পরিচ্ছেদঃ দু’মুখোপনার নিন্দাবাদ
মহান আল্লাহ বলেছেন,
يَسْتَخْفُوْنَ مِنَ النَّاسِ وَلاَ يَسْتَخْفُوْنَ مِنَ اللهِ وَهُوَ مَعَهُمْ إذْ يُبَيِّتُوْنَ مَا لَا يَرْضَى مِنَ القَوْلِ وكَانَ اللهُ بِمَا يَعْمَلُوْنَ مُـحِيْطًا
অর্থাৎ,এরা মানুষকে লজ্জা করে (মানুষের দৃষ্টি থেকে গোপনীয়তা অবলম্বন করে), কিন্তু আল্লাহকে লজ্জা করে না (তাঁর দৃষ্টি থেকে গোপনীয়তা অবলম্বন করতে পারে না) অথচ তিনি তাদের সঙ্গে থাকেন, যখন রাত্রে তারা তাঁর (আল্লাহর) অপছন্দনীয় কথা নিয়ে পরামর্শ করে। আর তারা যা করে তা সর্বতোভাবে আল্লাহর জ্ঞানায়ত্তে। (সূরা নিসা ১০৮)
(২৩৬১)আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা মানবমণ্ডলীকে বিভিন্ন (পদার্থের) খনির ন্যায় পাবে। জাহেলী (অন্ধযুগে) যারা উত্তম ছিল, তারা ইসলামে (দীক্ষেত হবার পরও) উত্তম থাকবে; যখন তারা দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করবে। তোমরা শাসন-ক্ষমতাও কর্তৃত্বভার গ্রহণের ব্যাপারে সে সমস্ত লোককে সর্বাধিক উত্তম পাবে, যারা ঐ সবপদগুলিকে সবচেয়ে বেশী ঘৃণা বোধ করবে। আর সর্বাধিক নিকৃষ্ট পাবে দু’মুখো লোককে, যে এদের নিকট এক মুখ নিয়ে আসে আর ওদের কাছে আর এক মুখ নিয়ে আসে।
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ تَجِدُوْنَ النَّاسَ مَعَادِنَ : خِيَارُهُم فِي الْـجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإسْلاَمِ إِذَا فَقُهُوا وَتَجِدُونَ خِيَارَ النَّاسِ فِي هَذَا الشَّأنِ أَشَدَّهُمْ كَرَاهِيَةً لَهُ وَتَجِدُونَ شَرَّ النَّاسِ ذَا الْوَجْهَينِ الَّذِيْ يَأتِيْ هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَهَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ দু’মুখোপনার নিন্দাবাদ
(২৩৬২) উক্ত বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’মুখো লোক কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম মানুষদের অন্যতম।
وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ إنّ مِنْ شَرِّ النّاسِ عِنْدَ الله يَوْمَ القيَامَةِ ذا الْوَجْهَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ দু’মুখোপনার নিন্দাবাদ
(২৩৬৩) মুহাম্মাদ ইবনে যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, কতিপয় লোক তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এর নিকট নিবেদন করল যে, ’আমরা আমাদের শাসকদের নিকট যাই এবং তাদেরকে ঐ সব কথা বলি, যার বিপরীত বলি তাদের নিকট থেকে বাইরে আসার পর। (সে সম্বন্ধে আপনার অভিমত কী?)’ তিনি উত্তর দিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় এরূপ আচরণকে আমরা ’মুনাফিক্বী’ আচরণ বলে গণ্য করতাম।
وَعَنْ مُـحَمَّدِ بنِ زَيدٍ : أَنَّ نَاساً قَالُوا لِجَدِّهِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : إنَّا نَدْخُلُ عَلَى سَلاَطِيننَا فَنَقُولُ لَهُمْ بِخِلاَفِ مَا نَتَكَلَّمُ إِذَا خَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمْ قَالَ : كُنَّا نَعُدُّ هَذَا نِفَاقاً عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ দু’মুখোপনার নিন্দাবাদ
(২৩৬৪) আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দুনিয়াতে যে ব্যক্তির দু’টি মুখ হবে (দু’মুখে কথা বলবে) কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তির আগুনের দু’টি জিভ হবে।
وعَنْ عَمَّارٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ كَانَ لَهُ وَجْهَانِ فِى الدُّنْيَا كَانَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِسَانَانِ مِنْ نَارٍ
পরিচ্ছেদঃ দু’মুখোপনার নিন্দাবাদ
(২৩৬৫) ইবনে উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিকের উদাহরণ যেমন দুই ছাগপালের মাঝে যাতায়াতকারী বিপথগামী ছাগ। যা এ পালে একবার আসে আবার ও পালে একবার যায়। স্থির করতে পারে না যে সে কোন পালের অনুসরণ করবে।
وعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّمَا مَثَلُ الْمُنَافِقِ مَثَلُ الشَّاةِ الْعَائِرَةِ بَيْنَ الْغَنَمَيْنِ تَعِيرُ إِلَى هَذِهِ مَرَّةً وَإِلَى هَذِهِ مَرَّةً لَا تَدْرِي أَيَّهُمَا تَتْبَعُ