পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৭৪) ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একাকীর নামায অপেক্ষা জামাআতের নামায সাতাশ গুণ উত্তম।
عَنْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَةِ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً متفقٌ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৭৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জামাতের সাথে পুরুষের নামায পড়া, তার ঘরে ও বাজারে একা নামায পড়ার চাইতে ২৫ গুণ বেশি শ্রেষ্ঠ। তা এই জন্য যে, যখন কোন ব্যক্তি ওযূ করে এবং উত্তমরূপে ওযূ সম্পাদন করে। অতঃপর মসজিদ অভিমুখে যাত্রা করে। আর একমাত্র নামাযই তাকে (ঘর থেকে) বের করে (অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকে না), তখন তার (পথে চলার সময়) প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গোনাহ মাফ করা হয়। তারপর সে নামাযান্তে নামায পড়ার জায়গায় যতক্ষণ ওযূ সহকারে অবস্থান করে, ফিরিশতাবর্গ তার জন্য দু’আ করেন; তাঁরা বলেন, হে আল্লাহ! ওর প্রতি অনুগ্রহ কর। হে আল্লাহ! তুমি ওকে রহম কর। আর সে ব্যক্তি ততক্ষণ নামাযের মধ্যেই থাকে, যতক্ষণ সে নামাযের প্রতীক্ষা করে।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ صَلاةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تُضَعَّفُ عَلَى صَلاتِهِ فِي بَيْتهِ وَفِي سُوقِهِ خَمْساً وَعِشْرِينَ ضِعْفَاً وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى المَسْجِدِ لاَ يُخرِجُهُ إِلاَّ الصَّلاةُ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ وَحُطَّتْ عَنهُ بِهَا خَطِيئَةٌ فَإِذَا صَلَّى لَمْ تَزَلِ المَلائِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ مَا دَامَ فِي مُصَلاَّهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ تَقُولُ : اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيهِ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْهُ وَلاَ يَزَالُ فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرَ الصَّلاَةَ متفقٌ عَلَيهِ وهذا لفظ البخاري
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৭৬) উসমান বিন আফফান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণরূপে ওযু করে কোন ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে (মসজিদে) যায়, অতঃপর তা ইমামের সাথে আদায় করে সে ব্যক্তির পাপরাশি মাফ হয়ে যায়।
عَن عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ مَشَى إِلَى صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ فَصَلَّاهَا مَعَ الْإِمَامِ غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ»
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৭৭) উবাই বিন কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামায পড়ার পর বললেন, অমুক উপস্থিত আছে? সকলে বলল, না। (দ্বিতীয় ব্যক্তির খোঁজে) তিনি বললেন, অমুক উপস্থিত আছে? সকলে বলল, না। অতঃপর তিনি বললেন, অবশ্যই এই দুই নামায (এশা ও ফজর) মুনাফেকদের জন্য সবচেয়ে ভারী নামায। উক্ত দুই নামাযে কী সওয়াব নিহিত আছে তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে হাঁটুর উপর ভর করে হামাগুড়ি দিয়েও তা জামাআতে আদায়ের উদ্দেশ্যে অবশ্যই হাজির হতে।আর প্রথম কাতার ফিরিশতাগণের কাতারের সমতুল্য।
যদি তোমরা তাতে নিহিত মাহাত্ম্য বিষয়ে অবগত হতে, তবে নিশ্চয় (প্রথম কাতারে খাড়া হওয়ার জন্য) প্রতিযোগিতা করতে। এক ব্যক্তির কোন অন্য ব্যক্তির সাথে জামাআত করে পড়া নামায একাকী পড়া নামায অপেক্ষা অধিকতর উত্তম। অনুরূপ অন্য দুই ব্যক্তির সাথে জামাআত করে পড়া নামায এক ব্যক্তির সাথে জামাআত করে পড়া নামায অপেক্ষা অধিকতর উত্তম। এইভাবে জামাআতের লোক সংখ্যা যত অধিক হবে, ততই আল্লাহ আয্যা অজাল্লার নিকট অধিক প্রিয়।
عَن أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ ﷺ يَوْمًا الصُّبْحَ فَقَالَ أَشَاهِدٌ فُلاَنٌ قَالُوْا لاَ قَالَ أَشَاهِدٌ فُلاَنٌ قَالُوْا لاَ। قَالَ إِنَّ هَاتَيْنِ الصَّلاَتَيْنِ أَثْقَلُ الصَّلَوَاتِ عَلَى الْمُنَافِقِينَ وَلَوْ تَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَيْتُمُوهُمَا وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الرُّكَبِ وَإِنَّ الصَّفَّ الأَوَّلَ عَلَى مِثْلِ صَفِّ الْمَلاَئِكَةِ وَلَوْ عَلِمْتُمْ مَا فَضِيلَتُهُ لاَبْتَدَرْتُمُوهُ وَإِنَّ صَلاَةَ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلِ أَزْكَى مِنْ صَلاَتِهِ وَحْدَهُ وَصَلاَتُهُ مَعَ الرَّجُلَيْنِ أَزْكَى مِنْ صَلاَتِهِ مَعَ الرَّجُلِ وَمَا كَثُرَ فَهُوَ أَحَبُّ إِلَى اللهِ تَعَالَى
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৭৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, একটি অন্ধ লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে নিবেদন করল, হে আল্লাহর রসূল! আমার কোন পরিচালক নেই, যে আমাকে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। সুতরাং সে নিজ বাড়িতে নামায পড়ার জন্য আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অনুমতি চাইল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। কিন্তু যখন সে পিঠ ঘুরিয়ে রওনা দিল, তখন তিনি তাকে ডেকে বললেন, তুমি কি আহবান (আযান) শুনতে পাও? সে বলল, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি সাড়া দাও। (অর্থাৎ মসজিদেই এসে নামায পড়। তোমার জন্য অনুমতি পাচ্ছি না।)
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : أَتَى النَّبيَّ ﷺ رَجُلٌ أَعْمَى فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ لَيسَ لِي قَائِدٌ يَقُودُنِي إِلَى الْمَسْجِدِ فَسَأَلَ رَسُولَ اللهِ ﷺ أَنْ يُرَخِّصَ لَهُ فَيُصَلِّي فِي بَيْتِهِ فَرَخَّصَ لَهُ فَلَّمَا وَلَّى دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ؟ قَالَ : نَعَمْ قَالَ فَأَجِبْ رواه مُسلِم
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৭৯) আব্দুল্লাহ (মতান্তরে) আমর ইবনে ক্বায়স ওরফে ইবনে উম্মে মাকতূম মুআযযিন (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! মদীনায় সরীসৃপ (সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদি বিষাক্ত জন্তু) ও হিংস্র পশু অনেক আছে। (তাই আমাকে নিজ বাড়িতেই নামায পড়ার অনুমতি দিন)। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি হাইয়্যা আলাস স্বালাহ ও হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ (আযান) শুনতে পাও? (যদি শুনতে পাও), তাহলে মসজিদে এসো।
وَعَن عَبدِ الله وَقِيلَ : عَمْرِو بنِ قَيسٍ المَعرُوفِ بِابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الْمُؤَذِّنِ أَنَّه قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ المَدينَةَ كَثِيرةُ الهَوَامِّ وَالسِّبَاعِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ تَسْمَعُ حَيَّ عَلَى الصَّلاةِ حَيَّ عَلَى الفَلاحِ فَحَيَّهلاً رَوَاهُ أبُو دَاوُدَ بإسناد حسن
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন আছে। আমার ইচ্ছা হচ্ছে যে, জ্বালানী কাঠ জমা করার আদেশ দিই। তারপর নামাযের জন্য আযান দেওয়ার আদেশ দিই। তারপর কোন লোককে লোকেদের ইমামতি করতে আদেশ দিই। তারপর আমি স্বয়ং সেই সব (পুরুষ) লোকদের কাছে যাই (যারা মসজিদে নামায পড়তে আসেনি) এবং তাদেরকে-সহ তাদের ঘর-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিই।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْتَطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَيُؤذَّنَ لهَاَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهمْ متفقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮১) ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর কাঠের মিম্বরের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় এ কথা বলতে শুনেছেন যে, লোকেরা যেন জামাআত ত্যাগ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকে; নচেৎ আল্লাহ অবশ্যই তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেবেন, তারপর তারা অবশ্যই উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে।
وَعَن ابْنِ عَبَّاسٍ وَ عَنْ اِبْنِ عُمَرَ : أَنَّهُمَا سَمِعَا رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ عَلَى أَعْوَادِهِ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَن وَدْعِهِمُ الجَمَاعَاتِ أَوْ لَيَخْتِمَنَّ اللهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ ثُمَّ لَيَكُوْنُنَّ مِنَ الغَافِلِينَ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮২) উসামা বিন যায়দ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, লোকেরা জামাআত ত্যাগ করা হতে অবশ্য অবশ্যই বিরত হোক, নচেৎ আমি অবশ্যই তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেব।
-
(ইবনে মাজাহ ৭৯৫, সহীহ তারগীব ৪৩৩)
عَن أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رضي الله عَنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِﷺ لَيَنْتَهِيَنَّ رِجَالٌ عَن تَرْكِ الجَمَاعَةِ أَوْلأُحَرِّقَنَّ بُيُوتَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮৩) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যাকে এ কথা আনন্দ দেয় যে, সে কাল কিয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে মুসলিম হয়ে সাক্ষাৎ করবে, তার উচিত, সে যেন এই নামাযসমূহ আদায়ের প্রতি যত্ন রাখে, যেখানে তার জন্য আযান দেওয়া হয় (অর্থাৎ, মসজিদে)। কেননা, মহান আল্লাহ তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিমিত্তে হিদায়াতের পন্থা নির্ধারণ করেছেন। আর নিশ্চয় এই নামাযসমূহ হিদায়েতের অন্যতম পন্থা ও উপায়। যদি তোমরা (ফরয) নামায নিজেদের ঘরেই পড়, যেমন এই পিছিয়ে থাকা লোক নিজ ঘরে নামায পড়ে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর তরীকা পরিহার করবে।
আর (মনে রেখো,) যদি তোমরা তোমাদের নবীর তরীকা পরিহার কর, তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরা পথহারা হয়ে যাবে। আমি আমাদের লোকেদের এই পরিস্থিতি দেখেছি যে, নামায (জামাতসহ পড়া) থেকে কেবল সেই মুনাফিক (কপট মুসলিম) পিছিয়ে থাকে, যে প্রকাশ্য মুনাফিক। আর (দেখেছি যে, পীড়িত) ব্যক্তিকে দু’জনের উপর ভর দিয়ে নিয়ে এসে (নামাযের) সারিতে দাঁড় করানো হতো।
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ’আমাদেরকে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিদায়াতের (সৎপথপ্রাপ্তির) পন্থা বলে দিয়েছেন। আর হিদায়াতের অন্যতম পন্থা, সেই মসজিদে নামায পড়া, যেখানে আযান দেওয়া হয়।
وَعَن ابنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ : مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللهَ تَعَالَى غَداً مُسْلِماً فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ ﷺ سُنَنَ الهُدَى وَإنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الهُدَى وَلَوْ أنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا المُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّة نَبِيِّكُم لَضَلَلْتُمْ وَلَقَدْ رَأيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ مَعْلُومُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤتَى بهِ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ رَوَاهُ مُسلِم
وفي رواية لَهُ قَالَ : إِنّ رَسُولَ اللهِ ﷺ عَلَّمَنَا سُنَنَ الهُدَى وَإِنَّ مِنْ سُنَنِ الهُدَى الصَّلاَةَ في المَسْجِدِ الَّذِي يُؤَذَّنُ فِيهِ
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮৪) আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে কোন গ্রাম বা মরু-অঞ্চলে তিনজন লোক বাস করলে এবং সেখানে (জামাআতে) নামায কায়েম না করা হলে শয়তান তাদের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করে ফেলে। সুতরাং তোমরা জামাআতবদ্ধ হও। অন্যথা ছাগ পালের মধ্য হতে নেকড়ে সেই ছাগলটিকে ধরে খায়, যে (পাল থেকে) দূরে দূরে থাকে।
وَعَنْ أَبيْ الدَّردَاءِ قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ مَا مِنْ ثَلاثَةٍ فِي قَرْيةٍ وَلاَ بَدْوٍ لاَ تُقَامُ فِيهِمُ الصَّلاَةُ إلاَّ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِم الشَّيْطَانُ فَعَلَيْكُمْ بِالجَمَاعَةِ فَإِنَّمَا يَأْكُلُ الذِّئْبُ مِنَ الغَنَمِ القَاصِيَة رَوَاهُ أبُو دَاوُدَ بإسناد حسن
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮৫) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আযান শোনে অথচ (মসজিদে জামাআতে) উপস্থিত হয় না, সে ব্যক্তির কোন ওজর ছাড়া (ঘরে নামায পড়লেও তার) নামাযই হয় না।
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِىَّ ﷺ قَالَ مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَلَمْ يُجِبْ فَلاَ صَلاَةَ لَهُ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮৬) উসমান বিন আফফান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির মসজিদে থাকা অবস্থায় আযান হয়, অতঃপর বিনা কোন প্রয়োজনে বের হয়ে যায় এবং ফিরে আসার ইচ্ছা না রাখে, সে ব্যক্তি মুনাফিক।
عَن عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ أَدْرَكَهُ الْأَذَانُ فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ خَرَجَ لَمْ يَخْرُجْ لِحَاجَةٍ وَهُوَ لَا يُرِيدُ الرَّجْعَةَ فَهُوَ مُنَافِقٌ
পরিচ্ছেদঃ জামাআত সহকারে নামাযের ফযীলত
(৬৮৭) আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ৪০ দিন জামাআতে নামায আদায় করে এবং তাতে তাহরীমার তকবীরও পায়, (সেই ব্যক্তির জন্য দুটি মুক্তি লিখা হয়; দোযখ থেকে মুক্তি এবং মুনাফেকী থেকে মুক্তি।
عَن أَنَسٍ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلَّى لِلهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الْأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنْ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنْ النِّفَاقِ