পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭২) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করলে, তাকে আশ্রয় দাও। আর যে আল্লাহর নামে চাইবে, তাকে দান কর। যে তোমাদেরকে নিমন্ত্রণ দেবে, তোমরা তার নিমন্ত্রণ গ্রহণ কর। যে তোমাদের উপকার করবে, তোমরা তার (যথোচিত) প্রতিদান দাও। আর যদি তোমরা তার (যথার্থ) প্রতিদানযোগ্য কিছু না পাও, তাহলে তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত দু’আ করতে থাক, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের এ ধারণা বদ্ধমূল হবে যে, তোমরা তার (সঠিক) প্রতিদান আদায় ক’রে দিয়েছ।
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنِ اسْتَعَاذَ بِاللهِ فَأَعِيذُوهُ وَمَنْ سَأَلَ بِاللهِ فأَعْطُوهُ وَمَنْ دَعَاكُمْ فَأَجِيبُوهُ وَمَنْ صَنَعَ إِلَيْكُمْ مَعْرُوفاً فَكَافِئُوهُ فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا مَا تُكَافِئُونَهُ بِهِ فَادْعُوا لَهُ حَتّٰـى تَرَوْا أَنَّكُمْ قَد كَافَأْتُمُوهُ
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলতেন, ’সবচেয়ে নিকৃষ্টতম খাবার হল সেই অলীমার খাবার যার জন্য ধনীদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয় এবং বাদ দেওয়া হয় গরীবদেরকে। আর যে ব্যক্তি দাওয়াত গ্রহণ করল না সে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নাফরমানী করল।’ (বুখারী ৫১৭৭, মুসলিম ১৪৩২)
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُمْنَعُهَا مَنْ يَأْتِيهَا وَيُدْعَى إِلَيْهَا مَنْ يَأْبَاهَا وَمَنْ لَمْ يُجِبِ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَرَسُوْلَهُ
সবচেয়ে নিকৃষ্টতম খাবার হল সেই অলীমার খাবার; যাতে তাদেরকে আসতে নিষেধ করা হয় (বা দাওয়াত দেওয়া হয় না), যারা তা খেতে চায় এবং যার প্রতি তাদেরকে আহবান করা হয়, যারা তা খেতে চায় না। আর যে ব্যক্তি দাওয়াত গ্রহণ করে না সে ব্যক্তি আল্লাহ ও তদীয় রসূলের না ফরমানী করে। (মুসলিম ৩৫৯৮)
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ كَانَ يَقُوْلُ: شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُدْعَى لَهَا الْأَغْنِيَاءُ وَيُتْرَكُ الْفُقَرَاءُ وَمَنْ تَرَكَ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَرَسُوْلَهُ ﷺ
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুসলিমের উপর মুসলিমের ৫টি অধিকার রয়েছে; সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে সাক্ষাৎ করে সান্ত্বনা দেওয়া, জানাযায় অংশগ্রহণ করা, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির পর ’আল-হামদু লিল্লাহ’ বললে তার জবাবে ’য়্যারহামুকাল্লাহ’ বলা।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ : رَدُّ السَّلَامِ وَعِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭৫) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন তোমাদের কাউকে অলীমার দাওয়াত দেওয়া হয়, তখন সে যেন তা কবুল করে। অতঃপর তার ইচ্ছা হলে খেতে পারে, না হলে না খেতে পারে।
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا دُعِىَ أَحَدُكُمْ إِلٰـى طَعَامٍ فَلْيُجِبْ فَإِنْ شَاءَ طَعِمَ وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনে, (অলীমাভোজে) আপোসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদ্বয়ের দাওয়াত কবুল করা যাবে না এবং তাদের খাবারও খাওয়া হবে না।
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المُتَبَارِيَانِ لاَ يُجَابَانِ وَلاَ يُؤكَلُ طَعَامُهُما
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭৭) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন সেই ভোজ-মজলিসে না বসে যাতে মদ্য পরিবেশিত হয়।
عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَمنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلَا يَجْلِسْ عَلٰى مَائِدَةٍ يُدَارُ عَلَيْهَا الْخَمْرُ
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭৮) একদা আলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিমন্ত্রণ করলে তিনি তাঁর গৃহে ছবি দেখে ফিরে গেলেন। আলী (রাঃ) বললেন, ’কী কারণে ফিরে এলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার মা-বাপ আপনার জন্য কুরবান হোক।’ তিনি উত্তরে বললেন, গৃহের এক পর্দায় (প্রাণীর) ছবি রয়েছে। আর ফিরিশতাবর্গ সে গৃহে প্রবেশ করেন না, যে গৃহে ছবি থাকে।
عَنْ عَلِيٍ أَنَّهُ صَنَعَ طَعَامًا فَدَعَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ فَجَاءَ فَرَأَى فِي الْبَيْتِ سَتَرَا فِيْهِ تَصَاوِيْرُ فَرَجَعَ قَالَ : فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا رَجَعَكَ بِأَبِيْ أَنْتَ وَأُمِّي ؟ قَالَ : إِنَّ فِي الْبَيْتِ سَتَرَا فِيْهِ تَصَاوِيْرُ وَإِنَّ الْمَلَائِكَةِ لَا تَدْخُلُ بيْتًا فِيْهِ تَصَاوِيْرُ
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৭৯) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য খাবার তৈরী করলাম। তিনি তাঁর অন্যান্য সহচর-সহ আমার বাড়িতে এলেন। অতঃপর যখন খাবার সামনে রাখা হল, তখন দলের মধ্যে একজন বলল, ’আমার রোযা আছে।’ তা শুনে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের ভাই তোমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে খরচ (বা কষ্ট) করেছে। অতঃপর তিনি তার উদ্দেশ্যে বললেন, ’’রোযা ভেঙ্গে দাও। আর চাইলে তার বিনিময়ে অন্য একদিন রোযা রাখ।
عَنْ أَبِيْ سَعِيْدِ الْخُدْرِيْ أَنَّهُ صَنَعْتُ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ طَعَامًا فَدَعَاهُمْ فَلَمَّا دَخَلُوْا وَضَعَ الطُّعَامُ فَقَالَ رَجُلُ مِّنَ الْقَوْمِ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ دَعَاكُمْ أَخُوْكُمْ وَتَكَلَّفَ لَكُمْ ثُمَّ تَقُوْلُ إِنِّي صَائِمٌ أَفْطَرَ ثُمَّ صُمْ يَوْمٌا مَكاَنَهُ إِنْ شِئْتَ رواه البيهقي بإسناد حسن
পরিচ্ছেদঃ দাওয়াত গ্রহণ
(২৫৮০) একদা এক আনসারী আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহ পাঁচ জনকে দাওয়াত করলে রাস্তায় একটি লোক তাঁর সঙ্গ ধরে। তিনি সেই আনসারী সাহাবীর কাছে পৌঁছে বললেন,
إِنَّكَ دَعَوْتَنَا خَامِسَ خَمْسَةٍ وَهٰذَا رَجُلٌ قَدْ تَبِعَنَا فَإِنْ شِئْتَ أَذِنْتَ لَهُ وَإِنْ شِئْتَ تَرَكْتَهُ، قَالَ بَلْ أَذِنْتُ لَهُ
তুমি আমাকে নিয়ে মোট পাঁচ জনকে দাওয়াত দিয়েছিলে। কিন্তু পথিমধ্যে এই লোকটি আমাদের সঙ্গ ধরে। এখন তুমি ওকে অনুমতি দিলে দিতে পার। নচেৎ বর্জন করলেও করতে পার। আনসারী বললেন, ’বরং ওকে অনুমতি দিচ্ছি।
-