পরিচ্ছেদঃ যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
(৩৩০৫)আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিমের উপর মুসলিমের ৫টি অধিকার রয়েছে; সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে সাক্ষাৎ করে সান্ত্বনা দেওয়া, জানাযায় অংশগ্রহণ করা, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির পর ’আল-হামদু লিল্লাহ’ বললে তার জবাবে ’য়্যারহামুকাল্লাহ’ বলা।’’ (বুখারী ১২৪০, মুসলিম ৫৭৭৭)
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ رَدُّ السَّلَامِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ
পরিচ্ছেদঃ যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
(৩৩০৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা হাঁচি ভালবাসেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। অতএব তোমাদের কেউ যখন হাঁচবে এবং ’আলহামদুলিল্লাহ’ পড়বে তখন প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার উচিত হবে যে, সে তার জবাবে ’য়্যারহামুকাল্লাহ’ বলবে। আর হাই তোলার ব্যাপারটা এই যে, তা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে (আলস্য ও ক্লান্তির লক্ষণ)। অতএব কেউ যখন হাই তুলবে, তখন সে যেন যথাসাধ্য তা রোধ করে। কেননা, যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে, তখন শয়তান তা দেখে হাসে।
عَن أَبِي هُرَيرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ إنَّ الله يُحِبُّ العُطَاسَ وَيَكْرَهُ التَّثَاؤُبَ فَإذَا عَطَسَ أَحَدُكُمْ وَحَمِدَ الله تَعَالَى كَانَ حَقّاً عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ سَمِعَهُ أنْ يَقُولَ لَهُ : يَرْحَمُكَ اللهُ وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ فَإنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإذَا تَثَاءَبَ أحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإنَّ أحَدَكُمْ إِذَا تَثَاءَبَ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
(৩৩০৮) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যখন তোমাদের কেউ হাঁচবে এবং ’আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে, তখন তার উত্তর দাও। যদি সে ’আলহামদুলিল্লাহ’ না বলে, তাহলে তার উত্তর দিয়ো না।
وَعَنْ أَبي مُوسَى قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُولُ إِذَا عَطَسَ أحَدُكُمْ فَحَمِدَ اللهَ فَشَمِّتُوهُ، فَإنْ لَمْ يَحْمَدِ الله فَلاَ تُشَمِّتُوهُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
(৩৩০৯)আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, দু’জন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে হাঁচল। তিনি তাদের মধ্যে একজনের উত্তর দিলেন। আর দ্বিতীয় জনের উত্তর দিলেন না। যে ব্যক্তির উত্তর দিলেন না সে বলল, ’অমুক ব্যক্তি হাঁচল তো তার উত্তর দিলেন, আর আমি হাঁচলাম, কিন্তু আপনি আমার উত্তর দিলেন না!?’ তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি ’আলহামদু লিল্লাহ’ পড়েছে। আর তুমি ’আলহামদু লিল্লাহ’ পড়নি তাই।
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : عَطَسَ رَجُلانِ عِنْدَ النَّبِيِّ ﷺ فَشَمَّتَ أَحَدَهُمَا وَلَمْ يُشَمِّتِ الآخَرَ فَقَالَ الَّذِي لَمْ يُشَمِّتْهُ : عَطَسَ فُلانٌ فَشَمَّتَّهُ وَعَطَسْتُ فَلَمْ تُشَمِّتْنِي ؟ فَقَالَ هَذَا حَمِدَ الله وَإنَّكَ لَمْ تَحْمَدِ الله متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
(৩৩১০) আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়াহুদী সম্প্রদায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে কৃত্রিমভাবে হাঁচতো এই আশায় যে, তিনি তাদের জন্য ’য়্যারহামুকাল্লাহ’ (অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করুন) বলবেন। কিন্তু তিনি (তাদের হাঁচির জবাবে) বলতেন, ’য়্যাহদীকুমুল্লাহু অয়্যুসলিহু বালাকুম’ (অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদেরকে সৎপথগামী করুন ও তোমাদের অন্তরসমূহকে সংশোধন করে দেন।)
وَعَنْ أَبي مُوسَى قَالَ : كَانَ اليَهُودُ يَتَعَاطَسُونَ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ ﷺ يَرْجُونَ أنْ يَقُولَ لَهُمْ: يَرْحَمُكُم الله فَيَقُولُ يَهْدِيكُم اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
(৩৩১১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হাঁচতেন তখন নিজ হাত অথবা কাপড় মুখে রাখতেন এবং তার মাধ্যমে শব্দ কম করতেন।’
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا عَطَسَ وَضَعَ يَدَهُ أَوْ ثَوْبَهُ عَلَى فِيهِ وَخَفَضَ - أَوْ غَضَّ - بِهَا صَوْتَهُ شك الراوي رواه أَبُو داود والترمذي، وقال حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
(৩৩১২) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ হাই তুলবে, তখন সে যেন আপন হাত দিয়ে নিজ মুখ চেপে ধরে রাখে। কেননা, শয়তান (মুখে) প্রবেশ করে থাকে।
وَعَنْ أَبي سَعِيدِ الخُدرِي قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا تَثَاءَبَ أحَدُكُمْ فَلْيُمْسِكْ بِيَدِهِ عَلَى فِيهِ ؛ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ رواه مسلم