পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৪৫) আবূ জুহাইফা (রাঃ) বলেন, একদা দুপুরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাত্হার দিকে বের হলেন। সেখানে উযূ করে যোহরের দু’ রাকআত ও আসরের দু’ রাকআত নামায আদায় করলেন। তাঁর সম্মুখে ছিল বর্শা। তার পশ্চাৎ বেয়ে মহিলা পার হচ্ছিল। অতঃপর লোকেরা উঠে তাঁর দুই হাত নিয়ে নিজেদের চেহারায় মাসাহ করতে লাগল। আমিও তাঁর হাত নিয়ে আমার চেহারার উপরে রাখলাম। দেখলাম, তা বরফের চেয়ে বেশি ঠাণ্ডা এবং কস্তুরীর চেয়ে বেশি সুগন্ধময়।

عن أبي جُحَيْفَةَ قَالَ: خَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بِالْهَاجِرَةِ إِلٰـى الْبَطْحَاءِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ وَالْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ عَنَزَةٌ يَمُرُّ مِنْ وَرَائِهَا الْمَرْأَةُ وَقَامَ النَّاسُ فَجَعَلُوا يَأْخُذُونَ يَدَيْهِ فَيَمْسَحُونَ بِهَا وُجُوهَهُمْ قَالَ فَأَخَذْتُ بِيَدِهِ فَوَضَعْتُهَا عَلٰى وَجْهِي فَإِذَا هِيَ أَبْرَدُ مِنْ الثَّلْجِ وَأَطْيَبُ رَائِحَةً مِنْ الْمِسْكِ

عن ابي جحيفة قال: خرج رسول الله ﷺ بالهاجرة الـى البطحاء فتوضا ثم صلى الظهر ركعتين والعصر ركعتين وبين يديه عنزة يمر من وراىها المراة وقام الناس فجعلوا ياخذون يديه فيمسحون بها وجوههم قال فاخذت بيده فوضعتها على وجهي فاذا هي ابرد من الثلج واطيب راىحة من المسك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৪৬) আনাস (রাঃ) বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের নামায পড়তেন, তখন মদীনার দাস-দাসীরা পানির পাত্র নিয়ে হাযির থাকত। তিনি প্রত্যেক পাত্রেই হাত ডুবিয়ে দিতেন। কখনো শীতের ফজরেও তিনি পাত্রে হাত ডুবাতেন।’

عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ جَاءَ خَدَمُ الْمَدِينَةِ بِآنِيَتِهِمْ فِيهَا الْمَاءُ فَمَا يُؤْتَى بِإِنَاءٍ إِلاَّ غَمَسَ يَدَهُ فِيهَا فَرُبَّمَا جَاءُوهُ فِى الْغَدَاةِ الْبَارِدَةِ فَيَغْمِسُ يَدَهُ فِيهَا

عن انس بن مالك قال: كان رسول الله ﷺ اذا صلى الغداة جاء خدم المدينة بانيتهم فيها الماء فما يوتى باناء الا غمس يده فيها فربما جاءوه فى الغداة الباردة فيغمس يده فيها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৪৭) আনাস (রাঃ) বলেন, একদা তিনি উম্মে সুলাইম (রাঃ)র ঘরে এসে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। তিনি ঘরে ছিলেন না। তিনি এলে তাঁকে বলা হল, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার ঘরে এসে তোমার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েছেন।’ তিনি ঘর্মাক্ত হলে তাঁর ঘাম বিছানার চামড়ার উপর জমে উঠেছিল। উম্মে সুলাইম তাঁর সিন্দুক খুলে শিশি বের করলেন। অতঃপর সেই ঘাম (কাপড়খণ্ড দ্বারা শোষণ করে তা) ড়ড়ে শিশিতে রাখতে লাগলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অকস্মাৎ ঘাবড়ে উঠলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’কী করছ উম্মে সুলাইম?’ বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! (আপনার ঘাম। আমাদের সুগন্ধিতে মিশিয়ে দেব। তা হবে শ্রেষ্ঠ সুগন্ধি।) আর তাতে আমাদের শিশুদের জন্য বর্কতের আশা করব।’ তিনি বললেন, ’’ঠিক আছে।

عَنْ أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ النَّبِىُّ ﷺ يَدْخُلُ بَيْتَ أُمِّ سُلَيْمٍ فَيَنَامُ عَلٰى فِرَاشِهَا وَلَيْسَتْ فِيهِ - قَالَ - فَجَاءَ ذَاتَ يَوْمٍ فَنَامَ عَلٰى فِرَاشِهَا فَأُتِيَتْ فَقِيلَ لَهَا هٰذَا النَّبِىُّ ﷺ نَامَ فِى بَيْتِكِ عَلٰى فِرَاشِكِ - قَالَ - فَجَاءَتْ وَقَدْ عَرِقَ وَاسْتَنْقَعَ عَرَقُهُ عَلٰى قِطْعَةِ أَدِيمٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَفَتَحَتْ عَتِيدَتَهَا فَجَعَلَتْ تُنَشِّفُ ذٰلِكَ الْعَرَقَ فَتَعْصِرُهُ فِى قَوَارِيرِهَا فَفَزِعَ النَّبِىُّ ﷺ فَقَالَ مَا تَصْنَعِينَ يَا أُمَّ سُلَيْمٍ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ نَرْجُو بَرَكَتَهُ لِصِبْيَانِنَا قَالَ أَصَبْتِ

عن انس بن مالك قال كان النبى ﷺ يدخل بيت ام سليم فينام على فراشها وليست فيه - قال - فجاء ذات يوم فنام على فراشها فاتيت فقيل لها هذا النبى ﷺ نام فى بيتك على فراشك - قال - فجاءت وقد عرق واستنقع عرقه على قطعة اديم على الفراش ففتحت عتيدتها فجعلت تنشف ذلك العرق فتعصره فى قواريرها ففزع النبى ﷺ فقال ما تصنعين يا ام سليم فقالت يا رسول الله نرجو بركته لصبياننا قال اصبت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৪৮) সায়েব বিন য়্যাযীদ বলেন, (শিশু অবস্থায়) আমাকে আমার খালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে গেলেন। খালা তাঁকে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমার বোনপো ব্যথা অনুভব করে।’ সুতরাং তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আমার জন্য বর্কতের দু’আ দিলেন। অতঃপর তিনি ওযূ করলেন। সুতরাং আমি তাঁর ওযূর পানি পান করলাম। অতঃপর তাঁর পিঠের পিছনে খাড়া হলাম এবং তাঁর দুই কাঁধের মাঝে পায়রার ডিমের মতো নবুঅতের মোহর দেখতে পেলাম।

عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيْدَ قالُ: ذَهَبَتْ بِي خَالَتِي إِلَـى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ ابْنَ أُخْتِي وَجِعٌ فَمَسَحَ رَأْسِي وَدَعَا لِي بِالْبَرَكَةِ ثُمَّ تَوَضَّأَ فَشَرِبْتُ مِنْ وَضُوئِهِ ثُمَّ قُمْتُ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَنَظَرْتُ إِلٰـى خَاتَمِ النُّبُوَّةِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ مِثْلَ زِرِّ الْحَجَلَةِ

عن الساىب بن يزيد قال: ذهبت بي خالتي الـى النبي ﷺ فقالت يا رسول الله ان ابن اختي وجع فمسح راسي ودعا لي بالبركة ثم توضا فشربت من وضوىه ثم قمت خلف ظهره فنظرت الـى خاتم النبوة بين كتفيه مثل زر الحجلة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৪৯) হুদাইবিয়্যার সন্ধির সময় মক্কার কুরাইশদের প্রতিনিধি দল ও মুসলিমদের মাঝে কথাবার্তা ও টানাপোড়েন চলছিল। সেই অবস্থায় উরওয়াহ বিন মাসঊদ সাক্বাফী মুসলিমদের আচরণ সচক্ষে দর্শন করছিলেন। মুসলিমরা তাঁদের নবীর সাথে কী ব্যবহার করছে, তা তিনি সন্তর্পণে লক্ষ্য করছিলেন। উরওয়াহ নিজ সঙ্গীদের কাছে ফিরে এসে বললেন,

أَيْ قَوْمِ وَاللهِ لَقَدْ وَفَدْتُ عَلَى الْمُلُوكِ وَوَفَدْتُ عَلٰى قَيْصَرَ وَكِسْرَى وَالنَّجَاشِيِّ وَاللهِ إِنْ رَأَيْتُ مَلِكًا قَطُّ يُعَظِّمُهُ أَصْحَابُهُ مَا يُعَظِّمُ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ ﷺ مُحَمَّدًا، وَاللهِ إِنْ تَنَخَّمَ نُخَامَةً إِلَّا وَقَعَتْ فِي كَفِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ فَدَلَكَ بِهَا وَجْهَهُ وَجِلْدَهُ وَإِذَا أَمَرَهُمْ ابْتَدَرُوا أَمْرَهُ وَإِذَا تَوَضَّأَ كَادُوا يَقْتَتِلُونَ عَلٰى وَضُوئِهِ وَإِذَا تَكَلَّمَ خَفَضُوا أَصْوَاتَهُمْ عِنْدَهُ وَمَا يُحِدُّونَ إِلَيْهِ النَّظَرَ تَعْظِيمًا لَهُ

’হে আমার সম্প্রদায়! অনেক রাজা-বাদশার দরবারে গেছি, ক্বাইসার, কিসরা ও নাজাশীর দরবারে গেছি। কিন্তু আল্লাহর কসম! কোন রাজাকে দেখিনি, তার প্রজারা তাকে তেমন সমীহ করে, যেমন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিশ্যরা করে মুহাম্মাদের! আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কফ ফেলতেই তা ওদের কারো হাতে পড়ছিল এবং সে তা নিয়ে নিজের চেহারা ও চামড়ায় মেখে নিচ্ছিল। তিনি কোন আদেশ করলে তারা তাঁর আদেশ পালনে তৎপর ছিল। তিনি উযূ করলে তাঁর উযূর পানি নেওয়ার জন্য মারামারি করছিল। তিনি কথা বললে তারা নিজেদের আওয়াজ তাঁর কাছে নিচু ক’রে নিচ্ছিল। অতি সমীহতে তাঁর প্রতি তারা এক দৃষ্টে তাকাচ্ছিল না।’

-

-

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৫০) সাহল ইবনে সা’দ সায়েদী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার (যুদ্ধের) দিন বললেন, নিশ্চয় আমি আগামীকাল যুদ্ধ-পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দেব, যার হাতে আল্লাহ বিজয় দান করবেন, আর সে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলও তাকে ভালবাসেন। অতঃপর লোকেরা এই আলোচনা করতে করতে রাত কাটিয়ে দিল যে, তাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে এটা দেওয়া হবে। অতঃপর সকালে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেল। তাদের প্রত্যেকেরই এই আকাঙ্ক্ষা ছিল যে, পতাকা তাকে দেওয়া হোক। কিন্তু তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আলী ইবনে আবী ত্বালেব কোথায়? তাঁকে বলা হল, ’হে আল্লাহর রসূল! তাঁর চক্ষুদ্বয়ে ব্যথা হচ্ছে।’ তিনি বললেন, তাকে ডেকে পাঠাও। সুতরাং তাঁকে ডেকে আনা হল। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চক্ষুদ্বয়ে থুথু লাগিয়ে দিলেন এবং তাঁর জন্য দু’আ করলেন। ফলে তিনি এমন সুস্থ হয়ে গেলেন; যেন তাঁর কোন ব্যথাই ছিল না। অতঃপর তিনি তাঁকে যুদ্ধ-পতাকা দিলেন।

عن سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ يَوْمَ خَيْبَرَ لأُعْطِيَنَّ هَذِهِ الرَّايَةَ رَجُلاً يَفْتَحُ اللهُ عَلَى يَدَيْهِ يُحِبُّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَيُحِبُّهُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ قَالَ فَبَاتَ النَّاسُ يَدُوكُونَ لَيْلَتَهُمْ أَيُّهُمْ يُعْطَاهَا - قَالَ - فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ غَدَوْا عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ كُلُّهُمْ يَرْجُونَ أَنْ يُعْطَاهَا فَقَالَ أَيْنَ عَلِىُّ بْنُ أَبِى طَالِبٍ فَقَالُوا هُوَ يَا رَسُوْلَ اللهِ يَشْتَكِى عَيْنَيْهِ - قَالَ - فَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ فَأُتِىَ بِهِ فَبَصَقَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فِى عَيْنَيْهِ وَدَعَا لَهُ فَبَرَأَ حَتّٰـى كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بِهِ وَجَعٌ فَأَعْطَاهُ الرَّايَةَ

عن سهل بن سعد ان رسول الله ﷺ قال يوم خيبر لاعطين هذه الراية رجلا يفتح الله على يديه يحب الله ورسوله ويحبه الله ورسوله قال فبات الناس يدوكون ليلتهم ايهم يعطاها - قال - فلما اصبح الناس غدوا على رسول الله ﷺ كلهم يرجون ان يعطاها فقال اين على بن ابى طالب فقالوا هو يا رسول الله يشتكى عينيه - قال - فارسلوا اليه فاتى به فبصق رسول الله ﷺ فى عينيه ودعا له فبرا حتـى كان لم يكن به وجع فاعطاه الراية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৫১) বারা’ বিন আযেব (রাঃ) বলেন, ’হুদাইবিয়ার দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে চৌদ্দ শতেরও বেশি লোক ছিল। তারা একটি কুয়ার পাশে অবতরণ করলে তার পানি নিঃশেষ হয়ে যায়। অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে অভিযোগ জানায়। তিনি কুয়ার কিনারায় বসে তার এক বালতি পানি তলব করেন। পানি আনা হলে তিনি তাতে থুথু দিয়ে দু’আ করেন। অতঃপর কিছুক্ষণ তা বর্জন করতে বলেন। সুতরাং (কুয়ার পানি বৃদ্ধি পায় এবং) সেখান থেকে প্রস্থান করে যাওয়া অবধি তারা পান করে পরিতৃপ্ত হয় ও তাদের সওয়ারীগুলিকেও পরিতৃপ্ত করে।’

عَنِ البَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ أَوْ أَكْثَرَ فَنَزَلُوا عَلٰى بِئْرٍ فَنَزَحُوهَا فَأَتَوْا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَأَتَى الْبِئْرَ وَقَعَدَ عَلٰى شَفِيرِهَا ثُمَّ قَالَ ائْتُونِي بِدَلْوٍ مِنْ مَائِهَا فَأُتِيَ بِهِ فَبَصَقَ فَدَعَا ثُمَّ قَالَ دَعُوهَا سَاعَةً فَأَرْوَوْا أَنْفُسَهُمْ وَرِكَابَهُمْ حَتّٰـى ارْتَحَلُوا

عن البراء بن عازب رضي الله عنهما انهم كانوا مع رسول الله ﷺ يوم الحديبية الفا واربع ماىة او اكثر فنزلوا على بىر فنزحوها فاتوا رسول الله ﷺ فاتى البىر وقعد على شفيرها ثم قال اىتوني بدلو من ماىها فاتي به فبصق فدعا ثم قال دعوها ساعة فارووا انفسهم وركابهم حتـى ارتحلوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর বরকত

(২৭৫২) জাবের (রাঃ) বলেন, (হুদাইবিয়ার দিন) একদা আসরের সময় হয়ে গেল। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। সামান্য অবশিষ্ট পানি ছাড়া অন্য পানি ছিল না। ঐ পানিটুকু একটি পাত্রে রেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আনা হল। তিনি তাতে হাত ভরে দিলেন এবং আঙ্গুলগুলিকে ফাঁক করলেন। অতঃপর বললেন, ’’এসো উযূর পানির দিকে, আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকত।’’

আমি দেখলাম, তাঁর আঙ্গুলগুলির মধ্য হতে পানি নিঃসৃত হচ্ছিল। সুতরাং লোকেরা তা দিয়ে উযূ করল এবং পান করল। তা হতে আমিও আমার পেটে রাখতে কোন ত্রুটি করিনি। আমি জেনেছিলাম, তা হল বরকত।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি জাবের (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, ’আপনাদের সংখ্যা কত ছিল?’ উত্তরে তিনি বললেন, ’চৌদ্দশত।’

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا هٰذَا الْحَدِيثَ قَالَ قَدْ رَأَيْتُنِي مَعَ النَّبِيِّ ﷺ وَقَدْ حَضَرَتْ الْعَصْرُ وَلَيْسَ مَعَنَا مَاءٌ غَيْرَ فَضْلَةٍ فَجُعِلَ فِي إِنَاءٍ فَأُتِيَ النَّبِيُّ ﷺ بِهِ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيهِ وَفَرَّجَ أَصَابِعَهُ ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلٰى أَهْلِ الْوُضُوءِ الْبَرَكَةُ مِنْ اللهِ فَلَقَدْ رَأَيْتُ الْمَاءَ يَتَفَجَّرُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ فَتَوَضَّأَ النَّاسُ وَشَرِبُوا فَجَعَلْتُ لَا آلُوا مَا جَعَلْتُ فِي بَطْنِي مِنْهُ فَعَلِمْتُ أَنَّهُ بَرَكَةٌ قُلْتُ لِجَابِرٍ كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ قَالَ أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَة

عن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما هذا الحديث قال قد رايتني مع النبي ﷺ وقد حضرت العصر وليس معنا ماء غير فضلة فجعل في اناء فاتي النبي ﷺ به فادخل يده فيه وفرج اصابعه ثم قال حي على اهل الوضوء البركة من الله فلقد رايت الماء يتفجر من بين اصابعه فتوضا الناس وشربوا فجعلت لا الوا ما جعلت في بطني منه فعلمت انه بركة قلت لجابر كم كنتم يومىذ قال الفا واربع ماىة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৬/ ফাযায়েল
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে