পরিচ্ছেদঃ তর্ক-বিতর্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ
(২১৮২) আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’হেদায়াতপ্রাপ্তির পর যে জাতিই পথভ্রষ্ট হয়েছে সেই জাতির মধ্যেই কলহ-প্রিয়তা প্রক্ষিপ্ত হয়েছে।’’ অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেন।
مَا ضَرَبُوْهُ لَكَ إِلاَّ جَدَلاً، بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُوْنَ
অর্থাৎ, তারা তোমার সামনে যে উদাহরণ পেশ করে তা কেবল বিতর্কের জন্যই করে। বস্তুতঃ তারা হল এক বিতর্ককারী সম্প্রদায়।
عَنْ أَبِـيْ أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا ضَلَّ قَوْمٌ بَعْدَ هُدًى كَانُوا عَلَيْهِ إِلَّا أُوتُوا الْجَدَلَ ثُمَّ قَرَأَ مَا ضَرَبُوهُ لَكَ إِلَّا جَدَلًا بَلْ هُمْ قَوْمٌ خَصِمُونَ
পরিচ্ছেদঃ তর্ক-বিতর্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ
(২১৮৩) আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ হল কঠিন ঝগড়াটে ও হুজ্জতকারী ব্যক্তি।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ أَبْغَضَ الرِّجَالِ إِلَى اللهِ الأَلَدُّ الْخَصِمُ
পরিচ্ছেদঃ তর্ক-বিতর্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ
(২১৮৪)আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জেনেশুনে কোন বাতিল (অন্যায়) বিষয়ে তর্কাতর্কি করে, সে ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর রোষে থাকে; যতক্ষণ পর্যন্ত সে তা বর্জন না করে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ وَمَنْ خَاصَمَ فِى بَاطِلٍ وَهُوَ يَعْلَمُهُ لَمْ يَزَلْ فِى سَخَطِ اللهِ حَتّٰـى يَنْزِعَ عَنْهُ
পরিচ্ছেদঃ তর্ক-বিতর্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ
(২১৮৫) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা উলামাদের মাঝে গর্ব করা, অজ্ঞদের সাথে তর্ক করা এবং (প্রসিদ্ধ) মজলিস লাভ করার উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষা করো না। যে ব্যক্তি তা করে (তার জন্য) জাহান্নাম, জাহান্নাম।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ لَا تَعَلَّمُوا الْعِلْمَ لِتُبَاهُوا بِهِ الْعُلَمَاءَ وَلاَ لِتُمَارُوا بِهِ السُّفَهَاءَ وَلاَ تَخَيَّرُوا بِهِ الْمَجَالِسَ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَالنَّارُ النَّارُ
পরিচ্ছেদঃ তর্ক-বিতর্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ
(২১৮৬) আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি জান্নাতের পার্শ্বে এক গৃহের জামিন সেই ব্যক্তির জন্য যে সত্যাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও তর্ক বর্জন করে, জান্নাতের মাঝে এক গৃহের জামিন তার জন্য যে উপহাস ছলেও মিথ্যা ত্যাগ করে এবং জান্নাতের সবার উপরে এক গৃহের জামিন তার জন্য যার চরিত্র সুন্দর হয়।
عَنْ أَبِى أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِى رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا وَبِبَيْتٍ فِى وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِى أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ
পরিচ্ছেদঃ তর্ক-বিতর্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ
(২১৮৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কুরআন বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ করা কুফরী।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ الْمِرَاءُ فِى الْقُرْآنِ كُفْرٌ
পরিচ্ছেদঃ তর্ক-বিতর্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ
(২১৮৮) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (হুজরার) দরজার নিকট বসে (কুরআনের বিভিন্ন আয়াত নিয়ে) আলাপ-আলোচনা করছিলাম; ও একটি আয়াত নিয়ে এবং এ একটি আয়াত নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছিল। এমন সময় আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমত অবস্থায় আমাদের নিকট বের হয়ে এলেন, যেন তাঁর চেহারায় বেদানার দানা নিংড়ে দেওয়া হয়েছে। (অর্থাৎ রাগে তাঁর চেহারা লাল হয়ে গেছে।) অতঃপর তিনি বললেন, আরে! তোমরা কি এই করার জন্য প্রেরিত হয়েছ? তোমরা কি এই করতে আদিষ্ট হয়েছ?! তোমরা আমার পরে পুনরায় এমন কুফরী অবস্থায় ফিরে যেয়ো না, যাতে একে অপরকে হত্যা করতে শুরু কর।
عَنْ أَبِـيْ سَعِيدٍ قَالَ : كُنَّا جُلُوسًا عَلَى بَابِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ نَتَذَاكَرُ يَنْزِعُ هَذَا بِآيَةٍ ويَنْزِعُ هَذَا بِآيَةٍ فَخَرَجَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ كَأَنَّمَا تَفَقَّأَ فِي وَجْهِهِ حَبُّ الرُّمَّانِ فَقَالَ يَا هَؤُلاءِ أَبِهَذَا بُعِثْتُمْ ؟ أَمْ بِهَذَا أُمِرْتُمْ ؟ لا تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ