঘরে সূরা বাক্বারাহ পাঠ করা হয়।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِى تُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ
পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর
(৩৭৩৩) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের গৃহে সূরা বাক্বারাহ পাঠ কর। কারণ, যে ঘরে ঐ সূরা পাঠ করা হয় সে ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺاِقْرَءُوْا سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ فِي بُيُوتِكُمْ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لَا يَدْخُلُ بَيْتًا يُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ
পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর
(৩৭৩৪) নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তাআলা আকাশমণ্ডলী ও ধরণী সৃষ্টির দুই সহস্রবৎসর পূর্বে এক গ্রন্থ (লওহে মাহফুয) লিপিবদ্ধ করেন, যা আরশের নিকট অবস্থিত। তিনি ঐ (গ্রন্থ) হতে দুটি আয়াত অবতীর্ণ করেন, যার দ্বারায় সূরা বাক্বারার সমাপ্তি করেন। যে গৃহে ঐ আয়াত দুটি তিন দিন পঠিত হবে, শয়তান সে গৃহের নিকটবর্তী হবে না। (আহমাদ ১৮৪১৪, তিরমিযী ২৮৮২, হাকেম ২০৬৫, ত্বাবারানী ৭০০০)
অন্য এক বর্ণনায় আছে, সূরা বাক্বারাহ কোন বাড়িতে পাঠ করা হলে তিন দিন পর্যন্ত শয়তান সে বাড়ির নিকটবর্তী হয় না। (সহীহ তারগীব ১৪৬৭)
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ اللهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ بِأَلْفَيْ عَامٍ فَأَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ فَخَتَمَ بِهِمَا سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ وَلَا تُقْرَأَانِ فِي دَارٍ ثَلَاثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبَهَا الشَّيْطَانُ
পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর
(৩৭৩৫) আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’বান্দা যখন নিজ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় ’বিসমিল্লাহ, তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলে, তখন বলা হয়, ’যথেষ্ট! তুমি সঠিক পথ পেলে, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেলে এবং সকল অকল্যাণ থেকে বেঁচে গেলে।’ অতঃপর শয়তান তার থেকে দূর হয়ে যায়।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْتِهِ فَقَالَ بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ يُقَالُ لَـهُ : كُفِيتَ وَوُقِيتَ وَتَنَحَّى عَنْهُ الشَّيْطَانُ
পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর
(৩৭৩৬) অন্য বর্ণনায় আছে, যখন মানুষ ঘর হতে বের হয় এবং এই দু’আ বলে, ’বিসমিল্লা-হ, তাওয়াক্কালতু আলাল্লা-হ, লা হাউলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’অর্থাৎ ’আল্লাহর নাম নিয়ে বের হলাম, আল্লাহর উপর ভরসা করলাম, আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত পাপ হতে প্রত্যাবর্তন এবং সৎকার্য বরণ করার (নড়া-সরা করার) কোন শক্তি নেই।’ তখন তার জন্য বলা হয়, ’তুমি সুপথ পেলে, (আল্লাহর সাহায্য চাইলে তাই) তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হলেন এবং নিরাপত্তা পেলে।’ আর শয়তান তার নিকট হতে দূরে সরে যায়। তখন অপর এক শয়তান তাকে বলে, ’এমন লোকের কাছে তোর উপায় কোথায়? যে (আল্লাহর নাম নিয়ে সুপথ পেয়েছে, (আল্লাহ)তার জন্য যথেষ্ট হয়েছেন এবং সে নিরাপত্তা পেয়েছে।’
إِذَا خَرَجَ الرَّجُلُ مِنْ بَيْتِهِ فَقَالَ بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ قَالَ يُقَالُ حِينَئِذٍ هُدِيتَ وَكُفِيتَ وَوُقِيتَ فَتَتَنَحَّى لَهُ الشَّيَاطِينُ فَيَقُولُ لَهُ شَيْطَانٌ آخَرُ كَيْفَ لَكَ بِرَجُلٍ قَدْ هُدِىَ وَكُفِىَ وَوُقِىَ