পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূল (ﷺ) কর্তৃক নিষিদ্ধ কর্মে লিপ্ত হওয়া থেকে সতর্কীকরণ

মহান আল্লাহ বলেছেন,

فَلْيَحْذَرِ الَّذِيْنَ يُـخَالِفُوْنَ عَنْ أمْرِهِ أنْ تُصِيْبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيْبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ

অর্থাৎ, সুতরাং যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় অথবা কঠিন শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে। (সূরা নূর ৬৩)

তিনি আরো বলেন,

وَيُـحَذِّرُكُمُ اللهُ نَفْسَهُ

অর্থাৎ, আল্লাহ তাঁর নিজের সম্বন্ধে তোমাদেরকে সাবধান করছেন। (সূরা আলে ইমরান ৩০)

অন্যত্র তিনি বলেছেন,

إنَّ بَطْشَ رَبِّكَ لَشَدِيْدٌ

অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও বড়ই কঠিন। (সূরা বুরূজ ১২)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

وَكَذٰلِكَ أَخْذُ رَبِّكَ إِذَا أَخَذَ القُرَى وَهِـيَ ظَالِمَةٌ إِنَّ أَخْذَهُ أَلِيمٌ شَدِيدٌ

অর্থাৎ, এরূপই তাঁর পাকড়াও; যখন তিনি কোন অত্যাচারী জনপদের অধিবাসীদেরকে পাকড়াও করেন। নিঃসন্দেহে তাঁর পাকড়াও অত্যন্ত যাতনাদায়ক কঠিন। (সূরা হুদ ১০২)


(২৩৪৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় মহান আল্লাহর ঈর্ষা আছে এবং আল্লাহর ঈর্ষা জাগে, যখন মানুষ আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত কোন কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ إِنَّ اللهَ تَعَالَى يَغَارُ وَغَيْرَة اللهِ أَنْ يَأْتِيَ المَرْءُ مَا حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة ان النبي ﷺ قال ان الله تعالى يغار وغيرة الله ان ياتي المرء ما حرم الله عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূল (ﷺ) কর্তৃক নিষিদ্ধ কর্মে লিপ্ত হওয়া থেকে সতর্কীকরণ

(২৩৫০) সাওবান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি নিঃসন্দেহে আমার উম্মতের কয়েক দল লোককে চিনি যারা কিয়ামতের দিন তিহামা (মক্কা ও ইয়ামানের মধ্যবর্তী এক বিশাল লম্বা শ্রেণীবদ্ধ) পর্বতমালার সমপরিমাণ বিশুদ্ধ নেকী নিয়ে উপস্থিত হবে; কিন্তু আল্লাহ তাদের সে সমস্ত নেকীকে উড়ন্ত ধূলিকণাতে পরিণত করে দেবেন। সাওবান (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! সে লোকেরা কেমন হবে তা আমাদের জন্য খুলে বলুন ও তাদের হুলিয়া বর্ণনা করুন, যাতে আমরা আমাদের অজান্তে তাদের দলভুক্ত না হয়ে পড়ি।’ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শোন! তারা তোমাদেরই ভাই এবং তোমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত হবে। তোমরা যেমন রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত কর তেমনি তারাও করবে। কিন্তু যখনই তারা আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকবে, তখনই তা অমান্য ও লংঘন করবে।

عَنْ ثَوْبَانَ مَوْلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لأُلْفِيَّنَ أَقْوَامًا مِنْ أُمَّتِي يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِحَسَنَاتٍ أَمْثَالِ جِبَالِ تِهَامَةَ فَيَجْعَلُهَا اللهُ هَبَاءً مَنْثُورًا، فَقَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ صِفْهُمْ لَنَا لِكَيْ لا نَكُونُ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لا نَعْلَمُ فَقَالَ أَمَا إِنَّهُمْ مِنْ إِخْوَانِكُمْ وَلَكِنَّهُمْ أَقْوَامٌ إِذَا خَلَوْا بِمَحَارِمِ اللهِ انْتَهَكُوهَا

عن ثوبان مولى رسول الله ﷺ قال : قال رسول الله ﷺ لالفين اقواما من امتي ياتون يوم القيامة بحسنات امثال جبال تهامة فيجعلها الله هباء منثورا، فقالوا : يا رسول الله صفهم لنا لكي لا نكون منهم ونحن لا نعلم فقال اما انهم من اخوانكم ولكنهم اقوام اذا خلوا بمحارم الله انتهكوها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২২/ নিষিদ্ধ কার্যাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে