পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَاعْبُدُوا اللهَ وَلا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئاً وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً وَبِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَى وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنْبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
অর্থাৎ, তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর ও কোন কিছুকে তাঁর অংশী করো না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর। (সূরা নিসা ৩৬)
(১৭৬০) ইবনে উমার ও আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’জিব্রাইল আমাকে সব সময় প্রতিবেশী সম্পর্কে অসিয়ত ক’রে থাকেন। এমনকি আমার মনে হল যে, তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারেস বানিয়ে দেবেন।
وَعَنِ ابنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالاَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا زَالَ جِبْرِيلُ يُوصِينِي بِالجَارِ حَتَّى ظَنَنْتُ أنَّهُ سَيُوَرِّثُهُ متفقٌ عليه
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬১) আবূ যার (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবূ যার্র! যখন তুমি ঝোল (ওয়ালা তরকারি) রান্না করবে, তখন তাতে পানির পরিমাণ বেশী কর এবং তোমার প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখ।
অন্য এক বর্ণনায় আবূ যার্র বলেন, আমাকে আমার বন্ধু (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসিয়ত করে বলেছেন যে, যখন তুমি ঝোল (ওয়ালা তরকারী) রান্না করবে, তখন তাতে পানির পরিমাণ বেশী কর। অতঃপর তোমার প্রতিবেশীর বাড়িতে রীতিমত পৌঁছে দাও।
وَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا طَبَخْتَ مَرَقَةً فَأكثِرْ مَاءهَا وَتَعَاهَدْ جِيرَانَكَ رواه مسلم
وَفِيْ رِوَايَةٍ لَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ : إنّ خَلِيلِي ﷺ أوْصَانيإِذَا طَبَخْتَ مَرَقَاً فَأكْثِرْ مَاءها ثُمَّ انْظُرْ أهْلَ بَيْتٍ مِنْ جِيرَانِكَ فَأصِبْهُمْ مِنْهَا بِمعرُوفٍ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬২) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! কোন বান্দা ততক্ষণ পর্যন্ত (পূর্ণ) মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তার প্রতিবেশী অথবা (কোন) ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করেছে, যা সে নিজের জন্য করে।
عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ وَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ لاَ يُؤْمِنُ عَبْدٌ حَتَّى يُحِبَّ لِجَارِهِ أَوْ قَالَ لأَخِيهِ - مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬৩) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে মুমিন নয়, যে ভরপেট খায় অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قال سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ لَيْسَ الْمُؤْمِنُ الَّذِى يَشْبَعُ وَجَارُهُ جَائِعٌ إِلَى جَنْبِهِ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬৪) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে আমার প্রতি ঈমান আনে নি, যে ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হয়ে রাত্রিযাপন করে, অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে এবং এ কথা সে জানে।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا آمَنَ بِي مَنْ بَاتَ شَبْعَانًا وَجَارُهُ جَائِعٌ إِلَى جَنْبِهِ وَهُوَ يَعْلَمُ بِهِ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬৫) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন বান্দার ঈমান দুরস্ত হয় না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তার হৃদয় দুরস্ত হয় এবং তার হৃদয়ও দুরস্ত হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না তার জিহবা দুরস্ত হয়। আর সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা না পায়।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَا يَسْتَقِيمُ إِيمَانُ عَبْدٍ حَتَّى يَسْتَقِيمَ قَلْبُهُ وَلَا يَسْتَقِيمُ قَلْبُهُ حَتَّى يَسْتَقِيمَ لِسَانُهُ وَلَا يَدْخُلُ رَجُلٌ الْجَنَّةَ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬৬) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহর কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। আল্লাহর কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়। আল্লাহর কসম! সে ব্যক্তি মু’মিন নয়।’’ জিজ্ঞেস করা হল, ’কোন্ ব্যক্তি? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ’’যে লোকের প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকে না।’’
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদে থাকে না।
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَوَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ وَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ وَاللهِ لاَ يُؤْمِنُ قِيلَ : مَنْ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَ الَّذِي لاَ يَأمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَفِيْ رِوَايَةٍ لمسلملا يَدْخُلُ الجَنَّةَ مَنْ لاَ يَأمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬৭) উক্ত সাহাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে মুসলিম মহিলাগণ! কোন প্রতিবেশিনী যেন তার অপর প্রতিবেশিনীর উপঢৌকনকে তুচ্ছ মনে না করে; যদিও তা ছাগলের পায়ের ক্ষুর হোক না কেন।
وَعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا نِسَاءَ المُسْلِمَاتِ لاَ تَحْقِرَنَّ جَارةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ فِرْسِنَ شَاةٍ متفقٌ عليه
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬৮) উক্ত সাহাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন প্রতিবেশী যেন তার প্রতিবেশীকে তার দেওয়ালে কাঠ (বাঁশ ইত্যাদি) গাড়তে নিষেধ না করে। অতঃপর আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বললেন, ’কী ব্যাপার আমি তোমাদেরকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ থেকে মুখ ফিরাতে দেখছি! আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি এ (সুন্নাহ) কে তোমাদের ঘাড়ে নিক্ষেপ করব (অর্থাৎ এ কথা বলতে থাকব)।
وَعَنهُ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لاَ يَمْنَعْ جَارٌ جَارَهُ أنْ يَغْرِزَ خَشَبَةً في جِدَارِهِ ثُمَّ يقُولُ أَبُو هُرَيرَةَ : مَا لِي أرَاكُمْ عَنْهَا مُعْرِضِينَ وَاللهِ لأَرْمِيَنَّ بِهَا بَيْنَ أكْتَافِكُمْ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৬৯) উক্ত রাবী (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহেমানের খাতির করে। এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে, নচেৎ চুপ থাকে।
وَعَنهُ : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بالله وَاليَومِ الآخرِ فَلاَ يُؤْذِ جَارَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْراً أَوْ لِيَسْكُتْ متفقٌ عليه
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭০) আবূ জুহাইফা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে নিজ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তিনি তাকে বললেন, ’তুমি তোমার আসবাব-পত্র রাস্তায় বের ক’রে ফেলো।’ সে ফিরে গিয়ে তাই করল। তা দেখে পথচারী লোকেরা কারণ জিজ্ঞাসা করলে প্রতিবেশীর কষ্ট দেওয়ার কথা জানানো হল। সুতরাং সকলে ঐ প্রতিবেশীকে অভিশাপ দিতে লাগল। সে তা শুনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে লোকেদের অভিশাপ দেওয়ার কথা জানালে তিনি তাকে বললেন, ’তাদের আগে আল্লাহ তোমাকে অভিশাপ দিয়েছেন।’ প্রতিবেশীটি বলল, ’আমি ওকে আর কষ্ট দেব না।’ অতঃপর অভিযোগকারী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলে তাকে তার আসবাবপত্র তুলে নিতে আদেশ করলেন এবং তাকে আশ্বস্ত করলেন।
عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ يَشْكُو جَارَهُ فَقَالَ: اطْرَحْ مَتَاعَكَ عَلَى الطَّرِيقِ فَطَرَحَهُ فَجَعَلَ النَّاسُ يَمُرُّونَ عَلَيْهِ وَيَلْعَنُونَهُ فَجَاءَ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ مَا لَقِيتُ مِنَ النَّاسِ، قَالَ: وَمَا لَقِيتَ مِنْهُمْ؟ قَالَ: يَلْعَنُونِي، قَالَ: قَدْ لَعَنَكَ اللهُ قَبْلَ النَّاسِ، قَالَ: فَإِنِّي لا أَعُودُ فَجَاءَ الَّذِي شَكَاهُ إِلَى النَّبِيِّ ﷺ، فَقَالَ لَهُ: ارْفَعْ مَتَاعَكَ فَقَدْ كُفِيتَ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭১) আবূ শুরায়হ খুযায়ী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহেমানের খাতির করে। এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে, অথবা নীরব থাকে।
وَعَن أَبي شُرَيْحٍ الخُزَاعيِّ أَنَّ النَّبيَّ ﷺ قَالَ مَنْ كَانَ يُؤمِنُ بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ فَلْيُحْسِنْ إِلَى جَارِهِ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ باللهِ وَاليَومِ الآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْراً أَوْ لِيَسْكُتْرواه مسلم بهذا اللفظ وروى البخاري بعضه
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭২) আব্দুর রহমান বিন আবী কুরাদ কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি তোমরা চাও যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূল তোমাদেরকে ভালোবাসবেন, তাহলে তোমরা আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ কর, সত্য কথা বল এবং তোমাদের প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার কর।
عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِى قُرَادٍ عَنِ النَّبِىّ ﷺ قال إنْ أحْبَبْتُمْ أنْ يُحِبَّكُمُ اللهُ تعالى ورَسُولُهُ فأدُّوا إذا ائْتُمنْتُمْ واصْدُقوا إذا حَدَّثْتُمْ وأحْسِنُوا جِوارَ مَنْ جاوَرَكُمْ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭৩) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিষিদ্ধ ও হারাম জিনিস থেকে বেঁচে থাক, তাহলে তুমি মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় আবেদ (ইবাদতকারী) গণ্য হবে। আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন, তাতেই পরিতুষ্ট থাক, তবে তুমিই মানুষের মধ্যে সব চেয়ে বড় ধনী হবে। প্রতিবেশীর প্রতি অনুগ্রহ কর, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মু’মিন বিবেচিত হবে। মানুষের জন্যও তা-ই পছন্দ কর, যা তুমি নিজের জন্য পছন্দ কর, তাহলে তুমি একজন (খাঁটি) মুসলিম গণ্য হবে। আর খুব বেশী হাসবে না, কারণ, অধিক হাসি অন্তরকে মেরে দেয়।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺقَالَ اتَّقِ الْمَحَارِمَ تَكُنْ أَعْبَدَ النَّاسِ وَارْضَ بِمَا قَسَمَ اللهُ لَكَ تَكُنْ أَغْنَى النَّاسِ وَأَحْسِنْ إِلَى جَارِكَ تَكُنْ مُؤْمِنًا وَأَحِبَّ لِلنَّاسِ مَا تُحِبُّ لِنَفْسِكَ تَكُنْ مُسْلِمًا وَلَا تُكْثِرْ الضَّحِكَ فَإِنَّ كَثْرَةَ الضَّحِكِ تُمِيتُ الْقَلْب
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭৪) আবূ উমামাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিবেশীর ব্যাপারে অসিয়ত করছি।
عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ قَالَ قَالَ رسول الله ﷺ أُوصِيكُم بِالجَار
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭৫) আয়েশা (রাযিআল্লাহু আনহা) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমার দু’জন প্রতিবেশী আছে। (যদি দু’জনকেই দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে) আমি তাদের মধ্যে কার নিকট হাদিয়া (উপঢৌকন) পাঠাব?’ তিনি বললেন, যার দরজা তোমার বেশী নিকটবর্তী, তার কাছে (পাঠাও)।
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُا قَالَت : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ إنَّ لِي جارَيْنِ فَإِلَى أيِّهِمَا أُهْدِي؟ قَالَإِلَى أقْرَبِهِمَا مِنكِ بَاباً رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! অমুক মহিলা বেশী বেশী (নফল) নামায পড়ে, সিয়াম রাখে ও দান-খয়রাত করে বলে উল্লেখ করা হয়; কিন্তু সে নিজ জিভ দ্বারা (অসভ্য কথা বলে বা গালি দিয়ে) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়। (তার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?)’ তিনি বললেন, ’’সে দোযখে যাবে।’’ লোকটি আবার বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! অমুক মহিলা অল্প (নফল) নামায পড়ে, সিয়াম রাখে ও দান-খয়রাত করে বলে উল্লেখ করা হয়; কিন্তু সে নিজ জিভ দ্বারা (অসভ্য কথা বলে বা গালি দিয়ে) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না। (তার ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?)’ তিনি বললেন, ’’সে জান্নাতে যাবে।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ فُلَانَةَ يُذْكَرُ مِنْ كَثْرَةِ صَلَاتِهَا وَصِيَامِهَا وَصَدَقَتِهَا غَيْرَ أَنَّهَا تُؤْذِي جِيرَانَهَا بِلِسَانِهَا قَالَ هِيَ فِي النَّارِ)) قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ فَإِنَّ فُلَانَةَ يُذْكَرُ مِنْ قِلَّةِ صِيَامِهَا وَصَدَقَتِهَا وَصَلَاتِهَا وَإِنَّهَا تَصَدَّقُ بِالْأَثْوَارِ مِنْ الْأَقِطِ وَلَا تُؤْذِي جِيرَانَهَا بِلِسَانِهَا قَالَ هِيَ فِي الْجَنَّةِ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭৭) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম সঙ্গী সে, যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আল্লাহর নিকট সেই প্রতিবেশী সর্বোত্তম, যে তার প্রতিবেশীর দৃষ্টিতে সর্বাধিক উত্তম।
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خَيْرُ الأَصْحَابِ عِنْدَ اللهِ تَعَالَى خَيْرُهُمْ لِصَاحِبِهِ وَخَيرُ الجِيرَانِ عِنْدَ الله تَعَالَى خَيْرُهُمْ لِجَارِهِرواه الترمذي وَقالَ حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭৮) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলল, ’আমি ভালো কাজ করেছি, না মন্দ কাজ করেছি, তা কীভাবে জানতে পারব?’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন তুমি তোমার প্রতিবেশীর মুখে বলতে শুনবে যে, তুমি ভাল কাজ করেছ, তাহলে তুমি (সত্যই) ভাল কাজ করেছ। আর যখন তুমি তোমার প্রতিবেশীর মুখে বলতে শুনবে যে, তুমি মন্দ কাজ করেছ, তাহলে তুমি (সত্যই) মন্দ কাজ করেছ।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ كَيْفَ لِي أَنْ أَعْلَمَ إِذَا أَحْسَنْتُ وَإِذَا أَسَأْتُ؟ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ إِذَا سَمِعْتَ جِيرَانَكَ يَقُولُونَ قَدْ أَحْسَنْتَ فَقَدْ أَحْسَنْتَ وَإِذَا سَمِعْتَهُمْ يَقُولُونَ قَدْ أَسَأْتَ فَقَدْ أَسَأْتَ
পরিচ্ছেদঃ প্রতিবেশীর অধিকার এবং তার সাথে সদ্ব্যবহার করার গুরুত্ব
(১৭৭৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন মুসলিম বানদা মারা যায় এবং তার জন্য নিকটবর্তী তিন ঘর প্রতিবেশী ভালো হওয়ার সাক্ষ্য দেয়, তখন মহান আল্লাহ বলেন, ’আমি আমার বান্দাদের সাক্ষ্য সেই বিষয়ে গ্রহণ করলাম, যে বিষয় তারা জানে এবং যে বিষয় আমি জানি (ওরা জানে না), সে বিষয়ে ওকে ক্ষমা করে দিলাম।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيَشْهَدُ لَهُ ثَلَاثَةُ أَهْلِ أَبْيَاتٍ مِنْ جِيرَانِهِ الْأَدْنَيْنَ بِخَيْرٍ إِلَّا قَالَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَدْ قَبِلْتُ شَهَادَةَ عِبَادِي عَلَى مَا عَلِمُوا وَغَفَرْتُ لَهُ مَا أَعْلَمُ