পরিচ্ছেদঃ ফজর ও এশার জামাআতে হাযির হতে উৎসাহদান

(৬৮৮) উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে এশার নামায আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত কিয়াম (ইবাদত) করল। আর যে ফজরের নামায জামাআতসহ আদায় করল, সে যেন সারা রাত নামায পড়ল। (মুসলিম ১৫২৩, আবু দাঊদ ৫৫৫)

তিরমিযীর বর্ণনায় উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এশার নামাযের জামাআতে হাযির হবে, তার জন্য অর্ধরাত পর্যন্ত কিয়াম করার নেকী হবে। আর যে এশা সহ ফজরের নামায জামাআতে পড়বে, তার জন্য সারা রাত ব্যাপী কিয়াম করার সমান নেকী হবে। (তিরমিযী ২২১, হাসান)

عَن عُثمَانَ بنِ عَفَّانَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَنْ صَلَّى العِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ وَمَنْ صَلَّى الصُّبْحَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأنَّمَا صَلَّى اللَّيْلَ كُلَّهُ رواه مُسلِم
وفي رواية الترمذي عَن عُثمَانَ بنِ عَفَّانَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ شَهِدَ العِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ لَهُ قِيَامُ نِصْفِ لَيلَةٍ وَمَنْ صَلَّى العِشَاءَ وَالفَجْرَ فِي جَمَاعَةٍ كَانَ لَهُ كَقِيَامِ لَيْلَةٍ قَالَ الترمذي حديث حسن صحيح

عن عثمان بن عفان قال: سمعت رسول الله ﷺ يقول من صلى العشاء في جماعة فكانما قام نصف الليل ومن صلى الصبح في جماعة فكانما صلى الليل كله رواه مسلم وفي رواية الترمذي عن عثمان بن عفان قال : قال رسول الله ﷺ من شهد العشاء في جماعة كان له قيام نصف ليلة ومن صلى العشاء والفجر في جماعة كان له كقيام ليلة قال الترمذي حديث حسن صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও এশার জামাআতে হাযির হতে উৎসাহদান

(৬৮৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি লোকে এশা ও ফজরের নামাযের ফযীলত জানতে পারত, তাহলে তাদেরকে হামাগুড়ি বা পাছা ছেঁচড়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ঐ নামাযদ্বয়ে আসত।

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْواً متفقٌ عَلَيهِ وقد سبق بِطولِهِ

وعن ابي هريرة ان رسول الله ﷺ قال ولو يعلمون ما في العتمة والصبح لاتوهما ولو حبوا متفق عليه وقد سبق بطوله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও এশার জামাআতে হাযির হতে উৎসাহদান

(৬৯০) উক্ত রাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুনাফিক (কপট) দের উপর ফজর ও এশার নামায অপেক্ষা অধিক ভারী নামায আর নেই। যদি তারা এর ফযীলত ও গুরুত্ব জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে বা পাছার ভরে অবশ্যই (মসজিদে) উপস্থিত হত।

وَعَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَيْسَ صَلاَةٌ أَثْقَلَ عَلَى المُنَافِقِينَ مِنْ صَلاَةِ الفَجْرِ وَالعِشَاءِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْواً متفقٌ عَلَيهِ

وعنه قال : قال رسول الله ﷺ ليس صلاة اثقل على المنافقين من صلاة الفجر والعشاء ولو يعلمون ما فيهما لاتوهما ولو حبوا متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও এশার জামাআতে হাযির হতে উৎসাহদান

(৬৯১) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের জামাআতের নামায একাকী নামাযের তুলনায় ২৫ গুণ অধিক মর্যাদা রাখে। আর রাত্রি ও দিনের ফিরিশতা ফজরের নামাযে একত্রিত হন।

উক্ত হাদীস বর্ণনার পর আবূ হুরাইরা বলেন, তোমাদের ইচ্ছা হলে তোমরা পড়ে নাওঃ

وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا

অর্থাৎ, নিশ্চয় ফজরের নামাযে ফিরিশতা হাযির হয়। (বানী ইস্রাঈলঃ ৭৮)

عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ فَضْلُ صَلَاةِ الْجَمِيعِ عَلَى صَلَاةِ الْوَاحِدِ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ دَرَجَةً وَتَجْتَمِعُ مَلَائِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلَائِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًاt

عن ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي ﷺ قال فضل صلاة الجميع على صلاة الواحد خمس وعشرون درجة وتجتمع ملاىكة الليل وملاىكة النهار في صلاة الصبح يقول ابو هريرة اقرءوا ان شىتم وقران الفجر ان قران الفجر كان مشهوداt

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ ফজর ও এশার জামাআতে হাযির হতে উৎসাহদান

(৬৯২) আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায (জামাআতে) পড়ে, সে ব্যক্তি (সন্ধ্যা পর্যন্ত) আল্লাহর দায়িত্বে থাকে।

عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عمر قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ كَانَ فِي ذِمَّةِ اللهِ حَتَّى يُمْسِيَ

عن عبد الله بن عمر قال قال رسول الله ﷺ من صلى الغداة كان في ذمة الله حتى يمسي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে