পরিচ্ছেদঃ জাহেলী যুগের কর্মকাণ্ড
(২৩৫৫) আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই বাণী মনে রেখেছি যে, সাবালক হবার পর ইয়াতীম বলা যাবে না এবং কোন দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাক্ বন্ধ রাখা যাবে না।
ইমাম খাত্তাবী (রঃ) এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, জাহেলিয়াতের যুগে বাক্ বন্ধ রাখা এক প্রকার ইবাদত ছিল। সুতরাং ইসলাম তা করতে নিষেধ করেছে এবং তার পরিবর্তে আল্লাহর যিকর ও উত্তম কথাবার্তা বলার নির্দেশ দিয়েছে।
عَنْ عَلِيٍّ قَالَ : حَفِظْتُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ لاَ يُتْمَ بَعْدَ احْتِلَامٍ وَلاَ صُمَاتَ يَومٍ إِلَى اللَّيْلِ رواه أَبُو داود بإسناد حسن
পরিচ্ছেদঃ জাহেলী যুগের কর্মকাণ্ড
(২৩৫৬) ক্বায়স ইবনে আবূ হাযেম (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) আহমাস গোত্রের যয়নাব নামক এক মহিলার নিকট এসে দেখলেন যে, সে কথা বলে না। তিনি বললেন, ’ওর কী হয়েছে যে, কথা বলে না?’ তারা বলল, ’ও নীরব থেকে হজ্জ করার সংকল্প করেছে।’ তিনি বললেন, ’কথা বল। কারণ, এ (নীরবতা) বৈধ নয়। এ হল জাহেলী যুগের কাজ।’ সুতরাং সে কথা বলতে লাগল।
وَعَنْ قَيسِ بنِ أَبِـيْ حَازِمٍ قَالَ : دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيق عَلَى امْرأَةٍ مِنْ أَحْمَسَ يُقَالُ لَهَا : زَيْنَبُ فَرَآهَا لاَ تَتَكَلَّمُ فَقَالَ : مَا لَهَا لاَ تَتَكَلَّمُ ؟ فَقَالُوا : حَجَّتْ مُصْمِتَةً فَقَالَ لَهَا : تَكَلَّمِي فَإِنَّ هَذَا لاَ يَحِلُّ هَذَا مِنْ عَمَلِ الجَاهِليَّةِ فَتَكَلَّمَتْ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ জাহেলী যুগের কর্মকাণ্ড
(২৩৫৭) আবূ মালেক আশআরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের মাঝে চারটি কাজ হল জাহেলিয়াতের প্রথা, যা তারা ত্যাগ করবে না; বংশ নিয়ে গর্ব করা, (কারো) বংশ-সূত্রে খোঁটা দেওয়া, তারা (ও নক্ষত্রের) মাধ্যমে বৃষ্টির আশা করা এবং (মুর্দার জন্য) মাতম করা।
عن أبي مَالِكٍ الأَشْعَرِىَّ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ أَرْبَعٌ فِى أُمَّتِى مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ لاَ يَتْرُكُونَهُنَّ الْفَخْرُ فِى الأَحْسَابِ وَالطَّعْنُ فِى الأَنْسَابِ وَالاِسْتِسْقَاءُ بِالنُّجُومِ وَالنِّيَاحَةُ
পরিচ্ছেদঃ জাহেলী যুগের কর্মকাণ্ড
(২৩৫৮) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, বানুল মুস্তালিক যুদ্ধের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখনো মুরাইসী’ ঝর্ণার নিকট অবস্থান করছিলেন, এমন সময় কতকগুলো লোক পানি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সেখানে আগমন করে। আগমনকারীদের মধ্যে উমার (রাঃ) এর একজন শ্রমিক ছিল, যার নাম ছিল জাহজাহ গিফারী। ঝর্ণার নিকট আরো একজন ছিল, যার নাম ছিল সিনান বিন অবার জুহানী। কোন কারণে এই দু’জনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হতে হতে শেষ পর্যায়ে ধস্তাধস্তি ও মল্লযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এক পর্যায়ে জুহানী চিৎকার শুরু করে দেয়, ’হে আনসার দল! (আমাকে সাহায্যের জন্য দ্রুত এগিয়ে এস।)’ অপর পক্ষে জাহজাহ আহবান করতে থাকে, ’হে মুহাজির দল! (আমাকে সাহায্য করার জন্য তোমরা শীঘ্র এগিয়ে এস।)’ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখে বললেন, ’’আমি তোমাদের মধ্যে বর্তমান আছি অথচ তোমরা অজ্ঞতার যুগের আচরণ করছ? তোমরা এসব পরিহার করে চল, এ সব হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত।
عن جَابِر بْن عَبْدِ اللهِ يَقُوْلُ كُنَّا مَعَ النَّبِىِّ ﷺ فِى غَزَاةٍ فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ الأَنْصَارِىُّ يَا لَلأَنْصَارِ وَقَالَ الْمُهَاجِرِىُّ يَا لَلْمُهَاجِرِينَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا بَالُ دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ كَسَعَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ دَعُوهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ
পরিচ্ছেদঃ জাহেলী যুগের কর্মকাণ্ড
(২৩৫৯) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সব মানুষের চাইতে বেশী ঘৃণিত; যে ব্যক্তি (মক্কা-মদীনার) হারাম সীমানার ভিতরে সীমালংঘন করে পাপ কার্য (ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি) করে, যে ব্যক্তি ইসলামে থেকে জাহেলী যুগের কৃষ্টি-তরীকা অনুসন্ধান করে এবং যে ব্যক্তি নাহক কোন মুসলিমকে খুন করার চেষ্টা করে।
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ أَبْغَضُ النَّاسِ إِلَى اللهِ ثَلَاثَةٌ مُلْحِدٌ فِي الْحَرَمِ وَمُبْتَغٍ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ وَمُطَّلِبُ دَمِ امْرِئٍ بِغَيْرِ حَقٍّ لِيُهَرِيقَ دَمَهُ
পরিচ্ছেদঃ জাহেলী যুগের কর্মকাণ্ড
(২৩৬০) উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) বলেন, ’ইসলামকে এক খি এক খি করে (ধীরে ধীরে) নষ্ট ক’রে ফেলে, যে ব্যক্তি ইসলামে লালিত-পালিত হয়, আর জাহেলিয়াতকে চেনে না। অথবা ’ইসলাম-রশির খি একটা একটা ক’রে নষ্ট হয়ে যাবে, যদি ইসলামে এমন ব্যক্তি লালিত-পালিত হয়, যে জাহেলিয়াতকে চেনে না।
قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ : إنَّمَا تُنْقَضُ عُرَى الْإِسْلَامِ عُرْوَةً عُرْوَةً إذَا نَشَأَ فِي الْإِسْلَامِ مَنْ لَمْ يَعْرِفْ الْجَاهِلِيَّةَ