পরিচ্ছেদঃ ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব

(৮৬১) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহরের (ফরয নামাযের) পূর্বে চার রাকআত ও ফজরের আগে দু’ রাকআত নামায কখনো ত্যাগ করতেন না।

عَن عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا : أَنَّ النَّبيَّ ﷺ كَانَ لاَ يَدَعُ أَرْبَعاً قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الغَدَاةِ

عن عاىشة رضي الله عنها : ان النبي ﷺ كان لا يدع اربعا قبل الظهر وركعتين قبل الغداة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব

(৮৬২) উক্ত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের প্রতি যেরূপ যত্নবান ছিলেন, সেরূপ অন্য কোন নফল নামাযের প্রতি ছিলেন না।

وَعَنْهُ ا قَالَتْ : لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ ﷺ عَلَى شَيْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ أَشَدَّ تَعَاهُداً مِنهُ عَلَى رَكْعَتَي الفَجْرِ

وعنه ا قالت : لم يكن النبي ﷺ على شيء من النوافل اشد تعاهدا منه على ركعتي الفجر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব

(৮৬৩) উক্ত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফজরের দু’ রাকআত (সুন্নত) পৃথিবী ও তাতে যা কিছু আছে সবার চেয়ে উত্তম।

অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, ঐ দুই রাকআত আমার নিকট দুনিয়ার সবকিছু থেকে অধিক প্রিয়।

وَعَنْهُ ا عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ رَكْعَتَا الفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا رواه مُسلِمٌ وفي رواية لَهُمَا أحَبُّ إليَّ مِنَ الدُّنْيَا جَمِيعاً

وعنه ا عن النبي ﷺ قال ركعتا الفجر خير من الدنيا وما فيها رواه مسلم وفي رواية لهما احب الي من الدنيا جميعا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব

(৮৬৪) আবূ আব্দুল্লাহ বিলাল ইবনে রাবাহ যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুআযযিন ছিলেন। (একবার) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ফজরের নামাযের খবর দেবার মানসে তাঁর নিকট হাযির হলেন। তখন আয়েশা (রাঃ) তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রাখলেন, তিনি যে সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভোর খুব বেশি পরিস্ফুট হয়ে পড়ল, সুতরাং বিলাল দাঁড়িয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নামাযের খবর দিলেন এবং বারংবার জানাতে থাকলেন। কিন্তু তিনি বাইরে এলেন না। (তার কিছুক্ষণ পর) তিনি এলেন ও লোকদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন।

তখন বিলাল (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালেন যে, আয়েশা (রাঃ) তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রেখেছিলেন, যে সম্পর্কে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত খুব ফর্সা হয়ে গেল এবং তিনিও বাইরে আসতে দেরি করলেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়ছিলাম। বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো একদম সকাল করে দিলেন। তিনি বললেন, তার চেয়েও বেশি সকাল হয়ে গেলেও, আমি ঐ দু’ রাকআত সুন্নত পড়তাম এবং সুন্দর ও উত্তমরূপে পড়তাম।

وَعَنْ أَبيْ عَبدِ اللهِ بِلاَلِ بنِ رَبَاح مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللهِ ﷺ : أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللهِ ﷺ لِيُؤْذِنَهُ بِصَلاَةِ الغَدَاةِ فَشَغَلَتْ عَائِشَةُ بِلالاً بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدّاً فَقَامَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ وَتَابَعَ أَذَانَهُ فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَلَمَّا خَرَجَ صَلَّى بِالنَّاسِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ شَغَلَتْهُ بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدّاً وَأنَّهُ أَبْطَأَ عَلَيْهِ بِالخُرُوجِ فَقَالَ - يَعَني النَّبِيَّ ﷺ إنِّي كُنْتُ رَكَعْتُ رَكْعْتَي الفَجْرِ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ إنَّكَ أَصْبَحْتَ جِدّاً ؟ فقَالَ لَوْ أَصْبَحْتُ أَكْثَرَ مِمَّا أَصْبَحْتُ لَرَكَعْتُهُمَا وَأَحْسَنْتُهُمَا وَأَجْمَلْتُهُمَا رواه أبُو دَاوُدَ بإسناد حسن

وعن ابي عبد الله بلال بن رباح موذن رسول الله ﷺ : انه اتى رسول الله ﷺ ليوذنه بصلاة الغداة فشغلت عاىشة بلالا بامر سالته عنه حتى اصبح جدا فقام بلال فاذنه بالصلاة وتابع اذانه فلم يخرج رسول الله ﷺ فلما خرج صلى بالناس فاخبره ان عاىشة شغلته بامر سالته عنه حتى اصبح جدا وانه ابطا عليه بالخروج فقال - يعني النبي ﷺ اني كنت ركعت ركعتي الفجر فقال : يا رسول الله انك اصبحت جدا ؟ فقال لو اصبحت اكثر مما اصبحت لركعتهما واحسنتهما واجملتهما رواه ابو داود باسناد حسن

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ বিলাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে