পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫০) আবূ উযাইনাহ স্বাদাফী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ স্ত্রী সে, যে প্রেমময়ী, অধিক সন্তানদাত্রী, যে (স্বামীর) সহমত অবলম্বন করে, (স্বামীকে বিপদেশোকে) সান্ত্বনা দেয় এবং সেই সাথে আল্লাহর ভয় রাখে। আর তোমাদের সবচেয়ে খারাপ মেয়ে তারা, যারা বেপর্দা, অহংকারী, তারা কপট নারী, তাদের মধ্যে লাল রঙের ঠোঁট ও পা-বিশিষ্ট কাকের মত (বিরল) সংখ্যক জান্নাত যাবে।
عَنْ أَبِى أُذَيْنَةَ الصَّدَفِىِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ خَيْرُ نِسَائِكُمُ الْوَدُودُ الْوَلُودُ الْمَوَاتِيَةُ الْمُوَاسِيَةُ إِذَا اتَّقَيْنَ اللهَ وَشَرُّ نِسَائِكُمُ الْمُتَبَرِّجَاتُ الْمُتَخَيِّلاَتُ وَهُنَّ الْمُنَافِقَاتُ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْهُنَّ إِلاَّ مِثْلُ الْغُرَابِ الأَعْصَمِ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫১) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মেয়ে মানুষ (সবটাই) লজ্জাস্থান (গোপনীয়)। আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে সুশোভন করে তোলে। (তিরমিযী ১১৭৩, মিশকাত ৩১০৯)
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহিলা হল গোপনীয় জিনিস। বাইরে বের হলে শয়তান তার দিকে গভীর দৃষ্টিতে নির্নিমেষ তাকিয়ে দেখতে থাকে। (ত্বাবারানী, ইবনে হিব্বান, ইবনে খুযাইমা, সহীহ তারগীব ৩৩৯, ৩৪১, ৩৪২)
عَنْ عَبْداللهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ المَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫২) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার স্ত্রীকে সাধারণ গোসলখানায় প্রবেশ করতে না দেয়।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلَا يُدْخِلْ حَلِيلَتَهُ الْحَمَّامَ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫৩) উম্মে দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি সাধারণ গোসলখানা হতে বের হলাম। ইত্যবসরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলে তিনি আমাকে বললেন, কোত্থেকে, হে উম্মে দারদা?! আমি বললাম, ’গোসলখানা থেকে।’ তিনি বললেন, সেই সত্তার শপথ; যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! যে কোনও মহিলা তার কোন মায়ের ঘর ছাড়া অন্য স্থানে নিজের কাপড় খোলে, সে তার ও পরম দয়াময় (আল্লাহর) মাঝে প্রত্যেক পর্দা বিদীর্ণ করে ফেলে।
عن أُمَّ الدَّرْدَاءِ تَقُولُ خَرَجْتُ مِنْ الْحَمَّامِ فَلَقِيَنِي رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ يَا أُمَّ الدَّرْدَاءِ قَالَتْ مِنْ الْحَمَّامِ فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ امْرَأَةٍ تَضَعُ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِ أَحَدٍ مِنْ أُمَّهَاتِهَا إِلَّا وَهِيَ هَاتِكَةٌ كُلَّ سِتْرٍ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الرَّحْمَنِ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫৪) উম্মে সালামাহ (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে নারী স্বগৃহ ছাড়া অন্য স্থানে নিজের পর্দা রাখে (কাপড় খোলে) আল্লাহ তার পর্দা ও লজ্জাশীলতাকে বিদীর্ণ করে দেন। (অথবা সে নিজে করে দেয়।)
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَزَعَتْ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِهَا خَرَقَ اللهُ عَنْهَا سِتْرًا
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫৫) আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মহিলা নিজের স্বামীগৃহ ছাড়া অন্য গৃহে নিজের কাপড় খোলে, সে আল্লাহ আযযা অজাল্লা ও তার নিজের মাঝে পর্দা বিদীর্ণ করে ফেলে।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَزَعَتْ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِ زَوْجِهَا هَتَكَتْ سِتْرَ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ رَبِّهَا
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫৬) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ’কাফেলা আমাদের সামনে বেয়ে পার হত, তখন আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ইহরাম অবস্থায় থাকতাম। তারা যখন আমাদের সামনাসামনি হত, তখন আমাদের প্রত্যেকে তার চাদরকে মাথার উপর থেকে চেহারায় টেনে নিত। তারপর তারা পার হয়ে গেলে আমরা চেহারা খুলে নিতাম।’
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ الرُّكْبَانُ يَمُرُّونَ بِنَا وَنَـحْنُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ مُـحْرِمَاتٌ فَإِذَا حَاذَوْا بِنَا سَدَلَتْ إِحْدَانَا جِلْبَابَهَا مِنْ رَأْسِهَا إِلٰـى وَجْهِهَا فَإِذَا جَاوَزُونَا كَشَفْنَاهُ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫৭) জাবের বিন আব্দুল্লাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সেই মহিলাদের নিকট গমন করো না যাদের স্বামীরা বিদেশে আছে। কারণ, শয়তান তোমাদের রক্তশিরায় প্রবাহিত হয়।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لاَ تَلِجُوا عَلَى الْمُغِيبَاتِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ أَحَدِكُمْ مَجْرَى الدَّمِ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫৮) আমর বিন আস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করেছেন যে, আমরা যেন মহিলাদের নিকট তাদের স্বামীদের বিনা অনুমতিতে গমন না করি।
عَنْ عَمْرٍو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا أَنْ نَدْخُلَ عَلَى النِّسَاءِ بِغَيْرِ إِذْنِ أَزْوَاجِهِنَّ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৫৯) আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী। আর রমণী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে পার হয়ে যায় তাহলে সে এক বেশ্যা।
عَنْ أبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال كُلُّ عَيْنٍ زَانِيَةٌ وَالْمَرْأةُ إِذَا استَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ بِالْمَجْلِسِ فَهِيَ كَذَا وَكَذَا يَعْنِي زَانِيَةً
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যায়, সেই মহিলার গোসল না করা পর্যন্ত কোন নামায কবুল হবে না।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أيُّمَا امْرَأة تطَيَّبَتْ ثمَّ خَرَجَتْ إلى المَسجِدِ لمْ تُقْبَلْ لَها صلاةٌ حَتّٰـى تَغْتَسِلَ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬১) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা চাশতের সময় তিনি মসজিদ থেকে বের হলেন। দেখলেন, একটি মহিলা মসজিদ প্রবেশে উদ্যত। তার দেহ বা লেবাস থেকে উৎকৃষ্ট সুগন্ধির সুবাস ছড়াচ্ছিল। আবূ হুরাইরা মহিলাটির উদ্দেশে বললেন, ’আলাইকিস্ সালাম।’ মহিলাটি সালামের উত্তর দিল। তিনি তাকে প্রশ্ন করলেন, ’কোথায় যাবে তুমি?’ সে বলল, ’মসজিদে।’ বললেন, ’কি জন্য এমন সুন্দর সুগন্ধি মেখেছ তুমি?’ বলল, ’মসজিদের জন্য।’ বললেন, ’আল্লাহর কসম?’ বলল, ’আল্লাহর কসম।’ পুনরায় বললেন, ’আল্লাহর কসম?’ বলল, ’আল্লাহর কসম।’ তখন তিনি বললেন, ’তবে শোন, আমাকে আমার প্রিয়তম আবুল কাসেম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, ’’সেই মহিলার কোন নামায কবুল হয় না, যে তার স্বামী ছাড়া অন্য কারোর জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করে; যতক্ষণ না সে নাপাকীর গোসল করার মত গোসল করে নেয়।’’ অতএব তুমি ফিরে যাও, গোসল করে সুগন্ধি ধুয়ে ফেল। তারপর ফিরে এসে নামায পড়ো।
قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِى عُبَيْدٍ مِنْ أَشْيَاخِ كُوثَى مَوْلَى أَبِى رُهْمٍ الْغِفَارِىِّ عَنْ جَدِّهِ قَالَ : خَرَجْتُ مَعَ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ مِنَ الْمَسْجِدِ ضُحًى فَلَقِيَتْنَا امْرَأَةٌ بِهَا مِنَ الْعِطْرِ شَىْءٌ لَمْ أَجِدْ بِأَنْفِى مِثْلَهُ قَطُّ فَقَالَ لَهَا أَبُو هُرَيْرَةَ : عَلَيْكِ السَّلاَمُ قَالَتْ : وَعَلَيْكَ قَالَ : فَأَيْنَ تُرِيدِينَ؟ قَالَتِ : الْمَسْجِدَ قَالَ فَلأَىِّ شَىْءٍ تَطَيَّبْتِ بِهٰذَا الطِّيبِ قَالَتْ لِلْمَسْجِدِ قَالَ : اللهِ قَالَتْ : اللهِ قَالَ اللهِ قَالَتْ اللهِ قَالَ فَإِنَّ حِبِّى أَبَا الْقَاسِمِ ﷺ أَخْبَرَنِى أَنَّهُ لاَ تُقْبَلُ لاِمْرَأَةٍ صَلاَةٌ تَطَيَّبَتْ بِطِيبٍ لِغَيْرِ زَوْجِهَا حَتّٰـى تَغْتَسِلَ مِنْهُ غُسْلَهَا مِنَ الْجَنَابَةِ فَاذْهَبِى فَاغْتَسِلِى مِنْهُ ثُمَّ ارْجِعِى فَصَلِّى
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬২) মা’ক্বিল বিন য়্যাসার বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তির মাথায় লৌহ সুচ দ্বারা খোঁচা যাওয়া ভালো, তবুও যে নারী তার জন্য অবৈধ তাকে স্পর্শ করা ভালো নয়।
عن مَعْقِلِ بن يَسَارٍ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لأَنْ يُطْعَنَ فِي رَأْسِ رَجُلٍ بِمِخْيَطٍ مِنْ حَدِيدٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَمَسَّ امْرَأَةً لا تَحِلُّ لَهُ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী; যাদেরকে আমি দেখিনি। (তারা ভবিষ্যতে আসবে।) প্রথম শ্রেণী (অত্যাচারীর দল) যাদের সঙ্গে থাকবে গরুর লেজের মত চাবুক, যদ্দ্বারা তারা লোককে প্রহার করবে। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হল সেই নারীদল; যারা কাপড় তো পরিধান করবে, কিন্তু তারা বস্তুতঃ উলঙ্গ থাকবে, যারা পুরুষদের আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও তাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে, যাদের মস্তক (খোঁপা বাঁধার কারণে) উটের হিলে যাওয়া কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, তার গন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধ এত এত দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلاَتٌ مَائِلاَتٌ رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ لاَ يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ وَلاَ يَجِدْنَ رِيحَهَا وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৪)আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার শেষ যামানার উম্মতের মধ্যে কিছু এমন লোক হবে যারা ঘরের মত জিন্ (মোটর গাড়ি) তে সওয়ার হয়ে মসজিদের দরজায় দরজায় নামবে। (গাড়ি করে নামায পড়তে আসবে।) আর তাদের মহিলারা হবে অর্ধনগ্না; যাদের মাথা কৃশ উটের কুঁজের মত (খোঁপা) হবে। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ করো। কারণ, তারা অভিশপ্তা!
عن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ سَيَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي رِجَالٌ يَرْكَبُونَ عَلَى السُّرُوجِ كَأَشْبَاهِ الرِّجَالِ يَنْزِلُونَ عَلٰى أَبْوَابِ الْمَسْجِدِ نِسَاؤُهُمْ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ عَلٰى رُءُوسِهِمْ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْعِجَافِ الْعَنُوهُنَّ فَإِنَّهُنَّ مَلْعُونَاتٌ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৫) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোজা পুরুষ এবং পুরুষসুলভ আচরণ-কারিণী নারীর উপর অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেন, তোমাদের গৃহ হতে ওদেরকে বের করে দাও। তিনি স্বয়ং এক খোজাকে বহিষ্কার করেছেন এবং উমার (রাঃ) এক হিজড়ে নারীকে গৃহ হতে বহিষ্কার করেছেন।
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَعَنَ النَّبِيُّ ﷺ الْمُخَنَّثِينَ مِنْ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنْ النِّسَاءِ وَقَالَ أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ قَالَ فَأَخْرَجَ النَّبِيُّ ﷺ فُلَانًا وَأَخْرَجَ عُمَرُ فلُانَةَ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৬) একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সালামার ঘরে ছিলেন। ঘরে একজন হিজড়ে ছিল। (তাকে যৌনকামনা-রহিত মনে করা হত, তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের বাড়িতে প্রবেশ করত।) সে উম্মে সালামার ভাই আব্দুল্লাহকে বলল, ’ওহে আব্দুল্লাহ! কাল যদি আল্লাহ তোমাদেরকে তায়েফ জয় করার তাওফীক দেন, তাহলে আমি তোমাকে গাইলানের বেটির কথা বলে দেব, যে সামনে এলে চারটি (ভুঁড়ির ভাঁজ দেখা) যায় এবং পিছন ফিরে গেলে আটটি (ভাঁজ দেখা) যায়!’ এ কথা শোনার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ তো ওখানকার ব্যাপার চেনে! এ যেন তোমাদের ঘরে অবশ্যই প্রবেশ না করে।
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ مُخَنَّثًا كَانَ عِنْدَهَا وَرَسُوْلُ اللهِ ﷺ فِى الْبَيْتِ فَقَالَ لأَخِى أُمِّ سَلَمَةَ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِى أُمَيَّةَ إِنْ فَتَحَ اللهُ عَلَيْكُمُ الطَّائِفَ غَدًا فَإِنِّى أَدُلُّكَ عَلٰى بِنْتِ غَيْلاَنَ فَإِنَّهَا تُقْبِلُ بِأَرْبَعٍ وَتُدْبِرُ بِثَمَانٍ قَالَ فَسَمِعَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقَالَ لاَ يَدْخُلْ هَؤُلاَءِ عَلَيْكُمْ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৭) মহান আল্লাহ বলেন, ’হে নবী! তুমি তোমার পত্নীগণকে, কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলে দাও, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের (চেহারার) উপর টেনে নেয়---।’ (সূরা আহযাব ৫৯)
উম্মে সালামাহ (রাঃ) বলেন, ’উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলে (মদীনার) আনসারদের মহিলারা যখন বের হল, তখন তাদের মাথায় (কালো) চাদর (বা মোটা ওড়না) দেখে মনে হচ্ছিল যেন ওদের মাথায় কালো কাকের ঝাঁক বসে আছে!’
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ لَمَّا نَزَلَتْ (يُدْنِيْنَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيْبِهِنَّ) خَرَجَ نِسَاءُ الأَنْصَارِ كَأَنَّ عَلٰى رُءُوسِهِنَّ الْغِرْبَانُ مِنَ الأَكْسِيَةِ
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
আল্লাহ তাআলার আদেশ, মুমিন মেয়েরা যেন তাদের ঘাড় ও বুককে মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে নেয়...। (সূরা নূর ৩১)
(২৬৬৮) আয়েশা (রাঃ) বলেন, পূর্বের মুহাজির মহিলাদের প্রতি আল্লাহ রহম করেন। উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হলে তারা তাদের পরিধেয় কাপড়সমূহের মধ্যে সবচেয়ে মোটা কাপড়টিকে ফেড়ে মাথার ওড়না বানিয়ে মাথা (ঘাড়-গলা-বুক) ঢেকেছিল।
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّهَا قَالَتْ يَرْحَمُ اللهُ نِسَاءَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلَ لَمَّا أَنْزَلَ اللهُ (وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُيُوبِهِنَّ) شَقَقْنَ أَكْنَفَ أو أَكْثَفَ مُرُوطِهِنَّ فَاخْتَمَرْنَ بِهَا
পরিচ্ছেদঃ পর্দার বিধান
(২৬৬৯) আবূ উসাইদ আনসারী শুনেছেন, মসজিদের বাইরে রাস্তায় নারী-পুরুষের মিশ্রণ দেখে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের উদ্দেশ্যে বললেন, থামো! তোমাদের জন্য রাস্তার মাঝে চলা বৈধ নয়। তোমরা রাস্তার এক পাশ দিয়ে চল। এ নির্দেশ শুনে মহিলা (রাস্তার পাশে বাড়ির) দেওয়ালের সাথে লেগে পথ চলত। এমনকি দেওয়াল ঘেষে চলার ফলে তার কাপড় দেওয়ালে আটকে যেত!
عَنْ أَبِى أُسَيْدٍ الْأَنْصَارِىِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ وَهُوَ خَارِجٌ مِنَ الْمَسْجِدِ فَاخْتَلَطَ الرِّجَالُ مَعَ النِّسَاءِ فِى الطَّرِيقِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لِلنِّسَاءِ اسْتَأْخِرْنَ فَإِنَّهُ لَيْسَ لَكُنَّ أَنْ تَحْقُقْنَ الطَّرِيقَ عَلَيْكُنَّ بِحَافَاتِ الطَّرِيقِ فَكَانَتِ الْمَرْأَةُ تَلْتَصِقُ بِالْجِدَارِ حَتّٰـى إِنَّ ثَوْبَهَا لَيَتَعَلَّقُ بِالْجِدَارِ مِنْ لُصُوقِهَا بِهِ