পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
জুমআর জন্য গোসল করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, এ দিনে দু’আ করা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরূদ পড়া ও এ দিনের কোন এক সময়ে দু’আ কবুল হওয়ার বিবরণ এবং জুমআর পর বেশী বেশী মহান আল্লাহর যিকর করা মুস্তাহাব। মহান আল্লাহ বলেছেন,
فَإذَا قُضِيَتِ الصَّلاَةُ فَانْتَشِرُوا فِي الأرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللهِ وَاذْكُرُوا اللهَ كَثِيراً لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
অর্থাৎ, অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সূরা জুমআহ ১০ আয়াত)
(৭৪৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমআর দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাঁকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ خَيْرُ يَومٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الجُمُعَةِ : فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُدْخِلَ الجَنَّةَ وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৪৫) আবূ লুবাবাহ বাদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জুমআর দিন সকল দিনের সর্দার এবং আল্লাহর নিকট সবার চেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিনটি আল্লাহর নিকট আযহা ও ফিতরের দিন থেকেও শ্রেষ্ঠ। এই দিনে রয়েছে ৫টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য; এই দিনে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন, এই দিনে তিনি (আদম) পৃথিবীতে অবতারণ করেছেন, এই দিনে তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে, এই দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে; যদি কোন মুসলিম বান্দা সে মুহূর্তে আল্লাহর নিকট কোন কিছু বৈধ জিনিস প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন। এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর প্রত্যেক নৈকট্যপ্রাপ্ত ফিরিশতা, আকাশ, পৃথিবী, বাতাস, পর্বত, সমুদ্র এই দিনকে ভয় করে।
عَنْ أَبيْ لُبَابَةَ الْبَدْرِيِّ ابْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ سَيِّدُ الْأَيَّامِ يَوْمُ الْجُمُعَةِ وَأَعْظَمُهَا عَندَهُ وَأَعْظَمُ عَندَ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ يَوْمِ الْفِطْرِ وَيَوْمِ الْأَضْحَى وَفِيهِ خَمْسُ خِلَالٍ خَلَقَ اللهُ فِيهِ آدَمَ وَأَهْبَطَ اللهُ فِيهِ آدَمَ إِلَى الْأَرْضِ وَفِيهِ تَوَفَّى اللهُ آدَمَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يَسْأَلُ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلَّا آتَاهُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِيَّاهُ مَا لَمْ يَسْأَلْ حَرَامًا وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ مَا مِنْ مَلَكٍ مُقَرَّبٍ وَلَا سَمَاءٍ وَلَا أَرْضٍ وَلَا رِيَاحٍ وَلَا جِبَالٍ وَلَا بَحْرٍ إِلَّا هُنَّ يُشْفِقْنَ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৪৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ সম্পাদন করে জুমআর নামায পড়তে আসবে এবং নীরবে মনোযোগসহকারে (খুতবা) শুনবে, তার সেই জুমআহ হতে পরবর্তী জুমআর মধ্যবর্তী সময় তথা আরো তিন দিনের (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র) পাপসমূহ ক্ষমা ক’রে দেওয়া হবে। আর যে ব্যক্তি কাঁকর স্পর্শ করবে, সে বাজে কাজ করবে।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ فَاسْتَمَعَ وَأَنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاَثَةِ أيَّامٍ وَمَنْ مَسَّ الحَصَى فَقَدْ لَغَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৪৭) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে আরো বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআহ হতে পরের জুমআহ পর্যন্ত, এক রামযান হতে অন্য রমযান পর্যন্ত (কৃত নামায-রোযা) সেগুলির মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র) পাপরাশির প্রায়শ্চিত্ত (মোচনকারী) হয় (এই শর্তে যে,) যখন মহাপাপ থেকে বিরত থাকা যাবে।
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ الصَّلَوَاتُ الخَمْسُ وَالجُمُعَةُ إِلَى الجُمُعَةِ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّرَاتٌ مَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتُنِبَتِ الكَبَائِرُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৪৮) আবূ হুরাইরা ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর কাঠের মিম্বরের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় এ কথা বলতে শুনেছেন যে, লোকেরা যেন জুমআহ ত্যাগ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকে; নচেৎ আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেবেন, তারপর তারা অবশ্যই উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে।
وَعَنْهُ وَ عَنْ اِبْنِ عُمَرَ (রাঃ) : أَنَّهُمَا سَمِعَا رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ عَلَى أَعْوَادِ مِنْبَرِهِ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَن وَدْعِهِمُ الجُمُعَاتِ أَوْ لَيَخْتِمَنَّ اللهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ ثُمَّ لَيَكُوْنُنَّ مِنَ الغَافِلِينَ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৪৯) আব্দুল্লাহ ইবনে মসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি ইচ্ছা করেছি যে, এক ব্যক্তিকে লোকেদের ইমামতি করতে আদেশ করে ঐ শ্রেণীর লোকেদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দিই যারা জুমআতে অনুপস্থিত থাকে।
عَن عَبْدِ اللهِ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ لِقَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَن الْجُمُعَةِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّى بِالنَّاسِ ثُمَّ أُحَرِّقَ عَلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَن الْجُمُعَةِ بُيُوتَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫০) আবুল জা’দ য্বামরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বিনা ওজরে তিনটি জুমআহ ত্যাগ করবে, সে ব্যক্তি মুনাফিক।
عَنْ أَبيْ الْجَعْدِ الضَّمْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ ثَلَاثًا مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ فَهُوَ مُنَافِقٌ
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫১) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমআর দিন খাড়া হয়ে খুতবা দানকালে বললেন, সম্ভবতঃ এমনও লোক আছে, যার নিকট জুমআহ উপস্থিত হয়; অথচ সে মদীনা থেকে মাত্র এক মাইল দূরে থাকে এবং জুমআয় হাযির হয় না। দ্বিতীয় বারে তিনি বললেন, সম্ভবতঃ এমন লোকও আছে যার নিকট জুমআহ উপস্থিত হয়; অথচ সে মদীনা থেকে মাত্র দুই মাইল দূরে থাকে এবং জুমআয় হাজির হয় না। অতঃপর তৃতীয়বারে তিনি বললেন, সম্ভবতঃ এমন লোকও আছে যে মদীনা থেকে মাত্র তিন মাইল দূরে থাকে এবং জুমআয় হাজির হয় না, তার হৃদয়ে আল্লাহ মোহর মেরে দেন।
عَن جَابِرٍ قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطِيبًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ عَسَى رَجُلٌ تَحْضُرُهُ الْجُمُعَةُ وَهُوَ عَلَى قَدْرِ مِيلٍ مِنَ الْمَدِينَةِ فَلا يَحْضُرُ الْجُمُعَةَ ثُمَّ قَالَ فِي الثَّانِيَةِ عَسَى رَجُلٌ تَحْضُرُهُ الْجُمُعَةُ وَهُوَ عَلَى قَدْرِ مِيلَيْنِ مِنَ الْمَدِينَةِ فَلا يَحْضُرُهَا وَقَالَ فِي الثَّالِثَةِ عَسَى يَكُوْنُ عَلَى قَدْرِ ثَلاثَةِ أَمْيَالٍ مِنَ الْمَدِينَةِ فَلا يَحْضُرُ الْجُمُعَةَ وَيَطْبَعُ اللَّهُ عَلَى قَلْبِهِ
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫২) ত্বারেক বিন শিহাব (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জামাআত সহকারে জুমআহ ফরয। অবশ্য ৪ ব্যক্তির জন্য ফরয নয়; ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ।
عَن طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ عَن النَّبِىِّ ﷺ قَالَ الْجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِى جَمَاعَةٍ إِلاَّ أَرْبَعَةً عَبْدٌ مَمْلُوكٌ أَوِ امْرَأَةٌ أَوْ صَبِىٌّ أَوْ مَرِيضٌ
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫৩) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পরপর ৩টি জুমআহ ত্যাগ করল, সে অবশ্যই ইসলামকে নিজের পিছনে ফেলে দিল।
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ ثَلَاثَ جُمَعٍ مُتَوَالِيَاتٍ فَقَدْ نَبَذَ الْإِسْلَامَ وَرَاءَ ظَهْرِهِ
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫৪) সালমান ফারেসী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল ও সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, নিজস্ব তেল গায়ে লাগায় অথবা নিজ ঘরের সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করে, অতঃপর (মসজিদে) গিয়ে দু’জনের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি না করেই (যেখানে স্থান পায়, বসে যায়) এবং তার ভাগ্যে যত রাকআত নামায জোটে, আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবা আরম্ভ করলে নীরব থাকে, সে ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট জুমআহ থেকে পরবর্তী জুমআহ পর্যন্ত কৃত সমুদয় (সাগীরা) গুনাহরাশিকে মাফ করে দেওয়া হয়।
عَن سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ لَا يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَيَتَطَهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ ثُمَّ يَخْرُجُ فَلَا يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الْإِمَامُ إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা জুমআর দিন সম্বন্ধে আলোচনা করে বললেন, ওতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি ঐ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে নামায অবস্থায় আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে তা দান করে থাকেন। এ কথা বলে তিনি স্বীয় হাত দ্বারা ইঙ্গিত করলেন, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ ذَكَرَ يَوْمَ الجُمُعَةِ فَقَالَ فِيهَا سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْألُ اللهَ شَيْئاً إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ وَأشَارَ بيَدِهِ يُقَلِّلُهَا متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫৬) আবূ বুরদাহ ইবনে আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বললেন, আপনি কি জুমআর দিনের বিশেষ মুহূর্ত সম্পর্কে আপনার পিতাকে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন? তিনি বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, সেই মুহূর্তটুকু ইমামের মেম্বারে বসা থেকে নিয়ে নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের ভিতরে।
وَعَنْ أَبيْ بُرْدَةَ بنِ أَبِي مُوسَى الأَشعَرِيِّ قَالَ : قَالَ عَبدُ اللهِ بنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَسَمِعْتَ أَبَاكَ يُحَدِّثُ عَن رَسُولِ اللهِ ﷺ فِي شَأْنِ سَاعَةِ الجُمُعَةِ ؟ قَالَ : قُلْتُ: نَعَمْ سَمِعْتُهُ يَقُوْل : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ জুমআর দিনের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব
(৭৫৭) আওস ইবনে আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম একটি দিন হচ্ছে জুমআর দিন। সুতরাং ঐ দিনে তোমরা আমার উপর বেশী বেশী দরূদ পাঠ কর। কেননা, তোমাদের পাঠ করা দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়।
وَعَن أَوسِ بنِ أَوسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الجُمُعَةِ فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاَةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلاَتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ رواه أَبُو داود بإسناد صحيح