পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ সেই স্বামীর প্রতি দয়া বর্ষণ করেন, যে রাত্রে উঠে নামায পড়ে এবং নিজ স্ত্রীকে জাগায়, আর সেও নামায পড়ে। সে উঠতে অস্বীকার করলে তার মুখে পানির ছিটা মারে। আল্লাহ সেই স্ত্রীর প্রতিও দয়া বর্ষণ করেন, যে রাত্রে উঠে নামায পড়ে এবং নিজ স্বামীকে জাগায়, আর সেও নামায পড়ে। সে উঠতে অস্বীকার করলে তার মুখে পানির ছিটা মারে।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ رَحِمَ اللهُ رَجُلاً قَامَ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَإِنْ أَبَتْ نَضَحَ فِى وَجْهِهَا الْمَاءَ رَحِمَ اللهُ امْرَأَةً قَامَتْ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّتْ وَأَيْقَظَتْ زَوْجَهَا فَإِنْ أَبَى نَضَحَتْ فِى وَجْهِهِ الْمَاءَ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮২) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায পড়তেন আর আমি তখন তাঁর বিছানায় আড়াআড়ি শুয়ে থাকতাম। তিনি যখন বিতর পড়ার ইচ্ছা করতেন, তখন আমাকে জাগিয়ে দিতেন। আমিও বিতর পড়ে নিতাম।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَأَنَّ النَّبِـيَّ ﷺ يُصَلِّي وَأَنَا رَاقِدَةٌ مُعْتَرِضَةٌ عَلٰى فِرَاشِهِ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يُوتِرَ أَيْقَظَنِي فَأَوْتَرْتُ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮৩) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ’একদা এক সফরে আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। এক জায়গায় আমরা দৌড় প্রতিযোগিতা করলাম এবং তাতে আমি তাঁকে হারিয়ে দিলাম। অতঃপর যখন আমি মোটা হয়ে গেলাম, তখন একবার প্রতিযোগিতা করলাম এবং তিনি আমাকে হারিয়ে দিলেন এবং বললেন এটা হল পূর্বের (প্রতিযোগিতার) উত্তর।
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا كَانَتْ مَعَ النَّبِىِّ ﷺ فِى سَفَرٍ قَالَتْ فَسَابَقْتُهُ فَسَبَقْتُهُ عَلٰى رِجْلَىَّ فَلَمَّا حَمَلْتُ اللَّحْمَ سَابَقْتُهُ فَسَبَقَنِى فَقَالَ هَذِهِ بِتِلْكَ السَّبْقَةِ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮৪) আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা হাবশীরা বর্শা-বল্লম নিয়ে মসজিদে খেলা করছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’’হে হুমাইরা! তুমি কি ওদের খেলা দেখতে চাও?’’ আমি বললাম, ’হ্যাঁ।’ তখন তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে গেলেন। আমি আমার থুত্নিকে তাঁর কাঁধের উপর রাখলাম এবং আমার চেহারাকে তাঁর গালের সাথে লাগিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। (বেশ কিছুক্ষণ দেখার পর) তিনি বললেন, ’’যথেষ্ট হয়েছে, চল এবারে।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াতাড়ি করবেন না।’ তাই তিনি আমার জন্য আবারও দাঁড়িয়ে গেলেন। অতঃপর আবার বললেন, ’’যথেষ্ট হয়েছে, চল এবারে।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াতাড়ি করবেন না।’ আমার যে তাদের খেলা দেখার খুব শখ ছিল তা নয়, বরং আমি কেবল তাঁর অন্যান্য স্ত্রীদেরকে এ কথাটা জানিয়ে দিতে চাইছিলাম যে, আমার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতটা মর্যাদা ছিল এবং তাঁর কাছে আমার কতটা কদর ছিল। (নাসাঈ কুবরা ৮৯৫১, মুসলিম ২১০০-২১০৫)
عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ : دَخَلَ الْحَبَشَةُ الْمَسْجِدَ يَلْعَبُونَ فَقَالَ لِي : يَاحُمَيْرَاءُ اتُحِبَّينَ أَنْ تَنْظُرِي إِلَيْهِمْ ؟ فَقُلْتُ : نَعَمْ فَقَامَ بِالْبَابِ وَجِئْتُهُ فَوَضَعْتُ ذَقَنِي عَلٰى عَاتِقِهِ فَاسْنَدْتُ وَجْهِيَ إِلٰـى خَدِّهِ قَالَتْ : وَمِنْ قَوْلِهِمْ يَوْمَئِذٍ : ابَا الْقَاسِم طيبًا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : حَسْبُكِ ؟ فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ لاتَعْجَلْ فَقَامَ لِي ثُمَّ قَالَ : حَسْبُكِ ؟ فَقُلْتُ : لا تَعْجَلْ يَارَسُوْلَ اللهِ قَالَتْ : وَمَابِي حُبُّ النَّظَرِ إِلَيْهِمْ وَلَكِنِّي احْبَبْتُ أَنْ تُبَلَّغَ النِّسَاءُ مَقَامَهُ بِي وَمَكَانِي مِنْهُ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮৫) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) ও জাবের বিন উমাইর আনসারী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতি কাজ (খেলা) যাতে আল্লাহর যিকর, (ধর্মীয় উদ্দেশ্য, শারীরিক উপকার) থাকে না, তাই (অসার) ক্রীড়াকৌতুক, চারটি খেলা ছাড়া; তীরন্দাজি, অশ্ব প্রশিক্ষণ, স্বামী-স্ত্রীর প্রেমখেলা এবং সাঁতার শিক্ষা।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ وَجَابِرِ بْنِ عُمَيْرٍ الْأَنْصَارِيَّ، أن رَسُوْلَ اللهِ - صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال كُلُّ شَيْءٍ لَيْسَ مِنْ ذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ فَهُوَ لَغْوٌ وَسَهْوٌ إِلَّا أَرْبَعَ خِصَالٍ : مَشْيُ الرَّجُلِ بَيْنَ الْغَرَضَيْنِ، وَتَأْدِيبُ فَرَسَهُ، وَمُلَاعَبَتُهُ أَهْلَهُ، وَتَعْلِيمُ السِّبَاحَةِ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮৬) আবূ যার থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।’’ সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-মিলন করে নিজের যৌনক্ষুধা নিবারণ করে তবে এতেও কি তার পুণ্য হবে? তিনি বললেন, ’’কী রায় তোমাদের, যদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-মিলন করে, তাহলে কি তার পাপ হবে? (নিশ্চয় হবে।) অনুরূপ সে যদি বৈধভাবে (স্ত্রী-মিলন করে) নিজের কামক্ষুধা নিবারণ করে, তাহলে তাতে তার পুণ্য হবে।
عَنْ أَبِى ذَرٍّ قَالَ قَالَ النَّبِـيُّ ﷺ وَفِى بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ قَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيَأْتِى أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُونُ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ قَالَ أَرَأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِى حَرَامٍ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ فَكَذٰلِكَ إِذَا وَضَعَهَا فِى الْحَلاَلِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮৭) আয়েশা (রাঃ) যখন ছোট ছিলেন, তখন কাপড়ের তৈরি পুতুল নিয়ে খেলা করতেন। তার মধ্যে একটি ঘোড়া ছিল, যার দু’টি ডানা ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখে বললেন, ’এটা কী?’ আয়েশা বললেন, ’ঘোড়া।’ তিনি বললেন,
فَرَسٌ لَهُ جَنَاحَانِ قَالَتْ أَمَا سَمِعْتَ أَنَّ لِسُلَيْمَانَ خَيْلاً لَهَا أَجْنِحَةٌ قَالَتْ فَضَحِكَ حَتّٰـى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ
’ঘোড়ার আবার দু’টি ডানা?’ আয়েশা বললেন, ’আপনি কি শুনেননি, সুলাইমান (নবী)র ডানা-ওয়ালা ঘোড়া ছিল?’ এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসলেন এবং সে হাসিতে তাঁর চোয়ালের দাঁত দেখা গেল।
-
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮৮) আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা সাওদা বিনতে যামআ’ আমার সাথে দেখা করতে আমার বাসায় এলো। রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ও আমার মাঝখানে বসে গেলেন। তাঁর একটি পা আমার কোলে, আর একটি পা সাওদার কোলে ছিল। আমি তার (সাওদার) জন্য ’খাযীরা’ (গোশ্ত ছোট ছোট করে কেটে তাতে আটা মিশিয়ে রান্না করা খাবার) তৈরী করলাম। অতঃপর তাকে খেতে বললে সে খেতে অস্বীকার করল। আমি বললাম, ’তুমি অবশ্যই খাবে, নচেৎ আমি তোমার মুখে তা লেপে দেব।’ সে অস্বীকার করলে আমি প্লেট থেকে সামান্য পরিমাণ নিয়ে তার মুখে লেপে দিলাম।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোল থেকে স্বীয় পা সরিয়ে নিলেন, যাতে সে আমার কাছ থেকে বদলা নিতে পারে। অতঃপর আমি প্লেট থেকে আরো কিছু নিয়ে আমার মুখে লেপে নিলাম। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসতে লাগলেন। ইত্যবসরে উমার (রাঃ) উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলেন, ’হে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার! হে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার!’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেন, তোমরা উঠে তোমাদের মুখ ধুয়ে নাও, আমার মনে হয় উমার প্রবেশ না করে ছাড়বে না।
عَنْ عَائِشَةَ قالت: زَارَتْنَا سَوْدَةُ يَوْما فَجَلَسَ رَسُوْلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا احْدَئ رِجْلَيْهِ فِي حِجْرِي وَالاخْرَئ فِي حِجْرِهَا فَعَمِلْتُ لَهَا حَريرَةً او قالت : خزيرَةً فَقُلْتً : كُلِي فَابَتْ فَقُلْتَُ: لَتَاكُلِي اوْ لالْطِخَنَّ وَجْهَكِ فَابَتْ فَاخَذْتُ مِنَ الْقَصْعَةِ شَيْئا فَلَطَخْتُ بِهِ وَجْهَهَا فَرَفَعَ رَسُوْلُ اللهِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِجْلَهُ مِنْ حِجْرِهَا تَسْتَقِيدُ مِنِّىِ فَاخَذَتْ مِنَ الْقَصْعَةِ شَيْئا فلطَخَتْ بِهِ وَجْهِي وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضْحَكُ فَاذَا عُمَرُ يَقُوْلُ : يَاعبد الله بْنَ عُمَرَ يَا عبد الله بْنَ عُمَرَ فَقَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللهِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُومَا فَاغْسِلا وُجُوهَكُمَا فَلا احْسَبُ عُمَرَ الا دَاخِلا
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৮৯) আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (অপবিত্রতা থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য) গোসল করতাম, তখন আমাদের উভয়ের মাঝে একটাই পাত্র হত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাড়াতাড়ি করে (সেটা থেকে পানি নিতে) গেলে আমি বলতাম, ছাড়ুন আমি আগে নিই, ছাড়ুন আমি আগে নিই।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مِنْ إِنَاءٍ بَيْنِى وَبَيْنَهُ وَاحِدٍ فَيُبَادِرُنِـىْ حَتّٰـى أَقُولَ دَعْ لِـىْ دَعْ لِـىْ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯০) উরওয়াহ বলেন, আয়েশা (রাঃ)-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ঘরে কাজ করতেন?’ তিনি বললেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য মানুষের মত একজন মানুষ ছিলেন; স্বহস্তে কাপড় পরিষ্কার করতেন, দুধ দোহাতেন এবং নিজের খেদমত নিজেই করতেন। অন্যনা্য পুরুষরা যেমন নিজেদের বাড়ীতে কাজ করে, অনুরূপ তিনিও তাঁর কাপড়ে তালি লাগাতেন এবং জুতো সিলাই করতেন।
وَعَنْ عُرْوَةَ قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ عَائِشَةَ هَلْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَعْمَلُ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ نَعَمْ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَخْصِفُ نَعْلَهُ، وَيَخِيطُ ثَوْبَهُ، وَيَعْمَلُ فِي بَيْتِهِ كَمَا يَعْمَلُ أَحَدُكُمْ فِي بَيْتِهِ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مُخْتَصَرًا مِنْ رِوَايَةِ الأَسْوَدِ قُلْت لِعَائِشَةَ مَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَصْنَعُ إذَا دَخَلَ بَيْتَهُ؟ قَالَتْ: كَانَ يَكُونُ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ وَلِلتِّرْمِذِيِّ فِي الشَّمَائِلِ كَانَ بَشَرًا مِنْ الْبَشَرِ يُفَلِّي ثَوْبَهُ وَيَحْلِبُ شَاتَهُ وَيَخْدُمُ نَفْسَهُ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯১) আসওয়াদ বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে কী করতেন? উত্তরে তিনি বললেন, ’তিনি সাংসারিক কাজ করতেন। অতঃপর নামাযের সময় হলে নামাযের জন্য বের হয়ে যেতেন।
عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ مَا كَأَنَّ النَّبِـيَّ ﷺ يَصْنَعُ فِي بَيْتِهِ؟ قَالَتْ: كَانَ يَكُونُ فِي مِهْنَةِ أَهْلِهِ تَعْنِي خِدْمَةَ أَهْلِهِ فَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلَاةُ خَرَجَ إِلٰـى الصَّلَاةِ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯২) আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমি অবশ্যই জানতে পারি কখন তুমি আমার প্রতি খুশী থাক এবং কখন রাগান্বিতা হও। আমি বললাম, কী করে আপনি তা বুঝতে পারেন? তিনি বললেন, যখন তুমি আমার প্রতি খুশী থাক, তখন বল, না, মুহাম্মাদের রবেবর শপথ! আর যখন তুমি আমার প্রতি রেগে থাক, তখন বল, না, ইব্রাহীমের রবেবর শপথ! আমি তখন বললাম, ’হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি আপনার নাম ছাড়া আর কিছুই বাদ দিই না।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ لِى رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنِّى لأَعْلَمُ إِذَا كُنْتِ عَنِّى رَاضِيَةً وَإِذَا كُنْتِ عَلَىَّ غَضْبَى قَالَتْ فَقُلْتُ وَمِنْ أَيْنَ تَعْرِفُ ذٰلِكَ قَالَ أَمَّا إِذَا كُنْتِ عَنِّى رَاضِيَةً فَإِنَّكِ تَقُولِينَ لاَ وَرَبِّ مُحَمَّدٍ وَإِذَا كُنْتِ غَضْبَى قُلْتِ لاَ وَرَبِّ إِبْرَاهِيمَ قَالَتْ قُلْتُ أَجَلْ وَاللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا أَهْجُرُ إِلاَّ اسْمَكَ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯৩) আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কোন খাবারের দোষ বর্ণনা করেননি। (খাবার সামনে এলে) রুচি (বা ইচ্ছা) হলে তিনি খেতেন, তা না হলে বর্জন করতেন।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مَا عَابَ النَّبِيُّ ﷺ طَعَامًا قَطُّ إِنْ اشْتَهَاهُ أَكَلَهُ وَإِلَّا تَرَكَهُ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯৪) ফাযালাহ বিন উবাইদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তি সম্পর্কে কোন প্রশ্নই করো না; যে জামাআত ত্যাগ করে ইমামের অবাধ্য হয়ে মারা যায়, যে ক্রীতদাস বা দাসী প্রভু থেকে পলায়ন করে মারা যায়, এবং সেই নারী যার স্বামী অনুপস্থিত থাকলে -তার সাংসারিক সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস বন্দোবস্ত করে দেওয়া সত্ত্বেও তার অনুপস্থিতিতে বেপর্দা হয়ে বাইরে যায়।
عَنْ فَضَالَةَ بن عُبَيْدٍ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ، قَالَ ثلَاثَةٌ لَا تَسألُ عَنْهُمْ رَجُلٌ فَارَقَ الْـجَماعَةَ وعَصَى إِمامَهُ وماتَ عَاصِياً وأمَةٌ أوْ عَبْدٌ أبقَ مِنْ سَيّدِهِ فَماتَ وامْرَأةٌ غَابَ عَنْهَا زَوْجهَا وقدْ كَفَاهَا مَؤنَةَ الدُّنْيا فَتَبَرَّجَتْ بَعْدَهُ فَلَا تَسْألْ عَنْهُمْ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯৫) আয়েশা (রাঃ) বলেন, ’আমি মাসিক অবস্থায় কোন কিছু পান করে সে পানপাত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দিতাম। তিনি সেখানেই মুখ লাগিয়ে পান করতেন, যেখানে আমি মুখ লাগিয়ে ছিলাম। অনুরূপ আমি মাসিক অবস্থায় হাড় থেকে গোশ্ত ছিঁড়ে খেতাম। অতঃপর তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দিতাম। তিনি সেখানেই মুখ লাগিয়ে হাড় থেকে মাংস ছিঁড়ে খেতেন, যেখানে আমি মুখ লাগিয়ে ছিলাম।’
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنْتُ أَشْرَبُ وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِىَّ ﷺ فَيَضَعُ فَاهُ عَلٰى مَوْضِعِ فِىَّ فَيَشْرَبُ وَأَتَعَرَّقُ الْعَرْقَ وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ أُنَاوِلُهُ النَّبِىَّ ﷺ فَيَضَعُ فَاهُ عَلٰى مَوْضِعِ فِىَّ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির দু’জন স্ত্রী আছে, কিন্তু সে তাদের মধ্যে একজনের দিকে ঝুঁকে যায়, এরূপ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার অর্ধদেহ ধসা অবস্থায় উপস্থিত হবে।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ فَمَالَ إِلٰـى إِحْدَاهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ
পরিচ্ছেদঃ দাম্পত্য ও সংসার
(২৫৯৭) জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’ইবলীস পানির উপর তার সিংহাসন রেখে (ফিতনা ও পাপের) অভিযান-সৈন্য পাঠায়। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী তার নৈকট্য লাভ করে সে, যে সবচেয়ে বড় ফিতনা সৃষ্টি করতে পারে। অতঃপর প্রত্যেকে কাজের হিসাব দেয়; বলে, ’আমি এই করেছি।’ সে বলে, ’তুমি কিছুই করনি।’ একজন এসে বলে, ’আমি এক দম্পতির মাঝে ঢুকে পরস্পর কলহ বাধিয়ে পরিশেষে তাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ছেড়েছি।’ তখন শয়তান সিংহাসন ছেড়ে উঠে এসে তাকে আলিঙ্গন ক’রে বলে, ’হ্যাঁ। (তুমিই কাজের মতো কাজ করেছ!)’’ (মুসলিম ৭২৮৪)
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ إِبْلِيسَ يَضَعُ عَرْشَهُ عَلَى الْمَاءِ ثُمَّ يَبْعَثُ سَرَايَاهُ فَأَدْنَاهُمْ مِنْهُ مَنْزِلَةً أَعْظَمُهُمْ فِتْنَةً يَجِىءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُوْلُ فَعَلْتُ كَذَا وَكَذَا فَيَقُوْلُ مَا صَنَعْتَ شَيْئًا قَالَ ثُمَّ يَجِىءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُوْلُ مَا تَرَكْتُهُ حَتّٰـى فَرَّقْتُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ امْرَأَتِهِ - قَالَ - فَيُدْنِيهِ مِنْهُ وَيَقُوْلُ نِعْمَ أَنْتَ