পরিচ্ছেদঃ তিনজনের একজনকে ছেড়ে দু’জনের কানাকানি
কোনস্থানে একত্রে তিনজন থাকলে, একজনকে ছেড়ে তার অনুমতি না নিয়ে দু’জনে কানাকানি করা (বা প্রথম ব্যক্তিকে গোপন ক’রে কোন কথা বলাবলি করা) নিষেধ। তবে প্রয়োজনবশতঃ এমন গোপনভাবে কোন গুপ্ত কথা বলা যে, যাতে তৃতীয়জন যেন তা না শুনতে পায়, তাহলে তা বৈধ। অনুরূপ দু’জনের এমন ভাষায় কথা বলা যা তৃতীয় ব্যক্তি বুঝে না, তাও নিষিদ্ধের পর্যায়ভুক্ত। আল্লাহ বলেছেন,
إنَّمَا النَّجْوٰى مِنَ الشَّيْطَانِ
অর্থাৎ, গোপন পরামর্শ তো শয়তানেরই প্ররোচনা। (সূরা মুজাদিলাহ ১০)
(২১৮০) ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন (কোন স্থানে) একত্রে তিনজন থাকবে, তৃতীয়জনকে ছেড়ে যেন দু’জনে কানাকানি না করে। (বুখারী ৬২৮৮, মুসলিম ৫৮২৩)
উক্ত হাদীসটি ইমাম আবূ দাঊদ (স্বীয় গ্রন্থে) বর্ধিত আকারে বর্ণনা করেছেন,
قَالَ أَبُو صَالِحٍ: فَقُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ فَأَرْبَعَةٌ، قَالَ: «لَا يَضُرُّكَ»
আবূ স্বালেহ বলেন, আমি ইবনে উমারকে জিজ্ঞাসা করলাম, ’যদি (একত্রে) চারজন হয় (তাহলে দু’জনে কানাকানি করা বৈধ কি না)?’ তিনি উত্তর দিলেন, ’তাতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না।’ (আবূ দাঊদ ৪৮৫২, সহীহ ইবনে হিব্বান হা/৫৮৪, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)
ইমাম মালেক (রহঃ) উক্ত হাদীসকে তাঁর ’মুঅত্ত্বা’ গ্রন্থে আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার থেকে উদ্ধৃত করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে দীনার বলেন, আমি ও ইবনে উমার খালেদ ইবনে উক্ববার বাজারের বাড়ির নিকট অবস্থান করছিলাম। ইত্যবসরে একটি লোক এসে পৌঁছল, যার ইচ্ছা ছিল ইবনে উমারের সাথে কানে কানে কিছু বলবে। আর ইবনে উমারের সাথে আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না। সুতরাং ইবনে উমার তৃতীয় একজন লোককে ডাকলেন। পরিশেষে আমরা মোট চারজন হয়ে গেলে তিনি আমাকে ও আহূত তৃতীয় ব্যক্তিকে সম্বোধন ক’রে বললেন, ’তোমরা একটু সরে দাঁড়াও। কেননা, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একথা বলতে শুনেছি যে, (একত্রে তিনজন থাকলে) একজনকে ছেড়ে যেন দু’জনে কানাকানি না করে। (মুঅত্ত্বা ৯৬২)
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا كانُوا ثَلاثَةً فَلاَ يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ الثَّالِثِ متفق عَلَيْهِ
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ : قَالَ أَبُو صَالِح : قُلْتُ لابنِ عُمرَ : فَأَرْبَعَةً؟ قَالَ : لاَ يَضُرُّكَ
وَرَوَاهُ مَالِكٌ فِي "الموَطأ": عَن عَبدِ اللهِ بنِ دِينَارٍ قَالَ : كُنْتُ أَنَا وابْنُ عُمَرَ عِنْدَ دَارِ خَالِدِ بنُ عُقْبَةَ الَّتي فِي السُّوقِ فَجَاءَ رَجُلٌ يُريدُ أَنْ يُنَاجِيَهُ وَلَيْسَ مَعَ ابْنِ عُمَرَ أَحَدٌ غَيْرِي فَدَعَا ابْنُ عُمَرَ رَجُلاً آخَرَ حَتّٰـى كُنَّا أَرْبَعَةً فَقَالَ لِي وَلِلرَّجُلِ الثَّالِثِ الَّذِي دَعَا : اسْتَأْخِرَا شَيْئاً فَإنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يقُولُ لَا يَتَنَاجَى اثْنَانِ دُونَ وَاحِدٍ
পরিচ্ছেদঃ তিনজনের একজনকে ছেড়ে দু’জনের কানাকানি
(২১৮১) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন (একত্রে) তিনজন থাকবে, তখন লোকেদের সঙ্গে মিলিত না হওয়া অবধি একজনকে ছেড়ে দু’জনে যেন কানাকানি না করে। কারণ, এতে (ত্যক্ত ব্যক্তিকে) মনঃকষ্টে ফেলা হবে।
(কারণ এতে তৃতীয় জনের মনে সন্দেহ আসে এবং ভাবে যে, এ ফিসফিসানি হয়তো তারই বিরুদ্ধে।)
وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا كُنْتُمْ ثَلاَثَةً فَلاَ يَتَنَاجٰى اثْنَانِ دُوْنَ الْآخَرِ حَتّٰـى تَخْتَلِطُوا بِالنَّاسِ مِنْ أَجْلِ أَنَّ ذَلِكَ يُحْزِنُهُ متفق عَلَيْهِ