পরিচ্ছেদঃ নামাযে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব

(৬৫৩) উবাদাহ বিন সামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সেই ব্যক্তির নামায হয় না, যে ব্যক্তি তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করে না।

عَن عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ

عن عبادة بن الصامت ان رسول الله ﷺ قال لا صلاة لمن لم يقرا بفاتحة الكتاب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ নামাযে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব

(৬৫৪) এক বর্ণনায় আছে, সেই ব্যক্তির নামায যথেষ্ট নয়, যে তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করে না।

"لَا تَجْزِىءُ صَلَاةٌ لَا يُقْرَأُ الرَّجُلُ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ

"لا تجزىء صلاة لا يقرا الرجل فيها بفاتحة الكتاب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ নামাযে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব

(৬৫৫) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এমন কোনও নামায পড়ে, যাতে সে সূরা ফাতিহা পাঠ করে না, তার ঐ নামায (গর্ভচ্যুত ভ্রূণের ন্যায়) অসম্পূর্ণ, অসম্পূর্ণ। এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, (সূরা ফাতিহার এত গুরুত্ব হলে) ইমামের পশ্চাতে কিভাবে পড়া যাবে? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি তোমার মনে মনে পড়ে নাও। কারণ, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি নামায (সূরা ফাতিহা)-কে আমার ও আমার বান্দার মাঝে আধাআধি ভাগ করে নিয়েছি; অর্ধেক আমার জন্য এবং অর্ধেক আমার বান্দার জন্য। আর আমার বান্দা তাই পায়, যা সে প্রার্থনা করে।

সুতরাং বান্দা যখন বলে, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ-লামীন। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। অতঃপর বান্দা যখন বলে, আররাহমা-নির রাহীম। তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার স্তুতি বর্ণনা করল। আবার বান্দা যখন বলে, মা-লিকি য়্যাউমিদ্দীন। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, বান্দা আমার গৌরব বর্ণনা করল। বান্দা যখন বলে, ইয়্যা-কা না’বুদু অইয়্যা-কা নাস্তাঈন। তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে। আর আমার বান্দা তাই পায়, যা সে প্রার্থনা করে। অতঃপর বান্দা যখন বলে, ইহদিনাস স্বিরা-ত্বাল মুস্তাকীম। স্বিরা-ত্বাল্লাযীনা আনআমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগযবূবি আলাইহিম অলায্ব য্বল্লীন। তখন আল্লাহ বলেন, এ সব কিছু আমার বান্দার জন্য। আর আমার বান্দা যা চায়, তাই পাবে।

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَن النَّبِىِّ ﷺ قَالَ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهْىَ خِدَاجٌ - ثَلاَثًا - غَيْرُ تَمَامٍ فَقِيلَ لأَبِى هُرَيْرَةَ إِنَّا نَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ فَقَالَ اقْرَأْ بِهَا فِى نَفْسِكَ فَإِنِّى سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ قَالَ اللهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِى وَبَيْنَ عَبْدِى نِصْفَيْنِ وَلِعَبْدِى مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ الْعَبْدُ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ قَالَ اللهُ تَعَالَى حَمِدَنِى عَبْدِى وَإِذَا قَالَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ قَالَ اللهُ تَعَالَى أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِى وَإِذَا قَالَ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ قَالَ مَجَّدَنِى عَبْدِى - وَقَالَ مَرَّةً فَوَّضَ إِلَىَّ عَبْدِى - فَإِذَا قَالَ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ قَالَ هَذَا بَيْنِى وَبَيْنَ عَبْدِى وَلِعَبْدِى مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ -اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ قَالَ هَذَا لِعَبْدِى وَلِعَبْدِى مَا سَأَلَ

عن ابى هريرة عن النبى ﷺ قال من صلى صلاة لم يقرا فيها بام القران فهى خداج - ثلاثا - غير تمام فقيل لابى هريرة انا نكون وراء الامام فقال اقرا بها فى نفسك فانى سمعت رسول الله ﷺ يقول قال الله تعالى قسمت الصلاة بينى وبين عبدى نصفين ولعبدى ما سال فاذا قال العبد الحمد لله رب العالمين قال الله تعالى حمدنى عبدى واذا قال الرحمن الرحيم قال الله تعالى اثنى على عبدى واذا قال مالك يوم الدين قال مجدنى عبدى - وقال مرة فوض الى عبدى - فاذا قال اياك نعبد واياك نستعين قال هذا بينى وبين عبدى ولعبدى ما سال فاذا قال -اهدنا الصراط المستقيم صراط الذين انعمت عليهم غير المغضوب عليهم ولا الضالين قال هذا لعبدى ولعبدى ما سال

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ নামাযে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব

(৬৫৬) আবু সাঈদ বিন মুআল্লা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি মসজিদে নামায পড়ছিলাম। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। আমি সাড়া দিলাম না। অতঃপর নামায শেষ করে তাঁর নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি নামায পড়ছিলাম। তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেননি যে, তোমরা আল্লাহ ও রসূলের আহবানে সাড়া দাও যখন তোমাদেরকে (রসূল) ডাকে...’ (সূরা আনফাল ২৪ আয়াত) অতঃপর তিনি বললেন, মসজিদ থেকে তোমার বের হয়ে যাওয়ার পূর্বেই তোমাকে কুরআনের মধ্যে মহত্তম সূরাটি শিখিয়ে দেব না কি?

অতঃপর তিনি আমার হাত ধরলেন। তারপর আমরা যখন বের হওয়ার ইচ্ছা করলাম তখন আমি বললাম, হে আল্লার রসূল! আপনি বলেছিলেন আমি তোমাকে কুরআনের মহত্তম সূরাটি শিখিয়ে দেব। তিনি বললেন, আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ-লামীন। এটাই হল সেই সপ্তপদী (সূরা) যা নামাযে পুনঃপুনঃ আবৃত্ত হয়, আর সেটাই হল মহা কুরআন; যা আমাকে দান করা হয়েছে।

عَنْ أَبيْ سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِي رَسُولُ اللهِ ﷺ فَلَمْ أُجِبْهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي فَقَالَ أَلَمْ يَقُلْ اللهُ -اسْتَجِيبُوا لِلهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ ثُمَّ قَالَ لِي لَأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ السُّوَرِ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْ الْمَسْجِدِ- ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قُلْتُ لَهُ أَلَمْ تَقُلْ لَأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ؟ قَالَ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ

عن ابي سعيد بن المعلى قال كنت اصلي في المسجد فدعاني رسول الله ﷺ فلم اجبه فقلت يا رسول الله اني كنت اصلي فقال الم يقل الله -استجيبوا لله وللرسول اذا دعاكم لما يحييكم ثم قال لي لاعلمنك سورة هي اعظم السور في القران قبل ان تخرج من المسجد- ثم اخذ بيدي فلما اراد ان يخرج قلت له الم تقل لاعلمنك سورة هي اعظم سورة في القران؟ قال الحمد لله رب العالمين هي السبع المثاني والقران العظيم الذي اوتيته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)

পরিচ্ছেদঃ নামাযে সূরা ফাতিহার গুরুত্ব

(৬৫৭) উবাই বিন কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেন, তুমি নামাযে কীভাবে পড়? তিনি সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উম্মুল কুরআন (কুরআনের জননী সূরা ফাতিহা)র মত আল্লাহ আয্যা অজাল্ল তাওরাতে ও ইঞ্জিলে কোন কিছুই অবতীর্ণ করেননি। এই (সূরাই) হল (নামাযে প্রত্যেক রাকআতে) পঠিত ৭টি আয়াত এবং মহা কুরআন, যা আমাকে দান করা হয়েছে।

عَنْ أَبيْ بْنِ كَعْبٍ قال قال له رسول الله ﷺ كَيْفَ تَقْرَأُ فِي الصَّلاَةِ- قَالَ : فَقَرَأَ أُمَّ الْقُرْانِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ مَا أُنْزِلَتْ فِي التَّوْرَاةِ وَلاَ فِي الإِنْجِيلِ وَلاَ فِي الزَّبُورِ وَلاَ فِي الْفُرْقَانِ مِثْلُهَا وَإِنَّهَا سَبْعٌ مِنَ الْمَثَانِى وَالْقُرْانُ الْعَظِيمُ الَّذِى أُعْطِيتُهُ

عن ابي بن كعب قال قال له رسول الله ﷺ كيف تقرا في الصلاة- قال : فقرا ام القران فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذى نفسى بيده ما انزلت في التوراة ولا في الانجيل ولا في الزبور ولا في الفرقان مثلها وانها سبع من المثانى والقران العظيم الذى اعطيته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৬/ স্বলাত (নামায)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে