পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللهَ بِهِ عَلِيمٌ
অর্থাৎ, তোমরা যে কোন সৎকাজ কর না কেন, আল্লাহ তা সম্যকরূপে অবগত। (সূরা বাক্বারা ২১৫ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ الله
অর্থাৎ, তোমরা যে সৎকাজ কর, আল্লাহ তা জানেন। (ঐ ১৯৭ আয়াত) তিনি আরো বলেন,
فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْراً يَرَهُ
অর্থাৎ, কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলেও সে তা দেখতে পাবে। (সূরা যিলযাল ৭ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
مَنْ عَمِلَ صَالِحاً فَلِنَفْسِهِ
অর্থাৎ, যে সৎকাজ করে, সে নিজ কল্যাণের জন্যই তা করে। (সূরা জাসিয়াহ ১৫ আয়াত)
(এ বিষয়ে আয়াত অনেক রয়েছে এবং হাদীসও অগণিত রয়েছে। তার মধ্যে কিছু আমরা বর্ণনা করব।)
(৪৭৮) আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, প্রত্যেক মুসলিমের উপর সাদকাহ করা জরুরী। আবূ মূসা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, যদি সে সাদকাহ করার মত কিছু না পায় তাহলে? তিনি বললেন, সে তার হাত দ্বারা কাজ করে (পয়সা উপার্জন করবে) অতঃপর তা থেকে সে নিজে উপকৃত হবে এবং সাদকাও করবে। পুনরায় আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, যদি সে তাও না পারে? তিনি বললেন, যে কোন অভাবী বিপন্ন মানুষের সাহায্য করবে। আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, যদি সে তাও না পারে? তিনি বললেন, সে মানুষকে ভাল কাজের নির্দেশ দেবে। আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, যদি সে এটাও না পারে? তিনি বললেন, সে (অপরের) ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকবে। কারণ, সেটাও হল সাদকাহ স্বরূপ।
عَنْ أَبيْ مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ عَلَى كلّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ قَالَ : أرأيتَ إنْ لَمْ يَجِدْ ؟ قَالَ يَعْمَلُ بِيَدَيْهِ فَيَنْفَعُ نَفْسَهُ وَيَتَصَدَّقُ قَالَ : أرأيتَ إن لَمْ يَسْتَطِعْ ؟ قَالَ يُعِينُ ذَا الحَاجَةِ المَلْهُوفَ قَالَ : أرأيتَ إنْ لَمْ يَسْتَطِعْ قَالَ يَأمُرُ بِالمعْرُوفِ أوِ الخَيْرِ قَالَ : أرَأيْتَ إنْ لَمْ يَفْعَلْ ؟ قَالَ يُمْسِكُ عَن الشَّرِّ فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৭৯) আবূ যার্র (রাঃ) বলেন যে, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ আমল সর্বোত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও তাঁর পথে জিহাদ করা। আমি বললাম, কোন্ গোলাম (কৃতদাস) স্বাধীন করা সর্বোত্তম? তিনি বললেন, যে তার মালিকের দৃষ্টিতে সর্বশ্রেষ্ঠ ও অধিক মূল্যবান। আমি বললাম, যদি আমি এ সব (কাজ) করতে না পারি। তিনি বললেন, তুমি কোন কারিগরের সহযোগিতা করবে অথবা অকারিগরের কাজ করে দেবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনি বলুন, যদি আমি (এর) কিছু কাজে অক্ষম হই (তাহলে কী করব)? তিনি বললেন, তুমি মানুষের উপর থেকে তোমার মন্দকে নিবৃত্ত কর। তাহলে তা হবে তোমার পক্ষ থেকে তোমার নিজের জন্য সাদকাহ স্বরূপ।
عَنْ أَبيْ ذَرٍّ جُنْدبِ بنِ جُنَادَةَ قَالَ: قُلْتُ : يَا رَسُولَ الله أيُّ الأَعْمَالِ أفْضَلُ ؟ قَالَ الإيمانُ باللهِ وَالجِهادُ في سَبيلِهِ قُلْتُ : أيُّ الرِّقَابِ أفْضَلُ ؟ قَالَ أنْفَسُهَا عَندَ أهلِهَا وَأكثَرهَا ثَمَناً قُلْتُ : فإنْ لَمْ أفْعَلْ ؟ قَالَ تُعِينُ صَانِعاً أَوْ تَصْنَعُ لأََِخْرَقَ قُلْتُ : يَا رَسُولَ الله أرأيْتَ إنْ ضَعُفْتُ عَن بَعْضِ العَمَلِ ؟ قَالَ تَكُفُّ شَرَّكَ عَن النَّاسِ فإنَّهَا صَدَقَةٌ مِنْكَ عَلَى نَفْسِكَ مُتَّفَقٌ علي
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮০) ঐ আবূ যার্র (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের ভালমন্দ কর্ম আমার কাছে পেশ করা হল। সুতরাং আমি তাদের ভাল কাজের মধ্যে ঐ কষ্টদায়ক জিনিসও পেলাম, যা রাস্তা থেকে সরানো হয়। আর তাদের মন্দ কর্মসমূহের তালিকায় মসজিদে ঐ কফও পেলাম, যার উপর মাটি চাপা দেওয়া হয়নি।
-
(মুসলিম ১২৬১)
عَنهُ قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ ﷺ عُرِضَتْ عَلَيَّ أعْمَالُ أُمَّتِي حَسَنُهَا وَسَيِّئُهَا فَوَجَدْتُ في مَحَاسِنِ أعْمَالِهَا الأذَى يُمَاطُ عَن الطَّريقِ وَوَجَدْتُ في مَسَاوِىءِ أَعمَالِهَا النُّخَاعَةَ تَكُونُ في المَسْجِدِ لاَ تُدْفَنُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮১) উক্ত বর্ণনাকারী থেকেই বর্ণিত, কিছু সাহাবা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! ধনীরাই তো বেশী নেকীর অধিকারী হয়ে গেল। তারা নামায পড়ছে যেমন আমরা নামায পড়ছি, তারা রোযা রাখছে যেমন আমরা রাখছি এবং (আমাদের চেয়ে তারা অতিরিক্ত কাজ এই করছে যে,) নিজেদের প্রয়োজন-অতিরিক্ত মাল থেকে তারা সাদকাহ করছে। তিনি বললেন, আল্লাহ কি তোমাদের জন্য সাদকাহ করার মত জিনিস দান করেননি? নিঃসন্দেহে প্রত্যেক তাসবীহ সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল সাদকাহ, ভাল কাজের নির্দেশ দেওয়া সাদকাহ ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ এবং তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও সাদকাহ।
সাহাবাগণ বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-মিলন করে নিজের যৌনক্ষুধা নিবারণ করে, তবে এতেও কি তার পুণ্য হবে? তিনি বললেন, কী রায় তোমাদের, যদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-মিলন করে, তাহলে কি তার পাপ হবে? (নিশ্চয় হবে।) অনুরূপ সে যদি বৈধভাবে (স্ত্রী-মিলন করে) নিজের কামক্ষুধা নিবারণ করে, তাহলে তাতে তার পুণ্য হবে।
وَعَنْهُ : أَنَّ نَاساً قَالُوْا : يَا رَسُولَ الله ذَهَبَ أهلُ الدُّثُور بالأُجُورِ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ وَيَتَصَدَّقُونَ بِفُضُولِ أمْوَالِهِمْ قَالَ أَوَلَيسَ قَدْ جَعَلَ اللهُ لَكُمْ مَا تَصَدَّقُونَ بِهِ : إنَّ بِكُلِّ تَسْبِيحَةٍ صَدَقةً وَكُلِّ تَكبيرَةٍ صَدَقَةً وَكُلِّ تَحمِيدَةٍ صَدَقَةً وَكُلِّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةً وَأمْرٌ بالمَعْرُوفِ صَدَقَةٌ وَنَهيٌ عَن المُنْكَرِ صَدَقَةٌ وفي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةٌ قَالُوْا : يَا رَسُولَ اللهِ أيَأتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ وَيَكُوْنُ لَهُ فِيهَا أجْرٌ ؟ قَالَ أرَأيتُمْ لَوْ وَضَعَهَا في حَرامٍ أَكَانَ عَلَيهِ وِزرٌ ؟ فكذَلِكَ إِذَا وَضَعَهَا في الحَلالِ كَانَ لَهُ أَجْرٌ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮২) উক্ত আবূ যার্র (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি পুণ্যের কোন কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যদিও তুমি তোমার (মুসলিম) ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতে পার। (অর্থাৎ হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও পুণ্যের কাজ)।
وعَنهُ قَالَ : قَالَ لِي النَّبيُّ ﷺ لاَ تَحْقِرنَّ مِنَ المَعرُوفِ شَيئاً وَلَوْ أَنْ تَلقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلقٍ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮৩) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক কল্যাণমূলক কর্মই হল সদকাহ (করার সমতুল্য)। আর তোমার ভাইয়ের সাথে তোমার হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা এবং তোমার বালতির সাহায্যে (কুয়ো থেকে পানি তুলে) তোমার ভাইয়ের পাত্র (কলসী ইত্যাদি) ভরে দেওয়াও কল্যাণমূলক (সৎ)কর্মের পর্যায়ভুক্ত।
عَن جَابِرٍ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ وَإِنَّ مِنْ الْمَعْرُوفِ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ وَأَنْ تُفْرِغَ مِنْ دَلْوِكَ فِي إِنَاءِ أَخِيكَ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮৪) আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকের প্রত্যেক (হাড়ের) জোড়ের পক্ষ থেকে প্রাত্যহিক (প্রদেয়) সাদকাহ রয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাহমীদ (আলহামদু লিল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাহলীল (লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা) সাদকাহ, প্রত্যেক তাকবীর (আল্লাহু আকবার বলা) সাদকাহ এবং ভাল কাজের আদেশ প্রদান ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করা সাদকাহ। এ সব কাজের পরিবর্তে যুহার (চাশতের) দু’রাক্আত নামায যথেষ্ট হবে।
عَنْ أَبيْ ذَرٍّ أنَّ رَسُولَ الله ﷺ قَالَ يُصْبحُ عَلَى كُلِّ سُلامَى منْ أَحَدِكُمْ صَدَقةٌ : فَكُلُّ تَسبيحَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَحمِيدةٍ صَدَقَة وَكُلُّ تَهْلِيلَةٍ صَدَقَةٌ وَكُلُّ تَكبيرَةٍ صَدَقَةٌ وَأمْرٌ بِالمعرُوفِ صَدَقةٌ ونَهيٌ عَن المُنْكَرِ صَدَقةٌ وَيُجزِىءُ مِنْ ذلِكَ رَكْعَتَانِ يَركَعُهُما مِنَ الضُّحَى رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮৫) বুরাইদাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, মানবদেহে ৩৬০টি গ্রন্থি আছে। প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ঐ প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে দেয় সদকাহ রয়েছে। সকলে বলল, এত সদকাহ দিতে আর কে সক্ষম হবে, হে আল্লাহর রসূল? তিনি বললেন, মসজিদ হতে কফ (ইত্যাদি নোংরা) দূর করা, পথ হতে কষ্টদায়ক বস্তু (কাঁটা-পাথর প্রভৃতি) দূর করা এক একটা সদকাহ। যদি তাতে সক্ষম না হও তবে দুই রাকআত চাশতের নামায তোমার সে প্রয়োজন পূর্ণ করবে।
عَن بُرَيْدَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ ((فِي الْإِنْسَانِ ثَلَاثُ مِائَةٍ وَسِتُّونَ مَفْصِلًا فَعَلَيْهِ أَنْ يَتَصَدَّقَ عَن كُلِّ مَفْصِلٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ بِصَدَقَةٍ قَالُوْا وَمَنْ يُطِيقُ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ النُّخَاعَةُ تَرَاهَا فِي الْمَسْجِدِ فَتَدْفِنُهَا أَوْ الشَّيْءُ تُنَحِّيهِ عَن الطَّرِيقِ فَإِنْ لَمْ تَقْدِرْ فَرَكْعَتَا الضُّحَى تُجْزِئُكَ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮৬) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতিদিন যাতে সূর্য উদয় হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক দিন) মানুষের প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় একটি করে সাদকাহ রয়েছে। (আর সাদকাহ শুধু মাল খরচ করাকেই বলে না; বরং) দু’জন মানুষের মধ্যে তোমার মীমাংসা করে দেওয়াটাও সাদকাহ, কোন মানুষকে নিজ সওয়ারীর উপর বসানো অথবা তার উপর তার সামান উঠিয়ে নিয়ে সাহায্য করাও সাদকাহ, ভাল কথা বলা সাদকাহ, নামাযের জন্য কৃত প্রত্যেক পদক্ষেপ সাদকাহ এবং রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূরীভূত করাও সাদকাহ।
এটিকে ইমাম মুসলিম আয়েশা (রাঃ) থেকেও বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তানের মধ্যে প্রত্যেক মানুষকে ৩৬০ গ্রন্থির উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। (আর প্রত্যেক গ্রন্থির পক্ষ থেকে প্রদেয় সাদকা রয়েছে।) সুতরাং যে ব্যক্তি ’আল্লাহু আকবার’ বলল, ’আল-হামদু লিল্লাহ’ বলল, ’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল, ’সুবহানাল্লাহ’ বলল, ’আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলল, মানুষ চলার রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা অথবা হাড় সরাল, কিংবা ভাল কাজের আদেশ করল অথবা মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করল, (এবং সব মিলে ৩৬০ সংখ্যক পুণ্যকর্ম করল, সে ঐদিন এমন অবস্থায় সন্ধ্যা করল যে, সে নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে দূর করে নিল।
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ كُلُّ سُلامَى مِنَ النَّاسِ عَلَيهِ صَدَقَةٌ كُلَّ يَومٍ تَطلُعُ فِيهِ الشَّمْسُ : تَعْدِلُ بَينَ الاثْنَينِ صَدَقةٌ وتُعِينُ الرَّجُلَ في دَابَّتِهِ فَتَحْمِلُهُ عَلَيْهَا أَوْ تَرفَعُ لَهُ عَلَيْهَا مَتَاعَهُ صَدَقَةٌ وَالكَلِمَةُ الطَيِّبَةُ صَدَقَةٌ وبكلِّ خَطْوَةٍ تَمشيهَا إِلَى الصَّلاةِ صَدَقَةٌ وتُميطُ الأذَى عَن الطَّريقِ صَدَقَةٌ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
ورواه مسلم أيضاً من رواية عائشة رَضي الله عَنها قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إنَّهُ خُلِقَ كُلُّ إنْسَانٍ مِنْ بَنِي آدَمَ عَلَى سِتِّينَ وثلاثمئة مفْصَل فَمَنْ كَبَّرَ اللهَ وحَمِدَ الله وَهَلَّلَ اللهَ وَسَبَّحَ الله وَاسْتَغْفَرَ الله وَعَزَلَ حَجَراً عَن طَريقِ النَّاسِ أَوْ شَوْكَةً أَوْ عَظماً عَن طَريقِ النَّاسِ أَوْ أمَرَ بمَعْرُوف أَوْ نَهَى عَن مُنكَر عَدَدَ السِّتِّينَ والثَّلاثِمئَة فَإنَّهُ يُمْسِي يَومَئِذٍ وقَدْ زَحْزَحَ نَفسَهُ عَن النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮৭) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে যায়, তার জন্য আল্লাহ মেহমানীর উপকরণ প্রস্তুত করেন। যখনই সে সেখানে যায়, তখনই তার জন্য ঐ মেহমানীর উপকরণ প্রস্তুত করা হয়।
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ غَدَا إِلَى المَسْجِد أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللهُ لَهُ في الجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮৮) উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে মুসলিম নারীগণ! কোন প্রতিবেশিনী যেন প্রতিবেশিনীর (উপঢৌকনকে) অবশ্যই তুচ্ছ না ভাবে। যদিও তা ছাগলের খুর হয়।
وعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا نِسَاءَ المُسْلِمَاتِ لاَ تَحْقِرنَّ جَارَةٌ لِجَارَتِهَا وَلَوْ فِرْسِنَ شاةٍ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৮৯) উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঈমানের সত্তর অথবা ষাঠের বেশী শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম (শাখা) ’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা এবং সর্বনিম্ন (শাখা) রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস (পাথর কাঁটা ইত্যাদি) দূরীভূত করা। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ الإيمانُ بِضْعٌ وَسَبعُونَ أَوْ بِضعٌ وسِتُونَ شُعْبَةً : فَأفْضَلُهَا قَولُ : لاَ إلهَ إلاَّ اللهُ وَأَدْنَاهَا إمَاطَةُ الأذَى عَن الطَّريقِ والحياءُ شُعبَةٌ مِنَ الإيمان مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯০) উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একদা এক ব্যক্তি পথ চলছিল। তাকে খুবই পিপাসা লাগল। অতঃপর সে একটি কূপ পেল। সুতরাং সে তাতে নেমে পানি পান করল। অতঃপর বের হয়ে দেখতে পেল যে, (ওখানেই) একটি কুকুর পিপাসার জ্বালায় জিভ বের করে হাঁপাচ্ছে ও কাদা চাঁটছে। লোকটি (মনে মনে) বলল, পিপাসার তাড়নায় আমি যে পর্যায়ে পৌঁছেছিলাম, কুকুরটিও সেই পর্যায়ে পৌঁছেছে। অতএব সে কূপে নামল তারপর তার চামড়ার মোজায় পানি ভর্তি করল। অতঃপর সে তা মুখে ধরে উপরে উঠল এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল। আল্লাহ তা’আলা তার এই আমলকে কবুল করলেন এবং তাকে ক্ষমা ক’রে দিলেন। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! চতুষ্পদ জন্তুর প্রতি দয়া প্রদর্শনেও কি আমাদের সওয়াব হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনে নেকী রয়েছে।
বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহ তা’আলা তার এই আমলকে কবুল করলেন। অতঃপর তাকে ক্ষমা ক’রে জান্নাতে প্রবেশ করালেন।
বুখারী-মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আছে, কোন এক সময় একটি কুকুর একটি কূপের চারিপাশে ঘোরা-ফিরা করছিল। পিপাসা তাকে মৃতপ্রায় ক’রে তুলেছিল। (এই অবস্থায়) হঠাৎ বনী ঈস্রাঈলের বেশ্যাদের মধ্যে এক বেশ্যা তাকে দেখতে পেল। অতঃপর সে তার চামড়ার মোজা খুলে তাতে (কূপ থেকে) পানি উঠিয়ে তাকে পান করাল। সুতরাং এই আমলের কারণে তাকে ক্ষমা করা হল।
وعَنهُ : أنَّ رَسُول الله ﷺ قَالَ بَينَما رَجُلٌ يَمشي بِطَريقٍ اشْتَدَّ عَلَيهِ العَطَشُ فَوَجَدَ بِئراً فَنَزَلَ فِيهَا فَشرِبَ ثُمَّ خَرَجَ فإذَا كَلْبٌ يَلْهَثُ يأكُلُ الثَّرَى مِنَ العَطَشِ فَقَالَ الرَّجُلُ : لَقَدْ بَلَغَ هَذَا الكَلْبُ مِنَ العَطَشِ مِثلُ الَّذِي كَانَ قَدْ بَلَغَ مِنِّي فَنَزَلَ البِئْرَ فَمَلأَ خُفَّهُ مَاءً ثُمَّ أمْسَكَهُ بفيهِ حَتَّى رَقِيَ فَسَقَى الكَلْبَ فَشَكَرَ الله لَهُ فَغَفَرَ لَهُ قَالُوْا : يَا رَسُول اللهِ إنَّ لَنَا في البَهَائِمِ أَجْراً ؟ فقَالَ في كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أجْرٌ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وفي رواية للبخاري فَشَكَرَ اللهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ فأدْخَلَهُ الجَنَّةَ وفي رواية لهما بَيْنَما كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ قَدْ كَادَ يقتلُهُ العَطَشُ إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إسْرَائِيل فَنَزَعَتْ مُوقَها فَاسْتَقَتْ لَهُ بِهِ فَسَقَتْهُ فَغُفِرَ لَهَا بِهِ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯১) উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি এক ব্যক্তিকে জান্নাতে ঘোরাফেরা করতে দেখলাম। যে (পৃথিবীতে) রাস্তার মধ্য হতে একটি গাছ কেটে সরিয়ে দিয়েছিল, যেটি মুসলিমদেরকে কষ্ট দিচ্ছিল।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি রাস্তার উপর পড়ে থাকা একটি গাছের ডালের পাশ দিয়ে পার হল। সে বলল, ’আল্লাহর কসম! আমি এটিকে মুসলিমদের পথ থেকে অবশ্যই সরিয়ে দেব; যাতে তাদেরকে কষ্ট না দেয়। সুতরাং তাকে (এর কারণে) জান্নাতে প্রবেশ করানো হল।
বুখারী-মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আছে, একদা এক ব্যক্তি রাস্তা চলছিল। সে রাস্তার উপর একটি কাঁটাদার ডাল দেখতে পেল। অতঃপর সে তা সরিয়ে দিল। আল্লাহ তা’আলা তার এই আমল কবুল করলেন এবং তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لَقدْ رَأيْتُ رَجُلاً يَتَقَلَّبُ في الجَنَّةِ في شَجَرَةٍ قَطَعَهَا مِنْ ظَهْرِ الطَرِيقِ كَانَتْ تُؤذِي المُسْلِمِينَ رواه مسلم
وفي رواية مَرَّ رَجُلٌ بِغُصْنِ شَجَرَةٍ عَلَى ظَهرِ طَرِيقٍ فَقَالَ : وَاللهِ لأُنْحِيَنَّ هَذَا عَن المُسْلِمينَ لاَ يُؤذِيهِمْ فَأُدخِلَ الجَنَّةَ وفي رواية لهما بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشي بِطَريقٍ وَجَدَ غُصْنَ شَوكٍ عَلَى الطريقِ فأخَّرَه فَشَكَرَ اللهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯২) উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল, অতঃপর জুমআহ পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে নীরব থেকে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুমআহ ও (আগামী) জুমআর মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ করে দেওয়া হল। আর যে ব্যক্তি (খুৎবাহ্ চলাকালীন সময়ে) কাঁকর স্পর্শ করল, সে অনর্থক কর্ম করল। (অর্থাৎ, সে জুমআর সওয়াব বরবাদ করে দিল।)
وعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الجُمُعَةَ فَاسْتَمَعَ وَأنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْن الجُمُعَةِ وَزِيادَةُ ثَلاثَةِ أيَّامٍ وَمَنْ مَسَّ الحَصَا فَقَدْ لَغَا رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯৩) উক্ত আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুসলিম বা মু’মিন বান্দা যখন ওযূর উদ্দেশ্যে তার মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন ওযূর পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে দুই চক্ষুর দৃষ্টির মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার হাত দু’টিকে ধৌত করে, তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে উভয় হাত দ্বারা ধারণ করার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। অতঃপর যখন সে তার পা দু’টিকে ধৌত করে, তখন পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে প্রত্যেক সেই গোনাহ বের হয়ে যায়, যা সে তার দু’পায়ে চলার মাধ্যমে করে ফেলেছিল। শেষ অবধি সমস্ত গোনাহ থেকে সে পবিত্র হয়ে বের হয়ে আসে।
وعَنهُ : أنَّ رَسُولَ الله ﷺ قَالَ إِذَا تَوَضَّأ العَبْدُ المُسْلِمُ أَو المُؤمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَينيهِ مَعَ المَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ فَإِذا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَ مِنْ يَدَيهِ كُلُّ خَطِيئَة كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ المَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ فَإِذَا غَسَلَ رِجْلَيهِ خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مشتها رِجْلاَهُ مَعَ المَاء أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيّاً مِنَ الذُّنُوبِ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯৪) উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতেই বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআহ থেকে আর এক জুমআহ এবং এক রমযান থেকে আর এক রমযান পর্যন্ত (সংঘটিত সাগীরা গোনাহ) মুছে ফেলে; যদি কাবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায় তাহলে (নতুবা নয়)।
وعَنهُ عَن رَسُولِ الله ﷺ قَالَ الصَّلَوَاتُ الخَمْسُ وَالجُمُعَةُ إِلَى الجُمُعَةِ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ مُكَفِّراتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ إِذَا اجْتُنِبَ الكَبَائِرُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯৫) উক্ত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব না, যার দ্বারা আল্লাহ তা’আলা পাপসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মর্যাদা বর্ধন করেন? সাহাবাগণ বললেন, অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযূ করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদক্ষেপ করা (অর্থাৎ দূর থেকে আসা) এবং এক নামাযের পর দ্বিতীয় নামাযের অপেক্ষা করা। সুতরাং এই হল (নেকী ও সওয়াবে) সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মত।
وعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ ألا أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا : بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ إِسْبَاغُ الوُضُوءِ عَلَى المَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاةِ بَعْدَ الصَّلاةِ فَذلِكُمُ الرِّبَاطُ رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯৬) আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডা (অর্থাৎ, ফজর ও আসরের) নামায পড়বে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
وعَنْ أَبيْ مُوسى الأَشعَرِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلَّى البَرْدَيْنِ دَخَلَ الجَنَّةَ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যের পথ অনেক
(৪৯৭) উক্ত আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন বান্দা অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তখন তার জন্য ঐ আমলের মতই (সওয়াব) লেখা হয়, যা সে গৃহে থেকে সুস্থ শরীরে সম্পাদন করত।
وعَنهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِذَا مَرِضَ العَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيماً صَحِيحاً