পরিচ্ছেদঃ আমলের রক্ষণাবেক্ষণ

(৪৪৩) আয়েশা (রাঃ) বলেন যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের নামায কোন ব্যথা-বেদনা অথবা অন্য কোন কারণে ছুটে যেত, তখন তিনি দিনে বার রাকআত নামায পড়ে নিতেন।

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنهَا قَالَتْ : كَانَ رَسُول الله ﷺ إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاةُ مِنَ اللَّيلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيرِهِ صَلَّى مِنَ النَّهارِ ثنْتَيْ عَشرَةَ رَكْعَةً رواه مسلم

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت : كان رسول الله ﷺ اذا فاتته الصلاة من الليل من وجع او غيره صلى من النهار ثنتي عشرة ركعة رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ আমলের রক্ষণাবেক্ষণ

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنْ تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ وَلا يَكُوْنُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ

অর্থাৎ, যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তাদের সময় কি আসেনি যে, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের হৃদয় ভক্তি-বিগলিত হবে? এবং পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের মত তারা হবে না? বহুকাল অতিক্রান্ত হয়ে গেলে যাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়েছিল। (সূরা হাদীদ ১৬ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

وَقَفَّيْنَا بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَآتَيْنَاهُ الأِنْجِيلَ وَجَعَلْنَا فِي قُلُوبِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ رَأْفَةً وَرَحْمَةً وَرَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ إِلاَّ ابْتِغَاءَ رِضْوَانِ اللهِ فَمَا رَعَوْهَا حَقَّ رِعَايَتِهَا

অর্থাৎ, অতঃপর আমি তাদের অনুগামী করেছিলাম আমার রসূলগণকে এবং অনুগামী করেছিলাম মারয়্যাম তনয় ঈসাকে আর তাকে দিয়েছিলাম ইঞ্জীল এবং তার অনুসারীদের অন্তরে দিয়েছিলাম করুণা ও দয়া; কিন্তু সন্ন্যাসবাদ এটা তো তারা নিজেরা প্রবর্তন করেছিল, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের বিধান ছাড়া আমি তাদেরকে এ (সন্ন্যাসবাদে)র বিধান দিইনি; অথচ এটাও তারা যথাযথভাবে পালন করেনি। (সূরা হাদীদ ২৭ আয়াত)। তিনি আরো বলেন,

وَلا تَكُونُوا كَالَّتِي نَقَضَتْ غَزْلَهَا مِنْ بَعْدِ قُوَّةٍ أَنْكَاثاً

অর্থাৎ, তোমরা সে নারীর মত হয়ো না, যে তার সুতা মজবুত করে পাকাবার পর ওর পাক খুলে নষ্ট করে দেয়। (সূরা নাহল ৯২ আয়াত)। তিনি অন্যত্রে বলেছেন,

وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتَّى يَأْتِيَكَ الْيَقِينُ

অর্থাৎ, আর তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর। (সূরা হিজর ৯৯ আয়াত)

এ মর্মের অন্যতম হাদীস আয়েশা (রাঃ) এর হাদীস, সেই আমল তাঁর নিকট প্রিয়তম ছিল, যা তার আমলকারী লাগাতার করে থাকে। (বুখারী ৬৪৬২, মুসলিম ১৮৭০)


(৪৪১) উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার রাতের অযীফা (নামায বা তেলাঅত ইত্যাদি) রেখে ঘুমিয়ে যায়, অতঃপর সে তা ফজর ও যোহরের মধ্য সময়ে পড়ে নেয়, তাহলে তার জন্য রাতে পড়ার মতই (সওয়াব) লেখা হয়।

وَعَن عُمَرَ بنِ الخطَّابِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ نَامَ عَن حِزْبهِ مِنَ اللَّيلِ أَوْ عَن شَيءٍ مِنْهُ فَقَرَأَهُ مَا بَيْنَ صَلاةِ الفَجْرِ وَصَلاةِ الظُّهْرِ كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيلِ رواه مسلم

وعن عمر بن الخطاب قال : قال رسول الله ﷺ من نام عن حزبه من الليل او عن شيء منه فقراه ما بين صلاة الفجر وصلاة الظهر كتب له كانما قراه من الليل رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী

পরিচ্ছেদঃ আমলের রক্ষণাবেক্ষণ

(৪৪২) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক লোকের মত হয়ো না, যে রাতে নফল নামায পড়ত, অতঃপর তা ছেড়ে দিয়েছে।

وَعَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا عبدَ اللهِ لاَ تَكُنْ مِثْلَ فُلان كَانَ يَقُومُ اللَّيلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيلِ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال : قال رسول الله ﷺ يا عبد الله لا تكن مثل فلان كان يقوم الليل فترك قيام الليل متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে